রং পর্ব ৫১ (২)

রং পর্ব ৫১ (২)
তন্নী তনু

আল্লাহ্ সুবাহানা তায়ালা”র উপর ভরসা রাখো। আমাদের প্ল‍্যানের বাইরে তাঁর একটা প্ল‍্যান আছে। তিনি একসময় তোমাকে এতোটাই খুশি করবেন যা তুমি কখনো কল্পনাও করোনি। তিনি কখনো নিরাশ করেন না। তুমি চোখ বন্ধ করে, ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নাও। আমি আছিতো! জীবনে জটিল পথ যদি আরেকবার আসে, ভাইয়া আছি না! আমি সমস্ত কঠিন পথে, সমস্ত অমসৃণ, অসমতল, আঁকাবাঁকা পথে আমি সবসময় তোমার পাশে থাকবো। যে কঠিন পথ রক্তাক্ত হৃদয় নিয়ে তুমি পার হয়ে এখনো সারভাইব করে আছো,তুমি বাকিটা পথ চলতে পারবে। আর ভাইয়া তো আছেই। আই অলওয়েজ দেয়ার ফর ইউ সোনা। আই অলওয়েজ দেয়ার ফর ইউ…..

আগুন জ্বলে ওঠা ইভার উত্তপ্ত হৃদয় ধীরে ধীরে পরিণত হয় বরফ শিক্ত জলে। শান্তি,সস্তি, ভরসার আশ্রয় স্থলে মাথা ঠেকিয়ে নিরব, নিস্তব্ধ ইভা। ইরফাদ এর হাত ভরসা, আদর, স্নেহের বাহন হয়ে ইভার ঘনচুলভর্তী মাথায় ক্ষণে ক্ষণে মৃদু চাপড় দেয়। নিশ্চল, নিরব সিনথিয়ার ঘন আখিপল্লব ছুঁয়ে চুইয়ে পড়ছে নোনা জল। সে ভাই বোনের ভালোবাসার অনুভূতি হৃদয় থেকে অনুভব করছে। তার ভাই ও তাকে ভালোবাসে। যতোটাই জটিল পথ ধরুক না কেনো, রাফসান তাকে আগলে রেখেছে। তবে এই ভাই হিসেবে ভালো মানুষটা স্বামীর দায়িত্ব পালন করতে ব‍্যর্থ। এক নারীর জীবন নষ্টের একমাত্র কারণ। জীবনটা সহজ হতে পারতো তবে জীবন এক জটিল সমিকরণ। শূন‍্যে তাকিয়ে সিনথিয়া কল্পনা করে এক নতুন উপাখ‍্যানের। একসময়ের ক্রি!কিটার থেকে মাফিয়া হয়ে ওঠা রাফসান আজ অনুতপ্ত। আর অনুতপ্তের পর মানুষ যে জিনিস ফিরে পেতে চায়, তা চোখের সামনে হারিয়ে ফেলার মতো যন্ত্রণা দ্বিতীয়টি হবে না। ভাই বোনের মধ‍্যে মায়ার যে অদৃশ‍্য সুতার বাঁধন, সে বাঁধনে টান পড়ে সিনথিয়ার চোখের পানি টুপ করে পড়ে। তবে জীবন যেহেতু ইভার, সিদ্ধান্তও তার। এই ব‍্যপারে আর কোনো কথা সে বলবে না। তার ভাইয়ের জন‍্যে যতো কষ্ট ই হোক। এই বিষয়ে তার আর কোনো কথাই নেই। চোখ ফিরিয়ে নেয় সিনথিয়া।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

