মন্ত্রী বর যখন চাচাতো ভাই পর্ব ১৬

মন্ত্রী বর যখন চাচাতো ভাই পর্ব ১৬
সৌরভ চৌধুরী

ইন্ডিয়ার RAW এর বাংলাদেশের স্টেশন চিফ হলো শিশির কাদের খান অরুফে আরুপ দাশ।
আবরাজের মুখ থেকে এমন কথা শুনে উপস্থিত সকল তরুণ অফিসাররা অবাক হয়ে গেলো।
নিজেদের স্বাভাবিক করে সবাই রেগে গেলো।
মেজর আদ্রিয়ান রাগান্বিত স্বরে বলল,

আদ্রিয়ান ____ ভাই এই কুলাঙ্গারের বাচ্চা যদি RAW এর স্টেশন চিফ হয় তাহলে ও দেশের এত বড় জায়গায় কীভাবে এলো?
আদ্রিয়ানের কথায় আবরাজ মুচকি হাসলো, এরপর শিশির কাদের উদ্দেশ্যে বলল,
আবরাজ ____ বল শুনি তোদের ইতিহাস, তোরা কীভাবে এ দেশে তোদের ঘাটি এতটা শক্তিশালী করলি? তুই কীভাবে জাতীয় রাজনীতিতে আসলি?
আবরাজের কথা শুনেও শিশির কাদের কিছু বলল না,
আবরাজ একবার সকল অফিসারদের দিকে তাকালো, দেখতে পেলো ওদের চোখ রক্তের মতো লাল হয়ে আছে,
দেশের সাথে বেইমানী তরুন অফিসাররা মানতে পারতেছে না,
শিশির কাদের কিছু বলছে না দেখে আবরাজ বিদ্রুপের সাথে বলল,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আবরাজ ____ এমন হলে কেমন হয় যে আমি একটি ফোন করলাম আর ক্যালিফোনিয়ায় থাকা তোর মেয়ে ঝিলমিল শেষ হয়ে গেলো। তখন কেমন লাগবে তোর.?
আবরাজ তির্যক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে শিশির কাদেরের দিকে। আবরাজের মুখে এমন কথা শুনে শিশির কাদেরের কপালে চিন্তার ভাজ পরলো।
সে ভাবতেও পারতেছে না এই ছেলে কীভাবে তার মেয়ে পর্যন্ত পৌঁছে গেলো।
শিশির ___ তুই কীভাবে আমার মেয়ের খোঁজ পেলি?
আবরাজ ____ বাংলাদেশ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা মেয়ের কাছে পাচার করেছিস আর আমি তোর মেয়ের খবর পাবো না। ভাবলি কি করে!
ইনফেক্ট তোর মেয়ে এখন আমার লোকের কাছে বন্দি।
এবার সব বলবি নাকি তোর পুরো পরিবার কে শেষ করে দিবো।

শিশির _____ না না প্লিজ এরকম কিছু করিস না। বল তুই কি জানতে চাস আমি সব বলবো।
শিশিরের মুখে এমন কথা শুনে আবরাজ আয়েস করে বসলো,
এরপর বলল,
আবরাজ ____ তোদের ইতিহাস বল তোরা কিভাবে এদেশের জাতীয় রাজনীতিতে আসলি?
শিশির একটু চুপ থাকলো তারপর কিছু ভেবে বলতে শুরু করলো,
শিশির _____ সময়টা ১৯৭১ সাল,
বাংলাদেশ তখন সদ্য স্বাধীন একটি দেশ।
এর আগে থেকেই আমার দাদা এ দেশে ব্যবসা করত।
আমার বাবা তখন র এর সবথেকে তরুণ মেধাবী অফিসার। তখনকার র এর চিফ রামেশ্বর নাথ কাও এর অত্যন্ত বিশ্বস্ত একজন অফিসার ছিল আমার বাবা।

দাদা এদেশে ব্যবসা করায় বাবাও অবাধ বিচরণ করতো এদেশের প্রত্যেকটি জায়গায়। এই বিচরণের জন্যই মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের অনেক তথ্য র এর হাতে যেত।
যাইহোক যুদ্ধের পরে বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হলো তখন প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এর উপর নজর রাখার জন্য বাবাকে বাংলাদেশের র এর স্টেশন চিফ করা হলো।
এই খবর পাওয়ার দুই দিনের মাথায় হঠাৎ করে আমার দাদা মৃত্যুবরণ করলো।
আমাদের পরিবারের উপর শোকের ছায়া নেমে এলো। যেহেতু বাবা দাদার একমাত্র ছেলে ছিল তাই দাদার ব্যবসা দেখার জন্য এবং বাংলাদেশের র এর শক্ত ঘাঁটি তৈরি করার জন্য সপরিবারে বাংলাদেশে চলে এলো।
এরপর বাবা ব্যবসা শুরু করলো এবং বাংলাদেশের বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোতে ফান্ডিং করত।
কিন্তু কেউ জানতো না আমার বাবা একজন র এর এজেন্ট।

