হয়তো নায়ক নয়তো খলনায়ক পর্ব ৫

হয়তো নায়ক নয়তো খলনায়ক পর্ব ৫
Tahrim Muntahana

~ আপনার ছেলেপেলের মুখে লাগাম টানুন মি. আদিল মাহমুদ। না আমি আপনাকে চিনি, না আপনার সাথে আমার কোনো রকম প্রেম বা বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে!
গম্ভীর কন্ঠে কথাটা বলেই মুখশ্রী কঠোর করে নিলো আফরা। সময় টা এখন গোধূলি বিকেল। মেয়েটির কাছ থেকে শুধু নামটা শুনেই যা বুঝার বুঝে গেছে আফরা। নাদিয়া যে একা নয়, তার ভাই ও সাথে আছে এটা বুঝতেও তার বাকি নেই। তাই তো মনের ক্রোধ নিয়ন্ত্রন করতে পারে নি! এক মুহূর্তেই আদিল মাহমুদের ঠিকানা জেনে চলে এসেছে। দীর্ঘ এক ঘন্টা অপেক্ষা করে তাকে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়েছে। এই অফিসে নাকি তাদের বসের কেবিনে কেউ ঢুকতে পারে ন! বাইরে থেকে কথা বলতে হয়! এই কথাটা শুনেই আফরার মাথায় বড়সড় রকমের বাজ পড়েছিল। ব্যাপারটা কেমন কৌতুহলী! তবে নিজের সমস্যার চাপে কৌতুহল টা নিজের মাঝেই চেপে রেখেছে। এই যে সে একা একটা ঘরে অবস্থান করছে, সে জানে অপর পাশে আদিল‌ মাহমুদ নামক লোকটা রয়েছে, তাকে ঠিক দেখছে তবে সে লোকটা কে দেখতে পাচ্ছে না! রাগ টা যেন তিরতির করে বেড়ে যাচ্ছে ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে। গলার স্বর আরেকটু উঁচু করে আবার‌ বললো,

~ আমি কিছু বলছি মি.! ভদ্রতার জ্ঞান ও কি হারিয়ে ফেলেছেন, নাকি সামাজিকতা বুঝেন না!
আদিল নিজ মনে ফাইল দেখছিল। তার কানে পুরো কথাই ঢুকেছে। তবে হিসেব টা গড়মিল হয়ে যাবে বলেই মুখ ফুটে কিছু বলছে না! এখন আর সে চুপ করে থাকতে পারলো না। কালো বলপয়েন্ট কলম হাতে তুলে নিয়ে গুটিগুটি অক্ষরে কিছু লিখেই বললো,
~ আমি নাহয় ভদ্রতা, সামাজিকতা বুঝি না। তবে মিস আপনি বুঝেন তো? অপরিচিত কারো সাথে উঁচু গলায় কথা বলা‌ কোন ধরনের ভদ্রতা, যদি একটু বলতেন!
অপমানে থমথমে হয়ে যায় মুখ। হাত দিয়ে থ্রিপিসের একাংশ চেপে ধরে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে চায় আফরা। একসময় সে শান্ত হয়। তাকে তো হারলে চলবে না। ঠেস দিয়ে বলে উঠে,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

~ কি যে বলেন, আপনি আমার অপরিচিত হবেন কেন? আপনি তো আমার অতি প্রিয় না দেখা, কবুল না বলা জামাই! আপনার সামনে গলার স্বর শুধু উঁচু কেন, গলাবাজিও করা যাবে!
আদিলের ভ্রু কুঁচকে আসে। মেয়েটা এসব বলছে কেন? মজা করছে তার সাথে? ফাইলে চোখ রেখেই গমগম কন্ঠে বললো,
~ হোয়াট? কি বলছেন মাথা ঠিক আছে? কিসের জামাই? কার জামাই?
~ একদম নাটক করবেন না। নিজের চামচাদের আমার পেছনে লেলিয়ে দিয়ে এখন না জানার ভান করছেন? অথচ এখন আমি সরকারি ভাবী হয়ে গেছি। যে যেভাবে পারছে মজা লুটে নিচ্ছে।
আফরার কথা আদিলের মাথায় ঢুকে। এও বুঝতে পারে তার ছেলেপেলে রাই কিছু ঘটিয়েছে। শান্ত স্বরে বলে উঠে,

