রেড রোজ ২ পর্ব ২৭

রেড রোজ ২ পর্ব ২৭
ফারহানা নিঝুম

স্নিগ্ধ সকাল, তুষারপাত হচ্ছে বাইরে। বার্লিন শহরে তুষারপাত শীতের এক অনন্য রূপ ফুটিয়ে তোলে। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে তুষারপাতের প্রধান সময়। সাদা বরফের চাদরে ঢেকে যায় পুরো শহর, যা এক মায়াবী পরিবেশ সৃষ্টি করে। অপরূপ এই সুন্দর শহর যেনো আরো বেশি সুন্দর হয়ে উঠে।
তুষারে ঢেকে গেলে প্রকৃতির এক ভিন্ন সৌন্দর্য দেখা যায়। তুষারপাতে হাঁটাচলা করতে গিয়ে মানুষের শ্বাসে যেন স্নিগ্ধ ঠাণ্ডা শীতলতার ছোঁয়া লাগে।মুখ থেকে বেরিয়ে আসে সাদা ধোঁয়া।

লালচে রঙের সোয়েটার পরে ব্যাগ নিয়ে বের হয়েছে উৎসা। আজকে প্রচুর ঠান্ডা পড়েছে,উৎসা রিতিমত কাঁপছে।হাতে পায়ে তার মোজা পরা। কিছুটা দূরে যেতেই একটা স্টল দেখতে পেলো উৎসা।
এখানে স্নো গ্লোব, হ্যান্ডমেড জিনিসপত্র, এবং উষ্ণ খাবারের স্টল থাকে। রাতে আলো আর স্নোফ্লেকের মেলবন্ধনে বার্লিন সত্যিই এক রূপকথার শহরে পরিণত হয়।কাল রাতেও সিরাতের সঙ্গে বের হয়েছিল উৎসা, কিছুটা দূরে হেঁটে গিয়ে দুজনেই একটা ক্যাফেতে গিয়ে বসে। তারপর খাওয়া দাওয়া।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

আজকেও সিরাত কলেজে যাচ্ছে না, মেয়েটার ঠান্ডা লেগে গিয়েছে। ফলস্বরূপ উৎসা একাই কলেজ পথে রওনা দিল।
আরো মিনিট দশেক লাগবে যেতে,উৎসা হাঁটছে। কিন্তু কিছুটা দূরে যেতেই পা থমকে গেল! আঁ’ত’কে গলা শুকিয়ে গেল।কালো মার্সিডিজ কার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ঐশ্বর্য।এই মূহুর্তে তাকে আশা করেনি উৎসা,সবে সাড়ে আটটা বাজে। উৎসার ক্লাস শুরু দশটা থেকে,তার তাড়াতাড়ি যাওয়ার কারণ কিছু পড়া কালেক্ট করবে।
উৎসা দাঁড়িয়ে আছে, চোখের পাপড়ি গুলো কাঁপছে তার। উৎসা এবার কী করবে? উৎসা দু পা এগিয়ে গেল, আশেপাশে তেমন কেউ নেই, দুই তিন ছাড়া।

“আপনি!”
ঐশ্বর্য দু হাত জ্যাকেটের পকেটে হাত গুঁজে টান টান হয়ে দাঁড়ালো।
“বাড়ি থেকে আসার কারণ কী?”
উৎসা ঐশ্বর্যের প্রশ্নের উত্তর কী দেবে বুঝতে পারছে না! ঐশ্বর্য নিঃশ্বাস টেনে ফের শুধোয়।
“বাড়ি থেকে আসার কারণ কী?”
এবারেও উৎসার কোনো উত্তর পেলো না ঐশ্বর্য কে কী বলবে?
এবারে ঐশ্বর্য হাত বের করে ভ্রুর উপরের অংশে চুলকে আশেপাশে এক নজর তাকালো। আকস্মিক ভাবে সজোরে থা’প্প’ড় বসালো ওর গালে,ছিটকে গিয়ে পড়ল রাস্তায়। উৎসা ফুঁপিয়ে উঠলো, ঐশ্বর্য গিয়ে উৎসার দিকে এসে ওর হাত টেনে ধরে।

“হোয়াই?টেল মি!”
ঐশ্বর্য চিৎকার করে উঠল, উৎসা কেঁপে উঠে।সেও বলল।
“আমি থাকতে চাই না আপনার সঙ্গে তাই চলে এসেছি?”
“হোয়াট ইজ দ্যা রিজন? আমার সঙ্গে না থাকার কারণ কি?”
“নেই কারণ? আমার পছন্দ না তাই।”
ঐশ্বর্য উৎসা কে টেনে তুলল।
“লেটস্ গো।”
ঐশ্বর্য উৎসা কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল গাড়িতে। উৎসব মৃদু চিৎকার করে বলে।
“আমাকে যেতে দিন প্লিজ, আমার কলেজের লেইট হচ্ছে।”
“শাট আপ।”
“আপনি বাংলা বুঝতে পারেন না?”

