রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ৭৩

রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ৭৩
সিমরান মিমি

ছটফট করছে অন্তরাত্মা।উত্তেজনায় কপালের দু প্রান্তে বিন্দু বিন্দু ঘামের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে।ক্রমশ উত্তেজনা,জানার আকুলতা বাড়ছে।প্রতি সেকেন্ডে মন ব্যাকুল হয়ে উঠছে।কন্ঠনালী শুকিয়ে স্বরযন্ত্র কে অবরোধ করে রেখেছে এক অদৃশ্য অনুভূতি। পাভেল কে দেখা যাচ্ছে।সে আসছে স্টেইজের এ প্রান্তেই। তাকে দেখতেই উঠে দাঁড়ালো পরশ শিকদার। স্টেইজে ওঠার আগেই নিজে নেমে গেলো।ছুটে এসে ভাইয়ের সামনে দাঁড়ালো পাভেল।চাপাস্বরে বললো,_”আরে আরে,নামছিস কেন?”পরশ কর্ণপাত করলো না।বরং পুরোপুরি অবজ্ঞা করে নিজের প্রশ্ন ছুঁড়লো।ব্যাকুল মনকে শান্ত করতে ঘন ঘন শ্বাস নিয়ে অবিশ্বাসের সুরে বললো,_”ও কি কবুল বলেছে?ঝামেলা বাঁধে নি তো?”

একদৃষ্টে তাকিয়ে রইলো পাভেল।চারদিকে তাকিয়ে ঠোঁট চেপে হেসে বললো,_”হ্যাঁ বলেছে।কোনো ঝামেলা হয় নি।”
এ যেন শুষ্ক মরুভূমির মধ্যে এক পশলা বৃষ্টি পড়লো।সস্তির নিঃশ্বাস ফেলে পুণরায় আসনের দিকে এগিয়ে গেলো।পাভেল কটাক্ষ করে বললো,_”এতো দুশ্চিন্তার কি দরকার?তোদের তো আগেই বিয়ে হয়েছে। এখন না হলেও বা কি?”

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

পরশ হাসলো।বললো,_”তুই বুঝবি না।যে ঘাড়ত্যাড়ার পাল্লায় পড়েছি তাতে সব কিছুর উপর থেকে বিশ্বাস সরে গেছে।পরশুদিন বললাম ‘চলো,ঘুরে আসি।’কিন্তু শুনলো না। বরং ত্যাড়ামি করে বললো,এই বিয়ে সে মানে না।যতক্ষণ না পর্যন্ত ওর বাপ নিজের ইচ্ছায় বিয়ে না দিচ্ছে।”
থেমে বললো,_”বলা তো যায় না।নাটকীয় ফ্যামিলিতে বিয়ে করেছি।এদের বাপ-ভাই,মেয়ে সবগুলোর মধ্যে নাটক।হুটহাট মুড চেঞ্জ হয়ে যায়।তাই বিশ্বাস হচ্ছিলো না।না জানি আবার কে বেঁকে বসে।শেষে দেখা যাবে, বিয়ে একশোবার হলেও সংসার আর হবে না।”

পাভেল কিছু বলার জন্য মুখ খুলতেই পেছন থেকে আলতাফ শিকদার ডাক দিলেন।একবার পেছনে তাকিয়ে ভাইয়ের উদ্দেশ্যে বললো,_”কাকা ডাকছে।আসছি।”
চলে গেল পাভেল।পরশ ফোন হাতে নিলো।শামসুল সরদারের মতানুযায়ী তাদের-ই বাড়ির সামনে বিশাল প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে।নিয়মানুসারে সাড়ে এগারোটায় গায়ে হলুদ সেরে জুম্মার নামাজ পড়েছে।এরপর বাড়ির সামনেই কাজি এনে সবার উপস্থিতিতে বিয়ে পড়ানো হয়েছে।ইতোমধ্যে খাবার আনার তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে।এইতো আর মাত্র কয়েক ঘন্টা।বরযাত্রীদের খাওয়ানোর ঘন্টাখানেক পরেই বউ উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
সবার সাথেই বর-কনে কে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তবে তাদের টেবিল টি অন্যগুলোর থেকে আকর্ষণীয় ভাবে সাজানো।দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটা স্পেশাল।শামসুল সরদার নিজে এসে জামাইকে নিয়ে টেবিলে বসালেন।পাশে বসলেন ও।একে একে আমজাদ শিকদার, আলতাফ শিকদার পাভেল বসলো।কিছুক্ষণ পরেই পরশের পাশের চেয়ার টাতে বসলো সু-সজ্জিত এক নারী।গায়ে তার বধুবেশ।মেরুন বর্ণের শাড়িটা ফাক-ফোঁকর থেকে ফর্সা হাত এবং গলা চমকাচ্ছে যেন।পরশ ঢোক গিলে প্লেটের দিকে তাকালো।চাপা আওয়াজ এ বললো,_”আমাকে না দেখিয়ে এই শাড়ি খুলবে না।আমি দেখিনি ভালো করে।”
এতোক্ষণ মায়ের আদেশ মতো মাথা নিচু করে থাকলেও এখন সেটাকে তুলে ফেললো।ভ্রুঁ কুঁচকে পরশের দিকে জিজ্ঞাসাসূচক চাহনি দিতেই বললো,_”বলেছি শাড়ি খুলবে না।আমি দেখবো। ”

