অনুরাগে তুই পর্ব ৩৫

অনুরাগে তুই পর্ব ৩৫
সাদিয়া শওকত বাবলি

রিকশাওয়ালা সম্পূর্ণ কথাটা বলার পূর্বেই তীব্র রুক্ষ কণ্ঠে শোনা গেল,
“কিন্তু কি আবার? ত্রয়ী যখন বলেছে ওর বৃষ্টির আগে বাড়িতে যাওয়া প্রয়োজন তখন ওকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসবি।”
অপরিচিত পুরুষালী কণ্ঠস্বর শ্রবণে সেদিকে ফিরে তাকালো ত্রয়ী। দেখা পেল কায়সারের। এই লোক আবার এখানে কেন? বারবার তার পিছু নিচ্ছে, তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করছে, পথ রোধ করছে, এখন আবার সাহায্য করতেও এগিয়ে আসতে চাইছে। লোকটার কার্যক্রম কেমন সন্দিহান ঠেকছে ত্রয়ীর নিকটে। কায়সারের দিকে দৃষ্টি রেখেই ভ্রু কুঁচকাল মেয়েটা। ততক্ষণে কায়সারও এগিয়ে এসে দাঁড়াল তার পাশাপাশি। রিকশাওয়ালাকে উদ্দেশ্য করে বলল,
“বৃষ্টি আসার আগেই ত্রয়ীকে ওর বাড়িতে দিয়ে আসবি।”
কায়সারকে চিনে নিতে খুব একটা বেগ পোহাতে হলো না রিকশাওয়ালাকে। কায়সার সর্বদা এই অঞ্চলের এমপির সাথে ঘোরে বিধায় এলাকার জনগন বেশ ভালোভাবেই তাকে চিনে। এবং তার ক্ষমতা সম্পর্কেও জানে। রিকশাওয়ালা লোকটা ঢোক গিললো। আমতা আমতা করে বলল,

“কিন্তু ভাই….”
“আবার কিন্তু কি? কি বলেছি তোর কানে যায়নি? যা ওকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আয় তাড়াতাড়ি।”
রিকশাওয়ালা আর কিছু বলার সাহস পেল না। ত্রয়ীর দিকে তাকিয়ে নরম কণ্ঠে বলল,
“রিকশায় ওঠেন আপা।”
ত্রয়ী কিঞ্চিৎ বিরক্ত হলো কায়সারের কার্যে। পেয়েছে একটা ক্ষমতা আর যেখানে সেখানে তার অপব্যবহার করছে। মেয়েটা কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেল। এখন তার বাড়িতে যাওয়া জরুরি। নয়তো যেকোনো সময়ে বর্ষার কবলে পড়ে নাস্তানাবুদ হতে হবে। ত্রয়ী আর কথা বাড়ালো না। চটজলদি উঠে বসলো রিকশায়। নমনীয় কণ্ঠে বলল,
“চলুন ভাইয়া।”
রিকশা চালক রিকশা চালনা শুরু করল। তবে মাঝপথে এসেই বাঁধল বিপত্তি। এতক্ষণ তো শুধু চারদিকটা আঁধারে ছেয়ে ছিল এখন মেঘেরা তর্জন গর্জন শুরু করেছে আকাশ জুড়ে। তীব্র বজ্রপাতের ধ্বনিও শোনা যাচ্ছে কাছে পিঠে থেকে। সাথে একটু পর পর হঠাৎ হঠাৎ আলোর ঝলকানি তো রয়েছেই। বাতাসের বেগও বেড়েছে পূর্বের তুলনায়। রাস্তার ধূলো গুলো সব এদিক সেদিক উড়ে বেড়াচ্ছে বায়ুর সাথে। তবে মেঘ গলিয়ে বৃষ্টিরা দেখা দেয়নি এখনো। শুধু প্রকৃতিতে সগৌরবে তাণ্ডব চালিয়ে জানান দিচ্ছে ‘আমি আসছি, আমি আসছি’। ত্রয়ী রিকশায় বসে তাকালো আশেপাশে। এই আবহাওয়ায় তেমন কোনো জনমানব রাস্তাঘাটে নেই। যাই দুই একজন রয়েছে তারাও বৃষ্টি নামার পূর্বে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার জন্য ছুটছে। ত্রয়ীর আশপাশটা দেখার মধ্যেই রিকশা চালক বলল,
“আফা রিকশার পাশের পলিথিনডা নামায়া লন। ধুলাবালি চোখে মুখে কম যাইবে।”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