~ মিস আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে। আমি এসবের কিছুই জানি না। আপনাকে সত্যিই যদি অসম্মান করে থাকে আমি বিষয়টা দেখবো।
আফরা কিছুক্ষণ ভেসে আসা কন্ঠকে অনুমান করে তাকিয়ে থাকে। পরমুহূর্তেই নাদিয়ার কথা মনে হতেই বলে উঠে,
~ সময় থাকতে নিজের বোন কেও সামলান। আমার জীবনে যদি প্রভাব ফেলতে আসে আমি কিন্তু ছেড়ে কথা বলবো না।
~ এবার আপনি একটু বেশীই বাড়াবাড়ি করছেন না? আমার বোন কে টানছেন কেন? ভালো ব্যবহার সহ্য হয় নি? আপনার টাইম শেষ!‌ আসতে পারেন!

~ আমার এতটা সময় নেই আপনাদের দুই ভাই বোন কে নিয়ে ভাবার। যেদিন নাদিয়া মেয়েটা ভাবী বানানোর জন্য আত্মহত্যার নাটক করেছে সেদিন থেকে আপনি নামক অচেনা অসহ্যকর মানুষ টার সাথে না চাইতেও আমার নাম জুড়ে যাচ্ছে। এরপর আমার সম্মানে কোনোরূপ দাগ লাগলে দু ভাই বোন কেই জেলের ভাত খাওয়াবো! মাইন্ড ইট!
আদিল হাসলো। ফাইল টা বন্ধ করতে করতে বললো,
~ ভয় দেখাচ্ছেন? আসলে কি জানেন, ভালো ব্যবহার কারো কারো সহ্য হয়না। আমিও দেখবো কি করেন আপনি! আদিল মাহমুদের সাথে লাগতে আসা দমের ব্যাপার। আছে তো?
~ এতদিনের তৈরি করা ইমেজ এক নিমিষেই ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে পারি আমি!
আমাকে দুর্বল ভেবে ভুল করবেন না মি.।

রক্তচক্ষু নিয়ে দন্ডায়মান সাহসী মেয়েটির দিকে তাকায় আদিল। মেয়েটা তাকে ভয় দেখাচ্ছে? সাহস কি হয়? তার অফিসে তার কেবিনে দাঁড়িয়ে মেয়েটা একের পর এক ভাষণ দিয়ে যাচ্ছে। সে সহ্য করছে? কেন? আফরার দিকে পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকায় আদিল‌। চোখের দৃষ্টি এখন শান্ত, কিন্তু এই মুহূর্তে তার চোখের দৃষ্টিতে বাঁধন ছাড়া ক্রোধ থাকা উচিত ছিলো! কিছুটা ভড়কেও যায় সে। হঠাৎ করে দুর্বোধ্য হেসে শান্ত অথচ গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠে,
~ বেস্ট অফ লাক মিস আফরা ইবনাত! আমিও দেখতে চাই আপনি কতদূর পর্যন্ত যেতে পারেন!
আফরা মুচকি হাসে। পেছন ঘুরে পা বাড়ায় হাঁটার উদ্দেশ্যে। আদিল অদ্ভূত দৃষ্টিতে মেয়েটার মুচকি হাসি মিশ্রিত মুখশ্রী দেখে। পরমুহূর্তেই গা ছাড়া ভাব নিয়ে কাজে ডুব দেয়। এমন ঘটনা তার জীবনে অহরহ ঘটেছে! অনেকেই তার সামনে উঁচু গলায় কথা বলেছে, তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে তবে টিকতে পারে নি। উড়তে থাকা ডানা টা কখন সে ছাঁটাই করে দেয় ঠিক নেই! ছটফট করে বিদ্রোহী, নিঃশ্বাস বন্ধ হয় তবে তার ই বা কি করার আছে! টগবগে যুবক, রক্ত গরম! তেজ তো থাকবেই!

