হামিংবার্ড পর্ব ৬৬

হামিংবার্ড পর্ব ৬৬
তাসমিয়া তাসনিন প্রিয়া

“এই জামাই তো পুরাই হিরো গো!”
“হিরো না, রাজপুত! চুলের সেটিং দেখছো?”
চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে উঠানের একপাশে বসা ফুফু-কাকিদের মাঝে চলছে কড়া আলোচনা। আরিশ পাত্তা দিচ্ছে না এসবকে, বরং তার চোখ আটকে আছে উঠানে দাঁড়িয়ে থাকা অরার দিকে। হালকা রোদে ঝিকিমিকি করে উঠছে অরার শাড়ির পাড়। আরিশ পাশে দাঁড়িয়ে বলল,

“ জানো হামিংবার্ড, এই গ্রামের বিয়েটা আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে।”
অরা মৃদু হেসে বলে,
“তারমানে গ্রামের সৌন্দর্য দেখে আপনি শহুরে বিয়ে, হাই প্রোফাইল রিসেপশন আর ডিজে নাইট ভুলে গেছেন?”
“ভুলিনি। কিন্তু এই উঠান, চাল ধোয়া মাটির গন্ধ, আর সবার এমন সহজসরল জীবনযাপন – সবকিছুই মন কেড়ে নিয়েছে।”
“ তাহলে এখানেই থেকে যাই? “
আরিশ মুচকি হাসল। আশেপাশের উপস্থিত সবার দৃষ্টি যেন ওদের দিকেই। অরাকে তার বর কতটা ভালোবাসে সবার মুখে মুখে এখন এসব কথাই ছড়াচ্ছে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“ থাকার তো উপায় নেই, ডার্লিং। “
“ হুম বুঝলাম। আপনার খুব অসুবিধা হচ্ছে, তাই না?”
“ তেমন কিছু না। তবে মাঝে মধ্যে একটু গরম লাগছে এই আরকি!”
অরা শব্দ করে হেসে উঠল। শহরের শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘরের আরামে অভ্যস্ত মানুষ হঠাৎ করে গ্রামের কাঁচা উঠোন, খোলা বাতাস আর চড়া রোদের মাঝে পড়লে একটু তো অস্বস্তি হবেই
“ আগামীকাল বিকেলেই তো ফিরবো। ভালোভাবে বিয়েটা মিটুক শুধু। “
আরিশ অরার কানের পাশে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলল,
“ এতো লোকজনের মধ্যে বড্ড অসুবিধা হচ্ছে, পাখি। “
“ ওমা! মাত্র তো বললেন তেমন অসুবিধা হচ্ছে না, তাহলে? “

“ এটা অন্য অসুবিধা। বউয়ের সাথে রোমান্স করতে না পারার অসুবিধা – বুঝলে?”
অরা মুচকি হাসল। কিছু না বলেই অন্য দিকে এগোল। আরিশ বেচারা দাঁড়িয়ে রইলো কেবল।
একটু পরেই উর্মির গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শুরু হবে। মল্লিকবাড়ির উঠানে টুকটাক সাজসজ্জার শেষ ছোঁয়া চলেছে। বাতাসে ভেসে আসছে মেহেদি পাতার গন্ধ, আর বিয়ে বাড়ির লোকজনের হৈহল্লা।
উঠোনের মাঝখানে পাটি বিছিয়ে বসে আছেন আনজুম মল্লিক। বয়সের ভারে ন্যুব্জ হলেও মুখে প্রশান্তির ছাপ। শাড়ির আঁচল কোমরে গুঁজে, দুই হাতে শিলনোড়ায় ঘষে ঘষে হলুদ বাটছেন তিনি।
এই বয়সেও নিজের নাতনীর গায়ে হলুদের হলুদ তিনি নিজ হাতে বাটবেন এ যেন তার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন।
চারপাশে নারীকণ্ঠে টুকটাক গান শুরু হয়েছে,

“আয় গে উর্মি, আয় আয় রে বউ… হলুদের রঙে তুই সোনালী হবি রে…”
এই সময় নয়না এসে দাদির পাশে এসে দাঁড়ালো।
তার চোখেমুখে প্রশান্তির এক পরত, কিন্তু সেই আড়ালের নিচে লুকিয়ে থাকা গভীর বিষণ্নতা চোখে পড়ার মতো।
আনজুম মল্লিক বাটনার হাত থামিয়ে মুচকি হেসে বললেন,
“কী রে নয়না? বোনেদের তো হিল্লে হয়ে গেলো, এরপর কিন্তু তোর পালা…”
“আমি বিয়ে করবোই না,”
শান্ত স্বরে জবাব দিল নয়না।

