প্রেমের ধূলিঝড় পর্ব ১৩
ফিজা সিদ্দিকী
অজানা এক টানে নির্দিষ্ট সময়ের থেকে বেশ খানিকটা সময় আগেই বাড়ি ফিরেছে তুর্জয়। ঘরে ঢুকতেই নন্দিতার অগোছালো চেহারা, ফিকে হাসির দিকে সন্ধিহান চোখে তাকায়। হাতে করে নিয়ে আসা কয়েকটা রজনীগন্ধা স্টিক টেবিলের উপর রেখে আড়চোখে নন্দিতার দিকে তাকায়। নন্দিতা যেন একটা ঘোরের মধ্যে আছে, ধীরে সুস্থে ভাঁজ করছে হাতে থাকা কাপড়গুলো। অথচ তার ধ্যান, জ্ঞ্যান অন্যত্র। তুর্জয় সবচেয়ে বেশি অবাক হলো নন্দিতার সামনে ফুলগুলো রাখতেও তাকে বিচলিত হতে না দেখে। সেদিনের পর থেকে রোজই ফেরার পথে কোনো না কোনো ফুল হাতে নিয়ে ফিরে তুর্জয়। তবে নন্দিতার সামনে ভাবখানা এমন ধরে যেন এই তাজা ফুলগুলো শুধুমাত্র ফুলদানিতে সাজানোর জন্যই। অথচ এত বছরে ফুলদানিতে তাজা ফুল রাখার প্রয়োজন বোধ করেনি সে।
নিশ্চুপ নন্দিতা হাতের কাপড়গুলো গুছিয়ে রেখে এক গ্লাস ঠাণ্ডা জল এনে রাখলো টেবিলে। তুর্জয় তখন হাতের ঘড়িটা খুলে শার্টের বোতাম গুলোতে হাত দিয়েছে। বাম হাতের আঙ্গুল দিয়ে উপরের দুইটা বোতাম খুলে তীক্ষ্ণ নজরে পরখ করলো নন্দিতার বিধ্বস্ত, তাণ্ডবের পর ক্লান্ত, অবসন্ন মুখের দিকে। ধরণীর সব নিয়ম পাল্টে আজ এ মুখে তবে কী মেঘ জমেছিল? বর্ষা নেমেছিল? ব্যস্ত আঙুল থেমে গেল সেখানেই। ক্লান্ত শরীরটা একটু ঝিমিয়ে যাওয়া কণ্ঠে যেন বলে উঠলো,
“তোমাকে তার প্রয়োজন, বড্ডো প্রয়োজন।”
মেঘলা আকাশে দখিনা বাতাসে ঝরঝর শব্দ করার মত করে আদরমাখা এক কণ্ঠে তুর্জয় বললো,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“এদিকে এসো তো একবার।”
নন্দিতা এগোলো। বড্ডো নিশ্চুপ, অপরাধী কদম ফেলে কয়েকটা পা এগোলো। তাতে বোধহয় তুর্জয়ের খুব একটা পোষালো না। তাই আবারও আগের মতো আদর মাখানো ধীর কণ্ঠে বলল,
“আরও একটু এগিয়ে এসো, যেন পালাতে গেলে ধরতে পারি।”
ভীষণ মন খারাপের মাঝেও তুর্জয়ের কথা শুনে হেসে দিলো নন্দিতা। ঠোঁটের কোণে কিঞ্চিৎ হাসি ফুটিয়ে বলল,
“এতো কাছাকাছি ডাকছেন, মতলব কী?”
“এই ধরো, ঠেসে কয়েকটা চুমু খাবো। খুব বেশি হলে নরম চামড়ায় খানিকটা ধস্তাধস্তি হবে। আর…”
“আর?”
তুর্জয় ভ্রু উঁচিয়ে তাকিয়ে সাথে সাথেই নামিয়ে নিলো চোখ। এলোমেলো দৃষ্টি ফেলে বিড়বিড়িয়ে বললো,
“কী মেয়েরে বাবা। কোথায় ভাবলাম লজ্জা পেয়ে পালাতে চাইবে, উল্টে আমাকেই ঘর ছেড়ে পালানোর জোগাড় করছে।”
“নিড মোর প্র্যাকটিস।”
নন্দিতার শেষোক্ত কথাটুকু শুনে ভ্রু উঁচিয়ে তাকালো তুর্জয়। সন্ধিহান কণ্ঠে প্রশ্ন ছুড়লো,
“কিসের প্র্যাকটিস?”
