রাগে অনুরাগে তুই আমার পর্ব ৮

রাগে অনুরাগে তুই আমার পর্ব ৮
আশু

ইয়াসিরের নিজেকে খুব অসহায় লাগলো একটা বাচ্চা মেয়ে কী না তাকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাচ্ছে।তখনই ইয়াসিরকে বাঁচাতে চলে আসে সোহানা বেগম। ভিড় ঠেলে সামনে এসে সোহানা বেগম হাঁক ছেড়ে বলেন,,কি হইছে কি এই বাউন্ডেলে মাইয়া আবার কি করছে?কই আমার নাতী কই?
ইয়াসির যেন আত্নায় প্রাণ ফিরে পেল। ইয়াসির তখন আর না দাঁড়িয়ে সোজা নিজের দাদীকে ঝাপটে ধরে বলে,,দাদীজান এই পেত্নী আমার ঘাড়ে তোমরা কেন ঝুলাইয়া দিলা?

সোহানা বেগম কটমট করে ইশার দিকে তাকিয়ে বলে,,,সোয়ামীরে সালাম করোছ নাই? তরে না বলছি বিয়ার পর সোয়ামীই সব
ইয়াসির বলে,,সালাম হাহ্ এটা ঝগড়াইটা মহিলা জানো না তুমি? আমারে ধাক্কা মাইরা ফালাইয়া দিছে এই পেত্নী!!
ইশা কিছু বলবে কি তার আগেই সোহানা বেগম আবার গর্জে উঠে বলেন,,চুপ থাক মাইয়া আর একটা কথাও শুনবার চাই না ঘরে যা তোহ্ সব রাত বাজে দুই ডা তারপর ইয়াসিরের দিকে তাকিয়ে আবার বলেন,, আর নাতী তোরে যদি এই মাইয়া আবার কিছু করে আমার বলবি তুই
ইশা তখন কটমট করে বলে,,তোমার নাতী যদি কিছু করে তখন!!

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

সোহানা বেগম নিজের চশমা ঠেলে বলেন,,আমার নাতী কেমন আমার জানা আছে সব নষ্টের গোড়ায় তুই থাকোস বুঝি না মনে করছোত।এই বলে সোহানা বেগম সামনের দিকে এগিয়ে যান।
ইশা রেগে ইয়াসিরের দিকে তাকায় ইয়াসিরের যেন হাসি থামছেই না ঠোঁটের কোণায় হাসি উপচে পড়ছে। আয়ান ইয়াসিরকে উদ্দেশ্য করে বলে,,বোন আমার ছোট তাই বলে গাধার মতো খাটাবি তা কিন্তু মানবোও না ছেড়েও দিবো না।
ইয়াসির ইশার হাত টেনে ভেতরে এনে নলে,,শালা শালার মতো থাক দুলাভাইয়ের কেমিস্ট্র ক্লাসে তোর না আসাই বেটার যাহ্ ফুটটটট্ বলেই সবার মুখের উপরই ইয়াসির দরজা বন্ধ করে দেয়।
আয়ান আর ইযান স্তব্দ হয়ে বোকাবনে গিয়ে দুজন দুজনের দিকে তাকায়।

এদিকে ইয়াসির বলছে,,দেখ ইশা তোর যা ইচ্ছা কর বইন আমি কিচ্ছু বলবো না। তাও এমন ঘেউ ঘেউ করিস না
ইশা কোমড়ে শাড়ী গুজে বলে,,কীসের বইন বইন করতাছো তোমার বিয়া করা বউ আমি। আর ঘেউ ঘেউ মানে তুমি কি আমাকে ইন্ডাইরেক্টলি কুত্তা বললা??
ইয়াসির বিছানায় গা হেলিয়ে দিতে দিতে বলে,,ইন্ডাইরেক্টলি না ডাইরেক্টলি বললাম।
ইশা রেগে দাঁত চেপে বলে,,তুমি একটা কুত্তা তেমার চৌদ্দগোষ্ঠী কুত্তা।
ইয়াসির শান্তস্বরে বলে,, হ বইন আমার চৌদ্দগোষ্ঠীতে তুই ও আছোত সেই ঘুরেফিরে তুই,,
ইশা তড়িঘড়ি করে বলে,,চুপ থাকো প্লিজ।
ইয়াসির ও ঘুরে শুয়ে পরে যতই হোক ঝগরায় সে তোহ্ জিতেই গিয়েছে আর কথা বাড়িয়ে লাভ কি।
একটুপর ইশা বিরক্তে ইয়াসিরের সামনে দাঁড়িয়ে বলে,,আমার খারাপ লাগছে ঝগড়া করতে চাই না আমি কোথায় ঘুমাবো?

