মায়াবতীর ইচ্ছা সিজন ২ পর্ব ২১
ইশরাত জাহান
রুদ্র ও সিয়া সবার আগেই বাইরে বের হয়।হিয়া নিজেও ওদের পিছনে ছুটছে।সবাই ভাই বোনের ভালোবাসা যেনো একই রকম প্রকাশ করে।এখানে কে আপন কে পর এগুলো কেউ দেখে না।হিয়া দৌড়ে এসে সোজা রুদ্রের পিঠের সাথে ধাক্কা খায়।রুদ্র পিছনে ফিরে দেখে হিয়ার চোখের চশমা নিচে নেমে এসেছে।চুল সিল্কি হওয়ার কারণে সামনের কিছু কাটা চুল ঠোঁটের উপরে এসে ছুঁয়েছে।হিয়ার বাম হাতটা নাকের কাছে ধরে আছে।দৃষ্টি তার রাগী রাগী।তাও আবার রুদ্রের দিকেই।এই রাগী রূপটাকেও আরামছে মনে জায়গা করে নিয়েছে রুদ্র।হিয়া রাগের সাথেই বলে,”একটু সাবধানে চলতে পারেন না?”
রুদ্র অবাক হলো।এই মেয়ে বলে কি?সে একজন দেশ রক্ষক হয়ে সাবধানে চলে না!এখানে তো হিয়াই দৌড়ে এসে ধাক্কা খেল।রুদ্র আলতো হেসে বলে,”নারীজাতির জাতীয় স্বভাবটা দেখিয়েই দিলি তাইনা?”
“নারীজাতির জানি স্বভাব কোনটা রুদ্র ভাই?”
“এই যে দোষ করবে নিজে দোষ দিবে সামনে থাকা অবুঝ বালকের।”
“আপনি অবুঝ বালক!এটা আবার আমাকে শুনিয়ে বলছেন?আপনার মত নষ্ট পুরুষ কখনও অবুঝ হয় নাকি!”
“আমি এক কথা বারবার বলিনা।”
“কোন কথাটা বলেছেন যেটা আবার বলতে চান না?”
“একটু আগে কি বললাম?”
“নারীজাতির জাতীয় স্বভাব নিজের দোষ না দেখে অবুঝ পুরুষদের দোষ দেখা।”
“এই তো স্বীকার করেছিস।এটাই আমি বারবার রিপিট করতে পারব না।”
“আপনি শুধু নষ্ট পুরুষ না আপনি একজন আপনি একজন ….”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
রুদ্র বাকি কথা বলতে দিলো না।হিয়ার ঠোঁটের কোনা দিয়ে আঙ্গুল ছুঁয়ে চুলগুলো কানের কাছে গুজে দিলো।হিয়া অপলক চাহনি দিয়ে চুপ করে আছে।কানের কাছে চুলগুলো গুজে দিয়ে বাইরে তাকালো রুদ্র।গাড়ি ঢুকলো ভিতরে।রাজ বাইরে এসে বলে,”এভাবে রেলগাড়ির মত লাইন দিয়ে দৌড়ানোর কি দরকার ছিল?আরামছে সোফায় বসে অপেক্ষা করতাম।ব্যাটা আদ্র তো গাড়ি থেকেই নামলো না।”
“আপনি এত অলস কেন মন্ত্রী মশাই।আপনার ভাই এসেছে এতদূর থেকে।অনেকদিন পর তাকে দেখার আনন্দ তো সবার মাঝে থাকবেই।এদের ভাই বোনের বন্ডিং তো এমনই।”
আদ্র নামলো গাড়ি থেকে।আহান সরদার ও মাহমুদ সরদার একসাথে দাড়িয়ে আছে।আদ্র এসেই তার বাবাকে জড়িয়ে ধরলো।তারপর মাহমুদ সরদারের কাছে এসে জড়িয়ে ধরলো।দুজনে দুজনের দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসি উপহার দিয়ে আদ্র ছুটে গেলো রুদ্রের কাছে।রুদ্র অদ্রকে জড়িয়ে ধরে বলে ওঠে,”ভাই আমার।”
“কেমন আছিস ভাই?”