নন্দিতা ততক্ষণে বিছানায় ভাঁজ করে রাখা কাপড়গুলো হাতে তুলে আলমারির দিকে এগিয়েছে। আলমারির তাকে কাপড়গুলো গুছিয়ে রাখতে রাখতে হালকা হেসে বলে ওঠে,
“ফ্লার্টিং স্কিল একেবারেই ভালো না আপনার। লজ্জা পাওয়া তো দূর, উল্টে মারধর খেয়ে যেতে পারেন মেয়েদের হাতে।”
ফিকে হেসে নন্দিতা পিছু ফিরতে গিয়ে আচমকা আবিষ্কার করলো তুর্জয়কে। এলোমেলো পোশাক, অগোছালো চুল, একটু উগ্র চাহনি আর অন্যরকম এক ভঙ্গিমা নিয়ে একদম তার সামনে দাঁড়িয়ে মানুষটা। নন্দিতা প্রথমে ভেবেছিল আলমারিতে কিছু প্রয়োজন তার। তাই পাশ কাটিয়ে সরে যেতে গেলে হাত দিয়ে বেড় দিয়ে ধরে তুর্জয়। একইভাবে অন্যপাশ ঘিরে হাত রাখে আলমারিতে। দুই হাতের মাঝে বন্দী নন্দিতা ঠিক অনেকটা খাঁচায় বন্দী পাখির মতো ছটফট করে। ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে,
“এভাবে…..”
নন্দিতাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ডানহাতের বৃদ্ধাঙ্গুল রাখে তার দুরন্ত ঠোঁটের ওপর। অতঃপর মোহনীয় এক কণ্ঠে বলে,
“পার্টি, ক্লাবে অর্ধনগ্ন মেয়ে দেখেও আমার শরীরে এতো শিহরণ বয়ে ওঠেনি কখনও, যতটা আপনাকে শাড়ি পড়া অবস্থায় দেখলে হয়। রংচঙে মাখা অতিমাত্রায় সুশ্রী কোনো ঠোঁট আমাকে এতো পরিমাণে কখনও টানেনি যতটা আপনার ওই জিভে ভেজা প্রলেপ বিহীন ঠোঁট টানে। দামী কোনো পারফিউমের গন্ধে কখনও এতো আসক্ত হইনি, যতটা আপনার শরীরের নিঠুর নির্যাসের মেয়েলি গন্ধে হয়েছি। আপনার কাছে এলেই ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে হয়। আপনাকে একান্ত করে পেতে ইচ্ছে হয়, আপনার সর্বাঙ্গে আমার, শুধুমাত্র আমার একান্ত আধিপত্যের খেলায় মত্ত হতে মন চায়। বৃষ্টি অপছন্দ করা আমি আপনাকে বৃষ্টির মাঝে পেয়ে বৃষ্টিকেও ভালবাসতে মন চায়।”
“আর আমাকে?”
“কিছু ভাষা চোখেরও হয়। মুখ কেন এতো ভারী অনুভূতির বোঝা একা বইবে?”
“যদি বলি চোখের ভাষা আমি বুঝিনা।”
“দরকার নেই। কিছু জিনিস আমার বাচ্চা কাচ্চাদের কাছ থেকে বুঝে নেওয়ার জন্য রেখে দিন।”
“আপনার একার বাচ্চা কাচ্চা?”
“তাহলে কী বলতে চাইছেন, আপনারও?”
“বাচ্চা পয়দা কি আপনি একাই করবেন নাকি? আপনার একার হলো কিভাবে তাহলে?”
“নাহ, দুজনে মিলে করবো। চলুন প্রোসেসিং শুরু করা যাক। আজকে মাথায় একটা পাকা চুল পেলাম, দিন দিন বুড়ো হয়ে যাচ্ছি মনে হয়। জলদি শুরু করা উচিত আমাদের।”
নন্দিতা চোখ বড় বড় করে তাকায় তুর্জয়ের দিকে। অতঃপর নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টা করতে করতে বলে ওঠে,
“আপনি এতটা অশ্লীল জানা ছিল না।”
“বউয়ের কাছে অশ্লীল বলে কিছু নেই। দুনিয়ার সবচেয়ে অশ্লীল কাজটাও বউয়ের সামনে ঘটিয়ে ফেলা যায় নির্দ্বিধায়।”
“ছিঃ! নির্লজ্জ মানুষ একটা।”
“প্রমাণ করি? ছটফট না করে একদম চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকবেন। একটু নড়াচড়া করলে সোজা বিছানায় ফেলে পিষে দেব।”
