প্রেমতৃষা পর্ব ৩১

প্রেমতৃষা পর্ব ৩১
ইশরাত জাহান জেরিন

প্রেম রুমের লাইটটা অফ করে গোসলে চলে যায়। ফিরে এসে দেখে তৃষা এখনো বসে বসে শাড়ির সেইফটিপিন খুলছে আর কান্না করছে। ওমা না ধরতেই কান্না? আর ধরলে না জানি এই মেয়ে করেটা কি?
প্রেম গুনগুন করতে করতে ফোনটা হাতে নিয়ে বলল, ‘উফ মেয়ে মানুষকে আল্লাহ ব্রেনের থেকে ঢং বেশি দিয়েছে।’
তৃষা চোখ মুছতে মুছতে উত্তর দিল, ‘দেখুন খোঁচা মারবেন না। সহ্য হয় না ওইসব। এই আমার ফোনটা দেন। আপনার চার্জারটা কই? আমি ফোনটা একটু চার্জে দিব।’
প্রেম ফোনটা আঙুলে ঘুরিয়ে বলল, ‘সুন্দর করে বলো।’
তৃষা ঠোঁট ফুলিয়ে বলল, ‘শুনছেন আমার মহাদয় জাউরা বেডা আপনার ইয়ে টা দিবেন আমি আমার ফোন চার্জ দিব।’

প্রেম ভান করে বিরক্ত হয়ে বলল, ‘তোর মুখের ওপর থু মারি। মুখ তো নয় অংকুরের ফুটো জাঙ্গিয়া। বাংলা ভাষাকে পেছন মেরে একেবারে জাঙ্গিয়ার ছিদ্রের এপাশ থেকে ওপাশ দিয়ে বের করিস স্বামী হই ফাজিল মেয়ে। অসম্মান করলে না সম্মানহানি করে বাসরটা সারব।’
তৃষা ফুঁপিয়ে উঠে বলল, ‘আমি মামলা দিতে জানি।’
প্রেম হাত দুটো প্রসারিত করে সোফায় হেলান দিয়ে বলল, ‘যেখানে মামলা দিবে ওটা আমার শশুর ডেডির বাড়ি। হিটলার শশুর ডেডিরা আবার জব্বর অ্যাপায়ন করতে জানে? বাই দ্য ওয়ে তুমি আমায় মামলা দিতে চাচ্ছো কেন? ওহ সেই সুযোগে যাতে তোমার না হওয়া আইনের লোকের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করে চা-নাস্তা খেতে পারো? বউ তুমি আস্ত অসুবিধার লোক একটা।’

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

তৃষা ঠোঁট কামড়ে অসহিষ্ণু ভঙ্গিতে বলল, ‘ আপনি চার্জার দিবেন?’
প্রেম হেসে কাঁধ ঝাঁকিয়ে বলল, ‘লিসেন আমার চার্জার দিয়ে তোমার ফোন চার্জ হবে না সোনা। আমার ক্যাবেলটা বড়। তোমারটায় জোর খাটালেও আমারটা ঢুকবে না। আইফোন আর এন্ড্রয়েডে তফাৎ আছে। কই লাখ টাকার জিনিস আর কই গুলিস্তানের ডুবলিকেট মাল।’
‘একটু বেশিই কিন্তু অপমান করছেন না?’
প্রেম হেসে এগিয়ে এসে বলল, ‘কোথায় করলাম? আমি না মানুষ বুঝে অপমান করি। তুমি আমার অপমানেরও যোগ্য না সোনা।’
তৃষার মাথাটা রাগে একেবারে ছিঁড়ে যাচ্ছে। সে তেড়ে এসে প্রেমকে জিজ্ঞেস করল, ‘এই সত্যি করে বলুন তো বলুন তো আমাকে কেন বিয়ে করেছেন?’
প্রেম ভ্রু কুঁচকে গম্ভীর ভঙ্গিতে বলল, ‘কেন বিয়ে করেছি মানে? আমার আইনের লোকের জীবন বাঁচাতে বিয়ে করেছি।’

