মাঝরাতের রোদ্দুর পর্ব ৫৮ (২)
নওরিন কবির তিশা
——“এইটা পছন্দ হবে কেন?আমার পছন্দ করা পাঞ্জাবি না? আমার পছন্দের কিছু;আপনার পছন্দ হতে আছে নাকি?”
ফারিনের এহেন কথাবার্তায় নির্ঝর চমকে তাকালো তার দিকে। সে তো শুধু ফারিনকে একটা পাঞ্জাবি পছন্দ করে দিতে বলেছিল।কিন্তু ফারিন হলুদের দিনে সাদা পাঞ্জাবি বের করে দিয়ে বলছে পড়ার জন্য।এজন্যই তো নির্ঝর না বললো। তাতেই এত রাগ? নির্ঝর আমতা আমতা করে বলল,,
——“কি হয়েছে?এত রেগে আছো কেন?”
ফারিন কড়া কন্ঠে বলল,,
——“আমার কি হয়েছে সেটা জেনে আপনার কাজ কি? আপনি যান না গিয়ে আপনার পেয়ারের স্টুডেন্টের সাথে কথা বলুন! যান যান।”
নির্ঝর এতক্ষণে বুঝলো ফারিনের রাগের কারণ। আসলে কিছুক্ষণ আগেই মেহেনাজ কল করেছিল তাকে। ওই ম্যাথের একটা সলুশন বের করতে পারছিল না তাই। কিন্তু তাই নিয়ে এত রাগ করার কি আছে বুঝলো না নির্ঝর? তবে সে এইটুকু ভালো করে বুঝতে পারল ফারিন জেলাস।সে বাঁকা হেসে ফারিনের দিকে ফিরে,অন্যরকম এক কন্ঠে ফিসফিসিয়ে বললো,,
——“Are you jealous?”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
অন্য সময় হলে হয়তো ফারিন নির্ঝরের এমন কণ্ঠের উপর ক্রাশ খেত। কেননা নির্ঝর কথাটি ঠিক সেভাবেই বলেছে। কিন্তু বর্তমানের ফারিনের কোনো কিছুই ভালো লাগছে না। তার মনে শুধু একটাই কথা চলছে। মেহেনাজের বাসায় কি টিউটর নেই? আছেই তো। তাহলে আবার নির্লজ্জের মতো নির্ঝরের কাছে ফোন দিয়ে ম্যাথের সলুশন চাওয়ার কি মানে? তারউপর যখন নির্ঝর ছুটিতে আছে!আর নির্ঝরেরইবা এত কি কথা? ফারিন রেগে নির্ঝরের দিকে তাকিয়ে বলল,,
——“হ্যাঁ,জেলাস তো আমার জুতো!”
ফারিনের এমন কথায় এবার রাগ হলো নির্ঝরের। সে ফারিনের দিকে দু কদম এগিয়ে এসে বলল,,
——“এবার কিন্তু বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে ফারিন!”
ফারিনও রেগে নির্ঝরের দিকে দু কদম এগিয়ে আসলো।
ফারিন:“হ্যাঁ হ্যাঁ এখন তো আমার কথা বেশি বেশি মনে হবেই।তা আপনার মেহেনাজ কি কম কম কথা বলছিল বিগত অর্ধঘন্টা যাবত?”
নির্ঝর:“ফারিন!”
ফারিন:“আমি কানে কম শুনি না,কান খোলা আছে বলে ফেলুন।”
নির্ঝর:“মুখটা কি বন্ধ করবা?”
ফারিন:“না!”
নির্ঝর বাঁকা হেসে ফারিন এর দিকে এগিয়ে এসে একেবারে তার সম্মুখে দাঁড়িয়ে বলল,,
——“তাহলে আর কি করার বেবি গার্ল? নিজে থেকে যদি বন্ধ না করো তাহলে মুখ বন্ধ করার জন্য তো;আমি আছিই!”
নির্ঝরের এমন কাছাকাছি উপস্থিতিতে কিছুটা ঘাবড়ে গেলো ফারিন।সে পিছিয়ে যেতে চাইলেই নির্ঝর তার হাত ধরে হেচঁকা টান দিয়ে নিজের বুকে ফেলে বলল,,
——“ইদানিং কথাগুলো একটু বেশিই বলছো না তোতা পাখি? মুখ তো তোমার এবার বন্ধ করতেই হবে দেখছি! কিন্তু আমার না আফসোস হচ্ছে।এত সুন্দর করে সাজুগুজু করলে সেগুলো আমি নষ্ট করে ফেলব!”
