মাই লাভ মাই লাইফ পর্ব ৩

মাই লাভ মাই লাইফ পর্ব ৩
নাবিলা ইষ্ক

তাশরিক ভাইয়া নেমে গেলেন ফ্লাইওভারের ওপরে। তার সামনে গাড়ি এসে থেমেছে। এই গাড়িটাই আমাদের গাড়ির পাশ ধরে ফলো করছিলো সেই এয়ারপোর্ট থেকেই। এটা তার গাড়ি হলে এয়ারপোর্টেই নিজের গাড়িতে কেনো ওঠেননি? আমাদের গাড়িতে চড়ে এতোদূর আসতে হলো কেনো? আমার এতো প্রশ্নের কোনো জবাব নেই। তাশরিক ভাইয়া গাড়ি থেকে নামার আগে আমার হাতে একটা প্যাকেট ধরিয়ে দিলেন। বাবার থেকে বিদায় নিয়ে নিজের ওই গাড়িটায় উঠে বসলেন। আমাদের গাড়ি ফের চলতে শুরু করলো। বাবা বা ভাইয়া কেউই আমার হাতের ব্যাগটার কথা জিজ্ঞেস করলেন না। এমনকি তাকালেনও না। যেন এই খুব সাধারণ বিষয়। অথচ আমি তখন চিন্তায় ম রে যাচ্ছি প্রায়। সেধেই বললাম উৎসুকভাবে,

‘ভাইয়া, এই প্যাকেট তাশরিক ভাইয়া দিলেন।’
ভাইয়া আদুরে চোখে চেয়ে মিহি গলায় বললেন,
‘দিয়েছে যেহেতু নে।’
ব্যস, এতটুকুই! কী দিয়েছে, কেনো দিয়েছে —কোনো প্রশ্ন নেই, মাথা ব্যথা নেই। আমি আড়চোখে ব্যাগটার দিকে তাকালাম। তবে ভেতরে কী আছে খুলে দেখার সাহস পেলাম না। গাড়িটা ইতোমধ্যে আমাদের বাড়ির সামনে এসে পৌঁছেছে। বাগিচার কাছাকাছি গাড়ি থামতেই আমি নামলাম। ড্রয়িংরুমে চাচা, ফুপুরা বসে আলাপ করছিলেন। ভাইয়া ঢুকতেই হট্টগোলের পাশাপাশি আহাজারি শুরু হলো। এতোদিন পরে ছেলেকে পেয়ে মায়ের চোখ দুটো ছলছল করছিলো। আমি সোজা ব্যাগটা নিয়ে ওপরে উঠে এলাম। আমার ঘরটা ফাঁকা। আলগোছে দরজা লাগিয়ে বিছানায় এসে বসলাম। দ্বিধাদ্বন্ধ নিয়ে ব্যাগটা খুললাম। একটা বক্স। সাদা রঙের। গয়নাগাটি হবে বলেই মনে হলো।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আমি বক্সটা কম্পিত হাতে খুললাম। একটা নেকলেসের সেট। সাদা পাথরের নেকলেস, ছোটো কানের দুল সাথে চিকন, ছোটো টিকলি। আমার বুকটা কেঁপে উঠল কিছু একটার আন্দাজ করে। এটা কোনোভাবে ডায়মন্ডের নয় তো? আমার নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছিলো না। উপহার এনেছে ভালো কথা। এমন দামী উপহার দেবার মতন সম্পর্ক তো আমাদের নেই। নাকি আমি ভুল? হয়তোবা এটা শুধুমাত্র রেগুলার ডায়মন্ড কাটের নেকলেস সেট! আমি কোনোরকমে নিজেকে বুঝালাম। ভাবলাম সময় করে ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করবো। বক্সটা আপাতত তুলে রাখলাম বাকি গয়নাগাটির সাথে। এরপর এটার কথা একপ্রকার ভুলেই গেছি বলতে গেলে। সন্ধ্যার পর পর ড্রয়িংরুমে একপ্রকার ঘূর্ণিঝড় বইতে থাকলো। গিজগিজ করছিলো আত্মীয়স্বজন দ্বারা। আলাপ-আলোচনা, হাসাহাসি মিলিয়ে জগাখিচুড়ি অবস্থা।

