সে আমার হৃদয় হরণী পর্ব ১৮
বুশরা আহমেদ
আজকে বুশরা তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে, ভার্সিটি এর উদ্দেশ্য রওনা দিলো । আজকে সকাল সকাল রাহি ও তৌফিক ইম্পর্ট্যান্ট মিটিং থাকায় একসঙ্গে চলে গেছে । আর বুশরাকে বলে গেছে গাড়ি নিয়ে যেতে।
বুশরা ভার্সিটি তে প্রবেশ করে নিজের ক্লাস রুমে চলে গেল। সেখানে অরিন আগে থেকেই উপস্থিত ছিল। অরিন বুশরাকে ডাকতেই বুশরা অরিন এর পাশে গিয়ে বসলো।
অরিন : কালকে এলে না যে ?
বুশরা : ওহ। এমনি।
অরিন: সেই দিন তোমার সঙ্গে হ্যান্ডসাম ছেলে টা কে ছিল?
বুশরা : আমার কাজিন।
অরিন: তোমার কাজিন কিন্তু বেশ হ্যান্ডসাম, আমার বেশ পছন্দ হয়েছে ।
বুশরার কর্ণপাত হতেই মেজাজ খারাপ হয়ে গেল,, মন চাচ্ছিল অরিন কে দুই টা থাপ্পড় বসাই দিতে । তার ব্যক্তিগত মানুষ এর উপর নজর দেওয়া। কিন্তু কিছু বললো না ।
এর মধ্যেই ক্লাস রুমে প্রবেশ করলো ইংরেজি লেকচারার আদনান ,,
তার হাতে ব্যান্ডেজ মাথায় ব্যান্ডিজ। বুশরা বেশ অবাক হলো ।
বুশরা: আদনান স্যার এর এমন অবস্থা হলো কেমন করে ?
অরিন; ভাইয়ার এক্সিডেন্ট হয়েছিল। সেই দিন আমাকে বাসায় পৌছে দিয়ে ভাইয়া কি জেনো দরকার এ বেড়িয়েছিল তখন সামনে থেকে হুট করে একটা গাড়ি আসায় এক্সিডেন্ট হয়ে যায় ।
বুশরা : ওহ্।
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
বুশরাকে নিয়ে রাহি যখন চলে যায় ,,তার পর রাহি ভ্যাভেনকে ফোন করে বলে যেন আদনান এর হাত ভেঙ্গে দেওয়ার কথা । আদনান আর রাহি দুই জনেই ক্লাসমেট। অনেক সাহায্য করেছে রাহি আদনান কে । কিন্তু সেই দিন হুট করেই রেগে যায় বুশরাকে ওর সঙ্গে দেখে । তাই সামান্য এক্সিডেন্ট করিয়ে দেয় আদনান এর ।
আদনান এর ক্লাস শেষ কিন্তু তার মধ্যেই ক্লাস রুমে ডুকলো ,, principal আর এলিন।
সবাই দাঁড়িয়ে তাদের সম্মান জানালো।
Principal: তোমাদের জন্য” নবীন বরণ ” অনুষ্ঠান এর আয়োজন করা হয়েছে ।আর এর দায়িত্বে থাকবে তোমাদের ইংলিশ লেকচারর মি. আদনান । তোমাদের সবাইকে কিছু না কিছু পারফোম করতে হবে। বলেই চলে গেলো ।
বুশরার ক্লাস শেষ। অরিন আর বুশরা এক সঙ্গে বের হলো ।
অরিন: কালকে কি পারফোম করবে ।
বুশরা : জানি না। তুমি।
অরিন: আমি তো ভাবছি কালকে নাচ করবো ।কালকে ভাইয়াদের ব্যাচ এর সবাই উপস্থিত থাকবে।
বুশরা : ওহ্ ।
অরিন: আচ্ছা আমরা ঠিক করেছি সবাই শাড়ি পরবো । তুমিও পরবে ।
বুশরা : না , আমি আর শাড়ি। শাড়ি সামলাতেই পারবো না।
অরিন: না তোমাকে পরতেই হবে ।
বুশরা : আমি শাড়ি পরতে পারি না।
অরিন: তাহলে আমার বাসায় চলে আসো ,আমি পরিয়ে দিব ।
বুশরা : না না এর কোন দরকার নেই।
অরিন: আরে সমস্যা নেই আমি ভাইয়া কে বলবো তোমাকে নিয়ে আসতে।
বুশরা : আদনান স্যার। না এর কোন দরকার নেই।আমি চেষ্টা করবো শাড়ি পরে আসার।
বুশরা দেখলো সামনে এলিন দাঁড়িয়ে আছে। এলিন বুশরাকে ডাকলো ,,
এলিন: কেমন আছো?
