অনুরাগে তুই দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ সারপ্রাইজ পর্ব
সাদিয়া শওকত বাবলি
সময় নিজের মতো গড়িয়ে চলছে। সে এক মুহূর্তও অপেক্ষা করছে না কারো জন্য। সময়ের এই গতিশীল ধারায় কেটে গেছে বেশ অনেকটা দিন। ত্রয়ী এখন ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আগের তুলনায় স্বাস্থ্য বেড়েছে তার, পেটটাও উঁচু হয়ে উঠেছে। ত্রয়ী তো আগে থেকেই ফরসা ছিল। এখন স্বাস্থ্য ভারী হওয়ায় আরও ফরসা হয়ে উঠেছে। মাতৃত্বের সৌন্দর্য ছড়িয়ে পড়েছে তার সর্বাঙ্গ জুড়ে। শীর্ষ এবং তার বাড়ির লোক যথেষ্ট আদর যত্ন করছে ত্রয়ীর। ফাহমিদা বেগম এবং রিমার মধ্যে বিস্তর পরিবর্তন এসেছে। যে মানুষ দুটো একদিন ত্রয়ীকে সহ্য করতে পারতো না, বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল আজ তারাই তাকে চোখে হারায়। সারাক্ষণ লেগে থাকে তার যত্নে। প্রকৃতি বোধ হয় এমনই। কেড়ে নিয়ে আবার যখন ফিরিয়ে দেয় তখন দুই হাত ভরে দেয়। ত্রয়ী মাঝে মাঝে অবাক চোখে দেখে এদের। এই মানুষ গুলোই কি সেই মানুষ যারা একদিন তার সাথে দুর্ব্যবহার করেছিল? মানুষ সত্যিই পরিবর্তনশীল। এই যেমন পরিবর্তন ঘটেছে ফাহমিদা বেগম এবং রিমার।
দিনের তেজস্বী সূর্যটা ডুবে গিয়ে রাতের আঁধার ঘনিয়েছে। শহরের বুকটা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে কৃত্রিম সোডিয়ামের আলোয়। ত্রয়ী আধশোয়া হয়ে বসে আছে বিছানায়। বিরস চোখে দেখছে শীর্ষকে। বেচারা বিছানার পাশেই ব্যস্ত পায়ে পায়চারী করছে। সোহরাব হোসেন এবং আলেয়া বেগম কল করেছিলেন একটু আগে। তারা বলেছেন কাল ত্রয়ীকে দেখতে আসবেন। সেই সাথে মেয়েটাকে নিজেদের কাছে নিয়ে যাবেন। মেয়েদের প্রথম বাচ্চা নাকি বাবার বাড়িতে বসেই হয়। এটাই নাকি নিয়ম। যদিও তারা আগেই ত্রয়ীকে নিজেদের কাছে নিয়ে যেতে চেয়েছিল কিন্তু এ বাড়ির কেউ যেতে দেয়নি। বিশেষ করে শীর্ষ। এবারেও যখনই শুনেছে আলেয়া বেগম এবং সোহরাব হোসেন ত্রয়ীকে নিতে আসবে তখনই মেজাজ বিগড়ে গিয়েছে। শীর্ষ আরও কিছুটা সময় নিয়ে পায়চারী থামাল। চোখ মুখ শক্ত করে তাকাল ত্রয়ীর দিকে। কটমট করে বলল,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“বউ আমার, বাচ্চা আমার। সে বাচ্চা জন্ম দিতে আবার বউকে বাপের বাড়িতে গিয়ে থাকতে হবে। এ কোন বা’লে’র নিয়ম?”
এই টুকু বলে থামল সে। ত্রয়ীর পাশে ধপ করে বসে পড়ে বলল,
“কেবল ছয় মাস তোর। এখন বাবার বাড়িতে গেলে ফিরতে ফিরতে ছয় মাস তো যাবেই। কারণ বাচ্চা হওয়ার সাথে সাথেই তো আর তোকে নিয়ে আসা যাবে না। এতদিন আমি একা থাকবো কিভাবে?”