দাদি চোখ কুঁচকে তাকালেন তার দিকে, বললেন,
“দেখা যাবে… সময় হলে নিজেই বলবি– ‘দাদি, আমারে বিয়ে দিয়ে দাও।’ ”
আনজুম মল্লিকের কথায় নয়না ম্লান হেসে ফেললো। মুহূর্তেই যেন মন ছুটে গেলো কারো দিকে। পলাশ… কেমন আছে এখন সে?
নয়নার কথা কি একেবারে ভুলে গেছে?
“এই নয়না!”
আচমকা নিশানের ডাকে হকচকিয়ে গেল নয়না।
নিশান তার ফুপাতো ভাই, সবে এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করেছে।
“জি ভাইয়া।”
“একটা কাজ করতে হবে তোকে।”
“কী কাজ?”
নিশান হাত তুলে দূরে দাঁড়িয়ে থাকা এক কিশোরীর দিকে ইশারা করে বলল,

“ওই যে, লাল টুকটুকে শাড়ি পরে যে মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে, ওর নাম বেলি। তুই গিয়ে ওকে বলবি– ‘নিশান ভাইয়া আপনাকে কলপাড়ে দেখা করতে ডেকেছেন।’”
নিশানের ঠোঁটের কোণে দুষ্টু হাসি। নয়নাও মুচকি হাসল। হবু ভাবিকে তার বেশ পছন্দ হয়েছে।
“ঠিক আছে, ভাইয়া।”
“লক্ষ্মী বোন আমার! রাতে তোর জন্য বাতাসা আর মুড়ি নিয়ে আসব। এখন যা।”
শব্দ করে হেসে উঠল নয়না।ছোটবেলা থেকে যখনই দাদা বাড়িতে আসে নিশান, ভাইবোনেরা মিলে মুড়ি আর বাতাসা খায়– সে এক চেনা আনন্দ। নয়না ধীরে ধীরে বেলির দিকে এগিয়ে গেল, আর নিশান হাঁটতে শুরু করল কলপাড়ের দিকে।

উর্মির গায়ে হলুদের আনন্দ যেন এখনো মল্লিকবাড়ির উঠানে রয়ে গেছে। সকালের রোদ গড়িয়ে এখন বিকেলের পড়ন্ত আলো। চারদিক গাঢ় কমলা রঙে রাঙা। উঠানে সাজানো চেয়ার টেবিল, মাথার ওপর বেলুন আর রঙিন কাগজের লতাপাতা বাতাসে নড়ছে। বাড়ির ছোট ছেলেমেয়েরা হলুদের থালা হাতে দৌড়াদৌড়ি করে বেড়াচ্ছে, কেউ কেউ হলুদের গন্ধ এখনো গায়ে মেখে বসে আছে এক কোণে।
অন্তঃপুরে তখন ব্যস্ততা চরমে। উর্মিকে স্নান করিয়ে ঘরে আনা হয়েছে। ওর মা আর চাচিরা মিলে বিয়ের পোশাক, গয়না, টুকিটাকি সব সাজিয়ে রাখছে বড়ো ট্রাংকের ওপর।

রান্নাঘরে তখন ধোঁয়া উঠছে একটার পর একটা হাঁড়িতে। গরুর মাংস, পোলাও, রোস্ট, পায়েস, আর বিশেষ করে গ্রামের বিখ্যাত চালতা টক—সবই তৈরি হচ্ছে অতিথিদের জন্য। রান্নার গন্ধ ভেসে এসে বাতাসে মিশে যাচ্ছে, চারপাশে যেন এক অদ্ভুত সুখের অনুভব ছড়িয়ে পড়েছে।
অরার মা রোকসানা বেগম বারান্দায় দাঁড়িয়ে এসব দৃশ্য দেখছেন। তার মুখে একরাশ প্রশান্তির ছাপ। পাশে দাঁড়িয়ে আছে নয়না, অরা। তাদের পেছনে এসে দাঁড়ায় আরিশ। পাঞ্জাবির হাতা গুটিয়ে রাখা, চুল হালকা এলোমেলো। বিয়ে উপলক্ষে পাঞ্জাবি পরেছে সে।
“বিয়ে বাড়িতে এসে আমি যত না খাচ্ছি, তার চেয়ে বেশি রান্নার গন্ধ খেয়ে ফেলেছি, হামিংবার্ড।”
অরা মুচকি হাসল।

