প্রেমের সমর সিজন ২ পর্ব ৩৫
অলকানন্দা ঐন্দ্রি
সিয়ার জ্ঞান ফিরেছে একটু আগে। তারপরই নিজের আশপাশে চিন্তারত অবস্থায় নিজের মা বাবা ভাই ভাবী সবাইকে দেখে সে ক্লান্ত চাহনিতে তাকায় কেবল। প্রথম দফায় বুঝে না উঠলেও পরমুহুর্তর সে বুঝতে পারে কি সাংঘাতিক কান্ডটা সে ঘটিয়েছিল। সিয়ার কন্ঠ দিয়ে কথা আসে না যেন। ক্লান্ত লাগে। তবুও ক্লান্ত স্বরে সে শুধাল,
“ ভাইয়া? আম্মু আব্বু? আ’ম স্যরি। আর হবে না এমনটা। ”
কথাটা বলতে বলতেই চোখ গড়িয়ে পানি পড়ল সিয়ার। সাথে কেঁদে উঠল ওর আম্মুও৷ মেয়েকে বুকে নিয়ে বলে উঠলেন,
“ আমি তোকে আর কোথাও আলাদা থাকতে দিব না সিয়া৷ কোথাও না। আমার কাছে থাকলে তুই এমনটা করতে পারতি না আম্মু। কি করে পারলি এমনটা করতে বল? একবারও ভাবলি না আমাদের কথা?চলে যেতে চাইলি এভাবে?”
সিয়া ফুঁফিয়ে উঠে। বলে,
“ না আম্মু, আমি চলে যেতে চাইনি। আত্মহত্যা করতে চাইনি আমি আম্মু। মরতেও চাইনি। আমি, আমব তো কেবল নিজের রাগ-জেদ এসব সামলাতে পারিনি আম্মু। এতটাই রাগ হচ্ছিল যে খুব কষ্ট হচ্ছিল আমার। ”
তার মায়ের চোখ ভিজে উঠে। মাথায় হাত বুলিয়ে জিজ্ঞেস করল,
“কার উপর এত রাগ আমার আম্মুর? কেন এত কষ্ট? ”
সিয়া শক্ত করেই জড়িয়ে ধরল। বলল,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
” জানি না, কিচ্ছু জানি না আম্মু! ”
সিয়া অনেকটা সময়ই মায়ের সাথে থাকল। এরপর সবাই যখন বের হলো তখন সুহা পাশে বসল। কিছুটা সময় নিরব থেকে সিয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে শুধাল,
“ সিয়া? ”
সিয়া তাকায়। উত্তর দেয়
“ হু সুহা আপু। ”
সুহা বলল,
“ তুমি কি কোনভাবে সাদের জন্য এমন করেছো? সাদ এসেছিল এত রাতেও, বাইরে থেকে দেখছিল তোমায়৷ কিছু হয়েছে ওর সাথে? ”
সিয়া মুহুর্তেই অস্বীকার করল। জানাল,
“ না, না আপু। ”
” সত্যি বলছো? ”
“ খু্ব সত্যি। ”
সুহা আবারও বলর,
“ তুমি সাদকে পছন্দ করতে না? ”
“ করতাম, এখন আর করি না। ”
“এটা মিথ্যে বলছো। ”
“ না, একদম সত্যি। ”
সুহা ফের জানতে চাইল এবারে,
“ তাহলে সাদ যে বিল্ডিং এ বাসা ভাড়া নিল তুমিও সেখানে বাসা ভাড়া কেন নিলে? ”
সিয়া হাসে৷ তাচ্ছিল্যের হাসি। উত্তর দিল,
“ কে জানে! ইচ্ছে হলো তাই।”
পুরো দুটো দিন গেল,রাত গেল! রোহান সত্যি সত্যিই বাসায় ফিরল না। রাহা বিস্মিত হয়। অফিসেও পা ফেলল না একবার এই লোক? রাহা দীর্ঘশ্বাস ফেলে। সরাসরি কিছু কাউকে জিজ্ঞেসও করতে পারছে না।কিন্তু আজ সকাল সকালই রোহানের আম্মু এসে তাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছে। বুঝা যাচ্ছে ছেলের সেদিন বের হয়ে যাওয়া, দুদিন বাসায় না ফেরা নিয়ে সে চিন্তিত। এবং এসবের কারণ হিসেবে তিনি মনে মনে রাহার সাথে কিছু ঘটেছে এমনটাই ভেবে নিয়ে। রাহা ছোটশ্বাস ফেলে। সে তো বলে নি রোহানকে এভাবে চলে যেতে? তাহলে? তাছাড়া সব সত্য জানার রাহা নিজেও রোহানের অপেক্ষায় আছে। কবে দেখা হবে, সেদিন এতগুলা কথা বলে ফেলার জন্য স্যরি বলারও তো প্রয়োজনীয়তা আছে। রাহা ভেবেচিন্তে অবশেষে সিদ্ধান্ত নিল পিয়াসের মাধ্যমে যোগাযোগ করবে রোহানের সাথে। সে অনুযায়ী সে রওনাও হলো, কিন্তু পথে একটা গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগে খুব বাজেভাবেই তার পায়ে আঘাত পেল। হাতেরও কিছুটা অংশ ছিলে গেছে। র’ক্ত বের হচ্ছে। রাহা তাতে বিশেষ পাত্তা না দিয়ে পিয়াসের কাছে গেল। হেসে জানাল,
“ আপনার স্যারকে একটা কল করুন তো।আমায় তে সম্ভবত ব্লকড করেছে। যোগাযোগ করতে পারছি না আমি। ”
পিয়াস ছেলেটা হেসে দ্রুত স্যারের পক্ষ নিয়ে বলে উঠল,
“ না ম্যাম, ব্লকড না। স্যার অন্য সিম ইউজ করছে। ”
রাহার রাগ লাগে। অন্য সিম ইউজ করতে হবে কেন? সে কি রোহানকে দিনরাত কল করে বিরক্ত করে ফেলবে?বলল,
“ হোয়াই? এসব নাটক কেন করছে সে?”