ইয়াসির চোখ মেলে নিজের দুহাত বাড়িয়ে বলে,,আমার বুকে আয়!!!
ইশা চোখ বড় বড় করে অবাক হয়ে বলে,,কিইই!!
ইয়াসির হাত ভাজ করে নিজের বুকে রেখে বলে,,এত বড় একটা বিছানা তোর জায়গার অভাব পড়েছে তাই বললাম।
ইশা বিরক্ত হয়ে বিছানার একপাশে শুয়ে পড়ে। ইয়াসির একটু ঘুরে ইশাকে একপলক দেখে বুঝতে পারে হয়ত সত্যিই খারাপ লাগছে নয়ত ঝগড়াটু মেয়েটা এত তাড়াতাড়ি ঝগড়া শেষ করে দিলো। ইয়াসির একটু একটু করে নিজের হাত ইশার কপালে রাখার জন্য এগিয়ে নেয়। ইশার কপালে হাত রাখা মাত্রই ইশা একলাফে উঠে বসে বলে,,,,ছিহ্ ছিহ্ তোমাকে ভালো ভেবেছিলাম তোমার তোহ্ চরিত্রে সমস্যা দেখি।

ইয়াসির ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বলে,,থাপ্পড়ে দাঁত ফেলে দিবে সারাদিন কুচিন্তা মাথায় থাকে নাকি?
ইশা বলে,,আমাকে তোমার ছোট মনে হয়, আমি বুঝি না তোমার মতলব?কট খেয়ে বিয়ে করেছি বলে সব ফায়দা তুলবেন মি.,,,
ইয়াসির একটানে ইশাকে বিছানায় ফেলে বলে,,চুপ একদম চুপ আমাকে মাফ কর বইন আমার শিক্ষা হইছে গুড নাইট।
ইশাও আর কিছু না বলে চুপচাপ শুয়ে পড়ে।

সকাল সকাল আয়ান বেরিয়ে গিয়েছে। সামনে ঈদ হওয়ার দরুন ইযান ছুটিতে বাসায় রয়ে গিয়েছ। সবাই নাস্তার টেবিলে বসে গোল মিটিংয়ে ব্যাস্ত। ইযান প্লান দিচ্ছে যেভাবেই হউক সাপ নেউলের সম্পর্ক মিষ্টি মধুর করে ছাড়বে। বাড়ির সবাই যেন মিশনে নেমেছে। ইযান সবাইকে বলছে,,এভাবে করতে হবে বুঝেছো তোমরা??
সবাই মাথা নাড়ে।

এদিকে ফ্লোরে কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমাচ্ছে ইয়াসির। আর ইশা পুরো বিছানায় নিজের শাড়ী আর হাত পা দিয়ে আটক করে রেখেছে । একটুপর হাত পা অবশ হওয়ার মতো অবস্থায় ইয়াসির পিটপিট করে চোখ মেলে তাকায়। নিজের অবস্থান বুঝতে পেরে ইয়াসির রেগে উঠে দাঁড়িয়ে দেখতে পায়। পুরো বিছানা দখল করে রেখেছে তার সদ্য বিবাহিতা বউ। ইয়াসির ঘুমের ঘোরে ইশাকে দেখে বাঁকা হেসে বলে,,আমাকে ফ্লোরে ফেলে আপনি শান্তিতে ঘুমাবেন ফেয়ারী গার্ল। তা তোহ্ এই ইয়াসির চৌধুরী হতে দিচ্ছে না।

এরপর ইয়াসির সোজা ওয়াসরুমে গিয়ে একবালতি ঠান্ডা পানি এনে ইশার সামনে দাঁড়িয়ে বলে,,