বুশরা : এইতো আপু ভালো আছি।
এলিন: কালকে প্রোগ্রাম এ কি দিবে।
বুশরা: জানি না। সবাই বলতেছে শাড়ি পরবে কিন্তু আমি তো শাড়ি পরতে পারি না।
এলিন: আমি হেল্প করবো ।নো প্রবলেম। চলো তোমাকে বাসায় পৌঁছে দেই ।
বুশরা: আপু তুমি বাইক রাইড কোথায় থেকে শিখেছো ।
এলিন: আমি তো নিজে থেকেই শিখেছি। ছোট থেকেই খুব সখ ছিল। তারপর একটা ক্লাব এ ভর্তি হয়ে ট্রেনিং নিয়েছি।
বুশরা : আমিও চাই শিখতে আমাকে শিখাবে ।আমারো খুব ইচ্ছে।
এলিন: রাহিকে বা তৌফিক কে বললে তো তোমায় শিখাবে।
বুশরা : না না ।রাহি ভাইয়া কে বলো না। তুমি না শিখালে থাক । কিন্তু রাহি ভাইয়াকে বলো না।
এলিন: আচ্ছা আমি শিখাবো ।
বুশরা : থ্যাংকস আপু।
রাতে বুশরা নিজের রুমে বসে শাড়ি পরার চেষ্টা করছে কিন্তু কিছুতেই পারছে না।
রাহি বাসায় ফিরে বুশরা না দেখতে পেয়ে তার রুমের সামনে এসে দেখে বুশরা রুমে শাড়ি পরার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছেনা না । রাহি ডাকলো
নুর!!
বুশরা আচমকা রাহির মুখে নিজের নাম শুনে তাড়াতাড়ি করে শাড়ি ঠিক করতে লাগলো কিন্তু শাড়ি ঠিক হওয়ার বদলে উল্টো খুলে গেল।
রাহি : যেইটা সামলাতেই পারিস না কেন পরতে যাস??
বুশরা: কিনে তো তুমিই দিয়েছো ।আর এই ভাবে রুমে হুটহাট চলে এসে আসো কেন ?
রাহি: রুমের দরজা খোলা থাকলে তো ডুকবোই ,,,
বুশরা কোন মতো শাড়ি টা নিজের গায়ে জড়িয়ে।
বুশরা: নক করে ঢুকতে হয় এই কমোনসেন্স টা কি নেই ।
রাহি : রুমের দরজা লক করতে হয় এইটা কি জানানেই ।
বুশরা: তোমার এই হুটহাট চলে আসায় আমার মিনি হার্ট অ্যাটাক হয়ে যায়,
রাহি : আমি তো মিনি না বড় সর হার্ট অ্যাটাক করাতে চাই। বলেই একটা হাসি দিল।
বুশরা : মানে ,,
রাহি: মানে টা কি এখনি বুঝতে চাস,,বুশরার কাছে আসতে আসতে ,,
বুশরা : না আমি কোন মানে বুঝতে চাই না,, পিছনে সরে গিয়ে।
রাহি : এতো গুলো শাড়ি বের করছিস কেন ? আর এই সব কি করেছিস,,
বুশরা : কালকে নবীন বরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে সবাই শাড়ি পরবে ,, তাই আমিও ,,
রাহি বুশরাকে আর কিছু বলতে না দিয়ে,, কোন শাড়ি পরতে হবে না। যেভাবে রেগুলার যাস ঠিক সেই ভাবেই যাবি
বুশরা: কেন?
