হৃদয় মাঝে হঠাৎ তুমি পর্ব ২৮
সানা শেখ
আলতাফ মাহমুদ আজ সোফায় বসে আছেন রুমে না গিয়ে। আলভীও সোফায় বসে আছে। ঐশী রহমান ডাইনিং রুমে বসে আছেন। মেহবুবা মেহের ঐশী রহমান এর দিকে তাকিয়ে বলেন,
“এখানে বসে আছো কেন, ঘুমাবে না?”
“হ্যাঁ, আপনি যান আমি একটু পর যাচ্ছি।”
মেহবুবা মেহের ডাইনিং রুম থেকে বেরিয়ে নিজেদের রুমের দিকে এগিয়ে যান। যাওয়ার সময় সোফায় বসে থাকা দুই বাপ ছেলের দিকে তাকান।
দুজন এভাবে বসে আছে কেন? কেউ কারো সাথে তো কথাও বলছে না।
প্রায় দশ মিনিট পর ডাইনিং রুম থেকে বেরিয়ে আসেন ঐশী রহমান। হাসবেন্ড আর ছেলে এখনো সোফায় বসে আছে।
মা কে দেখেই সোফা ছেড়ে উঠে দ্রুত গতিতে এগিয়ে গিয়ে মায়ের হাত চেপে ধরে আলভী। তারপর টেনে নিয়ে যেতে শুরু করে নিজের রুমের দিকে।
আলতাফ মাহমুদ সোফা ছেড়ে উঠে গিয়ে ঐশী রহমান এর হাত টেনে ধরে থামিয়ে দেন।
“তোমার মায়ের হাত ছাড়ো আলভী।”
আলভী বাবার হাত থেকে মায়ের হাত ছাড়িয়ে নেয়।
“এই কে আপনি? এই বাড়িতে কিভাবে প্রবেশ করলেন?
আবার অভদ্রের মতন আমার মায়ের হাত টেনে ধরছেন। যান নিজের কাজে।”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
হতভম্ভ আলতাফ মাহমুদ। ঐশী রহমান মুচকি মুচকি হাসছেন হাসবেন্ডের মুখ দেখে। আচ্ছা জব্দ হচ্ছে লোক টা। দেশে আসার পর থেকে ছেলে টা কে অনেক কথা শুনিয়েছে। দেখ এখন কেমন লাগে।
আলভী পুনরায় ঐশী রহমান কে টেনে নিয়ে সিঁড়ির দিকে এগিয়ে যেতে যেতে বলে,
“আম্মু কোথা থেকে কে এসে তোমার হাত টেনে ধরছে, তুমি কিছু বললে না কেন?”
“তোমার আব্বুর মুখ টা দেখো একবার, কিভাবে তাঁকিয়ে আছে।”
আলভী ঘাড় ঘুরিয়ে তাকায়। তারপর দ্রুত মাকে নিয়ে নিজের রুমে চলে আসে।
ডোর লক করতে করতে বলে,
“ওই রুমে তুমি যাবেই না আর।”
ঐশী রহমান হাসতে হাসতে বেডের উপর বসে পড়েন। আলভী নিজেও হাসতে হাসতে মায়ের পাশে এসে বসে।
আলভী হাসতে হাসতে বলে,
“আমাকে চ্যালেঞ্জ করে, আমি যে তারই ছেলে সেটা হয়তো ভুলে গিয়েছিল।”
“তুমি বললে না “এই কে আপনি” তখন তোমার আব্বুর মুখ টা দেখার মতন হয়েছিল।”
“আমার কাজ ছিল আব্বু কে হতভম্ভ করা আর সেটাই হয়েছে। কি রিয়াকশন দেবে সেটাই বুঝতে পারেনি, নড়া চড়া করতেও ভুলে গেছে বোধহয়।”
“ছেলে হয়ে বাপ কেই চিনতে পারোনি, আবার অভদ্র বলেছো বেচারা আর কি রিয়াকশন দেখাবে!”
আলতাফ মাহমুদ এখনো আগের মতোই দাঁড়িয়ে আছেন। বউয়ের হাত ধরেছে বলে শেষ পর্যন্ত অভদ্র হয়ে গেলেন? বউয়ের হাত ধরলে যদি অভদ্র হয়, তাহলে অন্যের হাত ধরলে কি হবে?
