সিন্ধুতে সন্ধির খোঁজে পর্ব ২৯

সিন্ধুতে সন্ধির খোঁজে পর্ব ২৯
জাওয়াদ জামী

” কুহু মা, এদিকে আয় দেখি। আমাকে একটু কাজে সাহায্য কর। আনান বায়না ধরেছে , আজ রাতে ছাদে বারবিকিউ পার্টি করবে। ওর কথায় সায় দিয়ে আমাদের বাড়ির বাকি ছেলেপুলেও নাচানাচি শুরু করে দিয়েছে। ওরা তো হুকুম করেই খালাস। কাজকর্মগুলো আমাদেরকেই করতে হবে। ” আফরোজা নাজনীন ভঙ্গিতে কথাগুলো বললেন।
” কি করতে হবে , মামী? আমাকে বলুন, আমি সবকিছু করে দিচ্ছি। আপনি শুধু দেখবেন আমি ঠিকঠাক কাজগুলো করতে পারছি কিনা। ”

” বড় ভাবী, তাহমিদ কোথায়? ওকে বাসায় খুঁজে পেলামনা আবার ফোনেও পাচ্ছিনা। ” শাহনাজ পারভীন এসে আফরোজা নাজনীনকে জিজ্ঞেস করলেন।
” আনানকে নিয়ে বাহিরে গেছে। নাজমা বিশাল লিস্ট ধরিয়ে দিয়েছে। সে-সব কিনতেই গেছে। ”
” যাবার আগে আমাকে বলে যায়নি। এদিকে সন্ধি ঘ্যানঘ্যান করছে ওরা তিনজন খাসির রেজালা খাবে। ফ্রিজের মাংস দিয়ে বানালে নাকি ওরা রেজালা খাবেনা। স্বাদ লাগবেনা। এখন আমাকে খাসির মাংস এনে দেবে কে! বাসায় আর কোন ছেলে মানুষই নেই যে তাকে কিনতে পাঠাব। ”
” এত অস্থির হচ্ছিস কেন, শাহনাজ? আনানকে ফোন দে। তাহমিদ হয়তো ফোন বন্ধ রেখেছে। আনানের সঙ্গে কথা বল। ”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

” আমি এক্ষুনি ফোন করছি , ভাবী। কুহু , তুমি এখানে আছ! রাখীর রুমে গিয়ে দেখ, ও মাথাব্যথায় কাতরাচ্ছে আর তোমাকে ডাকছে। তুমি নাকি মাথাব্যথা কমানোর টোটকা জানো? ঔষধে নাকি কাজ করছেনা। এখন তোমার টোটকাই ওর সম্বল। তাড়াতাড়ি গিয়ে ওর জন্য টোটকা রেডি কর। নয়তো দেখবে তোমার চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করে ছাড়বে। অবশ্য তোমার ভয়ের কিছুই নেই। যেই তোমার চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করতে যাবে, তখনই আমরা তোমার সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়াব। ”
শাহনাজ পারভীনের কথা শুনে কুহু, আফরোজা নাজনীন দু’জনেই হাসল।
” এক্ষুনি যাচ্ছি , মামী ৷ বড় মামী, আমি বড়ামার কাছ থেকে এসে আপনাকে হেল্প করছি। আপনি ততক্ষণ রেস্ট করুন। ”
আফরোজা নাজনীন হেসে সায় জানালেন কুহুর কথায়।

” বড়মা, আমি কি তোমার চুলে তেল দিয়ে দেব? দেখবে তোমার ভালো লাগবে। ” দৃষ্টি রাখী আক্তারের মাথা টিপে দিচ্ছে , আর তার সঙ্গে টুকটুক করে কথা বলছে।
” দৃষ্টি, বিরক্ত করিস নাতো। তোর কথার চোটে আমার মাথাব্যথা বাড়ছে। ”
” কথা বলতেই হবে, বড়মা। আমার কথার আওয়াজেই তোমার মাথাব্যথারা দলবেঁধে বেরিয়ে আসতে চাইছে । আওয়াজ না পেলে এতক্ষণ সব ব্যথা দলা পাকিয়ে পাথরের মত ভারী হয়ে যেত। তখন তোমার কি হত ভেবে দেখেছ? ”