এন্ড
৩ বলার সাথে সাথে সমস্ত পানি ইশার গায়ে ঢেলে দেয়। ইশার ঘুম ছেড়ে হাঁপাতে হাঁপাতে উঠে বসে। ইয়াসির জোরে জোরে হাসতে শুরু করে। ইশা রেগে তাকায় তার আর বুঝতে বাকি নেই। ইশা চিল্লিয়ে বলে,,এটা কী ধরনের বেয়াদবি ভাইয়া?
ইয়াসির বলে,,স্বপ্ন ছিল বউয়ের কপালে চুমু দিয়ে ঘুম ভাঙাবো। কিন্ত হায় কপালে বউ না পেত্নী জুটেছে তাই তোহ্ পানি ঢালতে হলো,,তুই কিছু মনে করিস না বইন আমার ভাগ্য খারাপ৷
ইশা রেগে বালিশ ছুড়ে মেরে বলে,,দেখে নিবো তোমাকে বেটা শয়তানের নানা সরো সামনে থেকে
ইয়াসির বলে,,কি বললি তুই?
ইশা ওয়াসরুমে যেতে যেতে বলে,,কানে সমস্যা নাকি বেটা দামড়া বুড়ো”!!
ইয়াসির কিছু বলবে তার আগেই ঠাস করে দরজা লাগিয়ে দেয় ইয়াসির দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঠোঁট কামড়ে হাসতে থাকে।

রেস্টুরেন্টে আয়ান বসে সামনে কিছু ব্যাবসায়ী যদের সাথে ডিল করতেই আয়ানের এখানে আসা। কথাবলার মাঝখানে আয়ানের ফোন আসলে আয়ান উঠে সামনের দিকে এগিয়ে যায়।
একটুপরে রুমিও চলে আসে আর আয়ানকে দেখে রুমি যেন দম ফিরে পায় যদিও আয়ানকে ভয় পায় তবুও প্রাণপ্রিয় বান্ধবীর মিসিং ব্যাপারটার জন্য সাহস নিয়ে ডেকে উঠে,,আয়ান ভাই শুনছেন?
আয়ান নির্বিকার ফোনে কাউকে ঝারি মারছে। তযা দেকে রুমি আরও ঘাবড়ে যায়। একে তো বেটা ধমক ছাড়া কথা বলতে পারে না তারউপর কথা বলার আগেই ধমকটমকের সুর শুনে বেচারীর হাল বেহাল হয়ে যায়। রুমি তারপর একটু এগিয়ে ডাকতে যাবে কি আয়ান সরাসরি রুমির দিকে তাকায়। আয়ানকে নিজের দিকে তাকাতে দেখে রুমি জোর করে নিজের ঠোঁটে হাসি টেনে এগিয়ে যেতে নিলে হঠাৎ একটা বাচ্চার সাথে লেগে বেচারী মুখ থুবড়ে আয়ানের বুকে পড়ে। আয়ান বিরক্তিতে রুমির দিকে তাকাতেই রুমি চোখমুখ খিঁচে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বলে,,ভাইয়া সরি আসলে,

আয়ান রুমির কথা ইগনোর করে সামনে চলে যেতে নিলে। রুমি একটু সাহস নিয়ে বলে,,ভাইয়া কিছু কথা আছে প্লিজ। তারপর রুমি আয়ানপর সামনে দাঁড়িয়ে বলে,,ইশা, ইশার কি হয়েছে?
আয়ান কাঠকাঠ জবাব দেয়,, বিয়ে হয়েছে। বাসায় গিয়ে জেনে নিও।
তখনই পেছন থেকে একটা ছেলে বলে,,তুমি রুমি রাইট?আর এটা?
রুমি সোজা আয়ানের হাত ধরে বলে,,এটা আমার বয়ফেন্ড আপনাকে আমি বিয়ে করতে পারবো না মি.,,বাবা বলেছে তাই আসলাম। বুঝছেন?
ছেলেটি ওদের দিকে একপলক তাকিয়ে বেরিয়ে যায়। রুমির তোহ্ হাতকাঁপা শুরু হয়ে যায় কারণ অবস্থা এমন জমের মুখের সামনে তাকে নিয়েই কেলেঙ্কারি।
রুমি আস্তেধীরে চোখ তুলে আয়ানের দিকে তাকাতেই দেখে আয়ান রেগে ফায়ার এখনি তাকে জ্যান্ত পুড়িয়ে ফেলবে।
আয়ান একঝটকায় নিজের হাত ছাড়িয়ে বলে,,ভবিষ্যতে এসবে কেইসের জন্য লোক হায়ার করবে যাকে তাকে নিয়ে এসব ড্রামা করা মোটেও ঠিক না।
রুমি মাথা নাড়ায়।

