অনুভবে তুমি পর্ব ৬

অনুভবে তুমি পর্ব ৬
লিজা মনি

আর এইদিকে আহান আজ চৌধুরি ভিলায় যায়। আহান যাওয়া মাত্র ওই আহানের একমাত্র বোন আহিয়া গিয়ে জরিয়ে ধরে বলে,,,,
আহিয়া—দাদাভাই কেমন আছো?একবার ও আমার কথা মনে পরে নি। কতদিন পর এসেছো। কথা বলব না আমি তোমার সাথে যাও। এই বলে আহিয়া অন্যদিকে ঘুরে মুখ ফুলায়। আহান বুজতে পারে তার বোন তার ওপর ভীষন খেপে আছে।
আহান এইবার একটা চকলেটের বক্স সামনে নিয়ে বলে,,,,

“”ঠিক আছে কেউ যদি আমার সাথে কথা বলতে না চাই তবে চকলেটের বক্সটা ফেলে দেয়। কি আর করার যার জন্য এনেছিলাম সেতো কথায় বলছে না। এই বলে আহান উপরে চলে যেতে নিলে আহিয়া আহানের হাত থেকে চকলেটের বক্স হুট করে নিয়ে বলে,,,,,
“” আরে দাদাভাই কি বলছো ফেলে দিবে মানে? তুমি যানোনা খাবার অপচয় করা ভালো না। ফেলতে হবে না আমিই নিয়ে নিচ্ছি”
আহান এইবার একটু মুচকি হাসি দিয়ে আহিয়ার মাথায় হাত রেখে বলে,,
” ঠিক আছে ফেলব না দাদাভাইয়ের প্রতি অভিযোগ কমেছে”
আহিয়া : তোমার সাথে রাগ করে থাকতে পেরেছি কখনো। তুমি আমার বেস্ট ভাইয়া।
তাদের কথার মাঝে শুনতে পাই,,,,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“””ভাই এসে বোনকে পেয়ে আমার কথা ভুলে গেছে”””
আহান তাকিয়ে বলে,,,,,
” আরে দাদিমনি তোমাকে কি ভুলা যায়।”” বলেই সে জরিয়ে ধরল।
দাদুমনি: থেকে যানা একেবারে জন্য। নিজের বাড়ি রেখে আলাদা থাকিস এইটা কি ভালো দেখায় বল।
আহান এইবার মুখের গম্ভীরতা বজায় রেখে বলে,,,,
“”না দাদুমনি এমনটা হবে না।সময় হলে অবশ্যয় আসবো”””
বলেই হনহন করে নিজের রুমে চলে যায়।
আহিয়া : দাদুমনি ভাইয়া কি রেগে গেলো।
দাদুমনি,: মনেতো হয়েছে তাই। কবে জানি আমার নাতিটা আগের মতো স্বভাবিক হয়ে উঠে। বলেই উনি কান্না করে দেয়।

আহিয়া : দাদুমনি প্লিজ কান্না করো না দেখবে একদিন ভাইয়া ঠিক আমাদের সাথে এসে থাকবে।
দাদুমনি : কবে সেই দিন আসবে। বিগত 14ধরে ও আমাদের সাথে থাকে না, খায় না। কবে আমার দাদুভাই আমাদের মাঝে ফিরে আসবে।
আহিয়া এইবার দাদুমনির কান্না দেখে। স্বভাবিক হওয়ার জন্য বলে,,,,,
আহিয়া : আরে দাদুমনি চিন্তা করো না আমার একটা ভাবি আসলেই ভাইয়া ঠিক হয়ে যাবে। দেখবা আমাদের সাথেই থাকবে।
দাদুমনি: কিহহ এই কথা আর বলিস না দাদুভাই যদি শুনতে পারে তাহলে যাই বাড়ি আসে মাঝে মাঝে এইটাও বন্ধ করে দিবে। তাই সাবধান। তোর মনে নেই একবার বিয়ের কথা বলছিল বলে বাড়ির সমস্ত জিনিস ভেংগে ফেলেছিল। তাই এইসব কথা মুখেও আনিস না আহিয়া।
আহিয়া মন খারাপ করে বলে,,,,,
– ওকে দাদি।