এভাবেই শুরু আমাদের পরিবারের জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশ মূলত এই সিদ্ধান্তটা ছিল তৎকালীন র এর চিফ রামেশ্বর নাথ কাও এবং তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী কৃষ্ণ চন্দ্র পান্ত এর যৌথ সিদ্ধান্ত।
আমিও বাংলাদেশে থাকার সুবাদে ঢাকা কলেজে ভর্তি হলাম। ঢাকা কলেজ থেকে আমার লেখাপড়া শেষ করলাম। উচ্চশিক্ষার জন্য চলে গেলাম ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়।
তবে ছোট থেকেই আমরা জানতাম আমরা কোনো মুসলিম ঘরের সন্তান নয়। আমাদের পূর্বপুরুষ এবং আমরা সবাই সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী অর্থাৎ আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক।
এবং এটাও জানতাম আমার বাবা যে র এর স্টেশন চিফ।
তো ব্যাঙ্গালোরে তে যখন পড়তে গেলাম তখন র এর সাথে যোগাযোগ হলো। আমিও এজেন্ট হতে আগ্রহ প্রকাশ করলাম।

বাবার পরিচয়, বিশ্বস্ততা, দেশের প্রতি ভালোবাসা কথা চিন্তা করে আমাকেও র এর সদস্য বানানো হলো।
এভাবেই চলল দিন,
আমিও লেখাপড়া শেষ করে বাংলাদেশে ফিরলাম।
বাংলাদেশের ফিরে যোগ দিলাম রাজনীতিতে।
বাবার ফান্ডিং এর কারণে এবং দলনেত্রীর অসুস্থতার কারণে আমি খুব দ্রুত দলের ভেতরে একটা প্রভাব সৃষ্টি করলাম।
এভাবে চলল আমার রাজনৈতিক জীবন। এরপর হঠাৎ করে বাবার মৃত্যু। র এর চিফ পারাগ জেইন এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সিদ্ধান্তে আমাকে বাংলাদেশের স্টেশন চিফ করা হয়।
এতটুকু বলেই শেষ করল শিশির কাদের খান অরূফে অরূপ দাস।

আবরাজ___ তা না হয় বুঝলাম তো তোর বিয়ের কাহিনী টুকু বল শুনি?
শিশির___ আমি মূলত ইন্ডিয়াতে লেখাপড়া করা অবস্থায় র এর আরেক এজেন্ট মৃত্তিকা কাপুর এর প্রেমে পড়ি।
দুই পরিবারের সম্মতিতে আমাদের বিয়ে হয় কিন্তু বিষয়টা লুকানো থাকে।
সবকিছু ঠিক থাকলেও আমি দেশে ফিরে আসার পরে হয় বিপত্তি তখনকার ক্ষমতাসীন দল মুজিব লীগের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইকরামুল হক এর মেয়ে আমার প্রেমে পরে যায়।
র এর চিফের অনুমতিতে আমাকে বিয়ে করতে হয়। তবে এটা যে সাজানো বিয়ে ছিল তা আমরা সবাই জানতাম শুধু বাংলাদেশের কেউ জানতো না।

এভাবেই চলে আমরা যখন ক্ষমতায় আসলাম তখন হঠাৎ আমার দ্বিতীয় স্ত্রী কিছুটা সন্দেহ করে। সে হয়তো বুঝে গিয়েছিল আমি কে? আমার আরেকটি পরিবার রয়েছে? আমি মুসলিম নয়? আমার ছেলে মেয়ে ও রয়েছে।
আমি বিষয়টা যখন বুঝতে পারি তখন আমার লোকদের দিয়ে তাকে অ্যাক্সিডেন্ট করিয়ে শেষ করে দিই।
কথাটি বলে শিশির থেমে গেল।

আবরাজ তাকিয়ে দেখলো শিশিরে চোখে মুখে কোথাও অপরাধবোধ নেই। আছে শুধু দুশ্চিন্তা হয়তো তার আপন পরিবার বা নিজের জীবন নিয়ে। অথচ সে এত এত পরিবারকে শেষ করে দিয়েছে? একটা মেয়ের সাথে প্রতারণা করেছে পরবর্তীতে তাকে খুন করেছে। অথচ তার এসব নিয়ে কোন অনুশোচনা নেই। এমনও মানুষ হয়!!
হয়তো হয় না হলে এর মতো কুলাঙ্গার জানোয়ার কিভাবে এই পৃথিবীতে আসতো।
শিশিরের কথা শেষ হতে এবার কাউকে কোন কথা বলতে না দিয়ে রেহেনা চৌধুরী ঘৃণিত স্বরে প্রশ্ন করলো,
মা______ আমার শ্বশুর, আমার চাচা শ্বশুর এবং আয়মানকে কেন খুন করলি? এতে তোদের কোন স্বার্থ জড়িত ছিল?
শিশির একবার রেহেনা চৌধুরীর রাগান্বিত চোখের দিকে তাকালো, হয়তো ওই চোখে কিছু ছিল তা দেখে শিশির তপ তপ করে ঘামতে শুরু করল,

