অনুভবে তুমি পর্ব ৫৪

অনুভবে তুমি পর্ব ৫৪
লিজা মনি

আহান ইউভির সাথে কথা বলা শেষ করে ইয়ানার দিকে অগ্রসর হয়।
আহান ইয়াজের দিকে এক নিজর তাকায়। ছেলেটা এখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। খিদে না পাওয়া অব্দি এখন উঠবে না।
আহান গিয়ে ঠিক ইয়ানার পিছন গিয়ে দাঁড়ায়। ইয়ানা কারোর অস্তিত্ব টের পেয়ে ওইখান থেকে সরে আসতে নেয়। কিন্তু আহানের শক্ত হাতের বেরাজালে আবদ্ধ হয়ে পড়ে।
ইয়ানা — ছাড়ুন আমাকে।
ইয়ানার কান্নার ফলে গলা কাপছে। আহান ইয়ানার
অভিমানী মুখটির দিকে তাকিয়ে বলে,,,,
“” অভীমান করেছো? ”
ইয়ানা আহানের দিকে তাকিয়ে বলে , ,,,,

“” অভিমান করব কেনো আপনার উপর? সবার উপর অভিমান করা যায় না। যে অভিমানের মর্ম বুঝে শুধু তার উপর ওই অভিমান করা উচিত। এমনিতে কাল সকালে তো চলেই যাবে। তাহলে এখন মান অভিমানের কথা আসছে কোথা থেকে?
আহান — চলে যাবে। কিন্ত একবার ও ভেবেছো তোমার ছেলের বাবা কিভাবে থাকবে তার অনুভবের সেহজাদীকে ছাড়া। তার জন্য কষ্ট হবে না তোমার?
ইয়ানা আহানের কথা শুনে থমকে যায়।
ইয়ানা — আমি কি করে বলব? সে নিজেই তো বলেছে আমি যাতে চলে যাই।
আহান — সে বললেই চলে যেতে হবে। নিজের ভালোবাসার জোড় নেই। তাকে বলতে পারলে না আমি থাকব দেখি আপনি কিভাবে আমাকে এই বাড়ি থেকে বের করেন।
ইয়ানা — যেখানে দাম নেই সেখানে অধিকার দেখিয়ে কি লাভ।
আহান — যদি বলি ইয়ানা ছাড়া আহান অসম্পূর্ন তাহলে ও কি থাকবে না।
ইয়ানা আহানের কথা শুনে শুধু কাঁদতে থাকে। এরপর আহানকে রেখে রুমের ভিতর চলে যেতে নিবে তখন এক মিষ্টিসুর শুনে থামকে যায়।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

~ খুলাখুলি বলতে গেলে পড়ে গেছি তর কবলে….🌼
~ তলিয়েছে মন ,, ভীষন রকম অথৈ জলে….(২)
~ কোথায় কোথায়….🌼
~ সাঁতার কেটেছি, ঘুমিয়ে হেঁটেছি…. 🌼
~এতটা ডুবেছি, তর ওইতো কারনে….🌼
~ তোকে ভালোবাসতে গিয়ে….. 🌼
~খুলাখুলি বলতে গেলে ,,, পড়ে গেছি তর কবলে…🌼
~ তলিয়েছে মন ,, ভীষন রকম,, অথৈ জলে.. 🌼
আহান কয়েক লাইন গানের কলি শেষ করে ইয়ানার কাছে এসে দাঁড়ায়। ইয়ানা মোহিত হয়ে আহানের দিকে তাকিয়ে থাকে। আহান ইয়ানার তাকানো দেখে বলে,,,
“” এইভাবে তাকিয়ে আছো যে? “”

