অনুরাগে তুই পর্ব ১০

অনুরাগে তুই পর্ব ১০
সাদিয়া শওকত বাবলি

সময় গড়ালো কিছুটা। সকালের সময় পেরিয়ে প্রায় দুপুর এখন। সূর্যটা ঘুরতে ঘুরতে মাথার উপরে চলে এসেছে। নিজের তেজও বাড়িয়েছে পূর্বের তুলনায়। শীর্ষ এই সময়ে ত্রয়ীকে কোলে নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করল। ফাহমিদা বেগম ব্যতীত এই সময়ে বাড়িতে নেই কেউ। রিমা কলেজে, পন্না স্কুলে আর আব্দুর রহমান খান ফিরেননি এখনো। ফাহমিদা বেগম রান্নাঘরে কাজ করছিলেন। কলিংবেলের আওয়াজ পেয়ে বেরিয়ে এলেন তিনি। দরজা খুলতেই চোখে পড়লো শীর্ষকে। ত্রয়ীকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সে। ফাহমিদা বেগম অবাক হলেন। অবাক স্বরেই শুধালেন,
“একি ওকে কোলে নিয়েছিস কেন? কি হয়েছে ওর?”
শীর্ষ ভিতরে ঢুকতে ঢুকতে জবাব দিলো,
“এখনো কচি খুকি তো। ফিডার খায়। ঠিকভাবে হাঁটতেও শিখেনি। রাস্তার মধ্যে উলটে পড়ে হাত পায়ে ব্যথা পেয়েছে।”

ত্রয়ী অবাক হলো। সে আবার কখন রাস্তার মধ্যে উলটে পড়লো? তারা তো বাইক এক্সিডেন্ট করেছিল। লোকটা বানিয়ে বানিয়ে কি মিথ্যা কথা বলছে তার নামে। ত্রয়ী ওষ্ঠ ফাঁকা করল। বলে চাইলো সত্যিটা। কিন্তু কণ্ঠে কোনো প্রকার ধ্বনি তোলার পূর্বেই তার দিকে চোখ গরম করে তাকালো শীর্ষ। ফিসফিসিয়ে বলল,
“বাইক এক্সিডেন্টের কথা কোনোভাবে যদি তোর মুখ থেকে বের হয় তবে তোর সেই মুখ আমি ভেঙে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেব।”
ত্রয়ী ঢোক গিলল। কণ্ঠে ধ্বনি তুলে আর সে বলল না সত্যিটা। শীর্ষ আস্তে ধীরে এসে মেয়েটাকে শুইয়ে দিলো তার কক্ষের বিছানায়। অতঃপর কোনো প্রকার বাক্য বিনিময় ব্যতীতই বেরিয়ে গেল বাইরে। ফাহমিদা বেগমও এলেন তাদের পিছু পিছু। বসলেন ত্রয়ীর পাশে। মেয়েটার মাথায় হাত বুলিয়ে শুধালেন,
‌ “কোথায় কোথায় ব্যথা পেয়েছিস মা?”
বহুদিন পর কারো কণ্ঠে আহ্লাদী বাক্য শ্রবণে আবেগী হয়ে পড়লো ত্রয়ী। আঁখি দ্বয় ভরে উঠল তার সুখ অশ্রুতে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

চারদিকটা নিবিড় আঁধারে ঢাকা। দিনের আলোয় কোলাহল পূর্ণ শহরটা এই মুহূর্তে নীরবতায় ছেয়ে গেছে। জনমানবের সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছে না কোনো। শীর্ষ কেবলই গা এলিয়ে দিলো বিছানায়। কোমড়ে ব্যথা হচ্ছে ভীষণ। রাত হতেই ব্যথাটা যেন বেড়েছে পূর্বের তুলনায়। ব্যথার ঔষধ খাওয়া পরও ব্যথাটা বাড়লো কেন কে জানে। শীর্ষ কোমড় চেপে পাশ ফিরলো। হঠাৎ তার চোখ গেল বিছানার পাশের টেবিলের ওপরে। সেখানে ত্রয়ীর জামাকাপড়ের ব্যাগগুলো রাখা। রবি বিকালের দিকে গাড়িটা দিয়ে যাওয়ার পর এই ব্যাগগুলো সে এনে রেখেছিল নিজ কক্ষে। তারপর আর ত্রয়ীকে দিয়ে আসা হয়নি। তাছাড়া ত্রয়ীর ঔষধগুলোও তো তার কছেই রয়ে গেছে। সেগুলোও দিয়ে আসতে খেয়াল ছিল না। শীর্ষ একবার ভাবলো কাল সকালে দিয়ে আসবে। কিন্তু পরক্ষণেই তার মনে পড়লো সে ঔষধগুলো দেয়নি তার মানে ত্রয়ীরও রাতে ঔষধ খাওয়া হয়নি। শীর্ষ উঠবে না উঠবে না করেও বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়াল। কোমড় চেপে ত্রয়ীর জামা কাপড়ের ব্যাগগুলো আর ঔষধ নিয়ে এলো তার কক্ষের সম্মুখে। হাত উঁচিয়ে টোকা দিলো দরজায়। গলাটা হালকা উঁচিয়ে ডাকল,

