রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ১৮

রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ১৮
সিমরান মিমি

দুপুর দুইটা।জোড়দমে জামাকাপড়, রাতের খাবার এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গোছাচ্ছে স্পর্শী।আর্শি এবং তার মোট ছয় সেট পোশাক নিয়েছে।মোবাইল এবং সাথে চার্জার রাখলো সাইড ব্যাগে।রাতে লঞ্চে খাবার জন্য খাবার টিফিনবাক্সে দিয়েছে পিপাসা।সাথে দিয়েছে দশ হাজার টাকা।পাশেই ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে সাজছে আর্শি।তার মতে স্পর্শীকে ভীষণ সুন্দর লাগছে আর তাকে কুৎসিত দেখাচ্ছে।সেই খায়েশ মেটাতেই বোনের সাথে ম্যাচিং করে জিন্স এবং লং ফ্রক পড়েছে।কিন্তু তার ভাষ্যমতে স্পর্শী ফর্সা ;সে যেটাই পড়ছে সেটাতেই সুন্দর লাগছে।কিন্তু সে শ্যামলা এবং তাকে এটাতেও ভালো দেখাচ্ছে না।এটা ভেবেই মুখ ফুলিয়ে বসে ছিলো কতক্ষণ।যখন স্পর্শী নিজে উঠে তাকে চুল বেধে সাজিয়ে দিলো তখন’ই মন ভালো হয়েছে।

এখান থেকে সোজা সদরঘাট যেতে হবে।সাড়ে পাঁচটায় লঞ্চ ছাড়বে।সে জন্যই দ্রুত পৌছাতে হবে।ঢাকা শহরে সবচেয়ে বেশী জ্যাম হয় সাভারে এবং বাকিটা শাহবাগে।স্পর্শী বিরক্ত। এই যে বাস বারবার ব্রেক কষে থেমে যায় জ্যামের কারনে এতেই তো গা গুলিয়ে ওঠে।তার উপর আশেপাশের কেউ থুথু ফেললেও পেট উগড়ে আসে তার।কিন্তু পরিস্থিতির চাপে নিজেকে মানাতে হয়।কষ্ট হলেও এই বাস হয়ে গেছে নিত্যদিনের সঙ্গী।
আর্শির কাধে ছোট্ট একটা কলেজ ব্যাগ।যেটাতে প্রয়োজনীয় কসমেটিকস জাতীয় ছোট ছোট জিনিসপত্র রয়েছে।বাকি সব জামাকাপড়ের ব্যাগ এবং পার্স স্পর্শীর হাতে।ব্যাগ সামলে বোনকে নিয়ে গেটের সামনে আসতেই পিপাসা হাত ধরলো।বললো,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

“তুই যাচ্ছিস বলেই কিন্তু আর্শিকে সাথে দিচ্ছি।ছোট মানুষ,ভুল করলেও সামলে নিবি।একদম দু-বোনে ঝগড়া করবি না।ওকে বকাঝকা করবি না।এমনিতে তো কোথাও সহজে ঘুরতে যাওয়া হয় না।যাহ,দেখে আয় গ্রামের বাড়ি।সাবধানে থাকবি।তবে তুই যাচ্ছিস বলেই নিশ্চিন্ত।আর হ্যাঁ কিপটামি করবি না।লঞ্চে কেবিন নিবি। খোলা বারান্দায় থাকবি না।ওকে হাতে হাতে রাখবি। যা খেতে চায় কিনে দিবি।টাকা লাগলে আমায় ফোন দিবি।আর হ্যাঁ, বাসে উঠে ফোন দিবি, এরপর সদরঘাট পৌছে ফোন দিবি।আমি ফোন দেওয়ার সাথে সাথে ধরবি।দুদিনের মধ্যে ফিরবি।আর ও বাড়িতে কোনো ঝামেলা পাকাবি না।আমি তো সব ছেড়েই এসেছি।দরকার নেই কোনো অধিকার। আর কারো সাথে ঝগড়া করবি না।মন নরম রেখে রাস্তাঘাটে চলবি।
দুহাত দিয়ে কান চেপে ধরলো স্পর্শী।বললো,

