হ্যালো 2441139 শেষ পর্ব 

হ্যালো 2441139 শেষ পর্ব 
রাজিয়া রহমান

বৈশাখী এসে দাঁড়িয়ে আছে আষাঢ়ের সামনে। দুই চোখ দিয়ে অঝোরে অশ্রু ঝরছে বৈশাখীর।আষাঢ়ের দুই চোখে বিস্ময়!
তার আপা!
এরচেয়ে বোধহয় ভালো হতো যদি আষাঢ়কে আগেই মেরে ফেলতো।
একই মায়ের গর্ভে জন্ম নেওয়া,একই বিছানায় শুয়ে বড় হওয়া ভাই বোন যখন একে অন্যের শত্রু হয়ে যায় তখন দুনিয়ার সব বন্ধন মিথ্যা মনে হয়।

বৈশাখী চোখ মুছে বললো, “আমি চাই না পিয়াসা আমাদের বাড়ির বউ হয়ে আসুক।কিছুতেই চাই না আষাঢ়। আমি জানি না আমি ভুল করছি নাকি ঠিক কিন্তু ও আমাদের বাড়িতে আসার পর থেকে আমাদের সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেছে।নির্জন মিনির ডিভোর্স হলো, ফুফুদের সাথে এতো বড় ঝামেলা হলো,সম্পর্ক নষ্ট হলো,মা’র সাথে আমার সম্পর্ক নষ্ট হলো।আমার খালা শাশুড়ীর সাথে আমার জামাইয়ের সম্পর্ক নষ্ট হলো।তা না হলে সিমরানকে যদি তোর বউ বানাতাম আমার জামাইয়ের সাথে ওর খালুর সম্পর্ক ভালো হতো,বিজনেসটা ও ঠিক হতো,টাকাপয়সা নিয়ে এতো ঝামেলায় পড়তে হতো না।
অথচ ওর জন্য আমাদের সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেলো।আমার ওকে সহ্য হয় না।ও এলে আমি আমার বাড়িতে নিজের রাজত্ব হারিয়ে ফেলবো।আমি নিরুপায় হয়ে এই কান করেছি।হয়তো ছেলেমানুষী কাজ তবুও আমি তোকে এখান থেকে যেতে দিবো না। তুই এখানে বন্দী হয়ে থাকবি।ততদিন থাকবি যতদিন পিয়াসার কাছে তুই প্রতারক হিসেবে প্রমাণিত না হোস।”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আষাঢ় বোনের দিকে তাকিয়ে হেসে বললো, “যা কিছু ঘটেছিলো তাতে পিয়াসার কোনো হাত ছিলো না।ফুফু যা করেছে তাতে আমাদের উচিত ছিলো আরো আগেই ফুফুকে এই বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া যাতে ফুফুকে দেখে তুই এসব শিখতে না পারিস।তুই কী ভেবেছিস বাড়ির মেয়ে বলে সব কিছু যেভাবে চাইবি সেভাবে পাবি?
আমার দাদী কন্যাস্নেহে অন্ধ ছিলেন আমার মা একজন শিক্ষিত নারী এটা মনে রাখিস।মেয়ের সীমা কোথায় টানতে হয় তিনি সেটা যেমন ভালো করে জানেন তেমনই ছেলের বউকে কতটা স্বাধীনতা দিতে হয় তা ও জানেন।তোর সমস্যা হচ্ছে তুই এই যুগের শিক্ষিত মেয়ে হয়েও পুরনো ধ্যানধারণা ধারণ করছিস নিজের মধ্যে।
তোর শ্বশুর বাড়িতে তুই যেমন চাস পিয়াসার ও ততটাই পাওয়ার অধিকার ।তুই শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়ি এসে বসে থাকবি কেনো?