” দৃষ্টি , তুই কি থামবি? তুই এখান থেকে যা। আমার মাথা খাওয়ার মানুষের এমনিতেও অভাব নেই। তুই মাথা না খেলেও চলবে। ”
” ভালো কথা বললেও দোষ! আজকাল ভালো মানুষের দাম নেই, আর ভালো কথার ভাত নেই। থাক তুমি। আমি গেলাম। ” দৃষ্টি মুখ বেঁকিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল।
” যাওয়ার আগে দরজা বাহির থেকে লাগিয়ে দিয়ে যাস। ”
দৃষ্টি চলে গেলে রাখী আক্তার হাঁফ ছাড়ল। দরজার দিকে তাকিয়ে উঠে বসল। এরপর সাইড টেবিলের ড্রয়ার থেকে আপেল বের করে তাতে কামড় বসালো।

” বড়মা , ভেতরে আসব? ”
কুহুর গলা শুনে চমকে উঠে আপলের শেষ অংশটুকু গলাঃধকরন করে কথা বলল রাখী আক্তার।
” আয়। ”
” তোমার কি খুব বেশি মাথাব্যথা করছে , বড়মা? ”
” খুউউউব। ব্যথার চোটে কথা বলতে পারছিনা। তুই কি আমাকে হারবাল চা করে দিতে পারবি, যেটা তুই তোর চাচাকে করে দিস? ”
” আমি চা বানিয়ে আসছি , বড়মা। তুমি ততক্ষণ চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাক। ”

” শোন কুহু , তুই আমার পাশেই থাকিস কেমন? দৃষ্টিকে তো ডাকলেও পাওয়া যায়না। ছেলের বউয়ের সেবা পাওয়া বোধহয় হবেনা আমার। কত সাধ ছিল নিহানকে বিয়ে দিয়ে আমি সংসার থেকে ছুটি নেব। ছুটি বোধহয় এ জন্মেও পাবোনা আমি। আজ ও যদি আমার পেটের সন্তান হত, তবে কি এভাবে দূরে থাকতে পারত , তুই-ই বল? আজ একটা মেয়ে নেই বলে আমাকে এত কষ্ট পেতে হচ্ছে। ”
” আমি দৃষ্টিকে তোমার কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি , বড়মা। তুমি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত ও তোমার কাছেই থাকবে। তুমি শুয়ে থাক, আমি দৃষ্টির কাছেই তোমার চা পাঠিয়ে দিচ্ছি। ”
” তাড়াতাড়ি যা, মা। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। ”
কুহু দেরি না করে রুম থেকে বেরিয়ে গেল।
কুহু বেরিয়ে যেতেই হাসল রাখী আক্তার। তার প্ল্যান সফল হয়েছে। রাতের বারবিকিউ পার্টি করবে বলে দৃষ্টি খুব লাফাচ্ছিল। তারই বাবার বাড়িতে এসে ঐ ফকিন্নির বাচ্চা লাফালাফি করবে এটা মানতে পারছিলনা রাখী আক্তার। তাই দৃষ্টিকে রুখতেই তার এই পরিকল্পনা। সে যা বলার কুহুকে বলে দিয়েছে। এবার তার হয়েই কুহু বাকি কাজ করে দেবে।

ছাদে বারবিকিউ পার্টির আয়োজন চলছে। আফরোজা নাজনীন ও তার তিন জা মিলে বাচ্চাদের আবদার পূরণ করতে নিজেরাই সবকিছু রান্না করছেন। সব কাজ শেষ হলে তারা চার জা নিচে চলে গেলেন। ছেলেমেয়েদের আনন্দের মাঝে তারা বাঁধ সাধতে চাননা বলেই চলে গেছেন।
নিহান ছাদে এসে দেখল দৃষ্টি নেই ।
” কুহু , দৃষ্টি কোথায়? দেখেছিস ওকে? ”
” দৃষ্টি বড়মার কাছে। ওকে আরও কিছুক্ষণ পর ডেকো , ভাইয়া। বড়মার শরীর খারাপ। দৃষ্টি কাছে থাকলে বড়মার ভালো লাগবে। ”
কুহুর কথা শুনে নিহান কুহুর দিকে তাকায়।

