অনুরাগে তুই পর্ব ৩

অনুরাগে তুই পর্ব ৩
সাদিয়া শওকত বাবলি

“হ্যা, আমার ভোরে ভোরেই ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস।”
ফাহিমদা বেগম ফের তাকালেন ত্রয়ীর দিকে। ওষ্ঠে হাসির রেখা ফুটিয়ে বললেন,
“তোমাকে কিছু করতে হবে না মা। আমি একা একাই করে নেব। তুমি বরং গিয়ে আরেকটু সময় শুয়ে থাকো।”
ত্রয়ী এবার রান্নাঘরের ভিতরে এলো। নিজে থেকেই নাস্তা বানানোর কাজে হাত লাগিয়ে বলল,
“কাল আসার পর থেকে তো শুয়ে বসেই আছি। তাও আপনাকে একটু সাহায্য করি। আপনারও কাজটা তাড়াতাড়ি হবে। আর আমিও করার মতো কিছু পাবো। কাল থেকে শুয়ে বসে থাকতে থাকতে আর ভালো লাগছে না।”
ফাহমিদা বেগম বারন করতে গিয়েও করলেন না। নিজের মেয়ে দুটো তো কখনো কোনো কাজে সাহায্য করতে আসে না। বড়ো মেয়ে রিমা তার কাজ দেখলেই গায়ে জ্বর আসে আর ছোট মেয়ে পন্না কাজ দেখলে পালিয়ে বেড়ায়। তাও এই মেয়েটা একটু সাহায্য করলে তারই উপকার হবে। একা হাতে আর কতদূর সামলানো যায়? ফাহমিদা বেগম মুচকি হাসলেন। আলু আর কিছু পেঁয়াজ মেয়েটির দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল,

“সাহায্য যখন করবেই তাহলে এই আলু আর পেঁয়াজ গুলোই কেটে দাও। ভাঁজি করব।”
ত্রয়ী হাতে নিলো আলু আর পেঁয়াজ। কিন্তু এগুলো কাটবে কি দ্বারা? আশেপাশে কোনো দা-বটিও তো দেখা যাচ্ছে না। মেয়েটা আরেকবার আশেপাশে দৃষ্টি বুলিয়ে শুধাল,
“আন্টি এগুলো কাটবো কি দিয়ে?”
“তোমার পাশেই তো ছু’রি আর চপিং বোর্ড রাখা আছে। ওগুলো দিয়েই কাটবে।”
ত্রয়ী অবাক হলো। চোখ বড়ো বড়ো করে তাকালো ছু’রি আর চপিং বোর্ডের দিকে। ছু’রি দিয়ে এখন তাকে আলু পেঁয়াজ কাটতে হবে? গ্রামে তো দা কিংবা ব’টি দ্বারাই তারা সবাই কা’টা কা’টি’র কাজ করে। ত্রয়ী ছু’রি দ্বারা কাজ করতে তেমন অভ্যস্ত নয়। কথাটা ফাহমিদা বেগমকে জানাতে গিয়েও থেমে গেল। তিনি আবার কি না ভাবেন। হয়তো তাকে গ্রামের গাইয়া মেয়ে ভাববেন। ত্রয়ী আর কিছু বলল না ফাহমিদা বেগমকে। ছু’রি আর চপিং বোর্ডটা একটু টেনে নিয়ে আলু কা’টা শুরু করল আস্তে ধীরে। ত্রয়ীর কা’টা কা’টি’র মধ্যেই ফাহমিদা বেগম বললেন,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“তুমি ওগুলো কা’টো আমি একটু ওয়াশ রুম থেকে আসছি।”
ত্রয়ী মাথা নাড়িয়ে ইতিবাচক জবাব দিলো। রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন ফাহমিদা বেগম। কিছুটা সময় অতিবাহিত হতেই রান্নাঘরে প্রবেশ করল কেউ। মেয়েটা ঘাড় ঘুরিয়ে দেখতে পেল শীর্ষকে। লোকটার শরীরে জড়ানো একটা থী কোয়ার্টার প্যান্ট আর টিশার্ট, চুলগুলো উসকোখুসকো, হাতে একটা পানির জগ। চোখ মুখ এখনো ফোলা ফোলা। বোধ হয় কেবল ঘুম থেকে উঠে এসেছে। ত্রয়ী দৃষ্টি ঘুরালো। শীর্ষ একটু এগিয়ে গিয়ে কল ছেড়ে জগে পানি নিতে শুরু করল। মেয়েটা আলু কাটতে কাটতে আড় চোখে ফের তাকাল শীর্ষের দিকে। এমনিই তো সে ছু’রি দ্বারা কা’টা কা’টি’র কাজে অপারদর্শী তার মধ্যে আবার অন্য দিকে তাকানো। ফলস্বরূপ ছু’রি’টা আলুর গায়ে আঘাত না করে আঘাত করল ত্রয়ীর আঙ্গুলে। সাথে সাথে আঙ্গুল কেটে লাল রক্তের দেখা মিলল। আঁখি জোড়ায় দেখা মিলল লবনাক্ত অশ্রুকণার। কণ্ঠনালি ভেদ করে বেরিয়ে এলো “আহহ” মূলক ব্যথাতুর ধ্বনি। শীর্ষের কর্ণে পৌঁছালো ত্রয়ীর কণ্ঠ। তবুও সে এগিয়ে এলো না। আস্তে ধীরে জগটা পানি পূর্ণ করল। অতঃপর জগের ঢাকনা লাগাতে লাগাতে প্রশ্ন করল,