নন্দিতা একেবারে স্ট্যাচু বনে যায়। তা দেখে তুর্জয় বাঁকা হেসে আলতো করে ঠোঁট ছোঁয়ায় নন্দিতার কপালে। মৃদু কেঁপে ওঠে নন্দিতা। খামচে ধরে তুর্জয়ের টি শার্টের বাহু। ঠোঁটের বাঁকা হাসি বহাল রেখে তুর্জয় এবার মুখ নামিয়ে আনে নন্দিতার মুখে কাছে। তার উষ্ণ ঘন নিঃশ্বাস আছড়ে পড়ছে তুর্জয়ের বুকে। শিহরণে চোখ বুঁজে গেলে নন্দিতা। তা দেখে ঠোঁটের কোনের হাসি চওড়া হয় তুর্জয়ের। সাথে সাথে মুখ নামিয়ে ঠোঁট ছোঁয়ায় নন্দিতার লাজে রাঙা নাকের ডগায়। অতঃপর কানের কাছে মুখ নিয়ে মৃদু সুরে বলে ওঠে,
“বাকিটুকু রাতের জন্য তোলা থাকলো, পুষিয়ে দেব।”
লজ্জায় হাসফাঁস করতে করতে নন্দিতা মুখ গুঁজলো তুর্জয়ের বুকে। ধক ধক করে স্পন্দিত হওয়া শক্ত পুরুষালী বুকের খোলা অংশে গিয়ে ঠেকলো তার নাক। শারীরিক উন্মত্ততা আরও খানিকটা বাড়লো বৈ কমলো না। বড্ডো ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস ফেলছে নন্দিতা। তা দেখে তুর্জয় বাঁকা হেসে কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলে উঠলো,
“কন্ট্রোল, কন্ট্রোল মিসেস আহসান। আগে খাবারটা খাই, তারপর নাহয় ডেজার্ট হিসেবে আপনাকে।”
নন্দিতা ছুটে পালাতে চাইলো। কিন্তু শক্ত পুরুষালী বাহুর মধ্যিখানে আটকে পড়ে শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়েও কুলিয়ে উঠতে পারল না। অবশেষে মুখ উঁচু করে ঠোঁট উল্টে তাকালো তুর্জয়ের দিকে। তুর্জয় এই সুযোগে নন্দিতার নাকের সাথে নাক ঘষা দিয়ে মৃদু কন্ঠে বলে ওঠে,
“পা দুটো আমার পায়ের উপর রাখুন। আসুন, আমি সুন্দর করে পৌঁছে দিই আপনাকে।”
নন্দিতা তাই করলো। তার নরম পা দুটো এক এক করে রাখলো তুর্জয়ের ভারী, লম্বা চওড়া পায়ের উপর। ভীষণ কৌশলে তুর্জয় পাকড়াও করলো নন্দিতার বাঁকানো, মৃদু মেদযুক্ত কোমর। অতঃপর এক পা এক পা করে এগিয়ে গেল ডাইনিংয়ের দিকে। সাথে এগোলো তার পায়ে ভর দেওয়া নন্দিতাও। সবকিছু ভুলে নন্দিতা ডুবে গেল তুর্জয়ের অনাবিল ভালোবাসার সাগরে। যেখানে ভালোবাসি বলার প্রয়োজন হয়না। অথচ কী দারুণ ভাবে ভালোবাসা যায়। যেখানে পাশে আছি বলা হয়না, অথচ পাশে থেকে যাওয়া যায়।
যেখানে ভালো থাকতে বলা হয়না, ভালো রাখা যায়।
সামনে সাজানো আট রকমের ভর্তা আর সেই ছোটবেলার মতো করে রান্না করা পাতলা ডাল দেখে নস্টালজিক অনুভূতিতে বুঁদ হয়ে পড়লো তুর্জয়। ছটফটে হাতে ভাতের প্লেট এগিয়ে নিলো নিজের দিকে। অতঃপর পরণের সাদা ফুল হাতা শার্টের দিকে একপলক বিরক্ত চোখে তাকালো। নন্দিতা বুঝল তার মনের কথা। তাইতো এগিয়ে এসে শার্টের হাটার বোতাম দুটো খুলে দিয়ে এবার এগিয়ে নিলো বুকের কাছে। সাদা শার্ট দাগ লেগে যাওয়ার ভয়ে শার্টটা খুলে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে এগোয় সে। তা দেখে দুষ্টুমি কণ্ঠে তুর্জয় বলে ওঠে,
“এখনই জমা কাপড় খোলাখুলির তাড়া আপনার, মিসেস আহসান?”
