হৃদয় মাঝে হঠাৎ তুমি পর্ব ২৪
সানা শেখ
আলভী মায়ার দিকে তাকিয়ে আছে। মায়া তাঁকিয়ে আছে বাইরের দিকে। ওড়নার আড়ালে ঢাকা পড়েছে মায়ার মুখশ্রী।
আলভী একটু সময় নেয় তারপর বলে,
“ক্ষমা করবে না আমায়? আমি কি ক্ষমার অযোগ্য?”
কথা বলতে পারে না মায়া। কান্নারা গলায় দলা পাকিয়ে গেছে। নিঃশব্দে গড়িয়ে পড়ছে চোখের পানি।
“আমি তোমাকে আর জোর করবো না। তুমি যা বলবে তাই হবে। তুমি যদি চাও আমি তোমার লাইফ থেকে চলে যাই, তাহলে আজকেই চলে যাব সারা জীবনের জন্য। আর যদি চাও থেকে যাই, তাহলে থেকে যাব অনন্ত কালের জন্য। এখন তুমি কি চাও?”
কিছু না বলে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলো মায়া। দেখে মনে হচ্ছে ওর কানে আলভীর কোনো কথা পৌঁছায় নি। কেমন পাথরের মূর্তির মতন দাঁড়িয়ে আছে চুপ চাপ।
“কথা বলছো না কেন? আমার সাথে থাকবে নাকি থাকবে না? হ্যাঁ অথবা না বলো। আমার জন্য তুমি অনেক কষ্ট পেয়েছো, আমি চাই না আমার জন্য তুমি আর কষ্ট পাও। তোমার সিদ্ধান্তই শেষ।”
মায়া তবুও চুপ।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“আমি কি ভেবে নেব তুমি আমার সাথে থাকতে চাইছো না! যদি এটা সত্যি হয় তাহলে নিচে গিয়ে সবাই কে ড্রইং রুমে উপস্থিত হতে বলো। আজকে তোমাকে চিরো দিনের জন্য মুক্তি দিয়ে চলে যাব এই বাড়ি, এই দেশ ছেড়ে। আমার ছায়াও আর কোনো দিন তোমার উপর পড়বে না।”
মায়ার ফোপানোর শব্দ স্পষ্ট শুনতে পায় আলভী।
“যাও নিচে গিয়ে সবাই কে ড্রইং রুমে উপস্থিত হতে বলো, আমি দশ মিনিট পর আসছি। আজকেই আমাদের শেষ দেখা, শেষ কথা। আজকের পর আর কোনো দিন দেখা হবে না আমাদের, কথাও হবে না কোনো দিন। পাখি তোমাকে আমি বন্দী করতে চেয়েছিলাম আমার বুক পিঞ্জিরায়, কিন্তু তুমি তো বোধহয় অন্য খাঁচার পাখি। যাও নিচে যাও রাত বেড়ে যাচ্ছে, সবাই আবার ঘুমিয়ে পড়বে।”
মায়া আলভীর মুখের দিকে না তাকিয়ে ডোরের দিকে এগিয়ে যায়। মায়া কয়েক কদম এগিয়ে যেতেই আলভী গান গাইতে শুরু করে। আলভীর গলার স্বর স্বাভাবিক, তবে শুনে মনে হচ্ছে গভীর বেদনা মিশ্রিত স্বর।
“নিজের মত ভাল থেকো,
ছেড়ে দিলাম পিছুটান।
বাচঁবো না হয় সারা জীবন,
নিয়ে প্রিয় অভিমান।
মন তবু যে তোমাতে হারাবে,
তাকে বেধে রাখা কি আর যাবে?
