রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ৭২

রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ৭২
সিমরান মিমি

অগ্রহায়ণের সূচনা ঘটেছে মাত্র।এর মধ্যেই শীতের এমন প্রখরতা মানবজাতিকে সেপাই বানিয়ে দিয়েছে।প্রত্যেকের পরনের আষ্টেপৃষ্ঠে ধরা শীতের পোশাক গুলো যেন সৈনিকের গায়ের লোহার আস্তরণ।সূর্য ডুবেছে অনেকক্ষণ।মাগরিবের নামাজ ও ইতোমধ্যে শেষ। গায়ের লম্বা সুন্নতি হিজাব টিকে খুলে ভাজ করে রাখলো স্পর্শী।এরপর ধীর চিত্তে পরশের সাথে কথা বলার উদ্দেশ্যে মোবাইল হাতে নিলো।পরক্ষণেই খোলা দরজার দিকে নজর যেতেই সেদিকে এগিয়ে এলো।দরজা লাগিয়ে কথা বলা উচিত।

ভেবে উঁকি মেরে দুপাশের উপস্থিতি দেখে নিলো।মুহুর্তে-ই চোখে পড়লো সোভাম কে।কালো হুডি পরিহিত মাথায় টুপি টানা অবয়ব টা দেখে ঝট করে চিনে নিলো।সোভাম মাত্র রুম থেকে বেরিয়েছে।স্পর্শী ভ্রুঁ যুগল কুঁচকে কিছুক্ষণ ভেবে নিলো।এরপর নিঃশব্দে দরজা টা লাগিয়ে সিঁড়ির কাছে চলে গেল।সূঁচালো দৃষ্টি নিয়ে হাঁটছে সোভাম।চারপাশে চোখ ঘুরিয়ে তাকিয়ে হুট করেই স্পর্শীর রুমের সামনে থেমে গেল সে।দরজা টা নিঃশব্দে খুলে উঁকি দিলো ভেতরে।নাহ!কেউ নেই।কোথায় যেতে পারে এই সন্ধ্যাবেলায়?বিচক্ষণতার দৃষ্টিতে জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নিলো।তার মানে স্পর্শী হয়তো আশেপাশে উপস্থিত নেই।স্বস্তির একটা নিঃশ্বাস টেনে পুণরায় নিঃশব্দে হেঁটে গেল সিঁড়ির দিকে।
_”পরিকল্পনা কি এখন নতুন ভাবে করতে যাচ্ছো?”

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

দুটো ধাপ নামতেই পেছন থেকে স্পর্শীর গলার আওয়াজ পেলো। চমকে চোখ দুটোর আকার বৃদ্ধি করে থমকে দাঁড়িয়ে পড়লো।এরপর নিজেকে স্বাভাবিক করে স্পর্শীর দিকে ঘুরে তাকালো।মাথা থেকে টুপিটা খানিকটা সরিয়ে নিলো।বাঁকা হেসে স্পর্শীর দিকে সূচালো দৃষ্টি দিলো।বললো,_”করলেও বা মন্দ কিসে?দেখি না কে জেতে।”
বলে পুণরায় হাঁটা শুরু করলো সোভাম। স্পর্শী কিছুক্ষণ চুপ করে চেয়ে রইলো।এরপর গম্ভীর কন্ঠে বললো,_”বোন জামাইয়ের পেছনে এভাবে পড়ে আছো কেন?একা ও নও;বরং আরো লোক লেলিয়ে দিয়েছো।”

সোভাম ভ্রুঁ উঁচিয়ে স্পর্শীর দিকে তাকালো।বললো,_”বোনজামাই?হাহ!আগে বিয়েটা হোক।”
হাসলো স্পর্শী।দু-পা সামনে এগিয়ে ফিসফিস করে বললো,_”হয়ে গেছে তো।এইতো আজকেই করলাম বিয়ে।সরাসরি কোর্ট ম্যারেজ করেছি।কালেমা পড়িয়েও বিয়ে শেষ। এবার শুধু আনুষ্ঠানিকতা বাকি।এখন এসব বাদ দাও।ভগ্নিপতি ‘র সাথে প্রতিযোগিতায় নামতে হয় না।নামলেও সেটা সমানে সমানে হতে হয়।সেক্ষেত্রে আমার জামাই য়ের সমকক্ষ তো তুমি হতে পারো নি এখনো।কোথায় একা পরশ শিকদার,আর এখানে তুমি সরদার,সুজন মির্জা,এমনকি কবির খাঁ কে নিয়ে ওর পেছনে লেগেছো।কাজ’টা কি আদৌ খুব বেশি সম্মানের?”