হল্লা পার্টি সবাই ইয়ানাদের বাড়িতে যায়। গিয়ে দেখে রুয়ানা সুফায় বসে কান্না করছে।
আকাশ: কি হলো রুই এখানে বসে কান্না করছিস কেন। আর ইয়ানা আন্টি তারা কোথায়?
রুয়ানা এবার তাদের দিকে তাকিয়ে বলে ,,,,
তোমরা এসেছো। আম্মু বাসায় নেই নানাবাড়ি গেছে। কাল আসবে নানু অসুস্থ। আপু ভার্সিটি থেকে এসে নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়।কখন থেকে আমি ডাকাডাকি করছি কিন্তু দরজা খোলার নাম নেই। আপু কোনো সময় এরকম করে না ভাইয়া। তোমরা গিয়ে একটু দেখো না দরজা খুলে কিনা।
আরু: ওকে কান্না থামা দেখছি আমরা। এই বলে তারা সবাই ইয়ানার রুমের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।
আরু : ইনু বেবি দরজা বন্ধ করে কার কথা ভাবছিস এতো। আগে জানতাম যারা প্রেমে পড়ে তারা নাকি দরজা বন্ধ করে বসে থাকে তুই কার প্রেমে পড়ছিস। বললে ভালো হতো আর কি।
আকাশ : হ্যাঁ মানে আরু ও প্রেম করতো আরকি।

আরু : এই কপাল কি আমার আছে। আমার অক্সিজেনের খুঁজতো আমি আজও পাইলাম না🥺🥺।
সুমু: তোদের বালের প্যাচাল বাদ দিবি। এসেছিসএক কাজে এখন তোরা প্রেম নিয়া পইরা আছস ।
রোহান : তুই কি করে বুঝবি সিঙ্গেল থাকার কষ্ট।
সুমু: হ আর আমি না দশ বারোটা বাচ্চা পয়দা করে বসে রয়েছি।
আয়াত : কি বলিস সুমু তিন চারটা বলতি একবারে ১০-১২ টা বলে ফেলেছিস। হ বোন তুই পারবি তোর অনেক এনার্জি আছে।
তাদের কথোপকথনের মধ্যে হঠাৎ করেই ইয়ানা দরজা খুলে বলে,,,,
তোরা এখানে কি করছিস ওদের তো এখন বাসায় যাওয়ার কথা।
আয়াত : কেনো আমরা কি আসতে পারি না।

ইয়ানা : আরে আমি সেটা বলতে চাইনি। তোরা অসময়ে সেজন্য তাই জিজ্ঞাসা করলাম আরকি। ভিতরে আয়।
রুহান : আলহামদুলিল্লাহ ভিতরে আসতে বলছিস তাহলে। আমিতো ভাবছিলাম আজকে আমরা সবাই তোর দরজার বাহিরেই খেয়ে ঘুমিয়ে পড়বো। যাক বাহিরে আর তাহলে থাকতে হবে না। এখন আসল কথায় আসি,,,,,,
” দেখ ইনু কোনো প্রকার মিথ্যা বলবি না। ভার্সিটিতে যা যা হয়েছে সব বলবি। এত ভয় পেয়ে আছিস কেনো আর ওই সময় এভাবে চলেই বা আসলি কেনো?
ইয়ানা : ক. কই আ. আমার কি হবে। আ… আমি ঠিক আছি। তোরাই শুধু শুধু চিন্তা করছিস।
আকাশ : তাই। তাহলে আমাদের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে পারছিস না কেনো। আর এত অন্যমনস্ক কেনো?ইয়ানা এইবার নিজেকে ধরে না রাখতে পেরে কান্না করে দেয়।
সবাই এবার হতভম্ব হয়ে ইয়ানার দিকে তাকিয়ে থাকে। কারণ ইয়ানা খুবই স্ট্রং একটি মেয়ে।কোন বড় কারণ ছাড়া ইয়ানা কান্না করার মত মেয়ে নয়। এমনকি সায়মনের সাথে সম্পর্ক বিচ্ছেদে ও নিজেকে সবসময় স্ট্রং রেখেছে ভেংগে পরেনি তাহলে আজ এইভাবে কান্না করছে কেনো।

