রাজবধূ পর্ব ৫০
রেহানা পুতুল
সুফিয়া বিবি হই হই করে উঠলেন। ক্রোধে গরগর করতে করতে বিষাক্ত গলায় বললেন,
“খালি মায়ের দোষ দেখলি পোলা? বউরটা দেখলি না? তুই এইবার বাড়িতে পা রাখনের পর হইতে সে মনে হয় দুনিয়ার বেবাক ক্ষমতা হাতে পাইয়া গ্যাছে। হ্যার ইচ্ছামতে চলাফিরা করে। সেইদিন আদুরীরে কি শাসাইয়া কথা কইলো। হুনলে তোরও কান গরম হইতা যাইতো। আবার যেইদিন লিমা আমগো বাড়ি বেড়াইতে আইলো। লিমারে নিয়া গিয়া সে বাগিচার করমচা গাছে চড়ছে। এইটা তার বাপের বাড়ি পাইছে? বান্দরের মতন গাছের ডালে চড়লো যে? কি বেহায়া,বেশরম মাইয়া হইলে এমন কাম কইরতে পারে,ভাইবা দেখ? বরকতরে কইলে পাইড়া দিত না? আবিয়াত্তা মাইয়ার মতন কামিজ পড়া ধরছে সে এখন। রুম দখল কইরা রাখছে দুইটা। উপরে একটা, নিচে একটা। কি নবাবজাদীরে আমার।
আমার বাপের জনমেও হুনেনাই স্বামীর বাড়িত এক বউর থাকার রুম দুইটা লাগে। তার চালচলন পুরাই আবিয়াত্তা মাইয়ার মতন। কামিজ পরে। বিদ্যালয়ে যায়। গাছে চড়ে। এমন হইলে সে তার বাপের বাড়িতে যায়না ক্যান? আমাগো সংসারে কি? সেইখানেত তিনবেলাও অন্ন জুটে না। এইখানে কি কুদুম কুদুম জীবন তার। আল্লাগো আল্লা!
এবার আয় নিজামের কথায়। তোর বাপে এই নিজামরে কত খুঁইজা বাইর করলো। কত ভালা পোলা আছিলো। হেই পোলার গায় সে লাথি,উষ্ঠা মারলো বউ হইয়া। কি শরমের কথা। এইটা হইলো জ্বীনের কাম। সেই জ্বীন খেদানোর লাইগাইতো লালচান মিয়া হ্যারে পিডাইলো। তাইলে আমি ক্যামনে হ্যারে মারলাম? এই মাইয়া আমাগো ঘরে আওনের পর থেইকা একের পর এক অঘটন ঘটতাছে। খেয়াল কইরা দেখ সব। তোর আপনা বড় ভাই, আমার ছোড ভাই, তোর চাচা, নিজাম মরলো।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
কূফা,অলক্ষী মাইয়া। তোর চাচার আংটি নিয়া কি কেচ্ছা কাহিনি হইলো। শহরের মাইয়া বিয়া করসনাই, তাদের মইধ্যে ভেজাল বেশী বইলা। গেরামের মাইয়ারা সহজ সরল। হেগো চরিত্র ফুলের মতন পবিত্র। তাই হ্যারে ঘরে তুললি। এই মাইয়া ত আগুনের হলকা! তোর জিন্দেগী শান্তিতে গ্যালেই হয়। এখন ত দেহি মুখ পিটিং কইরা কথা কয় শুদ্ধ ভাষায়। গেরামের বউর ফুটানি দেখলে হাসি পায়। আমি আর এই বাড়িতে থাকুম না। দুইচোখ যেইদিকে যায় সেইদিকে পথ ধরুম। সবাই সবাইর মর্জিমাফিক চলুক। এত অশান্তি,জ্বালা,যন্ত্রণা আর হজম হত না।”
সুফিয়া বিবি থমথমে মুখে থামলেন।
