মি মাফিয়া পর্ব ১২
সুমাইয়া সাবিহা
আজ দুদিন হয় গ্রামে এসেছি ।আয়শ ভাইয়াও দুদিন আগে জামিন পেলো ,কিভাবে হয়েছে জানা নেই কেউ একজন নাকি নির্দেশ দিয়েছে ছেড়ে দিতে।এটুকুই জানা সবার।
গ্রামে আসার কারন আমার ছোটো বোন ছায়ার ১০ বছরের জন্মদীন উপলক্ষে আসা ,আসতে চাইনি এক প্রকার বাধ্য হয়েছি চাচার আর সামিরার জোড়াজুড়িতে জন্য।আসার পরেও কারো সাথে কথা বলিনি ছায়া ব্যাতীত। আর কেনোই বা বলবো ? যাদের কারনে জিবন টা উল্টা পাল্টা হয়েছে তাদের সাথে কি কথা থাকতে পারে? আজ ১২ টার পরেই কেক কাটা হবে,বাড়ি ভর্তি মানুষ ।এর আগেও হয়েছিলো কিন্তু এবারের টা একটু অন্যরকম ভাবে করা হচ্ছে সেটাও হঠাৎ করেই। যাই হোক কোনো মতে রাত টা শেষ করেই কাল চলে যাবো ভাবছি। কিন্তু মিস করছি একজন কে মনে পরছে ভিষন ভাবে ,সেদিনের পর আর দেখিনি আফরান ভাইয়াকে তবে জেনেছি তিনি সুস্থ আছেন।এতেই যেনো স্বস্থির নিশ্বাস ফেলি।
আচ্ছা আমার তো সেদিন ওভাবে কান্না করার কথা ছিলো না তাহলে ? কেনো কেদেছিলাম এতো?জানিনা কিছু জানিনা তবে খুব কষ্ট হয়েছিলো সেদিন এটুকু বলতে পারি ।
আমি আয়নার সামনে বসে সাজগোজ করছি আর ভাবছি এসব ,কারো ডাকে ধ্যান ভাঙে।পেছন ঘুরে তাকিয়ে আয়শ ভাইয়া কে দেখি।
কখন আসলে ভাইয়া?
__একটু আগে।একটা কথা বলবি?
__হুম বলুন
___আমি খুন করিনি এটা তুই বিশ্বাস করিস?
___পাগল হলে তো এটা ভাবতে যাবো আমি।আমার এখনো বুদ্ধি আছে বুজলে।
আয়শ হাসল।আমাকে বিশ্বাস করিস?
__:না করার কি আছে?
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
আয়শ:ঠিক আছে আমি গেলাম জলদি নিচে আস ১২ টা বাজতে আর মাত্র ১৫ মিনিট আছে শুনেছিস।
আমি ঘরির দিকে তাকিয়ে তাড়াহুরা করলাম ,কিন্তু আগে গেলে যদি আমায় ওসব উল্টো পাল্টা জিনিস মাখিয়ে সাজ নষ্ট করে দেয় ভেবেই সবার শেষে যাওয়ার মনোভাব করলাম ।
ভাবনার মাঝেই হঠাৎ সামিরা এসে বললো ,জলদি চল লেট হয়ে যাচ্ছে তো বলেই আমাকে টানতে টানতে নিচে নিয়ে গেলো।
সবাই হাতের তালি দেওয়া শুরু করলো আমি বুজলাম না,হঠাৎ এভাবে তালি বাজানোর মানেটা । এখনো তো কেক কাটেনি তাহলে? আমার পাশে আয়শ ভাইয়া। আমি ভাইয়াকে বললাম সবাই এভাবে কি দেখছে গো ভাইয়া? আমাকে কি একটু বেশিই সুন্দর লাগছে?
আয়শ:হুম আজ একটু বেশিই সুন্দর লাগছে
আমি:সব সময়ের মতোই তো হালকা সেজেছি তাহলে আজ কেনো…আমার কথার রেশ টেনে বাবা এসে বললো,,হ্যা এটাই আমার বড় মেয়ে সবাই যেটা ভাবছেন সেটাই।
আমি বুজলাম না আমাকে এভাবে সবার সাথে পরিচয় করানোর কি আছে।আমি বাবাকে কিছু জিঙেস করতে যাবো তার আগেই বাবা আয়শ ভাইয়াকে দেখিয়ে বললো,
_এই যে দেখছেন আমার মেয়ের ফিয়ন্সি হতে চলেছে।আজ এখানেই দুটি অনুষ্ঠান হবে ,
প্রথমেই তো আয়শ বাবার সাথে আমার মেয়ে আংটি বদল হবে
পরে ছোট মেয়ের জন্মদিন।
আমি যেনো আকাশ থেকে পড়লাম ,বাবা কি পাগল হয়ে গেলো? এসব কি বলছে ,আয়শ ভাইয়ার সাথে বিয়ে ,,হুয়াট ইজ দিস ?
