অনুরাগে তুই পর্ব ১৬
সাদিয়া শওকত বাবলি
মিস্টার সোহাগ দৌড় শুরু করল নয়নের দিকে। ঢোক গিলল বেচারা। বিরবিরিয়ে বলল,
“শয়তান সব দূরে যা, দূরে যা। কাছে আসিস না। ফুউউউউ।”
নয়নের প্রার্থনা বোধ হয় কবুল হলো না। মিস্টার সোহাগ দৌড়ে এসে দাঁড়াল তার মুখোমুখি। ওষ্ঠে হাসি ফুটিয়ে বলল,
“তুমি এখানে? পার্টিতে এসেছো বুঝি?”
“হহহ্যা এসেছিলাম। আবার চলেও যাচ্ছি এখন। আপনি থাকুন, আমি আসছি।”
কোনোমতে কথাগুলো বলেই রবিকে নিয়ে আবার সামনের দিকে পা বাড়ালো নয়ন। সোহাগ তৎক্ষণাৎ পথ আগলে দাঁড়াল তার। চঞ্চল কণ্ঠে বলল,
“কেন এখনই চলে যাচ্ছো কেন? আমাদের তো মাত্রই দেখা হলো। থাকো না আর একটু সময়।”
নয়ন ইতস্তত করল। রবির দিকে ইশারা করে বলল,
“সাথে উনি আছেন তো থাকা হবে না। আমি আসছি হ্যা?”
সোহাগ ভ্রু কুঁচকে শুধাল,
“উনি কে?”
“শীর্ষ স্যারের বন্ধু।”
সোহাগ গলা উঁচিয়ে আশেপাশে নজর বুলালো। উৎসুক হয়ে শুধাল,
“শীর্ষ এখানে এসেছে? কোথায় সে?”
“জানি না, আছে হয়তো আশেপাশে। আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে। আমি আসছি।”
সোহাগ মুখ কালো করে ফেলল। আহত কণ্ঠে বলল,
“এত আসছি আসছি করছো কেন? আর একটু সময় থাকো না এখানে। দেখছো তো চারদিকে পার্টিতে সবাই যে যার মতো ব্যস্ত। আমার দিকে কেউ তেমন দেখছে না। তুমি থাকলে তবুও তোমার সাথে একটু সময় কাটানো যাবে।”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
এই টুকু বলে থামল সোহাগ। ফের লাজুক স্বরে বলল,
“তোমার সাথে সময় কাটাতে আমার বেশ লাগে।”
নয়ন ভ্রু কুঁচকাল। কিঞ্চিৎ সময় নিয়ে ভাবলো কিছু একটা। অতঃপর রবিকে নিজের কাঁধ থেকে ঠেলে দিলো সোহাগের দিকে। কাঁধ ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বলল,
“এটাকে তাহলে আপনি সামলান। আমি থেকে যাচ্ছি আপনার সাথে সময় কাটাতে।”
সোহাগ তড়িঘড়ি করে ধরল রবিকে। রবি নিভু নিভু দৃষ্টিতে তাকালো তার দিকে। টেনে টেনে বলল,
“কে তুমি বৎস
ধরিয়া মৎস্য
সাজিয়াছো চাচি
অথচ দেখিতে চাচার মতো।”
সোহাগ হতবাক হয়ে পড়ল। বিস্মিত কণ্ঠে বলল,
“আমি চাচি! চাচার মতো দেখতে?”
