বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ২১

বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ২১
shanta moni

‘‘শুভ্র গাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসে। গাড়ি সামনে একটা ময়লা কাপড় পড়া মধ্য বয়স্ক মহিলা পড়ে আছে৷ আশে পাশে লোকরা তাকিয়ে আছে৷ কেউ এগিয়ে আসছে না, মহিলাটির মাথা থেকে রক্ত পড়ছে। হটাৎ একটা মেয়ে দৌড়ে আসে। মেয়েটা এসে মহিলার মাথা কোলের উপর নিয়ে ডাকতে থাকে। আন্টি কি হয়েছে কথা বলুন, শুভ্র মহিলাকে কোলে করে নিয়ে গাড়িতে বসায় রক্তের কারনে মুখটা দেখা যাচ্ছে না। ভালো করে, শুভ্র মহিলাকে কোলে করে নিয়ে হসপিটালে নিয়ে যায়৷ সাথে সেই অচেনা মেয়েটিও যায়।

দুইঘন্টা পর..🍁
শুভ্র হসপিটালের করিডরে দাঁড়িয়ে আছে।
ড্ররাইভারকে গাড়ি নিয়ে রোমানকে এয়ারপোর্টে থেকে রিসিভ করতে পাঠিয়েছে।
হটাৎ ডাক্তার কেবিন থেকে বের হয়। শুভ্রের সাথে কথা বলে।
ডক্টর : মিস্টার শুভ্র ওনা জ্ঞান ফিরবে কবে সেটা আমরা ঠিক বলতে পারবো না। ওনার মাথার আঘাতটা খুব গভীর, আর এর আগেও মনে হয় মাথায় আঘাত পেয়ে ছিলো।
আমরা কিছু টেস্ট দিছি। সেই গুলো আসলেই বলতে পারবো।
ডাক্তার এই বলে চলে যায়। শুভ্র পাশে একটা ১৮, ১৯ বছর বয়সি মেয়ে বসে আছে।
গায়ের রঙ শ্যামবর্ন, পুড়নো একটা থ্রি পিস পড়া। বার বার চোখের পানি মুছতে আছে।
শুভ্র মেয়েটার সামনে এসে দাঁড়ায়। গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠে›
শুভ্র: এই মেয়ে তোমার নাম কি?
মেয়েটা সামনে তাকিয়ে আস্তে করে বলে→রিমা
শুভ্র পুনরায় আবার বলে উঠে››
শুভ্র: ওহ, শোনো রিমা তুমি এই উনার খেয়াল রেখো, আর এই নাও, কিছুটা টাকা এই গুলো রাখো। আর হ্যা ওনার জ্ঞান ফিরলে আমাকে খবর দিও, ডক্টর কাছে বলেই হবে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

শুভ্র কথা গুলো বলে আর দাঁড়ায় না। বেড় হয়ে আসে হসপিটাল থেকে, হসপিটালের বাহিরে এসে ফোন লাগায় রোমান কে,
রোমান তো রেগে লাল হয়ে আছে..শুভ্র হসপিটালের ঠিকানা বলে। আর সেখান থেকে তাকে সাথে করে নিয়ে যেতে বলে।
ড্ররাইবার এসে গাড়ি থামায় শুভ্রের কিছুটা সামনে, শুভ্র গাড়ির দরজা খুলে গাড়ির ভিতরে বসে রোমান মুখ ফিরিয়ে অন্য দিকে বসে আসে! আসলে সে এ্যাক্সসিন্ডেট কথা জানে না। শুভ্র রোমানকে সব টা খুলে বলে। সবটা শুনে রোমান আর রাগ করে থাকতে পারে না। শুভ্রকে গাড়িতে বসে থাকা অবস্থায়
রোমান হাক করে।
শুভ্র ড্ররাইভারকে উদ্দেশ্য করে বলে..
শুভ্র: চাচা আপনি আমাদের গেস্ট হাউজ নিয়ে যান।
রোমান ভ্রু কুচকে বলে

রোমান: হোয়াট? কি বলছিস হ্যা, গেস্ট হাউজ যাবো মানে?
শুভ্র: মানে আবার কি? গেস্ট হাউজে থাকবো তুই আর আমি।
রোমান: নো নো নো, আমি এতো দূর থেকে কি তোর গেস্ট হাউজে থাকতে এসেছি। আমাকে তোদের চৌধুরী ভিলায় নিয়ে চল। আমি তোর ফ্যামেলির সবার সাথে দেখা করবো। আর তা যদি না পারিস তো আমাকে৷ এখানেই নামিয়ে দে, আমি কোনো হোটেল বুক করে নিব।
শুভ্র রোমানের দিকে তীক্ষ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
রোমান একটু ভাব নিয়ে বলে..
রোমান: আমি অনেক সুন্দর জানি আমি, এভাবে দেখার কিছুই নেই।