থাকলেও পিয়াসার সাথে বিরোধ করবি কেনো?
আমি আমার বাবার মতো নয় আপা।আমি থাকতে আমার স্ত্রীকে কেউ অসম্মান করবে,ক্ষতি করবে তা হবে না।আমি পিয়াসাকে বলেছিলাম আমি আসছি ওকে আনতে,আমি যাবোই।”
“আমি কখনোই তোকে এখান থেকে বের হতে দিবো না।কেউ জানে না তুই কোথায় আছিস।”
আষাঢ় নিজের দুই হাত পেছন থেকে সামনে নিয়ে আসে।আষাঢ়ের হাতের বাঁধন খোলা দেখে বৈশাখী অবাক হয়।
পায়ের বাঁধন খুলে আষাঢ় উঠে গিয়ে বোনের সামনে দাঁড়ায়। বৈশাখীর কাঁধে হাত রেখে বলে, “আপা,তুই তো এমন ছিলি না আপা।তুই আমার বোন। তুই কী চাস না আমি ভালো থাকি?সুখে থাকি?
পৃথিবীর সব বোনেরাই ভাইদের ভালো চায়।ভাইয়েরা বোনকে ভুলে যায় হয়তো কিন্তু বোন কখনো ভাইকে ভুলে যায় না। বৃদ্ধ বয়সে বোনই আসে বাবার বাড়ি অথচ ভাইয়েরা ভুলে যায় বোনের বাড়ি যেতে।
তুই বোন হয়ে চাস না আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে সুখে থাকি আপা?এসব পাগলামির কোনো মানে হয় না।তোর শরীরের এখন যেই অবস্থা এসব চাপ নেওয়া তোর উচিত হচ্ছে না। তুই পিয়াসার অনেক ক্ষতি করারই সুযোগ পাবি ভবিষ্যতে হয়তো কিন্তু তুই মনে রাখিস,পিয়াসার কিছু হলে তুই তোর ভাইকে জীবিত পাবি না।
চল বাড়িতে চল।”

বৈশাখী শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। আষাঢ় বোনের হাত ধরে বললো, “আপা,আয়।”
“না,আমি আর তোদের বাড়ি যাব না।আমি আমার শ্বশুর বাড়ি যাবো।আর কখনো তোদের বাড়ি যাবো না।মনে করবি বৈশাখী মরে গেছে।”
“আজেবাজে কথা বলবি না আপা।চল আমার সাথে।”
“আমি আমার শ্বশুর বাড়ি যাবো।”
“ঠিক আছে চল,আমি দিয়ে আসি।”
বৈশাখী রাজি হলো না।তবুও আষাঢ় জোর করে নিয়ে গেলো।
আষাঢ় যখন পিয়াসাদের বাড়িতে পৌঁছে ততক্ষণে রাতের এগারোটা বাজে।পিয়াসা বিয়ের সাজে বসে আছে বাসার বাহিরে গেটের সামনে। অতিথিরা সবাই চলে গেছে। আছে শুধু শারমিন,আনোয়ার হোসেন।
দুজনেই চুপ করে বসে আছেন ড্রয়িং রুমে। ভেতর থেকে মেয়ের উপর নজর রাখছেন।
আষাঢ় রিকশা থেকে নেমে মৃদু সুরে বললো, “আমার কইতর।”
পিয়াসা চমকে তাকায়।আল্লাহ তার প্রার্থনা শুনেছেন!

পিয়াসা ছুটে গিয়ে আষাঢ়কে জড়িয়ে ধরে। তারপর কান্নায় ভেঙে পড়ে। বহুবছর ধরে যেই কান্না বুকে পাথরের মতো শক্ত হয়ে জমে ছিলো আজকের আঘাতে তাই পানির মতো বাহিরে বের হয়ে এলো।
পিয়াসা কাঁদছে,শারমিন কাঁদছে।
আষাঢ় বাঁধা দিলো না পিয়াসাকে।হালকা হোক ভেতরের সব যন্ত্রণা।
পরদিন সকালে আষাঢ়দের বাড়ির সবাই আসলো আবার। সবাই জানতে চাইলো কে এমন করেছে আষাঢ়ের সাথে। আষাঢ় জানালো সে কাউকে দেখে নি।নিজে নিজেই বের হয়ে এসেছে হাতের বাঁধন খুলে।
বিকেল হয়ে আসে।এবার রওয়ানা হওয়ার পালা।পিয়াসা অবাক হয় সে তার দুই চোখ ভিজে আসতে দেখে।শারমিনকে জড়িয়ে ধরে পিয়াসা কাঁদছে। কাঁদছে আনোয়ার চৌধুরীকে জড়িয়ে ধরে। এই পৃথিবীতে প্রতিদিন কতো মানুষ হারিয়ে যায়।এই দুজন মানুষ না থাকলে পিয়াসা ও হারিয়ে যেতো কালের গর্ভে।কেউ জানতো না কখনো পিয়াসা ছিলো।
গাড়িতে বসে পিয়াসা আষাঢ়ের কোলে মাথা রাখে।একেবারে নির্ভয়ে,নিশ্চিন্তে।পরম মানসিক শান্তির সাথে পিয়াসার নতুন জীবন শুরু হয়।