ফারিনের চোখ কটোর থেকে বের হয়ে আসার উপক্রম ।ভয়ে হৃদযন্ত্রটা তুমুল বেগে কাঁপছে।সে নির্ঝরের বুক থেকে মুখ তুলে শুকনো ঢোক গিলে বলল,,
——“ক-ক-কি বলতে চাচ্ছেন?”
নির্ঝর:“কিছুই বলতে চাইছি না জাস্ট দিতে চাইছি। প্রাকটিক্যালি!”
ফারিন:“কি?”
নির্ঝর:“বউয়ের মুখ বন্ধ করতে নির্ঝর চৌধুরীর স্পেশাল থেরাপি!”
ফারিনকে আর কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে নির্ঝর তীব্র বেগে নিজের ওষ্টদ্বয় ডুবিয়ে দিল ফারিনের কুসুম কমল অধঁরে। কিছুটা কেঁপে উঠল ফারিন! নির্ঝর নিজের হাত ফারিনের শাড়ির আঁচল গলিয়ে প্রবেশ করালো তার উন্মুক্ত কোমরে। অতঃপর তাকে নিজের শরীরের সাথে মিশিয়ে শক্ত বন্ধনে আবদ্ধ করলো।
শিশিরদের হলুদের আয়োজন করা হয়েছে বাড়ির সামনের গার্ডেন এরিয়ায়। বিশাল এক আয়োজন। বাগানের বড় বড় গাছগুলোর চারিদিকে ফুলের সম্ভার, যেন শীতের সকালে বসন্তের রঙ আর গন্ধ একত্রিত হয়ে নেমে এসেছে এই উঠোনে।
তৈরি করা হয়েছে এক বিশাল তোরণ,যা সজ্জিত কাঁচা হলুদ রঙা গাঁদা ফুলে,তোরণের চারিপাশে সূক্ষ্ম রশিতে ঝুলানো কাঁচা হলুদ গুলো যেন সৌন্দর্যের প্রতীক হিসাবে কাজ করছে। তোরণের মাঝের বিশাল আসনে বসে আছে শিশির, তার পরনে কাঁচা হলুদ রঙা শাড়ি,গলায়,কানে, কপালে,হাতে ফুলের গহনা। তবে গহনা গুলোর বিশেষত্ব হচ্ছে এগুলো নাহিয়ান নিজ হাতে তৈরি করেছে শুধুমাত্র তার জন্য।
নাহিয়ানের হলুদের আয়োজন করা হয়েছে বাড়ির ভেতরে। তার গায়ে হলুদ লাগানো শেষে, নওরিফা খানম পাশের একটা মেয়েকে ডেকে বললেন, হলুদের বাটিটা শিশিরেদের ওইখানে দিয়ে আসতে। সঙ্গে সঙ্গে নাহিয়ান নিজের আসন থেকে উঠে নওরিফা খানমের সামনাসামনি দাঁড়িয়ে বলল,,
——“মা আমার কাছে দাও! আমি গিয়ে দিয়ে আসি।”
নওরিফা খানম বাম ভ্রু টা সামান্য উঁচিয়ে বলল,,
——“তুই দিয়ে আসবি মানে?”
নাহিয়ান:“না মানে এখানে আমার মত একটা ইয়ং পার্সন থাকতে অন্য কেউ কেন কষ্ট করবে বলো মা? আর সবচেয়ে বড় কথা কি জানো?আজকে সকাল থেকে আমি আমার বউকে একবারও দেখতে পারিনি। কি জানি সাজুগুজুর পর আমার বউটাকে কেমন লাগছে? তাই দাও এক ঢিলে দুই পাখি মেরে আসি!”
নওরিফা খানম একবার আশেপাশে তাকালেন তারপর কটমট দৃষ্টিতে নাহিয়ানের দিকে তাকিয়ে বললেন,,
——“নির্লজ্জ বেহায়া ছেলে! আমি তোর মা হই! সেটাও কি ভুলে গেছিস?”
নাহিয়ান:“একদমই না মা! বরং তুমি মাঝে মাঝে ভুলে যাও যে তুমি আমার বউয়ের শাশুড়ি। না হলে কেন শুধু শুধু তুমি আমার বউ আমার কাছ থেকে দূরে দূরে রাখো হ্যাঁ?”
নওরিফা খানম আর নাহিয়ানের এমন কথাবার্তায় পাশ থেকে একটা মহিলা হেসে বললেন,,
——“রিফা, দিয়ে দে বোন। ছেলে তো তোর দেখছি বউ পাগলা!”
নওরিফা খানম অপ্রস্তুত হেসে বললেন,,
——“ওওই আরকি!”