তৃষা অবাক হয়ে তাকাল, বিস্মিত স্বরে বলল, ‘মানে?’
প্রেম হেসে আবার ফোন হাতে ঘুরিয়ে বলল, ‘মানে এই ধরো সে তোমার মতোন বিপদকে বিয়ে করে বিপদে পড়ত এসব কি আমি মেনে নিতে পারতাম? বেআইনের লোক বলে কি আইনের লোকের কদর নেই? আর বিপদ ঘাড়ে নিয়ে ঘুরবার অভ্যাস তো আমাদের। ওইসব কি সাধু বাবা প্রত্যুষ পারত? তাহলে বুঝো ওই ব্যাটা আতরও গোলাপ চন্দন প্রত্যুষকে কতখানি পেছন দিয়ে ভালোবাসি যে তার জন্য নিজের কাঁধে তোমার মতো বউ নামক বিপদ তুলে নিয়েছি? ধন্যবাদ দাও মেয়ে। বদলে চুমু দিলেও মাইন্ড করব না। আমার মন-মাইন্ড অনেক বড় বড়।’
তৃষা চোখ রাঙিয়ে বলল, ‘বড় বড় নমুনা তো দেখছিই।’

‘ওমা কি বলো বউ এখনো তো দেখালামই না।’
তৃষা ঠোঁট বাঁকিয়ে কটাক্ষ করে বলল, ‘আপনি একটা নষ্ট লোক।’
প্রেম গা ঝাঁকিয়ে কাছে এগিয়ে এসে বলল, ‘কাছে আসো আরেকটু নষ্ট হই।’
তৃষা ওয়াশরুমের দিকে এগিয়ে যায়। যাওয়ার সময় প্যাচিয়ে রাখা শাড়ির পায়েরের সঙ্গে হোঁচট খেয়ে পড়ে যেতে নিলে কই ভাবে প্রেম বুঝি তাকে সাহায্য করবে। ওমা উল্টো ঘুরে দেখল প্রেম ওপেনলি জামা বদলাতে ব্যস্ত। কি লজ্জা লজ্জা। তৃষা একটু চেঁচিয়ে বলেছিল, ‘যা মন চায় তাই করবেন নাকি? জামা বদলানোর জন্য তো ওপাশে পর্দা দেওয়া আলাদা রুম আছে। যান না ওখানে।’
প্রেম ভাবলেশহীন ভাবে তৃষাকে বলল, ‘আমার ঘর আমার যেখানে মন চায় জামা বদলাব। দরকার হলে জামা ছাড়া থাকব। কার সমস্যা হচ্ছে তা আমার দেখার বিষয় না।’
তৃষা একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে কোনোমতে নিজেকে সামলে ওয়াশরুমে যায়। এখানে আর কিছুক্ষণ থাকলে শেষে ফায়ার সার্ভিস এনেও মাথার আগুন নিভাতে পারবে না।

অফিসে সেই কতক্ষণ ধরে কাজ করছে প্রত্যুষ। তৃষাকে তার চাই। তৃষা যদি একটি বার মুখ থেকে বের করে সে প্রত্যুষকে ভালোবাসে না, তাকে সে চায় না, তাহলে কখনো প্রত্যুষ তার সামনেও আসবে না। তবে একটা বার যদি মুখ থেকে বের হয়, ‘আমি তোমার হয়ে থাকতে চাই।’ তবে প্রত্যুষ আগে-পিছে কাউকে দেখবে না। সামনে যেই থাকুক, কোনো অযুহাতেই তৃষার হাত সে ছাড়ছে না। তবে শরীরটা ক্লান্ত। আর নেওয়া যাচ্ছে না। এই প্রেমের কাজ যে এসব, তা জানতে বাকি কিসের? আবার নাও হতে পারে। কারণ সে তো মাস খানেক আগে হারিয়ে গিয়েছিল। আচ্ছা, তৃষার চট্টগ্রামে যেই এমপির সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, সে আবার কিছু করল না তো? এত চাপ আর চাপ। দিন-রাত পরিশ্রম করে মাথাটা এবার সত্যি যাবে। কই, ভেবেছিল বিয়ে করে একটু হালকা হবে। কিন্তু তা নয়, সেই সুযোগ আর কোথায়?