বাড়িতে নতুন বউদের সকাল সকাল মিষ্টিজাতীয় কিছু বানানোর একটা প্রচলন আছে চৌধুরী ভিলাতে।
সে স্বরুপ ইশাকে ওর মা আর জেঠীমা মিলে রান্নাঘরে পাঠিয়ে দেয়। বেচারী রান্না জানে না এমন না তবে মিষ্টিজাতীয় কি বানাবে এরকম কিছু সে কখনো বানায়নি। মনে মনে ইয়াসিরকে গালি লাগালো কেননা ইয়াসির যদি তাকে বিয়ে না করতো তাকে আজকে এখানে আসতে হতো না। এখন কারো কাছে হেল্প নিলে ইয়াসিরের টিটকারী শুনতে হবে সাথে তার দাদী তোহ্ আছেই।
তখনই ইশার চোখ যায় নিজের ফোনের দিকে, ফোনটা সাথে থাকায় ইশার মুখে চমৎকার হাসির রেখা মিলল। সাথে সাথে রুমিকে ফোন লাগালো। এরপর রুমি সারেগামাপা শুরু করার আগেই ইশা বলে,,একদম চুপ থাক। সব গালি শুনবো আপা এখন মিষ্টিজাতীয় কিছু আইটেম বল,,রান্না করবো। পরে তোর গালি শুনবো গড্ প্রমিস আগে আমাকে বাঁচা।
রুমি আমতা আমতা করে বলে,,আমি তোহ্ জীবনে কিছু করিনি রে। এক কাজ কিছু সেমাই জাতীয় দেখ কিছু আছে নাকি?

ইশা বলে,,আমি পারি না এসব।
রুমি বলে,, আরে বলদ চুপ কর। আমি ল্যাপটপে দেখছি আর বলছি।
ইশা মাথা নাড়ায়। রুমির কথামতো সেমাই রেডি হলে ইশা বলে,, রুমি সেমাই তো লাল রঙ হয়ে গিয়েছে।
রুমি বলে,,আরে ইয়ার তুই রান্না করেছিস মজা হবে নিশ্চিত এই লাল কালার ম্যাটার না। তোর জামাইকে খাওয়াবি বেটা তোকে কষ্ট দিয়েছে না??
ইশা বলে ঠিক আরেকটু মরিচগুরো এড করি শুধু জামাই না পুরো বাড়িসুদ্ধ লোককে খাওয়াবো । আর শোন রাখছি তোর সাথে পরে কথা বলবো।

ইয়াসির বোর্ড মিটিংয়ে যাবে অনেক ঝামেলা লেগে গিয়েছে সব সামলাতে হবে। সাদা শার্ট চুলগুলো সেট করা হাতে আকাশী রঙা ব্লেজার কোর্ট একদম দারুন এন্ট্রি নিয়ে নিচে নামতেই।
ইশা সেমাইসহ মুখে তার বিশাল এক হাসি নিয়ে উপস্থিত হয়। ইয়াসির ধমক দিয়ে কিছু বলবে কি পেছনে তাকিয়ে দেখে বাড়ির পুরো জনগোষ্ঠী তাকিয়ে।
ইশা চামচে সেমাই নিয়ে বলে,,এই প্রথম স্বামীর জন্য কিছু রান্না করলাম খেয়ে নিন।
ইয়াসির ভ্রুকুচকে বলে,,কি এটা??
ইশা বলে,,,নতুন আইটেম অনেক টেস্ট সবাই খেয়েছে দেখতে পারছেন না।