প্রশ্নটার উত্তর দেওয়ার আগেই পিয়াসের চোখ গেল রাহার পায়ে। অনেকটাই কেঁটে গেছে বলা চলে থেতলে গেছে, এবং রক্তপাত হচ্ছে। হাতের দিকটায়ও রক্ত। পিয়াস দ্রুত বলল,
“ আপনার পায়ে ? অনেক ব্লিডিং হচ্ছে তো। কি করে হলো এমনটা?”
রাহা রাগে বিরক্তে বলল,
” আরেহ দূর, আপনাকে যা বললাম তা করুন। মেজাজ খারাপ হচ্ছে আপনার স্যারের প্রতি আমার। ”
পিয়াস হতাশ হয়ে তাকায়। ওদিকে এমন অবস্থার কথা শুনলে নিশ্চয় তার স্যারেরও মেজাজ খারাপ হবে৷ এই দুইদিনে সমস্ত আপডেট তো রোহান তার কাছ থেকেই নিয়েছে। বলল,
“ আমি যোগাযোগ করছি, আপনি প্লিজ হাতে পায়ে ব্যান্ডেজ করান ম্যাম। ”
“ করাব। আগে কল দিন। ”
বেচারা পিয়স হতাশ হয়ে কলই দিল। কিন্তু কল রিসিভড হলো না। তখন প্রায় সকাল আটটা! রোহান ঘুমাচ্ছে তখনও। পিয়াসের কল পেয়ে নাক মুখ কুঁচকে নিয়ে সে কিছুক্ষন পরই কল তুলল। বলল,
“ কি সমস্যা পিয়াস?এভাবে কল দিয়ে যাচ্ছো কেন? ঘুমাতেও দিবে না? ”
রাহা দ্রুত ফোন নেয়। উত্তরে বলে,
” অন্যের ঘুম হারাম করে ঘুম আসে কি করে?এই রোহান ফারাবী? সাদিয়াকে দিয়ে সব আমার কাছে প্রকাশ করিয়ে এর পর এভাবে উধাও হয়ে যাওয়ার কারণ কি? কি নাটক এসব? আপনার আম্মু চিন্তা করছে জানেন আপনি। ”
রাহার কন্ঠস্বরে রাগ উপছে পড়ছে।বুঝাই যাচ্ছে সকাল সকাল এই মেয়ে প্রচুর রেগে আছে। কিন্তু কি কারণে তা বুঝে আসে না। রোহান উঠে বসল। গলা খাঁকড়ি দিয়ে বলল,
“ সকাল সকাল এমন রাগলে কেন নবনী? আম্মু তো চিন্তা করবে আমি জানিই, তবে আমি চেয়েছিলাম অনেকেই চিন্তা করুক। ”
“ এই বয়সে নিজের আম্মুকে চিন্তায় রাখতে ভালো লাগছে? ”
“ একদম নয়। ”
রাহা দাঁতে দাঁত চিবিয়ে বলল,
“ তাহলে ফিরুন। আজকের মধ্যে যদি না ফিরছেন দেখবেন, খুঁজে বের করে কি করি আমি। ”
রোহান হাসল হঠাৎ রাহা্ রাগ দেখে। বলল,
“ তুমি কি আমায় মিস করছো নবনী? বাসা ছেড়েও গেলে না, এভাবে খোঁজখবর ও নিচ্ছো আবার? ”
“ মোটেই না। বাসায় ফিরবেন, এটুকুই বলে রাখলাম। ”
এটুকু বলেই কল রাখল রাহা। ফের কতক্ষন বসে থেকে ভাবল, সে কি আসলেই মিস করছে না এই লোকটাকে? আসলেই চিন্তা হচ্ছিল না তার এই লোকের জন্য? সে কেন এতটা অস্থিরতা নিয়ে অপেক্ষা করছিল? কেন চাইছে রোহান বাসায় ফিরুক? রাহা দীর্ঘশ্বাস ফেলে। বিয়েটা হওয়ার আগে রোহানের প্রতি জম্মানো সূক্ষ্ম এক অন্যরকম ভালো লাগা থাকলে ও তা যে বিয়ের পর ক্রমশ অন্যকিছুতে রূপ নিয়েছে তা বুঝতে বাকি নেই রাহারও৷ সে দীর্ঘশ্বাস ফেলর। এরইমধ্যে তার ফোনে কল এল পুণরায়। নাম্বারটা রোহানের। রাহা ভ্রু কুঁচকে নেয়।এতদিন এইনাম্বারে কলই যাচ্ছিল না। আর আজ সে নিজ থেকেই কল দিয়েছে? বাহ!এটুকু ভেবে কল তুলতেই রোহান বলল,
শুনলাম হাত পা কেঁটে অবস্থা খারাপ করে বসে আছো? ”
রাহা মুহুর্তেই বলল,
“ তো?”
