অনুরাগে তুই পর্ব ১১
সাদিয়া শওকত বাবলি
শীর্ষ জোরে জোরে কয়েকটা নিঃশ্বাস নিল। অতঃপর ধমকের সুরে বলল,
“এসব কি পোশাক পড়ছিস তুই? একটায়ও ভালো লাগছে না তোকে। আগেরটায় লাগছিল ম’রা ম’রা, আর এটায় লাগছে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো পাগলীদের মতো।”
ত্রয়ী বিভ্রান্ত হলো। সে এবার এই জামাটা পড়ে আয়নায় নিজেকে দেখে এসেছে। ভালোই লাগছিলো দেখতে। তাহলে শীর্ষ এমন কথা বলছে কেন? লোকটা তাকে বিভ্রান্তিতে ফেলার জন্য এমন কথা বলছে না তো? হতেও পারে। সকালে খাবার টেবিলে আব্দুর রহমান খান যখন তাকে কলেজে নিয়ে যাওয়া জন্য বলেছিলেন তখন এক বাক্যে শীর্ষ জবাব দিয়েছিল পারবে না। পরে আবার কি ভেবে যেন রাজী হয়ে গেল। এখন আবার হয়তো নিয়ে যেতে চাইছে না তাই এমন বলছে। জামা পরিবর্তন করাতে করাতেই কলেজের সময়টা কাটিয়ে দিতে চাইছে। ত্রয়ী নিজের দিকে একবার ভালোভাবে চোখ বুলালো। অতঃপর মিনমিনে কণ্ঠে বলল,
“এখন আবার জামা পালটাতে গেলে তো কলেজের দেরি হয়ে যাবে। আজ প্রথম দিনই যদি দেরি করি।”
শীর্ষ বিরক্ত হলো। ইচ্ছে করল মেয়েটাকে ধমকে বলতে,
“তোর কলেজে যেতেই হবে না। তুই বাড়িতে বসে থাক।”
মনে মনে কথাটা বললেও মুখে আর বলা হলো না। বলা তো যায় না ত্রয়ীকে কলেজে নিয়ে যায়নি শুনেই যদি আবার আব্দুর রহমান খান তাকে ঐ মিস্টার সোহাগের সাথে মিটিং এ পাঠিয়ে দেয়! তার থেকে এই মেয়েকে কলেজে দিয়ে আসাই শ্রেয়। শীর্ষ কপাল কুঁচকাল। বাইরের দিকে পা বাড়াতে বাড়াতে বলল,
“চল।”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
কিছুটা সময় অতিবাহিত হতেই শীর্ষ নিজের গাড়িটা থামালো কলেজের সম্মুখে। গাড়িটা সঠিক স্থানে পার্ক করে ত্রয়ীকে নিয়ে এলো ভিতরে। শীর্ষ এই কলেজের প্রাক্তন ছাত্র হওয়ার সুবাদে বেশ অনেকেই চিনে তাকে। এখানে সে মাঝে মাঝেই আসে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, সভায় নিজের দল নিয়ে আসে। শিক্ষকদের সাথেও একটা ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তবে শীর্ষকে কখনো কোনো মেয়েকে নিয়ে কলেজে আসতে দেখেনি কেউ। এ কলেজেই তার বোন পড়ে তাও অনেকের জানা। সেই বোনের সাথেও তো ততটা দেখা যায় না তাকে। তাহলে এই মেয়েটি কে? অনেকের মনেই প্রশ্নটা জাগালেও সরাসরি শীর্ষের নিকট জিজ্ঞেস করার সাহস করল না কেউ। শুধু কয়েকজন ছেলে ডেকে ডেকে জিজ্ঞেস করল,
“কেমন আছেন শীর্ষ ভাই?”
প্রতিবারই শীর্ষ হেসে জবাব দিলো,
“এই তো আলহামদুলিল্লাহ ভালো। তোরা কেমন আছিস?”
