সিন্ধুতে সন্ধির খোঁজে পর্ব ৪৯
জাওয়াদ জামী
” মা , ডক্টর তমাপুর বিষয়ে গ্রীন সিগনাল দিয়েছে। আরও কয়েকমাস নিয়মিত চিকিৎসা নিলে আপু সুস্থ হয়ে যাবে। যতদিন আপু সুস্থ না হয়, ততদিন আপুকে এখানেই রাখতে হবে। সপ্তাহে দুইদিন আপুকে ডক্টরের কাছে নিয়ে যাবে। আমি তোমাকে ডক্টরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব। সাদমান ভাই মানুষ হিসেবে অনেক ভালো। এবং ডক্টর হিসেবেও সে প্রথম সারির একজন। আমার ফ্রেণ্ডের বড় ভাই সে। ”
তাহমিদের কথায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়লেন তাহমিনা আক্তার। তমা একটু একটু করে সুস্থ হয়ে উঠছে। বড় আপাও আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ। এর থেকে খুশির খবর আর কি হতে পারে।
” আমি বড় আপাকে বলেছি , এই বাড়িতে আরও ছয় মাস থাকতে হবে তাদেরকে। তোর খালু প্রথমে রাজি হয়নি। কিন্তু আম্মা আর বড় ভাবীর অনুরোধে শেষ পর্যন্ত তাকে রাজি হতেই হয়েছে। তোর খালু মাঝেমধ্যে বাড়িতে গিয়ে সবকিছুর দেখভাল করবে। ”
” তাহলে এক কাজ কর , মা। খালামণিকে প্রাইভেট হসপিটালে অ্যাডমিট করিয়ে দেই। খালামণি যে ডক্টরের তত্বাবধানে আছে , সেই ডক্টরের প্রাইভেট হসপিটাল আছে। সেখানে খালামণির যথাযথ চিকিৎসা হবে। ”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
” আমি তোর খালুর সঙ্গে কথা বলে দেখি সে কি বলে। তবে আমি জানি, সে রাজি হবে। ”
” খালুকে আগেই বলে রাখবে , খালামণি আর তমাপুর চিকিৎসার যাবতীয় খরচ আমরাই বহন করব। প্রয়োজনে বাবা আর দিদুনকে দিয়ে কথাটা বলাবে। দিদুনের কথা ফেলতে পারবে না খালু। ”
” তোর খালু আপা আর তমার চিকিৎসা নিজের টাকায় করাতে চায়৷ আমি তাকে টাকার কথা বলেছিলাম৷ কিন্তু সে রাজি হয়নি। তুই যখন বললি তাহলে তোর বাবার সঙ্গে কথা বলব। আম্মাকেও বলে রাখবো। ”
” আপনি এখানে ? এদিকে আপনাকে পুরো বাড়ি খুঁজে বেড়াচ্ছি। দিদুন আপনাকে ডাকছে । তাড়াতাড়ি যান, নয়তো দিদুন রেগে যাবে। ”
কুহুকে রুমে আসতে দেখে তাহমিনা আক্তার হাত বাড়িয়ে দিলেন কুহুর দিকে। কুহু গিয়ে বসলো শ্বাশুড়ির পাশে।
” মা , তোমরা গল্প কর। আমি দিদুনের কাছে যাচ্ছি। ”
তাহমিদ বেরিয়ে গেলে তাহমিনা আক্তার কুহুর সঙ্গে গল্প করতে শুরু করলেন। তারা শ্বাশুড়ি-বউমা মিলে গল্পের ডালা খুলে বসল।
” কুহু মা , তুই এসেছিস ভালো হয়েছে। আমার অনেকগুলো শাড়ি আছে যেগুলো পরা হয়না। তাহমিদ, তোর বাবা, বড় ভাই, আম্মা আবার তোর চাচারা প্রতি বছর আমাকে কয়েকটা করে শাড়ি গিফ্ট করে। এত শাড়ি পরার সময় হয় না আমার। এক কাজ করি, আমি শাড়িগুলো বের করি। তুই সেখান থেকে পছন্দমত কয়েকটা শাড়ি নে। আর বাদবাকি শাড়িগুলো সিক্তা, সুপ্তি, দ্যুতি, দৃষ্টি, তমার জন্য রাখ। সুপ্তি এখানে আসলে সব সময়ই আমার শাড়ি পরে। সিক্তাও মাঝেমধ্যে পরতো। এতগুলো শাড়ি শুধু শুধু আলমারিতে তালাবন্ধ করে রেখে লাভ কি বল? ”
” আমরা সব শাড়ি নিলে তুমি কি পরবে , মা? ”
” তোর বাবা প্রতিমাসেই আমার জন্য দুই-একটা করে শাড়ি নিয়ে আসে। তাই সমস্যা হবে না। তুই বস আমি শাড়িগুলো বের করছি। ”
