প্রেমসুধা সিজন ২ পর্ব ১২

প্রেমসুধা সিজন ২ পর্ব ১২
সাইয়্যারা খান

আজ রোববার, হেমন্তের গায়ে হলুদ। সারা বাড়ী মানুষ জন গিজগিজ করছে। বিয়েটা যথাসম্ভব দ্রুত সেরে ফেলার আয়োজন চলছে। বর নিজেই এদিক ওদিক সামাল দিচ্ছে। কেটারিং এর দিকটায় ছোট চাচা ঝামেলা পাকিয়ে ফেলেছিলো যা সামাল দিতে গিয়ে সকালে একদফা নাকানিচুবানি খেয়েছে হেমন্ত। গরুর গোস্তের বিরিয়ানি করার কথা থাকলেও ভুলে অর্ডার দিয়ে দিয়েছিলো মুরগী। সেটাও নাহয় দেশী হলে মানা যেতো। সরাসরি বয়লার মুরগী। নিজেরাই যা বাড়ীতে রেঁধে খায় না সেই খাবার কি না অতিথিদের খাওয়াবে? শেষ মূহুর্তে হেমন্ত চৈত্রকে নিয়ে ছুটেছে। অর্ডার বাতিল সম্ভব না কারণ ক্যাশ দেওয়া তাই গরুর জোগাড় করেছে কোনমতে। কারওয়ান বাজার থেকে এই কেরানীগঞ্জ আসা যাওয়া মোটেও সুবিধার না৷ জানপ্রাণ এদিক ওদিক চলে যাওয়ার অবস্থা। বয়লার মুরগী গুলো কাল সবজিতে দিয়ে কাজ চালিয়ে দিবে বলে সেঝ চাচা বললেন৷ হেমন্ত একটু স্বস্তি পেলো তাতে নাহয় এত মুরগী কোথায় রাখতো?

সকাল থেকে বাড়ীর সকলেই ব্যাস্ত। ছোট বড় সব হাত কাজ করছে। পৌষ পিহা’কে বললো,
“হেমু ভাইকে গিয়ে বলবি আমি ডাকি।”
পিহা তখন উপটান পানিতে মেশাচ্ছিল। পৌষ’র কথায় তা রেখেই উঠে গেলো। হেমন্তকে খুঁজতে খুঁজতে পেলো রান্নার ওখানে। পিহাকে এদিকে দেখে চোখ গরম করে হেমন্ত। পিহা একটু ভয় পেলেও বললো,
“আপা ডাকে।”
“যা, আসছি আমি।”
ব্যাস এতটুকুই। পিহা দৌড়ে পালালো। হেমন্ত এলো তারও দশ মিনিট পর। এদিকে এলাহী কান্ড ঘটেছে। ইনি, মিনির ছোট হাতে মেহেদী দেওয়া। পিহা’রও হাত ভর্তি মেহেদী। কথা হচ্ছে কারো হাতেই আল্পনা নেই। পৌষ পারে না সেসব। মাঝে গোল বৃত্ত আর পাঁচ আঙুলের তিন কড় করে ঢেকেছে মেহেদীতে। হেমন্তকে দেখেই পৌষ ঝাঁঝালো কণ্ঠে বললো,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“এতক্ষণ লাগে আসতে হেমু ভাই? আমার কি কাজবাজ নেই? তারাতাড়ি এসো।”
হেমন্তের কপালে ভাজ পরলো। বিরক্ত হয়ে বললো,
“এসব দিতে হবে কেন?”
“এথব না দিলে বিয়ে অয় না হেমু বাই।”
একসাথে দুই জমজ বলা মাত্রই হেমন্ত বললো,
” কে বলেছে তোদের এই কথা?”
“আপা বলেছে।”
“তাহলে তোরা দিয়েছিস কেন? তোদের তো বিয়ে হবে না।”

