প্রেমঘোর পর্ব ৩+৪

প্রেমঘোর পর্ব ৩+৪
নার্গিস সুলতানা রিপা

নৌশিন দেখলো ৩.৪৮ বাজে..ওর কাছে চাই সাদাদকে… হুম খুব কাছে..
সাদাদ.. এই সাদাদ(নৌশিন)
সাদাদ:কি??উঠে গেলে যে??
নৌশিন:পিন গুলো খুলতে পাড়ছি না হেল্প করো তো..শাড়ি পড়ে ঘুমায় নাকি মানুষ।
সাদাদ:নিজে খুলো না রে..
নৌশিন:যা বলছি তা করো না বেশি কেন বলো
সাদাদ:ওফফ..
(পিনগুলো খুলতে থাকে নৌশিনের শরীর যেন ওকে টানছে.. বাট ও কিছু করবে না কোনো দিনও না যত ক্ষণ না নোশিন বলবে)

সাদাদ:হুম যাও ঘুমাও
নৌশিন:সাদাদ প্লিজ ব্লাউজের হোকটা আর ফিতাটা…প্লিজ প্লিজ(মায়াবী গলায়)
(সাদাদ নৌশিনের এই অবদারটা রাখতে গিয়ে ভ্যাবাচেকা হয়ে যায়..এমনি এত ফর্সা একটা পিঠ তার উপর এই ব্লাউজের গলাটা অনেকটাই বড় আবার হোক টোক আর ফিতায় পিঠটা আরও রোমান্চকর হয়ে আছে..সাদাদ লোভ সামলাতে পারছে না..তবুও নিজের দাঁতে দাঁত চেপে কন্ট্রোল এনে কাজটা করে)
💜💜নৌশিন সাদাদের হাতের ছোয়া পেয়ে আনন্দে শিউরে উঠে ভেতরে ভেতরে💜💜
নৌশিন গিয়ে শুয়ে পরে…
সাদাদ এসি টা ওন করে।
নৌশিন;এই ছেলে প্লিজ শুয়ে পড় না আমার একা একা খুব ভয় লাগে ঘুমাতে..
সাদাদেরও ঘুম চলে আসছে তাই শুয়ে পড়ল…
নৌশিন:সাদাদ..এই সাদাদ..ঘুমালে নাকি?
সাদাদ:নাহ্..বলো

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

নৌশিন:ঠান্ডা লাগছে আমার.
(সাদাদ ওঠে এসিটা ওফ করতে রিমোট হাতে নিবে এমন সময় নৌশিন হেচকা টান দিয়ে সাদাদ কে ওর বুকের ওপর ফেলে দেয়)
সাদাদ:কি হলো?
নৌশিন:বললাম না শীত করছে..
সাদাদ:তাই তো এসিটা ওফ করতে যাচ্ছিলাম
নৌশিন:কেন আমি তো জানতাম বউয়ের শীত লাগলে ওর বর উষ্মতা দেয়..গরম লাগলে ঠান্ডা করে দেয় নাকি??তবে তুমি কেন এসি ওন ওফ করো??
(সাদাদের কাছে পরিষ্কার হয় এবার মেয়েটা কি চায়..বাট ও একটু বাজিয়ে দেখবে নৌশিন কি করতে পারে)
সাদাদ:নাহ্ তো আমার জানা ছিল না…আপনি কি করে জানলেন??(চোখে ইশারা করে)
/নৌশিন এবার বুঝে যায় সাদাদ ওকে বাজিয়ে দেখছে তাই সেও বদমাশি শুরু করে/
নৌশিন:সব মেয়েই জানে….আর আমি তো এটাও জানি যে সব পুরুষও জানে।।কিন্তু যারা পারে না কাজ টা করতে ওরা জানে কি না বলতে পারবো না☺