শুধু যাবনা তোমার কাছে,
এই আমি।”
একটু থেমে দম নিয়ে বলে,
“মৃত্যুর আগে এই পিছুটান ছাড়তে পারবো না আমি। তবে ফিরবো না আর তোমার কাছে কোনো ভাবেই। তোমার সুখে আর বাধা হয়ে আসবো না। তোমাকে দুঃখ কষ্ট দেওয়ার জন্য আর ফিরবো না। চলে যাব অনেক দূরে চিরো দিনের জন্য।”
আবার একটু দম নেয় আলভী। তারপর আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে,
“হে আল্লাহ, দূরেই যদি সরিয়ে নেবে তাহলে তার মায়ায় কেনো ফেললে? এই মায়া যে বড় ভয়ংকর। তেরো বছরে যেই কষ্ট অনুভব করেছি তার চেয়ে অনেক বেশি কষ্ট এখন কেনো হচ্ছে? কেনো মনে হচ্ছে আমার জান টা টেনে বের করে নিচ্ছো? এত কেনো কষ্ট হচ্ছে আল্লাহ? যাকে তেরো বছর দেখিনি, যার কথা মনে দিয়ে ভাবিনি, যাকে বউ বলে মানিনি তার মায়ায় কেনো এভাবে ফেললে? এই মায়ায় না ফেললেও তো পারতে।বউ বলেই কি প্রথম দেখায় তার মায়ায় এভাবে ফেলেছিলে? এটাই কি হালাল সম্পর্কের টান? ও আমার জন্য হালাল বলেই কি এত গুলো বছর পর প্রথম দেখায় ওর প্রেমে, মায়ায় পড়েছি? মায়া কেনো এতো অদ্ভুত? এই মায়া কিভাবে কা টা বো আমি? আমাকে তিলে তিলে শেষ করার জন্যই কি এই ভয়ংকর মায়ায় ফেলেছো? এত বড় শাস্তি না দিলেও পারতে।”
একটু থেমে আবার বলে,
“যেই ভুল আর অন্যায় করেছি তাতে এই শাস্তিই আমার প্রাপ্য।”
রুমে দাঁড়িয়ে আলভীর গান আর কথা গুলো শোনে মায়া। আলভী চুপ হয়ে যেতেই ডোর খুলে রুম থেকে বেরিয়ে যায়।
আলভী আকাশের দিকে তাকিয়ে থেকেই মুচকি হাসে।
বুকের উপর ডান হাত টা চেপে ধরে বলে,
“শান্ত হ, সব ঠিক হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ।”
রুমে ফিরে আসে। নিজের প্রয়োজনীয় সব কিছু সুটকেসে গুছিয়ে নেয়। হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে এসে নিজেও তৈরি হয় অল্প সময়ের মধ্যে। ফরমাল ব্ল্যাক প্যান্ট, হোয়াইট শার্ট ইন করে পড়েছে। চুল গুলো হেয়ার জেল দিয়ে সেট করে নিয়েছে। যেভাবে তৈরি হয়ে বাড়িতে এসেছিল সেম সেভাবেই তৈরি হয়েছে চলে যাওয়ার জন্য। সুটকেস টা হাতে নিয়ে পুরো রুমে নজর বুলায় একবার।
রুম থেকে বেরিয়ে নিচে নেমে আসে। ইতি মধ্যে বাড়ির সবাই উপস্থিত হয়ে গেছে ড্রইং রুমে। শুধু মায়া আর মানতাসা নেই। মানতাসা হয়তো ঘুমিয়ে গেছে কিন্তু মায়া কোথায় গেল?
এত রাতে আলভী কে তৈরি হয়ে সুটকেস হাতে নিচে আসতে দেখে সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে শুধু আলতাফ মাহমুদ বাদে।
ঐশী রহমান দ্রুত ছেলের কাছে এগিয়ে এসে বলেন,
“এত রাতে এভাবে কোথায় যাচ্ছো তুমি?”
“চলে যাচ্ছি।”
আলভীর স্বাভাবিক গলার স্বর।
ঐশী রহমান চমকে ওঠেন, সাথে বাড়ির সবাই। ঐশী রহমান উতলা হয়ে বলেন,
“চলে যাচ্ছো মানে কি? কোথায় যাবে?”
“জার্মানি ফিরে যাচ্ছি।”
“তুমি না বললে এক মাসের জন্য এসেছো, তাহলে আজকেই কেনো চলে যাবে?”
“এখানে ভালো লাগছে না আমার। মায়া কে ডাকো, ওকে মুক্ত করে দিয়ে যাই।”
বাড়ির সবাই ঘিরে ধরে আলভী কে।
কেউ কিছু বলার আগেই নাহার বেগম বলেন,
“এসব কি বলছো দাদু ভাই? মায়া কে কেনো মুক্ত করে দিয়ে যাবে? তুমি না ওর সাথে সংসার করতে চাইলে!”
“আমি একা চাইলেই তো হবে না, মায়া কেও চাইতে হবে। আমার জন্য মায়া কে যা যা ভোগ করতে হয়েছে তারপর মায়ার না চাওয়া টাই স্বাভাবিক। ওকে জোর করার কোনো অধিকার আমার নেই। মাহিদ মায়া কে ডেকে নিয়ে আয়।”
মাহিদ দাঁড়িয়ে থাকে আগের মতোই।
“কি বলছি তোকে শুনতে পাচ্ছিস না? মায়া কে ডেকে নিয়ে আয়।”
মাহিদ সিঁড়ির দিকে পা বাড়ায়। আলতাফ মাহমুদ বলেন,
“মাহিদ দাড়া।”
দাঁড়িয়ে যায় মাহিদ। সবাই আলতাফ মাহমুদ এর দিকে তাকায়। আলতাফ মাহমুদ ছেলের কাছে এগিয়ে এসে দাঁড়ান।
“হুট করে আবার এই সিদ্ধান্ত কেনো নিয়েছো?”