“আজকে কারণ টা বলতে হবে, না হলে….আই সয়ার আজকে কী হবে তার ধারণা নেই।”
উৎসা ঐশ্বর্যের কথার মানে ঠিকই বুঝতে পারছে। ঐশ্বর্য উৎসা কে নিয়ে চৌধুরী প্যালেসে প্রবেশ করে।
“প্লিজ আমার লাগছে!”
ঐশ্বর্যের শক্ত হাতের চাপে ব্যাথা অনুভব করছে উৎসা। ঐশ্বর্য শুনলো তবে ছাড়লো না, ঐশ্বর্য মেইন ডোর ভেতর থেকে লক করে দিল। উৎসা কে ধাক্কা দিয়ে কাউচের উপর ফেলে দিলো, উৎসা মৃদু কঁ’কিয়ে উঠলো।
“কেন এমন করছেন?”
উৎসা ভাঙা গলায় বললো, ঐশ্বর্য এগিয়ে এসে আরো একবার চ’ড় বসালো উৎসা কে।
“ইউ বা’স্টা’র্ড আমি বলেছিলাম না আমার সাথে থাকতে হবে!”
উৎসা দাঁতে দাঁত পিষে বলে।

“আমি আপনার সাথে থাকতে চাই না!”
“থাকতে হবেই। আমার নাম কী? টেল মি!”
ঐশ্বর্য গাল চেপে ধরে উৎসার। উৎসা ভেঙে ভেঙে বললো।
“ঐ ,,,, ঐশ্বর্য রিক চৌধুরী!”
“তো ভাবলে কী করে আমি তোকে ছেড়ে দেব? হোয়াই? আমি যা চাই তাই পাই,আর না পেলে শেষ করে ফেলতে একবারও ভাবি না।আই মিন ইট।”
উৎসা হাঁপাচ্ছে, মিনমিনে গলায় বলল।
“আপনি ক্যারেক্টারলেস মানুষ, অস’ভ্য রিক চৌধুরী। আপনার সঙ্গে আমি তাই থাকতে চাই না, এবং কী আপনি আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। তখন বুঝতে পারিনি, কিন্তু বয়সের সাথে সাথে সব কিছু বুঝতে শিখেছি।”
আরো একটি থা’প্প’ড় পড়ল উৎসার গালে।
“আপনি আমাকে এভাবে মা’রতে পারেন না।”

অতঃপর দু’জনেই নিশ্চুপ, নিরবতা চললো কিয়ৎক্ষণ।কেউ কারো সঙ্গে কথা বলছে না, উৎসা দেয়ালের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।চোখ দিয়ে অঝোরে গড়িয়ে পড়ছে অশ্রু। ঐশ্বর্য গিয়ে কাউচের উপর বসলো, ক্লান্ত লাগছে তাকে। আঙুলের ইশারায় উৎসা কে কাছে ডাকে! উৎসা ভয়ে এগুতে পারল না। ঐশ্বর্যের রাগ মাথায় উঠে যায়!
“আসতে বললাম তো!কাম কাম।”
উৎসা ছোট ছোট কদম ফেলে এগিয়ে গেল, ঐশ্বর্য হাত টেনে তার সামনে ফ্লোরে বসালো। কিছুটা এক্সপ্লেইন করার ন্যায় বলে উঠে।
“লুক আমি সেদিন যা করেছিলাম তা তোর ভালোই ছিল।ইউ নো হোয়াট আমার এইজ কত জানিস? আচ্ছা এটা বাদ দিলাম, আমার সাথে যখন তোর বিয়ে হয় তখন কত ছিল?”
উৎসা কাঁপা স্বরে বলে।
“উ…উনিশ।”
“গুড।আর তোর কত ছিল?”
এবারেও উৎসা আগের ন্যায় বললো।
“বারো বছর!”