বলেই নাহিয়ানের দিকে হলুদের বাটিটা এগিয়ে দিলেন তিনি। নাহিয়ানও কোনো ভাবান্তর না দেখিয়ে বাটিটা নিয়ে এগিয়ে গেল বাইরের দিকে।
শিশিরের আসনের সামনে যাওয়ার আগে নাহিয়ান একবার জোরে শ্বাস নিল,যাতে শিশিরের সামনে সে দুর্বল না হয়ে পড়ে। পর পর বেশ কয়েকবার এভাবে জোরে জোরে শ্বাস নেওয়া শেষে সে এগিয়ে গেল শিশিরের আসনের দিকে। কিন্তু শিশিরের আসনের সামনে এসে দাঁড়াতেই নাহিয়ানের বুকের মাঝে যেন সবকিছু থেমে গেল। স্বর্গীয় অপ্সরী লাগছে তার প্রাণনাশিনীকে।
নাহিয়ানের হৃদস্পন্দনের শব্দ সে নিজেই শুনতে পাচ্ছে। সে যতই নিজেকে সামলে রাখার চেষ্টা করুক না কেন, শিশিরের এমন রূপের সামনে নিজেকে সামলে রাখা উত্তাল সমুদ্রে ডিঙ্গি নৌকার পাল কে সামলে রাখার মতোই দুঃসাধ্য তার কাছে।
অন্যদিকে তাকে এমন থমকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে এগিয়ে আসলো ফারিন আর আনায়া।ফারিন দুষ্টু হেসে বলল,,
——“কি ব্যাপার ভাইয়া? আমার বড় জা’র এই রূপেই কাহিল?বিয়ের দিন তাকে দেখলে তো আপনি অজ্ঞান হয়ে যাবেন দেখছি?”
নাহিয়ান শিশিরের দিকে ফিরে বলল,,
——“তোমার বড় জা’কে দেখে প্রতিদিনই একবার আমি অজ্ঞান হই!”
নাহিয়ান কথাটা বেশ জোরেই বলেছে যার দরুন সবাই একসাথে তাকিয়ে আছে তার দিকে। লজ্জায় শিশিরের ইচ্ছা করছেন মাটির সাথে মিশে যেতে, এই লোকটাও না? অন্যদিকে ফারিন আর আনায়া শিশিরের দিকে তাকিয়ে ঠোঁট টিপে মুচকি মুচকি হাসছে। ইলমা দ্রুত শিশিরের পাশ থেকে উঠে এসে নাহিয়ানের সামনে দাঁড়িয়ে বলল,,
——“দিন তো ভাইয়া হলুদের বাটিটা। দেখছেন না আমার ছোট্ট ননদিনী টা কি লজ্জাই না পাচ্ছে!”
নাহিয়ান:“তাই নাকি? তাহলে তো তোমার ননদীনিকে আর একটু লজ্জা দিতেই হচ্ছে।”
ইলমা:“মানে?”
নাহিয়ান দুষ্টু হেসে এগিয়ে গিয়ে শিশিরের পাশে বসে পড়লো। অতঃপর সবার সামনে নিজের মুখ থেকে হলুদ নিয়ে শিশিরের বাঁ চোয়ালে লাগিয়ে দিল। নাহিয়ান এর এমন কাণ্ডে বিষ্ময়ের চরম সীমায় আরোহন করছে শিশির।এক ঝাঁক অবাক চক্ষু নিস্পলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তাদের দিকে। লজ্জায় শিশিরের মরি মরি অবস্থা,চোয়াল দুইটা সদ্য ফোঁটা কৃষ্ণচূড়ার ন্যায় রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছে।
দূর থেকে দাঁড়িয়ে এসব লক্ষ্যপাত করছিলো সাজিদ আর রিদিত। সাজিদের কোলে ছোট্ট সাজ্জাদ। নাহিয়ান এর এমন কান্ডে সে রিদিতের দিকে ফিরে বলল,,
——“দেখ ঢং দেখে আর বাঁচি না! এখন তো বুঝতেছেনা আগে বিয়েটা করুক তারপর বেডা হাড়ে হাড়ে বুঝবে বউ কি জিনিস!”
রিদিত সাজিদের মলিন মুখশ্রীর পানে তাকিয়ে বলল,,
——“কেন রে ভাই তোর কি ওর সুখ সহ্য হচ্ছে না?”
সাজিদ:“সুখ? কিছুদিন পর এই সুখ যখন অসুখে পরিণত হবে তখন বুঝবে!”
রিদিত:“কেন,কেন?”
সাজিদ রিদিতের দিকে মলিন দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলল,,
——“আয় ভাই আজকে তোকে ফ্রিতে একটা উপদেশ দেই; তাড়াতাড়ি বিয়ে করিস না,ওহ! তোর তো আবার বিয়ে হয়ে গেছে। তাহলে তো এক ধাপ এগিয়েই আছিস, যাইহোক ভাই অন্তত পাঁচ বছরের আগে বাচ্চা নিস না।”
রিদিত ভ্রু কুচকে চোখ সরু করে বলল,,
——“বউ আমার, ইচ্ছেও আমার! আর না তো আমার কোনো ফিজিক্যাল উইকনেস আছে,তাহলে কেন আমি পাঁচ বছর লেটে বাচ্চা নিতে যাব?”