শীর্ষ দাঁড়িয়ে গেল। রুক্ষ কণ্ঠে ফের বলল,
“এই বালের নিয়ম আমি মানি না, মানব না।”
ত্রয়ীর হাসি পেল ভীষণ। তবুও অনেক কষ্টে ওষ্ঠে আসা হাসি টুকু গিলে নিল সে। মুখ বাঁকিয়ে বলল,
“এটা তো প্রথম বাচ্চার ক্ষেত্রে। আমি ভেবেছি আমার সব বাচ্চাদের সময়ই এভাবে ছয় মাস শ্বশুর বাড়ি থাকব, ছয় মাস বাপের বাড়ি থাকব।”
শীর্ষের দৃষ্টি তীক্ষ্ম হলো। দাঁতে দাঁত পিষে বলল,
“আমি আর বাচ্চাই নেব না।”
“তাহলে বাকি ছয়টার কি হবে? আপনি না বলেছিলেন সাত বছরে সাতটা?”
শীর্ষ থতমত খেয়ে গেল। নিজের বলা কথায় নিজেই কেমন ফেঁসে গেল সে। তার বউটাও কেমন চালাক হয়ে গেছে। কবে না কবে বলেছে সাত বছরে সাতটা বাচ্চা নিবে সেটাও মনে রেখে বসে আছে। তবে শীর্ষ নিজের সত্যিকার মনোভাব প্রকাশ করল না। ভাব নিয়ে বলল,
“নেব তো, সাত বছরে সাতটাই নেব। তবে তুই বাপের বাড়ি যেতে পারবি না।”
“যাব, একশত বার যাব। দেখি আপনি কিভাবে আটকান।”
“তোর পা কিন্তু আমি ভেঙে দেব।”
ত্রয়ী নিজের পা দুটো ছড়িয়ে দিল বিছানায়। নির্বিকার ভঙ্গিতে বলল,
“ভাঙুন পারলে দেখি।”
শীর্ষ কটমট করে তাকাল ত্রয়ীর দিকে। ত্রয়ী হেসে দিল সাথে সাথে। ইশার করে বলল,
“বসুন।”
শীর্ষ দ্বিরুক্তি করল না। থমথমে মুখ নিয়ে বসলো ত্রয়ীর পাশে। ত্রয়ী হাত বাড়িয়ে শীর্ষের একটা হাত ধরল। আলতোভাবে রাখলো নিজের পেটের উপর। নরম কণ্ঠে শুধাল,
“অনুভব করতে পারছেন আপনার সন্তানকে?”
শীর্ষ চুপ রইল। ত্রয়ীর পেটের উপরে হাত রেখে অনুভব করার চেষ্টা করল নিজের সন্তানকে। এই তো, এই তো মৃদু কম্পন টের পাওয়া যাচ্ছে। শীর্ষ লাফিয়ে উঠল। উৎফুল্ল কণ্ঠে বলল,
“আমার বাচ্চা নড়ছে, বালির বস্তা। আমার বাচ্চা নড়ছে।”
শীর্ষের উৎফুল্লতা দেখে প্রথমে ত্রয়ী খুশি হলেও পরক্ষণেই চোখ মুখ কুঁচকে এলো। আবার বালির বস্তা! তাদের বিয়ে হলো এতদিন হয়েছে, কয়েকদিন পর বাবা মা হবে। অথচ এই লোক এখনো বালির বস্তা ডাকাটা ছাড়তে পারল না। ত্রয়ী বিরক্ত হলো। কপট রাগ দেখিয়ে বলল,
“আপনি কি আমাকে এই বালির বস্তা বলাটা ছাড়বেন না?”