পরপর ফুঁসে উঠল সে। খ্যাপাটে কণ্ঠে বলল,
“অসভ্য, ইতর ছেলে। কাকে কি বলতে হয় তাও জানে না। যৌবন এখনো আমার উপচে উপচে পড়ছে আর আমাকে কিনা বলে চাচা, চাচির মতো লাগে।”
ক্রোধে শরীরটা রি রি করে উঠল সোহাগের। নিজের থেকে রবিকে দূরে ছুড়ে দিলো প্রবল রাগে। নয়ন তড়িঘড়ি করে ধরতে উদ্যত হলো তাকে। কিন্তু ধরার পূর্বেই রবি ধপাস করে পড়লো মাটিতে। সাথে সাথে মাথা চেপে চ্যাচিয়ে উঠল সে। গলা বাড়িয়ে বলল,
“কে রে? কোন হা’রা’ম’জা’দা আমাকে ধাক্কা মা’র’লি? সাহস থাকলে সামনে আয়। তোমার ভবিষ্যতের বিদ্যুৎ লাইন আমি কেটে দেব। শা’লা বিটকেল।
কথাগুলো বলতে বলতে গলার স্বর ক্ষীণ হয়ে এলো রবির। স্বল্প সময়ের মধ্যেই আঁখি দ্বয় বন্ধ করে নিশ্চুপ হয়ে গেল সে। হয়তো জ্ঞান হারিয়েছে নয়তো ম’দে’র প্রভাবে ঘুমিয়ে পড়েছে। সোহাগ রক্তচক্ষু নিয়ে তাকালো রবির দিকে। দাঁতে দাঁত পিষে নয়নকে বলল,
“এই বদ’মাইশ’টাকে নিয়ে তোমাকে পার্টিতে থাকতে হবে না। এটাকে নিয়ে তুমি বরং চলেই যাও। আমি তোমার সাথে পরে দেখা করে নেব।”
কথাটা বলেই হনহন করে সোহাগ চলে গেল। নয়ন যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো। যাক আপদ আজ তাড়াতাড়িই বিদায় হয়েছে। অল্পতেই বেঁচেছে সে। কিন্তু এখন এই রবি নামক জন্তুটাকে নিয়ে সে কি করবে? ফোঁস করে একটা নিঃশ্বাস ফেলল নয়ন। রবিকে মাটি থেকে কোনো রকমে টেনেটুনে ঢুলে হাঁটা লাগালো সামনের দিকে।
শীর্ষ সরোয়ার চৌধুরীকে এদিক ওদিক খুঁজতে খুঁজতে শেষ পর্যন্ত তাকে খুঁজে পেল তারই কক্ষে। দরজা খোলা রেখেই কক্ষের মধ্যে তারই বয়সী কয়েকজন ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে কোনো এক বিষয়ে বিস্তার আলোচনায় মগ্ন ছিল লোকটা। শীর্ষ দরজা থেকে ভিতরে ঢুকলো। বড়ো গলায় বলল,
“আসসালামুয়ালাইকুম আঙ্কেল।”
হঠাৎ কক্ষে অপরিচিত কারো কণ্ঠস্বর শ্রবণে চমকালেন সরোয়ার চৌধুরী। চোখ তুলে তাকালেন দরজার দিকে। শীর্ষকে চিনে নিতে খুব একটা বেগ পেতে হলো না তাকে। মানুষ বন্ধুকে ভুলে যেতে পারে কিন্তু শত্রুকে খুব সহজে ভোলে না। তবে শীর্ষকে এই মুহূর্তে নিজের কক্ষে দেখে বেশ অবাক হলেন তিনি। যতদূর তার স্মরণে আছে আজকের এই পার্টিতে খান বাড়ির কাউকে তো নিমন্ত্রণ করা হয়নি। তাহলে শীর্ষ এখানে কি করছে? ললাটে ভাঁজ পড়লো সরোয়ার চৌধুরীর। কিঞ্চিৎ বিস্ময় নিয়ে শুধালেন,
“তুমি এখানে?”
