অনুরাগে তুই পর্ব ১৩

অনুরাগে তুই পর্ব ১৩
সাদিয়া শওকত বাবলি

ফাহমিদা বেগম কপাল কুঁচকে জবাব দিলেন,
“না তো। রিমাও তো আসেনি এখনো। ত্রয়ীর ক্লাস রিমার আগে শেষ হয়েছে নাকি, মানে ত্রয়ীর কি আগে বাড়ি ফেরার কথা ছিল?”
শীর্ষের কপালে ভাঁজ পড়লো। ত্রয়ীকে তো সে সেই কখন রিকশায় তুলে দিয়ে এসেছিল। এতক্ষণে বাড়ি গিয়ে খেয়ে, গোসল সেড়ে ঘুমও দেওয়া যায়। তবে কি মেয়েটা বাড়িতে যায়নি? তাহলে গেল কোথায়? আবার কলেজে ফিরে যায়নি তো? শীর্ষ কপাল কুঁচকাল। থমথমে কণ্ঠে বলল,
“রাখছি আমি।”
“কিন্তু ত্রয়ী….”

ফাহমিদা বেগম আর পুরো কথাটা শেষ করতে পারলেন না। তার আগেই কল কাটলো শীর্ষ। মোবাইল ঘেটে কল লাগালো রিমাকে। ত্রয়ীর তো আর মোবাইল নেই যে তাকে কল করবে। তাই রিমার থেকেই জেনে নেওয়া যাক মেয়েটা ফের কলেজে গিয়েছে কিনা। কিন্তু পরপর দুইবার কল করার পরও রিমা কলটা ধরল না। মেজাজ চটলো শীর্ষের। কাজের সময় কাউকে পাওয়া যায় না। এবার একটু বেশিই চিন্তা হতে শুরু করল তার। আজকাল বিশ্বাস করতে আছে কে? ঐ রিকশাওয়ালা লোকটা তো খারাপও হতে পারে। শীর্ষ তো আর তার মনের মধ্যে ঢুকে দেখে আসেনি। একা একটা মেয়ে মানুষ পেয়ে বাড়িতে পৌঁছে না দিয়ে যদি অন্য কোথাও নিয়ে যায়! ত্রয়ীর কোনো ক্ষতি টতি করে দেয় তখন কি হবে? মেয়েটাও যে কিছু বলবে তাও তো পারবে না। সে এখানে নতুন। এখানকার পথঘাট বা বাড়ির রাস্তা কোনোটাই তেমন ভালোভাবে চিনে না। রিকশাওয়ালা যদি তাকে বাড়ির পথে না নিয়ে গিয়ে অন্য কোথাও নিয়ে যায় তাও তো বুঝতে পারবে না। শীর্ষ উদ্বিগ্ন হলো। দৃষ্টিতে উৎকণ্ঠা নিয়ে তাকলো এদিক ওদিক। হঠাৎ কিছু একটা মনে পড়তেই সে সোজা হয়ে দাঁড়াল। রবির দিকে তাকিয়ে শুধাল,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“তোর ভাই রাকিব আমাদের কলেজেই দ্বিতীয় বর্ষে পড়ে না?”
“হ্যা কিন্তু কেন? ওকে দিয়ে আবার তোর কাজ কি?”
“ওকে তাড়াতাড়ি কল লাগা তো। জিজ্ঞেস কর ও এখনো কলেজে আছে কিনা।”
রবি কপালে ভাঁজ ফেলে বলল,
“কেন?”
“এত কথা বলিস না তো।‌ কল করতে বলেছি কল কর।”
রবি আর দ্বিরুক্তি করল না। পকেট থেকে মোবাইল বের করে কল লাগালো ভাইকে। দুইবার রিং হতেই কলটা ধরল রাকিব। রবি আর ইতি উতি করল না। সরাসরিই প্রশ্ন করল,
“কলেজে তুই?”