দুই বোন মুখটা রাঙা করলো৷ মিটমিটে তারার মতো উজ্জ্বল দেখালো তাদের মুখ জোরা। আস্তে করে তারা হেমন্তের গালে পেছন থেকে চুমু খেলো। কাঁধে মাথা এলিয়ে দিতে দেড়ী কিন্তু খপ করে দু’টোকে বুকে নিতে হেমন্তের দেড়ী হলো না। ইনি, মিনি ভাইয়ের বুকে চুপ করে আছে। হেমন্ত রাগী স্বরে জিজ্ঞেস করে,
“ওদের কে কি বলেছে?”
সবাই চুপ কিন্তু পৌষ বাঁকা হেসে বলে দিলো,
“সেঝ চাচী ওদের সামনে আমাকে বলছিলো তোমার বিয়ের পরপরই আমার পাত্তা কাটিং কাটিং ফ্রম ইউর পরিবার। তাই জমজ জোড়া কাদিং কাদিং। সিঙ্গেল পিহাও কাদিং কাদিং।”

এবার পৌষ একটু শব্দ করেই হেসে উঠলো কিন্তু বাকি কেউ হাসলো না। হেমন্তের ভেতরে রাগ চেপে রাখা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে তবুও ইনি, মিনির কপালে চুমু খেলো। মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো,
“তোরা শুধু একবার বলবি, তোদের হেমু ভাই এখনই বিয়েতে না করে দিবে।”
চৈত্র আর জৈষ্ঠ্য চুপ। পৌষ এবারেও ছাড় দিলো না। খিটখিটে মেজাজে বললো,
“করো না বিয়ে।”
হেমন্ত ইনি, মিনিকে কোল থেকে নামিয়ে উঠবে এমন সময়ই পৌষ ওর হাত ধরে টান দিয়ে বসালো। বেজায় চটে গিয়ে বললো,
“এবার হয় তুমি মেহেদী দিবে নাহয় আমি নিজে গিয়ে বিয়ে ভেঙে দিব তোমার।”

হেমন্তের বাম হাতে পৌষ মেহেদী দিলো। গোল বৃত্তের পাশে বাংলায় কি সুন্দর পেঁচিয়ে লিখলো ‘শ্রেয়া’। হেমন্ত তাকিয়ে রয় সেখানটায়। পৌষ মেহেদী দিতে দিতে বললো,
“রাতে তোমাকে স্পেশাল ট্রিটমেন্ট দিব হেমু ভাই। রেডি থেকো।”
হেমন্ত আঁতকে ওঠে কিছুটা। বলে ওঠে ঝট করে,
“কোন ট্রিটমেন্ট না। তোদের চিনি না আমি? বদলের হাড্ডি আর তুই হলি লিডার।”
“আল আমলা?”
হেমন্ত চোখ ছোট করে উত্তর দিলো,
“তোরা হলি তোদের আপার চ্যালাপেলা।”
চৈত্র হাসি মুখে বললো,

“তোমাকে রাতে ফেসিয়াল করাব আমরা হেমু ভাই৷ কাল বিয়ে না?”
পৌষ মাঝে বাম হাত ঢুকিয়ে বললো,
“বিয়ের দিন আবার ছেলেদের চোট্টাদের মতো দেখা যায় তাই আগেভাগে তোমাকে ছাই, ভিম যা পারি তা দিয়ে ডলে দিব হেমু ভাই।”
জৈষ্ঠ্য হেমন্তের চেহারা দেখে হাসতে হাসতেই বললো,
“চিন্তা করো না, আপা আমাদের থেকে চাঁদা তুলে তোমার ফেসিয়ালের জিনিস কিনেছে।”
হেমন্ত হতাশ কণ্ঠে বললো,
“কিরে আজ-কাল চাঁদাও তুলিস তুই?”
“চারপাশে রাজনীতি রাজনীতি ঘ্রাণ পাই তাই চাঁদাবাজি দিয়েই হাতে খড়ি দিলাম নিজেকে।”