বিস্ফোরিত নয়নে তাকিয়ে রইলো সোভাম।হতবাকের ন্যায় চুপ করে রইলো।পরক্ষণেই তীব্র জেদ নিয়ে এগিয়ে এলো স্পর্শীর দিকে।দাঁতে দাঁত চেপে বললো,_”মাথা খারাপ নাকি তোমার?বিয়ে করেছো মানে?কোথায় বসে করেছো?কে ছিলো সাথে?পরশ কি জোর করেছে তোমায়?আমায় বলো।”
_”নাহ,জোর করবে কেন?আমি স্বেচ্ছায় ওর সাথে গিয়েছিলাম।সম্পুর্ণ নিজ ইচ্ছায় কোনোরকম বাধ্যবাধকতা ছাড়া হাসিমুখে বিয়ে করেছি।কোনো সমস্যা তোমার?”
ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে রইলো সোভাম।এরপর জেদ নিয়ে বললো,_”আব্বু ওদের বারণ করে দিয়েছে সেটা কি তুমি জানোনা?তারপরেও একা একা লাফিয়ে বিয়ে করতে কেন গেছো?শামসুল সরদার কি তার মেয়ের এমন ধিঙ্গিপানার ব্যাপারে জানে?”

_”না জানেনা।আব্বু এখনো কিচ্ছু জানে না।আর তুমিও বলবে না।বললে আমিও গড়গড় করে কাহিনি পড়ে যাবো।আর আব্বু বিয়ের ব্যাপারে বারণ করেছে এটাই বলছিলে তো?আমি জানি,আর এটাও জানি যে সূজন মির্জাকে ফুসলে কথাগুলো তুমিই বলিয়েছো। যাতে আব্বু নিজে থেকে সবটা বাদ দিয়ে দেয়।আর তুমি সাধু থাকো।কালসাপ কোথাকার!”
স্বজোরে স্পর্শীর দুগাল চেপে ধরলো সোভাম।উত্তেজনা বশত এমন ভুল হুট করে করলেও সেটাকে শুধরে নিলো না।বরং হাতের জোর টাকে আলগা করে আফসোসের স্বরে বললো,_”ভাইয়ের দায়িত্ব পালন করছিলাম।তোমাকে রক্ষার দায়িত্ব হাতে নিয়েছিলাম।কিন্তু তুমি ভাই’ই মনে করলে না।খুব ভালো।পস্তাবে,খুব দ্রুত-ই পস্তাবে।তুমি ওকে চেনো না।ওর ওই নির্দোষ,বোকাসোকা মুখোশের নিচের রুপ আজ ও ধরতে পারলে না।আফসোস!”
বলে চলে গেলো সোভাম।স্পর্শী ভ্রুঁ কুঁচকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো।পরক্ষণেই গা ঝাড়া দিয়ে চলে গেল রুমের দিকে।

থমথমে মুখশ্রী নিয়ে বসে আছেন আমজাদ শিকদার। তার চেহারায় স্পষ্ট রাগ।এই মুহুর্তে তিনি যে ছেলের উপর ভীষণ বিরক্ত সেটা দেখতেই বোঝা যাচ্ছে।বাবার বিপরীত পার্শ্বে দাম্ভীকতা নিয়ে চুপ করে বসে আছে পরশ।পেছনেই পিয়াশা দাঁড়ানো।পরশ বাবাকে পুণরায় ডাকলো।বললো,_”কিছু বলছো না যে?”
রুষ্ট হলেন আমজাদ।হুংকার ছেড়ে বললেন,_”কি বলবো?বলার কিছু আর আছে?আমি পারবো না শামসুল সরদারের সামনে আবারো নত হতে।গিয়েছিলাম তো,মাথা হেট করে নির্লজ্জের মতো গেছিলাম।বিয়ে অবধি ঠিক করে এসেছি,বারবার সেধে কথা বলেছি।কিন্তু কি হলো?সেই বাবা-মেয়ের নাটকে নাটকে আমার মান-সম্মান প্রতিনিয়ত ধুলোয় মিশছে।ওরা তো বলেই দিয়েছে বিয়ে সম্পর্কে এখন আর কিছু ভাবছে না।তাহলে আজ আবার কোন মুখে জিজ্ঞেস করবো? ”

পরশ শান্ত হয়ে শুনলো।বাবার কথা বলার শেষে গম্ভীর কন্ঠে বললো,_”আব্বু,বিয়ে হয়ে গেছে ।তুমি শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতার ব্যাপারে কথা বলবে।”
চমকে উঠলো আমজাদ।বিস্ফোরিত নয়নে তাকিয়ে অবিশ্বাসের সুরে বললো,_”বিয়ে হয়ে গেছে মানে?কখন হয়েছে?”
_”আজকেই করেছি।
_”ওই মেয়ে রাজী হয়েছে?”
_”হুম।কিন্তু আমি আশা করি নি।বিয়ের কথা বলা মাত্র’ই রাজী হয়েছে।যদিও সন্দেহজনক। তবে শামসুল সরদারের চোটপাট বন্ধ করার জন্য হলেও বিয়েটা করা প্রয়োজন ছিলো।আমার মনে হয়,সুজনকে ধরিয়ে দিয়েছি বলেই সম্মতি দিয়েছে।”