ইয়ানা — আপনি গান ও গায়তে পারেন? কি সুন্দর আপনার কন্ঠস্বর। পুরো গানটা গেয়ে শুনান না।
আহান ইয়ানার কপালে আলতো চুমু খেয়ে বলে,,,,
“” আগে বন্ধুদের জোড়াজোড়িতে একটু আধটু গাইতাম। পরে আর কোনোদিন গান গাওয়া হয় নি। অন্যদিন গেয়ে শুনাব। এখন রাগ কমেছে আপনার? ”
ইয়ানা একটা মুচকি হাসি দিয়ে মাথা নিচু করে ফেলে। আহান ইয়ানার দিকে কপাল কুচকে তাকায়। আজ ইয়ানা শাড়ি পড়েছে। এতক্ষন এইসবের চাপে তো খেয়াল ওই করি নি। সেই জন্য ওইতো ভাবছি আজ মেয়েটাকে এত আবেদনময়ী লাগছে কেনো। কিন্তু হঠাৎ শাড়ি পড়েছে কেনো?

আহান — তুমি হঠাৎ শাড়ি পরেছো কেনো?
ইয়ানা — ওই দুপুরে দাদুমনির এক আত্বীয় এসেছিলো ইয়াজকে দেখার জন্য তখন পড়েছিলাম এই আরকি।
আহান — ওহহ। তবে আমি যে রাগ ভাঙ্গালাম তার জন্য আমার একটা জিনিস চাই। চাইলে দিবেন তো.?
ইয়ানা — কি?
আহান মুচকি হাসি দিয়ে বলে,,,,
“” আপনাকে। ”
ইয়ানা আহানের কথা শুনে লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলে।
ইয়ানা — আগে আহিয়ার সাথে কথা বলে আসুন। মেয়েটা নাহলে সারারাত কান্না করবে।
আহান — ওকে। তার আগে আমার একটা মেডিসিন নিয়ে নেই। এত সুন্দর করে শাড়ি পড়েছেন আর কিছু দিব না তা তো হয় না।

আহান ইয়ানার একদম কাছাকাছি হয়ে দাঁড়ায়। ইয়ানাকে নিজের কাছে মিশিয়ে ঠোঁটে ঠোঁট ডুবাতে নিবে এমন সময় এক চিৎকার তাদের কানে ভেসে আসে।
আহান দেখে ইয়াজ উঠে গিয়েছে। আহান ইয়ানার দিকে তাকিয়ে বলে,,,,,
“” যাও তোমার ছেলে উঠে গিয়েছে। এত কষ্ট করে দুনিয়াতে আনলাম আমার রুমান্সের বারোটা বাজানোর জন্য।
ইয়ানা হাসতে হাসতে বলে,,,,
“” একদম ঠিক হয়েছে। আপনাকে একমাত্র আমার ছেলেই ঠিক করতে পারবে। “”
এই বলে ইয়ানা ইয়াজের কাছে চলে যায়। ইয়ানা ইয়াজকে কোলে নিয়ে বলে,,,,
“” তুমি পারবে না তোমার বাবাকে ঠিক করতে?””

আহান — এখন মা ছেলে কি আমার পিছে লাগবে নাকি?
ইয়ানা আহানের দিকে তাকিয়ে বলে,,,
“” আপনার শার্টটা খুলেন তো?
আহান ঠোঁট কামড়ে হাসি দিয়ে বলে,,,,
“” তুমি আমাকে শার্ট খুলার কথা কেনো বলছো বউ। আমার ছেলে সজাগ হয়ে গিয়েছে কিছু করলে ছেলে দেখে ফেলবে। আমি একদম ভালো পুরুষ””
ইয়ানা কিড়মিড়িয়ে আহানের দিকে তাকায় এরপর বলে,,,
“” সবসময় এক লাইন বেশি বুঝেন কেনো? আগে শার্টটা খুলোন।
আহান ইয়ানার কথা অনুযায়ী শার্ট খুলে। ইয়ানা আহানের কাছে এসে চোখ দিয়ে ইশারা করে বলে,,,,
“” এই যে শরীরে এইসব ট্যাটু করেছেন এইসব কি ভালো?

