মি মাফিয়া পর্ব ৩২

মি মাফিয়া পর্ব ৩২
সুমাইয়া সাবিহা

আর একটা কথা বললে এখানেই পুঁতে দেবো বলে আরিয়ার ডান হাত টা সব টা শক্তি দিয়ে চেপে ধরে বললো ,আমার কাছে আর কখনো আসবিনা,যেটা ভাবছিস সেটাই করে দেখাবো এবার ।
আরিয়া:আহ,,,হাত ছাড়ুন ব্যাথা লাগছে তো। বলে আরিয়া ছুটার বৃথা চেষ্টা চালায় ,
আফরান:আমি ধরলে তোর ব্যাথা লাগে অন্য কেউ ধরলে তোর শান্তি লাগে,এমন‌ শান্তি কেড়ে নিতেও দুমিনিট ভাববো না ,ঐ ছেলেকে মেরে দেই বল? এটাই চাচ্ছিস? ঠিক আছে wait for tomorrow baby,বলে বাঁকা হেসে আরিয়ার হাত ছেরে চলে যেতে নেয় আরিয়া দ্রুত পায়ে সামনে গিয়ে বললো ,কি করবেন আপনি? সত্যি করে বলুন,সাদেক ভাইয়ার যদি কিছু হয় আমার চেয়ে খারাপ কেউ হবেনা #কেরেক্টারলেস_মি_মাফিয়া ।
আফরানের সহ্যের সীমা পেরিয়ে যায় , ক্যারেক্টার লেস বলে সম্বোধন করাটা ধৈর্যের বাইরে ছিলো ,কিভাবে এটা বলতে পারছে এই মেয়ে ,আফরান চৌধুরীর চরিত্রে আঙুল তুলছে ,হ্যাঁ আফরান চৌধুরী খারাপ ,কালো ব্যাবসায় অভ্যস্ত কিন্তু মেয়েলি কোনো রিপোর্ট নেই তাকে নিয়ে ।

কন্ট্রোল লেস হয়ে সাথে সাথে এক হাতে আরিয়ার গলা চেপে ধরে দেয়ালের সাথে মিশিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বললো ,মেরে দেই? মৃত্যুর ভয় তো নাকি তোর কোনো কালেই ছিলো না তাইনা ঠিক আছে ,বলে সব টা শক্তি চেপে দিয়ে ধরলো ।
আরিয়া চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে মুহূর্তে, নিঃশ্বাস টুকু আটকে যায় , শুধু ছোট কোমল দুটি হাতে বারবার আফরানের হাত টা সরানোর বৃথা চেষ্টা চালায় ।
আফরান এর কোনো পরিবর্তন নেই ,উল্টো বললো ,এখন কেনো বাঁচতে চাইছিস? তোর তো মরার ইচ্ছা জেগেছিলো তাইনা । আরেক ছেলের জন্য এতো দরধ উথলে উঠছে এই মুখ দিয়ে বলেছিলি না ,তোর এই জবান শক্তি সব টা কেড়ে নেবো যেনো কখনো কারো নামে কিছু বলতে হাজার বার ভাবতে হয় ,,বলে আফরান আরিয়ার ঠোঁটে ঠোঁট বসায় , কিন্তু উদ্দেশ্য আবেগময় নয় ভয়ঙ্কর কোনো কিছু করা ,, সেকেন্ড কয়েক পর আরিয়ার ঠোট ছেড়ে দিতেই অনর্গল রক্ত পড়তে থাকে ঠোঁট বেয়ে আরিয়ার। ভিষন জোরে আফরান ঠোঁটে কামড় বসিয়েছে । নয়তো ডিরেক্টলি অনবরত রক্ত পরতো না ।আরিয়ার গোঙানির আওয়াজ,চোখ বেয়ে নুনা জল নেমে রক্তের সাথে মিশে যাচ্ছে বুকের উপরে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

