প্রেম ও অসুখ পর্ব ২১
নবনীতা শেখ
রাত সাড়ে এগারোটার দিকে ছাদে বসে আছে পূর্বিকা। কৃষ্ণপক্ষের শেষতিথি। আকাশে ধারালো এক বাঁকা চাঁদ। স্ট্রিটলাইটের কৃত্রিম আলোয় প্রজ্জ্বলিত হয়ে আছে পূর্বিকার একপাশ। পরনে বিভিন্নরঙের মিশ্রণে একটা স্কার্ট ও মেরুন টপ। গমরঙা শরীরের ছোট্ট মুখ, কোঁকড়াচুল, অমসৃণ হাসি ও অনড় দৃষ্টি, তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে।
কিছুক্ষণ পর একটা ছেলের আওয়াজ শুনতে পেল সে,
-“আপনার কী মন খারাপ?”
ভ্রু কুঁচকে তাকাল পূর্বিকা। কৈশোরের শেষপ্রান্তে এসে অপরিচিত এক মানুষের জন্য দু-চোখে অদ্ভুত ধরনের দুশ্চিন্তা নিয়ে সিঁড়িঘরের সামনে দাঁড়িয়ে আছে এক লম্বাটে ছেলে। মুখাবয়বটা ভীষণ চেনা। তবে পূর্বিকা চিনতে পারল না। তাকিয়ে রইল একদৃষ্টে।
এগিয়ে এলো ছেলেটা। লম্বাটে হ্যাংলা-পাতলা শরীর, ট্রিম করা দাঁড়ি, বড়ো বড়ো চুল, সাদা ঢোলা টিশার্ট ও গাঢ় রঙের ট্রাউজার পরে পকেটে হাত গুঁজে এগিয়ে এসেছে সে। ঠোঁট চেপে রেখেছিল এতক্ষণ। অভিমানী দৃষ্টি নিয়ে জিজ্ঞেস করল,
-“চিনতে পারেননি, মিস অনারেবল পূর্বিকা?”
কোঁচকানো কপালে অকস্মাৎ হেসে ফেলল পূর্বিকা,
-“উদয়?”
-“ইয়েস! ইটস উদয় আহমেদ রোদ—ফরএভার এট ইয়োর সার্ভিস!”
চমক ও বিস্ময় পূর্বিকার চোখ-মুখে মিলেমিশে একসার,
-“কতদিন বাদে! কবে এলে? দেখি, এদিকে এসো তো। শেষবার যখন দেখেছিলাম, তুমি আমার কাঁধ অবধি ছিলে..”
পূর্বিকা উঠে দাঁড়াল, দু-কদম উদয় এগোল, দুটো কদম সে নিজেও। মুখোমুখি পদক্ষেপ তাদের। উদয় মাথা নত করে হাসল,
-“আর এখন আপনি আমার কাঁধ অবধি।”
পূর্বিকা ওর চুলে হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল,
-“বাপরেহ! এত লম্বা কেন হলে? নাগালই পাই না।”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
পূর্বিকা তখন সদ্য ভার্সিটিতে এডমিশন নিয়েছে। তার বড়ো ভাই আর হৃদ বন্ধু। সেই হিসেবেই হৃদের সাথে তার পরিচয়। সেবার উদয় যখন ক্লাস এইটে পড়ত, তখন এখানে এসেছিল। হৃদের ব্যস্ততায় ভীষণ বোর হতে হতে পূর্বিকার সাথে পরিচয়। পূর্বিকা বরাবরই ভীষণ ম্যাচিউর ছিল। উদয় তাকে খুব সম্মান করত। সম্মানের সাথে “মিস অনারেবল” বলে ডাকত। আজ দীর্ঘ সাড়ে চারবছর পর দেখা!
পূর্বিকা আগের মতো বসল। বসে জিজ্ঞেস করল,
-“কী অবস্থা? কবে আসা হলো? এসে জানাওনি কেন? ভুলেই গেছো! আর কত বড়ো হয়ে গেছো! প্রেম করো? গার্লফ্রেন্ড হয়েছে? জানিয়ো কিন্তু আমাকে।”
এত এত প্রশ্নকে যেন শুনতেই পায়নি এমন এক ভাব করে উদয় বলল,
-“আপনার মন খারাপ কেন, পূর্বিকা?”
পূর্বিকা ঘাড় বাকিয়ে তাকাল,
-“বোঝা যায়?”
-“হ্যাঁ।”
-“কীভাবে বোঝা যায়?”