তালুকদার বাড়ীর টিনসেড শুধু মাত্র সম্রাটের বাড়ীটা। এক মাথা থেকে আরেক মাথা পুরোটা টিনসেড অথচ আভিজাত্য কমার বদলে দ্বিগুণ বেড়েছে এখানে। সম্রাটের চাচারা বানিয়েছিলো এটা। পাশেই খালি একটা চারতলা বিল্ডিং তোলা যা এখনও খালি পরে আছে। কেউ থাকে না সেখানে। ইটের তৈরী বিল্ডিংটা বাইরে থেকে দেখতে বেশ আকর্ষণীয়। এত টাকা পয়সা থাকা সত্ত্বেও এই টিনসেডেই বাস সম্রাটের মা আর বোনের। তৌসিফ বাইরে থেকে সোজা এই দিকটায় এলো। বিশাল বড় গেট দেওয়া। দারোয়ান ওকে দেখেই খুলে সালাম দিলেন। বৃদ্ধ একজন মানুষ। এই বাড়ীর কয়েক প্রজন্ম তার চোখে দেখা। নাম হীরু৷ তৌসিফকে দেখেই সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,
” ভালো আছেন আব্বা?”
“আলহামদুলিল্লাহ চাচা। চাচির খবর কি?”

হিরুর মুখটা কালো হয়ে এলো। তৌসিফ তা দেখে হেসে ভেতরে ঢুকলো। হিরু বউ পা’গল পুরুষ। তার কথা তাকে তার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করো কিন্তু তার বউ নিয়ে জিজ্ঞেস করবে না অথচ ছোট থেকে তৌসিফ এই কাজটাই করে আসছে। দেখা হলেই চাচির খবর দিবে৷ হিরু ভীষণ রাগে তাতে। তৌসিফ এক অঘোষিত শান্তি পায় যেন তাতে৷
ভেতরের কেঁচি গেটে শিকল বাঁধা। তার ভেতরে হাত ঢুকিয়ে দরজার মোটা কড়া নাড়ে তৌসিফ। রাত মোটামুটি। আকাশ পরিষ্কার। দূর থেকে লাইটিং আর গানের বিট কানে বিঁধছে আবছা আবছা। তৌসিফ একবার তাকালো। আজ হেমন্তের গায়ে হলুদ। ছেলেটা দাওয়াত দিয়ে গিয়েছে। তৌসিফ যাবে ভাবলেও সময় হচ্ছে না। গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাকি এখনও। দরজা সামান্য ফাঁকা করে একজন বুয়া উঁকি দিলো ভেতর থেকে। তৌসিফকে দেখা মাত্রই মোটা চাবির গোছাটা এগিয়ে তালা খুলে সালাম দিলো। তৌসিফ উত্তর দিয়ে ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে বললো,

“তাহমিনা আপাকে বলো আমি এসেছি।”
বুয়া তারাতাড়ি ভেতরে ছুটলেন৷ তৌসিফ সোফায় পায়ের উপর পা তুলে বসেছে। অনেকদিন পর আসা হলো এখানে। একবার ভাবলো চাচিকে দেখে আসুক একটু। পরক্ষণেই বাদ দিলো। গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা আগে তাহমিনা আপাকে বলতে হবে। তাহমিনা এসেছে তার চিরায়ত রূপে। ঢিলাঢালা কামিজ যার উপরে বড় করে ঘোমটা। পায়ে স্পন। এসেই বসলো তৌসিফের মুখোমুখি। জিজ্ঞেস করলো,
“হঠাৎ?”
“বাধ্য করলেন আসতে।”
তাহমিনা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকালো। এদিকে ধারালো দৃষ্টি তৌসিফের। সামনাসামনি বসা দু’জনের দেহেই এক র’ক্ত অথচ পার্থক্য তাদের শরীরের, তেঁজের। তাহমিনা চোখে চোখ রেখেই জিজ্ঞেস করলো,
“রাতে খেয়েছিস?”
“না।”
“হাত ধুয়ে আয়। খাবি আগে।”
“খাব না আপা।”
“থাপ্পড় খা তাহলে? দিব?”
“কি রেঁধেছ আজ?”
“বোয়াল মাছ, করল্লা ভাজি আর ডাল।”