সাদাদ:আচ্ছা(মুচকি হেসে)তার মানে আমি পারি না তাই তো??
নৌশিন:Yes Md.Sadad…u have no ability to do cool or hot me…after all ur wife’s body…
(সাদাদ নৌশিনের কথায় রেগে ওঠে..ওর মাথায় রক্ত উঠে যায় অবশ্য সব ছেলেরই উঠবে কোনো মেয়ে এই ভাবে বললে…আর সেই মেয়ে যদি নিজের বউ হয় তবে তো আরও দ্বিগুণ)
সাদাদ:hey..lady…stop…u have have no idea that”what I can do”…even about my ability… so.. stop this…
নৌশিন:ওহ্ ছাড়ো তো..have u any prove??? that”u r able to do that work”…”no u have not..so leave me”(মুখ ভেঙচিয়ে উঠে যাওয়ার চেষ্ঠা করে)
(সাদাদ এক টানে আবার বেডে ফেলে দেয়…ওর হাতটা চেপে ধরে বেডের সাথে…”ডোজটা বেশি হয়ে গেল না.??? সামলাতে পারবে তো??(সাদাদ)
(নৌশিন শিউরে উঠে যতই হোক মেয়ে তো..আর এতক্ষণ তো লজ্জা শরম ত্যাগ দিয়ে অনেক কিছুই করলো…আর পারছে না)

নৌশিন হাত ছাড়ানোর চেষ্ঠা করে “ধ্যাত ছাড়ো তো”(সাদাদ নৌশিনের মুখে একটা হাসির রেখা আর লজ্জার ছাপ দেখতে পায় যা ওকে আরও কাছে নিয়ে যাচ্ছে মেয়েটার )
সাদাদ:ওম হু…তোমার তো প্রুভ চাই..আর আমি কি করে নিজেকে প্রুভ না করে থাকবো…প্রত্যক্ষ প্রমাণ তোমাকেই রাখতে চাইছি আমি☺☺(সাদাদ নৌশিনের কাছে যেতে চাইলে নৌশিন উঠার চেষ্ঠা করে…. সাদাদ ওকে আটকে নেয়…নৌশিন আর পাড়ছে না সাদাদের নিশ্বাস ওর মুখে পড়ছে ওর নিশ্বাসও ঘন হয়ে আসছে)

সাদাদ নৌশিনের একদম কাছে চলে যায়…সাদাদকে পাগল করে দিয়েছে নৌশিন আজ ওর কথায় আর কাজে…..
সাদাদ পাগলের মতো নৌশিনের কাছে যায় একদম কাছে নৌশিন শিহরণ দিতে থাকে সাদাদ সেটা ফিল করতে পারছে।।💜💜
নৌশিনের ঠোটে নিজের ঠোট টা চেপে ধরে..চুমু খেতে খেতে হাপিয়ে গেলে চুষে নিতে থাকে মেয়েটার ঠোট.. মেয়েটাও পাগল হয়ে যায় সেও কিস করতে থাকে খামচে ধরে সাদাদের পিঠে..সাদাদ নৌশিনের খামচিতে ব্যাথা পায় একটু যা ওকে আরও পাগল করে…কামড়ে ধরে নৌশিনের ঠোট সাদাদ

…এরপর গলায় ঘাড়ে কিস করা শুরু করে… সাদাদের সেভ করায় ওর খোচা খোচা দাড়িতে নৌশিনের গলায় লাগছে…
নৌশিন:আহ্…সাদাদ লাগছে আমার..
সাদাদ বুজতে পারে নৌশিনের কথা কিন্তু কিছু না বলে ও আবারও কিস শুরু করে…নৌশিন একটু আগে বললো ওর নাকি লাগছে তাই সাদাদ নৌশিনকে ঘায়েল করার জন্য ওর গলায় জিব্হা দিয়ে লেহন দেওয়া শুরু করে…নৌশিন পাগলের মতো ছটফট করছে সাদাদের মাথার চুল ছিড়ে যাবে এমন ভাবে আকড়ে ধরছে আর চুমু খেয়ে যাচ্ছে..
সাদাদ এবার নৌশিনে কানের লতিতে লাভ বিট বসিয়ে দেয় (সাদাদ নৌশিনকে আজ বুঝাবে ও কি জিনিস মেয়েটাকে হার মানাবে ওর ভালোবাসায়)
নৌশিন আরও শিউরে ওঠে..
সাদাদ নিজের শার্ট টা খুলে ফেলল..