“দরজা খোল বালির বস্তা। তোর জামা কাপড় আর ঔষধ নিয়ে যায়।”
ভিতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ এলো না। কেউ দরজাটাও খুলল না। ভ্রু কুঁচকাল শীর্ষ। ফের দরজায় টোকা দিয়ে ডাকল,
“বালির বস্তা, এই বালির বস্তা, শুনছিস? দরজা খোল তাড়াতাড়ি।”

এবারেও দরজাটা খুলল না কেউ। শীর্ষ আর ধৈর্য ধরতে পারলো না। এমনিই ধৈর্য শক্তি কম তার। তীব্র বিরক্তি নিয়ে একটু জোরেই দরজায় ধাক্কা দিলো সে। অমনি দরজাটা খুলে গেল। অবাক হলো সে। দরজা খোলা কেন? এই মেয়ে দরজা খুলে রেখে ঘুমায়? তবে তবে খুব বেশি মাথা ঘামালো না সে বিষয়টি নিয়ে। এই মেয়ে যা খুশি করুক তাতে তার কি? সে জামাকাপড় আর ঔষধ দিতে এসেছিল দিয়ে চলে যাবে। ব্যস তার কাজ শেষ। শীর্ষ আর কারো অনুমতির তোয়াক্কা করল না। দরজা ঠেলে ঢুকলো ভিতরে। ত্রয়ীর বিছানার পাশের টেবিলের ওপরে ঔষধ আর জামা কাপড়ের ব্যাগ গুলো রেখে পাশ ফিরতেই দেখা পেল মেয়েটার। বিছানার এক কোনে গুটিসুটি মে’রে শুয়ে আছে। শীর্ষ ভালোভাবে খেয়াল করল মেয়েটা কাঁপছে।‌

কপালে ভাঁজ পড়লো তার। মেয়েটার কি জ্বর টর এসেছে? কাঁপছে কেন এভাবে? ব্যথায় জ্বর আসতেও পারে। শীর্ষ এগিয়ে গিয়ে বসলো ত্রয়ীর পাশে। কপালে হাত দিতে গিয়েও ফিরিয়ে আনলো। কেমন ইতস্তত লাগছে তার। এমনি সে যতই মা’র’পি’টে, জেদি কিংবা বাজে স্বাভাবের হোক না কেন মেয়েদের বিষয়ে একদম আনাড়ি। নিজের অতি আত্মগরিমা ধরে রাখতে সেভাবে কখনো মেয়েদের পাত্তা দেওয়া হয়নি। কেউ নিজে এসে প্রেমের প্রস্তাব দিলে মনে হয়েছে এ মেয়ে ভালো না। ভালো মেয়েরা কখনো নিজে যেচে এসে ছেলেদের প্রেমের প্রস্তাব দিতে পারে না। আর নিজে থেকে যে কাউকে প্রেমের প্রস্তাব দিবে তাও মনে হয়েছে সে কেন কাউকে প্রেম নিবেদন করবে? তার স্বভাবের সাথে এ ধরণের কর্ম যায় না। কিন্তু এখন বিষয়টি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। ত্রয়ী অসুস্থ। এমন সময়ে নিজেদের আত্মগরিমার তুলনায় মানবিকতাকে অধিক প্রাধান্য দেওয়া উচিত। তাছাড়া মেয়েটার অসুস্থতার পিছনে অনেকাংশে তো সেই দায়ী। সেই তো নিজেকে ধরে রাখতে না পেরে বাইক এক্সিডেন্ট করেছিল। শীর্ষ নিজের ইতস্ততবোধকে পাশে ঠেলে এক হাত ছুঁইয়েই ফেলল ত্রয়ীর ললাটে। সত্যিই মেয়েটার জ্বর এসেছে। মনে হচ্ছে যেন জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে। তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলল শীর্ষ। টেবিল থেকে কিছু ঔষধ নিয়ে এসে ফের বসলো মেয়েটির পাশে। মৃদু স্বরে ডাকল,