এতোক্ষণে স্বাভাবিক হলেন আমজাদ।সোফায় নড়েচড়ে বসে বললেন,_”ভালো কথা মনে করিয়েছো।সুজনকে কেন পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিয়েছো?”
বাবার দিকে অতি উৎসাহী চোখে পরশ তাকালো।এরপর নিজেই প্রশ্ন ছুড়ে মারলো।বললো,_”ওরা এতোবড় একটা অঘটন ঘটালো।আর আমার কি ওদের না ধরিয়ে দিয়ে রক্ষা করা উচিত ছিলো?”
তীর্যক দৃষ্টিতে ছেলের দিকে চাইলো আমজাদ।চোখেমুখে তীব্র সন্দেহ নিয়ে হেসে বললো,_”পরশ,বাপের সাথে গেম খেলো না।সুজনকে কেন ধরিয়ে দিয়েছো?”

পরশ চুপ করে বাবার দিকে তাকিয়ে রইলো।ইতোমধ্যে পিয়াশা চলে গিয়েছে এখান থেকে।চারদিকে তাকিয়ে গম্ভীর কন্ঠে বলল, _”ওকে ধরিয়ে দেওয়া বা রক্ষা করার কোনো ইনটেনশন-ই ছিলো না।হারাম খোরের বাচ্চা আমার পেছনেই পড়েছিলো ক-দিন ধরে।দলের মধ্যে বসেই বিষ ছড়াচ্ছিলো বাকিদের মধ্যে।আগেই টের পেয়েছিলাম।ভেবেছি বেইমান টার মস্তক উড়াবো।কিন্তু এর আগেই জানোয়ার টা অকাম করে বসলো।পুলিশ বা প্রশাসনের হাতে গেলে আমার ব্যাপারে বিভিন্ন বিষয় লিক হতে টাইম লাগতো না।তাই নিজের কাছে-ই রেখেছিলাম।

_”তাহলে আবার কেন ধরিয়ে দিলে?ওই মেয়েটার জন্য?”
_”কিছুটা এরকম-ই।চেয়েছিলাম গুম করে দিবো।সবাই ভাববে পালিয়েছে।কিন্তু স্পর্শীয়া খুব খোঁচাচ্ছিলো।জনগণের মধ্যেও বিপরীত প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করছি ক-দিন ধরে।তাই….”
সম্পুর্ণ কথা শেষ হওয়ার আগেই আমজাদ শিকদার পরবর্তী প্রশ্ন ছুঁড়লেন।বললেন,_”সাবধান করেছিলাম আগেই।না সঙ্গ দিয়েছি তোমার রাজনীতিতে, আর না তো এই বিয়েতে।নিজের ইচ্ছায় করেছো।কিন্তু এই কাজ টা কি ঠিক হয়েছে।সুজন এখন তোমার নাগালের বাইরে।ফাঁস করতে কি বেশিক্ষণ লাগবে?
_”উঁহু!আমি দেখে নেবো।পরশ শিকদার বিকল্প না রেখে এক পা ও আগায় না।নিশ্চিন্তে থাকো।শুধুমাত্র যেটুকু বলেছি সেটুকু করো।”
আমজাদ ভাবলেন কিছুক্ষণ।বললেন,_”ও কি মেনে নিলো সবকিছু?
_”মানিয়েছি।”
_”কিভাবে মানালে?”

চোখ দুটো কুঁচকে বাবার দিকে তাকালো পরশ।এরপর কটাক্ষ করে বললো, _”যেভাবে বউ মানানো যায় সেভাবে মানিয়েছি।তোমাকে নিশ্চয়ই সেটা বুঝিয়ে বলতে হবে না।”
বলে ধুপধাপ পা ফেলে দোতলায় চলে গেলো।আজকাল বাবার প্রায় সব প্রশ্ন-ই বিরক্তিকর হয়।পাঞ্জাবি চেঞ্জ করে ক্লান্ত পায়ে ওয়াশরুমে গেল।নিজেকে রিফ্রেশ করে গা এলিয়ে দিলো বিছানায়।চোখ দুটো বুঝতেই রিংটোন বেজে উঠলো।বিরক্ত হয়ে ফোন হাতে তুলতেই চোখ বুঝে নিলো ভালো লাগায়।জড়ানো কন্ঠে বললো,_”বাহ!আজ দেখছি ম্যাডাম নিজে থেকে ফোন দিয়েছে।আচ্ছা,এটা রঙ নম্বরে আসে নি তো?”
স্পর্শী হাসলো।বললো,_”হুম,রঙ নাম্বারেই গেছে।আচ্ছা আপনি কি আমার জামাই পরশ শিকদার কে চেনেন?আমি তাকেই ফোন করেছিলাম।”