ইরফাদের বুকে এক ছোট্ট পরী, আরেক সাইডে ইভা। বিছানায় শরীর এলিয়ে দেয়া ইরফাদের চোখ দুটো বন্ধ। তার কি কষ্ট হচ্ছে? “ভালোবাসায় মুড়ে রাখবে” এই কথাটি মুখে বার বার বলা হলেও সিনথিয়া আসলে বুঝতেই পারে না মানুষটাকে। তার চোখের ভাষা বুঝতে অক্ষম সে। এই মানুষটার কখন খারাপ লাগে, কখন ভালো লাগে বোঝা কঠিন। সব সময় এক রকম-ই লাগে। কঠিন মানুষের হৃদয়ে কি চলে সত‍্যিই বোঝা প্রায় অসাধ‍্য কাজ। টুম্পাকে আকড়ে ধরে রাখা বলিষ্ঠ হাতের উপর হাত রাখে সিনথিয়া। কোমল স্পর্শে চোখ খুলে তাকায় ইরফাদ। চোখ দুটো রক্ত লাল হয়ে আছে। সিনথিয়ার চোখের দিকে তাকায় ইরফাদ। সিনথিয়ার মুখটা থমথমে। চোখ দুটো অশ্রুসিক্ত, ইরফাদ বুকের বাকি শূন‍্য জায়গাতে টেনে নেয় সিনথিয়াকে। তুমুল বৃষ্টি বর্ষণের মধ‍্যে তিনজন প্রিয় মানুষকে একসাথে বুকের উষ্ণ ওমে ভালোবাসার চাদরে ঢেকে রাখে ইরফাদ।

বিকেলেও আকাশের কোণে তলিয়ে থাকা সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছেনা বৃষ্টির তোড়ে। সিনথিয়া চেয়ার টেনে দু”পা চেয়ারে তুলে পায়ের ভাজে উপন‍্যাসের বইয়ে চোখ ডুবিয়ে আছে। পেছন থেকে ধীর পায়ে আসে ইরফাদ। হাতে দু”টো মগ। উত্তপ্ত মগ থেকে ধোয়া উঠছে উপর দিকে। পেছন থেকে ইরফাদ বলে ওঠে,
— ম‍্যাডাম! আপনার কফি।
সহসাই পেছন ফিরে তাকায় সিনথিয়া। বৃষ্টি মুখর ঠান্ডা ঠান্ডা দিন, মেঘলা আকাশ, ধরনী তলিয়ে আছে আধারে। এই সময় গরম ধোয়া ওঠা চা, কফির প্রয়োজন ছিলো। মিষ্টি করে হাসি দেয় সিনথিয়া। কফি মগর দিকে হাত বাড়িয়ে বলে,

–আপনি করেছেন?
— জ্বি ম‍্যাডাম। টেক ইট।
— সত‍্যিই আপনি করেছেন?
— আমি মিথ‍্যা বলছি? আর কফি মেক করা কি এমন কঠিন কাজ?
— না মানে, আমি ভাবলাম আপনি শুধু অর্ডার করতে পারেন। এই এটা দাও, ঐটা দাও, এটা করো, ঐটা করো।
— তোমাকে কখনো অর্ডার করেছি ?
–না।
–তাহলে?
— মনে হলো!
— নিজের কাজ নিজে করতেই পছন্দ করি।
তবে ইভা করতে দেয় না তাই করতে পারিনা।
কফির মগ দু”হাতের মাঝে নেয় সিনথিয়া। ধোয়া ওঠা কফির মগে চুমুক দেয় সিনথিয়া। ইরফাদ চেয়ার টেনে বসে। সিনথিয়া বলে,

— আপনি কি খেতে বেশী পছন্দ করেন?
— বৃষ্টির দিনে খিচুড়ির সাথে ইলিশ মাছ ভাজা ভালো লাগে।নরমালি সাদা ভাত, গরুর গোস।
— আর স্ট্রিট ফুড এর মধ‍্যে?
–বাইরের খাবার তো খাওয়া হয় না এখন। তোমার কি বাইরে যেতে ইচ্ছে করছে সিনথি!!
— উহু।
–খাবে কিছু? আমি বাইরে থেকে এনে দিবো?
— না…
— তুমি কি খেতে পছন্দ করো?খুব বেশী কিছু জানার সময় হয়নি। খুব বেশী কথাও হয় নি তোমার সাথে। তোমার পছন্দ অপছন্দের কিছুই জানিনা।