শীর্ষ ত্রয়ীকে নিয়ে এলো তার ক্লাসের দিকে। মেয়েটাকে কোনো রকমে ক্লাসে ঢুকিয়ে দিতে পারলেই তার দায়িত্ব শেষ। কিন্তু ক্লাসের সামনে আসতেই হঠাৎ পিছন থেকে ডাক পড়লো তার। পুরুষালী কণ্ঠে ভেসে এলো,
“শীর্ষ।”
শীর্ষ থেমে গেল। পিছন ফিরে তাকাতেই দেখা পেল একজন সুদর্শন যুবকের। শ্যামবর্ণা শরীরে তার আঁটসাঁট বেঁধে রয়েছে গাঢ় নীল রঙা একটি শার্ট। শীর্ষের ওষ্ঠে হাসি ফুটে উঠল। যুবকটির পানে এগিয়ে গিয়ে বলল,
“আরে সাহেদ! তুই এখানে?”
সাহেদ এবং শীর্ষ একইসাথে পড়েছে কলেজে। দুজনের মধ্যে খুব বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক না থাকলেও চেনা জানা ছিলো। সাহেদ আলতো হাসলো। শীর্ষকে নিজের সাথে জড়িয়ে ধরে বলল,
“হ্যা, চাকরি নিয়েছি এই কলেজে।”
“তুই না একটা কোম্পানিতে ঢুকেছিলি। এখানে এলি কবে?”
সাহেদ ছেড়ে দিলো শীর্ষকে। সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বলল,
“এই তো কিছুদিন আগে। অতিথি শিক্ষক হিসেবে ঢুকেছি।”
কথাটা বলতে বলতে সাহেদের চোখ পড়লো ত্রয়ীর দিকে। ভ্রু কুঁচকে সে শুধাল,
“এই মেয়েটি কে?”
“বো…”
‘বোন’ শব্দটা বলতে গিয়েও থেমে গেল শীর্ষ। কেমন ঐ শব্দটা বলতে ইচ্ছে হলো না তার, কণ্ঠনালী থেকে বেরুলো না। থমথমে কণ্ঠে সে বলল,
“আমার বাবার মামাতো ভাইয়ের মেয়ে ও।”
সাহেদ এক পলক তাকালো ত্রয়ীর দিকে। ওষ্ঠ প্রসারিত করে বলল,
“তাহলে তো সম্পর্কে ও তোর বোন হয়। তুই একদম চিন্তা করিস না। আজ থেকে ওর সব দায়িত্ব আমার।”
শীর্ষের হৃদয়ে কেমন হিংসাত্মক মনভাব জন্মালো। যেন জ্বলে উঠল বুকের ভিতরটা। সে জানে না এমন কেন হলো। শুধু জানে বুকে ভিতরে ধীরে ধীরে সূক্ষ্ম ব্যথার উদয় ঘটছে। শীর্ষ কিঞ্চিৎ সময় নিয়ে তাকিয়ে রইল সাহেদের দিকে। অতঃপর খপ করে ধরলো ত্রয়ীর এক হাত। টেনে পা বাড়ালো উলটো দিকে। যেতে যেতে বলল,
“বাড়ি চল বালির বস্তা। এই কলেজে তোকে আমি পড়াবো না।”
পরপর চোখ মুখ কুঁচকাল শীর্ষ। বিরক্তি নিয়ে বলল,
“কলেজটা আগে ভালোই ছিল। এখন সব লুচু ষাঁড়ে ভরে গেছে।”
ত্রয়ী অবাক হলো। এই কলেজে তাকে পড়াবে না তাহলে কোথায় পড়াবে? মাত্র কয়েকটা দিন আগেই গ্রামের কলেজ থেকে এখানে আনা হয়েছে তাকে। এখন আবার অন্য কলেজে! তাছাড়া এখানে তো এমন কিছু ঘটেনি যে তাকে হুট করে কলেজ পরিবর্তন করতে হবে। মেয়েটা কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেল। শীর্ষের সামনে মুখ খুলে কিছু বলার সাহস হচ্ছে না তার। এমনিই লোকটা যা খিটখিটে মেজাজের। কিছু বললেই ছ্যাত করে ওঠে। শীর্ষ ত্রয়ীকে নিয়ে এসে দাঁড়াল গাড়ির সামনে। আদেশের সুরে বলল,
“গাড়িতে ওঠ।”
ত্রয়ী গাড়িতে উঠল না। জোরে একটা নিঃশ্বাস নিয়ে নিজের ভিতরে সাহস সঞ্চয় করল কিছুটা। অতঃপর মিনমিনে স্বরে শুধাল,
“এ কলেজে আমাকে পড়াবেন না কেন? কলেজটা তো সুন্দর ছিল।”
“শুধু কলেজ সুন্দর থাকলেই হয় না। কলেজের মানুষ গুলোও সুন্দর থাকতে হয়।”
“তাহলে রিমা আপুকে কেন এই কলেজে ভর্তি করেছেন? এখানকার মানুষ সুন্দর না হলে নিশ্চয়ই তাকে এ কলেজে ভর্তি করতেন না।”
শীর্ষ ভ্রু কুঁচকাল। গম্ভীর কণ্ঠে শুধাল,
“তুই কি আমার মুখে মুখে তর্ক করছিস বালির বস্তা?”