” তুই কোথায় যাচ্ছিস? ”
” নিচে। ”
” কেন? নিচে যাবি কেন? এখানেই থাক। সবাই এখানে আনন্দ করছে , আর তুই নিচে যাবি! ”
” তুমি তো জানোই ভাইয়া , আমার এসব ভালো লাগেনা। আমাকে এসবের মধ্যে টেনোনা। শিহাব আছে , ও আনন্দ করছে, তাহলেই হবে। ”
” তুই কি চিরকাল এমনই থাকবি , কুহু? শিহাবের আনন্দ শিহাব করছে। তোরটা তুই করবি। তুই এমন কেন বলতো? চাচা-চাচি তো এমন ছিলনা। ”
” আমি পারিনা , ভাইয়া। এসবে আমার বড্ড সংকোচ। তুমি আমাকে জোর করোনা। ”
” এখন যাচ্ছিস যা। কিন্তু আমি যখন ডেকে পাঠাব, তখন তোকে এখানে আসতে হবে। না আসলে এই বাড়ির ক্ষুদে বাহিনীরা তোকে তুলে নিয়ে আসবে এটা নিশ্চিত থাক। ”
” সে দেখা যাবে। এখন আমি যাই। ”
কুহু নিচে নামছে। কয়েকটা সিঁড়ি নামতেই তাহমিদের মুখোমুখি হলো। এতক্ষণ সে ছাদে ছিলনা। কুহুকে দেখে দাঁড়িয়ে গেল তাহমিদ। নেশাতুর চোখে তাকিয়ে থাকল কুহুর দিকে। তাহমিদের এমন কাণ্ডে কুহু লজ্জা পেল।

” কোথায় যাচ্ছ? ”
” নিচে। ”
” এখন নিচে কি? ”
” এখানে আমার কাজ নেই। ছোটরা আনন্দ করছে করুক। ”
” সবাই ছোট , আর তুমি একাই বড়? কতটা বড়? দিদুনের মত? নাকি মা-বড়মার মত? কি বলে ডাকব তোমাকে? দিদুন? নাকি অন্য কিছু? ” তাহমিদ ব্যঙ্গ করে বলল। ও হাসছে।
কুহু তাহমিদের কথায় নিরব থাকল। তার দিকে তাকাতে লজ্জা পাচ্ছে।
” ছাদে চল। ”
” এখন ছাদে থাকতে ইচ্ছে করছেনা। পরে যাব। ”
” যাবে? নাকি কোলে করে নিয়ে যাব? আই প্রমিজ, তোমাকে কোলে নিতে আমার একটুও খারাপ লাগবেনা। ইনফ্যাক্ট , তোমাকে কোলে নেয়ার সুযোগ খুঁজি আমি। ”

” ছিহ্ , কিসব অসভ্য কথাবার্তা! ”
” অসভ্য কথাবার্তা কোথায় শুনলে! আমি শুধু আমার হক আদায় করতে চেয়েছি। তোমাকে কোলে নেয়া আমার হকের মধ্যেই পরে। তাই মেয়ে , লজ্জা পেওনা। অবশ্য তুমি লজ্জা পেলেও আমার কোন ক্ষতি নেই। এতে তোমাকে বিভিন্ন রূপে দেখার সাধ মেটে আমার। তাই তুমি যতই লজ্জা পাবে , আমার ইচ্ছে ততই পূরণ হবে। এবার ছাদে চল। ”
” প্লিজ, আমাকে নিচে যেতে দিন। এতক্ষণ ছাদে থেকে হাঁপিয়ে গেছি। এছাড়া বড়মাও অসুস্থ। বড়মার কাছে যেতে হবে। ”
” ফুপু অসুস্থ? কি হয়েছে তার? ”
” মাথাব্যথা করছে বিকেল থেকে। ”
” ওকে, তাহলে যেতে পার। তবে একঘণ্টার মধ্যে তোমাকে ছাদে দেখতে চাই। একঘণ্টার এক সেকেন্ডও দেরি হলে, সত্যিই তোমাকে সবার সামনে দিয়ে কোলে করে নিয়ে আসব। ”
কুহু তাহমিদের কথার উত্তর না দিয়ে নিচে নামতে শুরু করল। ওর সামনে থেকে পালাতে পারলেই বাঁচে।