পরশ ভাবুক কন্ঠে বললো,_”উমমম!চিনি হয়তো।মনে পড়ছে না।”
_”মনে পড়লে তাকে বলবেন,_”নিজের বউ যেন বেশিদিন আরেক বাড়ি না রাখে।এতে পাপ হয়।”
পরশ চট করে উঠে বসলো।জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে বললো,_”কেন?আপনি কি জামাইয়ের কাছে আসার জন্য খুব বেশি ছটফট করছেন?এতো অস্থিরতার কারন কি জানতে পারি ম্যাডাম?”
চোখ বন্ধ করে নিলো স্পর্শী।বললো,_”ছিহঃ!অসভ্য।
থেমে স্বাভাবিক কন্ঠে বললো,_”বাড়িতে বলেছেন বিয়ের ব্যাপারে?”
পরশ মাথা নাড়িয়ে সায় জানালো।বললো,_”হুম।আব্বুকে বলেছি।তবে সে ভীষণ অসস্তিতে আছে।বারবার এক-ই কথা বলতে অপমানিত হচ্ছে।”
স্পর্শী মুচকি হেসে বললো,_”বুঝেছি।সমস্যা নেই।আমি আব্বুকে জানিয়ে দিয়েছি সবটা।উনি রাজী হয়েছে।বিয়ের ব্যাপারে যদিও এখনো বলি নি।শুধু বলেছি খুব দ্রুতই আমি বিয়ে করতে চাই।এবারে আংকেল কে আপনি বাকিটা বলে দিবেন।”

_”তোমার বাপ রাজী হলো?বেঁকে বসে নি?”
_”প্রথমে রাগ করেছিলো খুব।আপনার ঐ চ্যালা সুজন নাকি আপনার ব্যাপারে অনেক কিছু বলেছে আব্বুকে।এজন্যই ভয় পেয়েছিলেন আমার সুরক্ষা নিয়ে।তবে আমি বুঝিয়ে বলেছি।”
পরশ সবটা মন দিয়ে শুনলো।এরপর কন্ঠে প্রগাঢ় সন্দেহ এনে বললো,_”কি বলে বুঝিয়েছো?”
মাত্র’ই পরশের উদ্দেশ্য টের পেয়েছে স্পর্শী।মুহুর্তেই নিজেকে সামলে নিলো।চঞ্চল কন্ঠে বললো,_”আরেহ।এতো প্রশ্ন কেন করছেন?বলেছি যে আপনি ওকে ধরিয়ে দিবেন জেনে ও ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে আব্বুকে মিথ্যে বলেছে।যাতে বিয়েটা বন্ধ করে দেয়।যদিও বলার মতো এতো সহজে মানেনি।অনেক শ্রম দিতে হয়েছে।এবার আপনি আমাকে এই পরিশ্রমের পুরস্কার দিন।”
পরশ হাসলো।সে স্পষ্ট বুঝতে পেরেছে স্পর্শী তার উদ্দেশ্য ধরতে পেরে কথা ঘোরাচ্ছে।ফোনের দিকে তাকিয়ে নিচুস্বরে বিরবির করে বললো,_”তুমি বড্ড চালাক জান।তোমার ওই মগজ আমি প্রতিনিয়ত মেপে দেখবো।একবার কাছে পাই।ধুরন্ধর মহিলা।”

_”কিছু কি বলছেন?শোনা যাচ্ছে না।”
চমকালো পরশ। ফোন টাকে কানে নিয়ে বললো,_”হ্যাঁ পুরস্কার চাইছিলে?আচ্ছা, বলো।কতগুলো চুমু চাই?”
আঁতকে উঠলো স্পর্শী।ধমক মেরে বললো,_”আজব তো।অসভ্যতা করছেন কেন?পুরস্কার চেয়েছি,চুমু নয়।”

রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ৭১

_”উঁহু!একজন রোমান্টিক স্বামীর কাছ থেকে তার বউয়ের পুরস্কার চাওয়া মানে ইনডিরেক্টলি চুমু চাওয়া।তুমি উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে বললেও আমি সেটা খুব সহজেই ক্যাচ করতে পেরেছি।এবার বলো কতগুলো চাই?”
_”এই সরুন তো।ফোন রাখছি আমি।”

রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ৭৩