মহুয়া বেগম ধান-দুর্বার ডালা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন নাত বৌকে বরণ করার জন্য।বৈশাখী, শিরিন আর শিরিনের মেয়েরা ছাড়া সবাই হাজির আছে।
মহুয়া বেগম নিজের হাতে পিয়াসাকে বরণ করে ঘরে তোলেন।পিয়াসার দুই চোখ বারবার ভিজে উঠে। কে জানে এতো বছরের জমানো জল হয়তো আজ পথ খুঁজে পেয়েছে বের হয়ে আসার তাই আর বাঁধ মানছে না।
ভেতরে প্রবেশ করার সময় পিয়াসা মনে মনে বলে, “আজ লাল শাড়ি পরে প্রবেশ করছি,বিদায় যাতে হয় সাদা কাফনে।তার আগে যাতে এই সংসার ছেড়ে আমাকে যেতে না হয় আল্লাহ।”
এই বাড়িতে পিয়াসা অনেকদিন ছিলো তবুও আজকে সবকিছু পিয়াসার অন্য রকম লাগছে।আজ মনে হচ্ছে সে বুঝি সত্যিকারের এই বাড়িরই একজন।

মহুয়া বেগম নিজের গহনার বাক্স বের করে আনেন সবার সামনে।নার্গিস মুচকি হাসে। একটা সময় মহুয়া বেগমের এই গহনার বক্সের শঙ্খচুড়টার উপর নার্গিসের অনেক লোভ ছিলো। মহুয়া বেগম কখনো কাউকে এসবের ধারেকাছে যেতে দিতেন না।আজ সেই জাদুর নাক্স সবার সামনে নিয়ে এলেন।সবাই কিছুটা বিস্মিত হলো।
তারিনের ভীষণ ভালো লাগছে।অনেক দেরিতে হলেও যে তার মা’য়ের পরিবর্তন এসেছে তারিন এতেই খুশি। অন্তত মা মারা গেলে ভাবীরা বলবে না এখন যে ঝামেলা কেটেছে তাদের।
মহুয়া বেগমের রুমে সবাই হাজির।
মহুয়া বেগম আলমারির সবথেকে নিচে থেকে একটা বড় বর্গাকৃতির কালো ভেলভেট কাপড়ের বাক্স বের আনেন।
রজনী, নার্গিস এই বাক্সটা দেখে নি।তারিন দেখেছে খুব ছোট বেলায়।এরপর আর দেখে নি।
ধীরে ধীরে সেই জাদুর বাক্স থেকে বের হয়ে আসে হিরে পান্না বসানো একটা ছোট মুকুট।
মহুয়া বেগম দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন, “আমার বিয়ের পর আমার শ্বশুর এই মুকুট আমাকে পরিয়ে দেন তার বাড়ির যোগ্য বউমা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে।
এই মুকুট আমার দাদী শাশুড়ীর ছিলো। বংশ পরম্পরায় বংশের যোগ্য বউমাদের মাথায় উঠে এসেছে এই মুকুট। তখন যোগ্যতার মাপকাঠি ছিলো দম্ভ,অহংকার,বাবার বাড়ির আভিজাত্য। সেই চিরায়ত নিয়ম মেনে আমি ও আজীবন অন্ধ হয়ে ছিলাম।