“না কলেজ শেষ হয়েছে একটু আগে। এখন বাড়িতে যাচ্ছি। কেন কিছু বলবি?”
রবি মোবাইলটা কানের কাছে ধরে রেখেই শীর্ষকে বলল,
“কলেজ শেষ। বাড়িতে যাচ্ছে এখন।”
শীর্ষ এগিয়ে এলো। রবির কান থেকে মোবাইলটা টেনে নিয়ে ধরল নিজের কানে। কপালে ভাঁজ ফেলে শুধাল,
“ত্রয়ী আজ কলেজে গিয়েছিল?”
“ত্রয়ী কে?”
“নতুন একটা মেয়ে। আজই প্রথম কলেজে গিয়েছিল।”
রাকিব একটু সময় নিয়ে ভাবলো। মাথা চুলকে বলল,
“নতুন একটা মেয়ে তো আজ ক্লাসে দেখেছি তবে তার নাম কি তা জানা নেই।”
নতুন মেয়ে যখন রাকিব আজ ক্লাসে দেখেছে তবে সেই মেয়েটা ত্রয়ী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাহলে কি মেয়েটা তার আদেশ উপেক্ষা করেই আবার কলেজে চলে গিয়েছিল? শীর্ষ কপালট টান টান করল। আরেকটু নিশ্চিত হতে জিজ্ঞেস করল,

“মেয়েটা দেখতে কেমন ছিল? আর কি রঙের জামা পড়েছিল?”
“গোলগাল চেহারা, গায়ের রংটা হলদেটে ফর্সা। লম্বাও মোটামোটি। আর পড়নে কেমন লাল লাল একটা জামা ছিল। ওটাকে ঠিক লালও বলা যায় না। তবে রংটার নাম আমি ঠিক নিশ্চিত হয়ে বলতে পারছি না ভাই।”
রাকিব নিশ্চিত হয়ে জামার রঙের নাম বলতে না পারলেও শীর্ষ নিশ্চিত হয়ে গেল এটাই ত্রয়ী। চোয়াল শক্ত হয়ে এলো তার। ক্রোধে শরীরটা রি রি করে উঠল। মেয়েটার কত বড়ো সাহস তার আদেশ অমান্য করে কলেজে গিয়েছে। শীর্ষ ধাপ করে কলটা কাটলো। দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
“অভদ্র মেয়ে মানুষ। এমনিতে সবসময় ভেজা বিড়াল হয়ে ঘুরে বেড়ায়। দেখলে মনে হয় যেন ওকে কেউ কাঁটাটা পর্যন্ত খেতে দেয়নি। আর একটু সুযোগ পেলেই পাখির মতো উড়াউড়ি শুরু করে।”
থামল শীর্ষ। ফের কটমট করে বলল,

“কত বড়ো সাহস ওর। ও আমার কথা অমান্য করে কলেজে গিয়েছে। যে পা দিয়ে ও কলেজে গিয়েছে সেই পা-ই আজ আমি রাখবো না। কেটে চিড়িয়াখানায় নিয়ে গিয়ে কুমিরকে দিয়ে আসবো।”
রবি, আলভী এবং নয়ন এতক্ষণ অবাক হয়ে শুনছিল শীর্ষের কথা। এই ত্রয়ীটা আবার কে? আগে কখনো তো এই নামটা শীর্ষের মুখে শোনেনি তারা। আলভী অবাক হয়েই প্রশ্ন করল,
“এই ত্রয়ীটা আবার কে ভাই?”
শীর্ষ রাগে গজগজ করতে করতে এগিয়ে গেল বিছানার দিকে। শরীরের টিশার্টটা পালটে বিছানার উপরে ফেলে রাখা শার্টটা জড়ালো গায়ে। শার্টের বোতাম গুলো আটকাতে আটকাতে জবাব দিলো,