“মায়া চাইছে তাই।”
“মায়া বলেছে তোমাকে?”
“অনেক বার।”
“আজকে রাতে বলেছে?”
“না, কিছু বলেনি।
“তুমি নিজে থেকে ওকে ছাড়তে চাইছো তাহলে।”
“এরকম কেনো মনে হচ্ছে তোমার?”
“মায়া তো নিজের মুখে এখন বলেনি তোমাকে মুক্তি দিতে।”
“আমার সাথে থাকতেও তো চায়নি। আমার শত কথার একটা উত্তর পর্যন্ত দেয়নি। হ্যাঁ অথবা না কিছুই বলেনি। যেহেতু মায়া আগে মুক্তি চেয়েছে তাই মুক্তি দিয়ে দেব।”
“পা গ লা মি বন্ধ করো। বার বার ভুল করবে না।”
মেহবুবা মেহের বলেন,
“আমি মায়ার সাথে কথা বলছি। ওর জেদ আজকে বের করে ছাড়বো। এত কিসের জেদ! এত গুলো মানুষের কথার কোনো দাম নেই ওর কাছে! ”
“ভাবী আপনি কিছু বলবেন না মায়া কে। আলভী ওর কাছে গেলেই হবে।”
আলভীর কপাল ভ্রু কুঁচকে যায়।
“আমি গেলে হবে মানে কি? তা লাক দিলে তো সকলের সামনেই দিতে হবে তাইনা?”
“তা লাক কেনো দেবে?”
“তাহলে?”
“করিডোরে দাঁড়িয়ে তখন তুমি আমাকে যা যা বললে সেসবই সত্যি। এখানে মায়ার কোনো দোষ নেই। আমি যা বলেছি ও তাই করেছে। ওকে প্রমিজ করিয়েছিলাম তাই আমার সব কথা শুনেছে। তুমি এখন মায়ার রুমে যাও, তোমার চলে যাওয়ার কথা শুনে তখন থেকে কাদঁছে একা একা বসে।”
আলভী অবাক হয়ে বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। ওর সন্দেহই ঠিক ছিল তাহলে। মায়ার এমন আচরণের পেছনে ওর বাবার অবদান আছে। সেজন্যই মায়ার সাথে কথা বলার সময় আলভীর বার বার মনে হতো মায়ার চোখ বলছে এক কথা আর মুখ বলছে আরেক কথা। আলতাফ মাহমুদ কেনো বার বার মায়ার সাথে কথা বলতেন সেটাও বুঝতে পারছে। যখন দেখেছে ও মায়ার সাথে সংসার করতে চাইছে, ভালোবেসে ফেলেছে তখন ওর বউ কে গুটি বানিয়ে ওকেই শায়েস্তা করতে চেয়েছে। এমন বাপ হলে আর আলাদা করে শত্রুর কি প্রয়োজন?
“কি হলো? যাও মায়ার কাছে।”
“তার মানে আমার সন্দেহই ঠিক।”
“একদম।”
বাপ ছেলের কথা শুনে সবাই একটু একটু বুঝতে পারছে মায়া কেনো সকলের এত বোঝানোর পরেও জেদ ধরে ছিল। বাপ হয়ে ভালোই ছেলের পেছনে পড়েছিল।
নাহার বেগম বলেন,
“কি হলো দাদু ভাই, যাও মায়ার কাছে।”
আলভী বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে দাঁত কটমট করে। আলতাফ মাহমুদ ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে নিজের রুমের দিকে পা বাড়িয়ে বলেন,
“যে যার রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো। মাহিদ আলভীর সুটকেস টা ওর রুমে রেখে তুইও গিয়ে ঘুমিয়ে পড়।”
কথা বলতে বলতে চলে জান আলতাফ মাহমুদ। আলভী সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে উঠতে মুচকি হেসে মনে মনে বলে,
“আলতাফ মাহমুদ তুমি যদি চলো ডালে ডালে তাহলে আমি চলি পাতায় পাতায়। আমি তোমারই ছেলে, তুমি কিভাবে ভাবলে আমি কিছুই বুঝতে পারবো না? তোমার চোখে চোখে কথা বলা দেখেই বুঝতে পেরেছিলাম সব। তোমার চেয়ে আমার মাথায় বুদ্ধি কম নাকি?”