ভাইয়া সবার মধ্যে বসে আছেন। চাচাদের সাথে খুব সুন্দরভাবে কথা বলছেন। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের লোকজনও উপস্থিত। একপাশে আমার কাজিনরা সব একজোট হয়ে বসে কিছু একটা দেখছে। আমি যেতেই ওরা আমাকেও পাশে বসাল। ওরা দেখছিলো কালোর মধ্যে ডিজাইনার গাউন গুলো, যা আমরা এনগেজমেন্টের দিন পরবো। এনগেজমেন্ট আগামী শুক্রবার। বিয়ে তার পরের শুক্রবার। এনগেজমেন্টের পরের সপ্তাহ অর্থাৎ বিয়ের আগের সপ্তাহ জুড়ে বাদবাকি অনুষ্ঠান করা হবে। এই যেমন, মেহেদি, গায়ে হলুদ। আগামীকাল পাকা দেখা। আমরা সবাই যাবো খান বাড়িতে। ভাবনার মধ্যে ভাইয়া ডাকলেন। আমি কাছাকাছি যেতেই তিনি বসালেন বাবা আর তার মধ্যিখানে। তারা ওয়েডিং ভেনু দেখছেন। ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরাই পছন্দ করলাম সর্বশেষে।

রাতে আমার সাথে সুফিয়া, মণি, রুমি আপু, আইরিন আপু ঘুমালেন। তখন রাত তিনটা। একটু আগেই আমরা ঘুমাতে এসেছি আড্ডা সেরে। আমার চোখে ঘুম না এলেও, ওদের চোখে রাজ্যের ঘুম। সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। আমার ঘুম আসছে না। কেমন যেন লাগছে। অস্থির, অস্থির। বারবার তাশরিক ভাইয়ার কথা মনে আসছে। আশ্চর্য! আমি নিজেকে আচ্ছারকম বকলাম। চোখ দুটো খিঁচিয়ে বন্ধ করে নিলাম। কাজের কাজ কিছু হলো না। একপর্যায়ে ফোনটা হাতে তুলে নিলাম। ঢুকলাম ফেইসবুকে। কিছুক্ষণ দোনামোনা করে অবশেষে সার্চ করলাম তার নামটা। ‘Tashrik Khan’

নতুন পোস্ট করেছেন।আগ্রহ এলো আমার। আমি চটজলদি আইডিতে ঢুকলাম। পরমুহূর্তেই মুখে হাত চেপে অস্পষ্ট আর্তনাদটুকু আটকালাম। ফোনটা সাবলীলভাবেই হাত থেকে পড়ে গেল বিছানায়। যেই বুকেটা আমি দিয়েছিলাম? ওটা নিয়ে একটা ছবি আপলোড করেছেন। ছবিতে—উনি ড্রাইভিং করছেন, পাশের সিটে বুকেটা রাখা। সমস্যা ছবিতে না। ক্যাপশনে। লিখেছেন,
‘Welcome gift from my, Baby Girl.’
বেইবি গার্ল? আবার! উনার মাথাটা কী গেল? আর উনার সাথে কী ভাইয়া অ্যাড নেই? অনেকেইতো আছে। বাবাও আছেন। আল্লাহ! আমি ঢোক গিললাম। ফের তুলে নিলাম ফোনটা। কমেন্ট চেক করতে গিয়ে আমার চোয়াল ঝুলে যাবার জোগাড়। উনার বন্ধুদের কমিডি শুরু হয়েছে কমেন্ট সেকশনে। যেমন ভাইয়া আর তাশরিক ভাইয়ার এক কাছের বন্ধু রাদিন, উনিও অস্ট্রেলিয়া থেকে আজই ফিরেছেন—তিনি লিখেছেন,
‘Bro, come on. come down. Don’t be this silly, he he.’

তাশরিক ভাইয়া রিপ্লাই দেননি। তবে অহরহ অপ্রস্তুতকর মন্তব্য দিয়ে ভরতি তার কমেন্ট সেকশনে। একজনতো ভাইয়াকেও মেনশন করে রেখেছে হাহা ইমোজি দিয়ে। আমি দ্রুতো উনার আইডি থেকে বেরিয়ে এলাম। ফোনটা পাশে রেখে পুনরায় শুয়ে পড়লাম। আচ্ছা, বেইবি গার্ল কী সাধারণ শব্দ? ছোটোবোনের মতন কাউকে সম্বোধন করা যায়? কই আমার ভাইয়াকে তো কখনো এমন নামে ডাকতে দেখিনি। কাকে জিজ্ঞেস করবো এই বিষয় নিয়ে? আমার মনে পড়ল আমরা আগামীকাল ও বাড়ি যাচ্ছি। তখন নাহয় ভাবীকে জিজ্ঞেস করবো—তাকে এইভাবে তাশরিক ভাইয়া ডাকেন কি-না। তাহলেইতো সবকিছু পরিষ্কার হবে। আমার তখন আর মাথা ব্যথা থাকবে না।
পরদিন বিকেলের মধ্যে সবাই তৈরি হয়ে আছি। আমি একটা লাল রঙের কারচুপির কাজ করা চুরিদার পরেছি। দুহাতে লাল রঙের স্টোনের চুড়ি। চুলটা কার্ল করে ছাড়া। কপালে একটা ছোটো টিকলি ঝুলিয়েছি। কানে, গলায় কিছুই পরিনি। অতিরিক্ত লাগবে নাহয়। ইতোমধ্যে বাইরে ছয়টা গাড়ি দাঁড় করানো। আমরা এখুনি রওনা দেবো। মা একজোড়া সোনার বালার বক্স আমার হাতে ধরিয়ে বললেন,
‘যত্ন করে রাখো তোমার কাছে।’