আকাশ : কি হয়েছে ইনু এইভাবে কাদছিস কেনো। যদি আমাদের নিজের বন্ধু মনে হয় প্লিজ বল।দেখ আমরা কখনো কোনো কথা গোপন করেনি তাই আশা করব আজ তুই ও করবি না
ইয়ানা তাদের ধীরে ধীরে সবকিছু খুলে বলে।
সুমু: একটা রায়হানের কি কম ছিল যে আরেকটা রায়হানের আমদানি হলো। এমনি এই বেডার জন্য শান্তি নেই এ আবার কোন ভেজাল।
আরু : আচ্ছা ইনু তুই কি ছেলেটাকে চিনিস।🤔
ইয়ানা : না মুখ দেখতে পাই নি অন্ধকার ছিলো।আর রাতে যখন আসে তখন আমি ঘুমে থাকি।
আয়াত : তাহলে বুঝব কিভাবে কে ছিলো।তবে আমরা লোকটাকে একটা উপায়ে ধরতে পারি।
সাবাই : কি উপায় 😕

তারপর আয়াত সবাইকে নিজের প্লেনের কথা বলে।
সাবাই : তাহলে মিশন স্টার্ট।
ইয়ানা : কেনো জানিনা অজানা একটা ভয় করছে। যদি ছেলেটা বুঝতে পেরে যায় পরে তোদের কোনো ক্ষতি করে তখন।
আয়াত : আরে চাপ নিস না কিছু হবে না। হবে হয়ত কোনো বখাটে পিঠে কয়েকটা পরলে এমনি ঠিক হয়ে যাবে।
আকাশ : ঠিক বলেছিস। তাহলে এখন আমরা যায় রাতে আসব।
বলে সবাই চলে গেল।

কোনো একটা বন্ধ ঘরে চেয়ারের সাথে হাত পা বাধা অবস্থায় পরে আছে তিনটি ছেলে।উহুম বন্ধ ঘর বললে ভুল হবে একটা নরকের মত। যার চারপাশে মাংশের পচা ঘন্ধ, চারদিকের দেয়ালে রক্তের ছোপ , মেঝে স্যাঁতস্যাঁতে যেখানে বিভিন্ন পোকার বসবাস।দেখলে যে কারোর গা ঘোলিয়ে আসবে। ছেলেগুলো বার বার বাঁচার জন্য অনুরুধ করছে। একেকটার অবস্থা খুবই খারাপ। কারোর চোখ তোলে নেওয়া হয়েছে তো কারোর হাত পা কেটে দেওয়া হয়েছে। ছেলেগুলোর গগনবিধায়ী চিৎকারে ও সামনে থাকা লোকটার কোনো হেলদুল নেই। সে নিজের শাস্থি দিতে ব্যস্ত।

১ম ছেলে : প্লিজ স্যার আমাদের ছেরে দিন। আমরা আর কখনো ওকে বিরক্ত করব না।
২ য় ছেলে: স্যার আমরা জানতাম না উনি আপনার কিছু হয়।
৩ য় ছেলে : হ্যা স্যার আমরা জানলে কখনো উনার ত্রিসিমানায় আসতাম না। ছেরে দিন আমাদের।
সামনে থাকা ব্যক্তিটির চোখ দুটি লাল কিন্তু শান্ত গলায় বলে,,,,
“”জানিসতো অগ্নি চৌধুরির কাছে ক্ষমা বলে কোনো শব্দ নেই। তোরা আমার কলিজায় হাত বারিয়েছিলি সেই হাত থাকবে ভেবেছিস বলেই এক কোপে ১ম ছেলেটির হাত শরীর থেকে হাত আলাদা করে দেয়। পর পর সবগুলোর একই অবস্থা করে। ছেলেগুলো চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
আহান : আরিফ লাশগুলো কুকুর দিয়ে খাওয়া। আর রায়ান আমার সাথে চল।
রায়ান তারা সবাই এইসবে অভ্যস্থ হয়ে পড়েছে। কিন্তু আজ অনেক দিন পড়ে এমন নির্মম মৃত্যু দেখেছে। কোনো বড় কারন ছাড়াতো হতে পারে না। রায়ান যেনো ওদের এই মৃত্যুতে একটা ঘোরের মধ্য চলে যায়।
আহান কিছু দুর গিয়ে দেখে রায়ান এক জায়গায় দাড়িয়ে আছে।