-“আপনার চোখে। আপনি যখন খুব খুশি থাকেন, তখন আপনার হাসির সাথে সাথে চোখ দুটোও হাসে। যখন কারণবশত উদাসীন থাকেন বা মন খারাপ থাকে, তখন হাসিটা কেবল ঠোঁটেই লেগে থাকে, চোখ ছুঁতে পারে না।”
উদয় একটু থামল। অধীর আওয়াজে পরক্ষণেই বলল,
-“আপনার হাসিতে প্রাণ নেই। মন খারাপের কারণটা আমাকে বলতে পারেন। আমি জাজ করব না, কেবল শুনব।”
উদয়ও পূর্বিকার সামনে তারই মতো রেলিংয়ের ওপর বসে পড়ল। পূর্বিকা মৃদু হাসল,
-“আমার ব্রেকআপ হয়ে গেছে আজ। সাড়ে চার বছরের সম্পর্ক.. চারটা মিনিটে শেষ।”
পূর্বিকা থামল। বড়ো করে শ্বাস টেনে নিয়ে চুপ হয়ে গেল। উদয় বলল,
-“এজন্য মন খারাপ?”
-“নাহ। আমি ব্রেকআপ চেয়েছিলাম। যা হয়েছে, ভালোই হয়েছে। তবে দীর্ঘসময়ের সম্পর্ক না? একটু কষ্ট পাচ্ছি, এই যা। ছাড়ো, সেসব। তুমি কিছু বলো। তোমার সাথে কথা বলে মন ভালো লাগছে।”
-“আমি কথা বলব?”
-“হু?”
-“কোনো গল্প বলব না-কি ঘটনা?”
-“তোমার ইচ্ছা।”
-“রূপকথার গল্প শুনবেন? এমনিতে এগুলোর বয়স আমাদের নেই। কিন্তু আপনার ভালো লাগবে ফর শিওর।”
-“তাহলে বলো।”
পাশে একটা অলকানন্দা ফুলের গাছ। উদয় সেখান থেকে একটা ফুল ছিঁড়ে পূর্বিকার কানের পিঠে গুঁজে দিয়ে বলল,
-“আপনার মেরুন আউটফিটের সাথে এই হলুদ ফুলটা খুব মানাচ্ছে। একদম যেন আগুনের ভেতর রাখা একটা সূর্যমুখী—যার অস্তিত্বই প্রশ্ন তোলে, কিন্তু সে থাকলে পুরো দৃশ্যটাই বদলে যায়।”
পূর্বিকা হেসে ওঠে,
-“তুমি বড়ো হয়ে খুব ফ্লার্টি হয়ে গেছো।”
উদয় তার বড়ো চুলগুলোর পেছন দিকে সামান্য চুলকে হাসল,
-“গল্প শুরু করি?”
-“নিশ্চয়ই।”
উদয় বলল,
-“পেছনের দেয়ালে হেলান দিয়ে বসুন।”
-“আচ্ছা।”
-“চোখ বন্ধ করুন।”
-“হুম।”
-“শুরু করব?”
-“হ্যাঁ, প্লিজ..”
-“এক দেশে ছিল এক রাজকুমারী। তার রূপ আর গুণ যেন প্রতিনিয়ত একে অপরকে হার মানানোর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। কেউ যখন তাকে ‘অসাধারণ সুন্দরী’ বলত, সঙ্গে সঙ্গেই থেমে গিয়ে যোগ করত—‘তবে সে যেমন গুণী, তেমনই দুর্লভ।’ রাজা প্রতিটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মেয়ের পরামর্শ না নিয়ে কখনোই এগোতেন না। সেই রাজ্যের সুখ-সমৃদ্ধির গল্প তখন ছড়িয়ে পড়েছিল আশেপাশের সব রাজ্যেও।
-“তারপর?”
-“একদিন, সেই রাজকুমারী প্রেমে পড়ে গেল এক রাজকুমারের। ধীরে ধীরে প্রেম যেন তার পুরো জগৎ হয়ে উঠল। নিজের যত্ন, নিজের স্বত্বা—সব যেন কোথাও হারিয়ে গেল। তার মুখে যেন বিষণ্ন ছায়া, চোখে ক্লান্তি। ভুল সিদ্ধান্তে রাজ্যে নেমে এলো দুর্দশা, বিভ্রান্তি, ধ্বংস।
-“সে কী! এরপর?”
-“অনেকটা সময় কাটিয়ে, একদিন সে বুঝতে পারল—সে ভুল মানুষকে ভালোবেসেছে। রূপকথায় যেমন সত্যিকারের রাজকুমার একদিন এসে পৌঁছায়, তার আগে ভুলের ভিড়ে সে হারিয়ে গিয়েছিল। সে যে প্রেমিক ছিল না। সে ছিল এক হিংসুটে রানির পাঠানো রাক্ষস!”
-“খুব ভয়াবহ ব্যাপার। এরপর?”