শুভ্র কিছুই বলে না। চোখ ফিরিয়ে নেয়, অন্য দিকে, প্রায় এক ঘন্টা পর গাড়ি এসে থামে চৌধুরী বাড়ির সামনে।
গাড়ি থেকে নামে শুভ্র আর রোমান বাড়ির চার’পাশ সুন্দর করে ঘুরে ঘুরে দেখছে রোমান। এতো বছর পর এই বাড়িতে এসেছে। বাড়ির ভিতরে ডুকে, হেনা বেগম সিঁড়ি দিয়ে নামছিলো, রোমান দৌড়ে গিয়ে হেনা বেগম কে কোলে নিয়ে ঘুরাতে থাকে, আচমকা এমন হওয়াতে, হেনা বেগম কিছুটা
ভরকে যায়। রোমান হাঁসতে হাঁসতে বলে..
রোমান : ডার্লিং তোমাকে আমি অনেক মিস করেছি, Love you বেবি।
রোমান হেনা বেগমকে নামিয়ে দেয়,
হেনা বেগম রোমানকে দেখে অনেকটা খুশি হয়, কতদিন পর ছেলেটাকে দেখলো,

রোমানের মা’বাবা নেই, ছোট বেলায় একটা কার অ্যাক্সিডেন্ট মারা যায়, মামা মামির কাছেই তার বড় হয়ে ওঠা, শুভ্রের ছোট বেলার বন্ধু খুব ক্লোজ ফেন্ড তারা, দুজন এক সাথে পড়াশোনা জন্য বিদেশ যায়। একসাথে দেশে ফেরার কথা ছিলো, কিন্তু রোমানের নিজের বিজনেস একটু প্রবলেম হয়। সেই জন্য তাকে এক মাস পর দেশে ফিরতে হয়। শুভ্র অয়ন রোমান এক সাথে বিদেশ গেলেও, নিলয় বিদেশ যায়, দুই বছর পর।কারন শুভ্র অয়ন রোমান সমবয়সি হলেও নিলয় সবার থেকে ছোট আর দুষ্ট,

হেনা বেগম অনেক খুশি আজ তার পরিবার পরিপূর্ণ, তবে রুহির কথা মনে পড়তেই মুখ কালো হয়ে যায়,তার আদরের রুহিকে সে সাত বছর ধরে দেখে না৷ শুভ্র কোন হোস্টেল রেখে গেছে, তাও জানে না, আরাফ চৌধুরী কে দিয়ে অনেক খোঁজ লাগিয়েছে কিন্তু কোনো খবরই পাইনি৷ শুভ্রকেও অনেক জোর করেছে কিন্তু সে বলেনি,
হেনা বেগম রোমানের সাথে কথা বলে ফ্রেশ হতে উপরে পাঠিয়ে দেয়৷ সে চলে যায় রান্না ঘরে,

এখন বিকেল ৪:০০টা.
রোমান শুভ্রের রুমে বেডের উপর শুয়ে আছে, শুয়ে শুয়ে ফোন ঘাঁটছে। কিছুটা বিরক্ত হয়ে ফোট টা বিছানার উপর ছুড়ে ফেলে, শুভ্র দিকে আড় চোখে তাকায়, শুভ্র মনোযোগ দিয়ে ল্যাপটকে কিছু একটা করছে, রোমান গলা খাকারি দিয়ে বলে..
রোমান: আরে ভাই এইভাবে কতোক্ষন শুয়ে বসে থাকবো চল ছাদ থেকে ঘুরে আসি। শুভ্র ল্যাপটপে থেকে চোখ সরিয়ে রোমানের দিকে তাকায় তাঁরপর বলে।
শুভ্র: তুই যা আমি পাঁচ মিনিট আসছি।
রোমান বেড থেকে উঠে রুম থেকে বের হতে হতে বলে..!
রোমান: তাড়াতাড়ি আয় ইয়ার।
তাঁরপর চলে যায়, ছাদে
রোমান ছাদে এসে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে,
ছাদের এক কোনে এক রমনী দাঁড়িয়ে আছে,