খেয়াল করল নৌশিন জুড়ে জুড়ে শ্বাস নেওয়ার কারণে ওর বুকটা ক্রমশই উঠা নামা করছে সাদাদ আরও পাগল হয়ে যায়..নৌশিনকে ধাক্কা দিয়ে উল্টো করে ওর ব্লাউজটা এক টানে খুলে ফেলে … ওর সারা পিঠে চুমু দেয়…নৌশিন কাপতে থাকে একদম…সাদাদ আরও কাতর করবে নৌশিনকে তাই পিঠেও জিহ্বা দিতে থাকে…
এবার নৌশিনের বুকে হাত চলে যায় সাদাদের..নৌশিনকে ওর দিকে ফিরাবে এমন সময়..”সাদাদ প্লিজ টেবিল লাইটা ওফ কর না”(নৌশিন)
“কেন..লাইট ছাড়া তো তোমার ভয় করে”(সাদাদ)
“আমি দেখবো আজ..সো লাইট ওফ করা যাবে না (বলেই নৌশিনে সোজা করে নেয়…সাদাদ নিজেই পাগল হয়ে গেছে.. তাই নিজেই লাইটা ওফ করে দেয় বারান্দার আলোয় দেখবে..ঝাপসা আলোয় আরো পাগল হয়ে গেছে ছেলে টা)
সাদাদ নৌশিনের বুকের নরম জায়গায় হাত দিয়ে দেয়…চাপ দিতে থাকে… “আ…ওহ… আমার লাগছে…আস্তে… “(নৌশিন)

“সাদাদ একটু তো লাগবেই জানেমন…আমার বউ যে এতটা হট জানা ছিল না।।(বলেই হঠাৎ ইচ্ছা করেই জুড়ে চাপ দিয়ে দেয়…নৌশিন সহ্য করতে না পেরে চিৎকার করে..নৌশিন:আ..(জোরে)
সাদাদ নৌশিনের ঠোট কামড়ে ধরে যেন ও চিৎকার করতে না পারে…আবারও বেশ কয়েকবার দু হাতে ওর বুকে চাপতে থাকে নৌশিন আওয়াজ দিতে পারছে না..শুধু মুচরাতে থাকে পা ছট ফট করতে থাকে…
সাদাদ নিজের পা দিয়ে ওর পা আটকে নেয়…পায়ে ঘর্ষণ দিতে শুরু করে।।নৌশিনের বুক থেকে হাত সরিয়ে নেয়…ঠোট থেকে ঠোট সরিয়ে নিতেই নৌশিন জুড়ে জুড়ে শ্বাস নিতে থাকে আরও যেন আবার জীবন ফিরে পেল..কিন্তু এতে ওর খোলা বুক যে আরও উতলা করছে সাদাদ কে..সাদাদ কন্ট্রোল করতে চাইছে না আর নৌশিনের দু পা নিজের পায়ে শক্ত করে চেপে ঘর্ষণ করে যায়… নৌশিনের হাত দুটি চেপে ধরে ওর ধরে নিজের হাতে বেডের সাথে আর সাথে সাথে ওর বুকে ঠোট দেয়…বুকে চুমু শুরু করে নৌশিন শেষ হয়ে যাচ্ছে
“সাদাদ প্লিজ ”

সাদাদ কোনো কথা না শুনে নৌশিনের স্তনে মুখ দেয় নৌশিনকে সর্বশক্তি দিয়ে সুখ দিবে ও আজ..তাই ওর স্তন চুষা শুরু করে…নৌশিন সুখের গোঙানী করতে থাকে..
নৌশিনের এই শব্দে সাদাদ আরও পাগলামো শুরু করে..ও কামড়ে নিতে থাকে নৌশিনের স্তনে
..কমশ্র জোড়ে দেয় নৌশিনের চিৎকার শুনতে চায় ও””আ…ও হ…আ…সাদাদ(নৌশিন)
সাদাদ আবারও কামড় দেয়..নৌশিন ভারসাম্য রাখতে সাদাদের ঘারেও লাভ বিট দিতে থাকে..
সাদাদ নৌশেনের বুকে এক অশেষ সুখ খুজে পায়… “কি আছে এই বুকে??(সাদাদ)
“নৌশিন…..
সাদাদ:বলো না কি আছে??