নুয়ে যাওয়া কন্ঠে ফিসফিস করে স্পর্শী বললো,_”ছবি তোলা আছে পাঠিয়ে দেবো।”
বাম হাত দিয়ে নিমিষেই হাত চেপে ধরলো পরশ।দাঁতে দাঁত চেপে বললো,_”আমি সরাসরি দেখবো।একদম ত্যাঁড়ামি করবে না স্পর্শীয়া।খুব খারাপ হয়ে যাবে।”
নতুন বর-বউয়ের ফিসফিস করে কথা বলার আওয়াজ অনেকটাই কানে যাচ্ছে আমজাদ শিকদার এর।তিনি হুট করেই চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালেন।শামসুল সরদারের উদ্দেশ্যে বললো,_”বেয়াই,অনেক গণমান্য লোক এসেছে।আমরা বরং তাদের সাথে বসে খাই।বিষয়টা না হয় দৃষ্টিকটু লাগবে।”

সায় দিলেন শামসুল সরদার। উঠে যেতেই ধপ করে সেই চেয়ারে বসে পড়লো আর্শি।সে ইতোমধ্যে রান্নার পরেই খাবার খেয়ে নিয়েছে।কিন্তু তাও এক-ই টেবিলে বসার ইচ্ছাকে নষ্ট করতে পারলো না।পাভেল সযত্নে নিজের পাশের চেয়ারে বসালো।এরপর খাবার বাড়তে বাড়তে আর্শির উদ্দেশ্যে বললো,_”খেয়েছো?”
মুহুর্তে ই অন্যদিকে তাকালো আর্শি।মুখ ঝামটা মেরে বললো,_”দেখে কে?”
হাসলো পাভেল।এরপর অনুনয়ের সুরে বললো,_”অনেক ব্যস্ত ছিলাম জান।রাগ করে না প্লিজ!খেয়ে নাও।”
_”খেয়েছি আমি।”

মাথা নাড়ালো পাভেল।পূনরায় বললো,_”ঠিক আছে,তাও আমার প্লেট থেকে খাও।যা ভালো লাগে খাও।”
ভ্রুঁ দুটো কুঁচকে পাভেলের দিকে তাকিয়ে রইলো স্পর্শী।এরপর পরশের দিকে তাকিয়ে ইশারা দিয়ে দেখালো।কটাক্ষ করে চাপা কন্ঠে বললো,_”দেখুন,একটু শিখুন।নিজে তো গিলেই যাচ্ছেন।আনরোমান্টিক কোথাকার।”
খাওয়া বন্ধ করে দিলো পরশ।বললো,_”রোমান্টিকতা প্রমাণ করার কি কোনো সুযোগ দিয়েছো?হাত ধরলেই তো চিৎকার মেরে ওঠো।”
থেমে, আচ্ছা তুমি কি কবুল বলেছিলে?”
চোখ দুটো ছোট ছোট করে তাকালো স্পর্শী।বললো,_”কেন?বিশ্বাস হচ্ছে না?”
দুপাশে মাথা নাড়ালো পরশ।নিচু কন্ঠে বললো,_”বাসর না হওয়া পর্যন্ত বিশ্বাস হবেও না।”
সম্ভিৎ ফিরে পেল স্পর্শী।আশেপাশে দু-চারবার তাকিয়ে সবাইকে দেখে নিলো।নাহ!কেউ শোনেনি।দাঁতে দাঁত চেপে বললো,_”অসভ্য!

পরশ হাসলো।পরক্ষণেই পেছনের টেবিলের দিকে তাকিয়ে বললো,_”তা আমার সম্বন্ধি সাহেব কোথায়?বিয়ের সময়েও তো দেখলাম না।খাবে না?”
স্পর্শী খেতে খেতেই জবাব দিলো।_”ওর পেট ভরা।খিদে নেই।”
_”কেন?কি খেয়েছে?”
_”ধোঁকা!” _হুট করে নিজেদের কথা মধ্যে পাভেল বলে উঠলো।চমকে তাকালো পরশ।ভ্রুঁযুগল কুচকে কিছু না বোঝার ভান ধরে বললো,_”ধোঁকা খেয়েছে মানে?কে দিলো?”