রান্নাটা শেষ করতে পারেনি শিমলা। তার আগেই পেছন থেকে অংকুর এসে তাকে ঝাপটে ধরে পিঠে চুমু খেয়ে বলল, ‘রাখো না জান রান্না। আজ রাত আদর খেয়ে কাজ চালিয়ে নেব।’
শিমলা তার হাত থেকে ছুটে গিয়ে বিরক্তি মাখা স্বরে বলল, ‘ইশ, ওইসবে পেট ভরে?’
অংকুর দুষ্টু হেসে জবাব দিল, ‘ট্রাই করে দেখোই না। পেট আর মন দুটোই ফুল হবে।’
শিমলার লজ্জা লজ্জা লাগে। এই অংকুরটাও না। একটু পরপর এসে জ্বালাতন করে। অংকুর শিমলাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে সোহাগ বুলাতে যাবে, তার আগেই শিমলা তার মুখটা চেপে ধরে লাজুক গলায় বলল,’আমার না অনেক ভালো লাগছে।’

অংকুর অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘কেন বউ?’
শিমলা চোখ নামিয়ে হেসে উত্তর দিল, ‘এই যে প্রেম ভাইয়া আর তৃষার বিয়েটা হয়ে গেল।’
অংকুর মাথা নেড়ে স্বস্তির স্বরে বলল, ‘তা ভালো বলেছো। দু’টো মানুষ দু’দিকে ভালো ছিল না একে অপরকে ছাড়া। একজন বাইক রেইস করতে গিয়ে এক্সিডেন্ট করে একমাস বেড রেস্টে ছিল, অন্যজন জিদের বসে যাকে ভালোবাসে না তাকে বিয়ে করতে বসেছিল।’
শিমলা মুখ গম্ভীর করে বলল, ‘হুম। তবে ওদের তো এখন এক হয়েই যাওয়ার কথা। কিন্তু দেখেছো কেমন গায়ে পড়ে ঝগড়া করে?’
অংকুর হেসে শিমলার চিবুকটা তুলে দিয়ে বলল, ‘বোকা বউ, ওইসব ঝগড়া না গো, ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।’
শিমলা দুষ্টুমি করে তাকিয়ে বলল, ‘তাহলে আমাদেরও ঝগড়া করা উচিত।’
অংকুর শিমলার গালে চুমু খেয়ে মুচকি হেসে ফিসফিস করে বলল, ‘বিছানায় চলো, আমরাও না হয় ঝগড়া করি।’

তৃষার এই পুরো বাড়ি দেখার সুযোগ হয়নি। ওই হারে বজ্জাত লোকটা তাকে এই রুম থেকে বের হতে দিলে তো? এই প্রেমকে একটা মাস যখন দেখেনি তখন কতবার রাগ-জিদ উঠেছিল। কিন্তু যখন হঠাৎ করেই সামনে দেখল তখন মুখে বললেও মন কি আদৌও ঘৃণা পুষে রাখতে পেরেছে? তৃষা একটা নিঃশ্বাস ছাড়ল। বারান্দা থেকে ফিরে এসে প্রেমকে জিজ্ঞেস করল, ‘বলো না কোথায় আমরা? অন্তত জায়গার নামটা বলো।’
প্রেম তখন গিটার নিয়ে কি যেন একটা করছিল। তৃষার কথা শুনে সে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বলল, ‘আপনি থেকে তুমি? বাহ! এটা বান্দরবান।’
তৃষা হতভম্ব হয়ে বলল, ‘ওমা এত দূর? কিন্তু এখান থেকে আমাদের চট্টগ্রামে যেতে কিন্তু বেশি সময় লাগবে না। আচ্ছা আপনি আমার ভাইয়ের সঙ্গে কি করেছেন? তৈমুর ঠিক আছে?’
প্রেম আশ্বাসের সুরে গিটারটা নামিয়ে রেখে বলল, ‘শালা বাবুকে কি করে ক্ষতি করব বলো? সে ঠিক আছে। সঙ্গে তোমার পরিবারও।’