নৌশিন : জানি না আমি☺☺।।(দু চোখ বন্ধ মেয়েটার ও সাদাদের সামনে চোখ খুলতে পারছে না)
সাদাদ:ওহ্ অনেক কিছু তো জানতা তুমি আমি ভাবছি এটাও জানোও.. তবে আমিই দেখি কি আছে আবারও হাত দেয় তবে চাপ দিচ্ছে না এখন জাস্ট দু হাতে সারাটা বুকে হাত বুলিয়ে যাচ্ছে..ওয়াও কি নরম তোমার স্তন জান…(সাদাদ জানে এই কথাতে সহধর্মী বেশি খুশি হয়ে থাকে..উত্তেজিত হতে থাকে)
..নৌশিন সাদাদের মুখে এই কথা শোনে যেন মরে যাচ্ছে লজ্জায়…
নৌশিন:সাদাদ কি বলছো এই সব…
সাদাদ:হুম যা সত্যি তাই তো বললাম..
সাদাদ নৌশিনের বুকে হাত রেখে ছোয়ে দিতে দিতে ওর মুখটা নৌশিনের পেটের দিকে আনছে..নাক দিয়ে ওর সারা বুক শরীরের গন্ধ নিচ্ছে ছেলেটা… আর নৌশিন ওকে ক্রমশ খামচি দিয়ে যাচ্ছে পিঠে যা সাদাদকে আরও উত্তজিত করছে…

সাদাদ নৌশিনের পেটে চুমু খেতে শুরু করে ওর নাভীতেও…(সাদাদ জানে নাভী মেয়েদের কতটা র্স্পশ কাতর জায়গা.. সে নৌশিনকে পুরুপুরি ভাবে নিজের করতে চায় আজ তাই নৌশিনকে ভালোবাসার উনমাদনায় ভরিয়ে দিতে ওর নাভীতে জিহ্বা দিয়ে লেহন দেওয়া শুরু করে..নৌশিন কমড়ে জাকি দিয়ে ওঠে সাদাদ সেটা সামলে নেওয়ার জন্য বুক থেকে হাত দুটি কমড়ের দু পাশে রেখে কমড়টা চেপে ধরে দ্রত গতিতে লেহন শুরু করে নাভীতে আর চারপাশে.. নৌশিন উপায় খুজে পায় না সাদাদ ওকে শেষ করে দিচ্ছে একদম…নৌশিন সাদাদের চুল গুলোতে শক্ত করে চেপে ধরে কিন্তু এতে সাদাদের মুখ ওর পেটে আরও গভীর ভাবে লাগে..
“সাদাদ প্লিজ.. আমি পারছি না আর… প্লিজ জিহ্বা দিও না”(নৌশিন)
সাদাদ আরও লেহন দেওয়া শুরু করে নাভীর নিচের দিকে যাওয়া শুরু করে…নৌশিন শেষ পুরো… শুধু জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে মেয়েটা আর পুরো শরীর তো সাদাদের দখলে…সাদাদ নৌশিনের আরও গভীরে যেতে চায়..ও নৌশিনকে শেষ করে দিবে আজ স্বর্গসুখে তাই দুজনের শরীরই উন্মুক্ত করে…নৌশিন কেমন ফিল করছো জান(সাদাদ)(ওকে লজ্জায় ফেলার জন্য)

নৌশিন চোখ বন্ধ করে শুধু শ্বাস নিয়ে যাচ্ছে আর এখন ওর (ভয়+লজ্জা+সু ৩ টায় হচ্ছে…তাই কোনো কথা বলার শক্তি বা ভাষা ওর নেই(মনে মনে ভাবছে সাদাদ কি করতে যাচ্ছে)।
সাদাদ নৌশিনকে আবারো আগলে নেয়…নৌশিনের পোশাকের মতো ওর গায়ে জড়িয়ে যায়…
নৌশিন:সাদাদ কি করছো..
সাদাদ:চুপপপ কোনে কথা না জান..
সাদাদ:বিসমিল্লাহ্‌…
পর মুর্হুতেই নৌশিন আতকে একটা চিৎকার দেয়..”ওহ্ মা….আহ্….সাদাদ প্লিজ….”
সাদাদ নৌশিনের মুখের দিকে তাকায় মেয়েটা করুণ ভাবে শক্ত করে নিজের ঠোট কামড়ে ধরেছে…আর সাদাদের হাতের মাঝে ওর হাত থাকা সত্বেও সর্বশক্তি দিয়ে হাত দুটি চেপে ধরে রেখেছে…চোখের কোণে পানিও এসে গেছে….