কোমর অবধি চুল গুলো খোলা বাতাসে দোল খাচ্ছে। পিছন দিকটা দেখা যাচ্ছে। ২৭ বছর বয়সে প্রথম বার ক্রাশ নামক বাশ টা খেলো।
রোমান ডেকে উঠে..
রোমান: এই মেয়ে কে তুমি?
রোদ হটাৎ কারো ডাক শুনে পেছন ফিরে তাকায়,,
রোদকে দেখে তার ক্রাশ টা বাশ হতে বেশিক্ষন সময় লাগলো না ৷ কতো কিছুই না ভেবে ছিলো। যে এই লম্বা চুলওয়ালির সাথে প্রেম করবে। প্রেম করার আগেই ছ্যাকা খেলো।
এটা তো তার প্রান প্রিয় বন্ধুর একমাত্র বউ।
নিজের মনকে মনে মনে শান্তনা দিল রোমান। যে এর থেকেও সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করবে সে।
হাঁসি হাঁসি মুখ নিয়ে রোদের সামনে দাঁড়ায় রোমান রোদকে উদ্দেশ্য করে বলে…!
রোমান: ভাবি কেমন আছেন?
রোদ কিছুটা অবাক হয়। এদিক ওদিক তাকাই কথাটা কি তাকেই বলছে, চেনা নেই জানা নেই। হুট করে এসেই ভাবি ডাকছে।

রোমান দাঁত কেলিয়ে হেঁসে বলে।
রোমান: আপনাকেই বলছি ভাবি।
এখানে তো আপনি ছাড়া কেউ নেই।
রোদ কিছু অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
রোমান কিছুটা একটা বলতে যাবে। এমন সময় ছাদে শুভ্র আসে।
শুভ্রকে রোমান ডাক দেয়। সাথে সাথে সামনের দিকে তাকায় রোদ,
চোখাচোখি হয়৷ শুভ্র আর রোদের রোদ চোখ নামিয়ে তাড়াতাড়ি ছাদ থেকে যেতে নেয়।
এমন সময় রোমান বলে উঠে,
রোমান: ভাবি আপনি কোথায় যাচ্ছেন। আপনার সাথে তো কথায় হলো না।
রোমানের কথা শুনে রোদের পা থেমে যায়।
তাঁরপর আর চোখে তাকায় শুভ্রের দিকে
শুভ্র রোদের দিকেই তাকিয়ে আছে। শুভ্রের দৃষ্টি স্থির।
রোদ আর দাঁড়ায় না। তাড়াতাড়ি ছাদ থেকে চলে আসে।

এতোদিন রোদ নিজেকে রুমের ভিতরে বন্ধি করে রাখে। হেনা বেগম অনেক বার জিজ্ঞেস করছিল। কিছু হয়েছে কিনা, কিন্তু রোদ বার বার কথা এরিয়ে গেছে।
নিজের মনকে অনেক বুঝিয়েছে, আর সে দুর্বল হবে না। আর না শুভ্রের সামনে যাবে কখনো। শুভ্র যে বাড়িতে আসছে। সেটা জানে না রোদ, তাই কিছুটা সময় কাটাতে ছাদে এসেছিল। কিন্তু আবার দেখা হয়ে যাবে ভাবেনি।
রোদকে চলে যেতে দেখে, কিছুটা বিরক্ত হয় শুভ্র” এক সপ্তাহের বেশি হবে এই মেয়েকে দেখেনি সে, আগে একবার দুইবার হলেও চোখে পড়তো। কিন্তু সেদিন রাতের পর থেকে একটা বারের জন্য দেখেনি।
কেমন যেনো হয়ে গেছে ।
ফর্সা মুখটা ফেকাসে লাগছে।
চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে গেছে।
শুভ্র নিজের মনে মনে বিরক্ত হয়। সে কেনো এই মেয়ের কথা চিন্তা করছে।
শুভ্র ধীর পায়ে হেঁটে রোমানের সামনে যায়।
রোমান এতোক্ষণ সব কিছুই দেখছিল।
রোমান শুভ্রকে উদ্দেশ্য করে বলে।
রোমান: ভালোবাসিস।

শুভ্র ভ্রু কুচকে তাকায় তারপর বলে
শুভ্র: হোয়াট? ভালোবাসা তাও আবার এই মেয়ের প্রতি কখনোই না।
রোমান মুচকি হাঁসে পুনরায় শুভ্রকে উদ্দেশ্য করে বলে।
রোমান: যতই তুই বলিস ভালোবাসিস না।
এটা আমার বিশ্বাস হয়’না। কারন আমি নিজেই তোর চোখে রোদের জন্য গভীর ভালোবাসা দেখেছি।
শোন শুভ্র এখনো সময় আছে। নিজের ভালোবাসার মূল্য দে। পড়ে তা না হলে আফসোস করবি। সময় থাকতে বোঝ।
শুভ্র গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠে।
শুভ্র: তোর ধারনা ভুল ওই মেয়ের প্রতি আমার কেনো ভালোবাসা নেই। আর তুই তো সব জানিস। তাহলে কেনো এই সব বলছিস।