শিশির______ আপনার শ্বশুর ছিল একজন সৎ পুলিশ অফিসার সে আমার ব্যাপারে আমার ব্যবসার ব্যাপারে অনেক তথ্য জেনে গিয়েছিল। আমার কিছু লোক কে ও চিনে গিয়েছিল তাই বাধ্য হয়ে তাকে শেষ করে দিতে হয়েছে।
আর আপনার চাচা শ্বশুর আমার র এর সম্পর্কে অনেক তথ্য হাতে পেয়েছিল জানিনা সে কোথায় পেয়েছিল হয়তো কোন এক ভাবে পেয়েছিল।
যদি এ তথ্যটা বাহিরে লিক হতো তাহলে র এর জন্য বিপদ ঘনিয়ে আসতো।
তাই তাকেও শেষ করে দিতে হয়েছে।

এনাদের দুইজনের চেয়ে আরো ভয়ঙ্কর ছিল আয়মান চৌধুরী। আমরা তো কেউই জানতাম না সে গোয়েন্দা সংস্থার লোক। সে আমাদের ব্যাপারে আমাদের র এর স্টেশনের আন্ডারে যত লোক ছিল প্রায় সকলের বিরুদ্ধে প্রমাণ রেডি করেছিল। আমরা আজও জানিনা সেই প্রমাণ গুলো কোথায়।
আয়মান চৌধুরী আমার লোককে প্রমাণটি দিলেও সে ছিল অতি ধুরন্ধর একজন লোক সে তার কাছেও এক কপি প্রমাণ রেখেছিল।

সেখানে আমাদের সকল লোকজনের সকল বায়োডাটা রয়েছে।
যদি কোন ভাবে এটা লিক হয় তাহলে বাংলাদেশের র এর মিশন একদম শেষ হয়ে যাবে।
তাই খুবই প্লান করে তাকেও শেষ করে দেওয়া হয়েছে।
মেজর আসফিন এগিয়ে এলো,
মেজর জেনারেল, ডিজি, আইজিপি, ডেপুটি ডিরেক্টর এর দিকে তাকিয়ে ঘৃণা ভরা কন্ঠে বলল,

আশফিন_____ বুঝলাম সে না হয় এদেশের নাগরিক নয় বা এদেশের সন্তান নয়। সে তার বুকে ইন্ডিয়া কে লালন করে। কিন্তু আপনারা ,আপনারা তো এ দেশের নাগরিক। টাকাই কি সব, দেখেন আপনারা কি করেছেন এই টাকার জন্য আপনারা আমাদের দেশকে কাদের কাছে বিক্রি করেছে।
মেজর আসফিনের মুখ থেকে এমন কথা শুনে সবাই মাথা নিচু করে নিল। তাদের চোখে মুখে অসহায়ত্ব, অপরাধবোধ।
আজ হয়ত তারা তাদের ভুলগুলো বুঝতে পেরেছে, এতদিন টাকার নেশায় ক্ষমতার নেশায় তারা কত অপরাধ করেছে আজ হয়তো তারা সবকিছু উপলব্ধি করতে পারছে।
আজ উপলব্ধি করে কি হবে। আজ উপলব্ধি করলে তো দেশের বীর সৈনিক আয়মান চৌধুরী ফিরে আসবে না, ফিরে আসবে না তারা ক্ষমতার জন্য যাদের হত্যা করেছে, তাহলে আর সেই অপরাধবোধ দিয়ে কি হবে?

আবরাজ___ মা চাচ্চুকে সরাসরি হত্যা করেছে তাকে দেখতে চাও না?
রেহেনা চৌধুরী রক্ত চক্ষু নিয়ে তাকিয়ে রাগান্বিত স্বরে বলল,
মা___ কে সে জানোয়ার যে আমার আয়মান কে এতটা কষ্ট দিয়ে মেরেছে?
আবরাজ হাত দিয়ে ইশারা করে দেখায় থাকা শহরের মাফিয়া কিং আলী ভাইকে।
রেহেনা চৌধুরী একবার আলী ভাইয়ের দিকে তাকালো এরপর রাগান্বিত স্বরে আবরাজ কে বলল,
মা ____ আবরাজ ও এখনো কেন এতটা সুস্থ আছে? ওর ওই সুস্থতা আমার চোখে জ্বালা তৈরি করছে। আমি ওর সুস্থতা দেখতে পারতেছি না? তুই যেহেতু আমাকে রক্ত লাগাতে দিবি না, আমি চাই তুই নিজ হাতে আমার চোখের সামনে ওকে শেষ করে দিবি?