” জামাই মিঞা , তোর বউকে দেখছিনা যে? বউকে ছাড়া দেবদাসের মত ছোটদের ছোটাছুটি দেখছিস , এটা কিন্তু বড্ড অন্যায়। ” নিহানের পিঠে চাপড় মেরে বলল তাহমিদ।
” আমার বউ তার শ্বাশুড়ির সেবা করছে। আমার ফোন রিসিভ করারও সময় পাচ্ছেনা সে। তাই আর কি করা? বউকে ছাড়াই বসে আছি। ”
” ফুপু এতটাই অসুস্থ হয়ে গেছে ? কই চল, যাই তো ফুপুর কাছে। ”
” চল। ”

” বড়মা, তোমার মাথাব্যথা একটুও কমেনি? ঔষধ খেলে, আমি সেই কখন থেকে ম্যাসাজ করে দিচ্ছি, তবুও কমছেনা? ” দৃষ্টি বাহিরে যাওয়ার জন্য ছটফট করছে। একটু পরপরই ও রাখী আক্তারকে জিজ্ঞেস করছে।
” কমলে কি আর আমি এভাবে শুয়ে থাকি? তুই কি আর বুঝবি আমার অসুবিধা। নিজের পেটের মেয়ে হলে, বাহিরে যাওয়ার জন্য এমন অস্থির হতিনা। মাঝেমধ্যে একটা মেয়ের অভাববোধ করি। মনে করেছিলাম নিহানকে বিয়ে দিয়ে একটা মেয়ে নিয়ে আসব। সেই স্বপ্ন আমার পূরণ হলোনা। ”
” থাক হয়েছে , বড়মা। এত আফসোস তোমাকে করতে হবেনা। শেষে আফসোস করতে করতে তোমার মাথা ব্যথায় ফেটে যেতে পারে। তখন আর স্বপ্ন দেখার জন্য তোমার মগজ টাই থাকবেনা আর মগজ না থাকলে তুমিও থাকবেনা। আর তুমি না থাকলে, আমার পিণ্ডি চটকাবে কে বল? তুমিই একমাত্র মানুষ যে দিনরাত আমার পিণ্ডি চটকাচ্ছ। তোমাকে হারালে কি আর আমি সুস্থ থাকব বল? ”

” দৃষ্টি , মুখ সামলে কথা বল। আমার বাবার বাড়িতে এসে আমাকেই অপমান করছিস তুই? তোর সাহস তো কম নয়? ”
” কার আবার বেশি সাহস হলো , ফুুপু? আর তুমি এত জোড়ে চিৎকার দিচ্ছ কেন? তোমার মাথা নাকি ব্যথায় ব্লাস্ট হয়ে যাচ্ছে? এত জোড়ে চিৎকার দিলে কিন্তু সর্বনাশ হয়ে যাবে। দৃষ্টি, সরে দাঁড়া ফুপুকে দেখতে দে আমাকে। ” তাহমিদ রুমে ঢুকেই ফুপুকে খোঁচালো।
” আর বলিসনা বাবা, দুইদিন ধরে মাথাব্যথাটা খুব বেড়েছে। ঔষধেও কাজ করছেনা। দেখনা আজকে তোরা সকলে মিলে হৈ-হুল্লোড় করছিস, কিন্তু দৃষ্টি তোদের সঙ্গে আনন্দ করতে পারছেনা। মেয়েটা আমার সেবা করতে গিয়ে ঘরবন্দী হয়ে আছে। আমার খুব খারাপ লাগছে জানিস? ”
” মন খারাপ করে মাথা নষ্ট করার দরকার নেই। আগে তুমি আমাকে বল, কোথায় কোথায় সমস্যা হচ্ছে? ”
” মাথাব্যথা, ব্যথার চোটে সবকিছু অন্ধকার দেখছি। বুক ধড়ফড় করছে। ”
” দেখছি। ” তাহমিদ তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে থাকে রাখী আক্তারের দিকে। এরপর ফুপুর নাড়ি পরীক্ষা করল। চোখ, জিভ সবই দেখল।