“ভালোই ছিলাম এখন তুমি আসাতে আরো ভালো আছি।”
“আমাকে তো এভাবেই বাইরে টুকটাক কাজ যেতেই হবে ইন ফিউচার।তখনও কি এমন বলবি?”
“ভাইয়ের ভালোবাসা কখনো কমে না।আমাদের সব সম্পর্কের মাঝে ভাইয়ের সম্পর্ক হলো আলাদা এক টান।যেটা আমরা বাবা মায়ের থেকে পাই।তাই তো তুমি আসার পর আমার মাঝে আলাদা অনুভূতি কাজ করছে।ভাইকে মনে হয় এক মাস নয় পুরো এক যুগ পর দেখছি।”
আদ্র হাসলো শুধু।স্বভাবতই একটু কম কথা বলে আদ্র।আর একটু রুডি স্বভাবের সে।কিন্তু পরিবারের কাছে সে একটু ভিন্ন।বাবা ভাইয়ের জন্য জীবনটা দিয়ে দিতে পারে এমন সে।আদ্র এবার রাজের কাছে এসে রাজকে জড়িয়ে ধরে।রাজ বলে,”সফর কেমন হয়েছে ভাই?”
“এই তো ভালই।”
“এখন বাকি দিনগুলো আরো ভালো করার প্রস্তুতি নিতে হবে তো?”
আদ্র এবারও মৃদু হাসলো।মায়ার দিকে তাকিয়ে বলে,”তোমার বউ?”
“আমার মায়াবতী।”
“আসসালামু আলাইকুম, মায়াবতী।”
মায়া সালামের উত্তর দিতে যাবে তখনই রাজ বলে,”মায়াবতী শুধু আমি বলব।তুই কেন?”
“কেন ভুলে গেলে?তোমার মায়াবতীকে তো আমিও মায়াবতী বলতাম।”
মায়া এবার আদ্রের দিকে ভালো করে তাকালো।মনে পড়ল অবনী আর শাহানা পারভিন ছিলো দুই বান্ধবী।তারমানে এই আদ্র আর রুদ্র অবনীর ছেলে।মায়া যখন ছোটবেলায় এই বাড়িতে ছিল তখন একবার অবনী আর আদ্র এসেছিলো।মায়া শুনেছিল ওরা দুজন এসেছিলো আদ্রের নানাবাড়ীতে ঘুরতে। আরও কিছু সদস্য আছে ওদের।কিন্তু তারা যে আহান সরদার আর রুদ্র এটা জানতো না।আদ্র আর অবনী তখন আসে বিদেশ থেকে।এসেই রাজের মত করে আদ্র মায়াকে ডাকতো মায়াবতী বলে।ওই যে ওদের দাদাজান শিখিয়ে দিয়েছে।শিখিয়ে দেওয়া লাগেনি। দাদাজান তো ওকে মায়াবতী বলে ডাকতো।সেখান থেকেই ওদের কাছে এই ডাক মুখস্ত।মায়া যখন আদ্রর মুখে এরূপ কথা শুনল একটু আতকে উঠলো।তাহলে কি তার পরিচয় জেনে গেলো সবাই?রাজ মায়ার দিকে তাকিয়ে কথা এড়াতে বলে,”কিন্তু এই মায়াবতী তো সেই মায়াবতী নয়।এটা আমার রেজিস্ট্রি করা মায়াবতী আর তখন ছিলো আমার পুতুল বউ।”
আদ্র রাজের দিকে চোখ রেখে বলে,”তোমার বউ আমাদের সকলের বোন।সে তোমার কাছে যেমন মায়াবতী আমাদের প্রত্যেকটি ভাইয়ের কাছেও ঠিক সেইরূপ মায়াবতী।হোক না এটা নতুন মায়াবতী।”