“কি হাত কেটেছে?”
ত্রয়ী অন্য হাত দ্বারা আঙ্গুলের কাটা স্থানটা চেপে তাকাল শীর্ষের দিকে। অস্ফুট স্বরে জবাব দিলো,
“হুম।”
“আঙ্গুল কেটেছে বুঝি?”
ত্রয়ী উপর নিচ মাথা নাড়িয়ে ইতিবাচক জবাব দিলো। শীর্ষ মুখ বাঁকাল। অবজ্ঞার স্বরে বলল,
“আহ, আঙ্গুল কাটলি কেন বরং হাতের গোড়া থেকে কেটে ফেলতি। এমনিও বালির বস্তাদের হাত পা কিছুই থাকে না। শুধু থাকে ঢেপুসের মতো একটা শরীর।”
থামল শীর্ষ। মুখ বাঁকিয়ে ফের বলল,
“এরপর আর আঙ্গুল না কেটে হাতের গোড়া থেকে কেটে ফেলবি ঠিক আছে, বালির বস্তা।”
কণ্ঠে তোলা বাক্যের সমাপ্তি ঘটিয়েই হেলেদুলে প্রস্থান করল শীর্ষ। ত্রয়ী হতবাক নয়নের তাকিয়ে রইল তার গমনপথে। একটা মানুষের হাত কেটেছে কোথায় লোকটা এগিয়ে আসবে, ব্যথিত আসবে তা না বলে গেল হাতের গোড়া থেকে কেটে ফেলতে? এ মানুষ নাকি আরও কিছু?