ত্রয়ী ঘাড় ঘুরিয়ে রিকশার পাশে তাকালো। সেখানে পানি রঙা একটি মোটা পলিথিন বাঁধা। এক কালে হয়তো এই পলিথিনটা স্বচ্ছ ছিল, তবে কালের বিবর্তনে এখন কেমন ঘোলাটে রঙ ধারণ করেছে। মনে হচ্ছে যেন বহু ময়লা এই পলিথিনের বুকে আটকাতে আটকাতে পলিথিনের স্বচ্ছতা নষ্ট করে তাকে মলিন করে তুলেছে। ত্রয়ী পলিথিনটা নামিয়ে নিজেকে ঢেকে নিল। তবে অভিমুখে রিকশা চালকের দিকে নজর পড়তেই কিঞ্চিৎ খারাপ লাগা হানা দিলো তার হৃদয়ে। সে আয়েশ করে রিকশার বসার আসনে বসে রয়েছে আবার ধূলাবালিকে প্রতিরোধ করার জন্য পলিথিনও নিয়েছে। কিন্তু রিকশা চালক লোকটার জন্য কোনো প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেই। এই বৈরী আবহাওয়ায় ধূলাবালিকে ঠেলেই সে রিকশা চালিয়ে যাচ্ছে। নিশ্চয়ই লোকটার কষ্ট হচ্ছে ভীষণ। কি হতো রিমার তাকে আজ বাড়ির গাড়িতে নিয়ে গেলে? তাহলে এই আবহাওয়ায় এই লোকটাকে তো অন্তত কষ্ট করতে হতো না। ত্রয়ী নিজের নিগূঢ় ভাবনা চিন্তার মধ্যেই খেয়াল করল কেউ তার নাম ধরে ডাকছে। মেয়েটি নিজের ভাবনা চিন্তার ইতি ঘটালো। পাশ ফিরে তাকিয়ে ফের দেখা পেল কায়সারের। একটা বাইক নিয়ে তাদের রিকশাটির পাশে পাশেই ছুটে চলছে আবার মাঝে মাঝে ডাকছে তার নাম ধরে। ত্রয়ী কপালে ভাঁজ ফেললো। ভ্রু কুঁচকে শুধাল,

“আপনি? এভাবে আমার পিছু নিচ্ছেন কেন?”
কায়সার জবাব দিলো না ত্রয়ীর করা প্রশ্নের। সে বরং বাইক চালাতে চালাতেই একটি ছাতা এগিয়ে দিলো ত্রয়ীর দিকে। কণ্ঠ বাড়িয়ে বলল,
“ছাতাটা নাও। বাড়িতে যেতে যেতে বৃষ্টি নামতে পারে। তখন ভিজে যাবে।”
ত্রয়ীর চোখ বড়ো বড়ো হয়ে গেল, হৃদয়ে হানা দিলো ভয়েরা। কায়সার এসব কি শুরু করেছে? বাইক চালাতে চালাতে তাকে ছাতা নিয়ে সাধছে। আবার লোকটার দৃষ্টিও তার দিকে। এভাবে বাইক চালালে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ত্রয়ী হাত বাড়িয়ে ছাতাটা নিল না। নিজের চক্ষু দ্বয় বড়ো বড়ো রেখেই বলতে গেল কিছু। কিন্তু কণ্ঠনালী ভেদ করে কোনো বাক্য বের করার পূর্বেই বিকট ধ্বনিতে বজ্রপাতের ধ্বনি ভেসে এলো। সেই সাথে মনে হলো যেন আকাশ থেকে আলোর ফোয়ারা ছুটেছে। ত্রয়ী চমকাল, ভরকালো। ভয়ে হৃদযন্ত্রটা কেঁপে উঠল দ্রুত গতিতে। কায়সারকে তড়িঘড়ি করে সে বলল,