“”কিরে এইখানে থাকার প্লেন আছে। তাহলে বল এইখানে রেখে যায়।””
আহানের এই ঠান্ডা মাথায় হুমকি রায়ানের জান যায় যায় অবস্থা। এই জায়গায়তো নাকে কাপড় দিয়েও থাকা যায় না বমি চলে আসে আর এইখানে থাকা অসম্ভব।
রায়ান একটু হাসার অভিনয় করে বলে,,,,
“”আরে কি যে বলিস না আমি এইখানে থাকতে যাবো কেনো। তর এই জঘন্য টর্চারসেলে কি মানুষ থাকা যায় নাকি। দেখলেই বমি আসে।

আহান —–ঠিক আছে তুই এইখানেই থেকে যা। এমনিতে অনেক দিন ধরে ভাবছিলাম তোকে এইখানে রেখে যাবো। তাহলে আজ রেখে যায় কি বলিস।
রায়ান এইবার কান্না করে দেওয়ার মত অবস্থা।
রায়ান : প্লিজ ভাই আমারে এইখানে রেখে যাস না । আমার বউটার সাথে মাত্র দেখা হয়েছে ব্উটা আমার অকালে বিধবা হয়ে যাবে। আর তর মেয়ে ওতো জামাই হারা হবে।
আহান : কি কখন থেকে মেয়েদের মত কান্না শুরু দিয়েছিস।তর এমন মেয়েলি স্বভাব কবে থেকে হয়েছে বলতো। আর আমার মেয়ে জামাই হারা হবে মানে।
রায়ান এইবার একটু ভাব নিয়ে বলে,,,,,

“”আরে এইটা বুঝলি না তোর মেয়েতো আমার ছেলের একমাত্র বউ । এখন আমি যদি মরে যায় তাহলে আমার ছেলে আসবে কোথা থেকে। তাহলে তোর মেয়ে জামায় হারা হবে না””
আহান : what a logic. গোয়েন্দা অফিসার রায়ানের মাথায় এত লজিক আগে জানতাম নাতো।আমার কখনো মেয়ে হবে না।বলেই আহান চেহারা গম্ভির করে বলে,, এখন যদি গাড়িতে না উঠিস আই সয়ার তোকে এইখানেই রেখে যাব। আহান এই কথা বলতে দেরি রায়ানের উঠতে দেড়ি হয় নি। আহান আড়ালে একটা মুচকি হাসি দেয়। কে বলেবে এইটা দেশের নামকরা গোয়েন্দা অফিসার আরসানাল রায়ান। যার নাম শুনলে ক্রিমিনালদের ঘুম হারাম হয়ে যায় কিন্তু আহানের সামনে কিভাবে বাচ্চামু করছে। একেই মনে হয় বলে বন্ধুত্ব।

হল্লা পার্টির সবাই ঝুপের আড়ালে অপেক্ষা করছে আগত্য বক্তিটির জন্য । আর ইয়ানা ঘুমের অভিনয় করে সুয়ে আছে।
আর এইদিকে ইয়ানার কান্ড দেখে আহান হাসছে।
আহান : আমাকে ধরার জন্য তুমি আর তোমার বাদর বাহিনী এত কষ্ট করছো। so sad আজতো আমি যেতেই পারবো না কারন আজ আমি খুব ক্লান্ত। আজকে তোমাকে না দেখেই ঘুমাতে হবে। তুমিও ঘুমিয়ে পড়ো। আর সময় হলে আমার পরিচয় এমনিতেই জানতে পারবা। good night baby.
ইয়ানা এসএমএস দেখে প্রায় কান্না করার মতো অবস্থা। এই হাতির খম্বা জানলো কিভাবে আমাদের প্লেনের কথা।
ইয়ানা জানালা দিয়ে সবাইকে ডেকে নিয়ে আসে রুমের ভিতর।
রুহান : কি মশারে বাবা বাহিরে। কামড়িয়ে অবস্থা খারাপ করে দিলো। আর এইদিকে তুই এমনে ডাইনির মত ডেকে আনলি কেন।