রাহি : আমি বলসি তাই ।
বুশরা : কেন শুনবো আমি তোমার কথা ? যদি পরতেই না দিবে তাহলে এতো শাড়ি কিনে দিলে কেন??
রাহি: বাসায় পরার জন্য,,আর হ্যাঁ আমার কথা অবাধ্য হলে এর ফল খুব খারাপ হবে । তুই এখন আমার রাগের কিছুই দেখিস নি।আর এতো টপস্ ,প্যান্ট হিজাব থাকতে শাড়ি পরে কেন যেতে হবে,, হিজাব ছাড়া যেন বাহিরে যেতে না দেখি, আগে কি করছিস আমি জানি না কিন্তু এখন আমি যা বলবো তাই করতে হবে,,বলেই চলে গেল।
বুশরা মনে মনে,, আমিও দেখি তুমি কি করো ,,আমারো রাগ কম না,, আমি শাড়ি পরবো ,যত দিন না আমাকে ভালোবাসো শিকার করছো ততদিন আমি তোমার অবাধ্য হবো ,,
বুশরা তাড়াতাড়ি চেঞ্জ করে ফোন হাতে নিয়ে হিয়াকে কল করলো ,, ১ মাস এর বেশি হয়ে যাচ্ছে হিয়ার সঙ্গে কথা হয় নি,,
হিয়া ফোন ধরলো না,, বুশরা আবার ফোন করলো ,,
হিয়া: হ্যালো কে বলছেন?
বুশরা : আসসালামুয়ালাইকুম,আমি আপনার ননদিনী বলছি ,,
হিয়া বুঝলো এইটা বুশরা,,রাগ করে বললো ,,সরি আপনি ভুল নম্বর এ কল করেছেন আমার কোন ননদ নেই,,
বলেই কল কাটতে যাবে ,,
বুশরা : সরি সরি সরি,, কল কাটিস না।
হিয়া : এতো দিন পর কি মনে করে ,,,
বুশরা: মিস করছি তোকে অনেক।
হিয়া : আমি করি নি,, তোর সঙ্গে কথা নাই ,,
বুশরার এবার রাগ হলো আচ্ছা কথা বলতে হবে না রাখে দে ,,
হিয়া : বাহ্ রাগ করার কথা আমার উল্টা তুই রাগ করছিস,বাহ্ ,,
বুশরা : ফোন রাখ।
হিয়া : সরি জানু ভুল হয়ে গেছে,,
বুশরা : হইছে হইছে, তুই ঠিকি ভাইয়ার সঙ্গে কথা বলছিস ,,
হিয়া: কোথায়,, কখন , আমি তো তোর খোজ নেওয়ার জন্য তোর সঙ্গে কথা বলার জন্য,,
বুশরা: হইছে জানি জানি,কার জন্য ফোন দিছিলি ।
কালকে ভার্সিটি তে নবীন বরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে সবাই শাড়ি পরবে আমি শাড়ি পরতে পারছি না,, তুই থাকলে ভালো হতো ,,
হিয়া: রাহি ভাইয়াকে বল পরিয়ে দিবে ,,
বুশরা : ফাজলামি করিছ না,,রাহি ভাইয়া নিষেধ করেছে শাড়ি পরতে,,আর রাহি ভাইয়া কেন বলছিস ,,আমি শুধু রাহি ভাইয়া ডাকি তুই জানিস না,
হিয়া: তো কি ডাকবো,,
বুশরা: ভাসুর ডাকবি আর না হলে বড় ভাই ডাকবি ,,তাও রাহি ভাইয়া ডাকবি না ,,
হিয়া : ওকে রাগ করতে হবে না। তোকে যেহেতু শাড়ি পরতে নিষেধ করেছে পরিস না।
বুশরা: আমি তো পরবোই ।
বুশরা আর হিয়া অনেকক্ষণ ধরে কথা বলে রেখে দিলো।