আমি বাবা কে উদ্দেশ্য করে বললাম ,এসব কি বাবা ?
বাবা আমার কথাটা যেনো শুনলেনই না।
আমি আয়শ ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বলরাম,এসব কি ভাইয়া,,এটা কি মজা করার সময় ,তাও এমন মজা,আমার একদম ভালো লাগছে না এটা।
আয়শ:কেনো?তুই আমায় পছন্দ করিস না?
আরিয়া: এসব কি বলছো আয়শ ভাইয়া ,আমি তোমাকে পছন্দ করি বাট ওভাবে …
আয়শ:তাহলে প্রবলেম কোথায় যা হচ্ছে মেনে নে।
আরিয়া:তার মানে তুমি আগে থেকে জানতে?
আয়শ:নাহ,,এসে জেনেছি,বাবা আর চাচা মিলে আগেই ডিসাইড করে নিয়েছিলো।
আরিয়া:আসার পর জেনেছো আমি এখন জানলাম ,আমাকে একবার বলার প্রয়োজন বোধ করলেনা?
পাশ থেকে রহিমা বেগম(আরিয়ার মা) বলে উঠলেন,
__আস্তে কথা বলো আর তোমার মতামত কেউ চায়নি ,বাবার কথা মেনে নাও।আয়শ ভালো ছেলে।তার কাছে তুমি ভালো থাকবে।
আরিয়া: এটা আমি অস্বীকার করছিনা মা কিন্তু…
রহিমা:আর কোনো কিন্তু নয় সুন্দর ভাবে আংটি বদল করে নেও ।
–এংগেজমেন্ট টা বাধ্য হয়েই করতে হলো বাবার সম্মানার্থে।নাহলে কি যে করতাম নিজেও জানিনা এগুলো কোন ধরনের কথা হলো? এখন কি উনার সাথে মার বিয়ে হবে ভবিষ্যতে? কথাটা ভাবতেই মাথাটা যেনো ব্যাথা শুরু হলো ।
তারপর ধুমধাম জন্মদিন টাও পালন হলো ।অথচ আমার এসব বিরক্ত লাগছে তাই সেখান থেকে রুমে চলে আসলাম ।
প্রেমা:বলছিস কি এসব
আরীয়া :রাগাস নাতো এখন।বাবার সম্মান টাও বাচানোর ইচ্ছা ছিলো না কিন্তু এমন পরিস্হিতি হয়ে গিয়েছিল যে কিছু করার ছিলো না।
সামিরা:যে যাই বল ,আয়শ ভাইয়া কিন্তু তোকে অনেক ভালোবাসে।
আরিয়া হাতের স্কেল টা দিয়ে বেন্চে বাড়ি মেরে সামিরার পাশ থেকে সরে গিয়ে অন্য বেন্চে বসলো।
প্রেমা:আরে রাগ করিস কেনো? সামিরা এমনি বললো।তাছাড়া তোর তো এক্সটা চয়েজ নেই যে রাগ করবি তাইনা।
প্রেমা কথায় হতভম্ব হলাম,আসলেই তো আমি রাগ করছি কেনো? বিয়ে তো করতেই হবে তাহলে যে আমাকে ভালোবাসে তাকে করলে প্রবলেম টা কি? কিন্তু তবুও কেনো এতো বিরক্তিকর লাগছে সব কিছু?
ক্লাশ শেষে গাড়ি আসলে উঠে বসলাম ,বসতে বসতে খেয়াল করলাম ড্রাইভারের জায়গায় আয়শ ভাইয়া। এনাকে এই মুহুর্তে আমার একদম সহ্য হচ্ছেনা। নিজে জানার পরেও স্বার্থের জন্য মানুষটা আমায় জানালো না।উনার সাথে কোনো কথা নেই আমার।
আমি চুপচাপ বসে আছি বাইরের দিকে তাকিয়ে।
কিছুক্ষন পর ভাইয়া নিরবতা কাটিয়ে বললো,এখনো রেগে আছিস?