বলেই আদ্র সোনালী ও মালিনীকে সালাম দিল।অতঃপর আদ্রর চোখটা গেলো কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে থাকা অভিমানী এক নারীর দিকে।সিয়া মনটা খারাপ করে দাড়িয়ে আছে।এতদূর থেকে টানা একমাস পর এলো।তার দিকে একবারও চাইলো না।এটা তো বড় অন্যায় হয়েছে তার সাথে।সিয়া মুখটা শুকনো করে ভিতরে ঢুকলো।একটা কথাও বলেনি আদ্রর সাথে।আদ্র এটা দেখে চুপ করে হাসলো।প্রেয়সী অভিমান করেছে।এখন তাকেই আগলে নিয়ে অভিমান ভাঙতে হবে। সিয়াকে এভাবে চলে যেতে দেখেছে সবাই।রাজ আদ্রর কাছে এসে বলে,”আমার বোনের মন হাহাকার করছে।বোনের কষ্ট কিছু ভাই হয়ে আমার সহ্য হয়না।আমার জীবনের এক অংশ আমার বোন।যেটা তোমার হাতে দিয়ে তোমাকে রক্ষক বানিয়েছি।এখন যাও আমার বোনের অভিমান ভাঙিয়ে দেও।”
আদ্র মৃদু হেসে চলে গেলো ভিতরে।মায়া রাজের দিকে তাকিয়ে আছে।রাজ এটা দেখে মাথাটা একটু নিচু করে বলে,”এভাবে তাকিয়ে আছো কেন মায়াবতী?”
“দেখছি আপনাকে।”
“কি? বরকে কি আজকে একটু বেশি হ্যান্ডসাম লাগছে নাকি?”
“উহু।”
“তাহলে?”
“একটু ভিন্ন।যেনো সেই মানুষটা। যাকে এক সময় খুব মিস করতাম।”
রাজ কিছু বুঝলো না।এক সময় মিস করতো মানে কি?পরে ভাবলো হয়তো রাজ বিদেশে থাকতে রাজকে অনেক মিস করেছে মায়া।এই অবর্তমানে ঘটে যাওয়া কিছু অজানা ঘটনার খোঁজ করছে রাজ।যেটা জানতে পারলেই সবকিছুর সমাধান।রাজ মাথাটা সোজা করে অন্যদিকে তাকালো।দেখলো মাহমুদ সরদার তার দিকেই সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। রাজ মাহমুদ সরদারের দিকে তাকিয়ে বলে,”এভাবে কি দেখছো?”
“দেখছি আমার নির্লজ্জ ছেলেকে।এতগুলো মানুষের সামনে বউয়ের দিকে কিভাবে ঝুঁকে থাকে।”
“তুমি বাবা হয়ে মাঝে মাঝে এমন কথা বলো না!মনে হয় তুমি কোনো বাংলা সিনেমার হিরোইনের বড়লোক ভিলের বাপ আর আমি সেই হিরোইনের জীবনে আসা গরীব হিরো।”
“এমনটা হলেও মানা যেতো।অন্তত লাজলজ্জা বেঁচে থাকতো।এখন তো ওটাও থাকে না।অবশ্য তোমাকে আর কি বলব?আমার পোড়া কপালের দোষ।জন্ম দিয়েছিলাম এমন এক পুত্রকে যে ক্ষণে ক্ষণে লজ্জায় ফেলে।”
“আমাকে জন্ম দেওয়ার আগে ভেবে চিন্তে জন্ম দেওয়া উচিত ছিল।তাহলে এই লাজলজ্জায় পড়তে হতো না।”
মাহমুদ সরদার এবার ধমকের সাথে বলেন,”কুলাঙ্গার!তোমাকে আমি জন্ম দেইনি।তোমার মা দিয়েছে।”
“সূত্রপাত তুমিও ছিলে বাবা।একা আমার মৃত মায়ের দোষ দিবেনা।তোমার চরিত্র ঠিক থাকলে আমার জন্ম হতো না।”
“আহান ওর মুখটা সেলাই করে দে।নাহলে এই ছেলে কবে আমার হাতে খুন হয়।”
আহান সরদার বিপাকে পরে বলেন,”মাথা ঠাণ্ডা করো ভাই। আর রাজ বাপ তুই তো মন্ত্রী হয়েছিস।পরিবারের বড় সন্তান।একটু মুখটা সামলা।”
“আমি কি নিজ থেকে কথাগুলো বলি।সবকিছুর সূত্রপাত তো আমার বাবাই করে।এখনই তো দেখলেন লাইভ।তাও আমাকে বলবেন বুঝেশুনে চলতে?”