সময় গড়িয়েছে কিছুটা। রহমান খানকে নিয়ে শীর্ষ এসেছে অফিসে। রহমান খান অফিসে ঢুকলেও শীর্ষ ঢুকেনি। সে এসেছে সোজা ছাদের দিকে। ছয় তলা ভবনের তাদের অফিসটা। তবে ভবনের ছাদের দরজাটা সর্বদাই তালাবদ্ধ থাকে। শীর্ষ এবং তার অতি নিটকয়ী গুটি কয়েক মানুষ ছাড়া এখানে প্রবেশের আর কারো অনুমতি নেই। এমনকি ছাদে প্রবেশের দরজায় থাকা তালার চাবিও শীর্ষ ছাড়া আর কারো কাছে নেই। শীর্ষ চাবি দ্বারা দরজা খুলে ঢুকলো ভিতরে। ছাদের এক দিকে তিনটা কক্ষের অবস্থান বাকিটা খোলা। সে এগিয়ে গেল কক্ষ তিনটার দিকে। মাঝের কক্ষটার সামনে দাঁড়িয়ে টোকা দিলো দরজায়। প্রায় সাথে সথেই দরজাটা খুলে গেল। দেখা মিলল অল্প বয়স্ক এক তরুণের। এই তরুণ শীর্ষের এসিস্ট্যান্ট। শরীরে জড়ানো তার এক খানা সাদা রঙা শার্ট, গলায় কালো টাই আর চোখে চিকন ফ্রেমের চশমা। শার্টের এক ধার ইন করে প্যান্টের ভিতরে ঢুকানো আর অন্য ধার বাইরে ঝুলছে। গলার টাইটাও ঢিলে হয়ে ঝুলে গেছে। লম্বাটে শক্তপোক্ত দেহের শ্যামবর্ণা ছেলেটা হাত উঁচালো। তর্জনী আঙ্গুল দ্বারা চশমাটা চোখের দিকে একটু ঠেলে বলল,

“আপনি এসেছেন স্যার?”
শীর্ষ থমথমে কণ্ঠে জবাব দিলো,
“হুম। রবি আর আলভি কোথায়, নয়ন?
“আছে ভিতরেই।”
শীর্ষ ভিতরে ঢুকলো। সোজা তাকাতেই নজরে পড়ল আরেক অল্প বয়সী তরুণকে। যাকে মোটা রশি দ্বারা বেঁধে রাখা হয়েছে একটা কাঠের চেয়ারের সাথে। মাথা নুইয়ে রেখেছে সে। শীর্ষ ঘাড় বাঁকিয়ে তাকাল পাশ ফিরে। এবারে নজরে এলো আরও দুজন। একজন দাঁড়িয়ে রয়েছে আরেকজন একটা চেয়ারে বসা। তবে দুজনের পোশাকের অবস্থাই নয়নের মতো অগোছালো। শীর্ষ ভ্রু কুঁচকাল। গম্ভীর কণ্ঠে প্রশ্ন করল,
“ফাহাদ মুখ খুলেছে?”
বসে থাকা তরুণ ছেলেটা কোনো জবাব না দিয়ে গা এলিয়ে দিলো চেয়ারে। আর দাঁড়িয়ে থাকা জন বেশ বিরক্তি নিয়ে জবাব দিলো,
“না। কাল সারারাত মিলে আমি, রবি আর নয়ন মিলে এত চেষ্টা করেও এই কু’ত্তা’র বাচ্চার মুখ থেকে কিছু বের করাতে পারিনি।”

“ও কু’ত্তা’র বাচ্চা না বলেই মুখ না খুলে এত শক্ত হয়ে বসে আছে। কু’ত্তা’র পা’ছা’য় একটা লাথি মে’রে দেখিস সাথে সাথে মুখ খুলবে। ঘেউ ঘেউ করে উঠে তোকে কামড় দিবে। আর তারপর চৌদ্দটা ইঞ্জেকশন।”
শীর্ষ এগিয়ে গিয়ে দাঁড়াল ফাহাদের সম্মুখে। হাত বাড়িয়ে মুঠো করে ধরল তার মাথার চুল। টেনে মুখটা উঁচু করল। অমনি কপালে ভাঁজ পড়ল তার। ঘাড় বাঁকিয়ে রবি এবং আলভির দিকে তাকিয়ে বলল,
“তোদের না রাতে বললাম গুনে গুনে ওর গালে ছয়টা থাপ্পর বসাতে, বসাসনি?”
রবি এবং আলভি শীর্ষ বন্ধু। সেই ছোট বেলা থেকে তাদের একসাথে বেড়ে ওঠা, এক সাথে পড়াশোনা। এখনো তিনজন একসাথেই আছে। রবি উঠে দাঁড়াল চেয়ার ছেড়ে। ঝটপট উত্তর দিলো,
“বসিয়েছি তো।”