সাদাদ নৌশিনের চোখে পানি দেখে এক অজানা সুখে নিজেকে পৃথীবির সব চেয়ে সার্থক মনে করে…
“এমনটা হয়ে থাকে জান প্রথমত..বাট ধীরে ধীরে…(কথা শেষ করার আগেই.. নৌশিন ওর হাত ছেড়ে দিয়ে সাদাদকে জড়িয়ে ধরে শক্ত করে আর কান্না শুরু করে দেয়…সাদাদ বুঝতে পারে ওর কান্নার মানে…(এই কান্নায় যেমন ব্যাথাও প্রকাশ করেছে তেমনি সাদাদকে নিজের সর্বস্ব দিয়ে দিয়েছে সারা জীবনের জন্য তারও প্রমাণ রাখছে…)

সাদাদ নৌশিনের গালে কপালে চুমু একে দেয়…ওকে মুর্হুতের মাঝে আবারও স্বর্গসুখে ভাসিয়ে নিয়ে যায়… নৌশিনের চোখে আর পানি আসে নি এবার…দু জনে হারিয়ে যায় এক মহা সুখে….বেশ কিছু সময় পর দুজনেই ফিরে আসে সেই স্বর্গ থেকে কিন্তু সুখটা নিয়ে এসেছে..দু জনেই তৃপ্ত…নৌশিন সাদাদকে জড়িয়ে ছিল ছেড়ে দেয় সাদাদ নৌশিনে গলায় মুখ রেখে শুয়ে আছে…ভোরের পাখির শব্দ পাচ্ছে নৌশিন(তার মানে সকাল হতে চললো…)..নৌশিন সাদাদকে ওর শরীর থেকে সরানোর জন্য সাদাদের কাঁধে হালকা ধাক্কা দেয় যেন ওর মুখটা সরে যায় গলা থেকে… কিন্তু এই অল্প ধাক্কায় সাদাদের কিচ্ছু হলো না….
“কি হলো..সরো না(নৌশিন)
সাদাদ:ওমমমম হু…না….
নৌশিন:প্লিজ…সরো…বেডে শুও না…
সাদাদ:ওহহ না….বেড শক্ত তো…(আহ্লাদের রসে)
নৌশিন জুড়ে ধাক্কা দেয় এবার সাদাদ সরে যায় ওর অবস্থা থেকে কিন্তু নৌশিনের ওপরেই থাকে…নৌশিনের চোখে চোখ পড়ে যায় ওর…ভোরের আলোয় নৌশিনকে প্রথম দেখছে..

সাদাদ:(মুচকি হেসে..নৌশিনের চোখে চোখ রেখে)কি???কেমন লাগছে??
নৌশিন:ধ্যাত সরো তো… (সাদাদকে ধাক্কা দিয়ে মুচকি হেসে)
(সাদাদ নিজে থেকে আর নৌশিনের ধাক্কায় বেডে শুয়ে পড়ে…নৌশিন সাদাদ নেমে পড়ায় ওর পেডিকোট টা ঠিক করে নেয় আর অন্য হাতে চাদরটা বুকে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করে..)
(সাদাদ মুচকি হাসি দিয়ে নৌশিনের হাতটা চেপে ধরে…চাদর টা নিতে দেয় না…”থাক না..কি বৃথা চেষ্টা করছো..কি আছে আর তোমার ঐ বুকে(চোখের ইশারা দিয়ে দেখায়)…সব তো দেখা হয়ে গেছে…কি জানো তো কেমন জানি চুম্বক আর মধুচাক তোমার ঐ…(নৌশিন মুখ চেপে ধরে..)

নৌশিন:চুপপ(গাল ফুলিয়ে চাপা হাসি দেয়…লজ্জা লাগছে ওর এগুলো শুনতে)
সাদাদ হাতটা সরিয়ে নেয়…”ওহ…দম বন্ধ হয়ে গেছিল তো মরে ফেলবা নাকি…আমার আর কি দোষ বল.???তুমি যদি নিজেই 😛😛…আমি কিন্তু কিছু করতে চায় নি বাট তুমি তো প্রমাণ চাইলা😜😜তাই…(সাদাদ)
(নৌশিন সাদাদের বুকে একটা আস্তে ঘুসি দিয়ে”উফফ সাদাদ…. শয়াতান☺☺”(নৌশিন)
(সাদাদ নৌশিনকে ওর বুকে টেনে নেয় আর ওর মুখের কাছে এসে..”এবার আমি শয়তান হলাম তাই না??আর নিজে যে আমায় পাগল করে দিলা…সারা শরীরে মধু রেখ দিছে একদম আর আমাকে বলে…☺☺..হুম….”
(নৌশিন আর কোনো কথা না বলে লজ্জায় সাদাদের বুকে মুখ লোকায়…আর মনে মনে রাতের কথাটা গুলো ভাবছে…..লজ্জায় সাদাদের দিকে তাকাতেও পারছে না আর তাই ওর বুকেই শুয়ে আছে”
“এত ভারী কেন তুমি?মাথা রাখলে আর বুকের ব্যাথা শুরু হলো..মেয়ে মানুষ এতো ওজন থাকে নাকি??
(সাদাদ)