তাহমিনা আক্তার আলমারি থেকে তার সবগুলো শাড়ি বের করলেন।
কুহু তাহমিনা আক্তারের শাড়ির কালেকশন দেখে যারপরনাই অবাক হয়ে গেল।
” মা, কত শাড়ি আপনার ! সবগুলোই চমৎকার লাগছে। ”
” যেগুলো পছন্দ হয়, সেগুলো নিজের জন্য রেখে দে। আর বাকিগুলে কাকে কোনটা দিবি সেগুলো আলাদা আলাদা ব্যাগে রাখ। আম্মার কাছে আমার কিছু গহনা আছে। যেগুলো আব্বা আমাকে দিয়েছিলেন। আমি সেগুলো আম্মার কাছেই রেখে দিয়েছি। গহনাগুলো দেখে আব্বার স্মৃতি স্মরণ করেন আম্মা। ঐ গহনাগুলোও তোকে এনে দিচ্ছি। আজ থেকে গহনাগুলো তোর। তবে যতদিন আম্মা বেঁচে আছে ততদিন গহনাগুলো আম্মার কাছেই রাখবি ৷ ”
” আমার কোন গহনা লাগবে না , মা। এমনিতেও আমি গহনা পরি না। ওগুলো দিদুনের কাছে আছে থাক। ”
” আমি কি আমার ছেলের বউকে শখ করে গহনা দিতে পারি না? আব্বা আমাকে গহনাগুলো দিয়ে বলেছিল , ভবিষ্যতে ওগুলো আমার দুই ছেলের বউকে যেন দেই। কিন্তু আমার ভাগ্য দেখ, দুইটা ছেলে জন্ম দিয়েও এখন নিজেকে এক ছেলের মা বলে পরিচয় দিতে হয়। আর সেই হিসেবে গহনাগুলোর একমাত্র মালিক তুই। তাই তুই না চাইলেও গহনা তোকে নিতেই হবে। তুই শাড়ি পছন্দ কর আমি ততক্ষণে আম্মার কাছ থেকে গহনাগুলো নিয়ে আসছি। ”
কুহু নীরব থেকে সায় জানালো শ্বাশুড়ির কথায়। তাহমিনা আক্তার গেলেন তার শ্বাশুড়ির কাছে।
কুহু প্রতিটা শাড়ি মনযোগ দিয়ে দেখছে। প্রত্যেকটা শাড়িই ওর পছন্দ হয়েছে। কোনটা রেখে কোনটা নিজের জন্য রাখবে সেটা বুঝতে পারছে না। এমন সময় বেজে উঠল তাহমিনা আক্তারের ফোন। কুহু দেখল অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন এসেছে। রিসিভ করবে কি না সেটা ভাববে ভাবতে ফোন কেটে গেল ৷ কুহুও শাড়ির দিকে মনযোগ দিলো। মিনিট খানেক পরে আবারও বেজে উঠল তাহমিনা আক্তারের ফোন। আগের নম্বর থেকেই আবারও ফোন এসেছে। কুহু কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না। শ্বাশুড়ির ফোন রিসিভ করতেও মনে সায় দিচ্ছে না। আবার মা ও আসছে না। এদিকে ফোন বেজেই চলেছে। বাধ্য হয়ে কুহু ফোন রিসিভ করল।
” আসসালামু আলাইকুম। ”
” এই যে দেখ। গহনাগুলো সুন্দর না? আমার বিয়ের দিন ঠিক হওয়ার পরেই আব্বা এগুলো আমার জন্য গড়িয়েছিলেন। বিয়েতে আম্মা কয়েক ভড়ি গহনা দিয়েছিলেন আমাকে। আর এই বাড়িতে আসবার আব্বা এগুলো আমাকে দিয়েছিলেন। ”
কুহু একজোড়া চুড় হাতে নিয়ে দেখছে। চুড়ের ডিজাইন ওর মন কেড়েছে। আর গহনার বাক্সটাও চমৎকার। কুহু দেখলো বাক্সে সাজানো আছে, একটা সীতাহার, একটা চন্দ্রহার, একজোড়া মানতাসা, দুইজোড়া ঝুমকা, দুইটা আঙুলের রিং, এক জোড়া নুপুর আর কুহুর হাতে আছে একজোড়া চুড়।
তাহমিনা আক্তার মানতাসা জোড়া নিয়ে কুহুর হাতে পরিয়ে দিলেন।
” এগুলো পরে সাজুগুজু করে আম্মাকে দেখাবি কেমন? আম্মা খুশি হবেন। ”
” মা , তোমার বড় ছেলের বউয়ের জন্যও কয়েকটা গহনা রাখো। তারও তো অধিকার আছে এগুলোর ওপর। ” কুহু মৃদুস্বরে বলল।
কুহুর কথা শুনে ওর দিকে তাকালেন তাহমিনা আক্তার। তার ঠোঁটের কোন ছেয়ে গেল বিষাদের হাসিতে।