কেবিন থেকে বের হয়ে আফরা নিজের বাঁধা খোপা টা খুলে দেয়। হাঁটু সমান চুলগুলো আঁচড়ে পড়ে পিঠ বেয়ে। মুখে বাঁকা হাসি বিরাজমান রেখে এগিয়ে যায় গ্রাউন্ড ফ্লোরে। হাঁটার তালে এলোমেলো কেশ ও নাচতে থাকে অবলীলায়। হুট করেই পেছন থেকে দেখে হয়তো যে কেউ ই এলোকেশীর মায়ায় মুগ্ধ হবে। আরেকবার তাকাতে বাধ্য হবে। তাই হলো, খোঁপা বাঁধা মাথায় ভেতরে যাওয়া মেয়েটাকে খোলা চুলে দেখে অনেকের মনেই উঁকি দিয়েছে নানান প্রশ্ন, এতটা সময় মেয়েটা কি করলো বসের কেবিনে? হয়তো কিছুক্ষণের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হবে। একেক রকম মতামত পোষণ করবে একেকজন। কিন্তু গল্পের মুখ্য ভুমিকায় তো দুজন মানুষ ই; আফরা-আদিল! আফরা তো তাই চেয়েছিল! অফিসের গেইট পেরিয়ে বাইরে বের হয়ে আবার একপলক পেছনে তাকায় আফরা। ঠোঁটের কোণে অদ্ভুত হাসি ঝুলিয়ে বিড়বিড় করে বলে উঠে,

~ আমি ভিতু, তবে বুদ্ধিহীন নয়! আমার মস্তিষ্কের নিউরন গুলোতে কি কি বসবাস করে কেও জানে না! শুধু মাত্র স্নায়ুকোষে পৌঁছানো মাত্র। উত্তেজনা ছাড়া আবার খেলা মজে না!
…..
~ তোমার সাহস সত্যি বেড়েছে নাদিয়া! আমার নাগালে থেকে এতবড় ঘটনা কিভাবে ঘটালে? বুক একটুও কাঁপলো না?
ফোন ধরে রাখা হাত টা থরথর করে কেঁপে উঠলো নাদিয়ার। বড় সড় ঢোক গিলে বিছানায় বসলো। মুখ দিয়ে যেন কথা বের হচ্ছে না। বুকটা কেমন কাঁপছে। সে তো জানতো এমন প্রশ্নের মুখোমুখি তাকে হতে হবে। তবে এখন কেন ভয় পাচ্ছে? আদিল হয়তো বুঝতে পারলো বোনের মনোভাব। হুট করেই হাসলো সে, হাসিটা নাদিয়ার কর্ণকুহরে পৌঁছাতেই চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়লো দু ফোটা অশ্রু। এই হাসি তাকে তিরস্কার করছে, তার জীবনের ভয়াবহতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। বড্ড আফসোস হচ্ছে এখন তার। কেন এতবড় সাহস করতে গেল? আদিল বললো,
~ আমার জীবনে ঢুকার পারমিশন আমি কাউকে দিই নি। আমার রাজ্যটা সম্পূর্ণ আলাদা, প্রবেশ নিষেধ। প্রথম ভুল ক্ষমা করলাম, যা বোন বলেই পেলে। দ্বিতীয় ভুল, আর ক্ষমা পাবে না! সাবধান!
ফোন কেটে দিয়ে আবার হেসে উঠলো আদিল। ফোনের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে আপন মনেই বললো,