রেহেনা চৌধুরীর কথা শুনে আবরাজ রহস্যময় হাসি দিল,
রাফা চৌধুরী ভাতিজার দিকে তাকিয়ে দেখতে পেল ভাতিজার ঠোঁটে রহস্যময় হাসি,
রাফা চৌধুরী ভাতিজার মুখে এমন হাসি দেখে তিনি নিজেও বাঁকা হাসলো,
সে তো জানে তার ভাতিজা কতটা সাইকো, তার মা এটা সহ্য করবে পারবে কিনা এটা ভেবেই আবরাজ এতক্ষণ চুপ ছিল।
আজকে ভাতিজার ধৈর্য দেখে সত্যিই রাফা চৌধুরী অবাক হয়েছে।
এখন যখন মায়ের থেকে অনুমতি পেয়েছে তাহলে সে যে আজ কতটা সাইকো হবে তা ভেবে বাঁকা হাসি দিল রাফা চৌধুরী।
আবরাজ হুংকার দিয়ে ডেভিড কে ডাকলো এরপর বলল,

আবরাজ_____ ডেভিড আমার সকল যন্ত্রপাতি আনো আর আমার প্রিয় পিরানহা গুলো কে খাবার দাও নি তো?
ডেভিড তৎক্ষণাৎ উত্তর দিল,
ডেভিড______ না বস আপনি নিজ হাতে তাদের খাবার দিবেন বলেছেন তাই আজ আর তাদের খাবার দেওয়া হয়নি।
কথাটি বলে ডেভিড আবরাজের সকল যন্ত্র এনে দিল যা দিয়ে সে টর্চার করে নির্মমভাবে।
আবরাজ ব্যাগ থেকে লেজারবিন বের করল,
এরপর আলী ভাই এর উদ্দেশ্যে বলল,
আবরাজ___ আমার চাচ্চু কে যেন কিভাবে মেরেছিলি? ওর হাত দিয়ে গাড়ি চালিয়েছিস আমার চাচ্চুর উপর দিয়ে একটু দেখা সে হাত।
আবরাজ এর মুখ থেকে এমন কথা শুনে আলী ভাইয়ের হাত কাঁপা শুরু করল।
আলী ভাই অনুনয়ের সুরে বলল,

আলী ভাই ______ ভাই ভাই আমাকে মাফ করে দেন। আমি এরপর থেকে ভালো হয়ে যাব। প্লিজ আমাকে মাফ করে দেন। আমার জীবন ভিক্ষা দেন।
( করুন কন্ঠে আলী ভাই বলল)
আলী ভাইয়ের মুখ থেকে এমন কথা শুনে রেহেনা চৌধুরী চোখ বন্ধ করে দিল যেন সে অনেকদিন পরে শান্তিতে নিশ্বাস নিতে পারছে।
রেহেনা চৌধুরী আবরাজের উদ্দেশ্যে বলল,

মা______ অবরাজ আমি আরো শান্তি চাই আমি আরো শান্তি চাই। আমি শান্তি নিশ্বাস নিতে চাই। এই রুমের প্রত্যেকটি কোনার বায়ু কার্বন ডাই অক্সাইডে ভরা। আমি চাই তুই খুব দ্রুত এই কার্বনডাই-অক্সাইড কে তার নিজস্ব জায়গা দেখিয়ে দে।
মায়ের মুখ থেকে এমন কথা শুনে আবরাজ যেন আরো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলো।
কোন কথা না বলে, আলী ভাইয়ের কাঁপাকাঁপা হাতের দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসি দিল,
এরপর হাতে থাকা লেজার বিন টি আলী ভাইয়ের বাম হাত, পরবর্তীতে ডান হাত বরাবর মেরে দিল।
লেজারবিনের মধ্যে থেকে আলোক রশ্মি বের হলো এবং চোখের পলকেই আলী ভাইয়ের দুই হাত তার শরীর থেকে আলাদা হয়ে গেল।