“তোর নানী।”
“কিন্তু আমার নানী তো….”
আলভী সম্পূর্ণ কথাটা শেষ করার পূর্বেই গটগট করে ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে গেল শীর্ষ। ঠাস করে আটকে দিলো দরজাটা। কেঁপে উঠল নয়ন, আলভী এবং রবি তিনজনই। নয়নের হাতের সিগারেটটা পড়ে গেল নিচে। আলভী বন্ধ দরজাটার দিকে দৃষ্টি রেখেই অবাক স্বরে বলল,
“কি হলো ব্যাপারটা?”
নয়নও তার হাত থেকে পড়ে যাওয়া সিগারেটটা কুরিয়ে নিতে নিতে জবাব দিলো,
“আপনার নতুন একটা নানী ডাউনলোড হয়েছে স্যার।”
নয়নের কথা শেষ হতে না হতেই রবি কপালে ভাঁজ ফেলে বলল,
“নানী তো পাওয়া হলো। কিন্তু এই নানীটা ঠিক কোন নানার থেকে আমদানি হলো সেটাই ভাবার বিষয়।”

দুপুরের তপ্ত রৌদ্র। সূর্যটা মাথার উপরে নেচে নেচে তার তেজ ছড়িয়ে দিয়ে যাচ্ছে। এই সময়ে হঠাৎ খান বাড়ির কলিং বেলটা বেজে উঠল। ফাহমিদা বেগম রান্নাঘরে রান্নার কাজ করছিলেন। কলিং বেলের শব্দ তার কানে পৌঁছতেই বিরক্ত হলেন। একা হাতে আর কত সামলানো যায়? একটু আগে ত্রয়ী এলো। রান্নার কাজ ছেড়ে দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে দিয়ে এলেন। এখন আবার কে এসেছে কে জানে। দরজাটাও যে একদম খুলে রেখে দিবেন তাও পারা যাচ্ছে না। ইদানীং চোর ডাকাতদের উৎপাত বেড়েছে। এই তো সেদিন দিনে দুপুরে তাদেরই দুটো বাড়ি পরে এক বাড়িতে ডাকাতি হলো। ঘরের সব তো নিয়েই গেছে সাথে ঘরে থাকা মহিলা দুজনকেও ধারালো অ’স্ত্র দ্বারা কু’পি’য়ে রেখে গেছে। সে কথা ভাবতেই শরীর শিউরে উঠল ফাহমিদা বেগমের। নাহ, এবার একজন গৃহকর্মী রাখতেই হবে। এ ছাড়া আর উপায় নেই। মনের মধ্যে নানান জল্পনা কল্পনা করতে করতে দরজার সামনে এসে দাঁড়ালেন ফাহমিদা বেগম। হাত বাড়িয়ে দরজাটা খুলতেই দেখা মিললো ছেলের। তবে তার মুখ পানে ভালোভাবে তাকানোর পূর্বেই শীর্ষ তড়িঘড়ি করে ভিতরে ঢুকলো। কোনো প্রকার বাক্যব্যয় ব্যতীত লম্বা লম্বা পা ফেলে প্রস্থান করল মায়ের সম্মুখ থেকে। ফাহমিদা বেগম অবাক হলেন। ছেলের গমনপথের দিকে দৃষ্টি রেখে বললেন,

“এর আবার কি হলো? তখন কল করেও ঠাস করে কেটে দিলো। এখন আবার বাড়িতে ঢুকেই ছোটাছুটি শুরু করেছে।”
ছেলের হঠাৎ এমন আচরণে ফাহমিদা বেগম অবাক হলেও নিজের অবাকতা নিজের মধ্যেই দমিয়ে রাখলেন আপাতত। এখনো তার রান্নার অনেক কাজ বাকি। দরজাটা কোনোমতে আটকে দিয়েই তিনি ফের ছুটলেন রান্নাঘরের দিকে।
ত্রয়ী কলেজ থেকে ফিরে মাত্রই জামা কাপড় নিয়ে ওয়াশ রুমের দিকে পা বাড়িয়েছিল। এর মধ্যে হঠাৎ সে অনুভব করল দরজা ঠেলে কেউ দ্রুত গতি হানা দিয়েছে তার কক্ষে। মেয়েটা তাকালো সেদিকে। শীর্ষকে চোখে পড়তেই অন্তরাত্মা কেঁপে উঠল তার। ভীত হলো হৃদয়। এ ছেলে হঠাৎ এভাবে তার কক্ষে কেন? তবে কি এর মধ্যে শীর্ষের কানে পৌঁছে গেছে যে সে তার কথা অমান্য করে কলেজে গিয়েছে? ত্রয়ী এলোমেলো দৃষ্টি ফেললো। কিছু বলবে তার পূর্বেই শীর্ষ ঝড়ের গতিতে এগিয়ে এলো মেয়েটার দিকে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শক্ত হাতে গাল চেপে ধরল তার। দাঁতে দাঁত চেপে বলল,