শীর্ষ দাঁড়াল সরোয়ার চৌধুরীর মুখোমুখি। ওষ্ঠ প্রসারিত বলল,
“আপনি যে মহৎ কাজ করেছেন আঙ্কেল। তারপর যদি আপনার সাথে দেখা করতে না আসতাম তবে যে খুব বড়ো অন্যায় হয়ে যেতো আঙ্কেল।”
সরোয়ার চৌধুরী ঢোক গিললেন। তবে কি শীর্ষ সব জেনে গেছে? এর জন্যই কিছুদিন ধরে ফাহাদ বা নুহা গা ঢাকা দিয়েছে। মোবাইলটাও বন্ধ করে রেখেছে? সরোয়ার চৌধুরী তাকালেন তার সাথে থাকা লোকগুলোর দিকে। এরা তার বিজনেস পার্টনার এবং তাকে বেশ সম্মান করে। এদের সামনে যদি শীর্ষ তার কৃতকর্ম সম্পর্কে কিছু বলে দেয় তাহলে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে। মান সম্মান তো হারাবেনই সাথে এদের সাথে করা চুক্তিগুলোও হারাবেন। সরোয়ার চৌধুরী জোরপূর্বক হাসলেন। আমতা আমতা করে তার সাথের লোকদের বললেন,
“আপনাদের সাথে পরে কথা বলছি। ওর সাথে আমার কিছু জরুরি করা রয়েছে। পারিবারিক আর কি।”
লোকগুলো একে একে চলে গেলেন। এরপরে সরোয়ার চৌধুরী আবার তাকালেন শীর্ষের দিকে। থমথমে কণ্ঠে শুধালেন,
“কি চাই? এখানে এসেছো কেন?”
“ফাহাদ এবং নুহার সাথে মিলে আপনি আমাদের কোম্পানির যেসব কাগজপত্র নিজের জিম্মায় নিয়েছেন সেগুলো ফেরত নিতে এসেছি।”
সরোয়ার চৌধুরী অবাক হওয়ার ভান ধরলেন। উলটো রাগ দেখিয়ে বললেন,
“কিসব বলছো তুমি? আমি তোমাদের কোম্পানির কাগজ নিজের জিম্মায় নেব কেন? আর এই ফাহাদ, নুহাশ কে? আমি এদের চিনি না।”
শীর্ষ ভ্রু কুঁচকাল। সরোয়ার চৌধুরীর এমন অভিনয় দেখে অবাক না হয়ে পারলো না সে। লোকটা অসৎ হওয়ার সাথে সাথে অভিনয়েও বেশ পারদর্শী দেখা যাচ্ছে। শীর্ষ কিঞ্চিৎ সময় নিয়ে তাকিয়ে রইল তার দিকে। অতঃপর ঠোঁট বাঁকিয়ে বলল,
“আপনি এখানে কি করছেন আঙ্কেল?”
“মানে?”
“মানে হলিউড তো আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। নোবেল পুরস্কার কতৃপক্ষ দুই চারটা ভাঙা টিনের তৈরি নোবেল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আপনার মতো একজন গুনী অভিনয় শিল্পীর পথ চেয়ে।”
সরোয়ার চৌধুরী লজ্জাবোধ করলেন। একটু কেশে গলা পরিষ্কার করে তিনি বললেন,
“এখন তাহলে তুমি এসো। আজ আমার মেয়ের জন্মদিন। সে উপলক্ষ্যে নিচে পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে যেতে হবে আমাকে।”
“তা যান। তবে তার আগে আমার কাগজপত্র গুলো ফেরত দিয়ে যান।”
“আমি তোমার কোনো কাগজপত্র নেইনি যে ফেরত দেব।”
“আবার মিথ্যা কথা!”
“কি প্রমাণ আছে যে আমি মিথ্যা বলছি?”
শীর্ষের মেজাজ বিগড়ালো। মুখাবয়বে কঠিন আভা ছড়িয়ে পড়লো তার। প্যান্টের পিছনের দিকে হাত দিয়ে একটা ব’ন্দু’ক বের করে আনলো সে। ব’ন্দু’ক’টা সরোয়ার চৌধুরীর কপালে ঠেকিয়ে রুক্ষ কণ্ঠে বলল,
“মিথ্যার প্রমাণ তো আমার চেয়ে ভালো আপনি বলতে পারবেন। এখন ভালোয় ভালোয় বলুন তো কাগজগুলো কোথায়?”