আমি বক্সটা খুলে একটু দেখে নিলাম। এই বালা জোড়া আজ ভাবীকে পরিয়ে দেয়া হবে। আমি বক্স দু’হাতে বুকে জড়িয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলাম। ভাইয়ার দেখানো গাড়িটায় ড্রাইভিংয়ের পাশে উঠে বসলাম। আমাদের সাথে ভাইয়াও যাচ্ছেন। ভাইয়া ড্রাইভিং সিটে উঠে বসেছেন। পেছন সিটে মা আর বাবা উঠে বসেছেন। বাকি সবাই পেছনের গাড়ি গুলোতে। এক এক করে বাড়ি থেকে গাড়ি গুলো বেরোতে শুরু করলো। আমরা রওনা হলাম বসুন্ধরার দিকে—খান বাড়ির উদ্দেশ্যে। তাশরিক ভাইদের বাড়ি বসুন্ধরায়। একটা দোচালা আধুনিক বাড়ি। ছোটোখাটো ভবনই বলা যায়। বেশ জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে বাড়িটা। ধূসর রঙের বাড়িটার সামনে যখন আমাদের গাড়ি পৌঁছাল ততক্ষণে সদরদরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। গাড়িটা সোজা ঢুকল ভেতরে। এর আগে আমি মোটে দু-একবার এসেছিলাম আমার পরিবারের সাথে। সেভাবে আগ্রহ নিয়ে দেখা হয়নি আশপাশটা। আজ দেখলাম ভালো করে। বেশ রুচিসম্মত ভাবে গোছানো চতুর্দিক। বাড়ির সামনেই আন্টি, আংকেল সহ অনেকেই দাঁড়িয়ে আছেন আপ্যায়নের জন্য। তাশরিক ভাইয়াকে তখনো দেখা যায়নি ওখানে। আমাকে দেখেই আন্টি হাসলেন। কাছে ডাকলেন। আমি যেতেই বুকে জড়িয়ে ধরলেন। কেমন আদুরে চোখে কিছুক্ষণ মুখের দিকে চেয়ে থাকলেন! আমি হাসার চেষ্টা করলাম সামান্য। আন্টি আমার মুখ দু’হাতে তুলে ধরে বললেন,

‘মনে হচ্ছে এইতো কিছুদিন আগে এক পিচ্চি আদরকে দেখলাম। টুকটুক করে হাঁটছে। চোখের পলকে কেমন বড়ো হয়ে গেল। তাও এতো রূপবতী ভাবে। চোখ সরানো যাচ্ছে না। ভাবি, আমি কিন্তু এই মেয়ে আর ফেরত দিচ্ছি না। আমারটা আপনাদের দিয়ে দিলাম, আর ওকে নিয়ে নিচ্ছি।’
কথাগুলো কেমন যেন শোনালো! কথাগুলো বুঝতেও আমার সময় লাগলো। আন্টির কথাগুলো কী আমি ভুল শুনলাম নাকি বুঝলাম? চোখ দুটো বড়ো বড়ো হয়ে এলো আমার। চকিতে পেছনে তাকালাম। সবার শান্ত আচরণ। মা হাসছেন শব্দ করে। হেসে হেসে বললেন,

‘দিয়ে দিলাম। আমাদের দুটো মেয়ের প্রয়োজন নেই।’
আন্টি, আংকেল হেসে আমাদের সবাইকে আপ্যায়ন করে ভেতরে নিচ্ছেন। মা-বাবাও হাসছেন সমানে। যেন খুব কৌতুকমূলক কথবার্তা হচ্ছে! আমি তখনো বলদের মতন দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ অপ্রস্তুত আমার চোখ গেল দোতলায়। আর মুহূর্তেই আমি বরফের মতন জমে গেলাম। আমার চোখদুটো ছানাবড়া হয়ে এলো। তাশরিক ভাইয়া দাঁড়িয়ে আছেন। হাঁটুর ওপরে উঠে আসা একটা শর্টপ্যান্টের পকেট দুটোতে হাত ঢুকিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন সটানভাবে। উদোম শরীর। আমি চোখ নামালাম দ্রুতো। দুরুদুরু কাঁপছে বুকের ভেতরটা। চোখে ভাসছে ওমন দানবের মতন নগ্ন দেহ খানা। ছিহ, ছিহ। ভাইয়া আমার সামনে ছিলেন। আমাকে হয়তো-বা আসতে না দেখে ফের পিছু এলেন আমার সামনে। নিজের সাথে হাত ধরে এগিয়ে নিতে নিতে একফাঁকে আমার মুখের দিকে চেয়ে প্রশ্ন করলেন,