ইয়ানার কথা শুনে আহান শার্ট পড়ে ফেলতে নিবে। তখন ইয়ানা শার্ট আকড়ে ধরে বলে,,,,
“” একদম এড়িয়ে যাবেন না। পিঠে ড্রাগনের ট্যাটু, হাতে সিংহের ট্যাটু, সাপ এইসব সব প্রানী আপনার শরীরে কি করছে? মাঝে মাঝে আপনার কাপড়হীন বক্ষে মাথা রাখলে এইসব দেখে আমার ওই ভয় করত। এখন ধীরে ধীরে সয়ে গেছে। ইয়াজ বড় হচ্ছে আপনি কি চান সে এইসব শিক্ষা লাভ করুক। আপনার ছেলে বড় হলে আর চিরিয়াখানায় যেতে হবে না বাবার শরীরের দিকে তাকালেই সব পশু পাখি দেখতে পেয়ে যাবে।
আহান কপাল কুচকে বলে,,,,

“” কি করতে পারি এখন? ”
ইয়ানা — রিমুভ করে দিন।
আহান ইয়ানার কথা শুনে উঠে পড়ে।
ইয়ানা — শুনবেন না তাই না?
আহান — শুনার হলে শুনতাম। কিন্তু তোমার কথাটা তো শুনার মত না। এখন আমি আহিয়ার রুম থেকে আসছি।
ইয়ানা — যাবেন ভালো কথা একটা ধমক যদি দেন তাহলে খবর আছে।
আহান ইয়ানার কথা শুনে মেকি হাসি দিয়ে বলে,,,,

“” তুমি আর ইয়াজ যেমন আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ তেমনি আহিয়া ও আমার জীবনের আরেক সম্পদ। আমি ওকে কখনো ধমক তো দুরের কথা উচ্চস্বরে কথা ও বলি নি। কাকা কাকিয়া মারা যাওয়ার পর আহিয়া ছিলো আমার বেঁচে থাকার অবলম্বন। আহিয়া কাকা কাকিয়ার এক মাত্র সম্পদ তাকে আমি কি করে কষ্ট দেয়। “”
ইয়ানা — সত্যি কথা বলব আহান আপনাকে আমি আজ ও চিনে উঠতে পারি নি। আহিয়া আপনার কাজিন হয় কিন্তু আপনি ওকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসেন। আপনার ভালোবাসার চাদরে আচ্ছাদিত হয়ে আহিয়া বুঝতেই পারে নি আপনি ওর নিজের ভাই নই কাজিন হন। তবুও কত ভালোবাসেন ওকে আপনি।
আপনি….

ইয়ানা আর কিছু বলতে পারল না ভাঙ্গা কিছুর শব্দ পেয়ে আহান আর ইয়ানা দরজার দিকে তাকায়। আহিয়া অশ্রুনয়নে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। মেঝেতে পড়ে আছে পানির বোতল। কাচের হওয়ার কারনে ভেঙ্গে গিয়েছে। তার মানে আহিয়া পানি নিয়ে এসেছিলো রুমে।
আহিয়া তাহলে সব কিছু শুনে ফেলেছে। ইয়ানা ইয়াজকে কোল থেকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে আহিয়ার দিকে এগিয়ে গিয়ে বলে,,,,,,

“” আহিয়া বোন আমার শুনো আমার কথা। “”
ইয়ানার কথা শেষ না হতেই আহিয়া দৌড়ে নিজের রুমে চলে যায়।
আহিয়ার এইভাবে চলে যাওয়াতে আহান উচ্চস্বরে ডাক দিয়ে বলে,,,,,
“” ভিতর থেকে রুমের দরজা লাগালে তর খবর আছে। ”
ইয়ানা আহানের দিকে বিরক্তি নিয়ে তাকিয়ে বলে,,,,
“” এমন একটা পিরিস্থিতিতে ধমক ছাড়া কি আর কিছু বলতে পারেন না। আগে গিয়ে মেয়েটাকে সামলান। এখন ওর সব চেয়ে বেশি আপনাকে প্রয়োজন।
আহান ইয়ানার কথা শুনে আহিয়ার রুমের সামনে চলে যায়। কিন্তু আহান যেতে যেতে আহিয়া অনেক আগেই ভিতর থেকে দরজা লাগিয়ে দেয়।