— না জেনেও যতোটুকু করেছেন সব ই আমার মন ছুঁ য়ে গেছে।
— বলো কি খাবে আজ?
— আপনি যা খাবেন!
— তুমি রান্না করতে পারো?
— টুকটাক পারি।
— বলো কি খাওয়াতে চাও।
— খিচুড়ি খাবেন? ইলিশ মাছ ভেজে দিবো?
— ইভাকে বলো সাথে গরুর গোস টা এড করতে।
— আমি চেষ্টা করে দেখবো?
— পারবে? নতুন জায়গা, নতুন পরিবেশ সো একটু সাবধানে।
–রান্না করতে পারবো, কিন্তু হয়তো খুব একটা ভালো হবে না।
–যেমন ই হোক, খেতে পারবো। খারাপ হতে হতে একদিন বেষ্ট হবে। ঐ পর্যন্ত যেতে যতো খারাপ হোক আমি মেনে নিবো।

— আমি তো ভেবেছিলাম!
–কি ভেবেছিলে বকবো? রাগ করবো? খাবোনা?
সিনথিয়া চুপচাপ তাকিয়ে থাকে। ইরফাদ চেয়ার টেনে এগিয়ে বসে। সিনথিয়ার দিকে সামান‍্য ঝুকে বলে,
— আমি অতোটাও খারাপ নই। শূন‍্য থেকে বেষ্ট পজিশন অবধি যাওয়ার পথে ইফোর্ট দেওয়ার ধৈর্য্য আমার আছে।
— ওকে আজকের রান্না আমিই করবো।
— ইভা হেল্প করবে নো প্রবলেম।
–আপনার আর কি কি পছন্দ!
— একটা বৃষ্টিমুখর অন্ধকারে তলিয়ে যাওয়া রাত, ঝিরিঝিরি হাওয়া, ভেজা ভেজা আবহওয়া, ঝুম বৃষ্টির মিষ্টি শব্দ, আর তুমি।

শেষের শব্দটা টুপ করে আটকে যায় সিনথিয়ার হৃদয়ে। কি বললো ইরফাদ! কি ছিলো শেষ শব্দটায়? সিনথিয়ার হৃদয় গহিনে রিনিঝিনি বাজে। চোখ সরিয়ে নেয় সিনথিয়া।কোলে থেকে বই সরিয়ে ধীরে ধীরে উঠে বসে। ইরফাদ পলকহীন চোখে তাকিয়ে। সিনথিয়া মিনমিনে গলায় বলে,
— রান্না করতে হবে যাই?
— এতো তাড়াতাড়ি!কয়টা বাজে?
— আমি তো এক্সপার্ট না। রান্না করতে সময় লাগবে।
— পাঁচ মিনিট বসে যাও।
— না প্লিজ যাই!
— এত তাড়া?
— যাই প্লিজ! আবার আসবো….
বলেই দ্রুত পা ফেলে সিনথিয়া। সেদিনের কফি খাওয়ার পরবর্তী দৃশ‍্যপট স্মৃতিচারণ করে ভেতর থেকে কেউ যেনো ধাক্কা মেরে ওঠে, সিনথিয়া দৌড়ে বেড়িয়ে যায়।

ছিমছাম গোছানো পরিপাটি কক্ষ। লাইটের সাদা ফকফকে আলোয় রুম হাসছে। ছোট বেবী প্লেটে কয়েকটা রেড বেরী,খেজুর রাখা হয়েছে টুম্পার সামনে, সাইডে স্বচ্ছ পানির পটে লাল কালারের আনার জুস। কয়েকটা রেড বেরী খেয়ে নিলো টুম্পা। অতঃপর বললো,
–খাবোনা মামনি।
ইভা হাতের কাজ ফেলে টুম্পার দিকে এগিয়ে আসে। কোমল গলায় বলে,
–জুস টা খাও বাবা।
— মামনিইইই…. আংকেল ত‍্যানো আছে না।
ইভা দীর্ঘশ্বাস ফেলে জুসটা এগিয়ে দেয় টুম্পার দিকে। অল্প একটু খেয়ে সরিয়ে দেয় টুম্পা। সবগুলো খাবার সরিয়ে নেয় ইভা। ফোনে মিউজিক অপশন থেকে ছেড়ে দেয় মৃদু শব্দে হৃদয়শীতল কারী সূরা ইয়াসিন। টুম্পা কে বালিসে শুইয়ে দিয়ে কানের পাশে ফোনটা রাখে। আর বলে,