তবে এখন এই মুকুটের যোগ্য উত্তরাধিকারী পিয়াসা।
এই গোলাপ বালা আর এই চাঁদ মুকুট আমার পিয়াসার জন্য।
মহুয়া বেগম নিজের হাতে সেগুলো পিয়াসাকে পরিয়ে দিলেন।মুকুটের অগ্রভাগে ছোট্ট একটা চাঁদ জ্বলজ্বল করছে।
মহুয়া বেগম বাকি গহনা দুই বউদের মাঝে ভাগ করে দিয়ে বললেন, “এগুলো তোমরা ব্যবহার করবে,তোমাদের পুত্রবধূদের দিবে।এই গহনায় বাড়ির মেয়েদের অধিকার নেই।এটা আমাদের জমিদার বাড়ির নিয়ম। আমার অনুরোধ আমি বেঁচে থাকাকালীন অন্তত এই নিয়মটা তোমরা মেনে চলো।আমি মরে গেলে তোমাদের গহনা তোমরা মেয়েদের দাও না কাকে দাও তা তোমাদের ব্যাপার।”
রজনী বললো, “আপনি যে আদেশ করে গেছেন আমরা সেভাবেই করবো আম্মা।আজীবন।”
মহুয়া বেগম রজনীর হাত ধরে বলেন, “তোমার উপর অনেক জুলুম করেছি।ক্ষমা পেলেও মানসিক অশান্তি কমবে না।তুমি জীবনে অনেক কিছু করতে চেয়েছো।আজকাল টিভি খুললে দেখি কতো মহিলারা কতো কিছু করছে।নিয়ম নীতির বেড়াজালে আঁটকে তোমার জীবনের সব স্বপ্ন আমি ভেঙে দিয়েছি।তাই আমি আবার আমার ভুল একটু হলেও শোধরাতে চাই।

তুমি তো অনেক ভালো রান্না করতে জানো,বিভিন্ন সূচীকর্ম জানো।তুমি সেসব নিয়ে কিছু করতে পারো।
তোমার চাকরি করার বয়স হয়তো নেই।কিন্তু চাইলে ব্যাবসা করতে পারো।
আমি তোমার মূলধন জোগান দিবো।”
“না আম্মা,লাগবে না এসব।”
“আমার যে লাগবে মা।তা না হলে আমি যে মরে গেলেও শান্তি পাবো না।এই ব্যাগে নগদ ৩ লক্ষ টাকা আছে,এগুলো তোমার।

আর এই ২ লক্ষ টাকা ছোট বউমার।মরার আগে যাতে দেখে যেতে পারি তোমরা ছোটখাটো কিছু হলেও করতেছো।নিজের বিবেকের কাছে যাতে নিজে একটু হলেও বড় গলায় বলতে পারি।তোমরা সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিও।যাও,ওদেরকে ওদের রুমে নিয়ে যাও।অনেক ক্লান্ত সবাই।”
মহুয়া বেগম কান্না করতে থাকেন।নিজের জীবনের সব ভুলগুলো তাকে তীরের মতো বিঁধতে থাকে কলিজায়।কেনো এতো অন্যায় করেছেন ভেবে পান না।
আষাঢ় রুমে আসার আগে রজনী ডাকে আষাঢ়কে।মা’য়ের রুমে গিয়ে দেখে রজনী একা দাঁড়িয়ে আছে। আষাঢ়ের দিকে তাকিয়ে রজনী বললো, “তোর সাথে গতকাল এই কাজটা কে করেছে আষাঢ়?’’
“বললাম তো মা,আমি চিনি না।”
“আমি চিনি।তুই আমার পেটে হয়েছিস আষাঢ় আমি তোর পেটে হই নি।”
“ বিশ্বাস কর মা,আমি সত্যি বলছি।”
রজনী হেসে বলে,”বৈশাখী কোথায়?”
আষাঢ় মাথা চুলকে বললো, “আপা ওর শ্বশুর বাড়ি মনে হয়।আমি শিওর না মা।”
“কাজটা তোর আপা করেছে না?যদি ও না করতো তবে এতক্ষণে তুই অপরাধীকে পুলিশে তুলে দিতি।তোকে আমি চিনি আষাঢ়।”