“সো টেল মি মি নাউ আমি একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ছিলাম,আর তুই বাচ্চা। আমি তো ততটা ভাল নই যে বউ বড় হওয়ার অপেক্ষা করব! আমি খুব খারাপ! এক্সেপ্ট ইট, আমি খারাপ খুব খারাপ।ইভেন তোর ভাবনার থেকেও বেশী।”
উৎসা চোখ তুলে তাকালো ঐশ্বর্যের দিকে। ঐশ্বর্য ফের বলতে লাগল।
“শারীরিক সম্পর্ক,এটার বেলা তো আমি এক চুল পরিমান ছাড় দিতামাই না। উল্টো আরো বেশি হতো,বিকজ ইউ আর মাই অবসেশন।”
উৎসা ঐশ্বর্যের অদ্ভুদ কথার মানে এবারে ঠিকই বুঝতে পারলো। ঐশ্বর্য নিচে বসে উৎসার চুল টেনে নিজের মুখোমুখি করে আওড়াল।
“আমাকে স’হ্য করার মতো ক্ষ’মতা বা বয়স কোনোটাই ছিল না তোর সুইটহার্ট।”
উৎসা লজ্জায় নত মস্তকে বসে রইল, এগুলো কী কারণ? এগুলো কারণ হতে পারে? অবশ্যই হতে পারে, সত্যি ঐশ্বর্য ছিল প্রাপ্ত বয়স্ক। যেখানে উৎসা নিতান্তই বাচ্চা ছিল। উৎসা পিটপিট চোখ করে তাকালো,সে তো এগুলো এমনি বলেছিল কিন্তু তাতে বেশ লাভ হয়েছে তার। এখন ঐশ্বর্যের সেদিন তাকে ফেলে চলে যাওয়ার ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছে।

ঐশ্বর্য উঠে গিয়ে ড্রয়ার থেকে সিরিঞ্জ বের করে ড্রা’গ নিলো। উৎসা ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে ঐশ্বর্যের পাগলামি দেখছে , ঐশ্বর্যের হয়তো নেশা হলো না।তাই তো আবার গিয়ে সি’গারেট টানতে লাগলো।
উৎসা ভয়ে ভয়ে ভেতরের রুমের দিকে পা বাড়ায়, তার ভাবনা অনুযায়ী এখন ভেতরে গিয়ে ডোর লক করে দেবে। কিন্তু তা আর হলো কই? ঐশ্বর্য তৎক্ষণাৎ চলে এলো,নে’শা ভরা চোখে তাকিয়ে আছে তার দিকে। উৎসা দু পা পিছিয়ে গেল, ঐশ্বর্য ভেতরে এসে ডোর লক করে দিল। আকস্মিক টান দিয়ে তার গায়ে জড়ানো লাল সোয়েটার খুলে ফেলে। উৎসা মৃদু কেঁপে উঠলো, ঐশ্বর্যের পরণের কালো স্যুট টেনে খুলে ফেলে।
পরণের অফ হোয়াইট শার্ট আর কালো প্যান্ট। উৎসা পিছিয়ে যাচ্ছে,সে পরেছে সাদা রঙের শর্ট ট্রি শার্ট আর জিন্স প্লাজু।

উৎসা পিছুতে গিয়ে বেডে হেলান দিয়ে পরে গেল, তবুও কোনো রকমে পিছিয়ে যাচ্ছে। ঐশ্বর্য এগিয়ে এসে ওর মোজা পরিহিত পা টেনে নিজের কাছাকাছি নিয়ে এলো।
ঐশ্বর্য উৎসার গাল চেপে ধরে, দৃষ্টি তার ঠোঁটের দিকে।
ঐশ্বর্য কিছুটা ফিসফিসিয়ে বললো।
“নে’শা হচ্ছে না আমার! তোমাকে চাই বেইবি..
উৎসা তাকালো ঐশ্বর্যের লাল হয়ে থাকা চোখ দুটোর দিকে।
“আমি,,, প্লিজ আমাকে…
“জাস্ট ওয়ানস।”

ঐশ্বর্য আলতো করে উৎসার ঠোঁটের ভাঁজে ঠোঁট মিলিয়ে দিল। গভীর চুম্বনে লি’প্ত হয় দুজনেই, উৎসা অনুভব করে তার পুরো দেহে কম্পন শুরু হয়েছে। ঐশ্বর্য নির্দয় হলো,এবারে যেন তার চুমু গুলো বাইটে পরিনত হয়েছে। উৎসার নিঃশ্বাস আটকে আসছে! ঐশ্বর্য নিজ কাজে ব্যস্ত,তার অবাধ্য হাত দুটো বিচরণ করছে উৎসার দেহের ভাঁজে ভাঁজে। উৎসা ঐশ্বর্যের বুকে ধাক্কা দিল, ঐশ্বর্য হয়তো এবার বুঝল। উৎসা কে ছেড়ে দিতেই সে লুটিয়ে পড়ল বিছানায়, ঐশ্বর্যও পাশে উল্টো হয়ে শুয়ে পড়ল। দৃষ্টি তার উৎসার দিকে, মেয়েটা হাঁপাচ্ছে। ঐশ্বর্য শব্দ করে হেসে উঠলো।
“বেইবি সামথিং সামথিং।”
উৎসা পাশে থাকা বালিশ ঐশ্বর্যের মুখে ছু ড়ে ফেলল। ঐশ্বর্যের হাসির শব্দ আরো দ্বিগুন হলো।