আমি কিছু বললাম না ।
আয়শ:দেখ এভাবে তোকে রাগ করতে দেখলে ভালো লাগেনা
আমি ভুল করেছি মানলাম তো ,এবার তো মাফ কর।
আমি ভাইয়ার দিকে একবার তাকিয়ে ভাইয়ার দেওয়া ডায়মন।ডের আংটি টা খুলে তার দিকে ধরলাম।
বিষয় টাতে ভাইয়া বোধয় কষ্ট পেলেন,সাথে সাথে গাড়ীর ব্রেক ধরলেন।
আয়শ ভাইয়ার আমার দিকে ছলছল দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে এখনি বোধয় জল গড়িয়ে পরবে।
আমি বুজতে পেরে বললাম ,আমার আংটি পরতে ভালো লাগেনা।
আয়শ ভাইয়া কিছু বললো না।
আমি পড়লাম মহামুশকিলে,আজব এক জীবন আমার ,যা কিছু হয় সব বাধ্য হয়ে করতে হয় যতসব ন্যাকামোর জীবন আমার ,না চাইতেও আবার পড়ে ফেললাম।
আয়শ:না পড়তে চাইলে নিজের কাছে রেখে দিস।
আরিয়া কিছু বললোনা।
রাত্রে খাবার খেয়ে এসে শুয়ে পড়লাম ,ফোন টা একটু ঘাটাঘাটি করে আবার রেখে দিলাম ।কিছুই ভালো লাগছে না সব বিরক্ত লাগছে একদম ,আমি শোয়া থেকে উঠে বসলাম। দরজা খুলে বাড়ির একদম কর্নারের রুম টার দিকে তাকালাম ,
নাহ সব অন্ধকার তার মানে আজকেও তিনি আসেননি বাড়ি। কিন্তু আমার যে ভিষন দেখতে ইচ্ছে করছে। না থাকলে নাই একটু উনার রুম টা গিয়ে দেখে আসি ,তাও একটু ভালো লাগবে বোধয়।আমি টিপ টিপ পায়ে উনার রুমের দরজা খুল্লাম আজ তো লক করা নেই ভেবেই একটু খুশি লাগলো ।
গিয়ে লাইট না জালিয়ে শুয়ে পড়লাম । বিছানা থেকে সুন্দর ঘ্রান আসছে আচ্ছা উনি কি বিছানায় ও সুগন্ধি লাগায়? আচ্ছা উনার রুম টা তো আজও দেখা হয়নি একটু আজ যখন সুযোগ পেয়েছি দেখে নেই। ভেবে খাট থেকে নেমে যেতেই রুমের লাইট জলে উঠলো ।আরিয়ার বুক টা কেপে উঠে।চোখ তুলে তাকাতেই দেখলো আফরান হাতে কোট নিয়ে দাড়িয়ে আছে ।
আরিয়া ঢোক গিললো , ভয়ে কাপতে লাগলো হাত পা।কিন্তু আরিয়ার ভাবনা কে কুলষীত করে দিয়ে আফরান আরিয়ার কে না দেখার ভান করে পাশ কেটে ভেতরে ঢুকে খাটের উপর কোট টা ছুরে ফেলে ,গলার টাই খুলতে খুলতে আড়চোখে আরিয়ার দিকে তাকায়।
আরিয়া জানে আফরান ইচ্ছে করেই তাকে ইগনোর করছে। এতোদিন অনেক চেষ্টা করেছে একটু দেখার আজ তো দেখছে কই মুখে কেন কথা ফুটছেনা? তার তো ক্ষমা চাওয়া উচিৎ আফরানের থেকে। তার জন্যই তো ঐ দিন নিজেকে আঘাত করেছিলো আফরান। দেরীতে হলেও বুজতে পেরেছিল তাকে বাচানোর জন্যই নিজেকে আঘাত করেছিলো।
আফরান গলা খাকারী দেয় ,আরিয়া তাকায়।কিন্তু বুজতে পারছেনা সে তার রুমে আসার জন্য এতোক্ষনে পুরো বাড়ি মাথায় তুলে ফেলতো অথচ আজ কিছুই বলছেনা?