সবাই একদম চোখ ছলছল জল নিয়ে ইয়াসিরের দিকে তাকিয়ে। একটু আগেই সবার মুখে এক চামচ করে ইশা জোর করে খায়িছে। আর বলেছে যেমনি হোক ইয়াসিরের সামনে বেস্ট বলবে। জামাই যদি আমার সেমাই না খায় আমি একদম জলে ডুবে মরব সবাইকে এই বলে দিলাম। সবাই আরেকদফা কাশতে কাশতে পানি খেতে থাকে।
এদিকে ইশা মনে মনে বলেছে বিয়েটা জোর করে দিলে এখন আমার সেমাই জোর করে খাওয়াবো না তোমাদের সে কি হয় নাকি।

সবাই কোনোমতো এক চামচ মুখে নিয়ে অনেক কষ্টে গিলেছে। এতক্ষণ পানি নিয়ে একপ্রকার হইচই চলেছে। এরপরই ইয়াসির নেমে আসে। সবার ঝাল কন্ট্রোলে নিয়ে এলেও চোখে মুখে স্পষ্ট ঝালের ছলছল ভাব।
ইয়াসির ভাবে সে না খেলে এবার সবাই কান্নার অভিনয় করবে তাই এমন সং সেজে আছে। তবে ইশা যা কান্ড ঘটিয়েছে সে বিষয়ে তার হিতাহিত অনুমানও আসে না।
ইয়াসিরের ভাবনার মাঝেই ইশা বলে,,হা করো
ইয়াসিরও চুপচাপ হা করে ইশা পরপর দুচামচ ইয়াসিরে মুখে দিয়ে বলে কেমন হয়েছে?
এতক্ষণ বাড়ির সবাই চুপ থাকলেই ইয়াসির খাওয়া মাত্রই সবাই আবারও ঝালে পানি পানি করতে থাকে আর ইয়াসিরও দৌড়ে পানির দিকে ছুটে।

সবাইকে এলোপাতাড়ি ছুটতে দেখে ইশা হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। আর বলছে,,এত নিদারুণ রান্না ইশারা চৌধুরী ইশা একদম ফাটিয়ে দিয়েছে।সবাই পানি পানি করছে মানে পানি পানি গান টা প্লে করলে মন্দ হয় হয় না।
এরপর ইশা সাউন্ড বক্সে Yo Yo honey singh এর গানটা অন করে আর গানের সাথে চিল্লিয়ে গাইতে থাকে,,,
Aaj Blue he pani, pani, pani, pani, pani, pani
Aur din bhee sunny, sunny, sunny, sunny, sunny, sunny
Aa jaao on the beach yaar photo meri khinch
Phooti qismat hogee teri ‘gar tune ye baath naa maani
Aaj Blue he pani, pani, pani, pani, pani, pani
Aur din bhee sunny, sunny, sunny, sunny, sunny, sunny
Aa jaao on the beach yaara photo meri khinch
Phuti qismat hogee teri jo tune ye baath naa maani
Whoa-oh, whoa-oh, whoa-oh, whoa-oh
Whoa-oh, whoa-oh, whoa-oh, whoa

ইশার নাচের মধ্যেই ইয়াসির এসে ইশার সামনে রেগে তাকায়। ইশা সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে ইয়াসিরে হাত ধরে নাচতে শুরু করে। সবাই এক এক করে ঝাল মিটিয়ে আসতে থাকে। সবাই ইশার পাগলামি দেখে প্রচন্ড রেগে তাকিয়ে আছে। এদিকে ইয়াসির এতক্ষণ চুপ থাকলেও হুট করে ইশাকে পাজকোলে তুলে উপরে দিকে যেতে থাকে। সবাই হা হয়ে তাকিয়ে। ইশা বলছে,,কি করছো কি?

রাগে অনুরাগে তুই আমার পর্ব ৭

ইয়াসির বলে,,বউয়ের আদর কম পড়েছে তাই তোহ্ ঝাল খায়িয়ে বুঝালো তাই আদর করতে নিয়ে যাচ্ছি
ইশা ঢোক গিলে বলে,,কিইই!!”

রাগে অনুরাগে তুই আমার পর্ব ৯