“এখন বুঝলেন গ্রামের বিয়ের আয়োজন কী পরিমাণ কষ্টসাধ্য?”
“কষ্ট না, বরং মজা। এই দৌড়াদৌড়ি, হাঁকডাক, কাঁচা উঠানে মুরগি দৌড়ানো – এসব তো আগে কখনো দেখেনি। সেজন্য হয়তো এতটা ভালো লাগছে।”
অরা হেসে মাথা নেড়ে সম্মতি জানাল। নয়না তখন নিচে তাকিয়ে আছে চুপচাপ।
এদিকে উর্মিকে সাজানোর কাজ শুরু হয়েছে। ঘরের ভিতর হাসিঠাট্টায় জমে উঠেছে মেয়েদের আসর। উর্মির ফুপু রিনা, গলায় সোনার হার ঝুলিয়ে দিয়ে বলছেন,

“এই হারটা আমি বিয়েতে পেয়েছিলাম, এবার আমার ভাগ্নিকে দিলাম!”
বোনেরা গায়ে সুগন্ধি ছিটাচ্ছে, কেউ ঠোঁটে লিপস্টিক লাগিয়ে দিচ্ছে, কেউ কপালে টিপ পরিয়ে দিচ্ছে। উর্মি আয়নায় তাকিয়ে নিজেকেই যেন চিনতে পারছে না। লজ্জায় তার মুখ গাঢ় লাল।
বিকেলের আলো তখন একটু একটু করে ম্লান হয়ে যাচ্ছে। বাড়ির সামনে এসে দাঁড়িয়েছে আলোকসজ্জার লোক। গাছের গায়ে গায়ে বাল্ব লাগাচ্ছে তারা। বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠরা বারবার চেক করছে বরপক্ষের লোকজন ঠিক কখন আসবে।

সন্ধ্যার নিভৃতে মল্লিকবাড়ির উঠানে জমে উঠল বিয়ের আসর। চারপাশ আলোয় আলোকিত, ফুলে মোড়া। বরযাত্রীদের আগমনে মুখর হয়ে উঠেছে পরিবেশ। গ্রামের লোকজন আর আত্মীয়স্বজন সবাই মিলে একসঙ্গে আনন্দে মেতেছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই উর্মির বিয়ে সম্পন্ন হয়ে গেলো।
সকাল থেকে শুরু হওয়া আয়োজন আজকে বিকেলের এই মুহূর্তে সফল সমাপ্তি পেয়েছে। বর আর বউয়ের জন্য সাজানো গাড়ি আস্তে আস্তে প্রস্তুত। উর্মির মা আড়ালে বসে কাঁদছেন। একটু আগেই মা-মেয়ের কান্নাকাটি শুনে সবার মন খারাপ হয়েছিল। এখন উর্মিকে নিয়ে অরা, আনজুম বরের গাড়ির দিকে এগোচ্ছে।
অরা উর্মির কাঁধে হালকা হাত দিয়ে বলল,
“সাবধানে যাস, উর্মি। ভালো থাকিস। ”
উর্মি কিছু বলতে পারলোনা। অরাকে জড়িয়ে ধরলো শুধু।

বরপক্ষের লোকজন অপেক্ষায় আছে। উর্মি আর তার বর গাড়িতে উঠে বসলেন, হাতে হাত রেখে একে অপরকে অশ্রুস্নান করছিলেন। উঠানের লোকজন বিদায়ের শেষবারের মতো হাত নাড়ল।
গাড়িটি ধীরে ধীরে বাড়ির গেট থেকে বেরিয়ে আসলো। অরা, নয়না, আরিশ সবাই বিদায় জানালো। গাড়িটি ধীরে ধীরে মাটির পথ ধরে গ্রামের সড়ক পেরিয়ে অন্ধকারে মিলিয়ে গেলো নতুন জীবনের দিকে।
গ্রাম থেকে ফিরে এসেছে অরা আর আরিশ। গ্রাম্য বিয়ের উৎসব, কোলাহল, হাসি–আনন্দ পেছনে ফেলে এখন শহরের চেনা ছন্দে ফিরেছে তারা।
রাত তখন সাড়ে দশটা। লম্বা যাত্রায় ক্লান্ত হলেও অরার চোখে ঘুম নেই। স্যুটকেস থেকে জিনিসপত্র বের করে গুছিয়ে নিচ্ছিল সে। আরিশ শাওয়ার নিয়ে বেরিয়ে এল, চুল ভেজা, শরীরে কেবল তোয়ালে।

“ এখন এসব গোছাতে হবে না। ”
অরা পেছন ফিরে তাকিয়ে মৃদু হেসে বলল, “ সবকিছু কেমন এলোমেলো লাগছে, গুছিয়ে না নিলে শান্তি নেই ।”
আরিশ ধীরে ধীরে তার দিকে এগিয়ে এলো।
“ এলোমেলো শুধু বাসা না, এই দুইদিনে আমার ভিতরটাও এলোমেলো হয়ে গেছে।”
অরা কিছু বলার আগেই আরিশ তার পেছন থেকে এসে কোমর জড়িয়ে ধরল। গরম নিঃশ্বাস পড়লো ঘাড়ে। অরার শিরদাঁড়া বেয়ে শিহরণ বয়ে গেল।
“ আমি জানি, তুমি ক্লান্ত… কিন্তু বিশ্বাস করো, হামিংবার্ডে– তোমায় ছুঁতে না পারার যে আকুলতা নিয়ে ফিরেছি… সেটাই আমাকে আরও পাগল করে দিচ্ছে।”
“ আরিশ…” অরা হালকা কাঁপা গলায় বলল।
“ চুপ। কিছু বলো না। শুধু অনুভব করো।”