“বালির বস্তা ওঠ। ঔষধগুলো খেয়ে নে তাড়াতাড়ি।”
ত্রয়ী উঠল না। সাড়াও দিলো না কোনো। শীর্ষ ফের তাকে ডাকল,
“এই মেয়ে ওঠ। ঔষধ গুলো খেয়ে নে তাড়াতাড়ি। নয়তো জ্বর ছাড়বে না।”
ত্রয়ী এবার নড়েচড়ে উঠল। নিভু নিভু দৃষ্টিতে চোখ মেলে তাকালো। শীর্ষকে দেখেই শোয়া থেকে উঠে বসার চেষ্টা করল সে। জ্বরের দাপটে শরীরটা দুর্বল হয়ে পড়ায় উঠতে পারল না। তাছাড়া হাতে পায়ও ব্যথা ভীষণ। মেয়েটা শীর্ষের টি-শার্টের সহায়তা নিয়ে উঠে বসার চেষ্টা করল। একটু শক্ত করে ধরার তাগিদে টি-শার্টের সাথে সাথে ত্রয়ী ধরল তার কোমড়েরও কিছু অংশ। চমকালো শীর্ষ। সাথে সাথে মৃদু স্বরে চ্যাচিয়ে উঠে বলল,
“হাত সরা বালির বস্তা। তুই যখন তখন আমাকে এভাবে ছুঁয়ে দিবি না। তুই ছুঁয়ে দিলেই আমার কিডনিতে ঝামেলা করে। ইউরিন উৎপাদন বেড়ে যায়। এমন করতে করতে যদি আমার কিডনি অ্যাটাক হয়ে যায় তখন কি হবে? তাড়াতাড়ি হাত সরা অসভ্য মেয়ে।”

কথাগুলো নিজে বলে নিজেই আহাম্মক বনে গেল শীর্ষ। এসব সে কি বলছে? ইউরিন উৎপাদন বেড়ে যায়! ছিঃ ছিঃ কি লজ্জার কথা। সব এই মেয়েটার দোষ। এই মেয়েটার সামনে এলেই তার সব কেবল গুলিয়ে যায়। কি বলতে কি বলে ফেলে নিজেও ঠিক বুঝে উঠতে পারে না। দুই দিন এ বাড়িতে আসতে না আসতেই এই মেয়ে তার সবকিছু গুলিয়ে দিচ্ছে। কিছুদিন পর আর কি কি করবে কে জানে। শীর্ষ ঢোক গিলল। ত্রয়ীর হাতটা নিয়ে তাড়াহুড়ো করে ঔষধগুলো দিয়ে বলল,
“ঔষধগুলো খেয়ে নিস।”
এই টুকু বলেই শীর্ষ যত্রতত্র পায়ে বেরিয়ে গেল কক্ষ থেকে। ত্রয়ী হাতে ঔষধ নিয়ে বোকা বোকা চোখে চেয়ে রইল লোকটার গমনপথে। লোকটা কি সব বলে গেল। তার ছোট মাথায় ধরছে না কিছুই। মানুষের আবার কিডনিও অ্যাটাক হয়? কই এমন কিডনি অ্যাটাকের কথা তো আগে কখনো শোনেনি সে।

রৌদ্রজ্জ্বল সুন্দর দিন। শহরের বুকটা কোলাহলে পরিপূর্ণ হয়ে উঠতে শুরু করেছে ধীরে ধীরে। খান বাড়ির সবাই সকালের নাস্তার উদ্দেশ্যে বসেছে টেবিলে। এরই মধ্যে কেটে গেছে বেশ কয়েকটা দিন। ত্রয়ী এখন বেশ সুস্থ। হাতে পায়ে ব্যথা নেই বললেই চলে। শীর্ষের কোমড়ের ব্যথাও কমে গেছে। আব্দুর রহমান খান খেতে খেতে রিমাকে বললেন,
“তোমার সাথে আজ ত্রয়ী মাকেও কলেজে নিয়ে যেও। তোমার এক ক্লাস নিচে হলেও ওর বিভাগ, কোন ভবনে ওদের ক্লাস হয় সবই তো তোমার জানা। ওকে একটু দেখিয়ে দিও। মেয়েটাকে ভর্তি করে রেখে এলাম সেই কবে অথচ অসুস্থতার জন্য ক্লাসই করতে পারলো না।”
“আমি পারব না। আমার অন্য কাজ আছে আজ।”
“কি কাজ?”

“আমার বান্ধবী তৃষ্ণার বাড়িতে যাব একটু। ওর থেকে জরুরি কিছু নোটস আনতে হবে।”
আব্দুর রহমান খান কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেলেন। তার বড়ো মেয়েটা যে ত্রয়ীকে পছন্দ করে না তা তিনি বেশ ভালোই বুঝতে পেরেছেন। রিমার সাথে আর কথা না বাড়িয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালেন শীর্ষের পানে। থমথমে কণ্ঠে বললেন,
“তুমি নিয়ে যেতে পারবে ওকে?”
“না।”
“আচ্ছা তাহলে তুমি মিস্টার সোহাগ…..”
এই টুকু বলতেই আব্দুল রহমান খানকে থামিয়ে দিলো শীর্ষ। তাড়াহুড়ো করে বলল,
“আমি নিয়ে যাব। শুধু কলেজ কেন? এই বালির বস্তাকে আমি আকাশ থেকে পাতাল যেথায় তুমি নিয়ে যেতে বলবে সেথায় নিয়ে যাব।”
আব্দুর রহমান খান ঠোঁট টিপে হাসলেন। একটু কেশে গলা পরিষ্কার করে বললেন,
“তাহলে ঐ কথাই রইল। আজ ত্রয়ীকে কলেজে তুমি নিয়ে যাচ্ছো।”