রোমান: জানি বলেই তো বলছি। যে সময় থাকতে নিজের প্রিয় মানুষটাকে কাছে টেনে নে।
“দেখ আমরা সব সময় চোখের সামনে যেটা দেখি৷ তা কখনো কখনো সত্যি হয় না। এমন তো হতে পারে তোর ধারনা তুই যা দেখছিস সব ভুল।
শুভ্র: কখনোই না, আমি ওকে কখনোই সুখী হতে দিব না। আর আমার ধারনা না, আমি প্রমান দেখেছি।আর ওই মেয়েকে সারাজীবন কষ্ট থাকতে হবে । আর আমি কখনো নিজের কাছে টানবো না । আর ওর মতো মেয়ে প্রতি আমার কোনো ভালোবাসা নেই। তুই ভুল ভাবছিস।
রোমান আবার হাঁসে,,শুভ্রের দিকে তাকিয়ে বলে উঠে
রোমান: জানিস তো যখন প্রিয় মানুষ’টা হারিয়ে যায়৷ আমাদের জীবন থেকে তখনি আমরা তার মর্ম বুঝি, তার আগে না তাকে গুরুত্ব দেই, না সম্মান, না ভালোবাসি।
শুভ্র বিরক্ত হয়ে রোমানকে ব্যাঙ্গ করে বলে…!

শুভ্র: বাহ ভালোই তো জ্ঞান দিতে পারিস। প্রতিটা কথায় কবি কবি ভাব আছে।
বিজনেস ছেড়ে কবিতা লিখা শুরু কর।
রোমান হেঁসে দেয়, শুভ্রের কাঁধে হাত
দিয়ে বলে।
রোমান: তা না হলে আমি কবি হলাম সমস্যা নেই। তবে তুই একটা কাজ কর, তুই রোদকে ছেড়ে দে। আমি রোদকে বিয়ে করি। তাঁরপর দিনে দুপুরে সারাক্ষণ রোদকে সামনে বসিয়ে রাখবো আর দেখবো,কবিতা লিখবো।
শুভ্র চোখ রক্তিম হয়ে যায়। রাগে চোয়াল শক্ত করে ফেলে।
রোমান মুচকি হাঁসে, পুনরায় শুভকে উদ্দেশ্য করে বলে।
রোমান: দেখ আমার কোনো সমস্যা নেই। রোদকে বিয়ে করতে, রোদের মতো সুন্দরী মেয়েকে বিয়ে করতে কে না চাইবে।

তুই রোদকে অযত্নে অবহেলায় রাখতে পারিস। তবে আমি রাখবো না। আমার কাছে রাজরানি হয়ে থাকবে।
শুভ্র রেগে রোমানের শার্টের কর্লাট চেপে ধরে, রাগে দাঁত কটমট করে বলে।
শুভ্র: আজ এই কথা মুখে এনেছিস। এরপর থেকে যদি এই সব বলিস। তো ভুলে যাব, তুই কে,
রোমান শুভ্রের কথায় বা কর্লাট ধরাই রাগ করে না,বরং মুচকি হেঁসে বলে।
রোমান: এই টুকু কথাই সহ্য করতে পারছিস না। তাঁরপর এতোদিন যা যা করলি, এই গুলো কি বুঝায় না, তুই রোদকে ভালোবাসিস। আচ্ছা বাদ দে তুই তো রোদকে ভালোবাসিস না, তাহলে রোদ যার হোক, তাতে তোর এতো জ্বলছে কেনো।

শুভ্র হাত রোমানের শার্টের কর্লাট থেকে সরে যায়। কিছু না বলেই ধব ধব পা ফেলে ছাদ থেকে চলে যায়৷ সে কি বা বলবে তার নিজের কাছেই এই প্রশ্নের উত্তর নেই।
এখন সময় সকাল ৮:০০
ঘুম থেকে উঠে, সকাল সকাল বাড়ির সামনে রাস্তায় হাঁটা হাঁটি করছিল রোমান।
এমন সময় ফোনে কল আসায় কথা বলছিল।
আর হাঁটছিল।

বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ২০

হটাৎ কারো সাথে ধাক্কা খায়। পড়ে যেতে নিয়ে নিজেকে সামলে নেয়। কিন্তু ওপর পাশের ব্যক্তি হয়তো পড়ে গেছে।
সামনে দিকে তাকাতেই অবাক হয়, রোমান
একটা মেয়ে পড়ে আছে নিচে, হাত বাড়িয়ে দেয়। উঠার জন্য কিন্তু মেয়েটা হাত জামটা দিয়ে ধুরে সরিয়ে দেয়। নিজে নিজে উঠে দাঁড়ায়।
রোমানে সামনে উঠে দাঁড়িয়ে হাত উচিয়ে বলে…!

বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ২২

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here