“ হাঁটাচলা করো কিভাবে? ছোটবাচ্চা তুমি? ”
রাহার আবারও রাগ রাগ লাগে। বলে,
“ কি বুঝাতে চাচ্ছেন? ”
“ চিকিৎসা নেওয়া উচিত তোমার নবনী। ”
“ নিব। ”
“ এখনই। ”
” আপনার কথামতো? ”
রোহান গম্ভীর অথচ দৃঢ় স্বরে বলল,
“ হ্যাঁ। ”
“সম্ভব না এখন।”
“ সম্ভব! ”
“ আরেহ ভাই, খুব একটা আঘাত পাইনি৷ কিছুক্ষন পর বাসায় ফিরে আমি নিজেই ব্যান্ডেজ করে নিব। ”
“ এই যে এই নিজের মতে স্থির থাকার অভ্যেসটা বদলাবে নবনী। রাগ হয় আমার। আর কে ভাই? আমি? আমি তোমার বিয়ে করা হাজব্যান্ড! মাইন্ড ইট, ওকে?”
এটুকু বলেই রোহান কল রাখল। তার প্রায় পনেরে বিশ মিনিট পরই রোহানকে একদম ভিন্ন পোশাকে অফিসে দেখা গেল। ফর্মাল ড্রেস আপ নয়। বরং থ্রি কোয়ার্টার একটা প্যান্ট আর একটা সাতা রং এর টিশার্ট৷ চুলগুলো এলোমেলো হয়ে কপালে মিলেছে। চোখ দেখে বুঝা যাচ্ছে তার ঘুম ভাঙ্গার পর মুখটাও ঠিকভাবে ধোঁয়নি। রাহা বিস্ময় নিয়ে তাকাতেই রোহান ব্যস্ত হয়ে এল। রাহার পায়ের আঘাতটা দেখে তৎক্ষনাৎ একটা ধমক দিয়ে বলে উঠল,
“ এটা খুব একটা আঘাত না পাওয়ার নমুনা? রাগ উঠাবে না বারবার নবনী৷ এতোটা কেয়ারল্যাস তুমি হও কি করে? ”
সাদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে এই শহর ছাড়বে। এই শহর ছেড়ে চলে যাবে। সে অনুযায়ী সব বাদ দিতে লাগল একে একে। রুমম্যাটদেরও জানানো হয়ে গিয়েছে। সাদ যখন দুপুরে একা বসা তখনই সিনিয়র এক রুমম্যাট আসল। তার পাশে বসল। গলা খাঁকড়ি দিয়ে জিজ্ঞেস করল,
“ শুনলাম তুমি চলে যাচ্ছো এখান থেকে? বাড়িতে ফিরে যাচ্ছো? কিন্তু ওখানে গিয়ে করবে কি? ”
সাদ হাসল। বিনিময়ে বলল,
“ দেখি কি করা যায়। নিজের শহরে আশা করি কোন জব পেয়ে যাব ভাই। ”
ছেলেটা হাসল। অনেকটা সময় পর হুট করেই বলে ফেলল,
“ তুমি কি ঐ মেয়েটাকে ভালোবাসতে তাই না সাদ? আমি কিন্তু বেলকনি দিয়ে তোমাদের দুইজনকে ঐদিন রাতে দেখেছিলাম। কিছু নিয়ে বোধহয় ঝগড়া হলো তোমাদের, তুমি চড় মারলে। আর সে রাতেই মেয়েটা সুইসাইড করল! ”
” তেমন নয়, আমি ভালোবাসি না। তারও আর আমার প্রতি ভালোবাসা নেই। তবে একসময় আমার প্রতি তার আবেগ ছিল বড়ভাই। ”
ছেলেটা ফের বলল,
“ তুমি ভালোবাসো না? শিওর? তাহলে ছুটে গেলে যে?”