কলেজের যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে কক্ষ থেকে বেরিয়ে এলো ত্রয়ী। শীর্ষ বসার কক্ষেই বসে ছিল। মেয়েটি সে কক্ষে পা রাখতেই তার দিকে চোখ তুলে তাকালো শীর্ষ। অমনি থমকে গেল বেচারা। হৃদস্পন্দন গাঢ় হলো তার। ত্রয়ী আজ আবার সেই গোলাপি রঙা থ্রি পিসটা পড়েছে। মেয়েটাকে এই রঙে একটু বেশিই মানায়। একটু বেশিই স্নিগ্ধ লাগে। তবে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে হঠাৎ ভ্রু যুগল কুঁচকে এলো শীর্ষের। সেদিন বাইক এক্সিডেন্টের সময় তো ত্রয়ী এই জামাটাই পড়ে ছিল। তারা মাটিতে পড়ে এত ব্যথা পেল, শরীরের বিভিন্ন স্থানে কেটে গেল অথচ এই জামাটা অক্ষত রয়ে গেল কিভাবে? এটাও ছিঁড়ে যেতে পারতো। তাহলে আজ না এই মেয়েটা এই জামাটা শরীরে জড়াতে পারতো আর না তার হৃৎপিণ্ডটা এভাবে লাফাতে পারতো। শীর্ষ মুখ বাঁকালো। বিরবিরিয়ে বলল,

“লুচু হৃৎপিন্ড।”
পরপর শীর্ষ গিয়ে দাঁড়াল ত্রয়ীর মুখোমুখি। থমথমে কণ্ঠে বলল,
“এটা কি থ্রিপিস পড়েছিস? যা পালটে আয় এক্ষুনি।”
ত্রয়ী নিজের পা থেকে মাথা অব্দি চোখ বুলাল একবার। অতঃপর মিনমিনে কণ্ঠে বলল,
“কেন? এই থ্রি পিসে সমস্যা কি?”
শীর্ষ তেমন একটা না ভেবেই বলল,
“এই থ্রি পিসে তোকে একটুও ভালো লাগছে না। কেমন ম’রা ম’রা লাগছে। আমি ঐ কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। আমার একটা সম্মান আছে ওখানে। তোকে এই পোশাকে ওখানে নিয়ে গেলে লোকে বলবে এটাকে কোন কবর থেকে তুলে এনেছিস?”

ত্রয়ী দ্বিধায় পড়ে গেল। তাকে এই থ্রি পিসটায় সত্যিই এত খারাপ লাগছে যে লোকে বলবে কবর থেকে তুলে এনেছে? তাছাড়া গোলাপি জামায় কাউকে কবর থেকে উঠে আসা মানুষের মতো লাগে এই প্রথম শুনল মেয়েটা। সাদা জামা পড়লেও না হয় কথাটা মানা যেতো। ত্রয়ী নিজেকে আরেকবার পর্যবেক্ষণ করল। অতঃপর ছুট লাগালো নিজ কক্ষের দিকে। হয়তো এই পোশাকে তাকে খারাপই লাগছে। নয়তো শীর্ষ এভাবে বলতো না।
বেশ কিছুটা সময় নিয়ে ত্রয়ী আবারও এসে দাঁড়াল বসার কক্ষে। এবারে সে মেরুন রঙা একখানা থ্রি পিস জড়িয়েছে শরীরে। শীর্ষ তাকালো মেয়েটার দিকে। এই মেরুন রঙে ত্রয়ীর ফর্সা বদন যেন আরও মায়াবী হয়ে ধরা দিয়েছে। শীর্ষ বুকে হাত দিলো। আগের বারের তুলনায় আরও গতি বাড়িয়েছে তার লুচু হৃৎপিণ্ডটা। শীর্ষ জোরে জোরে কয়েকটা নিঃশ্বাস নিল। অতঃপর ধমকের সুরে বলল,

অনুরাগে তুই পর্ব ৯

“এসব কি পোশাক পড়ছিস তুই? একটায়ও ভালো লাগছে না তোকে।‌ আগেরটায় লাগছিল ম’রা ম’রা, আর এটায় লাগছে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো পাগলীদের মতো‌।”

অনুরাগে তুই পর্ব ১১