মায়ার রুমের সামনে এসে দাঁড়ায় আলভী। রুমের ভেতর ঘুটঘুটে অন্ধকার। ফ্যানের শো শো শব্দ সাথে মায়ার ফুঁপিয়ে কান্নার আওয়াজ।
ধীর পায়ে ভেতরে প্রবেশ করে। ডোর ভেতর থেকে লক করে অন্ধকারে হাতড়ে হাতড়ে লাইট অন করে।
রুমে নজর বুলিয়ে মায়া কে খোঁজে। ফ্লোরে বেডের সাথে ঘেঁষে বসে হাঁটুতে মুখ গুঁজে কাদঁছে।
লাইট অন হওয়ায় মাথা তুলে তাকায় মায়া। সামনে দাঁড়িয়ে আছে আলভী। আলভী কে দেখেই মাথা নামিয়ে নেয়। আলভী মায়ার সামনে হাটু গেড়ে বসে।
ফ্যানের বাতাসে উড়তে থাকা চুল গুলো ঠিক করে দিতে দিতে ডাকে,
“মায়া পরী।”
মায়া মুখ তুলে তাকায়।
“ভালোবাসি মায়া পরী।”
মায়া সময় নেয় না। হুড়মুড়িয়ে হাঁটুতে ভর করে আলভীর গলা জড়িয়ে ধরে শক্ত করে। এতক্ষণ ফুঁপিয়ে কাদলেও এবারে শব্দ করে কেঁদে ওঠে। ঝোঁক সামলাতে না পেরে পেছনে হেলে মায়া কে নিয়েই ফ্লোরে পড়ে যায় আলভী। ফ্লোরে শুয়ে নিজেও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে মায়া কে।
মায়ার কান্না আরো বেড়ে যায়। আলভী কিছু না বলে চুপ হয়ে থাকে। চার হাত পা দিয়ে পেঁচিয়ে ধরে ভালো ভাবে।
অনেক টা সময় ধরে কাদে মায়া। কান্না কমে আসলে আলভীর গলা ছেড়ে বুকে মুখ গুঁজে মিশিয়ে নেয় নিজেকে।
আলভী মায়ার এলোমেলো চুলে হাত বুলিয়ে বলে,
“এতই যখন ভালোবাসো তাহলে শশুরের কথা কেনো শুনেছো?”
মায়া হেঁচকি তুলতে তুলতে বলে,
“তখন রাগের মাথায় আব্বু যা যা বলেছে সব শুনে ওয়াদা করে ফেলেছিলাম।”
“শ্বশুরের সাথে মিলে ভালোই জব্দ করেছো।”
“তুমিও আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছো।”
“সেসবের শোধ সুদে আসলে উশুল করলে তাহলে।”
মায়া বলে না কিছু।
নিজের বুক থেকে মায়ার মুখ তুলে মুখের দিকে তাকায় আলভী। এই টুকু সময়ের মধ্যেই চোখ দুটো লাল হয়ে গেছে। নাক লাল হয়ে গেছে। কপালের উপর ছড়িয়ে থাকা এলোমেলো চুল গুলো সরিয়ে দেয় সযত্নে। চোখের পানি মুছিয়ে দিয়ে বলে,
“কেঁদে কেঁদে চোখ মুখের কি অবস্থা করেছো!”
মায়া আলভীর চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে।
“আবার চুপ হয়ে গেলে কেন?”
“ছেড়ে যেতে চাইলে কেন?”
“না যেতে চাইলে তো কাছে আসতে না। ছেড়ে যেতে চেয়েছি বলেই তো কাছে পেলাম।”
আলভী কে আবার জড়িয়ে ধরে কেঁদে ওঠে মায়া। এতক্ষণ হারিয়ে ফেলার ভয় কাদছিল আর এখন কাছে পাওয়ার আনন্দে কাদঁছে।
যাকে ভালোবেসে এসেছে ছোট বেলা থেকেই তার উপর কিভাবে বেশি দিন রেগে থাকবে? প্রথম কয়েক দিন রেগে থাকলেও কয়েক দিন পরেই রাগ ক্ষোভ গোলে পানি হয়ে গেছে। শ্বশুর কে ওয়াদার কারণে এই কয়েক দিন রাগের অভিনয় করেছে। আলভীর সামনে বেশিক্ষণ থাকলে ওর কথা শুনলে মায়া নিজেকে সামলাতে পারতো না, ইচ্ছে করতো ভালোবাসার মানুষটির বুকে ঝাঁপিয়ে পড়তে।
হৃদয় মাঝে হঠাৎ তুমি পর্ব ২৩
আলভীর ইমোশনাল কথা শুনলে ওর কান্না পায় ভীষণ। অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে নিত তখন। এই কারণেই আলভীর কাছ থেকে দূরে দূরে থাকতো। ওকে তেরো বছর কষ্ট দেওয়ার পরিবর্তে তেরো দিন কষ্ট পাওয়া উচিত আলভীর। না হলে ভালোবাসার কদর বুঝবে না।
তবে তেরো দিন পূরণ হওয়ার আগেই হেরে গেছে মায়া। পুনরায় আর হারাতে চায় না আলভী কে।