শীর্ষ হাসলো। দুই হাতে ত্রয়ীকে নিজের সাথে আগলে নিয়ে বলল,
“ওটা আমি কোনোদিন ছাড়বো না। যতদিন বেঁচে আছি তোকে এই নামেই ডাকব।”
দুপরের সময়। আকাশে স্থান করে নেওয়া সূর্যটা তেজস্বী হয়ে উঠেছে বেশ। চারদিকে তার উত্তপ্ততা ছড়িয়ে দিয়েছে। শীর্ষ এই ক্ষণে বাড়িতে ফিরল অফিস থেকে। আগে সকালে অফিসে গিয়ে রাতে বাড়িতে ফিরলেও এখন দুপুরেও ফিরে। দুপুরের খাবারটা বাড়িতে খেয়ে আবার অফিসে যায়।
শীর্ষ বাড়িতে প্রবেশ করেই প্রথমে গিয়ে ঢুকল নিজ কক্ষে। ত্রয়ী বিছানায় শুয়ে ছিল। স্বামীকে দেখেই উঠে বসলো সে। উৎফুল্ল কণ্ঠে বলল,
“আপনি এসেছেন? আপনার জন্য আমি অপেক্ষা করছিলাম।”
শীর্ষ কপাল কোঁচকাল। এক ভ্রু উঁচিয়ে শুধাল,
“কেন অপেক্ষা করছিলি?”
ত্রয়ী দৃষ্টি নুইয়ে নিল। ইতস্তত করে বলল,
“আমার একটা জিনিস খেতে ইচ্ছা করছে।”
“একটা জিনিস আবার কি? তোকে না বলেছি তোর যখন যা ইচ্ছা হবে, যা খেতে ইচ্ছা হবে সব আমাকে নির্দ্বিধায় বলবি।”
ত্রয়ী একটু সাহস পেল। ঝটপট বলল,
“আমার বিচি কলা খেতে ইচ্ছা করছে।”
শীর্ষ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল। হতবাক কণ্ঠে শুধাল,
“কি কলা?”
“বিচি কলা।”
“পৃথিবীতে এত কলা থাকতে শেষ পর্যন্ত কিনা তোর ঐ আটিযুক্ত বিচি কলা খেতে ইচ্ছা করছে!”
ত্রয়ী জোরপূর্বক হাসলো। অমতা আমতা করে বলল,
“আমার কি দোষ? আমি কি ইচ্ছা করে খেতে চেয়েছি নাকি? আপনার বাচ্চাই তো খেতে চাইছে। উঠতে বসতে শুধু বিচি কলা, বিচি কলা করছে।”
“হ্যা, এখন পেয়েছিস আমার বাচ্চাকে। নিজের দোষও সব চাপিয়ে দিচ্ছিস ওর উপর।”
“শুধু ও না। আপনারও দোষ আছে।”
শীর্ষ ফোঁস করে একটা নিঃশ্বাস ফেললো। আড়চোখে একবার ত্রয়ীর দিকে তাকিয়ে বলল,
“বিচি কলা কেন তোকে সব কলা এনে খাওয়াব তবে আমার একটা শর্ত আছে।”
“কি শর্ত?”
“তোর বাবা মা তোকে নিতে এলে বলবি তুই তাদের সাথে যেতে চাইছিস না, আমার সাথেই থাকতে চাইছিস। ঠিক আছে?”
“পারব না।”
“তাহলে তোকেও আমি বিচি কলা এনে খাওয়াব না।”
ত্রয়ী ঠোঁট টিপে হাসলো। মুখ ঘুরিয়ে বলল,
“আগে যা খেতে চেয়েছি এনে খাওয়ান তারপর ভেবে দেখবো।”
“ঠিক তো?”