ত্রয়ী ভীত হলো। যতটুকু সাহস তার ভিতরে সঞ্চয় করেছিল তা মুহূর্তেই উবে গেল শীর্ষের গম্ভীর কণ্ঠ শ্রবণে। ঢোক গিলল মেয়েটা। আমতা আমতা করে বলল,
“না মানে….”
“না মানে কি? তোর সাহস হলো কি করে আমার মুখের উপরে কথা বলার? তোকে তো আমি…”
বাকিটুকু বলার আর সুযোগ হলো না শীর্ষের। তার আগেই তার প্যান্টের পকেটে থাকা মোবাইলটা বেজে উঠল প্রবল ঝংকার তুলে। থেমে গেল সে। ত্রয়ীর দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলল,
“কল আসায় আজ বেঁচে গেলি তুই।”
শীর্ষ পকেট থেকে মোবাইলটা বের করল। স্ক্রীনের দিকে দৃষ্টি দিয়ে দেখলো রবির নামটা। সময় ব্যয় না করে কলটা রিসিভ করল সে। মোবাইলটা কানের কাছে ধরে বলল,
“হ্যা রবি বলল।”
ওপাশ থেকে রবি তড়িঘড়ি করে বলল,
“তাড়াতাড়ি ক্লাবে আয় শীর্ষ। সাকিব ওর মামা কায়সারকে নিয়ে এসে এখানে ঝামেলা করছে।”
শীর্ষের কপালে ভাঁজ পড়লো। থমথমে কণ্ঠে বলল,
“আসছি আমি।”
কল কেটে শীর্ষ তাকালো ত্রয়ীর দিকে। মেয়েটাকে এখন তার সাথে ক্লাবে নিয়ে যাওয়া যাবে না। ওদিকের পরিস্থিতি কেমন এখনো সে জানে না। সেখানে একটা মেয়েকে নিয়ে পরে যদি ঝামেলায় পড়তে হয়। তাছাড়া সেদিন তো মেয়েটাকে সাথে করে নিয়ে গিয়েছিল। আর মেয়েটা তাকে দিশেহারা করে তুলতে গাড়ি থেকে নেমে একা একা হাওয়াই মিঠাই কিনতে গিয়েছিল। সেক্ষেত্রে একে ক্লাবে নিয়ে যাওয়ার থেকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়াই ভালো। শীর্ষ কণ্ঠে থমথমে ভাব অব্যাহত রেখেই শুধাল,
“একা একা বাড়িতে যেতে পারবি তুই?”