“আপনি পাগল? এই আবহাওয়ায় এভাবে ছাতা দিতে আসার কি প্রয়োজন ছিল?”
কায়সার হাসলো। ছাতাটা ছুঁড়ে রিকশার নিচের দিকে অর্থাৎ ত্রয়ীর পায়ের কাছে ফেলে বলল,
“প্রয়োজন ছিল বলেই এসেছিলাম। এখন প্রয়োজন শেষে আবার চলে যাচ্ছি। সাবধানে বাড়িতে যেও তুমি।”
নিজের কথা শেষ করে ত্রয়ীকে আর কিছু বলার সুযোগ দিলো না কায়সার। বাইকটা থামিয়ে দিলো ঐ স্থানেই। আর রিকশা চালক রিকশাটা চালিয়ে নিল সামনের দিকে। ত্রয়ী আর ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলো না পিছনের দিকে। দৃষ্টি নিবদ্ধ করল ছাতাটার পানে। তবে ছাতাটা উঠিয়ে সে হাতে নিল না। থাকুক না ওটা ওখানে পড়ে। এখন তো আর বৃষ্টি নেই। বৃষ্টি হলে না হয় ওটা পায়ের কাছ থেকে তোলা যাবে।
কিছুটা সময়ের ব্যবধানেই খান বাড়ির অভিমুখে এসে থামলো ত্রয়ীর রিকশাটা। এখনো আকাশের অবস্থা সেই বজ্রপাত এবং বিদ্যুৎ চমকানোতেই আটকে রয়েছে। পুরোপুরি বৃষ্টি কিংবা ঝড় কোনোটারই দেখা মেলেনি। ত্রয়ী রিকশা থেকে নামলো। রিকশা চালকের দিকে কিছু টাকা বাড়িয়ে দিয়ে বলল,
“আপনার ভাড়া।”
“ভাড়া লাগবো না আফা।”
“ভাড়া লাগবে না মানে কি? এই আবহাওয়ায় এতটা পথ কষ্ট করে নিয়ে এসে এখন কিনা বলছেন ভাড়া লাগবে না?”

“আপনের ভাড়া কায়সার ভাই-ই দিয়ে দেবেন।”
ত্রয়ী কপাল কুঁচকে বলল,
“আমার ভাড়া উনি দিবেন কেন? আমার ভাড়া আমিই দেব। আপনি ভাড়া নিন তো।”
রিকশা চালক ইতস্তত করে বললেন,
“কিন্তু আপনের কাছ থেকে ভাড়া নিছি জানলে কায়সার ভাই বকবো।”
“একে তো উনি আমার এমন কেউ হন না যে উনি আমার ভিড়া দিবেন আর আমিও সেটা মেনে নেব। আর দুইয়ে আপনি না বললে উনি কিভাবে জানবেন আপনি আমার‌ কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছেন নাকি নেননি?”
রিকশা চালক তবুও ভাড়া নিতে চাইলো না। ত্রয়ী অনেক জোরাজুরি করে শেষ পর্যন্ত ভাড়াটা দিয়েই দৌড় দিলো গৃহের দিকে। রিকশা চালক তৎক্ষণাৎ পিছু ডাকল তার। গলা উঁচিয়ে বলল,
“আফা আপনের ছাতি ফালাইয়া গেছেন রিকশায়।”
ত্রয়ী দ্রুত পা চালাতে চালাতেই পিছন ঘুরে তাকালো। গলার স্বর বাড়িয়ে বলল,
“ওটা আপনি রেখে দিন। আবহাওয়ার যা অবস্থা। যেতে যেতে আপনার প্রয়োজন পড়তে পারে।”

বিকালের সময়। তবে বৈরী আবহাওয়ার তান্ডবে তা বোঝার উপায় নেই। সেই দুপুরের দিকে মেঘেরা তর্জন গর্জন ছেড়ে যে বৃষ্টি শুরু করেছিল তা এখনো থামেনি। এই প্রবল বৃষ্টিকে মাথায় নিয়েই গাড়ি থেকে নামলো শীর্ষ। দৌড়ে গিয়ে দাঁড়াল গৃহের মূল দরজার অভিমুখে। অফিসের একটা কাজে সকালের দিকে শহরের বাইরে গিয়েছিল সে। তারপর এই বৃষ্টি বৃষ্টি করে ফিরতে এত দেরি। শীর্ষ হাত উঁচিয়ে বাড়ির কলিং বেলটা চাপলো। তবে দরজাটা খুললো না। হয়তো বৃষ্টির শব্দে কলিং বেলের শব্দ শুনতে পায়নি কেউ। ছেলেটা অধৈর্য হয়ে উঠল। বাড়ির মূল দরজার উপরে ছাঁদ থাকায় বৃষ্টির পানি উপর থেকে তার দেহে পড়ছে না কিন্তু আশপাশ থেকে ছিটে ছিটে ঠিকই আসছে। বিরক্তিতে কপাল কুঁচকে এলো শীর্ষের। হাত উঁচিয়ে লাগাতার চাপতে শুরু করল কলিং বেলটা। এবারে স্বল্প সময়ের মধ্যেই দরজাটা খুলে গেল। দরজা খুলেছে নুড়ি। চোখে মুখে মেয়েটার ঘুম ঘুম ভাব। হয়তো বৃষ্টিতে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশে একটু ঘুম দিয়েছিল সে। শীর্ষ আশেপাশে তাকালো। বাড়ির আর কোনো সদস্যদেরও এই মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে না এখানে। সে আর কোনো বাক্যব্যয় করল না। নুড়িকে পাশ কাটিয়ে হাঁটা ধরল সামনের দিকে। তবে ত্রয়ীর কক্ষের সম্মুখে আসতেই কি মনে করে যেন থেমে গেল। এগিয়ে গিয়ে টোকা দিলো মেয়েটার কক্ষের বন্ধ দরজায়। প্রায় সাথে সাথেই ভিতর থেকে ভেসে এলো,