” তোর কি মনে হয়, ওরা আসবে? আর আসলেই কি কাউকে আব্বার দেয়া গহনাগুলো দেবো আমি? ”
” যদি আসে? ধর হঠাৎই একদিন ভাইয়া এসে দাঁড়ালো তোমার সামনে। তখন কি করবে তুমি? ফিরিয়ে দিতে পারবে তাকে? ” কুহুও পাল্টা প্রশ্ন করল।
কুহুর কথায় আরেকবার ওর দিকে তাকালেন তাহমিনা আক্তার। কঠোর গলায় বললেন,
” কেন পারব না ? চোখের সামনে তুই তমা আর বড় আপাকে দেখছিস না? ওদের এই অবস্থা দেখার পরও কি তোর মনে হয়, ওকে আমি মেনে নেব? অনেকগুলো বছর পর আমি আমার বড় আপাকে ফিরে পেয়েছি। তাই একটা বেইমান ছেলের জন্য আমি আবারও আমার মায়ের মত বোনকে হারাতে চাইব না । যে ছেলে একবারও আমার কথা ভাবেনি তার কথাও আমি ভাবতে চাই না। চাই না ওকে। তবে দোয়া করি , ও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সুখে থাকুক। আর এই দোয়াও করি, যেন ওর সন্তান ওর সঙ্গেও তেমনটা না করুক, যেমনটা ও আমার সঙ্গে করেছে। হাজার হলেও আমি ওর মা। মা হয়ে সন্তানের অমঙ্গল কোনদিনই চাইবো না আমি। তবে ওকে কোনদিনও গ্রহন করব না আমি। আর এই বাড়িতেও কোনদিনও ওর ঠাঁই হবে না। ”
তাহমিনার কঠোর রূপ দেখে চমকায় কুহু। বুঝতে পারে, কতটা কষ্ট পেলে একজন মায়ের মুখ থেকে এমন কথা বের হয়। কুহু দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে চন্দ্রহার হাতে তুলে নিলো।
” মা, এটা পরিয়ে দাও দেখি। ”
তাহমিনা আক্তার হেসে চন্দ্রহার কুহুর হাত থেকে নিয়ে পরিয়ে দিলেন ওর গলায়।
” আমার বউ আজকাল ভিষণ ব্যস্ত হয়ে গেছে। আমাকে দেবার মত সময় তার হয় না। অথচ বেচারা আমি দিনরাত বউয়ের অপেক্ষা করতে গিয়ে তিতুমেহ আর লবণমেহ’ র রোগী হয়ে যাচ্ছি । জীবন থেকে চিরদিনের জন্য মধুমেহ ‘ কে বাই বাই জানিয়ে, লবণতিতুরাম হয়ে যাচ্ছি দিন দিন। ” কুহু রুমে আসতেই তাহমিদ ওকে উদ্দেশ্য করে বলল।
এদিকে কুহু হতবাক হয়ে তাকিয়ে আছে তাহমিদের দিকে। তাহমিদের কথাবার্তা ওর বোধগম্য হচ্ছে না।
” তিতু, লবণ এসব কি বলছেন আপনি? বুঝিয়ে বলবেন প্লিজ? ”
” বিয়ের আগে কত আশা ছিল দিনরাত বউয়ের মিষ্টি ভালোবাসা খেয়ে মধুমেহ ‘ র সঙ্গে দোস্তি করব । কিন্তু বিধিবাম। বউ আমার রোমান্টিকতার ‘ র ‘ ও জানে না। আমার থেকে দূরে থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে সে। আর আমি অসহায় পুরুষ , দিনের পর দিন বউয়ের থেকে দূরে থাকতে গিয়ে, তার মিষ্টি ভালোবাসা না পেয়ে শরীরের মিষ্টি শুকিয়ে তেতো আর লবণের আধিক্য দেখা দিয়েছে। শরীরের আনাচেকানাচে তেতো আর লবণেরা রাজত্ব শুরু করেছে। তাই আমিও বিরসবদনে তিক্ততার সহিত লবণ আর তোতোর সঙ্গে দিনরাত হাই ফাইভ করছি। ”
এবার কুহু বুঝলো আসল কাহিনী। ও হেসে তাহমিদের গা ঘেঁষে বসলো । তাহমিদের টি-শার্টের বোতাম খুঁটে বলল ,
” ঐসব আজেবাজে নাম মুখেও আনবেন না। এই যে আমি আপনার কাছে এসেছি । সারাটাদিন আপনার আশেপাশে না থাকলেও রাতটা কিন্তু আপনার জন্যই বরাদ্দ । তাই যথেষ্ট মিষ্টি ভালোবাসা পাচ্ছেন আপনি। মিছেমিছি আমাকে দোষারোপ করবেন না। ”
তাহমিদ কুহুর কোমর ধরে ওকে নিজের আরও কাছে টানলো। নেশালো গলায় বলল,