ত্রয়ী কিঞ্চিৎ সময় নিয়ে ভাবলো। অতঃপর বলল,
“পারবো।”
ত্রয়ী পারবো বললেও শীর্ষ ঝুঁকি নিতে চাইলো না। এমনিই মেয়েটা এখানে নতুন। পথঘাট কিছুই চিনে না। তার উপর আবার বোকাসোকা, ভীতু। শীর্ষ একজন রিকশাওয়ালাকে ডেকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিলো তাদের ঠিকানা। অতঃপর তার ভাড়া মিটিয়ে ত্রয়ীকে উঠিয়ে দিল রিকশায়। রিকশা চালক রিকশা চালনা শুরু করলে সেও গিয়ে বসলো নিজের গাড়িতে। গাড়িতে স্টার্ট দিয়ে ছুটলো গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। ত্রয়ী এতক্ষণ এই সময়ের অপেক্ষাতেই ছিল। এমনি সে ভীতু হলেও আজ সাহস করল। শীর্ষের গাড়িটা তাদের রিকশাকে ছাড়িয়ে যেতে দেখেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল সে। রিকশাওয়ালাকে বলল,
“ভাইয়া রিকশা ঘুরান। আবার আমাকে কলেজের সামনে নামিয়ে দিয়ে আসুন।”
“ক্যান আপা? ঐ ভাই তো বইলা গেল একবারে আপনার বাড়ির সামনে নামাইয়া দিয়া আইতে।”
ত্রয়ী আমতা আমতা করে বলল,
“আসলে আমি কলেজে একটা বই ফেলে এসেছি ওটা আনতে হবে। আমাকে দয়া করে কলেজের সামনে দিয়ে আসুন না ভাইয়া।”
“আচ্ছা আপা।”
রিকশাওয়ালা রিকশা ঘুরালো। স্বল্প সময়ের মধ্যেই ত্রয়ীকে নামিয়ে দিলো কলেজের সামনে।
শীর্ষের হঠাৎ ত্রয়ীকে নিয়ে চলে যাওয়ায় কিছুটা অবাক হলো সাহেদ। তবে সে বিষয়টা নিয়ে মাথা ঘামালো না তেমন। পিছন ঘুরে পা বাড়ালো লাইব্রেরীর উদ্দেশ্যে। পথিমধ্যে দেখা হলো রিমার সাথে। মেয়েটা তাকে দেখেই এগিয়ে এলো। নম্র কণ্ঠে বলল,
“কেমন আছেন স্যার?”
সাহেদ মৃদু হেসে জবাব দিলো,
“আলহামদুলিল্লাহ ভালো। তুমি কেমন আছো?”
“জ্বী আলহামদুলিল্লাহ ভালো।”
“তোমার ভাইকে দেখলাম। তোমার বোনকে নিয়ে কলেজে এসেছিল।”
রিমা অবাক হলো। তার বোন মানে পন্নাকে নিয়ে শীর্ষ কলেজে এসেছিল? কিন্তু পন্নার তো এখন স্কুলে থাকার কথা। রিমা ভ্রু কুঁচকে শুধাল,
“কোন বোন?”
“ঐ তোমার বাবার মামাতো ভাইয়ের মেয়ে না কি যেন বলল।”
রিমার মেজাজ গরম হলো। সকালে অবশ্য খাবার টেবিলে সে শুনেছিল আব্দুর রহমান খান শীর্ষকে ঐ মেয়েটাকে নিয়ে কলেজে আসতে বলেছে। তবে সে ভেবেছিল শীর্ষ আসবে না। তারপর এলো না হয়। কিন্তু সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে কেন? আর পরিচয় দিলেও বা তাদের বোন বলে পরিচয় দিতে হবে কেন? আশ্চর্য!