ঘুরে দাঁড়িয়ে সোফায় এসে বসেন আবার।
এখনো ছেলের বলা কথা গুলো কানে বাজছে। ছেলে হয়ে বাপ কে বললো “এই কে আপনি?”
এত এত টাকা পয়সা খরচ করে এ কেমন ছেলে কে বড় করলেন তিনি। বাপের কাছ থেকে মা কে কেড়ে নেয়। বাপ কে বলে “এই কে আপনি”, আবার বলে কিনা অভদ্র। তিনি অভদ্র? বজ্জাত ছেলে।
সেন্টার টেবিলের উপর রাখা পানির গ্লাস হাতে নিয়ে ঢক ঢক করে পানি খেয়ে নিজের রুমের দিকে এগিয়ে আসেন। আজকে রাতেও ঘুম হবে না। এর প্রতি শোধ তো তিনি নেবেনোই। ছাড়বেন না এই বদ ছেলে কে। পাই টু পাই হিসেব করে প্রতি শোধ নেবেন।
সকালের নাস্তা সেরে বাড়ির বড়রা বাদে বাকি পাঁচ জন তৈরি হচ্ছে শপিং মলে যাওয়ার জন্য। যত টা সম্ভব আজকেই শপিং করে নিয়ে আসবে।
আলভী তৈরি হয়ে মায়ার রুমে আসে। মায়া ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে হিজাব বাঁধছে।
“হয়েছে তোমার?”
মায়া ঘাড় ঘুরিয়ে আলভীর দিকে তাকায়।
“আর একটু।”
“মুখ ঢেকে যাবে কিন্তু।”
“হ্যাঁ, ঢেকেই যাব।”
হিজাব বাঁধা শেষ হতেই আলভী মায়ার পেছনে এসে দাঁড়ায়। মায়া কে নিজের বুকের সাথে ঠেকিয়ে ফোন আনলক করে।
“হাসি দিয়ে ফোনের স্ক্রিনে তাকাও।”
মায়া ঘাড় ঘুরিয়ে মুখ তুলে আলভীর মুখের দিকে তাকায়। আলভী নিজেও মায়ার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। এই মুহূর্ত টা ক্যামেরা বন্দী করে আলভী। তারপর ফোনের স্ক্রিনে তাকায়। চোখ দুটো বড় বড় করে বলে,
“ওয়াও, দেখো কত সুন্দর হয়েছে পিক টা।”
মায়া ফোনের স্ক্রিনে তাকায়। আসলেই অনেক সুন্দর হয়েছে পিক টা। একে অপরের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। দুজনের ঠোঁটেই হাসি আছে।
“এবার ফোনের দিকে তাকাও।”
“এত পিক তুলতে হবে কেন?”
“আমাদের দুজনের একসাথে কোনো পিক আছে? বেশি কথা না বলে আমি যা বলছি তা করো।”
“আছে তো।”
“কোথায়?”
“ফটো এলবামে।”
“ওই ন্যাং টা কালের পিক?”
ফিক করে হেসে ওঠে মায়া। কোনো রকমে হাসি চেপে বলে,
“ওগুলো ন্যাং টা কালের পিক?”
“তো?”
“এলবামে তো কারো ড্রেস ছাড়া পিক দেখলাম আজ অব্দি।”
“তোমার মাইন্ড এত খারাপ কেন? ন্যাং টা কালের পিক বলেই কি ন্যাং টা থাকতে হবে?”
“থাকতে হবে না?”