” বুঝেছি মা বুঝেছি।এখন আসি।”
হাসিমুখে বিদায় দিলেন পিপাসা।ওদের রিকশা চলতে লাগলো রেডিও কলোনীর উদ্দেশ্যে। রিকশাটা অদৃশ্য হতেই মুখ চেপে কান্না করে দিলেন।নিচু কন্ঠে আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন,
“আল্লাহ! মেয়েদুটো অনেক আশা,সম্মান,ভালোবাসা নিয়ে তাদের বাবাকে দেখতে গেছে।আপনি ওদের ভালোবাসার মর্যাদা দিয়েন। আমি নাহয় লোকটাকে ভালোবেসে ঠকেছি।কিন্তু ওরা যেন না ঠকে।ওদের কাছে যেন ওদের বাবা সারাজীবন সম্মানের থাকে।

রেডিও কলোনীর সামনে এসে প্রায় পনেরো মিনিট অপেক্ষা করতে হলো স্পর্শীদের।সরাসরি সদরঘাটের বাস পাওয়া দুস্কর।অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর পাওয়া যায়।বাস থামতেই দ্রুত পায়ে আর্শিকে ধরে উঠিয়ে দিল স্পর্শী।ব্যাগ দুটো হেল্পার ছেলেটির হাতে দিয়ে নিজেও উঠে গেল।বাস প্রায় অর্ধাংশ ফাঁকা।পুরো বাসে একবার চোখ বুলিয়ে মাঝখানের সিটে বসলো।জানালা দিয়ে মুখ বাড়িয়ে দেখে নিলো একবার পরিচিত স্থানগুলো।আর্শি পাশেই বোনের ফোন স্ক্রল করছে।এরইমধ্যে পিপাসার ফোন চলে এলো।রিসিভড করতেই ওপাশ থেকে বললো,
” কই আছিস তোরা?”

আর্শি বিরক্তির সুরে বললো, “আম্মু আমরা মাত্র বাসে উঠেছি।তুমি আর ফোন দিও না।অনেক বলে আধঘন্টার জন্য আপুর কাছ থেকে ফোন নিয়েছি।আমরা সুস্থ আছি,আর সদরঘাট গিয়ে তোমায় ফোন করে নিবো।
বলেই ফোন কেটে দিলো।স্পর্শী হাসলো।বাস ছেড়ে দিয়েছে ইতোমধ্যে।বোনের দিকে তাকিয়ে বললো,
” তোকে একটা ফোন কিনে দিতে চাইছিলাম।কি বলিস?”
উৎফুল্ল হয়ে স্পর্শীর দিকে তাকালো আর্শি।ব্যাতিব্যস্ত হয়ে বললো,
“খুব ভালো হবে।আমার সব ফ্রেন্ড দের ফোন আছে শুধু আমার নাই।দেখো,আমি একা একা কলেজ চলে যাই।যেকোনো সময় তো বিপদ হতেই পারে তাই না।যদি একটা ফোন থাকে তাহলে তো তোমাকে জানাতে পারবো বলো।”

মাথা নাড়ালো স্পর্শী।আর্শির হাত থেকে ফোন এনে স্ক্রল করতে করতে বললো,
“দেখতো এই ফোন টা পছন্দ হয় কি না?”
আর্শি উৎসুক চাহনিতে তাকালো।পরক্ষণেই NOKIA 1200 সেট দেখে মুখ খানি অমাবস্যার চাঁদের মতো করে ফেললো।গোমড়ামুখে বলে উঠলো,
“তুমি মজা করতেছো আমি জানতাম।ও আপু,দাও না একটা ফোন।তুমি আম্মুকে বললেই কিনে দিবে আমায়।”
মুখ টাকে সিরিয়াস করলো স্পর্শী।গম্ভীর মুখে বললো,
“ঠিক আছে দিবো।আমি নিজেই একটা ভালো মডেলের স্মার্টফোন কিনে দিবো।তবে এইচএসসি তে ভালো রেজাল্ট করতে হবে।রেজাল্টের দিন’ই তাহলে ফোন পাবি।”