আফরান:আমি শার্ট চেন্জ করবো । আমি চাইনা কেউ আমার পাপিষ্ঠ শরীর দেখুক।
আরিয়া বুজতে পেরে রুম ছাড়ে।
২ টার উপরে বাজে এখনো আরিয়ার চোখে ঘুম নেই । খুব কষ্ট পেয়েছেন তিনি? ঐদিন খুব ভাবে বকেছিলাম উনাকে? হ্যা !বকেছিলাম তো ।কষ্ট কেনো পাবেন না ? আমার শাস্থি পাওয়া উচিৎ উনার কাচ থেকে। কিন্তু আমাকে মারলেন না কেন আজ?
আচ্ছা উনি কি সত্যি আমাকে ভালোবাসেন? তাহলে বলেন না কেনো? ওহ আমি কিসব ভাবছি,উনি আমায় কেনো ভালোবাসতে যাবেন আশ্চর্য । আমি উনার সম্পর্কে এসব কেন ভাবছি? আচ্ছা উনি কি ঘুমিয়ে গেছেন? উনাব বুকে কি এখনো ব্যাথা আছে?
নাহ আর ভাবতে পারছিনা একবার দেখেই আসি ,ধরা খেলে বকা খাবো নাহয় দুইটা চর খাবো কি আর হবে এমনিতেও অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। কথাগুলো নিজে নিজে বলে পা বাড়ালো আবারো আফরানের রুমের দিকে।
পা পা করে আসতে ধীরে রুমে ঢুকার আগে একবার দরজায় হালকা আওয়াজ করেছিলো জেগে আছে কিনা চ্যাক করতে ।
বুজতে পারলো ঘুমিয়ে পরেছে তাই সংকোচ ছাড়াই রুমে ঢুকলো রুমের ডিম লাইট টা জালানো অফ করতে গিয়েও করলো না।অফ করলে যাকে দেখার আছে দেখবে কিভাবে ?
আরিয়া আফরানের মাথার কাছে গিয়ে দাড়ালো । চুলগুলো এলোমেলো হয়ে আছে ,ঝাপসা দেখা যাচ্ছে সব কিছুই।
আফরান এর মাথার কাছে গিয়ে ফ্লোরে লেপ্টে বসে বললো,খাটের উপর দুহাত রেখে হাতের তালু দিয়ে নিজের দুগালে ভর দিয়ে নিম্ন গলায় বলতে লাগলো ,আচ্ছা আপনার ব্যাথা আছে এখনো? আমি কি খুব বাজে বলেছিলাম? আপনি তো আপনার কথা রাখলেন আমার সামনেও আসেননি ইচ্ছে করে ।আমাকে আগের মতন ও জালাতন করেননি ।কিন্তু আমার কেনো আপনার এমন নিরবতা ভালো লাগছে না ? দুরে যেতে চেয়েও কেন বারবার আপনাকে নিয়েই ভাবছি কাছে আসার আপ্রান চেষ্টা করছি ? কেনো বলতে পারেন ? আমি তো চেয়েছিলাম আপনার থেকে দুরে কোথাও চলে যেতে তাহলে আপনাকে একটু খানি দেখার তৃষ্ণায় কেনো বারবার আপনাকেই খুজছি বলতে পারবেন? আরিয়া কোমল কন্ঠে এগুলো বলে দুফোটা চোখের জল ফেললো । আরিয়া আফরানের বুকে ধরে দেখতে চাইলো তার ব্যাথা টা এখনো আছে কিনা তাই হাত বাড়ালো ,আকস্মীক আরিয়ার হাত টা আফরান ধরে বললো,
__এই পাপীষ্ঠ শরীরে হাত বাড়িও না ,তোমার হাত অপবীত্র হয়ে যাবে।
আরিয়া ভয়ে কেপে উঠলো।
__আ…আপনি কখন উঠলেন?
__ঘুমিয়েছি কখন?
___ম..মানে?
___ কিছুনা । তা এখানে কেনো এসেছো ? আমি তো জালাইনি তোমায় ,আমার নোঙরা শরীরের ছোঁয়া তোমাকে দেইনি তাহলে কেনো এসেছো?
আরিয়া হঠাৎ ঐ ফুপিয়ে উঠলো । আ…আমি ইচ্ছে করে বলিনি ঐদিন।
আফরান :আমি উত্তর চাইনি।
আরিয়া এবার মৃদু শব্দে কাঁদতে লাগলো।
আফরান পাশের ল্যাম্প লাইট টা জালিয়ে বললো,,
__এখানে এসে এভাবে ন্যাকামু কেন করছিস হ্যা? যেভাবে চেয়েছিস পেয়েছিস তো তাহলে? আর কি চাই তোর ? আমাকে মেরে দিয়ে পরে হেপি থাকবি? বল ।তাহলে মেরে দে আমায় আমি নড়বো ও না বিন্দুপরিমান,
একটু ধমকিয়েই বললো কথা গুলো।
আফরানের কথা গুলো শুনে আরিয়া এবার ভ্যা ভ্যা করে কাদতে লাগলো।
আফরান:আজব তো এভাবে কাদছো কেনো হ্যা?