তৃষার ঝগড়া করতে ইচ্ছে করছে না। অতিরিক্ত কিছুই ভালো না। হারানো জিনিস হারালে বারবার পাওয়া যায় না। হঠাৎ প্রেম গম্ভীর স্বরে বলে উঠল, ‘নেওয়াজ বংশে কিন্তু আমি ছাড়া আর কেউ নেই।’
তৃষা ক্লান্ত স্বরে বলল ‘জানি তো। এখন কি করতে পারি?’
প্রেম চোখ টিপে বলল, ‘যেহেতু আমাদের বিয়ে হয়েই গেছে এখন বংশ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব কিন্তু আমাদেরই।’
তৃষা চোখ কুঁচকে বলল, ‘মানে কি বলতে চাইছো?’
প্রেম দৃঢ় কণ্ঠে বলল, ‘যেটা বুঝতে পারছো সেটাই। বাচ্চা লাগবে। বংশ তো আর এভাবে চলতে পারে না।’
তৃষা ব্যঙ্গাত্মক সুরে বলল, ‘ইশ শখ কত? আমাকে জোর করে বিয়ে করা হয়েছে। ভুলে গেছে মিস্টার নেওয়াজ?’
‘জ্বী না মিসেস নেওয়াজ। এখন কথা না বাড়িয়ে এদিকে আসো। বিক্রিয়া তো শুরু করতে হবে। নইলে আবিষ্কার কি করে করব।’

‘মুখে কিছু আটকায় না দেখছি। আর আমাকে ছোঁয়ার কথা ভুলেও ভাবাভাবি চলবে না।’
‘প্রেম ছুলে যে মেয়ে গলে যায় তার মুখে এসব মানায় না। সময় মতো তোমাকে ধরব। প্রস্তুত করো।’ বলেই প্রেম বিছানায় শুয়ে হাই তুলতে তুলতে বলল, ‘ঘুম পাচ্ছে আমার। আমি ঘুমালাম।’
তৃষা খাটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। প্রেম হঠাৎ হাতের ভাজ থেকে মুখ উঠিয়ে বলল, ‘এমন স্ট্যাচু অব লিবার্টির মতো দাঁড়িয়ে আছো কেন? এসে ঘুমাও। দেখো আমার ঘুমের মধ্যে কিন্তু কাপড়চোপড় খুলে ফেলার অভ্যাস আছে। তাই ভেবেচিন্তে থাকবে।’
‘আমি আপনার পাশে শোয়ার জন্য মরে যাচ্ছি না প্রেম নেওয়াজ।’
প্রেম ধূর্ত হেসে বলল, ‘মরবে বউ মরবে। একদিন এই পাশে শোয়ার জন্য, একটু আদর পাওয়ার জন্য পা কেন অন্য কিছু ধরলেও কাজ হবে না।’
তৃষা মাথা ঝাঁকিয়ে বলল, ‘ইশ এমন দিন আমার জীবনে না আসুক। এখন গিয়ে ওই সোফায় শুয়ে পড়ুন।’
‘মাথার নাট বল্টু সব ঢিলে হয়েছে? নাকি বাংলা মদ খেয়েছো?’
তৃষা চোখ বড় করে বলল, ‘কি বলছেন? এসব কেন খাব? যান আপনি সোফায়। মেয়ে মানুষকে ভালো জায়গাটাই দিতে হয় আপনি জানেন না?’