আশাহত হলো আর্শি।মনে মনে সিংগামের ন্যায় বললো,”ইয়ামপসিবল!সে আর ভালো রেজাল্ট।এটা ভাবা ভীষণ হাস্যকর।এ জীবনে আর তাহলে ফোন পাওয়া হলো না।”
পরক্ষণেই নিজেকে সামলে সান্ত্বনা দিয়ে বললো,”তো কি হইছে?পিরোজপুর থেকে গিয়েই সে মায়ের পার্লারে সময় দেবে।সেখান থেকে যা পাবে তা মাসখানেক জমিয়ে একটা ভালো ফোন কিনে নেবে।”
ভাবতেই উৎফুল্ল হয়ে হেসে ফেললো।

বিকেলবেলা।ঘড়ির কাঁটা তখন সাড়ে পাঁচটাকেও ছাড়িয়ে গেছে।পথে প্রচুর জ্যাম থাকায় বাস এখনো সদরঘাট পৌছায়নি।চিন্তায় অস্থির হয়ে পড়েছে স্পর্শী।একদিকে লঞ্চ মিস করেছে।অন্যদিকে আর্শি বমি করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।স্পর্শির কাধে মাথা দিয়ে অজ্ঞানের মতো পড়ে আছে।মিনিটের কাঁটা পয়তাল্লিশ ছাড়িয়েছে।লঞ্চ সাড়ে পাঁচটায় ছাড়ার কথা।সে আশা ত্যাগ করে ছয়টার বাসে যাওয়ার চিন্তা করছে।কিন্তু বাধ সেধেছে আর্শির চিন্তা।মাত্র তিন ঘন্টাতেই এতটা কাহিল ;সেখানে টানা সাত/আট ঘন্টার বাস জার্নি কিভাবে করবে?

ভাবনার মধ্যেই গাড়ি এসে থামলো সদর ঘাটে।আর্শিকে ঝাকিয়ে কোনো মতে উঠালো স্পর্শী। বাঁম কাধে এবং হাতে দুটো ব্যাগ নিয়ে অপর হাতে আর্শিকে ধরে নামালো।পাঁচ মিনিটের পথ হাটতে হবে ঘাটে পৌছাতে।বোনকে ধরে ধীর পায়ে এগিয়ে গেল টার্মিনালের দিকে।প্রাথমিক টিকিট কেটে ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখলো সামনের লঞ্চের গায়ে “বরিশাল,ঝালোকাঠি,চরখালী”লেখা।মা ই বলেছিলো চরখালীর লঞ্চে উঠতে।দ্রুতপায়ে সামনে এগোতেই দেখলো লঞ্চ ছেড়ে দিয়েছে ইতোমধ্যে।চিৎকার করে আর্শিকে নিয়ে দৌড় দিয়ে বললো,

” আর্শি, এটাই আমাদের লঞ্চ।মনে কর, পেছনে কুকুর তাড়া করেছে।দ্রুত দৌড়া।”
প্রায় দুহাত দূরে চলে গেছে লঞ্চ।সামনের ডিকিতে থাকা দুই লোকের সাহায্যে ব্যাগ নিয়ে কোনোমতে উঠলো।হৃৎপিন্ড এখনো ধড়াস ধড়াস করে লাফাচ্ছে। সামনের দরজার কাছে গিয়ে হাটু ভেঙে বসে পড়লো আর্শি।বোন অসুস্থ হয়েছে ভেবে নুয়ে উঠাতে গিয়ে দেখলো সে হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরিয়ে ফেলেছে।স্পর্শীর দিকে তাকিয়ে কোনো মতে বললো,
“আপু,ভীষণ মজা পেয়েছি।তুমি যখন কুকুরের কথা বলেছো তখন আমি প্রথমে ঘাঁড় ঘুরিয়ে পেছনে কুকুর দেখার চেষ্টা করছিলাম।”