তৌসিফ মুখ কুঁচকালো। বোয়াল মাছের কাটা ছোট বেলায় গলায় বিঁধেছিলো তার। সে কি কষ্ট, আজও ভুলা যায় না। বিতৃষ্ণা নিয়ে তৌসিফ বললো,
“এসব ভালো লাগে না আপা।”
“ডিম ভেজে দিব?”
“দিতে পারো।”
তাহমিনা উঠে গেলো। ফ্রীজ থেকে ভাত বের করে চুলায় কড়াইয়ে তেল দিয়ে ভেজে দিলো সাথে ডিম পোর্চ। টেবিলে দিয়ে বললো,
“এখানে আয়।”
“ডাল নেই?”
তাহমিনা ততক্ষণে রান্নাঘর থেকে ডাল এনেছে। তৌসিফ মুখ কুঁচকালো। বললো,
“এত পাতলা ডাল?”
“দাম জানিস?”
“টাকার অভাব তোমার আপা?”

“বসে খেলে রাজার ভান্ডারও ফুরিয়ে যায়।”
তৌসিফ একটু ভাত নিয়েছে। খেতে খেতে শুধু বললো,
“রাজার ভান্ডার ফুরালেও সম্রাটের ভান্ডার ফুরায় না।”
তাহমিনা কথা বাড়ালো না। তৌসিফ হাত ধুয়ে ইচ্ছে করে তাহমিনার সাদা ওরনায় হাত মুছলো। তাহমিনা কিছু বলে না। ওরা তিন ভাই মা বলতে পা’গল। মা নেই কতবছর। সামান্য ওরনায় হাত মুছে যদি চাচাতো বোন থেকে মায়ের সামান্য স্বাদ পায় তাহলে পাক। ক্ষতিতো নেই।
তৌসিফ আরাম করে সোফায় বসলো। সরাসরি বললো,
“ভাত খেতে কিন্তু আসিনি আপা।”
“জানি।”
“শাহরিয়ার ভাইকে নাকি বিয়ে দিবে?”
“হ্যাঁ। সংসারী হোক। তুই বললে তোর জন্যও মেয়ে দেখি।”
“আমি বললে? শাহরিয়ার ভাই বলেছে নাকি? এত বছরের প্রেম ছেড়ে হঠাৎ বিয়ে? হজম হচ্ছে না আপা।”

“লেবুর পানি দিব?”
“নাহ।”
“এত চিন্তার কিছু নেই। সম্রাট ভাই নিজে… ”
তাহমিনাকে থামিয়ে তৌসিফ বললো,
“মেয়ে চেনো তুমি?”
“হ্যাঁ, তামিমাকে…”
এবারেও তৌসিফ শেষ করতে দিলো না। গম্ভীর এক ঠান্ডা স্বরে শুধু বললো,
“পিছিয়ে যাও আপা। আমি থাকতে বিয়েটা হচ্ছে না।”
“তুই না থাকলে হবে?”
তৌসিফ তাহমিনার চোখে চোখে এক রহস্যের হাসি হাসলো। ছোট্ট করে বললো,
“তোমার পুরাতন অভ্যাস আপা। তবে বুঝেশুনে করিও।”
আর এক পলক দাঁড়ালো না তৌসিফ। বেরিয়ে এলো সেখান থেকে। হাঁটতে হাঁটতে মূল গেটে এসে হিরুকে দেখে তার হাতে হাজার দুই টাকা দিয়ে বেরিয়ে এলো। ঘড়িতে দেখলো সময় তখন রাত দশটা।