আষাঢ়ের দুই চোখ ভিজে উঠে।
“ও আমার বোন মা।একসাথে বড় হয়েছি আমরা। মা’য়ের পরে আরেক মা হয়ে উঠে বড় বোন।আমার আপা ও তেমনই ছিলো।আমি জানি না ওর এখন এরকম চেঞ্জ কেনো এলো।”
“আমি তোর বাবাকে বলেছি।ওর শাস্তি একটাই।আজীবনের জন্য ওর ছায়া এই বাড়িতে নিষিদ্ধ।দুষ্ট গরুর চাইতে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো।”
“ওর কাউন্সেলিং দরকার মা।আপা আবার ঠিক হয়ে যাবে মা।”
“আমি চাই না ও আর এখানে আসুক।অন্তত পিয়াসার আশেপাশে।”
“আমি আছি মা।তুমি ভেবো না।আপার ব্যাপারে আব্বার সাথে কথা বলতে হবে মা।ও আমার বোন,আমি ওকে এভাবে সংকীর্ণ মন নিয়ে থাকতে দিবো না।আমাদের যে নতুন অতিথি আসতে চলেছে তার উপর আপার এসব কিছুর প্রভাব পড়বে।আমরা একজন সাইক্রিয়াটিস্টের সাথে কনসাল্ট করবো।আপা আবারও সেরে উঠবে।”
“কিছুতেই উঠবে না সেরে।আমি জানি।ও তোর বড় ফুফুর সব স্বভাব পেয়েছে। আমি যা বলেছি তাই হবে।মাঝেমাঝে পঁচা সবজিটা ফেলে দিতে হয় অন্যগুলো ভালো রাখার জন্য। আমি ও তাই করবো।”
আষাঢ় আর কথা বাড়ায় না।মা’য়ের মনের মেঘ কাটুক তারপর নানহয় আবারও এই টপিক তুলবে।আষাঢ় জানে তার বোন সুস্থ হবেই।

আষাঢ় রুমে এসে দেখে পিয়াসা বারান্দায় গাছগুলো দেখছে বসে বসে।
আষাঢ় এসে পিয়াসার ঘাড়ে টুপ করে একটা চুমু খায়।
শিউরে উঠে পিয়াসা।
আষাঢ় পিয়াসাকে রুমে নিয়ে আসে।
“আজ ও কী হাত পা বেঁধে ঘুমাবেন ম্যাডাম?”
“না,আজ হাত পা আপনার উপর তুলে দিয়ে ঘুমাবো।”
“বিয়েসাদীর চক্করে তো ভুলেই গেছেন ক্লাস কিন্তু শুরু হয়ে যাবে শীঘ্রই।পড়ালেখায় কোনো ফাঁকি দেওয়া চলবে না।তুমি অনেক পড়ালেখা করবে।দেশের বাহিরে গিয়ে পিএইচডি করবে।তোমার সব স্বপ্ন পূরণের দায়িত্ব আমার।”
“আপনি আমার পাশে থাকলে আমি সবকিছু করতে পারবো।”

হ্যালো 2441139 পর্ব ৬৪

পিয়াসাকে বুকে নিয়ে আষাঢ় শুয়ে পড়লো।পিয়াসা আষাঢ়ের বুকে মাথা রেখে ঘুমালো বিনা সঙ্কোচে। ভালোবাসাময় একটা রাত কেটে গেলো পিয়াসার।
নতুন ভোর এলো জীবনে নতুন অঙ্গিকার নিয়ে। সবাইকে ভালোবেসে একসাথে থাকার অঙ্গিকার, নিজের স্বপ্ন পূরণের অঙ্গিকার।
পিয়াসা জানে সে নিশ্চয় পারবে।এখন আর জীবন চলার পথ সংকীর্ণ নয়।বরং ভালোবাসায় পরিপূর্ণ।

সমাপ্ত