/নৌশিন মুখ তুলে রেগে “আমি ভারী তাই না??😡😡৪৫-… ওকে?? আর একটু মাথা রাখলাম তাতেই বুক ব্যাথা…আর নিজে যে আমার উপর পুরো শরীর দিয়ে ছিলে..৬০+ওজনে কি আমার লাগে নি গায়ে আর বুকে তো…”
(সাদাদ নৌশিনের বক বকানি শুনছে এক দৃষ্টিতে..আর হাসছে মুঠি মুটি মেয়ে টা কি বলছে রেগে নিজেই খেয়াল করে নি..হঠাৎ নৌশিন বুঝতে পারলো ও কি বলতে যাচ্ছে তাই থেমে গেল)
সাদাদ:কি???কথা শেষ কর তোমার বুকে????
নৌশিন :ওহ….সাদাদ…তুমি না..

সাদাদ:কিহ.. আমি????আর প্রমাণ পেলে তো??নেক্সট টাইম গরম/ঠান্ডা যেটাই লাগুক বলবা ওকে???সব ঠিক করে দিব আমি(একটু জোড়ে হেসে ফেলল) (নৌশিন লজ্জায় লাল হয়ে আছে একদম…ওঠে যেতে চাইলে..”কি হলো..?কই যাও??খেয়াল করছো তোমার আর বুক একসাথে??.(সাদাদ)
((নৌশিন লক্ষ্য করে আসলেই ও সাদাদের বুকে নিজের শরীর রেখেছে..আর সাদাদ এভাবে বলায় আরও লজ্জা রাঙা হয়ে উঠে ওর মুখ…সরে যেতে চায়…)
সাদাদ:(আটকে নিয়ে..তৃপ্তির হাসি দিয়ে)এত লজ্জার কি আছে?? হুম??সবি তো দেখে ফেলেছি কিছু তো খেয়েও ফেলেছি লোভে…তবুও এতো লজ্জা??তবে ভোরের বেলায় আবার লজ্জা ভাঙি নাকি??(বলেই নৌশিনের ওপর শুয়ে পরে আবার)

(নৌশিন আটকানোর চেষ্টা করে কিন্তু পারে না)
নৌশিন:কি হলো এটা??সরো না…প্লিজ…(বিনয়ী সুরে)
সাদাদ:ওম না….(কিস করতে যাবে নৌশিনের মুখে..নৌশিন ওর হাতটা দিয়ে মুখটা সরিয়ে দেয়…”মাথা ঠিক আছে তোমার সকাল হয়ে যাচ্ছে…
“তো আমি কি করব সকাল হলে???”(সাদাদ)
“কিছু করবে না জাস্ট আমায় ছাড়বে…”(নৌশিন)
!সাদাদ আকড়ে ধরে নৌশিনকে!ওর ছাড়তে ইচ্ছে করছে না!
“সাদাদ প্লিজ ছাড়ো..ফ্রেস হতে হবে আমায়…না হলে লেট হয়ে যাবে..এখন আমি শুয়ে থাকলে ঘুমিয়ে পড়ব আর তুমি নিজেও জানো আমি এখন ঘুমালে বাসায় আগুন লাগলেও ১০ টার আগে উঠতে পারবো না…তা তে কি হবে বলো তো??(নৌশিন)

সাদাদ:”ওনননন না কিচ্ছু হবে না ১০ টা পর্যন্ত ঘুমাবো আমিও..নো প্রবলেম💜💜(নৌশিনের গলায় চুমু দিয়ে)
নৌশিন:তুমি সত্যিই পাগল হয়ে গেছো…
সাদাদ:তুমি করেছো…
নৌশিন:আচ্ছা..বেশ চুমু তো দিলে এবার তো উঠো…না হলে সত্যিই লেট হবে..
সাদাদ:কি লেট হবে??কিসের লেট(জুড়ে)
!নৌশিন মুচকি হেঁসে..!”আরে বাবা রাগও আছে দেখছি☺☺”
সাদাদ:দেখ হাসবা না একদম(রেগে)…নিজেই শুরু করবে আর আমি কিছু করলেই খালি অযুহাত😡….তাই না??
নৌশিন :আচ্ছা আচ্ছা হাসবো না আর(বলেই হেসে দেয়)
সাদাদ:😡😡😡
নৌশিন:ওকে সরি..আর হবে না…ওঠি এইবার.??