উত্তর দিলো না পাভেল।বরং স্পর্শীর দিকে তাকিয়ে ঠোঁট টিপে হেসে আবারো খেতে লাগলো।পুরো ঘটনাটাই লক্ষ করলো পরশ।ইদানীং পাভেল-স্পর্শীর এই কথাপকোথন খুব-ই সন্দেহ জনক।কটাক্ষ করে বলল, _”তা ভাবীর সাথে এতো ভাব জমালি কবে?আগে তো ছায়া দেখলেও পেছনে লুকোতিস।”
পাভেল নিজেকে সামলে নিলো মুহুর্তেই।ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে মজার ছলেই উত্তর দিলো।বললো,_”আজকাল ভাব-ভালোবাসা জমাতে সময় লাগে না।হুটহাট হয়ে যায়। ”
_”এতো ভাব ভালো না।স্পর্শীয়া,দূরে থাকবে ওর থেকে।ওর চরিত্র মোটেও সুবিধার না।”

চশমা টা এখনো চোখে লাগানো।ঘুমের মধ্যেই মুড়িয়ে উঠলো প্রেমা।এক হাত দিয়ে চশমা টা খুলে মুছে নিলো চোখের কোণ।কি ব্যাপার!মা কেন ঘুমের মধ্যে তার চশমা খুলে দেয়নি।তাহলে তো এতো তাড়াতাড়ি ভাঙতো না ঘুম।নড়াচড়া করতেই টের পেল গায়ের ভারী লেহেঙ্গার।অসস্তি লাগলো ভারী সব গয়না গাটির ছোঁয়ায়।নিমিষেই চট করে উঠে পড়লো।রুম টা পরিচিত নয়।তবে সাজানো গোছানো।আসেপাশের কারো কোনো অস্তিত্ব-ই নেই।আচমকাই ভয়েরা জেঁকে ধরলো।দ্রুত পায়ে বিছানা থেকে নেমে এলো দরজার বাইরে।সাথে সাথেই চোখ গেল রান্নাঘরের দিকে।হ্যাঁ চিনতে পেরেছে প্রেমা।এরা সরদার বাড়ির মহিলা।সুসজ্জিত বাড়িখানা দেখতেই মনে পড়ে গেল সব।সকালের ভাইয়ের বিয়ের বরযাত্রী হিসেবে এসেছে সে।

গায়ে হলুদের শেষে সবাই নামাজে গেলে সে থেকে যায় ভাবীদের সাথে।ভারী গহনা এবং লেহেঙ্গার এক মোটা আস্তরণে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলো।অতিরিক্ত মাথাব্যাথা এবং ক্লান্তির বশে যখন নুয়ে পড়েছিলো তখন আর্শিয়া -ই তাকে নিজের রুমে বিশ্রাম নেওয়া জন্য শুইয়ে দিয়ে গেছিলো।বাড়ির মধ্যে তেমন কারো উপস্থিতি নেই।শুধুমাত্র দু-তিনজন মহিলা রয়েছে।তার মানে সবাই বাইরে আছে।তার ও যাওয়া উচিত ভেবেই পা বাড়ালো সিঁড়ির দিকে।কিন্তু পারলো না।পেছন থেকে কিছুর শব্দ পেতেই ফিরে তাকালো।একদম কোনার রুমের দরজা টা নড়ছে।প্রেমা জানে এই রুম টা কার।কিন্তু এই মুহুর্তে তার তো এখানে থাকার কথা না।তবে দরজা কেন নড়লো?সোভামের কথা ভাবতে ভাবতেই গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে এলো সেদিকে।তৎক্ষণাৎ মনে পড়লো সেদিনের কথা।সোভাম কে ফোন নাম্বার দেওয়ার পর থেকে আর সেই নম্বর থেকে কোনোরকম হুমকি-ধমকি আসে নি।তাহলে কি সেই সামলেছে বিষয়টা?কিন্তু কিভাবে সামলেছে?আচ্ছা ওই ব্লাকমেইল করা ছেলেটা কি সোভাম কে ঐ ভিডিও টা সেন্ড করেছে?ভাবতেই সারাগায়ে রিনরিন করে উঠলো।সাথে সাথেই মাথা দুপাশে নাড়িয়ে নিজেকে শান্তনা দিতে বললো,_”না না। এমনটা কেন হবে?কেন ই বা ভিডিও দেবে?দেয় নি ভিডিও।”