-আফরান চৌধুরীর ভেতর টা তোর চোখে পরে না তাইনা শুধু কি দেখলি না দেখলি ওসব নিয়ে পরে থাকিস ,তোকে আর লাগবেনা তোর থেকে তো আমার পেছনের ছেলে পুলে গুলোই ভালো ,যেমন বলবো ঠিক তেমন করবে।
এতো দিন যেটা দেখিসনি সেটাই দেখবি এবার থেকে বুঝলি ।
আরিয়ার শরীরের কম্পন ধীর হয়ে যাচ্ছে, শক্তি হাড়িয়ে যাচ্ছে ,এই বুঝি এভাবেই তাকে জিবন টা দিতে হবে এখানে ।
আফরান : এতো দেরী করছিস কেনো? এখনো দম বন্ধ হয়না কেনো তোর?
বলেই আফরান আরিয়া গলা থেকে হাত সরিয়ে আরিয়ার এক হাত ধরে ধাক্কা দিয়ে বিছানার উপর ফেলে দেয়।
আরিয়া জোড়ে জোড়ে নিঃশ্বাস নিচ্ছে বুকের উপর হাত রেখে , মৃদু শব্দে কাশি সংযত করছে ।
আফরান:ছেহ আফরান চৌধুরী ও নাকি এইটুকু একটা মেয়েকে মারতে পারছেনা । নিজের উপরেই ঘৃণা হচ্ছে। বলে হাতের বন্দুক টা জোড়ে আওয়াজ করে ফ্লোরে ফেলে ,সাথে সাথে এটা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায় ।

এই বাড়িতে যেনো তোকে আর না দেখি ,কখনো চোখের সামনে আসবি না আমার ,মনে থাকে যেনো । এইটা বুঝে গেছি যে,যতোই তোকে আগলে রাখবো ততই তুই বিগরে যাবি তোর চ্যাপ্টারে আন্ডারস্টিং নামের কোনো ওয়ার্ড নেই ,আর আমার কাছেও ক্ষমা নামক কোনো ওয়ার্ড নাই মনে রাখিস,বলেই আফরান রুম থেকে বের হয়ে যায় ।
আরিয়া বালিশে মুখ গুজে কাঁদছে,, খুব অসহায় লাগছে নিজেকে ,কেনো আমার সাথেই এমন হয় ? আমি কি করেছি? এমন আচরন কেনো করলেন ভাইয়া ?,যেটা সত্যি সেটাই তো বললাম ,উনি কি করে পারলেন ঐ মেয়েটার হাতে রিং পরতে? পার্টিতে তো অপমান করে বলেছিলো ,উনি কেনো আমার মতো মেয়েকে নাকি কেউ বিয়ে করবেনা । কেউ ভালোবেসে থাকলে এমন বলতে পারে নাকি? আর এখন ? এখন তো প্রায় মেরেই ফেলেছিলো থাকবো না আমি এই বাড়িতে । পরিক্ষা লাগবেনা আমার কালকেই চলে যাবো । এসব বলে বলে আরিয়া ডুকরে কাঁদতে লাগলো।

ঠোঁটের রক্তে সাদা বালিশ লাল হয় ,চোখে পরতেই ঠোঁটে হাত লাগায় ,এখনো হালকা রক্ত টিপটিপ পড়ছে ,ঠোঁট ফুলে গেছে অনেক টা ,কি এমন বলেছিলাম? উনি কেনো এমন একজন সাদামাটা মানুষ কে মারবেন? এইটুকুই তো বুঝাতে চেয়েছিলাম ।যদি এতোই জেলাস হোন আপনি এইটুকু নরমাল কথায় তবে নিজে যখন মেয়েটার হাত থেকে রিং পরছিলেন আমার কেমন লেগেছিলো ভেবেছেন একবার ভাইয়া? শুধু নিজের টাই বুঝেন আপনি ভাইয়া । বলে হেঁচকি তুলে কাঁদতে লাগলো।
প্রায় অনেকক্ষণ কাদার পর পর যখন মনটা হালকা হলো চোখ মেলতে কষ্ট হচ্ছে, কাঁদতে কাঁদতে চোখ ফুলিয়ে বসে আছে ।
দাঁড়ানোর শক্তি টাও যেনো শরীরে নেই মনে হচ্ছে,তবুও ধীর পায়ে গিয়ে দরজা টা আটকে এসে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এসে চেঞ্জ করে‌ নিলো ।