একটি শান্ত সকালে সূর্যের প্রথম আলো ধীরে ধীরে পূর্ব দিগন্তে উদিত হয়। চারপাশে একধরনের স্নিগ্ধতা, বাতাসে কুয়াশার মৃদু পরশ। গাছের পাতা ভেজা, শিশিরের কণা রোদে ঝিলমিল করছে। পাখিরা তাদের মিষ্টি সুরে দিন শুরুর গান গাইছে। দূর থেকে ভেসে আসছে মসজিদের আজান অথবা মন্দিরের ঘণ্টাধ্বনি। নরম বাতাস গায়ে লাগলে মনে হয় প্রকৃতির এক নিঃশব্দ আলিঙ্গন। চারদিকে ফুলের সুবাস ছড়িয়ে পড়েছে, আর আকাশে সাদা মেঘের দল যেন একেকটা স্বপ্নের ভেলা।

সকালের এই সৌন্দর্যে, প্রকৃতির মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলার মতো অনুভূতি হয়, যেন জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে নতুন আশা আর আনন্দের আহ্বান।কী অদ্ভুত সেই দৃশ্য?ঘুম থেকে উঠে পর্দা টেনে সরিয়ে দিল উৎসা। বাইরের এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখে ভেতর টা ফুরফুরে লাগছে তার।
নয়টা দশ বাজে, ঐশ্বর্য এখনো ঘুমাচ্ছে হয়তো। উৎসা ততটা পাত্তা দিলো না,কাল যা করেছে তাতে ঐশ্বর্যের উপর রেগে আছে উৎসা। ঐশ্বর্য বিকেলেই ওর সব জিনিস এখানে নিয়ে এসেছে, কলিং বেল বেজে উঠতেই গিয়ে মেইন ডোর খুলে দিল উৎসা।মিস মুনা এসেছেন, ওনার সাথে অনেক দিন পর দেখা হলো তার।
“হ্যালো মিস মুনা।”
“হ্যালো ম্যাম।”
“কেমন আছেন আপনি?”
“আই অ্যাম ফাইন, আপনি কেমন আছেন ম্যাম?”
“আমিও ভাল আছি। আসুন ভেতরে।”

মিস মুনা ভেতরে এলেন,উৎসা গিয়ে টেবিলে বসলো। ততক্ষণে ব্রেকফাস্ট রেডি করে টেবিলে দিয়ে দিলো। উৎসা ঝটপট খেয়ে কলেজের জন্য রেডি হয়ে বের হতে লাগলো। যাওয়ার আগে কী একটা ভেবে আবারও ফিরে আসে।মিস মুনা কে উদ্দেশ্য করে বলে।
“মিস মুনা আপনি দয়া করে স্যার উঠলে বলবেন খেয়ে নিতে।আর আমি যে কলেজে গিয়েছি এটাও বলে দিবেন।”
মিস মুনা স্বভাব সুলভ হাসলেন।
“ওকে ম্যাম।”
“থ্যাংক ইউ।”
উৎসা ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে গেল,মিস মুনাও নিজের কাজ করতে লাগলেন।

প্রায় বারোটার দিকে ঘুম থেকে উঠলো ঐশ্বর্য।আজকে হয়তো তার অফিস যাওয়া হবে না,তবে কেউ কিছু বলার নেই। নিজের বিজনেস ইচ্ছে হলে যাবে নয়তো জিসান সব কিছু সামলে নেবে। ঐশ্বর্য উঠে ফ্রেশ হয়ে উৎসার রুমে গেল, মেয়েটা বড্ড ভীতু।কাল রাতের কথা মনে পড়তেই হুঁ হুঁ করে হেসে উঠলো ঐশ্বর্য। উৎসা এক প্রকার জোর করেই কাল ঐশ্বর্য কে রুম থেকে বের করে দিয়েছিল!
ঐশ্বর্য উৎসার রুমে গিয়ে দেখলো সে নেই, আবারো চোয়াল শক্ত হয়ে এলো ঐশ্বর্যের। বাড়িতে খুঁজতে লাগলো,নিচে ড্রয়িং রুমে এসেই মিস মুনা কে দেখতে পেলো।

রেড রোজ ২ পর্ব ২৬

“গুড মর্নিং মিস মুনা।”
“গুড মর্নিং স্যার।”
ঐশ্বর্য আশেপাশে তাকিয়ে কাঙ্ক্ষিত মানুষটি কে খুঁজছে।মিস মুনা বলে উঠেন।
“স্যার ম্যাম বলেছেন ব্রেকফাস্ট করে নিতে।আর উনি কলেজে গিয়েছেন।”
ঐশ্বর্য যেনো হাফ ছেড়ে বাঁচল,রাগ উঠে গিয়েছিল মাথায়।আজ যদি উৎসা আবার চলে যেতো তাহলে সে কী যে করতো নিজেও জানে না।

রেড রোজ ২ পর্ব ২৮