মাহমুদ সরদার এবার তেড়ে আসতে নেয়।আহান সরদার তার দুই হাত ধরে আঁকড়ে নিয়ে ঘরের ভিতর চলে গেলো।মায়া হতাশ চাহনি দিয়ে দেখছে।পিছনে ছিলো হিয়া আর রুদ্র।হিয়া হা হয়ে দাড়িয়ে ছিল আর রুদ্র ওর পিছনে।পাশে থাকা দেওয়ালে হেলান দিয়ে মজা নিচ্ছিলো পরিস্থিতির।আহান সরদার ভিতরে ঢোকার আগে একবার রুদ্রর দিকে তাকিয়ে চোখ গরম করে শাসিয়ে বললেন,”বড় ভাইয়ের থেকে ভালো কিছু শিখলে শিখবে কিন্তু এই খারাপ দিক খবরদার শিখবে না।তাহলে তোমার পজিশন কি আমি দেখব না।”
বলেই তিনি ভিতরে চলে গেলেন।হিয়া মুচকি মুচকি হাসছে।রুদ্রকে কেউ বকলে তার ভালোই লাগে।রুদ্র হিয়ার হাসির দিকে এক সূক্ষ্ম চাহনি দিয়ে বলে,”বুঝলে ব্রো!আমাদের বাপেরা আমাদের নিয়ে খুব টেনশনে থাকে।অথচ নিজেরাই আমাদের মস্তিষ্ক আগে বিগ্রিয়ে দেয়।শুধু শুধু আমার এই সাতাশ বছরটা একায় কাটিয়ে রাখছে।বলছি বাড়িতে তার ছোট বউমার অভাব আছে।শুনছেই না আমার কথাটা।আমি কিছু বললেই তেলে পানি পড়ার মত ছিটকে ওঠে।”
রাজ রুদ্রর দিকে তাকিয়ে দুষ্টু হেসে বলে,”যে ছেলেদের বাবা বিয়ে নিয়ে এত ছলচাতুরি করে তাদের ছেলেরা যে কি কষ্টে জীবন পার করে এটা আমার মত জীবন কাটানো এক নিরীহ মন্ত্রী জানে।”
মায়া এক ভ্রু উচু করে বলে,”নিরীহ মন্ত্রী!এটাও কি না মানতে হবে?”
তখনই পিছন থেকে ডাক দিলো তারা।তারার ডাক শুনে পিছনে ঘুরে তাকালো মায়া।তারা সবার দিকে তাকিয়ে বলে,”আপনার শরীর কেমন আছে এখন?”
“ভালো।”
“আমি আসলে আপনার জন্য রান্না করেছিলাম।খাবেন না?”