আহান — দরজা খুল আহিয়া।
ইয়ানা — আহিয়া বোন আমার এমন করে দরজা লাগিয়ে বসে থাকে না। প্লিজ দরজাটা খুলো।
প্রায় অনেক্ষন ডাকাডাকির পর ও যখন কোনো সারাশব্দ না পায় তখন তাদের মনে এক অজানা ভয় ভাসা বাধে। তাদের ডাকাডাকির ফলে দাদুমনিও চলে এসেছে। সাজিদ চৌধুরি বর্তমানে দেশের বাহিরে আছেন কয়েকমাস পর ফিরবেন।
আহান — দুরে সর সবাই দরজা ভাঙ্গে ভিতরে ডুকতে হবে। বিয়াদপটা দরজা খুলবে না। সামনে শুধু পায় দরজা লাগানো বের কিরছি। এত মায়া ভালোবাসা দিয়ে বড় না করে আগেই মেরে অহেলা উচিত ছিলো। তাহলে এখন আর এইসবের ভয় কাজ করত না।

ইয়ানা — পাগল হয়ে গিয়েছেন আপনি কিসব বলছেন?
আহানের রাগের ফলে হাত মুষ্টিবদ্ধ করে ফেলে। হারিয়ে ফেলার ভয় আবার ও আকড়ে ধরে।
আহান দরজা ভাঙ্গার জন্য উদ্ধ্যত হলেই আহিয়া দরজা খুলে দেয়। চোখের সামনে আহিয়াকে দেখে সবাই একটা স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়ে। আহান রুমে ডুকেই আহিয়াকে সজোরে এক থাপ্পর মারে। আহিয়া থাপ্পর খেয়ে সরে আসতে চাইলে আহান শক্ত করে নিজের সাথে চেপে ধরে। আহিয়া আহানের বুকে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠে।
আহান আহিয়ার মাথায় হাত রেখে বলে,,,,,,
” দরজা লাগিয়েছিস কেনো তুই? তর কিছু হয়ে গেলে তর দাদাভাই কিভাবে থাকবে? বড় হয়ে গিয়েছিস তাই না ?
আহিয়া কান্না করতে করতে বলে,,,,,

“” আমি তো তোমার নিজের বোন নয় তাহলে এত ভালোবাসা কেনো দাও আমাকে?
আহান চোখ মুখ শক্ত করে বলে,,,,,
“” আর একবার ও যদি এই কথাটা শুনেছি তাহলে অবস্থা খারাপ করব।””
আহিয়া— আমার আব্বু আম্মুকে দেখতে চাই দাদাভাই? আমার খুব কষ্ট হচ্ছে দাদাভাই। আমি শুধু জানি সাজিদ চৌধুরি আমার বাবা আর কাউকে চাই না। কিন্তু তবুও নিজের জন্মদাত্রী আর জন্মদাতাকে এক নজর দেখতে চাই দাদাভাই।
আহান আহিয়ার চোখের পানি মুছে বলে,,,,,,
“” দেখাবো। শান্ত হ আগে।””

ইয়ানা নিজের চোখের পানি মুছে আহিয়ের কাছে গিয়ে দাঁড়ায়। আহিয়া ইয়ানাকে দেখে বলে,,,,
“” তুমি আমাকে বলেছিলে না বউমনি, আহিয়া জীবনে অনেক কিঁছুর সম্মুখীন হবে কিন্ত ভেঙ্গে পড়বে না। আজ আমি ভেঙ্গে পড়িনি বউ মনি। আমি আজ জীবনের সবচেয়ে কঠিন সত্ত্যের সম্মুখীন হয়েছি।কিন্তু আমি এই কঠিন সত্ত্যের সাথে হেরে যায় নি। কারন আমি অগ্নি চৌধুরির বোন ভেঙ্গে পড়া আমাকে শুভা পায় না। আমাকে সত্ত্যের মোকাবেলা করতে হবে। আমি তাই করছি বউ মনি। “”
আহিয়া কথা বলতে গিয়ে হেচকি উঠে গিয়েছে।
ইয়ানা আহিয়াকে জড়িয়ে ধরে বলে,,,,