পিহা শাড়ী পরেছে। এমনকি ইনি, মিনিকেও পৌষ শাড়ী পিরিয়েছে। ছোট্ট ছোট্ট দু’টোকে বেশ মানিয়েছে। পৌষ ওদের তাড়া দিলো ওর রুম থেকে বের হতে। আনারসে আঙুর গাঁথতে গিয়ে হাতে যে টুথপিকের কত খোঁচা খেয়েছে তার ইয়াত্তা নেই। টনটন করছে ব্যাথায়। জৈষ্ঠ্য দৌড়ে এসে বললো,
“আপা হেমু ভাই ডাকে।”
পৌষ খেঁকানি দিলো,
“বল এখনও রেডি হই নি। আমি কি কাজের বুয়া যে এভাবে আসব। সময় লাগবে।”
“হেমু ভাই রেগে যাবে। হলুদ শুরু করবে। তুমি না আসলে তো হচ্ছে না।”
“তুই বল শুরু করতে। আমি আসছি।”
জৈষ্ঠ্যকে পাঠিয়ে ঠেলে দরজা লাগিয়ে দিলো পৌষ। দরজা লাগিয়ে ক্ষুদ্র শ্বাস ফেললো অতঃপর একা একাই হাসতে লাগলো। গুনগুন করে গান গাইলো,

‘তুমি দেখিয়াও দেখলা না,
শুনিয়াও শুনলা না,
জ্বালাইয়া গেলা মনের আগুন,
নিভাইয়া গেলা না।
তুমি দেখিয়াও দেখলা না,
শুনিয়াও শুনলা না,
জ্বালাইয়া গেলা মনের আগুন,
নিভাইয়া গেলা না’
গানের তালে তালে নিজের ঘরের বিছানা আর মেঝে ঝাড়লো পৌষ। দরজায় আবারও ঠকঠক। পৌষ খুলে না। গলায় স্বরে চিনলো বড় চাচি। গানের মাঝে বাগড়া ওর পছন্দ না। দরজা খুলে বড় চাচিকে দেখেই পৌষ বললো,
“আমার ঘরে আর কিছু নেই। সব বাইরে।”
মুখ লটকে তিনি বললেন,
“রেডি হয়ে আয় নিচে। হেমন্ত তোকে ছাড়া শুরু করছে না।”
পৌষ ফিচেল হাসলো। ও ভালো করেই জানতো এটা হবে কিন্তু পৌষ যাবে না। চাচি ওকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তাড়া দিলো,

“তারাতাড়ি তৈরি হয়ে নিচে আয়।”
তাচ্ছিল্য হেসে পৌষ বললো,
“এত সোজা?”
“ঘাড়ত্যাড়ামি করিস না পৌষ। মেহমনা বসা।”
“তাতে আমার কি?”
“হেমন্ত তোর ভাই না?”
“তাতে কি?”
চাচি বুঝলেন পৌষ আসবে না। এদিকে হেমন্তও যথেষ্ট চতুর। বড় চাচি নরম হয়েই বললেন,
“দেখ পৌষ, রেডি হ। মেহমান বসা।”
“মন চাইলো না করলে, মন চাইলো হ্যাঁ। পৌষ এত সস্তা?”

প্রেমসুধা সিজন ২ পর্ব ১১ (২)

বড় চাচি মহা ঝামেলায় পরলেন। তিনি জানেন পৌষ কেমন। নিজের কপাল নিজেই চাপড়াতে মন চাইলো তার। পৌষ দরজা লাগাতে চাইলেও তিনি দিলেন না। মিনতি করলেন আসার। পৌষ অটল। ঠেলে বড় চাচির মুখের উপর ঠাস করে দরজা লাগিয়ে সোজা বিছানায় গা এলিয়ে দিলো। তোশকের নিচ থেকে পোস্টার বের করে রংঢং করলো সম্রাটের সাথে। ততক্ষণে নিচ থেকে স্পিকারের শব্দ কমেছে সাথে কমেছে চাচির ডাকাডাকি। পৌষ অবাকই হলো। জানালা দিয়ে বাইরে তাকাতেই দেখলো বিশাল গাড়ি ঢুকেছে। সেই গাড়ি দিয়ে বেরিয়ে আসছে তৌসিফ তালুকদার।

প্রেমসুধা সিজন ২ পর্ব ১২ (২)