“ঘোড়ার গলায় যেমন লাগাম থাকে, আপনার মুখেও এমনটা থাকা দরকার ছিল। প্রয়োজনমতো টেনে ধরা যেত।”
“মুখে বলছেন লাগাম টানার কথা, এদিকে টানাটানি করছেন আমার বেচারা শার্ট নিয়ে। ভেরী ব্যাড।”
নন্দিতা ততক্ষণে পুরো শার্টটা খুলে ওয়াশিং ব্যাগে রেখে এলো। অতঃপর গলা খানিকটা চওড়া করে বলে উঠলো,
“এখন খেয়ে আমাকে উদ্ধার করুন মিস্টার।”
তুর্জয় আড়চোখে নন্দিতার দিকে তাকায়। তার বিরক্ত মাখা চেহারা দেখে ঠোঁট কামড়ে হেসে খবর দিকে মনোনিবেশ করে। নন্দিতাও পাশে চেয়ার টেনে বসে নিজের প্লেট নিয়ে।
বেগুন ভর্তা, আলু ভর্তা, কুচো চিংড়ি ভর্তা, ডিম ভর্তা, ইলিশ মাছ ভর্তা, চিকেন ভর্তা, ডাল ভর্তা, আর ঢেঁড়স ভর্তা দিয়ে সাজানো প্লেট থেকে একে একে সবগুলো ভর্তা দিয়ে ভাত মেখে খেতে শুরু করে তুর্জয়। সাথে পাতলা ডাল। ছোটবেলার স্মৃতিগুলো একে একে যেন জীবন্ত হয়ে পড়ে তার চোখের সামনে। অভাবের সংসারে রোজ দিন মাছ, মাংস আনার সামর্থ্য ছিলো না আশরাফ সাহেবের। সামান্য একজন বেতনের স্কুল টিচার। অগাধ সম্মান পেলেও পকেটের বেতনটা ছিলো বেশ কম। তার উপর শহরের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, ঘর ভাড়া, দুই ছেলের পড়াশোনার খরচ চুকিয়ে মাসে টেনে টুনে দুই, তিনদিন মাছ মাংস আনার সামর্থ্য তার হতো। বাকি দিনগুলো এমন পাতলা ডাল আর ঝাল ঝাল ভর্তা দিয়েই কাটত। এতে অবশ্য তারা বেশ সুখেই ছিলো।
আহামরি কোনো চাহিদা তাদের দুই ভাইয়ের কারোরই ছিলো না। ফলে ছোটো এই সংসারটা টেনেটুনে বেশ ভালই চলতো। এরপর ধীরে ধীরে আশরাফ সাহেবের বয়স হলো আর সংসারের হাল ধরতে শুরু করলো তুর্জয়। কয়েক বছর বাদে তুহিনেরও বিদেশের স্কলারশিপ কনফার্ম হয়ে গেল। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে সংসারের হাল ফিরল তাদের। কিন্তু হারিয়ে গেল শৈশব। হারিয়ে গেল টেনেটুনে মাস শেষে মাংস ভাত খাবার আনন্দ। হারিয়ে গেল রোজ মারামারি করে খাবলা মেরে ভর্তা চুরি করে পালানোর দিন। এরপর থেকে রোজই মাছ, মাংস হয়। কিন্তু ভর্তা খাওয়ার আমেজ আর রইলো না।
খাওয়ার টেবিলে বসেই কেমন যেন তন্দ্রা লেগে এলো তুর্জয়ের। ঘুমে ঢুলু ঢুলু চোখ রুখে রাখা দায়। খাওয়া তখন তার প্রায় শেষ। বেসিন থেকে হাত ধুয়ে রুমে ঢুকে পড়ল। তুর্জয়কে এমন এলোমেলো পা ফেলে রুমে ঢুকতে দেখে আচমকা নন্দিতার মনে পড়ে গেল কিছু। ডালের বাটিতে সে ঘুমের ওষুধ মিশিয়েছিল। ভাবনাটুকু মাথায় আসতেই আবারও ঘোলা হয়ে পড়ল তার চোখ। অসাড় মনে খানিকটা সময় চুপচাপ বসে রইলো সে। মনে চলছে হাজারো দ্বিধা, দ্বন্দ্ব। চলছে হারানোর ভয়। সে যেন মাঝদরিয়ায় আটকে পড়া এক নৌকার যাত্রী। ফেরার কোনো পথ নেই। ডুবতেই হবে। খাবারটুকু আর তার গলা দিয়ে নামলো না। মনটা বড্ডো লোভী হয়ে পড়েছে আজ। এমন ভালোবাসা পেয়ে হারানোর স্পর্ধা কে বা দেখাতে পারে?
প্রেমের ধূলিঝড় পর্ব ১২
রুমে ঢুকে তুর্জয়ের কাছে এগিয়ে যেতেই হাতছানি দিয়ে তাকে কাছে ডাকে সে। অতঃপর ঘোরের মধ্যে থেকে জড়ানো কণ্ঠে বলে ওঠে,
“এতো আয়োজন করে আমি তো ভাবছিলাম বিষ মেশাবে আমার খাবারে, কিন্তু তুমি তো ঘুমের ওষুধ মিশিয়েই ক্ষান্ত।”
নন্দিতা চট করে দূরে সরে যায়। তুর্জয় কি তবে বুঝে ফেললো সে ঘুমের ওষুধ মিশিয়েছে? সে কী জেনে গেছে সবকিছু? এবার কি তবে তাকে ভুল বুঝবে সে? পেয়েও কি এবার হারিয়ে ফেলবে সে তুর্জয়কে!