আলভী বাম হাতে মায়ার মাথা ধরে দ্রুত গতিতে মায়ার ওষ্ঠ জোড়ায় আলতো চুমু খায়।
“বেশি কথা না বলে সামনের দিকে তাকাও।”
“তুমি কিন্তু নিজের কথা রাখছো না।”
“আমি নিজের মুখ দিয়ে একবারও বলিনি আমি আমার বউয়ের কাছ থেকে দূরে থাকবো বা আদর সোহাগ করবো না। যারা এমন কথা বলেছে এটা তাদের ব্যাপার আমার না।”
“পল্টি বাজ লোক একটা।”
“সে তুমি যাই বলো।”
মায়া কথা না বলে আলভীর কথা মতো সামনের দিকে তাকায় হাসি মুখে। পিক তোলা শেষ হতেই কটমট করে তাকিয়ে বলে,
“সরো আমার পেছন থেকে।”
পেছন থেকে সরে পাশে এসে দাঁড়ায় আলভী। মায়া একবার তাকিয়ে নিকাব বাঁধতে শুরু করে।
আলভী পিক গুলো দেখতে শুরু করে। একে অপরের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকা পিক টা ওয়ালপেপারে সেভ করে। এই পিক টা একটু বেশিই সুন্দর হয়েছে।
ফোন পকেটে ভরে নিজেকে একবার আয়নায় দেখে নেয়। মায়ার নিকাব বাঁধা শেষ হতেই ওকে নিয়ে নিচে নেমে আসে। মাহির, মাহিদ আর সানজিদা তৈরি হয়ে সোফায় বসে আছে ওদের দুজনের জন্য।
“ভাইয়ারা এসে গেছে চলো এখন।”
মাহিদ এর কথা শুনে সোফায় বসে থাকা সকলে ওদের দুজনের দিকে তাকায়।
মায়া ব্ল্যাক বোরকা হিজাব পড়েছে আলভীর কিনে দেওয়া গুলো থেকেই। আলভীও ব্ল্যাক প্যান্ট আর অফ হোয়াইট শার্ট পড়েছে। সানগ্লাস টা শার্টের সামনে ঝুলিয়ে রাখা। দুই হাত প্যান্টের পকেটে গুঁজে রেখেছে। চুল গুলো স্পাইক করার কারণে কপালের ক্ষত টুকু দেখা যাচ্ছে এখন। বিয়ের আগে এই দাগ মিশলেই হয়। না মিশলে বউয়ের দেওয়া আঘাত নিয়েই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হবে।
মানতাসা কে কোলে তুলে নেয় আলভী। তারপর পাঁচ জন বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে।
শপিং মলে এসে সানজিদা, মাহির আর মাহিদ
মায়া আর আলভী কে একা ছেড়ে অন্য পাশে যায় নিজেদের ড্রেস দেখার।
আলভী মায়া কে সাথে নিয়ে এসে দাঁড়ায় লেহেঙ্গার শপে।
“দেখো কোনটা ভালো লাগে।”
মায়া লেহেঙ্গা গুলোর দিকে তাকিয়ে আবার আলভীর মুখের দিকে তাকায়। আস্তে আস্তে বলে,
“তুমি দেখো।”
“তুমি পড়বে তুমি চুজ করো।”
“তুমি দেখবে তুমি চুজ করো।”
মায়ার কথা শুনে আলভীর মুখে হাসি ফুটে ওঠে। একটু ঝুঁকে মুখ টা মায়ার কানের কাছে এনে বলে,
“আমি শুধু দেখবো না তো।”
মায়া কপাল ভ্রু কুঁচকে বলে,
“আর কি করবে?”
“সেটা পরে বলবো।”
“এখন বললে কি সমস্যা?”
“সমস্যা নেই কিন্তু আমি পরেই বলবো।”
মায়া আর কিছু না বলে লেহেঙ্গা গুলোর দিকে তাকায়। আলভী নিজেও তাকায় লেহেঙ্গা গুলোর দিকে।
মায়ার চোখ অনুসরণ করে আলভীর নজর আটকায় একটা মেরুন কালার লেহেঙ্গার দিকে। এগিয়ে এসে দাঁড়ায় লেহেঙ্গা টার সামনে।
সেল্স বয় কে ডেকে লেহেঙ্গা টা নামাতে বলে।
ছেলেটা লেহেঙ্গা নামিয়ে দেয়, তারপর হাসি মুখে বলে,
” বছর আমাদের শপের সব চেয়ে বেশি সেল হওয়া লেহেঙ্গা এটাই। আর সব চেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে এটাই লাস্ট পিস।”
আলভী লেহেঙ্গা টা দেখতে দেখতে বলে,
“সব শপের মানুষরা এই একই কথা বলে।”
ছেলে টা হেসে বলে,
“না স্যার আমি সত্যি বলছি। গত কালকেও এই সেম লেহেঙ্গা তিন টা বিক্রি হয়েছে।”
“আমি বিয়ে করবো বলে কি এখন সবাই বিয়ে করছে নাকি?”