“একদম।”
চারদিকে ঝলমলে উজ্জ্বল সূর্যের রশ্মি। আঁধার রাতের সময় কেটে ভোরের দেখা মিলেছে বেশ অনেকক্ষণ। জনজীবনও ব্যস্ত হয়ে পড়েছে অনেকটাই। সোহরাব হোসেন, আলেয়া বেগম এবং তৃপ্তি গতকাল রাতেই ঢাকায় এসেছে। আর সেই খবর রবির কানে যেতে না যেতেই সে ছুটে এসেছে শীর্ষদের বাড়িতে। এই তৃপ্তি মেয়েটার ইদানীং সাহস বেড়েছে খুব। বেয়াদব মেয়েটা ঢাকায় আসবে তা একবারও জানাল না রবিকে! তারপর এখানে এসে কল করে বলছে,
“আমি ঢাকায় এসেছি। আমার সাথে দেখা করতে আসুন।”
নাহ, এবার এটাকে একটা উচিত শিক্ষা দিতেই হবে। একটু খানি পুঁচকে মেয়ে। অথচ সর্বদা রবির মতো একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরায়। সেই তৃপ্তিকে যখন প্রেম নিবেদন করেছিল তখন এই বদমাইশ মেয়েটা তাকে কোনো উত্তর না দিয়েই বাড়িতে চলে গিয়েছিল। মোবাইল নাম্বারটা পর্যন্ত দিয়ে যায়নি। তারপর কত কাঠখড় পুড়িয়ে শীর্ষের মাধ্যমে কথা বলেছিল। তখন মেয়েটা বলেছিল,
“আমি তো ভেবেছিলাম ছয় মাস আপনাকে ঘুরাবো। পরীক্ষা করব যে আমি আপনার প্রেমের প্রস্তাব গ্রহণ না করলেও আমাকে ভালোবাসেন কিনা। তারপর আপনাকে আমার জবাবটা দেব।”
রবি ক্রোধে ফোঁস ফোঁস করতে করতে ঢুকল বাড়ির ভিতরে। ভাগ্য ভালো সবাইকে বসার কক্ষেই পেল সে। কিছুক্ষণ পূর্বে সকালের নাস্তা শেষ করে সবাই বসেছিল আলোচনায়। ত্রয়ীকে বাপের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার আলোচনায়। রবি দাঁড়াল সেখানে। ভদ্রভাবেই বলল,
“আসসালামুয়ালাইকুম।”
সোহরাব হোসেন মৃদু হেসে জবাব দিলেন,
“ওয়ালাইকুমুস সালাম। কেমন আছো, বাবা?”
“আলহামদুলিল্লাহ ভালো, আপনি?”
“আলহামদুলিল্লাহ।”
সোহরাব হোসেন আর কথা বাড়ালেন না। আবার মনযোগী হলেন আব্দুর রহমান খান এবং শীর্ষের সাথে। এই সুযোগে রবি ইশারা করল তৃপ্তির দিকে। তৃপ্তি দাঁড়িয়ে ছিল সোফার পাশেই। রবির ইশারা পেতেই সে সরে গেল সেখান থেকে। সবার অগোচরে বেরিয়ে এলো গৃহ থেকে। রবিও এলো তার পিছু পিছু। চোখ মুখে তার গম্ভীরতা। তৃপ্তি একবার তাকাল রবির দিকে। অতঃপর মিনমিনে কণ্ঠে বলল,
“কেমন আছেন?”