হেসে দিলো স্পর্শী।বোনকে দ্রুত টেনে তুলে বললো,
“তুই তো বাসে বসে আমাকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিলি।যাক বাবা,চিন্তাটা এখন কমেছে।ওঠ এখন।আগে কেবিনে যাই, তারপর যত পারিস হাসিস।”
মিডেল ক্লাসের একটা কেবিন ভাড়া নিলো তারা।ভেতরে ঢুকে স্পর্শী ব্যাগ রেখে বাইরে এলো।সামনেই ড্রাম ভরা খাবার পানি।সেখান থেকে বেশ খানিক’টা খাবার পানি নিয়ে পুণরায় কেবিনে ঢুকলো।আর্শির হাতে দিয়ে বললো,
“ড্রেস খুলে ওড়না ভিজিয়ে সারা গা মুছে নে।এরপর অন্য ড্রেস পড়ে নিস।আর গায়ের টা পলিতে মুড়ে ব্যাগে রেখে দে।বমির গন্ধ আসছে। আমি সামনেই আছি,ভয় পাস না।”

হ্যাঁ সূচক উত্তর দিতেই স্পর্শী বেরিয়ে গেল।মিনিট পাঁচ যেতেই আর্শি ডাকলো”আপু,আমার হয়ে গেছে।”
রাত আট’টা।দু বোন দরজা আটকে বেশ লম্বা একটা ঘুম দিয়েছে।দু-বোন বললে ভুল হবে।কেননা, আর্শি স্পর্শীর ঘুমিয়ে যাওয়ার জন্য চোখ বন্ধ করে অপেক্ষা করছিলো।বোন ঘুমিয়ে পড়তেই সে সেই থেকে ফোণ টিপছে।স্পর্শী কিচ্ছু বললো না।ফোন হাতে নিয়ে আর্শিকে সাথে করে কেবিনের বাইরে বের হলো।তালা দিয়ে বোনকে নিয়ে চললো ছাদের দিকে।লঞ্চ টা চারতলা। কিন্তু ছাদে ওঠার সাথে সাথেই এতটা দমকা বাতাসে মিনিটখানেক ও দাঁড়ালো না তারা।নিচে নেমে একদম কার্ণিশে গিয়ে দাঁড়ালো।এ এক অন্য অনুভূতি । বাতাসের দমকা হাওয়ায় চুলগুলো উড়ছে প্রবল ভাবে।নিজেকে বেশ ফুরফুরা লাগলো স্পর্শীর। আর্শিকে কিছু বলার প্রয়াস করে পাশে তাকাতেই হা হয়ে গেল।দূরে এক পেয়ারা ওয়ালার পাশে পাত পেতে বসে পেয়ারা বানানী খাচ্ছে সে।আহম্মক হয়ে গেল স্পর্শী।কাছে গিয়ে ধমক দিতেই ইনোসেন্ট ফেস নিয়ে বললো,