কিন্তু কিভাবে সমস্যা টা সামলেছে সেটা জানা উচিত।আদৌ সামলেছে কিনা সেটাও জানা উচিত।ভেবেই দরজা আলতো হাতে ঠেললো।কিন্তু ভেতরে প্রবেশ করলো না।কন্ঠে মধুরতা নিয়ে অনুমতি চাইলো।বললো,_”ভেতরে আসবো?”
চমকে পেছনে ফিরলো সোভাম।হুট করেই প্রেমাকে দেখে অবাক হয়ে গেলো।পরক্ষণেই দাঁতে দাঁত চেপে বললো,_”না।”
ঢুকলো না প্রেমা।সেভাবেই ঠাঁয় হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো কিছুক্ষণ।অসস্তি লাগলো সোভামের।এ পর্যায়ে গমগমে কন্ঠে বললো, _” আসো।”

মুহুর্তেই ঠোঁটে চওড়া হাসি ফুটলো প্রেমার।গুটি গুটি পায়ে ভেতরে ঢুকে সোভামের পেছনে দাঁড়ালো। কিছু বলার আগেই সোভাম বললো, _”সবাই তো নিচে খাচ্ছে।তুমি যাও নি কেন?”
_”আমি ঘুমাচ্ছিলাম।” বলে থামলো প্রেমা।পরক্ষণেই কৌতূহল নিয়ে জিজ্ঞেস করলো,_”আপনি কেন যান নি?”অসস্তিতে পড়লো সোভাম।অন্যদিকে তাকিয়ে হাঁসফাঁস করে বললো,_”আমিও ঘুমাচ্ছিলাম।”
মেনে নিলো প্রেমা।আর কিচ্ছু জিজ্ঞেস করলো না এই ব্যাপারে।সেদিনের বিষয়টা নিয়ে জানা দরকার।তবে ঘটনা টা অসস্তিকর বলে হিমশিম খেতে হচ্ছে।ধীর গলায় বললো,_”আচ্ছা, আপনি কি ওই লোকের সাথে কথা বলেছিলেন?ও আর আমাকে কোনো হুমকি-ধমকি দেয় নি।সব কি মিটমাট হয়ে গেছে?”
গম্ভীর চিত্তে একবার প্রেমাকে দেখে নিলো সোভাম।এরপর তাড়া দিয়ে বললো,_”আমি কারো সাথে কথা বলি নি।বের হও রুম থেকে।আর কখনো আসবে না।”

হুট করেই এমন পরিবর্তনে অবাক হয়ে গেল প্রেমা।কিছুটা আত্মসম্মানে ও লাগলো।কেন জানি খুব খারাপ লাগছে।পিছু ঘুরে ধীর পায়ে দরজার দিকে এগোতেই সোভাম বলে উঠলো,_শোনো?”
দ্রুতবেগে তাকালো প্রেমা।চোখ দুটো চিকচিক করে উঠলো।পায়রার ন্যায় ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে কিছু শোনার ইচ্ছায়।তার শুনতে ভাল্লাগছে।তবে কি শুনতে চাইছে সেটা ভেবে পাচ্ছে না।সোভাম গম্ভীর গলায় বললো,_”বয়স কত তোমার?”

প্রশ্ন করতে দেরি হলেও উত্তর দিতে মোটেও বিলম্ব করলো না প্রেমা।দ্রুতকন্ঠে বললো,_”আঠারো প্লাস,কেন?
সোভাম তৎক্ষণাৎ অন্যদিকে তাকালো।তাড়াহুড়ো করে বললো,_”কিছু না।গেট আউট!
গায়ে মাখলো না প্রেমা।বরং ধীর পায়ে দরজার দিকে হেঁটে যেতে যেতে বললো,_”আর্শীয়া ভাবির কিন্তু ১৭+ ছিলো।সে হিসেবে আমি ১ বছরের বড়।”
অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে হতভম্ব হয়ে তাকালো সোভাম।বললো,_”হোয়াট!কি বললে তুমি?এই দাঁড়াও।”
প্রেমাকে আর পায় কে?সে দুহাতে লেহেঙ্গা তুলে ছুটেছে সদর দরজার বাইরে।

রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ৭২

_”কি দেখছো?
স্পর্শী স্নিগ্ধ কন্ঠে আকাশের দিকে চেয়ে থাকতে থাকতে বললো,_”চাঁদ।”পরশ একদৃষ্টে স্পর্শীর দিকে তাকিয়ে আছে।থেমে বললো,_”আমিও চাঁদ দেখছি।”এ পর্যায়ে আকাশ থেকে চোখ সরিয়ে পরশের দিকে তাকালো।লজ্জা পেয়ে হেসে দিলো। একহাত দিয়ে পরশের চোখ ঢেকে দিয়ে বললো,_”চাঁদ এদিকে না। ওদিকে তাকান।”
_”উঁহু!এটা আমার ব্যক্তিগত চাঁদ।আমি এটাকেই দেখবো।”

রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ৭৪