আকস্মিক এই ঘটনায় রুমের সবাই হতভম্ব হয়ে গেল।
কিন্তু নির্বিকার হয়ে দাঁড়িয়ে আছে রাফা চৌধুরী, আরহাম, আবরার, ডেভিড,এলেক্স।
আবরাজ তার ব্যাগ থেকে কাটিং প্লাস বের করল এরপর একের পর এক আরে ভাইয়ের নখ উপরে ফেলতে লাগলো।
ভাইয়ের এমন রূপ দেখে আরহাম, আবরার আর থাকতে পারল না তারাও যোগ হলো।
একের পর এক আলী ভাইয়ের শরীরে আঘাত করতে লাগলো এবং তাতে মরিচের গুঁড়া লাগাতে লাগলো।
আলী ভাই চিৎকার করতে লাগলো, প্রাণ ভিক্ষা চাইলো কিন্তু কিছুতেই কিছু হলো না।
যত সময় যাচ্ছে চৌধুরী বাড়ির তিন ছেলে আরো ভয়ংকর হয়ে উঠছে।
রেহেনা চৌধুরি অবাক হয়ে তার ছেলেদের কর্মকাণ্ড দেখছে। তবে তাদের আটকাচ্ছে না। আজ যেন সে নিজেও শান্তি পাচ্ছে।

ছেলেদের এই ভয়ঙ্কর রূপ আজ যেন তাকে নতুন এক রূপের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিল।
সব সময় আইন দিয়ে বিচার করা মানুষটিও আজ আইনের বাহিরে গিয়ে বিচার করছেন। নিজের ছেলেদের ই বলেছেন আইন নিজ হাতে তুলে নিতে।
আলী ভাই আর সহ্য করতে না পেরে জ্ঞান হারায়।
ডেভিড আলী ভাইকে পানি ছিটিয়ে অনেক কষ্টে জ্ঞান ফেরায়,

আবরাজ__ তুই জ্ঞান হারলে কিভাবে হবে বল? আমার বহুদিনের ইচ্ছা। তোর সামনে তোর শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ আমি একটা একটা করে কাটবো, পিস পিস করে আমার পোষা পিরানহাকে খাওয়াবো।
আবরাজের মুখ থেকে এমন কথা শুনে আলী ভাই এর ভয়ে অন্তর আত্মা কেঁপে উঠলো।
আলী ভাই এর দিকে এবার না তাকিয়ে আলী ভাই এর শরীর থেকে আলাদা করা হাতগুলো কসাই এর মতো টুকরো টুকরো করতে লাগলো চৌধুরী বাড়ির ৩ ছেলে।
আবরাজের ইশারা পেতেই ডেভিড সুইচ টিপ দিলো, ডেভিড সুইচ টিপ দিতেই দৃশ্যমান হলো একটা পুকুর।
যে পুকুর ভয়ংকর পিরানহা মাছে ভড়া।
আলী ভাই এর হাতের টুকরো টুকরো করা অংশগুলো চৌধুরী বাড়ির ৩ ছেলে পিরানহা মাছের পুকুরে ছুঁড়ে দিলো।
আলী ভাই সহ সবাই নিজ চোখে পিরানহা মাছের ভয়ংকর স্বভাবটি দেখলো।

আরহাম _____আবরাজ এরকম করে মজা পাচ্ছি না।
মাংসের টুকরো খেতে দেখলে কি আর ভালো লাগে বল।
আবরাজ _____ কি করা যায় তাহলে?
(কথাটি বলেই একটু ভাবনার ভঙ্গি করলো) পাইছি উপায়।
সবাই উৎসুক নয়নে তাকিয়ে আছে,
মেজর আশফিন বলল,
আশফিন _____ কি উপায় ভাই।
আবরাজ _____ তোরা কি সার্কাস খেলা দেখবি? সার্কাসে যেমন মানুষ আর পশু একসাথে খেলা করে ঐরকম খেলা।
তবে এই খেলা একটু ভিন্ন হবে।

আশফিন ______ মানে!
আবরাজ _____ দেখবি নাকি তাই বল
আশফিন মাথা নাড়িয়ে বলল দেখবে।
রাফা চৌধুরী ভাতিজাদের উদ্দেশ্য বুঝতে পেরেই দৌড়ে চলে গেলো ভাবি মায়ের দিকে।
রাফা _______ ভাবি মা, অনেক দেখেছে আর দেখতে হবে না।
এখন চলো তোমাকে একটু রুমে দিয়ে আসি।তুমি রেস্ট নাও।
মা _____আহহ রাইফা, আমি মোটেও ক্লান্ত না যে রেস্ট নিবো।
আমি ঠিক আছি।
রাফা চৌধুরী আমতা আমতা করে বলল,