পরেরদিন সকালে রাহি ও তৌফিক ব্রেকফাস্ট করছিল,,
তৌফিক: ভাইয়া আজকে ভার্সিটি তে নবীন বরণ যাবে না,সবাই থাকবে ।আর সেখানে তোমাকে চিফ গেস্ট হিসেবে ইনভাইট করেছে ।
রাহি: মিটিং শেষ করে তারপর।
তৌফিক: হুম ।
রাহি: নুর কোথায়,
তৌফিক: রুমে,,
এরি মধ্যে এলিন আসলো ,
রাহি: তুই এখানে,,
এলিন: বুশরাকে নিয়ে ভার্সিটি তে যাবো , ভুলে গেলি ।
রাহি : ওহ্ আচ্ছা বলেই চলে গেল।
এলিন বুশরার রুমে এসে বললো ,কি ব্যাপার রেডি হও নি এখনো।
বুশরা: কি পরবো বুঝছি না।
এলিন: শাড়ি পরেবে ।
বুশরা : কিন্তু,,
এলিন: কোন কিন্তু না ,,
বুশরা :তাহলে তোমাকেও পরতে হবে ।
এলিন: ঠিক আছে আমিও পরবো ।
এলিন বুশরাকে সুন্দর করে শাড়ি পরে দিলো ,বুশরার পরনে স্লিক হালকা মেরুন রঙের শাড়ি ,হালকা মেকআপ, কানের দুল, চুল গুলো ছেড়ে দেওয়া, সঙ্গে ম্যাচিং হাই হিল,
এলিন: মাশাআল্লাহ তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে আজকে কেউ চোখ ফেরাতে পারবে না।
বুশরা : কি যে বলো আপু।তোমাকেও অনেক সুন্দর লাগছে আপু ।
এলিন,, কথায় আছে না শাড়িতে নারী তোমায় ঠিক সেই রকম অপূর্ব সুন্দরী লাগছে।
বুশরা নিজেকে আয়নায় দেখলো ,রাহির কথা ভাবলো । রাহির কথা গুলো মনে হতেই বললো,,
আমিও দেখি তুমি কি করো ।।
অন্যদিকে এলিন পরেছে ,আকাশি রঙের একটা শাড়ি, ঘাড় সমান চুল গুলো ছেড়ে দেওয়ায় অন্যরকম সুন্দর লাগছে তাকে ।
এলিন: বুশরা চল দেরি হয়ে যাচ্ছে ।
বুশরা আর এলিন বের হয়ে পরলো ,,
ক্যাভেন বুশরা আর এলিন কে পৌঁছে দিলো ভার্সিটি এর সামনে।
এলিন গাড়ি থেকে নেমে আসলো ,, বুশরাও গাড়ি থেকে নেমে আসলো ,, এলিন আর বুশরা ভার্সিটিতে প্রবেশ করতেই সবার নজর তাদের দিকে ,, বুশরাকে অপূর্ব সুন্দরী লাগছে। মেরুন রঙের শাড়িতে থাকে অপূর্ব লাগছে । এলিন ও কম না এলিনকেও আজকে শাড়িতে বেশ মানিয়েছে ,
সব ছেলেদের নজর যেন তাদের দিকেই।
বুশরা মঞ্চ এর কাছে যেতে অরিন এর সঙ্গে দেখা অরিন বুশরা কে দেখে অবাক হয়ে ডবললো ,,
অরিন: তোমাকে তো বেশ সুন্দর লাগছে শাড়িতে,দেখো সবাই তোমার দিকেই তাকিয়ে আছে।
বুশরা : মুচকি হেসে বলল, তোমাকেও অনেক সুন্দর লাগছে।
বুশরার খুব আনইজি ফিল হচ্ছিল,, কেন জানি না তার ভালো লাগছে না। সবাই তাকে দেখছে তার একটুও ভালো লাগছে না।
অরিন আর বুশরার কথার মাঝখানে আদনান এসে বললো ,,