-“তবুও রাজকুমারী হাল ছাড়েননি। নিজেকে নতুন করে গড়লেন। নিজের যত্ন নিলেন, রাজ্যের হাল ধরলেন। ধীরে ধীরে রাজ্য ফিরে পেল তার হারানো জৌলুশ—চাঁদের আলোর মতো প্রশান্তি আর সোনালি ধানের মতো সমৃদ্ধি।”
-“এখানেই শেষ?”
-“না। তারপর তার জীবনে এলো এক সত্যিকারের রাজা। যে তাকে ভালোবাসল, বুঝল, মর্যাদা দিল। তারা একসঙ্গে রাজ্য চালাল—ভালোবাসায়, সমতায়। তারা সত্যিই সুখে ছিল, শুধু রূপকথার মতো নয়—বাস্তবেও।”
চোখ খুলে ফেলল পূর্বিকা, উৎফুল্লতা নিয়ে হেসে ফেলল,
-“কী সুন্দর! কাইন্ড অভ মোটিভেশান ছিল।”
-“মেনশন নট! আ’ম অলয়েজ এট কুইন’স সার্ভিস।”
হালকা ফ্লার্টি গলা, হেসে ফেলল পূর্বিকা। অকস্মাৎ তার মনে হলো, সে ভালো আছে। খুব ভালো আছে। হাসতে গেলে এখন আর বুক ভার হয়ে আসছে না। এখন আর সামনে এগোতে গেলে পা আটকে পড়ছে না।
রাতে ঘুমোতে গিয়ে ঘটল আলাদাই ঘটনা। ডাক্তার অনয় আহমেদ হৃদ ও অষ্টাদশী সাঞ্জিনা আফরিনের বৈবাহিক প্রায় সাড়ে চারমাসের পরবর্তী একটি রাতে তাদের প্রপথমবারের মতো একত্রে রাত্রিযাপন!
দুইপক্ষই চরম মাত্রায় বিচলিত। মস্তিষ্ক দপ দপ করে জ্বলছে তাদের। খাটের একপাশে ফোনে ডুব দিয়ে বসে ঘামছে সাঁঝ। ওইদিকে একসিটের সোফাতে বইয়ে মুখ লুকিয়ে বসে আছে হৃদ, তারও কপালে ঘামের ফোটা।
অস্বস্তিকর গোটা এক মুহূর্তের আটচল্লিশটা মিনিট কাটিয়ে কেশে ওঠে হৃদ। ফোনের দিকে দৃষ্টি শক্ত হয় সাঁঝের। ডানে-বামে, সামনে, পিছে, ওপরে, নিচে.. কোত্থাও সে তাকাবে না, ভুলেও না—এমন মনোভাব নিয়ে তার চোখ দুটো জ্বলজ্বল করছে।
কিছুটা সময় পর ওপাশ থেকে হৃদের ভারি স্বরে কিছু শীতল শব্দ পাওয়া গেল,
-“তুমি ঘুমাও। আমি এখানে ঘুমাচ্ছি।”
ফোনে চোখ রেখেই সাঁঝ বিড়বিড় করল,
-“কিং সাইজের বেডে কুইন একা ঘুমালে পাপ লাগবে।”
হৃদ বিস্মিত হলো। লম্বাটে কপালে পড়ল ভাঁজ, ঠোঁটের কার্ণিশে ঠাট্টার হাসি,
-“তো ম্যাডাম কি আমার সাথে ঘুমাতে চাইছেন?”
বড়ো শান্ত প্রশ্ন। সাঁঝের প্রতিক্রিয়াহীন থাকতে ভীষণ বেগই পোহাতে হচ্ছে। তবু নিজ ভাবমূর্তিতে অটল থেকে সাঁঝ বলল,
-“বৃষ্টির রাতে স্বামী থাকতেও একা ঘুমাব? কদাপি নহে! ভদ্রলোকের মতো কাছে আসুন..”
-“তোমার কন্ট্রোললেস মুখটা এক্সেপশনালি এট্রাক্টিভ!”
সাঁঝ প্রসঙ্গ পালটাতে ফোন রেখে সোজা তাকিয়ে বলে উঠল,
-“আচ্ছা, আপনি আমার চেয়ে কয় বছরের বড়ো?”
পরিস্থিতি বড়ো স্বাভাবিক হয়ে গেল। হৃদ ভেবে ভেবে বলে উঠল,
-“বারো।”
-“একযুগ?”
-“হ্যাঁ।”
সাঁঝ অত্যন্ত দুঃখী মনে বলল,
-“আপনি আমার বাপের বয়সী, হৃদ!”
হৃদ অসহায় চোখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল। কীভাবে একটা মেয়ে, তার হাজব্যান্ডকে বাপ বানাতে উঠে-পড়ে লাগে—হৃদের মাথায় আসে না। সে সময় নিয়ে বলল,
-“আমি তোমার ভাইয়ের বন্ধু, সাঁঝ! বাপের সমান কীভাবে হই?”
-“আপনি ভাইয়ার বন্ধু?”