~ তোমার ভুল, অথচ শাস্তি পাবে মেয়েটি! আ’ম সো সরি! মেয়েটার সাহস যে আমার ভালো লেগেছে! যাকে এই আদিল মাহমুদের মনে ধরে, তার যে নিস্তার নেই!
অন্যদিকে নাদিয়া থম মেরে বসে আছে। তার ভাগ্যটা এবার‌ও তার ফেবারে ছিল। না হলে আদিল মাহমুদের হাত থেকে বাঁচা কম কথা নয়! ফোন হাতড়ে পরিচিত এক নম্বরে ফোন দিল, রিসিভ হলো কিছু সময় পর। ফোন রিসিভ করেই অপর পাশের মানুষটা বললো,

~ কি ব্যাপার? অনেক দিন পর ফোন আসলো!
~ সাবধান থাকার সময় এলো বলে! সিংহ যে গর্জে উঠেছে। এক থাবাতেই মাংস খুবলে নিবে!
~ মাংস যদি মানুষের না হয়ে কুকুরের হয়? সিংহ গ্রহণ করবে তো?
নাদিয়া চাপা শ্বাস ফেললো। আদিল মাহমুদ আর এ মানুষ টা যে এক‌ই ধাঁচের। কার ভয় সে পাবে, আবার কাকেই বা সাপোর্ট করবে? বললো,
~ তুমি কি আবার রক্তের খেলা শুরু করতে চাইছো? এসব না করলে হয় না?
~ আহা ভয় পাচ্ছো কেন নাদু? রক্তের খেলা যে নেশা! তুমি তো মদ খেয়েও মাতাল হ‌ও না! তবে আমি যে রক্ত দেখলেই মাতাল হয়ে যাই!
নাদিয়ার চোখ মুখে অসম্ভব ভয়! থামলো লোকটি। খানিক সময় নিশ্চুপতাই ছেয়ে গেল। হুট করেই দুষ্টু হেসে বললো,

~ মাতালের পিনিক বুঝো তো? তোমার তো আবার পিনিক হয় না, দিব্যি ঘুরে বেড়াও! আমি আবার দিনদুনিয়া ভুলে যাই! এখন রাখছি, টাটা!
কোনো রকম সময় ব্যয় না করেই ফোন কেটে দেয়। মদের কথা শুনেই যেন জিভে নিশপিশ করে উঠে মদের স্বাদ পাওয়ার জন্য, গলা যেন শুকিয়ে কাঠ হয়। স্বচ্ছ গ্লাসের তরল নিষিদ্ধ পানীয়টা ঢেলেই চুমুক বসায় নাদিয়া। চোখ বুজে তৃপ্তির সুর তুলে। এখন মনে হচ্ছে জীবন সুন্দর!

~ তোকে অন্যত্র চলে যেতে হবে বোন! এখানে তুই সেইফ নয়। আমাকে ওরা ভালো থাকতে দিল না রে।
ফ্যাল ফ্যাল করে বোনের দিকে তাকিয়ে র‌ইলো অথৈ। আফরা যত্ন নিয়ে অথৈয়ের মুখে ভাতের লোকমা তুলে দিয়ে বললো কথাটি। গলা দিয়ে খাবার নামে? মুখে খাবার নিয়েই ভালো হাত টা তুলে বোনের হাতে রাখার চেষ্টা করলো অথৈ। অনেকদিন নাড়াচাড়া করা হয় নি, কেমন অবশ হয়ে আসে। আফরা বোনের মনের অবস্থা বুঝে বললো,
~ চিন্তা করিস না বোন! তোকে যেমন সেইফ রাখবো, আমি নিজেও সেইফ থাকবো! ওরা যদি প্রভাবশালী হয়ে আমার জীবন বিষিয়ে তুলতে আসে, আমার বিষ দাঁত তো মুখের কোণে লুকিয়ে থাকবে না! এক ছুবলেই শেষ করে দিবো!
শান্ত হলো অথৈ। সুক্ষ্ম এক অদ্ভুত হাসি ফুটে উঠলো ঠোঁটের কোণে। আফরা নিজের মতো উদাস মনে খাইয়ে দিয়ে পড়তে বসলো। মাথাটাই আজ কত কি ঘুরছে! ভুলভাল কিসব ভাবছে! এই মস্তিষ্ক টাই না জানি তাকে বিপদে ফেলে!