রাফা _______ ভাবি মা এখন ঠিক থাকলেও এরপর যা হবে তুমি ঠিক থাকতে পারবে কি না সন্দেহ আছে। তুমি সহ্য করতে পারবে না ভাবি মা।
মা ______ রাইফা আমিও দেখতে চাই আমার ছেলেরা কতটা ভয়ংকর হতে পারে।আমি চাই ওরা আরো ভয়ংকর হোক। যে আমার কাছে থেকে আমার পিতার মতো ছায়া হয়ে থাকা ২ জন মানুষকে কেড়ে নিয়েছে, আমার কোল থেকে আয়মান কে কেড়ে নিয়েছে তাদের ভয়ংকর মৃত্যু দেখতে চাই।
আমি নিজের প্রশান্তি জন্য হলেও দেখতে চাই।
অন্যদিকে,

আবরাজের কথা শেষ হতেই আরহাম, আবরার কয়েকটা পোছ মেরে দিলো।
তিন ভাই একসাথে ধাক্কা দিয়ে আলী ভাই কে পিরানহা ভর্তি পুকুরে ছুড়ে মারলো।
সবাই ভিতু চোখে তাকিয়ে আছে পিরানহা ভর্তি পুকুরের দিকে।
কি ভয়ংকর সেই দৃশ্য।
আলী ভাই জীবন বাঁচানোর জনয় ছটফট করতেছে আর পিরানহা মাছ তার শরীর থেকে একটা একটা করে মাংস খুবলে খাচ্ছে।
আহহহ কি করুণ সেই পরিণতি।

আলী ভাই এর এরকম করুণ পরিণতি দেখে সবাই নিজের পরিণতি কি হবে তা নিয়ে চিন্তা করতেছে
এদিকে আলী ভাই শরীর থেকে সকল মাংস খুবলে খুবলে খেয়েছে পিরানহা।
সেখানেই সমাপ্ত হয় আলী ভাই এর অধ্যায়।
এবার তাকায় টপ বিজনেসম্যান আজিজের দিকে।
৩ ভাইকে তার দিকে তাকাতে দেখেই আজিজ শুকনো ঢোক গিলে।

আজিজ ____ প্লিজ আমাকে মাফ করে দাও।
আমি আমার সকল সম্পদ তোমাদের দিয়ো দিবো।আমাকে মাফ করে দাও।
আজিজের মুখ থেকে এমন কথা শুনে তারা সবাই উচ্চ শব্দে হেঁসে উঠলো,
আবরাজ আজিজের দিকে তাকিয়ে বলল,
আবরাজ ______ তোর সকল সম্পদ দিয়ে ও তুই আজ নিজেকে বাঁচাতে পারবি না।
তুই যেন কি বলতি,
তুই এই দেশের বাঘ।তোর গর্জনে নাকি সবাই ভয় পায়।
তো আজ তা দেখা যাক, তোর কথা কতটুকু সত্য।
ডেভিড যাও নিয়ে এসো।
আবরাজের কথা শেষ হতেই ডেভিড নিয়ে এলো একটা জীপ গাড়ি। সেখান থেকে নামানো হলো একটি খাচা।
সেই খাঁচায় বন্দি করে রাখা হয়েছে জঙ্গলের হিংস্র বাঘ কে।
আজিজ ঐদিকে তাকিয়েই যেন নিজের করুণ পরিণতি দেখতে পেলো।
সে অসহায় চোখে বাঘের দিকে তাকিয়ে আছে।

বাঘের কি গর্জন, বাঘের একেকটি গর্জনে যেন আজিজের অন্তর আত্মা কেঁপে উঠতেছে।
আবরাজ আজিজকে ধরে এনে ঢুকিয়ে দিলো বাঘের খাঁচার ভেতরে।
আজিজ নিজেকে বাঁচানোর জন্য প্রাণপনে দৌড়াতে লাগলো।
বাঘ ও তাকে অনুসরণ করতে লাগলো।
বাঘের সাথে কি আর মানুষ পায়। তাও ক্ষুধার্ত বাঘ।
বাঘ কামড় বসিয়ে দিলো আজিজের ঘাড়ে।আজিজের চিৎকার ভেসে আসতে লাগলো। ঐদিকে তাকিয়ে হাসতে লাগলো চৌধুরী বাড়ির ৩ ছেলে।
আজ তাদের চোখে কোনো দয়া মায়া নেই আছে শুধু প্রতিশোধ।
বাঘটি আজিজের বুক চিড়ে ফেললো। আজিজের শেষ চিৎকার সেখানেই শেষ হলো।
এরপর একে একে মেজর জেনারেল, ডেপুটি ডিরেক্টর, আইজিপি,ডিজি কে শেষ করলো।
এখন বাকি আছে,