‘না ম্যাডাম আমার তো আপনার মতো এত বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গে ঢলাঢলি নেই। এত জানব কেমন করে? যাই হোক আমি খাট ছাড়া ঘুমাতে পারি না। গিয়ে সোনাপাখি আপনি ওই সোফায় শুয়ে পড়ুন।’ বলেই প্রেম তৃষার মুখের ওপর বালিশ ছুঁড়ে মারল। তৃষা এখন না পারছে কিছু বলতে আর না পারছে কিছু সইতে। বালিশটা দিয়ে সোফায় শুতেই প্রেম বাতি বন্ধ করে দেয়। যেই ঝড় তার ওপর দিয়ে গিয়েছে এখন একটু শান্তি মতো ঘুমাতে পারলেই হয়। তবে হঠাৎ করেই মাথায় একটা প্রশ্ন এলো। করবে করবে বলে আর করা হয়নি। সে কপালে হাত রেখে ওপরের দিকে তাকিয়ে নিম্নস্বরে বলল, ‘আচ্ছা আপনার দেয়ালে আমার এত বড় ছবি কেন?’
ওদিক থেকে জবাব এলো। প্রেম অলস হেসে বলল, ‘কারণ দিনে একবার হলেও আমি মনে করতে চাই দুনিয়ার কদাকার নারীটা কে? আচ্ছা সোনা সবাই তো সুন্দর খুঁজে, সুন্দর ছবি দেখে আমি না হয় তোমার মতো একটা দারুচিনিকেই দেখলাম। মহৎ হৃদয় বলে কথা।’

তৃষা আর জবাব দিলো না। এই লোকের সঙ্গে কথা বলে লাভ নেই। উভয় পাশ নীরব হয়ে গেল মুহূর্তেই। শান্ত হয়ে গেল দুইপক্ষের হাজারটা না বলা কথার মিছিল গুলো।
তখন মাঝ রাত। পাহাড়ে জড় উঠেছে। বারান্দা থেকে অন্ধকার রাতের বৃষ্টিমুখর পরিবেশটা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। প্রেম ড্রিম লাইটটা জ্বালিয়ে বারান্দার দরজা বন্ধ করে। তৃষা তখনো ঘুমে বিভোর। ঠান্ডায় গুটি মেরে গুয়ে আছে। প্রেম এসে তার সামনে দাঁড়ায় প্রথমে। অতঃপর তাকে ঘুমের ঘোরে কোলে তুলে বিছানায় তার পাশেই শুইয়ে দিয়ে গায়ে চাদর টেনে দিয়ে নিজে গিয়ে পাশে শোয়। চুলগুলো মুখের ওপর থেকে সরিয়ে দিয়ে ঠোঁটের দিকে তাকিয়েও কপালে আলতো করে একা চুমু বুলিয়ে দেয়।

যাতে করে তৃষার ঘুমে ব্যাঘাত না ঘটে। তারপর তৃষাকে নিজের বুকে জড়িয়ে ধরে। প্রেমের উষ্ণ শরীরের ছোঁয়া যেন তৃষাকে আরো বেশি তার দিকে খিঁচে আনে। ঘুমের ঘোরে সে প্রেমের বুকে লেপ্টে যেতেই প্রেমের ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটল। সে তার বিটারহার্টকে এমন বৃষ্টিময় রাতের শীতল আবেসে বুকের গভীরে জড়িয়ে ধডে। চোখটা বুজতেই মনটা তৃষাকে উদ্দেশ্য করে বলে ওঠে, ‘

প্রেমতৃষা পর্ব ৩০

❝অনুভবে আছি আমি,
তোমায় ছুঁয়ে দেখার নেশায়
হারিয়ে গেলে ভিড়ের মাঝে
আর পাবেনা আমায়।❞

প্রেমতৃষা পর্ব ৩২

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here