“হুম খাব।আমি আসছি।”
আসলে তারা চাচ্ছে আড়ালে মায়ার সাথে কিছু কথা বলতে।এই বাড়িতে কে কেমন এতটাও ভালো করে তারা জানেনা।বিশেষ করে আদ্র,রুদ্র বা আহান সরদার এদেরকে তো খুব কমই দেখেছে।ভালোভাবে চেনে তো এই এক কি দের বছর ধরে।রুদ্র পড়াশোনা শেষ করে তারপর এসেছে।কিন্তু কিছু সংখ্যক মানুষ বাদে সবাই জানে রুদ্র পড়াশোনায় ওষ্ঠরম্ভা।মায়া ভালোভাবে তাকালো তারার দিকে।দেখলো মায়াকে বলার জন্য কিছু একটা ফুটে উঠেছে তার চোখেমুখে।মায়াকে সে কিছু বলতে চায়।নাহলে এভাবে তাকিয়ে আছে কেন?মায়া তারার কাছে যেতে নিবে তখনই একটা কালো গাড়ি আসে।গাড়ি থেকে নামানো হয় দুজন ব্যক্তিকে।এখন পিয়াশ আরেকজন মৌ।
তবে একাধিক গার্ড ও পিয়াশ সামনে থাকায় মৌকে দেখতে পেলো না কেউই।একজন গার্ড বলে উঠে,”স্যার আপনার কথা অনুযায়ী এক ঘণ্টার ভিতরেই পিয়াশকে এনেছি। এখান থেকে বিদায় নিয়ে সোজা কাজী অফিসে গেছিলো।”
রাজ পিয়াশের দিকে তাকিয়ে আলতো হেসে বলে,”কি ব্যাপার পিয়ু বেবী!আমার থেকে বিদায় নিয়েছিলে ভালো কথা তাই বলে এই পৃথিবী থেকে অতি দ্রুত বিদায় নেওয়ার ব্যবস্থা করবে?এটা তো খুবই দুঃখের কথা।আমাকে দেখেও তোমার শিক্ষা হলো না?বিয়েটা কি এতই দরকার ছিল এখন তোমার?এবার বুঝবে তোমার মন্ত্রীর জীবন কতটা ভাসমান নদীর মত।নদীর একূলে গেলেও জ্বালা অকূলে গেলেও জ্বালা।”
পিয়াশ কোনো কথা বলে না।রাজ আবারও বলে,”তো বিয়েটা কি হয়ে গেছে নাকি আধা আধুরা বিয়ে এখন কমপ্লিট করে দিব?”
“বিয়ে কমপ্লিট হয়েই গেছে স্যার।”
কথাটা বলল পিয়াশ।এটা শুনে রুদ্র বলে,”আরে ভাই আমি সাতাশ শেষ করার কাছাকাছি এসেও এখনও বিয়ে করতে পারলাম না।তুই ব্যাটা ছাব্বিশে পা দিয়ে আমার থেকে একধাপে এগিয়ে গেলি?”
“এটা একসিডেন্টলি এগিয়ে গেছি স্যার।এত তাড়াতাড়ি এগিয়ে যাওয়ার কোনো চিন্তাভাবনা আমার ছিলো না।”
রাজ এবার বলে ওঠে,”তো আমাদের দেখাও কে তোমাকে একধাপে এগিয়ে দিলো।”
পিয়াশ সরে দাঁড়ালো।মৌকে দেখতে পেলো সবাই।মৌকে দেখেই মায়া চিল্লিয়ে বলে ওঠে,”বোন তুই?”
মৌ মায়ার কন্ঠ পেয়ে চমকে তাকালো।মায়াকে দেখে হালকা কেঁপে উঠল।পিয়াশ অবাকের সাথে তাকালো।কিছুই বুঝল না সে।মায়ার রিয়েকশন দেখে রাজ যা বোঝার সব বুঝে গেছে।তাই হতাশার সাথে বলে,”হতচ্ছাড়া!আমাকে এমনিতেই জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মারতে সাত সকালে কল দিয়ে শান্তি পাওনি এখন আবার আমার শালীকেও তোমার বিয়ে করা লাগলো?”
মায়াবতীর ইচ্ছা সিজন ২ পর্ব ২০
পিয়াশ যেন এখন মাথা ঘুরে পড়ে যাবে।একটু কষ্টের সাথেই মুখ কালো করে বলে,”আগে যদি জানতাম এই নারীটি আপনার শালী,বিশ্বাস করেন থানায় থাকতাম কিন্তু কাজী অফিসে আমি যেতাম না।”
“তুমি ব্যাটা এখন কাম সেরে নাটক করো?”
“জীবনটাই তো নাটকের সাথে যাচ্ছে।আগে তাও মন্ত্রী নিয়ে বিপাকে পড়েছি এখন মন্ত্রীর শালী!আমার কষ্ট কি এই দুনিয়ায় বুঝার কেউ আছে?”