পানির জন্য হাত বাড়াতেই দেখলো জগ খালি , বিরক্তি নিয়ে উঠে দাঁড়াতে গেলেই চোখে পড়লো গ্লাসে পানি রাখা , আরিয়া কপাল কুঁচকে একটু তাকায় ,সে তো কখনো আগে থেকেই পানি রাখেনা । আচ্ছা কখন রাখলাম এটা? বিরক্ত লাগছে ভাবতেও তাই আর কিছু না ভেবে পানি টা খেয়ে নেয়।
দরজার শব্দে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় আরিয়ার,চোখ খুলতে কষ্ট হলেও একবার কষ্ট করে দরজার দিকে তাকায় ,সামিরা ?
উত্তর আসলো না ওপাশ থেকে । আরিয়া ঘড়ির দিকে একবার তাকায় ,ওহ গড ১২ টার উপরে বেজে গেছে । এতোক্ষণ কিভাবে ঘুমালাম আমি? ভেবেই হকচকিয়ে উঠে বসে ,ওহ আজ তো কলেজে বিশেষ ক্লাস ছিলো ।মিস হয়ে গেলো তো । কিন্তু সামিরা কেনো ডাকলো না আমায়? ও নিশ্চয়ই চলে গেছে একা।
ভেবেই হালকা উমমম আওয়াজ করে নিজের চুল দুহাতে খিচে ধরে আরিয়া , হঠাৎ রাতের কথা মনে পরে ।
চোখে মুখে ভয়ের ছাপ ,চারদিক টা একবার দেখে নিয়ে ঢোক গিলে । হ্যাঁ আর তো সে কলেজ যাবেনা ,বাড়িতে চলে যাবে । এখানে থাকলে দিনের পর দিন এমন অপমান অবহেলা নিয়েই থাকতে হবে সেদিন যদি মা বাবার সাথে চলে যেতাম সেটাই ভালো ছিলো।

ফ্রেশ হওয়ার জন্য গিয়ে একেবারে গোসল করেই বের হয় আরিয়া ,আয়নার সামনে গিয়ে ভাবতে লাগলো পুরোনো অস্তিত্বের কিছু স্মৃতি মাখা মুহূর্ত আফরানের সাথে , হঠাৎ খেয়াল করে ঠোঁটের দিকে ,একরকম অবাক হয় আরিয়া ,রাতেই তো ব্যাথায় মরে যাচ্ছিলাম,এতো খানি কাটা জায়গা ,অথচ এতোক্ষণ গোসল দিলাম একটুও কষ্ট হয়নি ব্যাথা লাগেনি । তারপর ঠোঁটের উপর হাত ছোঁয়ায় কাটা জায়গায় একটু জোড়ে চাপ দিয়ে দেখলো, সত্যিই তো ব্যাথা নেই ,এ্কাটা জায়গার ব্যাথাও একদিনে সেরে যায় তাও বিনা চিকিৎসায় এটা প্রথম দেখলাম ।
আরিয়ার ঠোঁটে হালকা হাসি জমে। ম্যাজিক মনে হচ্ছেসব টা ।