বৈঠকখানার পরিবেশে নিরবতা নেমে এলো। রাজের অপেক্ষারত মন ও দৃষ্টি পিতার দিকে। তালুকদার পুরু গলায় খেঁকিয়ে উঠলেন স্ত্রীর উদ্দেশ্যে।
গমগমে স্বরে বললেন,
“তুমি রাজের বউয়ের নামে যেগুলি কইলা পাল্টা অভিযোগ তুইলা। এগুলি কোনটাই আমলে নেওয়ার মতন অভিযোগ না। অন্যরে ছোট না কইরা কথা কইতে পার না তুমি? তোমার অন্তরে এত হিংসা এত দেমাক ক্যান? আমার শরীর ভালো ঠেকতাছে না কিছুদিন ধইরাই। শুধু কইতে চাই, পরকালের কথা ভাইবা এইবার একটু ক্ষান্ত হও। সংসারের ভার ছেলে বউদের উপর দিয়া দাও আস্তে আস্তে। তুমি বিশ্রাম নাও। শিখারে, আদুরীর মতন নিজের মেয়ে ভাবো। দেখবা তোমার মনের জ্বলন কইমা আইবো।”
“আপনার এত আহ্লাদ হইলে আপনি ভাবেন। আমি পারুম না। আর সংসারের ভার বউগো উপরে ছাইড়া দিলে টাইমমতে আর ভাতের নলা গিলতে পারবেন না। বাড়ির চাইরপাশও ম্যানেজ কইরা এত ফল ফলাদি ফলাইতে পারব না হেরা। আমারে দিয়া সংসারে যে আয় উন্নতি হয়। হেইটা চউক্ষে পড়ে না আপনার। চোখে কি ছানি পড়ছে? ”
তালুকদার বিরস মুখে নিঃশ্চুপ রইলেন। রাজ গম্ভীর মুখে মায়ের উদ্দেশ্যে বলল,
“মা, শিখা শাড়ি পরতে পারে না ঠিকভাবে। পড়ে যায় শাড়ি পেঁচিয়ে। তাই আমি মাঝে মাঝে ড্রেস পরার অনুমতি দিয়েছি তাকে। এই বাড়িতে স্বাধীনভাবে চলাফেরার কথাও আমি বলেছি তাকে। এতে কোন সমস্যা বা ঝামেলা দেখছি না মা। নিচের রুমে থাকার কথাও আমি বলেছি মা। আমি চলে গেলে উপরে একা খালি রুমে সে কিভাবে থাকবে? সে নয় শুধু। একা কোন মেয়ে মানুষই থাকতে পারবে না আমার রুমে। সে তাদের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতে চেয়েছে। আমিই তাকে আমাদের বাড়িতে থাকতে আদেশ করেছি। যেন আস্তে আস্তে সে সংসারী হয়ে উঠে। বইয়ের ভাষায় তাকে কথা বলতে আমিই প্রেরণা দিয়েছি মা। কারণ আমার কানে আঞ্চলিক ভাষা শুনতে ভালো লাগে না। আমাদের একা বাড়ি। লিমার সঙ্গে মজা করে গাছে উঠেছে,এটা দোষ নয় মা।
নিজামরে শিখা কমই আঘাত করেছে। তখন তার স্থানে পুকুর ঘাটে যদি আদুরী বা ভাবিরা হতো আপনি কি করতেন নিজামকে? এটা নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন? আর রইলো বাকিদের মৃত্যু? স্রস্টা যার মৃত্যু যখন যেভাবে যেস্থানে রেখেছে,সেভাবেই তার মৃত্যু হবে। বাবার কথার সঙ্গে সহমত জানিয়ে আমিও অনুরোধ করে বলছি মা। শিখাকে আপন ভাবতে শিখুন। সে আমাদের পরিবারের একজন।”
তারপর রাজ শিখার দিকে চেয়ে বলল,
“আদুরীকে কি বলেছ তুমি শাসিয়ে?”