“” এই তো আমার শক্তিশালী বোন। কখনো ভেঙ্গে পড়া যাবে না। যতই শত্যের সম্মুখীন হও না কেনো? এইবার লক্ষী মেয়ের মত কান্না থামাও।
আহিয়া — কান্না থামছে না তো? কি করব?
ইয়ানা মুচকি হাসি দিয়ে বলে,,,,
“” এসে শুয়ে পড় আর নিজের পরিবারের সাথে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো মনে করতে থাকো। দেখবে কোনো কষ্টকর কিছু অনুভব হবে না।
ইয়ানা ইশারা দিয়ে দাদুমনি আর আহানকে রুম থেকে বেরিয়ে যেতে বলে। ইয়ানার ইশারা পেয়ে তারা আর কিছু না ভেবে রুম ত্যাগ করে।
ইয়ানা আহিয়াকে শুইয়ে দিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে থাকে। আর এইটা সেটা বলছে। এক সময় আহিয়ার কোনো সারা শব্দ না পেয়ে বুঝতে পারে ঘুমিয়ে পড়েছে। ইয়ানা একটা স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়ে। এই মেয়েটা আজ যেই সত্ত্যের সম্মুখীন হয়েছে তা খুব বেদনাদায়ক।

ইয়ানা আহিয়াকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে নিজের রুমে যায়। দেখে আহান ইয়াজের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা ভাবছে। ইয়ানা রুমের সামনে কাচ দেখতে পেয়ে এইগুলাকে এক সাইড করে রাখে। আহান ইয়ানার সব্দ পেয়ে অধৈর্য গলায় বলে,,,,,,
“” আহিয়া ঘুমিয়েছে? আর কোনো কান্না কাটি করে নি?”
ইয়ানা — শান্ত হন ঘুমিয়ে পড়েছে।
আহান একটা স্বস্তির নিশ্বস ছেড়ে আইয়াজের পাশে গিয়ে শুইয়ে পড়ে।
ইয়ানা আহানের দিকে ঝুকে বলে,,,,,
“” এইভাবে অশান্ত হবেন না প্লিজ। দেখবেন সব ঠিক হয়ে যাবে।

অনুভবে তুমি পর্ব ৫৩

ইয়ানার কথা শুনে আহান ইয়ানার দিকে তাকায়। আহানের চোখ অসম্ভব লাল। ইয়ানা সরে আসতে চাইলে আহান হেচকা টানে নিজের কাছে নিয়ে এসে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়। আচকা এমন হওয়াতে ইয়ানা ভড়কে যায়। তবে কিছু সময়ের ব্যবধানে নিজেকে স্বাভাবিক করে নেয়। আহানের উন্মাদনা আর ও বৃদ্ধি পায়। ইয়ানা আহানের উন্মাদনা সহ্য করতে না পারলে ও চুপ থাকে। কিছু ভালোবাসার ছোয়া না হয় কষ্টকর হোক। ইয়ানা আর আহান হারিয়ে গেলো এক অন্য জগতে। ল্যাম্পপোস্টের আলোতে শুধু দুটি অবয়ব দেখা যাচ্ছে।
ভালোবাসার মানুষটার ব্যক্তিত্য যতই ভয়ানক হোক না কেনো দিন শেষে সে তার প্রিয় মানুষটির কাছেই ফিরতে হয়।

অনুভবে তুমি পর্ব ৫৫