সকালের সময় গড়িয়ে প্রায় দুপুরের পথে। অম্বরে অবস্থান নেওয়া সূর্যটা তার তেজ বাড়িয়ে দিয়েছে পূর্বের তুলনায়। শীর্ষ মাত্রই ক্লাবের সামনে এসে নামল। বাইরে থেকেই চেঁচামেচির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। এরা কি তাকে রেখেই মা’রা’মা’রি শুরু করে দিলো নাকি? ভ্রু কুঁচকাল শীর্ষ। লম্বা লম্বা পা ফেলে এলো ভিতরে। সে যা ভেবেছিল তাই। এরা তাকে রেখেই মা’রা’মা’রি শুরু করে দিয়েছে। অবশ্য মা’রা’মা’রি বললে ভুল হবে। শুধু হাতাহাতি করছে। এখনো কেউ তেমন আহত বা ব্যথা পায়নি বোধ হয়। শীর্ষ চোখ ঘুরিয়ে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করল চারদিকটা। অতঃপর গলা উঁচিয়ে বলল,
“কি বা’লে’র মা’রা’মা’রি করছিস? এখনো কেউ কারো মাথাই ফাটাতে পারলি না। তোদের দিয়ে কিচ্ছু হবে না। সব অকর্মণ্য।”
শীর্ষের কণ্ঠস্বর শুনতেই থেমে গেল সবাই। সাকিবের চোখ মুখ যেন চকচক করে উঠল। সে তার মামা কায়সারকে তড়িঘড়ি করে বলল,
“মামা এইটাই শীর্ষ রিজওয়ান। এই আমাকে ক্লাব থেকে বের করে দিয়েছিল।”
কায়সারের চোখ মুখ শক্ত হয়ে উঠলো। শীর্ষের দিকে তেড়ে এসে সে বলল,
“তোর সাহস হলো কি করে ওকে ক্লাব থেকে বের করার? তুই জানিস আমি কে?”
শীর্ষ ওষ্ঠ বাঁকালো। তাচ্ছিল্য করে বলল,
“কেন তুই ভুলে গেছিস যে তুই কে? মনে করিয়ে দিতে হবে আমাকে? তবে মনে করিয়ে দিচ্ছি তুই একটা বা’ল পাকনা ডিসের লাইন।”
শীর্ষের কথা শেষ হতে না হতেই হঠাৎ তার গালে একটা ঘুষি বসলো কায়সার। আকস্মিক আক্রমণে শীর্ষ সরে যেতেও সক্ষম হয়নি। ফলস্বরূপ তার ঠোঁটের কোণার দিকটা কেটে গেল। লাল রক্তের দেখাও মিললো সেখানে। শীর্ষ ফুঁসে উঠল। হাত বাড়িয়ে কায়সারের কলার চেপে ধরে বলল,
“হারামির বাচ্চা, তোর এত বড়ো সাহস আমার গায়ে হাত তুলিস।”
পরপর শীর্ষ একটা ঘুষি বসালো কায়সারের পেট বরাবর। ছিটকে মেঝেতে পড়লো সে। দুই দলের মধ্যে আবার মা’রা’মা’রি লেগে গেল। তবে কিছুটা সময় অতিক্রান্ত হতে না হতেই বাহির থেকে একটা ছেলে দৌড়ে এলো ক্লাবের ভিতরে। হন্তদন্ত হয়ে বলল,
“শীর্ষ ভাই পুলিশ এসেছে।”
অনুরাগে তুই পর্ব ১০
পুলিশের কথা শুনেই মা’রা’মা’রি থামিয়ে দিলো সবাই। শীর্ষ বিরক্ত হলো। এখনো কায়সার নামক বদমাইশটার মাথাই ফাটাতে পারলো না সে। এর মধ্যে পুলিশ এসে হাজির! নিশ্চয়ই আশেপাশের লোকজন মা’রা’মা’রি’র বিষয়টা টের পেতেই এদেরকে খবর দিয়েছে। তবে এখন পুলিশের হাতে ধরা পড়া চলবে না কিছুই। পুলিশের খাতায় একবার নাম উঠে গেলে আবার ঝামেলা। শীর্ষ নিজের ডান হাতটা উঁচালো। মধ্যমা আঙ্গুলের মস্তক দ্বারা ঠোঁটের কিনারের রক্ত মুছে আঙ্গুলটা উঁচিয়ে ধরলো কায়সারের সামনে। তাকে মধ্যমা আঙ্গুলটা দেখাতে দেখাতে বলল,
“আবার আসিস। চান্দের দেশে ঘুরিয়ে আনবো বাল পাকনা ডিসের লাইন।”