ইয়ানা : রুহাইন্নার বাচ্চা আমি ডাইনি। তুই ডাইনি তর বউ ডাইনি।
রুহান : maile fimaile ঠিক রাখিস বইন আমি আবার ডাইনি হবো কিভাবে।
আয়াত : বন্ধ করবি তোদের এই বালের প্যাচাল। এই ছেরি কেরে ডেকে নিয়ে এনেছিস ওইটা বল।
ইয়ানা এইবার সবাইকে এসএমএস গুলো দেখায়। সবার চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম।
আরু : এ…. এ… এই বেডা জানল কেমনে । আমাদের প্লেন।
ইয়ানা : আচ্ছা রুমে কোনো ক্যামেরা নাইতো।
সবাই : কিহহ।

আকাশ : হতে পারে। না হলে আমাদের কথা উনি জানবে কিভাবে। কারন আমরা ছাড়াতো এইকথা কেউ জানে না।
ইয়ানা : এইবার কি হবে আমার। কতটা খারাপ হলে কেউ কোনো মেয়ের রুমে ক্যামেরা ফিট করে। রাগে।ইয়ানার মাথা ফেটে যাচ্ছে সাথে একরাশ ঘৃনা।
সুমু : আচ্ছা তোরা সবাইতো অগ্নি চৌধুরিকে চিনিস। উনিতো অনেক বড় মাফিয়া। যার নাম শুনলে পুরু শহড় আতংকে কাপে। উনি অনেককে সাহায্য করেছে।আমরা যদি উনার কাছ সাহায্য চাই তাহলে কেমন হবে?
আকাশ : এতদিন জানতাম তুই অনেক বুদ্ধিমতি কিন্ত আজ দেখলাম তোর মাথা পুরু ফাকা। বদ্ধির ব ও নেই। গাধা অগ্নি চৌধুরি অনেক বড় মাপের মাফিয়া উনি আমাদের কথা শুনতে যাবে কেনো।
সুমু : তা অবশ্য ঠিক। কিন্তু….
আরু : একটা উপায় আছে। আমরা যদি আহান ভাইয়াকে বলি তাহলে কেমন হয়। উনি না হয় আমাদের অগ্নি চৌধুরির সাথে দেখা করতে সাহায্য করবেন।
রুহান : হুম তা করা যায়। তাহলে কাল আমরা আহান ভাইয়ার সাথে দেখা করে সব খুলে বলব।
সবাই : ঠিক আছে তাহলে আমরা যায়।
সবাই চলে গেল।

এইদিকে আহান অফিসের কিছু কাজ করে বাড়িতে যায়। গিয়ে দেখে দাদুমনি বসে আছে।
আহান।: আরে দাদুমনি তুমি এখনি ঘুমাও নি?
দাদুমনি: কি করে ঘুমাব তুই এখনো বাসায় আসিসনি।আর এইরকম লাগছে কেনো তোকে?
আহান : দাদুমনি আমি কোনো ছোট বাচ্চা নই। আমাকে নিয়ে এত টেনশন করতে হবে না এখন থেকে ঘুমিয়ে পড়বা। না হলে আমি আর বাড়ি আসবো না।
এই বলে আহান সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গিয়ে থমকে যায় কারোর ডাক শুনে,,,,
সাজিদ চৌধুরী : আহান।
আহান এইবার পিছনে তাকিয়ে বলে,,,,

অনুভবে তুমি পর্ব ৫

– কিছু বলবেন।
সাজিদ চৌধুরী : কেমন আছো তুমি?
আহান : খারাপ থাকার তো কোনো কারণ নেই মি. চৌধুরী।আমি এখন আর ছোট বাচ্চা নয় যে কারোর দেখাশোনার উপরে নির্ভর করে থাকবো।
সাজিদ চৌধুরী খুব ভালো করে বুঝতে পেরেছেন এই কথাটা আহান তাকে খোঁচা মেরে বলেছে।
সাজিদ চৌধুরী ও আর কোন কথা বাড়ায়নি নিজের রুমে চলে যায়।
দাদুমনি: আহান খাবেনা।
আহান : না দাদুমনি খেয়ে এসেছি।এই বলে আহান নিজের রুমে চলে যায়।

অনুভবে তুমি পর্ব ৭