পরমুহূর্তে আবার আফরানের কথা মনে পড়তেই শরীরে কাঁটা দিলো , আচ্ছা উনি পরে আসেননি তো আবার আমার রুমে? কিন্তু উনি কেনো আসবেন? উঁহু আসলেই তো উনি কেনো আসবেন? উনি তো আর আমার কথা নিয়েই বসে থাকেন না । তাছাড়া আগে একটু হলেও কেয়ার করতো সেটা মিথ্যে নয় কিন্তু এখন যে করবেনা সেটাও মিথ্যে নয় ,উনার ভাবনায় এখন‌ অন্য কেউ।যাই হোক আমার ভেবে কাজ নেই আমি জিনিস পত্র গুছিয়ে নেই ,এখন তো চাচাও থাকবেনা বাড়িতে সামিরা নিশ্চয়ই কলেজ । বাড়ি এখন ফাঁকা এটাই সুযোগ । ভেবেই আরিয়া কয়েকসেট জামা গুছাতে গিয়ে আবার থমকে যায় , এগুলো কেনো নেবে ও? বাড়িতে গিয়ে কিনে নেবে , এগুলো তো সব চাচা কিনে দিয়েছে ,এই বাড়ির বিন্দু পরিমাণ জিনিস ও নিতে চাইনা আমি । ভেবেই জামা গুলো আবারো কবার্ডে রাখতে লাগলো।

এই মুহূর্তে আফরানের পায়ের কাছে মাথা নতো করে বসে আছে তিনটে লোক । আফরান একটা উঁচু টেবিলের উপর বসে আছে,বড় একটা বাঙলো , অথচ আবছা অন্ধকার বাড়িটা ,ভেতরে তেমন কিছু নেই ,কয়েকটা ধারালো ছুরি বড় বড় , পিস্তলসহ স্টিলের ,লোহার লাঠি ।
আফরাননের হাতে একটা ছুড়ি ।
-আমাদের কে যেতে দিন ,আমাদের ভূল হয়ে গেছে স্যার ।কাঁদতে কাঁদতে ঘাম জড়িত শরীর টা এলিয়ে দিয়ে মাথা ফ্লোরে ফেলে বলতে লাগলো ছেলে গুলো।
আফরান তানভীর কে চোখে কিছু ইশারা করে । তানভীর আরো কজন ছেলেপুলে দের ইশারা করলে ঐ তিনটা লোককে ধরে দাঁড় করিয়ে মাথায় বন্দুক ধরে রাখে ।

-স্যার প্লীজ আমরা ভুল করে ফেলেছি ,আর হবেনা এবারের মতো মাফ করে দেন।
আফরান:আফরান চৌধুরীর ডিকশনারি তে ভূল আর মাফ এই দুই টা শব্দ মিসিং জানিস।
কাল থেকে তোদের পুশে রেখে ভালো করে জিজ্ঞেস করে যাচ্ছে,ভালো ভাবে বললি কই? আমাকেই আস্তে হলো। আমার আবার এমন ছোট খাটো গুন্ডাদের কাছে আসতে ভিষন বিরক্ত লাগে , কিন্তু কি করার আসতেই হলো যেগুলো কে টাকা দিয়ে পুষি ঐ সব গুলো একেকটা গর্ধব যে এখনো তোদের মুখ থেকে একটা শব্দ বের করতে পারলো না।
– স্যার,আমরা যদি বলে দেই তাহলে এমনিতেও আমরা মরবো । আমাদের যেতে দিন কথা দিচ্ছি আর দ্বিতীয় বার এমন ভূল হবেনা।
আফরান বাঁকা হেসে টুলের উপর থেকে লাফিয়ে নেমে বললো ,যেহেতু বলে বলে দিলে মরেই যাবি তার মানে বলবি না ,

তার মানে তোদের কাছে এখন দুইটা অপশন – বললেও মরবি, না বললেও মরবি ,এখন ডিসাইট কর বলে মরবি নাকি না বলে মরবি? সেটা তোদের একান্ত ব্যাপার ।বলে আফরান হাতের ছুড়ি টা ছুড়ে মারলো তানভীরের দিকে , তানভীর পরক্ষনেই সেটা কেস করে নেয়।
আফরান বাঁকা হেসে যেতে যেতে পেছন থেকে বাম হাতের উল্টো পিঠে দুই আঙুল ইশারা করে ।
মিনিটের মাথায় চিৎকারের আওয়াজ ভেসে আসে ।