— এইটা শোনো আম্মু! শান্তি লাগবে। আল্লাহ্ কে বলো– সবার পাপাকে দেখে তোমার বাবার কথা মনে পড়ে। তুমি তো ছোট ছোট্ট বাচ্চা, তুমি যা চাইবে আল্লাহ্ তোমাকে ঠিক দিয়ে দিবেন।
মৃদু শীতল শব্দের সাথে মেয়েটা আদুরে গলায় আধ আধ উচ্চারণ করে
— ইয়াসিন।
২. ওয়াল কোরআনিল হাকিম।
৩. ইন্নাকা লা-মিনাল মুরসালিন।
৪. আলা সিরাতিম মুসতাকিম।
৫. তানজিলাল ‘আজিজির রহিম।
সিনথিয়া পুরো দৃশ‍্যটা নিজের চোখে দেখে কৌতূহল ধরে রাখতে পারে না। প্রবল উচ্ছাস নিয়ে বলে,

— ও বলতে পারে?
সিনথিয়াকে দেখে ইভা ওষ্ঠ ছড়ায়। তারপর বলে,
–আসো সোনাপাখি! ভাইয়া কি করে?
— বসে আছে।
— টুম্পা শুনুক আর শিখুক, চলো একটু দূরে বসি।
— ওকে আপু।
— ও শুধু এই সূরা নয়, মোটামুটি দুই একটা সূরার কয়েকটা করে আয়াত শিখে গেছে। বাচ্চাদের ব্রেইন সার্প থাকে। ওরা যে কোনো কিছুই খুব সহজে ধরে রাখতে পারে। ওর জন্মের পর থেকেই ভাইয়া ওর কানের কাছে সূরা প্লে করে রাখতো। অভ‍্যাস হয়ে গেছে।
— তুমি তো অলরাউন্ডার আপু। কি সুন্দর করে ঘর গোছাও, রান্না করো, বাগানের যত্ন নাও, বেলকনিতে গাছের যত্ন নাও, আবার বাচ্চাকে কতো সুন্দর সব শেখাচ্ছো। সব পারো তুমি।
— ছাদে যাবে? একদিন ছাদ দেখাবো তোমাকে। কতো ফুল লাগিয়েছি এইবার। ভাইয়া সব ধরণের গাছ এনে দিয়েছে।

— বেলি ফুল আছে?
— হুম সব রকম ফুল ই আছে। ঝড়ে যাওয়া ফুল দিয়ে আর রেজিন দিয়ে ঘড়ি বানিয়েছি। এই যে দেখো টেবিল! এটাও আমার হাতে বানানো। এই যে ভেতরে ফুল গুলো দেখছো না সব ই গাছের ফুল।
— তুমি এতো কিছু পারো। আমি তো এতো লক্ষী নই আপু।
— ধুরর সব তৈরী করতে পারলে সে লক্ষী হয় নাকি। লক্ষী হলে এতো দুঃখ হতো।
— আল্লাহ্ সহজ সরল মানুষদের পরীক্ষা নেন আপু। ধৈর্য্য ধরো সব ঠিক হয়ে যাবে।
— আল্লাহ্ আমাকে অনেক ভালো রেখেছেন। এই যে মাথার উপর ছাদ, বাবা, ভাইয়ার এতো ভালোবাসা। এই যে ভাবিটাও কতো আদর করছে আমাকে।
— আমি আদর করছি! তুমি নিজের আমাকে আদর করে কূল পাচ্ছো না।
— একমাত্র ভাইয়ের বউ ভালোবাসবো না? ভাইয়াকে খুব ভালোবাসি। সবচেয়ে খারাপ সময়ে একজন বন্ধুর চেয়েও বেশী সাপোর্ট দিয়েছে। আমি সত‍্যিই খুব লাকি। এই পৃথিবীতে অনেক ইভা আছে যাদের মাথার উপর ছাদ নেই, পেটে খাবার নেই, বাচ্চাকে খাওয়ানোর দুধ নেই, জামাকাপড় নেই। আলহামদুলিল্লাহ্! আল্লাহ্ আমাকে ভালো রেখেছেন। বাবা আছে, ভাইয়া আছে আর কিছু লাগেনা।

— তোমাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করি আপাই!!
–বলো।
— আচ্ছা! তোমার আম্মু নেই? কথাটা বলবো বলবো করে বলা হয়ে ওঠেনি। ওনাকে জিজ্ঞেস করার সাহস পাইনি।
দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে ইভা। অতঃপর বলে,
— সে এক ধোঁয়াসার গল্প! মা হারিয়ে গেছে। আর ফিরে আসেনি।
— চলে গেছে?
— সবাই বলে বাবার জব চলে গেছে তাই এই খারাপ সময়ে মা বাবাকে ছেড়ে চলে গেছে। বাবার কথা বাদ, এত বড় বড় সন্তান রেখে কেউ চলে যায়?
–বুঝতে পারছি না আপু!!
— আমিও হিসাব মেলাতে পারিনা বোন। বাদ দাও। কখনো ভাইয়া নিজে থেকে বললে শুনে নিও।
— আপু তোমাকে বলবো মনেই নেই, উনি রাতে খিচুড়ি রান্না করতে বললো।
— সত‍্যি!! ভাইয়া রাতে ভারী খাবার খায় না। রান্না করলেও ভাইয়াকে খাওয়াতে পারিনা। নিজে থেকে বলছে খাবে? কি যে খুশি লাগছে।

— আমি রান্না করলে তুমি রাগ করবে আপু?
— তুমি পারবে?
কোনো প্রবলেম নেই। আমি সব এগিয়ে দিবো। কি কি খেতে চেয়েছে? খিচুড়ি , মাছ ভাজা আর গরুর গোস।
–না শুনেই তুমি কি করে বুঝলে?
— ভাইয়া না আমার। বৃষ্টির দিনে ভাইয়া কি পছন্দ করে আমি তো জানি। তোমাদের আজ ক‍্যান্ডেল লাইট ডিনারের ব‍্যবস্থা করবো। বৃষ্টির দিন, ক‍্যান্ডেল লাইট ডিনার উফফ জমে যাবে।

রং পর্ব ৫১

–তুমি কি করে এতো ভাবো? আমি তো কখনো দেখিনি এতো ভালো ননদ হয়।
— ভাইয়া তো আমার! ভাইয়া খুশি থাকলে, আমার যে কলিজা ঠান্ডা হয়। তোমাকে ভালোবাসি আর নাই বাসি। ভাইয়াকে তো ভালোবাসি। তাই একটু স্পেশাল মোমেন্ট এর ব‍্যবস্থা করে আমার তো শান্তি লাগবেই।শোনো! খাবার রুমে নিয়ে যাবে। সুন্দর করে পরিবেশন করবে। দ‍্যান আমি তোমাদের রুমের ইলেকট্রিসিটি অফ করবো। তুমি ক‍্যান্ডেল গুলো জ্বালিয়ে দিও।
সিনথিয়া চোখ ফিরিয়ে চোখ নিবদ্ধ করে। ইভা বলে,
— এখনি এতো লজ্জা পেতে হবে না। তুলে রাখো রাতের জন‍্য।

রং পর্ব ৫১ (৩)