তার ঠোঁট ধীরে ধীরে অরার কানের কাছে নেমে এলো, তারপর ঘাড়ে। ঠোঁটে ঠোঁট ছোঁয়াতেই অরা চোখ বন্ধ করে ফেলল। সারা দেহে রক্তের স্রোত যেন উথলে উঠল।
আরিশ তাকে নিজের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে বলল,
“ দুদিনের তৃষ্ণা আজ, এই মুহুর্তে মিটিয়ে দাও।”
অরা আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলো না। সে নিজের সমস্ত অস্তিত্ব মেলে ধরল আরিশের সামনে। দু’জন ধীরে ধীরে বিছানার দিকে এগিয়ে গেল। শহরের নির্জন রাত্রি আর জানালা দিয়ে আসা হালকা বাতাসের ছোঁয়ায়, তারা একে অপরকে ছুঁয়ে দিল সমস্ত হৃদয় দিয়ে।
চাঁদের আলো ঘরের এক কোণে স্থির দাঁড়িয়ে থাকলো, আর তাদের দুটি দেহ ছায়ার মতো একাকার হয়ে মিলিয়ে গেল এক গোপন ভালোবাসার মহাকাব্যে।
চাঁদের আলো ঘরের এক কোণে স্থির দাঁড়িয়ে রইলো। আর তাদের দুটি দেহ ছায়ার মতো একাকার হয়ে মিলিয়ে গেল এক গোপন ভালোবাসার মহাকাব্যে।

রাত গভীর হলো। দু’জনেই নিঃশব্দে পাশে শুয়ে, একে অপরের নিঃশ্বাস শুনছে। অরা চোখ বন্ধ করে রাখলেও ঘুম আসছে না। আরিশের বুকের উপর মাথা রেখে ভাবছে– এই মানুষটার মাঝে হারিয়ে যেতে তার এত ভয় ছিল কেন?
আরিশ এক হাতে অরার চুলে বিলি দিতে দিতে বলল,
“তুমি জানো পাখি, এই মুহূর্তটার জন্য আমি কতোদিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম?”
অরা নিরুত্তর। বুকের ওপর কানপেতে নিঃশব্দে আরও একটু কাছে সরে এলো। লজ্জায় যেন গলার ভেতর কথা আটকে গেছে।

আজ প্রথমবার অরা নিজ থেকেই আরিশকে আলতো করে আলিঙ্গন করেছিল। ঘনিষ্ঠতার মুহূর্তগুলোতে অরার কোমলতা আর আবেগময় প্রতিক্রিয়া আরিশের হৃদয় স্পর্শ করে গেছে অনেক গভীরভাবে। তার নিঃশব্দ কণ্ঠস্বর, শিথিলতা, আর নিজের অনুভূতি প্রকাশের সাহস এসব মিলেমিশে তৈরি করেছিল এক নতুন এক অন্যরকম অনুভূতির পরশ, যা আরিশের মধ্যে এক অসীম আনন্দ ও তৃপ্তির স্রোত বইয়ে দিয়েছিল। সে আজ খুব খুশি, কারণ অরা তার প্রতি যত্ন ও ভালোবাসা প্রকাশের জন্য নিজেকে পুরোপুরি উন্মুক্ত করেছে।

হামিংবার্ড পর্ব ৬৫

“ কী হলো পাখি? লজ্জা পাচ্ছো? নট ব্যাড! বাট এতো লজ্জাবতী পাখিটাও যে এতো….. “
অরা আরিশের ঠোঁটে আঙুল চেপে ধরে কথা থামিয়ে দিয়ে বলে,
“ আপনি আসলেই একটা বজ্জাত লোক। এসব নিয়ে আরকিছু বললে…..”
অরার কণ্ঠ থেমে গেলো। আরিশ তার কোমল ঠোঁটে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলো।
“ কিছু বলছি না আর। ঘুমাও। আগামীকাল অফিসে জরুরি কাজ আছে। সকাল সকাল উঠতে হবে। “
অরা কিছু না বলে আরিশকে আরেকটু গভীরভাবে জড়িয়ে ধরে চোখ বন্ধ করলো।

হামিংবার্ড পর্ব ৬৭