“তাহলে দাগ কই? মেয়ে মানুষের মতো থাপ্পর দিয়েছিলি?”
রবি আর আলভি একে অপরের দিকে তাকাল। ফায়াজ মেকি হেসে বলল,
“জোরেই দিয়েছিলাম। দাগও পড়েছিল তখন। এখন অনেকটা সময় কেটে গেছে না তাই দাগটও বোধ হয় উঠে গেছে।”
শীর্ষ বিরক্ত হলো। এই ছেলে গুলোকে দ্বারা যদি একটা কাজ ঠিক মতো হয়। থাপ্পর পর্যন্ত ঠিকভাবে মা’র’তে পারে না। শীর্ষ এবার তার হাতের উপর বল প্রয়োগ করল। জোরে টেনে ধরল লোকটার চুলগুলো। ফাহাদ চ্যাচিয়ে উঠল সাথে সাথে। শীর্ষ দাঁতে দাঁত চাপলো। কণ্ঠে ক্রোধ নিয়ে বলল,
“আমাকে বাবার মতো বোকা পেয়েছিস? বাবা থাকতে না হয় অফিস থেকে টাকা সরিয়েছিস, অফিসের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট অন্য কোম্পানিতে পা’চা’র করেছিস। কিন্তু আমি আসার পরও কোন সাহসে তুই এসব কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলি?”

থামল শীর্ষ। ফের একইভাবে ক্রোধের সাথে বলল,
“বাবা তোকে বিশ্বাস করে ম্যানেজারের পদটা দিয়েছিল। অথচ তুই তার এই প্রতিদান দিলি? বল তোর সাথে আর কে কে এই কাজে যুক্ত?”
ফাহাদ ঢোক গিলল। কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে জবাব দিলো,
“আমি কিছু করিনি। আপনি আমাকে ভুল বুঝছেন। সত্যিই আমি কিছু করিনি।”
শীর্ষ চুল ছেড়ে দিলো ফাহাদের। শক্ত হাতে ঠাস ঠাস করে থাপ্পর বসাল তার গালে। গুনে গুনে তিনটা থাপ্পর বসাতেই ফের চ্যাচিয়ে উঠল ছেলেটা। কোনো মতে বলল,
“বলছি, বলছি, সব বলছি।”

ফাহাদের কথা শুনে অবাক হলো নয়ন, রবি এবং আলভি। গতকাল থেকে তারা এত চেষ্টা করল এর মুখ খোলানোর, কি মা’র’টা’ই না মা’র’ল অথচ মুখ খুললো না। আর শীর্ষ আসতে না আসতেই মুখ খুলবে বলছে? নয়ন এগিয়ে এলো রবি এবং আলভি দিকে। তাদের পিছনে দাঁড়িয়ে মাথাটা ভরে দিল রবি আর আলভি দুইজনের দুই মাথার মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থানে। তর্জনী আঙ্গুলটা দ্বারা চোখের চশমাটা চোখের দিকে ঠেলে দিয়ে বলল,
“দেখেছেন স্যার কি বিশ্বাসঘাতক ঐ বদমাইশটা। গতকাল থেকে এটাকে মা’র’তে মা’র’তে আমাদের প্যান্ট থেকে অর্ধেক শার্ট বের করে ফেলেছি অথচ মুখ খোলাতে পারিনি। আর শীর্ষ স্যার এসে দুটো কি তিনটা থাপ্পর দিলো অমনি মুখ খুলতে রাজি হয়ে গেল।”
ফাহাদের দিকে দৃষ্টি স্থির রেখেই রবি বলল,
“তাই তো দেখছি।”
শীর্ষ একবার তাকাল রবি, আলভি এর নয়নের দিকে। অতঃপর আবার ফাহাদের দিকে তাকিয়ে বলল,
“বল তাহলে।”
ফাহাদ একটু সময় নিল। কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বলল,