” এতটুকুতে সন্তুষ্ট নই আমি। আমার আরও ভালোবাসা চাই । জলজ্যান্ত একটা নারী সকরাটাদিন আমার চারপাশে ঘুরঘুর করে অথচ সময়ে-অসময়ে তাকে ছুঁয়ে দিতে পারি না , তার অধর , তার সর্বাঙ্গ মধুর ব্যথায় জর্জরিত করতে পারি না। এটা কি কম আফসোসের? ”
” আপনি কিন্তু দিনকে দিন অসভ্য হয়ে যাচ্ছেন। দিনে দুপুরে কি আমি আপনার কাছে আসবো নাকি! বাসা ভর্তি মানুষজন তারা কি ভাববে? আর তাছাড়া এতবড় সংসারের কাজ করতে গিয়ে মা-চাচীরা সবাই হাঁপিয়ে যায়। বাড়ির একমাত্র বউ হিসেবে আমারও তো কিছু দ্বায়িত্ব আছে নাকি? ”
” আমার বউ সকলের প্রতিই দ্বায়িত্ব পালনে তৎপর। শুধু আমার বেলায় সে উদাসীন। আফসোস, সে আমার মত একজন প্রেমিক পুরুষকে হেলা করছে। ”
তাহমিদ বাক্যটা শেষ করেছে কি না গালে কুহুর নরম ঠোঁটের স্পর্শ পেয়েই আবেগে উদ্বেলিত হল ওর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। মুহূর্তেই কুহুকে আলিঙ্গনে আবদ্ধ করল। কুহুও সাড়া দিল ওর পুরুষের ডাকে।
বেশ খানিকক্ষণ পর। কুহু তাহমিদের বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছে। তাহমিদের শক্ত বাঁধনে আটকা পরেছে ওর নাজুক দেহাবয়ব। তাহমিদের লোমশ বুকে খেলা করছে কুহুর আঙুল।
” একটা কথা জিজ্ঞেস করব? ”
” আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করতে তোমার অনুমতি নিতে হবে, এ কথা কবে বলেছি! যা বলার সরাসরি বলে ফেলবে, অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন নেই। ”
” কখনো যদি ভাইয়া ফিরে এসে নিজের অধিকার দাবী করে, কি করবেন তখন? সে যদি এই বাড়িতে থাকতে চায়, রাখবেন? ”
” সে যদি পৈত্রিক সম্পত্তির অধিকার চায়, তাকে তৎক্ষনাৎ সেগুলো দেয়া হবে। কিন্তু এই বাড়িতে তার জায়গা হবে না কখনোই। তুমি সেসব দিনগুলো দেখোনি। মায়ের কান্না তুমি দেখোনি। দিদুনের আকুতিভরা গলা তুমি শোনোনি। বড়মার কান্নাও দেখোনি তুমি। কিংবা সিনিয়রের রিকুয়েষ্ট তোমাকে কাঁদায়নি। আমি দেখেছি প্রত্যেককেই কিভাবে অপমান করেছে সে। চাচাদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করতে দেখেছি তাকে। দেখেছি চাচাদের মলিন মুখ। তমাপু কিংবা খালামণির অবস্থাও দেখেছি । দেখেছি দিনের পর দিন আমার মাকে কষ্ট পেতে। এতকিছুর পরও তাকে এই বাড়িতে থাকতে দেবো? কক্ষণোই না। ” রাগে ফুঁসছে তাহমিদ।
সিন্ধুতে সন্ধির খোঁজে পর্ব ৪৮
” মা যদি ভাইয়াকে আসতে বলে তখন কি করবেন? পারবেন তখন মাকে কষ্ট দিতে? ”
” তুমি বোধহয় আমার কথাই বুঝতে পারোনি। চিরকাল অনাদরে বড় হওয়া আমার মা কয়েকটা বছর তার বোনকে ছাড়া থেকেছে। শুধুমাত্র তার বড় ছেলের জন্য। মায়ের মত শ্বাশুড়িকে অপমান করেছে তার বড় ছেলে। তার বোনের মত বড় জা’কে অপমান করেছে তারই বড় ছেলে। এই বাড়ির প্রত্যেককে অপমান করেছে সে। তোমার কি মনে হয়, এতকিছুর পরও তার ক্ষমা আছে? আমার মা এতটাও বোকা নয় । সকলের ভালোবাসা পায়ে মাড়িয়ে সে কিছুতেই এক বেইমানকে এই বাড়িতে ডাকবে না। ”
কুহু ওর উত্তর পেয়ে গেছে। স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়ে তাহমিদকে জড়িয়ে ধরল।