” নিহান, আমি একটা ইঞ্জেকশন লিখে দিচ্ছি। তুই তাড়াতাড়ি নিয়ে আয়। আশা করছি দুই ডোজ ইঞ্জেকশন নিলেই ফুপু সুস্থ হয়ে যাবে। তাড়াতাড়ি কর। ”
” কি বলিস! ইঞ্জেকশন? আমি ইঞ্জেকশনে ভয় পাই , বাপ। নিহানকে ঔষধ আনতে বল। প্রয়োজনে দশটা ঔষধ খাব। তবুও আমাকে ইঞ্জেকশন দিতে বলিসনা। ”
” ঔষধেই যদি সব অসুখ সারতো, তবে ইঞ্জেকশন আবিষ্কার হতোনা, ফুপু ৷ তুমি কথা না বলে চুপচাপ শুয়ে থাকতো। প্রথম ইঞ্জেকশন পুশ করার দশ মিনিটের মধ্যেই তুমি আরাম বোধ করবে। দ্বিতীয়টা পুশ করলেই তুমি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে। কি নে নিহান, দেরি করছিস কেন? কি বলেছি শুনতে পাসনি? ”
” এই যে দেখ আমি সুস্থ হয়ে গেছি। আমার কোন ইঞ্জেকশন লাগবেনা। দৃষ্টি , তুই যা ছাদে গিয়ে সকলের সঙ্গে আনন্দ কর। নিহান, তাহমিদ তোরাও যা। ” তড়াক করে শোয়া থেকে উঠে বসে বলল রাখী আক্তার।
এভাবে আম্মুকে দাঁড়াতে দেখে অবাক হয়ে গেল নিহান। ও বাকরুদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকল। দৃষ্টি আঁড়চোখে তাহমিদের দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসছে। হাসছে তাহমিদও।

সিন্ধুতে সন্ধির খোঁজে পর্ব ২৮

” দৃষ্টি , ছাদে যা। নিহান, তুইও যা। আমি কিছুক্ষণের মধ্যে ছাদে যাচ্ছি। ” তাহমিদ দৃষ্টি নিহানকে রুম থেকে বের করে দিল। এরপর ও তাকাল ফুপুর দিকে। হাসিমুখে ফুপুকে বলল,
” বয়স হয়েছে , এবার তো বদলাও। কেন ওদের দু’জনকে আলাদা রাখতে চাইছ? দৃষ্টি তোমার ছেলের বউ। ওকে ভালোবাসলে ভবিষ্যতে তুমিও ভালোবাসা পাবে ওর কাছ থেকে। যদি ওকে ঘৃণা উপহার দাও, বিনিময়ে তুমিও ওর কাছ থেকে ঘৃণাই পাবে। মিথ্যা অসুখের অভিনয় করে কি পাবে বলতো? কিছুই পাবেনা। শুধু শুধু সকলের সামনে হাসির পাত্র হবে। নিজেকে আর নিচে নামিওনা। ” কথাগুলো বলেই তাহমিদ রুম থেকে বেরিয়ে গেল।

সিন্ধুতে সন্ধির খোঁজে পর্ব ৩০