“আম্মু কিন্তু তোমাকে দশ হাজার টাকা দিয়েছে আমার জন্য।যা খেতে চাই তাই খাওয়াতে বলছে।টাকা লাগলেও আম্মুর কাছে চাইতে বলছে।আমাকে বকতেও বারণ করছে।”
চোখ দুটো ছোট ছোট করে তাকালো স্পর্শী।পরক্ষণেই লোকটিকে আরো পঞ্চাশ টাকার পেয়ারা বানাতে বলে কেবিনের দিকে চললো। ছোট্ট পার্স ব্যাগটাতে অল্প কিছু টাকা নিয়ে পুণরায় দরজায় তালা লাগালো।
রাত একটা।লঞ্চের এক তৃতীয়াংশ লোক ঘুমিয়ে পড়েছে।বাকিরা শুয়ে ফোন টিপছে।কেউ কেউ গল্প করছে।কিন্তু আর্শির এখনো মুখ চলছে। একটার পর একটা দোকান থেকে কিনেই চলছে।এ যাবৎ মুখ তার থামেনি।মায়ের সাথে কথা বলেছে প্রায় তিনবার।তিনিও অনুমতি দিয়েছেন ছোট মেয়েকে পুরো লঞ্চ’টা গিলে খাওয়ার।
অতিষ্ঠ হয়ে ফ্লোর থেকে টেনে তুললো স্পর্শী।ধমকের সুরে বললো,

“তোর এত্তো খোলা বারান্দা ভালো তাহলে আগে বলতি। শুধু শুধু টাকা নষ্ট করে আমি কেবিন রাখলাম কেন?আর সেই যে এখানে বসে পড়েছিস আর ওঠার নাম নেই।আন্টি তোর জন্য শুতে পারছে না। ওঠ!”
বাধ্য হয়ে চলে এলো আর্শি।কেবিনে ঢুকে দরজা আটকাতেই বিছানায় কলাগাছের মতো পড়ে রইলো স্পর্শী।ফোন’টা লুকানোর জন্য বেশ মন খারাপ আর্শির।অনেক্ষণ মোড়ামুড়ি করে এদিক -ওদিক খুঁজলো।কিন্তু বরাবরের মতো ব্যার্থ হলো না এবার।বালিশের নিচ থেকে কোনোমতে টেনে এনে লক খুললো।এর’ইমধ্যে স্পর্শী কাত হয়ে শুতেই ভয়ের চোটে ফোন বালিশের উপরে রেখে ওপাশ ফিরে ঘুমের ভান ধরে থাকলো।কিন্তু কেলেংকারি যা করার সেটা সে করেই ফেলেছে।তাড়াহুড়োতে হাতের টাচ লেগে কোনো এক নম্বরে কল চলে গেছে ইতোমধ্যেই।ফোনের রিং হওয়ার শব্দ শুনতেই চোখমুখ খিঁচে মরা ব্যাঙের মতো ওপাশে ফিরে পড়ে রইলো আর্শি।

রাত দেড়টার সময় ফোনের রিংটোন বাজতেই উঠে বসলো পরশ।মাত্র শুয়েছিলো সে।ফোনের স্ক্রিনে তাকাতেই চোয়াল শক্ত হয়ে গেল।এই মেয়ে তাকে কেন ফোন করেছে?তাও এতো রাতে।ফোন ধরবে না ধরবে না করেও শেষ অবধি রিসিভড করলো সে।ওপাশ থেকে কোনো আওয়াজ না পেয়ে নিজেই বললো,
“ফোন দিয়েছো কেন আমার নাম্বারে?”
কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পুণরায় বললো,
“সমস্যা কি? ফোন দিয়েছো কেন?হ্যালো?এই অসভ্য মেয়ে?

রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ১৭

বালিশের উপরে ফোন রাখায় ওপাশের ” হ্যালো,হ্যালো”স্পষ্ট স্পর্শীর কানে পৌছাচ্ছে।চোখ ডলে পাশ থেকে ফোন নিতেই স্ক্রিনের নম্বর দেখে তড়িৎ গতিতে উঠে বসলো।চোখ মুখ খিঁচে বললো,
“আপনার সাহস হলো কি করে আমাকে আবার ফোন দেওয়ার?”
রাগ’টা তড়তড় করে বেড়ে গেল পরশের।নিজেকে সামলে দাঁতে দাঁত পিষে বললো,
“আধপাগল মহিলা!আমাকে তো পাগলা কুত্তা’য় কামড়াইছে যে তোমাকে ফোন করবো?”

রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ১৯