ঘড়ির কাঁটায় এগারোটা বেজে তেতাল্লিশ মিনিট। ড্রয়িং রুমের সোফায় শুয়ে আছে মনিরা। অপেক্ষা আতিকুরের। এখনো আসছে না! ঘুমে ঢুলে পড়লেও ঘুমানোর সাহস হচ্ছে না। আসা মাত্রই দরজা না খুললে আবার কেমন চোটপাট করে কে জানে? শরীর যে আর চায় না, এত প্রহার সহ্য করতে পারে? তার‌ও তো সহ্য ক্ষমতার শেষ আছে! কলিং বেলের‌ শব্দ, হুড়মুড় করে উঠে বসে মনিরা। পড়নের শাড়ি ঠিক করে দরজার দিকে ছুটে যায়। দরজা খুলেই হা হয়ে যায় সে। দরজায় অপাশে মিষ্টি হেসে দাঁড়িয়ে আছে আতিকুর। হাতের ভাজে শোভা বেলি ফুলের মালা। ইউনিফর্মের পকেটের ভাজে চকলেট! আতিকুর হুট করেই মনিরা কে কোলে তুলে নেয়। সবকিছু যেন স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে মনিরার কাছে। লোকটা এতটা ভালো হলো কেন? এতটা ভালোবাসায় বা দেখাচ্ছে কেন? তাকে কি ভুলাতে চাইছে? কারণ কি?

~ আমার ব‌উ টা এত অবাক হচ্ছে কেন? আমি কি কোলে নিতে পারি না?
আতিকুরের কথায় নিজ ভাবনা থেকে বের‌ হয় মনিরা। হুট করেই তার রাগ হয়। বলতে ইচ্ছে করে অনেক কথা। তবে সাহসে কুলায় না, যদি আবার প্রহার করে? নরম সুরে বললো,
~ নিতে পারো।
আতিকুর হাসে। মেয়েটির চোখে মুখে ভয়, অবাকতা সে টের পাচ্ছে।‌ তবুও যেন মনের মধ্যে শান্তি লাগছে। ঘরে গিয়ে মনিরা কে নামিয়ে দেয়‌। ফ্রেশ হতে চলে যায়, ততক্ষণে মনিরা খাবার নিয়ে আবার ঘরে আসে। আতিকুর আগে খাওয়া শেষ করে। মনিরা কে কাছে টেনে কিছুটা সময় বসে রয়। মনের মধ্যে কথা সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। মনিরা অপেক্ষা করছে স্বামীর মুখ থেকে কিছু শোনার জন্য। অপেক্ষার অবসান করে আতিকুর বললো,

হয়তো নায়ক নয়তো খলনায়ক পর্ব ৪

~ এতদিন খারাপ আচরণের জন্য আমি ক্ষমা চাচ্ছি মনিরা। ক্ষমা করবে না?
মনিরা ছোট ছোট চোখে স্বামীকে দেখে। ভেতরে কি চলছে বুঝতে পারে না। এই মুহূর্তে নানান রকম সুখ যেন তাকে ঘিরে ধরে। আর পাঁচ টা বাঙালি মেয়ের মতোই স্বামী ভক্ত মেয়েটি একটু ভালোবাসায় এতদিনের‌ করা অত্যাচারের কথা ভুলে যায়। ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বামীর বুকে। হাসি ফুটে আতিকুরের মুখে, অদ্ভুত এক রহস্যময় হাসি খেলা করে চোখ মুখে। মনিরা তখন স্বামীর বুকে মাথা রেখে স্বপ্ন বুনতে ব্যস্ত! এদিকে তার স্বামী যে মনের মধ্যে কি পোষণ করে রেখেছে সে কি জানে? হয়তো জানে না! রহস্যময় হাসির কারণ কি?

হয়তো নায়ক নয়তো খলনায়ক পর্ব ৬