সরোয়ার চৌধুরী ঘাবড়ালেন। মৃ’ত্যু ভয়ে বুকটা কেঁপে উঠল তার। তিনি জানতেন শীর্ষ একটু গু’ন্ডা, জেদি ধাঁচের। কিন্তু এ ছেলে যে এত ভয়ংকর তা তার ভাবনার বাহিরে ছিল। এত বছরের জীবনে সরোয়ার চৌধুরী বোধ হয় এই প্রথম ব’ন্দু’কের নলের মুখে পড়লেন। ভয়ে কুল কুল করে ঘামতে শুরু করলেন তিনি। ভীত কণ্ঠে বললেন,
“শীর্ষ তুমি কিন্তু….”
এই টুকু বলতেই তাকে থামিয়ে দিলো শীর্ষ। কপালে ঠেকানো ব’ন্দু’ক’টা আরেকটু শক্তভাবে ধরে বলল,
“কাগজগুলো কোথায় আছে বলবেন নাকি গু’লি আরে আপনার ঐ শয়তানী বুদ্ধিতে ভরা মস্তিষ্কটা উড়িয়ে দেব?”
সরোয়ার চৌধুরী আঁতকে উঠলেন। প্রাণের ভয় সবার আছে। কিছু কাগজের জন্য তিনি তার মূল্যবান জীবনটা ক্ষুয়াতে পারবেন না। শুকনো ঢোক গিললেন তিনি। কিছুটা ব্যস্ত হয়ে বললেন,
“বলছি, বলছি।”
“বলুন তাহলে।”
সরোয়ার চৌধুরী এলোমেলো দৃষ্টি ফেললেন। নিচু স্বরে বললেন,
“আলমারিতে আছে।”
শীর্ষ ব’ন্দু’ক’টা সরোয়ার চৌধুরীর দিকে তাক করে রেখেই আলমারির দিকে গেল। আলমারির দরজা ধরে টান দিয়ে বুঝলো তালা মা’রা। বিরক্ত হলো শীর্ষ। এখন আবার তালা খুলতে হবে। তাড়াহুড়োর সময় এই সব ঝামেলা কার ভালো লাগে। শীর্ষ কপাল কুঁচকাল। বিরক্তিভরা কণ্ঠে বলল,
“চাবি কোথায়? চাবি দিন।”
সরোয়ার চৌধুরী চুপ রইলেন। চাবিও দিলো না আর কোনো উত্তরও দিলেন না। শীর্ষ দাঁতে দাঁত চেপে ফের বলল,
“চাবি দিবেন নাকি গু’লি ছুড়বো?”
সরোয়ার চৌধুরী ঢোক গিললেন। নিজেই এগিয়ে গেলেন আলমারির দিকে। পকেট থেকে চাবি বের করে খুললেন আলমারিটা। সেখান থেকে কিছু কাগজপত্র বের করে দিলেন শীর্ষের হাতে। শীর্ষ একবার পরখ করে দেখলো সব ঠিক আছে কিনা। অতঃপর পা বাড়ালো দরজার দিকে। তবে দরজার কাছাকাছি যেতেই থেমে গেল সে। পিছন ঘুরে হাতের ব’ন্দু’ক’টা ছুঁড়ে দিলো সরোয়ার চৌধুরীর দিকে। তিনি বন্দুকটা ধরে ফেলতেই শীর্ষ বলল,
“এটা আপনার জন্য প্রাণপ্রিয় ভাঙা টিনের নোবেল বিজয়ী আঙ্কেল।”
পরপর শীর্ষ তড়িঘড়ি করে কেটে পড়লো। সরোয়ার চৌধুরী ব’ন্দু’ক’টা’র দিকে তাকিয়ে হতভম্ব হয়ে পড়লেন। এ তো খেলনা ব’ন্দু’ক। বাহ্যিকভাবে এটাকে আসল মনে হলেও হাতে ধরলেই বোঝা যায় এটা বাচ্চাদের খেলনা ব্যতীত আর কিছুই নয়। শীর্ষ তাকে এভাবে বোকা বানিয়ে সব কাগজ গুলো নিয়ে গেল?