‘কী? মুখটা এমন করে রেখেছিস কেনো?’
আমি শুকনো ঢোক গিললাম। গলাটা কেমন মরুভূমির মতন শুকিয়ে আসছে। কোনোরকমে ফাঁকা হেসে দুর্বলভাবে বললাম,
‘কিছু না।’

ভাইয়া কিছু বললেন না। তবে আমাকে তার পাশে পাশে রাখলেন। আমাদের বিশাল লিভিংরুমের সোফায় বসানো হলো। আমি ভাইয়ার পাশে বসেছিলাম। হাতে অ্যাপল জ্যুস। আন্টি এনে দিলেন আলাদাভাবে। অনেকটা সময় করে এবেলায় তাশরিক ভাইয়া নেমে এলেন সিঁড়ি ভেঙে। একনজর চেয়েই আমি স্তম্ভিত হলাম। ধূসর রঙের শার্ট পরেছেন কালো জিন্সের সাথে। ওটা বড়ো কথা না। কথা হচ্ছে, এমন বড়ো গোলাপ ফুলের তোড়া নিয়ে নামছেন কেনো? ভাইয়াকে দেবেন? তার ভবিষ্যৎ ছোটোবোন জামাই বলে? আমি আড়চোখে বাকিদের দিকে তাকানোর চেষ্টা করলাম। পর্যবেক্ষণ করতে চাইলাম বাকিদের আচরণ। আন্টি, আংকেল… আমার মা-বাবা, ভাইয়া কেউই আশ্চর্য নয়। নিজেদের মতন কথায় ব্যস্ত। আশ্চর্য হয়ে আছে, আমার কাজিনরা। তাশরিক ভাইয়া এসে সবার সাথে কুশল বিনিময় করলেন। ফুলের তোড়াটা তার হাতে তখনো। সবার সাথে আলাপ শেষ করে আমার দিকে চাইলেন। আমি না তাকিয়েও বুঝলাম, আঁতকে উঠলাম আপনমনে। শ্বাসপ্রশ্বাসও যেন গলায় রোধ হয়ে এলো। ঘরে পরিহিত একজোড়া জুতোয় গলানো পা এসে থামল আমার সামনে। ওপর থেকে ওই উজ্জ্বল কণ্ঠে সাবলীল ডাক শোনা গেল,
‘আদর!’

আমি যে কাঁপছি কেউ বুঝতে পারছে? মনে হয় না। উনার মুখে আমি আমার ডাকনাম ধরে কখনো সম্বোধন শুনিনি। আজই প্রথম। এমন ভরা মজলিসে এমন কেনো করছে এই লোক? আমি কোনোরকমে মাথা তুলে তাকালাম। চোখে চোখে চোখ এক সেকেন্ডের জন্য রাখতে পারিনি। তার চওড়া বুকের দিকে চেয়ে রইলাম। প্রত্যুত্তর করতেও পারিনি—পূর্বেই তিনি ওমন বড়ো ফুলের তোড়াটা বাড়িয়ে ধরলেন আমার সামনে,
‘ A bouquet for the one who is a flower herself.’

মাই লাভ মাই লাইফ পর্ব ২

তিনি এতটুকু বলে থামেন। ফের বলেন, ‘বাই দ্য ওয়ে, আমার দেয়া জুয়েলারি গুলো পরলে আরও সুন্দর দেখাতো।’
আমার চোয়াল যে ঝুলে এলো উনি কী দেখতে পেয়েছেন? এইযে আমার শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেল বুঝতে পেরেছেন? আমার বাড়ির, উনার বাড়ির মানুষ কী পাগল? উনারা কী কিছুই শুনতে পারছেন না? আর ভাইয়া? তিনি? কেউ কিছু বলছে না কেনো? আমি রোবটের মতন বাড়িয়ে ধরা গোলাপ ফুলের তোড়াটা দু’হাতে নিলাম। দিয়েছো তো দিয়েছে আবার গোলাপ ফুল! আ সিম্বল ওভ লাভ!! আড়চোখে চাইলাম পাশে। আন্টি, আংকেল…বাবা-মা, ভাইয়া এরা যেন কিছু শোনেনি। দেখেওনি। দিব্যি কথা বলছে। বড়ো বড়ো চোখে চেয়ে আছে আমার চাচারা, ফুপুরা, কাজিনরা। আমার মাথায় কিছুই ঢুকছে না। তাশরিক ভাইয়া ততক্ষণে আমার ভাইয়াকে নিয়ে সরে গেছেন। আমি ফুলের তোড়া হাতের পুতুলের মতন বসে রইলাম।

মাই লাভ মাই লাইফ পর্ব ৪