“প্রথম দিকে সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। তারপর আপনাদের শত্রু সরোয়ার চৌধুরী কোম্পানী থেকে ডকুমেন্ট সরিয়ে তাদের নিকট দেওয়ার জন্য আমাকে এবং স্যারের এসিস্ট্যান্ট নুহাকে প্রস্তাব দেন। এবং আমাদের দুজনকে মোটা অংকের টাকার লোভও দেখান। ব্যস আমরা দুজন লোভে পড়ে যাই এবং কোম্পানি থেকে বেশ কিছু ডকুমেন্ট সরিয়ে তার কাছে দিয়ে দেই‌। সামান্য একটা কাজের জন্য এত গুলো টাকা এবং কারো কাছে ধরা না পড়ায় আমাদের সাহস বেড়ে যায়। তারপর আমরা দুজন মিলে কোম্পানি টাকাও সরানো শুরু করি। আর সাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলোও অন্যান্য কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেই। এই কাজগুলো মূলত নুহাই করতো। আমি শুধু তাকে সাহায্য করতাম।”
শীর্ষের মেজাজ খারাপ হলো আরও। চোখ মুখ কুঁচকে বলল,

“এর জন্যই তো বাবাকে বলি এই মেয়ে মানুষদের এসিস্ট্যান্ট হিসেবে রেখো না, রেখো না। এদের একটা লিপস্টিকের লোভ দেখালেও পটে যায়।”
শীর্ষের কথা শেষ হতে না হতেই আলভি বলে উঠল,
“ঠিক বলেছিস। আমিও তো বলি আঙ্কেলের কি দরকার এই বয়সে এসে মেয়েদের এসিস্ট্যান্ট হিসেবে রাখার? তার উপর আবার অল্প বয়সী সুন্দরী মেয়ে। দেখলেই কেমন কলিজায় ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল একটা ভাব জন্মে।”
শীর্ষ চোখ গরম করে তাকাল আলভি দিকে। অমনি চুপ হয়ে গেল সে। জোরপূর্বক হেসে বলল,
“আঙ্কেল যে তোর বাপ লাগে ওটা ভুলে গিয়েছিলাম ভাই। থুক্কু মাফ করে দে।”

অনুরাগে তুই পর্ব ২

রাত্রি গভীর। চারদিকটা ছেয়ে গেছে কৃষ্ণাভ আঁধারে। সেই সাথে জনজীবনে ছড়িয়ে পড়েছে নীরবতা। ত্রয়ী বসে রয়েছে তার কক্ষের বিছানায়। জীবনের সকল হিসাব নিকাশে ব্যস্ত সে। ছোট একটা জীবন তার। অথচ এই জীবনে যতটা অভিজ্ঞতা লাভ করেছে তা বোধহয় তার বয়সী আর কেউ পারেনি। তারও তো সুন্দর স্বচ্ছ এবং ভরপুর পরিবার নিয়ে একটা জীবন হতে পারতো। কেন তার ভাগ্যটা এতটা খারাপ হলো? তার ভাগ্যটা তো একটু ভালোও হতে পারতো। তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলল ত্রয়ী। গলাটা কেমন শুকনো শুকনো লাগছে। একটু পানি হলে ভালো হতো। মেয়েটা এগিয়ে গেল বিছানার পাশের ছোট টেবিলটার নিকট। জগটা হাতে তুলে বুঝল তাতে পানি নেই। এখন এই রাতে আবার পানি আনতে যেতে হবে।

অনুরাগে তুই পর্ব ৪