লজ্জা পেয়ে অন্য দিকে ঘুরে দাঁড়ায় মায়া। ছেলেটা আবারো হেসে বলে,
“হবে হয়তো স্যার।”
আলভী মায়ার দিকে তাকিয়ে বলে,
“লেহেঙ্গা ট্রায়াল দিয়ে আসো।”
মায়া আলভীর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। এখন এই বোরকার উপর দিয়ে লেহেঙ্গা ট্রায়াল দেবে?
আলভী লেহেঙ্গা এক হাতে জড়িয়ে ধরে অন্য হাত দিয়ে মায়া কে টেনে নিয়ে ট্রায়াল রুমে ঢুকে যায়।
সেল্স বয় টা হা করে তাকিয়ে থাকে বন্ধ হয়ে যাওয়া ডোরের দিকে।
অল্প সময়ের মধ্যেই ট্রায়াল দেওয়া হয়ে যায়। ঠিক মতোই হয়েছে।
লেহেঙ্গা সেল্স বয়ের হাতে দিয়ে এটাই প্যাকেট করে দিতে বলে আলভী।
সেল্স বয় কে নিজের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে বলে,
“এমন অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে থাকার কিছু নেই, এটা আমার বউ।”
ছেলে টা হেসে বলে,
“এরকম কিছু না স্যার, অন্যরা তো গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড ঢুকে যায় ভেতরে। তারপর ঘণ্টা খানিক পর ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে। আমি তো অবাক হচ্ছি এটা ভেবে যে এত দ্রুত ট্রায়াল দেওয়া হয়ে গেছে দেখে।”
“সারা দিন যদি ট্রায়াল রুমেই বসে থাকি তাহলে বাকি সব দেখবো কখন?”
“আর কিছু লাগবে না স্যার?”
“শাড়ি লাগবে?”
আলভী নিজের পছন্দের একটা অফ হোয়াইট গর্জিয়াস শাড়ি চুজ করে। মায়া কে দেখালে মায়ারও পছন্দ হয় শাড়ি টা।
শাড়ির সাথে ম্যাচিং করে দোপাট্টা নেয়।
শপের ছেলেটা আলভীর দিকে তাকিয়ে বলে,
“স্যার আপনারা চাইলে দোপাট্টায় নাম লিখিয়েও নিতে পারেন।”
“এটাতে নাম লেখানো যায়?”
“আপনারা যেমন চাইবেন আমরা সেরকম ভাবেই তৈরি করে নাম লিখে দিতে পারবো। তবে একটু সময় লাগবে।”
“আচ্ছা তাহলে এটার মতোই সেম ডিজাইন থাকবে শুধু নাম টা লিখে দিলেই হবে।”
“ওকে স্যার, নাম?”
“আমার নাম আলভী ওর নাম মায়া।”
“আলভীর বউ লিখবো স্যার?”