সাদ দীর্ঘশ্বাস ফেলে এবারে। বুক ভার হয়ে আসে তার। বলল,
“ বোধহয় দায়িত্ববোধ থেকে। ”
“ আমার কেন জানি মনে হচ্ছে তুমি ঐ মেয়েটার জন্যই শহর ছাড়ছো। ”
“ না, তেমন নয়৷ ”
ছেলেটা উঠতে উঠতে বলে গেল,
“ তেমন নাহলেই ভালো। ”
ছুটির হাতে ধোঁয়া উঠা কফির মগ। এর ঠিক সামনেই আবির বসা। কোলের ল্যাপটপের স্ক্রিনে দেখা যাচ্ছে সাদাফ এবং নিধিকে। সিয়া এখন মোটামুটি সুস্থ। সু্স্থ হওয়ার পরই সাদাফ আর নিধি আবারও নিজরদের বাসায় ফেরত এসেছে। এখন আবিরের সাথে কথা বলছে। বেচারা আবিরকে না খোঁচাতে পারলে সাদাফের শান্তি লাগছিল না যেন!উঁশখুশ করছিল। আবির তা দেখেই কফির মগে চুমুক দিয়ে বলে উঠল,
” কি সমস্যা? তুই এমন করছিস কেন? বাপ হওয়ার খুশিতে কী পেটে কিছু আটকা পড়েছে তোর? ”
সাদাফ আর নিধি বাবা মা হতে যাচ্ছে।যখন জানতে পারল নিধি কনসিভ করেছে তখন সাদাফের কি ভীষণ আনন্দ! দুইজনই এই খবরটাতে যে কতোটা খুশি হয়েছে তা বোধহয় তারা দুইজনেই জানে না! অতঃপর সাদাফের মাথায় যেন আবিরকে খোঁচানোর বুদ্ধি চলে এল। সাদাফ তখন খুশিতেই দাঁত বের করে একটা বিজয়ী হাসি দিয়ে বলল,
“ তোর পরে বিয়ে করেও বাপ হয়ে যাচ্ছি মামা! তুই তো পিছিয়ে গেলি! বাপ হওয়ার মিশনে লেট হয়ে গেলি তো। আমায় দেখ, বিয়ে করেছি, বাচ্চার বাপ ও হয়ে যাচ্ছি। ”
এটুকু বলেই সাদাফ চোখ টিপল। পাশ থেকে ছুটি তা শুনল ঠিক। অতঃপর উদাস হয়ে একবার তাকাল আবিরের পানে৷ অথচ আবির তার দিকে তাকাল না। ছুটি বুঝে উঠে না সে এইখানে বন্ধুদের আড্ডায় বসবে কি বসবে না। পরমুহুর্তে ভেবেচিন্তে সে উঠে পড়ে। না জানি আরো কি কি নিয়ে এরা কথা বলে। যাওয়ার সময় উঁকি দিয়ে ল্যাপটপের স্ক্রিনে সাদাফ, নিধি এদের দিকে তাকাতেই আবির উত্তর করল,
“ বউকে বেশি ভালোবাসি তো তাই এখনোও বাচ্চাকে ভালোবাসা ভাগ করতে চাইছি না। যখন চাইব তখন দেখবি একসাথে হালিখানেক বাচ্চা জম্মাবে আমার। তোদের মতো একটা একটা বাচ্চা জম্ম দিয়ে কি বাবা হওয়ার সুখ মিটবে বল? আমি আবার সবকিছুতেই একটু বেশি ভালোবাসা দিই, একটু বেশি ভালোবাসা ডিজার্বও করি। তাই একসাথে হালিখানেক বাচ্চা জম্ম দিব, তারপর একসাথে বউ বাচ্চা সবাইকে ভালোবাসব! ”
প্রেমের সমর সিজন ২ পর্ব ৩৪
ছুটি কথাটা শুনেই ফ্যালফ্যাল করে তাকাল। কেমন উষ্ণ এক অনুভব হলো। লজ্জায় গাল লাল হয়ে এল কেমন তার। ছুটি দ্রুত সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে চলে যেতে উদ্যত হলো কিন্তু আবির তা হতে দিলে তো? কল রেখে ঠোঁটকাঁটা বেহায়া মানুষের মতো সে ছুটিকে মুহুর্তেই জিজ্ঞেস করল,
“ তুই এভাবে লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছিস কেন? পারবি না হালিখানেক বাচ্চা জম্ম দিতে?”