শিখা রানীর দিকে তাকালো। রানী চোখের ইশারায় শিখাকে কাকুতি মিনতি করলো যেন অন্যকিছু বলে।
শিখা বলল,
“সেটা পরে বলব আপনাকে।”
“পরে ক্যান? এহন কইতে হইবো তোমার? অতিরিক্ত বাড় বাইড়া গ্যাছো তুমি।”
মরিচ কণ্ঠে হুকুম করে বলল সুফিয়া বিবি।
তখন শিখা বলতে বাধ্য হলো খালেদ ও রানীর বিষয়টি। শুনে তালুকদার, সুফিয়া,সুমনা,রাজ,রানিকে অত্যন্ত বাজেভাষায় ঝাড়লো। যা কিনা এই সংসারে রানির বিবাহিত জীবনে এই প্রথম। তালুকদার ও রাজ পারেতো রানীর গায়ে হাত তোলে। কেবল রানীর বয়স ও বড়বউ এই ভেবে তা থেকে বিরত রইলো তারা। রানী আড়ষ্ট মুখে স্থান ত্যাগ করলো তড়িতেই।
মিনিট দশেক পরে রাজ তার পিতার দিকে চেয়ে বলল,
“বাবা,গুরুত্বপূর্ণ যেকথা বাকি। তা হলো,
বাদশা নেই। বড় ভাই ও চাচা প্রয়াত। নিজামও মারা গেলো। আপনি নরম হয়ে যাচ্ছেন। আমরা তিনভাই থাকি শহরে। আমাদের যে জায়গাজমি রয়েছে এবং বাড়ির চারপাশ। সবমিলিয়ে তদারকি করার লোকের বড় অভাব। বাড়িতে আছে জুবায়ের। যদিও সেও তার ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত। এর মধ্যে যতটুকু সময় পায় আপনার সঙ্গে এসবে সময় দিবে। পাশাপাশি শিখাও এসবের দায়িত্ব পালন করবে।
যুগ এগিয়ে যাচ্ছে। সময় পাল্টেছে। এখন বিংশ শতাব্দীর শেষের দিক। সাল ১৯৯২। পুরুষের সঙ্গে নারীরাও প্রায় সমভাবে কাজ করছে। কি বলেন আপনি এই বিষয়ে?”
“আলহামদুলিল্লাহ। তাইলেত খুব ভালো হয়। আমি বউমারে সব বুঝায়া দিমু সাথে সাথে রাইখা।”
সুফিয়া বিবি হেঁড়ে গলায় বলে উঠলেন,
“আমগো তালুকদারি চইলা যাক। পথে বইসা যাই আমরা। তবুও তার হস্তক্ষেপের দরকার নাই আমার। মাতব্বরগিরি লাগব না আমার। ঘরে আরো তিনবউ আছে। আদুরী আছে। তাইলে তারা কি দোষ করছে? তারাতো সব চিনে জানে বুঝে। তারা করবো দেখভাল। তোর বউ করা লাগব না। সেই তার মাষ্টারগিরি নিয়া পইড়া থাক।”
“মা বুঝতে চেষ্টা করেন। আমাদের পরিবারের ভালোর জন্য শিখাকে এসবে যুক্ত করা খুব প্রয়োজন। শিখার মেধা,জ্ঞান,বিচক্ষণতা, বুদ্ধি,দূরদর্শিতা,সততা,নৈতিকতার কাছে ভাবিরা ও আদুরী নস্যি। তারা এসব কিছুই পারবে না।”
সুফিয়া বিবি অগ্নিমূর্তিরূপে বসে রইলেন। তার নাকমুখে দিয়ে যেন রাজ নিজে হাতে গরম সীসা ঢেলে দিয়েছে। তিনি ফোঁস করে দম ফেললেন।
রাজ জুবায়েকে বললেন,
“কিরে তুই কি বলিস শিখার বিষয়ে? কোন আপত্তি আছে তোর?”