সময় টা সন্ধ্যা বিকেল মনে হলো , সূর্যের রক্তিম আভা ছড়িয়ে আছে ,এই দৃশ্য টা গ্রাম অঞ্চলে বেশি লোভনীয় হয় ,মনে হয় ঐ গোলাকার তেজহীন সূর্যটা কে হাতে নিয়ে পিষে ফেলি ,কতোটা দৃষ্টি আকর্ষণ কারি এটা।
আরিয়া দেশে ফিরেছে ,সেই সকালে গাড়িতে উঠেছে এখন এসে নেমেছে ,রাস্তায় এতো জেম ছিলো যে এতো টা সময় লাগলো । নয়তো ৪/৫ ঘন্টায় এসে পৌঁছে যেতো।
হলুদ ফুলের শস্য ক্ষেত টা দেখেই একটা শস্থীর নিঃশ্বাস ছাড়ে আরিয়া ,আসার সময় মন টা বারবার চাইছিলো থেকে যেতে কিন্তু ওখানে থাকলে দম আটকে মারা যেতো আরিয়া ,এটাই আরিয়ার ধারনা ,তাইতো চলে এসেছো প্রিয় মানুষ দের ছেড়ে ,যদিও আরিয়া যাকে প্রিয় মনে করে তার কাছে সে একদমই তুচ্ছ বস্তু ছাড়া আর কিছু নয় ।
আসার সময় ফোনটাও নিয়ে আসেনি ,ঐ বাড়ির অনুপরিমান জিনিস ও নিয়ে আসেনি আরু।তবে আসার আগে বার কয়েক বাবার ফোনে ফোন দিয়েছিলো কিন্তু কল বারবার ওয়েটিং দেখাচ্ছিলো ,তাই আর অপেক্ষা না করে চলে এসেছে।

কতো দীর্ঘ সময় পর এই গ্রাম টাকে দেখছে আরিয়া ,গ্রামে ফিরলেও মনটা যে এখনো ঐ শহরের মানুষ গুলোর কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে।
নিজের বাড়ির সামনে এসে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে ,আসার পরে অনেকেই দেখেছে কিন্তু তেমন চিনতে পারেনি ,কিভাবে চিনবেন সেই কতো বছর হয়ে গেছে খলিল সাহেবের মেয়েকে দেখেছে।আরিয়া ও আগ বাড়িয়ে কাউকে ভালো মন্দ জিজ্ঞেস করেনি, কারো সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করেনি তাই ।

মি মাফিয়া পর্ব ৩১

ছোট খাটো একটা বাড়ি ,এমন টা নয় যে একদম ছোট ,আসলে শহরের বাড়ি থেকে একটু ছোট আর ঐ রকম রাজকীয় স্টাইলের নয় , কিন্তু গ্রাম দিয়ে খলিল সাহেবের বাড়িটি বেশ উন্নত ।
গেইট খোলাই আছে , কিন্তু বাইরে ছায়া বা মা বাবা কাউকেই চোখে পড়ছে না ,হয়তো ভেতরেই সবাই । ভেবে মুখে একটু হাসি ফুটিয়ে দ্রুত পায়ে ভেতরে ঢুকে ,সামনের রুমে গিয়েই এক প্রকার ভয়ে চোখ দুটো ভয়ে কাঁপতে থাকে ,শরীরের কম্পন বেগতীক হয়ে উঠে ।
বিছানায় পায়ের উপর পা তুলে মুখে জলন্ত সিগারেট টেনে ধোঁয়া উরিয়ে যাচ্ছে আফরান।

মি মাফিয়া পর্ব ৩৩