সাজিদ:“ভাই তুই কি আমাকে দেখতে পারছিস না? দেখ বেবি ডায়াপার টা পর্যন্ত আমার চেঞ্জ করানো লাগে, আর আমার বউ (সে ইলমার দিকে ইশারা করে বলল) ওই দেখ কি সুন্দর সিঙ্গেল মেয়েদের মতো ফুর্তি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। হায় রে জীবন!”
সাজিদের এমন কথায় এবার আর হাসি থামাতে পারল না রিদিত।সে সশব্দে হেসে ফেলল তা দেখে সাজিদ বলল,,
——“হাস হাস, হাতি কাদায় পড়লে চামচিকিতেও লাথি মারে! সবই আমার কপাল!”
সাজিদের কথা শেষ হতে না হতেই জোরে কেঁদে উঠলো সাজ্জাদ। সাজিদ সেদিকে তাকিয়ে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বলল,,
——“এই হইছে মায়ের আরেক চাচমা। মার কাছে গেলে কখনোই কান্না করবে না আর আমার কাছে আসলেই!”
সাজ্জাদ কেঁদেই যাচ্ছে। সাজিদ সেদিকে তাকিয়ে বলল,,
——“থাম বাপ! আমি তোর মা না যে তোকে ফিডিং করাবো! আর তোর যে মা! এখন ওই হইহুল্লোড়ের মাঝ থেকে জীবনেও আসবে না তোকে ফিডিং করাতে!”
ইয়ালিনার রুম থেকে বাইরের পরিবেশটা বেশ ভালোই দেখা যায়। রুম থেকে বের না হয়েও সে নিজের বেলকেনি দিয়ে বেশ ভালই দেখতে পারছে নাহিয়ান আর শিশিরের খুনসুটি গুলো।গলার কাছে কান্নারা দলা পাকিয়ে আসছে তার। নিশ্বাস নিতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।সে দ্রুত বেলকেনির কাছের পর্দা টা টেনে দিল। ফলে পুরো রুমটা ঢেকে গেলো এক নিকষ কালো আঁধারে।
বাইরে থেকে সাউন্ড বক্সের শব্দ প্রচন্ড বেগে প্রবেশ করছিলো তার রুমে। দুহাতে কান চাপা দিয়ে সে চিৎকার করে উঠলো,,
——“ও আল্লাহ! আমার সাথে কেন এরকম হয়? আমি কি চেয়েছিলাম তোমার কাছে? একটু সুখ? একটু শান্তি? কেন দিলেনা আমায়? আমি কি এতটাই পাপিষ্টা ছিলাম? আমি শিশিরের থেকে কোন দিক থেকে কম ছিলাম বলো? কোন দিক থেকে?কোনো দিক থেকেই তো নই! তবু নাহিয়ান ভাইয়াকে আমি কেন পেলাম না? বলো না আল্লাহ। বলো না! ইয়া আল্লাহ!
মাঝরাতের রোদ্দুর পর্ব ৫৮
তুমিতো রহমানুর রহিম,তুমিতো দয়ার সাগর তবুও তুমি কেন আমার সাথে এরকমটা হতে দিচ্ছো। আল্লাহ গো, আমার নিঃশ্বাস আটকে আসছে, আমি আর পারছি না সহ্য করতে, বাইরে…বাইরে আমার সবকিছু শেষ হয়ে যাচ্ছে আল্লাহ!আল্লাহ তুমি আমাকে তোমার কাছে টেনে নাও আল্লাহ। আমি চাইনা,আমি চাইনা আর বেঁচে থাকতে।”
তার চোখ বেয়ে অঝোর ধারায় গড়িয়ে পড়ল অশ্রু প্রবাহ। কিন্তু সে জানেই না ইতিমধ্যেই তার নাহিয়ান ভাইয়া অন্য কারো হয়ে গিয়েছে। সে আর চাইলেও কখনো নাহিয়ান কে নিজের করে পাবেনা,তবুও নিজেকে কিছুতেই মানাতে পারছে না ইয়ালিনা। সে নিজেও তো নাহিয়ানকে পবিত্র হৃদয়ে চেয়েছিল। তবু কেন পেল না? কেন আল্লাহ তার কাছ থেকে তার জীবনে সবচেয়ে আকুলভাবে চাওয়া ব্যক্তিটিকে ছিনিয়ে নিল? কেন তার হতে দিলো না?