“আমার কোন আপত্তি নেই এতে। কারণ এতে আমাদের পরিবারের ভালো ছাড়া খারাপ হবে না।”
রাজ ফিরতি কিছু বলার পূর্বেই আমেনা চট করে ছেলের দিকে দৃষ্টি তাক করে বললেন,
“আর কত মা নানীরে ভোগাবি বাপ? তুই বিয়া করস না ক্যান? তালুকদার বাড়ির লাইগা পাত্রীর অভাব হয়?”
আমেনার কথা শেষ হওয়া মাত্রই তালুকদারও কড়া স্বরে একমাত্র ভাতিজার দিকে প্রশ্নের তীর ছুঁড়ে মারলেন। বললেন,
“তোর মা ঠিকই কইছে। তোর কি তাদের মানুষ মনে হয় না? তুই বিয়া করস না ক্যান? পোলাপাইনের মতো হেলামো করস নিজের জীবন নিয়া? ক তোর কি সমস্যা?”
জুবায়ের শুকনো কাশি দিয়ে নড়েচড়ে বসলো। চাচার কথার জবাব না দেওয়ার মতো অভদ্র ও বেয়াড়া সে নয়। বলল,
“আমি একটা মেয়েকে ভালোবাসি। তার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তাকে ছাড়া অন্যকোন মেয়েকে আমার ভালোলাগে না। মনের বিষয় কি জোর করে হয়? বলেন? যদি কোনদিন সম্ভব হয় বিয়ে করবো। চেষ্টা করে যাচ্ছি। এর বেশি আর কিছু এখন বলতে পারব না। এটাই মূলকাহিনী।”
“তাহলে তার বিয়ে আটকালিনা কেন তুই?”
কৌতুহলী চোখে বলল রাজ।
“আমি সব তোকে পরে বলব অবশ্যই।”
দুঃখিত গলায় বলল জুবায়ের।
বাকিরা কেউই আর কিছু বলল না জুবায়েরকে। তালুকদার রাজকে বলে উঠলো,
“বউর মত নিলিনা তুই? এত বড় দায়িত্ব তার উপর চাপায়া দিতে চাইতাছস যে?”
“শিখা তুমি কি আমার প্রস্তাবে রাজী? জায়গা জমি নিয়ে যা বললাম?”
শিখা নম্র অথচ দৃঢ়চিত্তে বলল,
“না। আমি রাজী নই। কারণ আমি আর একদিনও আপনাদের বাড়ি থাকব না। যেই পরিবারে আমার মায়ের অপমান হয়। আমার মাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে কথায় কথায় কটাক্ষ করা হয়। সেই বাড়িতে,সেই পরিবারে,সেই মানুষদের সঙ্গে আমি আর নই। আপনাদের কাছে আমার মা পর। থার্ড পার্সন। কিন্তু আমার কাছে আমার মা ফার্স্ট পার্সন। আমার গোটা পৃথিবী। আমার মা আমার রুহ। আমার বেঁচে থাকার, আমার আনন্দে থাকার মেডিসিন।”
রাজ অবাক কণ্ঠে বলল,
“শিখা! কি বলছ এসব? কে তোমার মাকে কি বলে? আজব?”