আরিয়ার কান্না থামার কোনো নাম গন্ধ নেই।
আফরান এবার আরো জুড়ে ধমকিয়ে বললো ,
__চুপ, একদম চুপ আর একটু আওয়াজ করবি তো এখানেই মেরে দেবো ।
আরিয়া সেইম ভাবে কাদেই চলেছে।
আফরান :আরে আমাকে কি ভয় পাও না একটুও আজব তো । কথা না শুনলে কি হবে জানো তো?
দুজনের চেচামেচিতে জাফর আয়শ উঠে আফরানের রুমে আসলো,এসে আরিয়া কে কাদতে দেখেই জাফর সাহেব তেতে উঠলেন।
আচ্ছা আফরান তুমি কি জীবনে মানুষ হবেনা নাকি? এতো রাত্রে মেয়েটাকে ডেকে এনে মারলে। এটার কোনো মানে হয়?
আফরান:যে যেটার যোগ্য সেটা পাবেই ,তোমরা এখানে আসলে কেনো ? আমি এই মেয়ের ন্যাকামু কান্না দেখতে ব্যাস্ত ।আশ্চর্য একটা মানুষ এতো কাদতে পারে কিভাবে হা?
আয়শ:আফরান এতো রাতে ওকে এভাবে তোর রুমে ডাকলি কেনো? এখন আর ছোট নেই আরিয়া
আফরান:আজব তো আমি ডাকতে যাবো কেনো ওকে ,ও নিজেই তো এসেছে
জাফর:আরিয়া নিজে এই রুমে আসবে ? আমরা এতো বছরেও দেখিনি এখানে পা রাখতে আর তুই বলছিস আজ তুই আছিস জেনেও ও এখানে আসবে?
আফরান:আশ্চর্য তো আমি জানি কি ও কেনো এসেছে।
আরিয়া এখনো কেদেই যাচ্ছে
আফরান:এটাকে এখান থেকে নিয়ে বিদায় হও তো ।এভাবে কাদছে কেনো আমি কি করেছি হা?
আয়শ : তুই কি করতে পারিস সেটা ৪ বছর আগেই দেখে নিয়েছি ।
আর শুন ও এখন আমার হবু স্ত্রী বুজলি ওর সাথে আমার এংগেজমেন্ট হয়েছে ,এক্সাম বাদেই বিয়ে ।এখন থেকে ওকে মারা মারি হাত তুলা সব বাদ দে ওকে । আমার হবু স্ত্রীর গায়ে কেউ হাত দিবে সেটা আমি মেনে নেবো না। মাইন্ড ইট।
আয়শের কথায় আফরান হেসে বললো,
__ইয়েস সেটাই বলছি,একে এখান থেকে নিয়ে ফুট। গেট লস্ট ।আর তর হবু বউ কেও বলে দে যেনো আমার রুমে যখন তখন না আসে ,তোর রুমে নিয়ে যাস ওর তো কিছু চাহিদাও থাকতে পারে তাইনা।
আফরানের কথায় আয়শের গা জলে উঠে দু হাত মুষ্ঠি করে দাত কটমট করতে থাকে।
জাফর : হচ্ছে টা কি এখানে হ্যা? আফরান তুমি কিন্তু সীমা লঙ্ঘন করছো এবার
আফরান:আমি সীমা আজ নয় অনেক আগেই ছাড়িয়ে গেছি,সো গট ইট?
এখন যাও এখান থেকে ।
মি মাফিয়া পর্ব ১১
জাফর আরিয়া কে তুলে বলে ,বেশি মেরেছে?
আরিয়া হেচকি তুলছে যার কারনে বলতে পারছে না কিছু।
এখানে আর দাড়িয়ে না থেকে আয়শ আরিয়া কেকোলে তুলে নিয়ে চলে যায় ,জাফর কিছু না বলে সেখান থেকে চলে আসে।
অফরানের চোখ দুটো রক্তিম হয়ে আছে। দাতে দাত চেপে বিছানায় এক হাতে ঘুষি মেরে বললো,ডেম ইট।
তারপর……..