“তোকে এত বড়ো সাহস কে দিয়েছে? তুই আমার কথা অমান্য করে কলেজে গিয়েছিলি কোন সাহসে?”
ত্রয়ী চমকালো, ভরকালো। গালের ব্যথার অস্থির হয়ে উঠল যেন। শীর্ষ সেদিনের মতো এমনভাবে গাল দুটো চেপে ধরেছে মনে হচ্ছে যেন মাংস ভেদ করে গালের ভিতরে দাঁত ঢুকে যাবে। ফুঁপিয়ে উঠল মেয়েটা। চোখ ফেটে গড়িয়ে নামল অশ্রুধারা। শীর্ষ তবুও ছাড়ল না তাকে। ত্রয়ী দিশেহারা হলো। কোনো রকমে কণ্ঠে ধ্বনি তুলে বলল,
“গাল ছাড়ুন শীর্ষ ভাইয়া। আমার লাগছে ভীষণ।”
‘ভাইয়া’ শব্দটা যেন কলিজায় আঘাত হানলো শীর্ষের। মস্তিষ্ক বিক্ষিপ্ত হয়ে উঠল আরও। এমন কেন হলো জানা নেই তার। জানার খুব একটা চেষ্টাও করল না এই মুহূর্তে। কটমট করে বলল,
“কি বললি? ভাইয়া! সাবধান আমাকে তুই ভাইয়া বলে ডাকবি না।”
“তাহলে কি ডাকবো? চাচা! কিন্তু আপনি তো সম্পর্কে আমার ভাই হন। চাচা হয় আপনার বাবা।”
শীর্ষ হতভম্ব হয়ে ত্রয়ীর গাল ছেড়ে দিল। বিস্মিত হয়ে বলল,
“শেষ পর্যন্ত চাচা!”

ছাড়া পেয়েই দুই কদম পিছনের দিকে সরে গেল ত্রয়ী। গালে হাত দিয়ে মিনমিনিয়ে বলল,
“তাহলে কি বলে ডাকবো? ভাইয়া বলে ডাকতেও তো বারণ করলেন একটু আগে।”
“তাই বলে চাচা ডাকবি?”
“ভাইয়া বাদ দিয়ে চাচা, মামা, দাদা, নানা এসব সম্বোধন গুলোই তো বাকি থাকে। এগুলো বলেও যদি ডাকতে বারণ করেন তাহলে কি বলে ডাকবো? কিছু একটা বলে ডাকতে তো হবে। যেহেতু আপনি বয়সে আমার বড়ো নাম ধরে তো আর ডাকা যাবে না।”
“তোর আমাকে কিছু বলে ডাকতে হবে না, কিচ্ছু না। ফের যদি কিছু বলে ডাকিস তবে একদম গলা টিপে দেব।”
“আচ্ছা।”
ত্রয়ীর নরম সুর। শীর্ষ কপালে ভাঁজ ফেলে শুধাল,
“কি আচ্ছা?”
“বারবার গাল টিপে দেওয়ার থেকে গলা টিপে দেওয়া ভালো।”
শীর্ষের কপালের ভাঁজ গাঢ় হলো। সন্দিহান কণ্ঠে বলল,
“তা কিভাবে?”