আঁধারের গাঢ়ত্ব বেড়েছে। চারিদিক নিস্তব্ধ হয়ে পড়তে শুরু করেছে একটু একটু করে। আশেপাশের অনেক বিল্ডিং – এরই আলো নিভতে শুরু করেছে। খান বাড়িরও প্রায় সব কক্ষগুলোরই আলো নিভে গিয়েছে ইতোমধ্যে। শুধু রান্নাঘরের আলোটা জ্বলছে জ্বলজ্বল করে। রাতের খাবার শেষে ত্রয়ী সব গুছিয়ে রাখছে। বাসনগুলোও ধুয়ে সাজিয়ে রাখছে যথাস্থানে। এ কাজ মূলত ফাহমিদা বেগমই করছিলেন। ত্রয়ী দেখতে পেয়ে তাকে ঘুমাতে বলে নিজে করছে। ফাহমিদা বেগম প্রথমে যেতে না চাইলেও পরে ত্রয়ীর জোরাজুরিতে গিয়ে শুয়েছেন। বয়স বেড়েছে, সারাদিন এত কাজকর্ম সামলাতে সামলাতে তিনিও ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন বেশ।
ত্রয়ী রান্নাঘরের সবকিছু গুছিয়ে আলোটা নিভিয়ে দিলো। বসার কক্ষে প্রজ্বলিত ড্রীম লাইটের আবছা আলোয় পা বাড়ালো নিজ কক্ষের দিকে। তবে বসার কক্ষের ঠিক মধ্য বরাবর আসতেই হুট করে সে ধাক্কা খেলো কারো সাথে। আকস্মিক ধাক্কায় হকচকিয়ে উঠল ত্রয়ী। সাথে নিয়ে শরীরের ভারসাম্যও হারালো। নিজেকে নিচে পড়া থেকে বাঁচাতে তড়িঘড়ি করে সে খামচে ধরলো সম্মুখের ব্যক্তির পোশাকের কিছু অংশ। তবে অন্ধকারে এবং তাড়াহুড়ো করে ধরায় পোশাকের সাথে সাথে তার শরীরেও খামচি লাগলো। সাথে সাথে চ্যাচিয়ে উঠল সামনের ব্যক্তিটি।
“বালির বস্তার বাচ্চা বালির বস্তা। তখন ছুঁতে দেইনি বলে এভাবে প্রতিশোধ নিলি?”
ত্রয়ী চমকাল, ভরকালো। এ তো শীর্ষের কণ্ঠস্বর। সে ধাক্কা খেলো তো খেলো তাও এই লোকের সাথেই? মেয়েটা চোখ তুলে তাকালো উপরের দিকে। আবছা আলোয় শীর্ষের শক্ত চোখ মুখ স্পষ্ট। ঢোক গিলল সে। দৃষ্টি নত করতেই আঁতকে উঠল ফের। ত্রয়ী খামচে ধরেছে তো ধরেছে তাও শীর্ষের সেই পেটের সেই কাটা অংশটাই। মেয়েটা ব্যস্ত হলো। কিছু না ভেবেই ছেঁড়ে দিলো শীর্ষের শার্টটা। অমনি ধপাস করে পড়লো ইট, কংক্রিটে গড়া শক্ত মেঝেতে। আর্তনাদ করে বলে উঠল,
অনুরাগে তুই পর্ব ১৫
“ওহ মাগো।”
শীর্ষ কিঞ্চিৎ সময় নিয়ে কপাল কুঁচকে চেয়ে রইল ত্রয়ীর দিকে। অতঃপর নিজের কক্ষের দিকে পা চালাতে চালাতে বলল,
“এক মগ কফি নিয়ে আমার রুমে আয়।”