শিশির কাদের, আমজাদ,আজাদ
শিশির কাদের নির্বিকার ভাবে তাকিয়ে আছে, যেন তার চোখে মুখে কোনো ভাবান্তর নেই।
সে জানে তার মৃত্যু আজ নিশ্চিত।
এবার আবরাজ গিয়ে দাড়ালো আমজাদ আর আজাদের দিকে।
আবরাজ _____ কি রে আমজাদ, বল তো তোকে কীভাবে মারবো?
আমজাদ _____ আরহাম আমি তো তোমার শশুর, আমাকে মাফ করে দাও। আমাকে বাচিয়ে নাও। জারিনের জন্য হলেও আমাকে বাচিয়ে নাও।
আমজাদের কথায় আরহাম হেসে দিলো এবং বলল,
আরহাম ______ যেখানে আমি তোর মেয়েকেই মেনে নেয় নি সেখানে তার জন্য তোকে বাচাতে। আরে গর্ধব তোকে শেষ করার জন্য তোর মেয়েকে বিয়ে করেছিলাম।
কথা বলা শেষ হতেই আরহাম আমজাদের মাথা বরাবর কোপ বসিয়ে দিলো।
এতটা জোরে কোপ দিয়েছে যে আমজাদ শেখের মাথা ২ ভাগ হয়ে গেছে।
এবার তাকায়,

আজাদ শেখের দিকে।
আবরাজ যেই কিছু করতে যাবে তখনি রাফা চৌধুরী বলে,
রাফা _____ না আবরাজ থাম
আবরাজ থেমে যায়। আজাদ মুচকি হাসি দিয়ে বলে,
আজাদ ______ আমি জানতাম রাফা তুমি আমাকে বাচাবে। তুমি যতই না বলো তুমি আমাকে ভালোবাসো আমি জানি।
আজাদের মুখে এমন কথা শুনে রাফা চৌধুরী ভয়ংকর হাসি দিয়ে বলল,
রাফা ______ তোকে বলল তোকে আমি বাচানোর জন্য আবরাজকে থামালাম।
তোকে আমি নিজ হাতে মারার জন্য ওদের থামালাম।
রাফা চৌধুরী এগিয়ে গেলো আবরাজের হাত থেকে কাটিং প্লাস নিলো।
এরপর বলতে লাগলো,

এই হাত দিয়ে আমাকে প্রত্যেক রাতে মারতিস তাই না বলেই হাতের প্রত্যেকটা নখ তুলে নিলো,
পায়ের ও প্রত্যেকটা নখ তুলে নিলো।
এবার তাকালো চোখের দিকে, এই চোখ দিয়ে তুই আয়মানের বউ এর দিকে নজর দিয়েছিলি তাই না, কথাটি বলেই ২টা শুচ ঢুকিয়ে দিলো আজাদের ২ চোখে।
আজাদ শেখ চিৎকার ও করতে পারতেছে না। কারণ রাফা চৌধুরী তার মুখের ভপতর কাপড় ভরে দিয়েছে।
এরপর এক কোপে শরীর থেকে মাথা আলাদা করে ফেললো।
ডেভিড কে ইশারা করে বলল,

আবরাজ _______ শিশির কাদেরের এত সহজ মৃত্যু প্রাপ্য না।
তাই ঠিক ১০ মিনিট অফিসার তোমাদের হাতে ছেড়ে দিবো।
এরপর ওকে আমার দোযখ খানায় পাঠাবো, ঐখানে ও কোনো খাবার বা পানি কিছুই পাবে না। দেখা যাক ও কতদিন এসব ছাড়া বাচতে পারে।
কথাটি বলেই আবরাজরা সরে গেলো।
আবরাজ সরে যেতেই অফিসাররা তাদের আক্রশ মিটিয়ে শিশির কাদের কে মারতে লাগলো।
তবে তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।না বাঁচানো মতোই।
হাত ভেঙ্গে গেছে, পা ভেঙ্গে গেছে, মাথা ফেটে গেছে।

আবরাজ _____ ডেভিড ওর মাথা ব্যান্ডেজ করে ওকে দোযখ খানায় রেখে আসবে, তবে ও যেন আত্মহত্যা করতে না পারে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখবা।
ডেভিড ও সন্মতি জানালো।
এরপর সবাই নিজ নিজ গন্তব্যে চলে গেলো।
নিশীথের কুয়াশা ঘুলিয়ে গেছে চির,
প্রভাতের আলোয় ভোরের স্বপ্ন জেগেছে,
অতীতের ধূসর স্মৃতি ছড়িয়ে গেছে বাতাসে,
নতুন জীবনের ছন্দে হৃদয় যেন উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।
সকাল সকাল চৌধুরী বাড়িতে সবাই ব্যস্ত হয়ে গিয়েছে আজ বাদে কাল গায়ে হলুদ তারপরে বিয়ে অথচ এখনো কোন কেনাকাটা করা হয়নি।

আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছে চৌধুরী বাড়ির, সিকদার পরিবারের এবং ইশানদের বাড়ির সবাইকে নিয়ে আজ দিনাজপুর সদরের মার্কেটে যাবে।
আবরাজ রেডি হয়ে বসে আছে নিজ কক্ষে। মেহেক ওই যে নিচে গিয়েছে আর আসার নাম নেই। বাহিরে বের হলে এই মেয়ের আর কোন খোঁজ থাকে না।
এদিকে আবরাজ যে তার বউকে দেখার জন্য অধীর আগ্রহে বসে আছে।
আর তার বউ ছোট ভাই বোনদের সাথে গিয়ে সাজতেছে।
আবরাজ বিরক্ত হয়ে তার রুমে বসেছিল।
ঠিক তখনই রুমে প্রবেশ করলো আসাদ মির্জা।
এই সময়ে আসাদ মির্জা কে সে তার নিজ রুমে আশা করেনি। আসাদ মির্জা হঠাৎ তার রুমে আসলো কেন? সে কি বলতে চায়?

কথাগুলো ভাবতেই আবরাজের ভ্রু কুঁচকে আসে।
আসাদ মির্জা ধীর পায়ে এসে দাঁড়ায় আবরাজের পাশে আবরাজ ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করে,
আবরাজ ______ কিছু বলতে চান?
আবরাজের মুখ থেকে এরকম স্টেটকাট কথা শুনে আসাদ মির্জা একটু ভোরকে গেল। একটু সময় নিয়ে নিজেকে স্বাভাবিক করে নিল এরপর আবরাজের উদ্দেশ্যে বলল,
আসাদ ______ হ্যাঁ আমি তোমাকে কিছু বলতে চাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা।
আবরাজ ______ জি বলুন
আসাদ _____ দেখো দোষ করলে আমাদের পূর্ববর্তী প্রজন্ম দোষ করেছে। বর্তমান প্রজন্মে যারা আছে যেমন আসিফ,রুশা,জারিন এরা তো দোষ করেন নি। তাহলে এদেরকে কেন তোমরা দূরে ঠেলে দিচ্ছো?
আবরাজ _____ আমরা কই ওদের দূরে ঠেলে দিচ্ছি?
আসাদ _____ দেখো আবরাজ, রুশা অনেক আগে থেকেই আবরার কে ভালোবাসে। তখনও জানতোও না যে, আবরারের সাথে তার সম্পর্ক কি।
আবরাজ ____ তো এখানে আমার কি করার আছে বলেন? আপনি কি বলতে চাচ্ছেন আমি ওদের প্রেমের ঘটকালি করবো।
যদি এটা ভেবে থাকেন তাহলে ভুল ভাবছেন।

আসাদ _____ দেখো আবরাজ প্রেমের ঘটকালি করতে হবে না, তবে বিয়ের ব্যাপারে তোমার মত কি?
আমি জানি আবরার তোমার ওপরে কথা বলবে না।
আবরাজ ____ যদি ভেবে থাকেন আমি আবরার কে রাজি করাবো তাহলে ভুল ভাবছেন।
আমি আমার ভাই এর সিদ্ধান্তকেই গুরুত্ব দিবো।
আসাদ ____ এই যে তুমি বললে ওদের দূরে ঠেলে দিচ্ছো না অথচ দেখো আবরারের কথা ভাবলে, রুশা র কথা ভাবলে না।
আবরাজ বিদ্রুপের সাথে বলল,
আবরাজ _____ সিরিয়াসলি আপনি আপনার মেয়ের কথা ভাবেন?
শুনেন যতটুকু গিয়েছেন ঐখানেই থেমে যান, নিজের ভাইদের মতো হইয়েন না মেয়েকে নিয়ে নোংরা খেলায় মেতে উঠেন না।

যাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন ঐখানেই থেমে যান।
কথাটি বলেই আবরাজ চলে গেলো।
আবরাজ কে আসতে দেখেই দরজার পাশ থেকে একটি ছায়ামূর্তি চলে গেলো।
আবরাজ আরেকজনের উপস্থিতি লক্ষ্য করছে অনেক আগেই।
আবরাজ বাঁকা হাসি দিলো।

মন্ত্রী বর যখন চাচাতো ভাই পর্ব ১৫

এদিকে আসাদ মির্জা হতভম্ব দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আবরাজের চলে যাওয়ার দিকে।
আবরাজ এসব কীভাবে জানলো? তাহলে কী হবে এবার? এবার কি ছেলে, মেয়ে আর স্ত্রীর চোখে ঘৃণা দেখবে।
কি হতে চলেছে? এ আবার কর আগমন ঘটলো? আসাদ মির্জা কি কারো সাথে হাত মেলালো? আসাদ মির্জা কি ভাই হত্যার প্রতিশোধ নিবে?

মন্ত্রী বর যখন চাচাতো ভাই পর্ব ১৭

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here