“আপনি যেভাবে শক্ত করে গাল টিপে ধরেন তাতে আমার গাল লাল হয়ে যায়। গাল তো মুখমণ্ডলেরই একটি অংশ তাই ঢেকেও রাখা যায় না। লাল গাল নিয়ে জনসম্মুখে যেতে আমার লজ্জা লাগে। আর গলা টিপে দিলে গলা লাল হলেও ওড়না দিয়ে ঢেকে রাখা যাবে। কেউ দেখবে না। আমাকে লজ্জায়ও পড়তে হবে না।”
কি অদ্ভুত যুক্তি! নাক মুখ কুঁচকে এলো শীর্ষের। বিরক্তি নিয়ে বলল,
“গলা টিপে দেওয়া মানে বুঝিস তুই? আমি বলেছি গলা টিপে দেব অর্থাৎ তোকে গলা টিপে মে’রে ফেলবো।”
“কই আপনি তেমন কিছু তো বলেননি। আপনি শুধু বলেছেন গলা টিপে দিবেন। মে’রে ফেলবেন তা তো বলেননি।”
শীর্ষের মেজাজ চটলো। এই মেয়েটা কি সত্যিই এত বোকা নাকি বোকা হওয়ার ভান ধরছে, কোনটা? এত বড়ো হয়েছে অথচ গলা টিপে দেওয়ার মানে বোঝে না? শীর্ষ দাঁতে দাঁত পিষে বলল,
“তুই কি বলদ? গলা টিপে দেওয়ার মানে জানিস না এখনো?”
ত্রয়ী আড় চোখে একবার তাকালো শীর্ষের দিকে। নিচু কণ্ঠে বলল,
“ওটা বলদ হবে না, বলদি হবে। লিঙ্গ বলেও তো একটা বস্তু আছে।”

শীর্ষ এখানে এসেছিল ত্রয়ীকে শায়েস্তা করতে। তার কথার অবাধ্য হওয়ার শাস্তি দিতে। কিন্তু এখানে এসে এই মেয়ের কথা শুনে এখন মনে হচ্ছে হয় এর মাথায় একটা আঘাত করে এর মাথা ফাটিয়ে দিতে নয়তো নিজের মাথায়। শীর্ষের ভিতরে বিরক্তির রেশ বাড়লো। সাথে রাগও লাগছে ভীষণ। এ কোন মেয়ের পাল্লায় পড়লো সে? একটা মানুষ এতটা বোকা হয় কিভাবে? শীর্ষের আর ইচ্ছে হলো না ত্রয়ীর সম্মুখে দাঁড়িয়ে থাকতে। এখানে সে আর যত দাঁড়িয়ে থাকবে ততই মেজাজ বিগড়াবে। রাগে গজগজ করতে করতে কক্ষ থেকে বেরিয়ে গেল শীর্ষ। যাওয়ার আগে আবার শাসিয়ে বলে গেল,

অনুরাগে তুই পর্ব ১২

“তোকে আমি পরে দেখে নেব বালির বস্তা।”
শীর্ষ কক্ষ থেকে বের হতেই তড়িঘড়ি করে দরজাটা আটকে দিলো ত্রয়ী। এতক্ষণে যেন একটু স্বস্তি পেল মেয়েটা। যাক অবশেষে আপদ বিদায় হয়েছে। সে ভীতু হতে পারে কিন্তু বোকা নয়। এই কয়দিনে লোকটাকে তার ভালোভাবে চেনা হয়ে গেছে। লোকটা যখন অগ্নি রূপ নিয়ে কক্ষে ঢুকেছিল তখনই সে বুঝে নিয়েছিল কিছু একটা করবে। হয়তো তার অবাধ্য হওয়ার জন্য শাস্তি দিবে ত্রয়ীকে। তাই তো কথার মারপ্যাঁচে ফেলে গোল খাইয়ে কক্ষ থেকে বের করে দিলো শীর্ষকে। যাক এতক্ষণে অন্তত একটু শান্তি মিলেছে।

অনুরাগে তুই পর্ব ১৪