“না, আলভীর মায়া পরী।”
ছেলেটা আবারো আলভীর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। এই যাবত যত গুলো দোপট্টায় নাম লিখিয়েছে সব গুলোতেই অমুকের বউ তমুকের বউ লিখেছে। এই প্রথম কেউ বউ বাদ দিয়ে অন্য কিছু লিখতে বললো।
কেনা কা’টা শেষ করতে করতে দুপুর হয়ে যায়।
সবে মাত্র সকলের ড্রেস, আর জুতা কেনা শেষ হয়েছে, কসমেটিকস্ কেনা এখনো বাকি রয়েছে।
মানতাসা বাড়িতে যাওয়ার জন্য কান্না কা’টি শুরু করে দিয়েছে। বেচারীর ঘুম পেয়েছে এখন। মাহির আর আলভী কাঁধের উপর ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করছে কিন্তু মানতাসা এভাবে ঘুমোবে না। ও বাড়িতে গিয়ে বেডে শুয়ে আরাম করে ঘুমাবে।
বার বার বাইশ বাইশ বলছে। বালিশে শুয়ে ঘুমাবে।
মাহির আলভীর দিকে তাকিয়ে বলে,
“আমি আর সানজিদা বাড়িতে ফিরে যাই, তোরা বাকি কেনাকা’টা শেষ করে আয়।”
“আমরাও ফিরে যাই এখন, আগামী কাল নাহয় মায়া কে নিয়ে আবার আসবো।”
“যাবি আবার আসবি, তোরা আয় আমরা যাচ্ছি। প্যাকেট গুলো তুই আর মাহিদ কারে তুলে দে আমি ড্রাইভার কে পাঠিয়ে দেব।”
বড় ভাইয়ের কথা অনুযায়ী তাই করে আলভী।
মায়া আলভীর দিকে তাকিয়ে বলে,
“আমার খিদে পেয়েছে আমি বাড়িতে যাব।”
আলভী অনুভব করে ওর নিজেরও খিদে পেয়েছে। সেই সকালে খেয়ে এসেছিল দুটো ব্রেড আর ডিম, এখন দুপুর হয়ে গেছে।
মাহিদ গিয়ে বসে ড্রাইভিং সিটে।
মাহির বলে,
“তুই ওখানে বসলি কেন? তুই ওদের দুজনের সাথে থাক।”
“তুমি ভাবীর সাথে পেছনে বসো আমি ড্রাইভ করছি। ভাইয়া আর মায়া এখন লাঞ্চ করবে আমি ওদের দুজনের মধ্যে থেকে কি করবো?”
সানজিদা বলে,
“দেখেছো তোমার চেয়ে তোমার ছোট ভাইয়ের মাথায় বেশি বুদ্ধি।”
মাহির পেছনে বসতে বসতে বলে,
“ওর মতন অকাজ গুলো তো আমি করিনি তাই এরকম বুদ্ধি আমার মাথায় নেই।”
ঘাড় ঘুরিয়ে পেছনের দিকে তাকায় মাহিদ। কপাল ভ্রু কুঁচকে বলে,
“কি অকাজ করেছি আমি?”
“কি ভেবেছিস আমি কিছু জানি না?”
“কি জানো?”
মাহির গম্ভীর স্বরে বলে,
“তুই কখন কবে কাকে নিয়ে কোথায় যাস সবই জানা আছে আমার। উদ্যম ক্যালানি খাওয়ার আগে ভালো হয়ে যা নয়তো তোর কপালে শনি আছে বলে রাখলাম।”
মাহিদ দ্রুত সামনে ঘুরে বসে। হার্ট বিট বেড়ে গেছে। হাত পা মৃদু কাপতে শুরু করেছে। সানজিদা মাহিরের দিকে তাকিয়ে বলে,
“কি বলছো ক্লিয়ার করে বলো তো।”
“বাড়ি ফিরে বলবো। ওই শ য় তা ন কার স্টার্ট দে।”
“তুমি চালাও আমার হাত পা কাপছে।”
“এখনই? আব্বু কে তো এখনো কিছু বলিইনি।”
কার স্টার্ট দিয়ে বলে,
“প্লিজ ভাইয়া আব্বু কে কিছু বলবে না।”
“আমার কথা শুনবি তাহলে কিছু বলবো না।”
মাহিদ মনে মনে বলে,
হৃদয় মাঝে হঠাৎ তুমি পর্ব ২৭
“দুই ভাই মিলে পেয়েছে টা কি? সমান তালে ব্ল্যাকমেইল করেই যায় একজনের পর একজন। আমি মানুষ একটা, দুজনের কথা কিভাবে শুনবো?”
মাহিদ এর ফোনে রিং বেজে ওঠে। ফোনের স্ক্রিনে তাঁকিয়ে দেখে আলভীর নাম জ্বলজ্বল করছে। বির বির করে বলে,
“শ য় তানের নাম নিতে নিতে শ য় তান হাজির। সরি
শ য় তানের কল এসে হাজির।”