সাদাদ:যাও..
নৌশিন:কিভাবে??নিজে উঠো আগে..
(সাদাদ উঠে বিছানায় শুয়ে পড়ে…
বিরক্তের স্বরে:হেয়য়….
নৌশিন:কি হলো শুয়ে পড়লা যে??ফ্রেস হবা না?আর নামায পড়বা না??
সাদাদ:নাহ্ পড়ে ফ্রেস হবো তোমার হওয়ার নিজে হয়ে নিতে পারো(একটু রাগ ভাব নিয়ে কথা বলছে)
নৌশিন:কেন রাগ করছো.. বলো তো…??বাসায় এত লোক জন আর কিছু ক্ষণ পেরই দেখবা সবাই মিলে ডাকতে আসবে আমায়..আফটার অল নতুন বউ কি না…☺☺
সাদাদ:ওক(সহজভাবে)..তাই তো ছাড়লাম না হলে কে শুনতো তোমার বারণ…
নৌশিন:হুম☺☺।।তুমি ফ্রেস হবে না..নামায??
সাদাদ:ঘুম পায় তো..এই এক সাথে গোসল করার ইচ্ছা হচ্ছে নাকি তোমার(এক্সসাইডেড হয়ে বসে পড়ে)
!নৌশিন বিছানা থেকে এক লাফে সরে যায়…. “পাগল নাকি…😒😒”
(নিজের ব্যাগ ড্রেস নিচ্ছে)

সাদাদ:কি পড়বা??
নৌশিন:নতুন বউ তো শাড়ি অবশ্যই
সাদাদ:পড়তে পারো..নাকি পড়িয়ে দিতে হবে?
নৌশিন:নাহ্ আপনার আর সেই মহৎ কাজ করতে হবে না…একদিন তো শুধু আচঁল ঠিক করতে বলেছিলাম তাতেই যা..আর আজ পড়াতে গেলে তো…আর এখন আমি শাড়ি পড়া জানি…বুঝলা??সো নো নিড ইউর হেল্প..
সাদাদ:বুঝলাম..আমাকে পাগল করে পড়ে শিখছো আর কি..তবুও ভালো শিখলা…তা এখন ফ্রেস হয়ে নামায পড়বা নাকি??
নৌশিন:হুম..নতুন একটা লাইভ..নামায টা মিস দিবো না…আর আমি এমনিও নাময রোজ পড়ি..আর এখন থেকে নিজেও রোজ পড়বেন…

সাদাদ:বাট ফ্রেস হয়ে আসতে আসতে তো নামাযের টাইম শেষ..
নৌশিন:আগেই তো উঠতে চাইলাম নিজেই তো আটকে রাখলে..আর টাইম শেষ তবুও কাজা নামায পরে নিব..ফার্স্ট ডে..আমার ফ্রেস হতে সময় লাগবে.. তাই তুমি এখন উঠবা.. আমি ফ্রেস হয়ে আসলে তুমিও কাযা নামাজ পড়বা..
(বলেই নৌশিন ফ্রেস হয়ে আসে..দেখে সাদাদ ঘুমিয়ে গেছে..ও নিজের চুলের পানি ছিটিয়ে দিতেই…”ওপপপ কি???”(সাদাদ)
“ওপপপ☺☺।।ওঠো তাড়াতাড়ি ফ্রেস হও আর নামায পড়..আমি চাই না যে আজ নামায টা মিস হোক আর যদিও বা লেট হলো আমার বিশ্বাস আজকে কিছু হবে না এর জন্য☺☺)
নৌশিন নামাযটা সেরে নিল…সাদাদও নামায টা পড়ল☺
নৌশিন:আলহামদুলিল্লাহ্‌ ☺☺
সাদাদ:হঠাৎ??