-“হ্যাঁ।”
-“ওও তারমানে আমারও ভাইয়া। আসসালামু আলাইকুম, হৃদ ভাইয়া।”
হৃদ হাসতে হাসতে বলল,
-“স্বামীকে ভাই ডাকলে পাপ লাগে, কন্যা।”
চোখ পিটপিট করে তাকাল সাঁঝ,
-“মে আই কল ইউ ডার্লিং?”
-“ইয়েস, ইউ মে!”
-“ডার্লিং, বেডে আসুন! আপনাকে চক্ষু ভরে দেখি।”
সমানে সমানে দুষ্টুমি চলছে। কথার সাথে কথার টক্কর চলেই যাচ্ছে। হৃদ বিছানার এসে হেলান দিয়ে বসল। হাসতে থাকল দুইজনেই। হাসির দমকে ক্ষণে ক্ষণে ফুলেফেঁপে উঠছে হৃদের ভারি শরীরটা। সাঁঝ নির্নিমেষ তাকিয়ে রইল। চোখের পলক ফেলল না।
হৃদ যখন সাঁঝের চোখে চোখ রাখল, খামখেয়ালিপনার উৎসবে মেতে থাকা সাঁঝ ছোট্ট করে হাসল,
-“তুমি বড়ো সৌভাগ্যবান পুরুষ।”
সাঁঝ সচরাচর হৃদকে তুমি বলে ডাকে না। যখন ডাকে, হয়তো তখন পুরোপুরি হৃদের গিন্নিপনায় উৎফুল্ল হয়ে থাকে, নয়তো আবেগ-অনুভূতির সম্মিলিত যাতনায় মারা পড়ে থাকে। এই সময় তার সাথে দুটোই ঘটছে। ঘটনা ঘেটে যেতে দেখে হৃদের হাসি কমে এলো। জিজ্ঞাসাসূচক বাক্যটা এলো পরপরই,
-“কেন?”
-“কারণ তুমি কারো শখের বাগানের প্রথম ও একমাত্র অমরাবতী।”
হৃদের আওয়াজ ধীরে ধীরে ভারি হতে লাগল,
-“কার?”
এক টুকরো হাসল সাঁঝ,
-“নিঃসন্দেহে আমার।”
সাঁঝ আবারও বলল,
-“তুমি আমার। আমার অনেক শখের, ভীষণ যত্নের।”
-“কবে থেকে?”
-“আজ থেকে, এই মুহূর্ত থেকে।”
-“চোখ বন্ধ করো!”
-“করলাম।”
-“বড়ো করে শ্বাস নাও।”
-“নিলাম।”
-“স্বাভাবিক হও।”
-“হলাম।”
-“গা ছেড়ে নরম হয়ে বসো।”
-“বসলাম।”
-“এখন আরও একবার শ্বাস টানো।”
-“হুঁ।”
-“ভালোবাসো?”
সেই দিনের মতো আবারও প্রশ্ন। সাঁঝের ঠোঁটের কার্ণিশে হৃদের দৃষ্টি স্থির। মেয়েটা প্রশস্ত হাসল। অসম্ভব আত্মবিশ্বাসের সাথে বলল,
-“ভালোবাসি।”
-“কতটা?”
-“একজীবনের জমিয়ে রাখা সবটা!”
-“পরিমাপে?”
-“ব্ল্যাকহোল।”
উত্তরটা হৃদের মনমতো হলো। ভীষণ মনমতো। সে চোখ বন্ধরত সাঁঝকে গভীর শ্বাস টানতে দেখে রসিকতার সুরে জিজ্ঞেস করল,
-“তুমি কি হারিয়ে গেলে?”
-“হ্যাঁ।”
-“কোথায়?”
-“তোমার নিঃশ্বাসেরও কাছে।”
এমন অপ্রত্যাশিত উত্তরে হৃদের সবটুকু হাসি উড়ে গেল। চোখদুটোর অবাধ বিচরণ সাঁঝের শ্যামরঙা মুখটুকুতে। সে ভীষণ ধীর আওয়াজে বলল,
-“তাকাও!”
প্রেম ও অসুখ পর্ব ২০
সাঁঝ দেখতে পেল হৃদ নৈকট্য বাড়িয়েছে আরও খানিকটা। গাঢ় বাদামি চোখের মণিতে স্পষ্টভাবে ভেসে আছে তার অনিয়ন্ত্রিত আত্মসংযম। গলার স্বর অত্যাধিক ভারি, রূঢ়, কর্কশ। বাইরে মেঘ ডেকে উঠল, রুমের ভেতরে হৃদ প্রথমবারের মতো কোনো মেয়ের সামনে নত হলো। কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলল,
-“তোমাকে উপেক্ষা করা আমার সাধ্যের বাইরে, সন্ধ্যা…”