আদনান : তোমাকে অপূর্ব লাগছে বুশরা
আদনান বুশরা দিকে তাকিয়ে আছে ,আজকে যেন তাকে অন্য রকম সুন্দর লাগছে।
বুশরা : ধন্যবাদ স্যার।
আদনান বললো তোমারা এখানে বসো ।
বুশরা আর অরিন বসলো তাদের নিজ স্থানে।
এলিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা কলছে ,একে একে সবাই ফারফোর্ম করছে ।
আদনান তাদের পাশে এসে বসল তোমাদের কোন প্রবলেম হলে বলো । বলেই বসা থেকে উঠে তাদের কে দুইটা পপকন কিনে দিয়ে গেল,,
এলিন এবার অরিন এর নাম ডাকলো ,,
অরিন মঞ্চে উঠে সুন্দর একটা নিত্য পরিবেশন করলো ,,
এরপর এলিন বুশরার নাম ডাকলে বুশরা ইতস্তত বোধ করে ,, এলিন বুশরার কাছে এসে বললো আরে সমস্যা নেই যাও আমি তো আছি।
এইদিকে রাহি আর তৌফিক মিটিং শেষ করে বুশরার ভার্সিটি তে এসেছে ।
রাহি এই ভার্সিটি ফ্যান্টে অনেক টাকা দিয়ে সাহায্য করেছে। এই ভার্সিটিতে সবাই তাকে অনেক সম্মান করে সঙ্গে ভয়ও পায়।
বুশরা মঞ্চে উঠলো সঙ্গে এলিন ও উঠলো , আদনান বুশরার হাতে একটা ফুলের বুকে দিয়ে বললো। আমাদের চিফ গেস্ট কে দিবো ।
এলিন মাইকে বললো ,, আমাদের চিফ গেস্ট মি: রায়হান আহমেদ রাহি এই মুহূর্তে আমাদের মাঝে উপস্থিত তাকে মঞ্চে আসার জন্য অনুরোধ করছি।
বুশরা রাহির নাম শুনে চমকে উঠলো,, রাহি মঞ্চের কাছে এসে বুশরাকে শাড়ি পরা অবস্থায় দেখে অবাক হলো । তৌফিক রাহির সঙ্গেই ছিল। রাহি আসে পাশে তাকিয়ে দেখলো সবাই বুশরার দিকে তাকিয়ে আছে।আর আদনান কে বুশরার পাশে দেখে আরো রেগে গেলো ।
তৌফিক: রাহির দিকে তাকিয়ে ভয়ে শুকনো ঢোক গিললো । আর বললো ,, ভাইয়া
রাহি : কোন কথা শুনলো না।
সোজা মঞ্চে উঠে গেল। তৌফিক বুশরার দিকে তাকিয়ে বললো,,
বনু আজকে আমি তোকে আর বাঁচাতে পারবো না।
সে আমার হৃদয় হরণী পর্ব ১৭
বুশরা রাহির দিকে তাকিয়ে, আতকে উঠলো রাহি বুশরার ঠিক সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
বুশরা রাহির দিকে ফুলের তোড়া টা এগিয়ে দিল,, কিন্তু রাহি বুশরার দিকে তাকিয়ে আছে,,
বুশরা এইবার রাহির দিকে তাকালো রাহির চোখ দেয় মনে হচ্ছে এখনি মনে হয় গিলে নিবে ,, বুশরা ভয়ে আর একটু এগিয়ে দিল ফুলের তোড়া টা ,,
রাহি এইবার সজোরে বুশরার গালে একটা থাপ্পড় দিলো ,,
বুশরা অনুভব করলো তার গালে বজ্রপাতের নায় একটা থাপ্পড় পরলো ,,