নৌশিন:বা রে আমার বর তো আগে ফযরের নামযটা মিস করতো আজ করে নি তাই(বিছানা গুছাতে গুছাতে)(বিছানা গুছিয়ে আয়নার সামনে গিয়ে শাড়িটা ঠিক করলো…বসে মাথার কাপড়টা খুলে চুলটা মেলে দিল…সাদাদ ওর দিক এক নজরে চেয়ে আছে..ভেজা চুলে অসাধারণ লাগছে..সাদাদ ওর কাছে আসছে নৌশিন আয়নায় দেখতে পায়..তাই কাছে আসার আগেই উঠে পড়ে যেটা সাদাদ ভাবেই নি..সাদাদ:কি হলো এটা??এমন করলা কেন??
নৌশিন:তো…গায়ে হাত দেওয়া যাবে না ☺☺এখন..
(সাদাদ নৌশিনের দিকে এগিয়ে যায় আর ও পিছনে গিয়ে আলমারিতে ধাক্কা খায়..সাদাদ:এখন???
(নৌশিনকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দেয়..শুয়ে পড়ে ওর ওপর..ওর চুলের গন্ধ শুকতে থাকে…
নৌশিন:কি হচ্ছে বলো তো..
সাদাদ:how do I know../??plz don’t distrub me..(ঠোটে ঠোট দিতে যাবে…… তখনি দরজায় কেউ নক করে উঠলো…

নৌশিন..নৌশিন(দরজার বাইরে)
সাদাদ ভিমরি খায় ওর ঘোর কাটে একটু বিরক্তি হয়ে:আসার আর টাইম পেল না..(আস্তে বলল যা শুধু নৌশিনি শুনল..কিন্তু সাদাদ এখনো নৌশিনের ওপর)
(নৌশিন সাদাদকে ওর উপর থেকে তাড়াতারি সরিয়ে শাড়ি টা ঠিক করে নেয়)
নৌশিন:কি হলো??দরজা টা খুলো যাও..
সাদাদ:তুমি কেন যাচ্ছো না??
নৌশিন:কে ডাকছে?আমি খুলব… কেমন লাগছে তো…তুমি খুলো না।।
নৌশিন…সাদাদ কি রে আর কত বাইরে আয় তো এবার…
সাদাদ:আমি পারবো না এই শুইলাম…ঘুমাইবো এখন… ভাবীর গলা… আমার কারও হাসির খোরারক হওয়ার ইচ্ছা নাই খোলো নিজে…টাটা(চোখ মেরে)
নৌশিন:আ😱😱😱।।

এই কি রে…উঠবি না কি?(দরজার বাইরে)
!নৌশিন..তাড়াতাড়ি দরজা টা খুলতেই… ভাবী ভেতরে আসে….সাথে সাদাদের কোনো বোন টোন হবে মে বে।।
ভাবী কি ব্যাপার কেমন কাটলো?☺☺?(সাদাদের বোন আর ভাবী হেসে ওঠে..একে অপরের দিকে তাকিয়ে..নৌশিন লজ্জা পেয়ে যায়…”☺☺বসো না ভাবী””(নৌশিন)
“হুম..তাই তো এলাম..তা কি করলি সারা রাত..”(ভাবী)
“ভাবী এটা কোনো কথা কি করবে বলো তো.. দেখছো চুলগুলো ভেজা”(বোন)।
ওহ হ তাই তো..তা দেবর মশাই(সাদাদের কান ধরতেই চিৎকার করে ও) কি ব্যাপার ঘুম হলো??
“জিঙ্গাস করো না…ওকেই(নৌশিনের দিকে ইশারা করে)(প্রেমঘোর গল্পের

নৌশন:(অবাক হয়ে) আমি কি জানি??
বোন:কেন ছোট ভাবী??কিছু হয় নি??
(নৌশিন কি বলবে..সাদাদের দিকে তাকিয়ে আছে)
হলো হলো আর দেখা লাগবে না..(ভাবী)
নৌশিন:ওহ্।। ভাবী তেমনটা না তো তুমি যা ভাবছো…
(ওর কথায় সাদাদ ই আগে জোরে হেসে ওঠে তার পর ওর বোন আর ভাবীও)

প্রেমঘোর পর্ব ২

…আরও লজ্জায় পড়ে নিজেই হেসে দেয় সাদাদের দিকে তাকিয়ে…সাদাদের চোখ পড়ে যায় ওর চোখে..দু জনের মুখেই একটা চিরল হাসি আর চোখে সুখের আভাস নিয়ে একটা অন্যরকম দিনের শুরু হয় দুজনের জীবনে)

প্রেমঘোর পর্ব ৫+৬