রবি তৃপ্তির এ প্রশ্নের উত্তর দিল না। বরং শক্ত কণ্ঠে বলল,
“তোমার সাথে ব্রেকআপ। আজ থেকে তুমি তোমার পথে থাকবে আর আমি আমার পথে। আমরা কেউ কারো সাথে কোনো যোগাযোগ করব না।”
তৃপ্তি চমকে উঠল। রবি এসব কি বলছে? আর ব্রেকআপ মানে কি? বলা নেই, কওয়া নেই হুট করে ব্রেকআপ বললেই হলো নাকি? এ নিশ্চয়ই রবি তার সাথে রসিকতা করছে, তাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। এ লোকের তো উঠতে বসতে সব সময় রসিকতা আর বাঁদরামি। তৃপ্তি কপালে ভাঁজ ফেলল। কণ্ঠে বিরক্তি নিয়ে বলল,
“একদম মজা করবেন না তো। সব বিষয়ে মজা ভালো লাগে না।”
“আমি কোনো মজা করছি না। সত্যি সত্যিই বলছি।”
তৃপ্তির তবুও বিশ্বাস হলো না রবির কথা। যে পুরুষ তার জন্য পা’গ’ল। একদিন কথা না বললে অস্থির হয়ে ওঠে সে কিনা বিচ্ছেদ চাইছে? অসম্ভব! আর যাই হোক সে রবির এ কথা বিশ্বাস করে না। তৃপ্তির মেজাজ গরম হলো। ভারী কণ্ঠে বলল,
“আমি কিন্তু এখন রাগ করব। সব বিষয় নিয়ে সব সময় মজা।”
রবির হৃদয়ের ক্রোধ যেন আরও চনমনে হলো। সে এতবার বলছে বিচ্ছেদ, বিচ্ছেদ অথচ মেয়েটা কানেই নিচ্ছে না। সে কি এতই গুরুত্বহীন। যে তার কোনো কথাকেই গুরুত্ব দেওয়া হবে না? রবি পকেট থেকে নিজের মোবাইলটা বের করল। তৃপ্তিকে দেখিয়ে দেখিয়ে তার নাম্বারটা ব্লক করল। অতঃপর রুক্ষ কণ্ঠে বলল,
“এই তোমার নাম্বার ব্লক করলাম। এরপরেও যদি তোমার মনে হয় আমি মজা করছি তাহলে তাই মনে করে থাকো। এদিকে আমি কোনো সুন্দরী মেয়ে দেখে নতুনভাবে ঘর বাঁধি।”
সুন্দরী মেয়ে! এই লোকের কত বড়ো সাহস। তার অভিমুখে দাঁড়িয়ে অন্য নারীর কথা বলে। তৃপ্তির হৃদয় জ্বলে উঠল। কটমট করে বলল,
“সুন্দরী মেয়ে! সুন্দরী মেয়ে একদম ভর্তা বানিয়ে খাইয়ে দেব আপনাকে। লজ্জা করে না? প্রেমিকার সামনে দাঁড়িয়ে অন্য মেয়ের কথা বলছেন।”
“প্রেমিকা! কিসের প্রেমিকা? তোমার সাথে একটু আগে আমার বিচ্ছেদ ঘটেছে। আমি এখন সিঙ্গেল, পিওর সিঙ্গেল।”
এই টুকু বলে থামল রবি। ওষ্ঠ বাঁকিয়ে বলল,
“এখন আমি পুরো ঢাকা শহর ঘুরে বেড়াবো আর সুন্দরী সুন্দরী মেয়েদের সাথে প্রেম করব। দেখি কে আটকায়।”
কথাগুলো কোনো মতে শেষ করে আর এক মুহূর্তও ঐ স্থানে দাঁড়াল না রবি। আর এক মুহূর্তও দাঁড়ালে নির্ঘাত তৃপ্তি তার মাথা ফাটিয়ে দিবে। যে জ’ল্লা’দ এই মেয়ে। রবিকে চলে যেতে দেখেই ফুঁসে উঠল তৃপ্তি। কণ্ঠ বাড়িয়ে বলল,
“ঢাকা শহরে ঘুরে ঘুরে সুন্দরী মেয়েদের সাথে প্রেম করবেন? দেখি কোন সাকচুন্নী আপনার প্রেমে পড়ে। আমার নামও তৃপ্তি। এক একটার চুল ছিঁড়ে গুলিস্তানে বাটি হাতে বসিয়ে দেব।”
অনুরাগে তুই দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ শেষ পর্ব
রবি হাঁটতে হাঁটতেই হাসলো। সে জানে তৃপ্তি তাকে ভীষণ ভালোবাসে, অন্য নারীদের সাথে সহ্য করতে পারে না। কিন্তু মেয়েটা একটু চঞ্চল এবং অবুঝ ধরণের। ঠিকভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারে না, ভালোবাসার মানুষটার যত্ন নেওয়া বোঝে না। আর রবি চায় তৃপ্তি তাকে ভালোবাসার পাশাপাশি তা প্রকাশ করবে, তার যত্ন নিবে, আদুরে কণ্ঠে আরো বেশি ভালোবাসার আবদার করবে।