শিখার আঁখিকোণ ছলছল করে উঠে। মুক্তোর দানার মতো চিকচিক করছে অশ্রুকণাগুলো। তার বুকের ভিতরে দুঃখের ঢেউরা উথলি উঠেছে। কষ্টের বুদবুদেরা ফেনিল হয়ে উঠছে থাকি থাকি। সে বাষ্পরুদ্ধ স্বরে বলল,
“কে বলে মানে? একটু আগেওতো মা বললেন। আপনি শুনেন নি? উনিতো আমার নামে গাদায় গাদায় অভিযোগ দিলো আপনার কাছে। আমি কখনো আপনার কাছে,বাবার কাছে,অন্যকারো কাছে, কোন অভিযোগ করেছি কারো বিরুদ্ধে? সেই শিক্ষা আমার মা আমাকে দেয়নি।নয়তো বিয়ের রাত থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত যত অবহেলা, উপেক্ষা,অসম্মান, অনাদর পেয়ে আসছি সবার কাছে, তা ব্যাখ্যা করে বলতে গেলে ইতিহাস। কথায় কথায় বলে, আমি ফকিরনির মেয়ে হয়ে রাজ প্রাসাদে আছি। সেজন্য সবসময় আমারে আলাদা ভাত খেতে দিতো। টেবিলে উনাদের সাথে বসিয়ে খাওয়া ত না। একদিন জুবায়ের ভাই দেখে পরে বলার পর হতে টেবিলে খাই।
বৌভাতের দিন সেজো ভাবি এক ঝুড়ি পেয়াজ আমাকে কাটতে দিয়েছে। আমার নাকমুখ দিয়ে পানি পড়ে একাকার হয়ে গিয়েছিলো। জ্বলতে জ্বলতে শেষ হয়ে গিয়েছি আমি। এমন অজস্র মানসিক নির্যাতনের ভিতর দিয়ে কেটেছে আমার স্বামীর সংসারের দিনগুলো। আপনি এসবের কিছুই জানেন না। আজ প্রসঙ্গ এলো বলে এতটুকু বললাম। নয়তো মরে গেলেও বলতাম না। এমন বলতে গেলে অজস্র কথা। আর বলতে চাই না।
তবে ফাইনালি এটা শুনাতে চাই,
দরবেশ দিয়ে জ্বীন তাড়ানোর নামে যেই শারিরীক অত্যাচার আমার উপরে করা হয়েছে। আমি ছাড়া দ্বিতীয় কোন মেয়ে হলে স্বামীর ঘর করতো না। আদুরী আপার জামাইর মতন ছেড়ে দিতো।”
শিখা কাঁদতে কাঁদতে সবার সামনে থেকে চলে গেলো নিজের রুমে। কাপড় চোপড় গোছাতে লাগলো। রাজ বিষিয়ে আসা চাহনি সবার দিকে ঘুরিয়ে নিলো একবার।
বলল,
“শিখা একচুলও মিথ্যা বলেনি।”
বলে সে হনহন পায়ে শিখার রুমে গিয়ে প্রবেশ করলো। জুবায়েরও উঠে চলে গেলো। তালুকদার স্ত্রী ও পুত্রবধূদের নিজের সাধ্যমতো শাসালেন। উঠে চলে গেলেন। সবাই যার যার মতো উঠে চলে গেলো।
এদিকে সুফিয়া ও রানির মনে ভিন্ন-ভিন্নভাবে একটাই জল্পনা কল্পনা। কিভাবে, কোন ফন্দী আঁটলে শিখাকে কৌশলে মেরে ফেলা যাবে। যেমন করে বাকিদের মৃত্যু রহস্য উন্মোচিত হয়নি। ঠিক তেমনিই করেই শিখার মৃত্যু বা নিখোঁজ রহস্যও চিরদিন অজানা রয়ে যাবে। মানুষ কতভাবেই ত মরতে পারে। শিখার মৃত্যুও তেমনিই হয়েছে। এই আগুনি মেয়েকে না শেষ করতে পারলে সবাই তার অধীনে চলতে হবে। এটা অসম্ভব! তবে সেটা রাজ শহরে চলে যাওয়ার পরেই।
রাজবধূ পর্ব ৪৯
প্রকৃতিজুড়ে ঘুটঘুটে অন্ধকার। সেই অন্ধকার মাড়িয়ে জুবায়ের এগিয়ে যায় বাড়ির সামনের পথে। লম্বা করে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়ে। বিড়বিড়িয়ে বলল,
“আমি তোকে সব জানাবো রাজ। আমার ত কোন ভুল নেই। কোন অপরাধ নেই। বরং তুই আজন্ম ঋণী আমার কাছে। কিছু সত্য প্রকাশ করতেই হয়। তা যতই নির্মম হোক না কেন। আর শিখা তুমি কোথাও যাবে না। এই বাড়িতেই থাকবে। আমার নয়ন সম্মুক্ষে।”