“কে?”
শীর্ষ একটু কেশে গলা পরিষ্কার করে নিল। অতঃপর গুরুগম্ভীর কণ্ঠে বলল,
“আমার রুমে কফি নিয়ে আয়।”
কথাটা বলে ঐ স্থানে আর দাঁড়াল না সে। পা চালিয়ে গিয়ে ঢুকলো নিজ কক্ষে। গায়ে জড়ানো শার্টটা খুলে এগিয়ে গেল আলমারির দিকে। সেখান থেকে একটি ট্রাউজার নিয়ে ঢুকলো ওয়াশ রুমে।
কফি বানাতে খুব একটা সময় লাগলো না ত্রয়ীর। মিনিট দশেকের মধ্যেই সে কফি হাতে চলে এলো শীর্ষের কক্ষের অভিমুখে। হাত উঁচিয়ে দরজায় টোকা দিয়ে শুধাল,
“আসবো?”
ভিতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ এলো না। ত্রয়ী হাত উঁচিয়ে ধাক্কা দিলো দরজায়। অমনি দরজাটা খুলে গেল। মেয়েটা আর খুব বেশি ভাবলো না। ভিতরে ঢুকে হাতের কফির মগটা রাখলো বিছানার পাশের টেবিলে। তখনই ওয়াশ রুমের দরজা খোলার আওয়াজ এলো। ত্রয়ী কিঞ্চিৎ চমকালো। তৎক্ষণাৎ তাকালো পিছন ঘুরে। তবে সাথে সাথেই থমকে গেল সে। শীর্ষ আবার উদম শরীরে! লোকটার দেহের নিম্নভাগে একটি কালো রঙা ট্রাউজার জড়ানো আর উর্ধ্বভাগ ন’গ্ন। এই কক্ষে এলেই এই লোকের উদম শরীরের দর্শন মেলে। এর কি জামাকাপড় বলতে কিছু নেই যে যখন তখন শরীরকে উদম করে ঘুরতে হবে। ত্রয়ী নাকমুখ কুঁচকাল। বিরবিরিয়ে বলল,
“লাজ লজ্জাহীন পুরুষ মানুষ কোথাকার।”
একটু থামল সে। পরপর দৃষ্টি নুইয়ে নিল সে। ইতস্তত করে বলল,
“আপনার কফি টেবিলের উপরে রেখেছি। এবার আসছি আমি।”
শীর্ষ জবাব দিলো না কোনো। ট্রাউজারের পকেটে হাত পুড়ে এগিয়ে গেল বারান্দার দিকে। সেখান থেকে গলা উঁচিয়ে ডাকল,

“এদিকে আয় বালির বস্তা।”
ত্রয়ী গুটি গুটি পায়ে গিয়ে দাঁড়াল বারান্দায়। নরম কণ্ঠে শুধাল,
“বলবেন কিছু?”
শীর্ষ বৃষ্টির দিকে ইশারা করল। পকেট হাত গুজে রেখেই বলল,
“বাহিরে হাত বাড়িয়ে দে। বৃষ্টিটা ছুঁয়ে দিক তোকে। প্রাণ খুলে, ভালোবেসে অনুভব কর বৃষ্টিকে।”
ত্রয়ী বাহিরে হাত বাড়াবে না বাড়াবে না করেও বাড়িয়ে দিলো। মুহুর্তেই বৃষ্টির ছোট ছোট পানি বিন্দুরা ছুঁয়ে দিতে শুরু করল তার হাতকে। ত্রয়ীর সম্পূর্ণ দেহভাগ কেমন শিরশিরিয়ে উঠল। অজানা, সতেজ একটি অনুভূতি গ্রাস করে নিল তার হৃদয়কে। মেয়েটি পরম আবেশে চোখ বন্ধ করে নিল। উপভোগ করতে শুরু করল বৃষ্টিকে। শীর্ষ তাকালো ত্রয়ীর স্নিগ্ধ মুখশ্রীর পানে। কেমন ঘোর লেগে যাচ্ছে তার। নিজের স্থান পরিবর্তন করল শীর্ষ। নিঃশব্দে এসে দাঁড়াল ত্রয়ীর পিছনে। কণ্ঠ খাদে নামিয়ে শুধাল,
“আজকের আবহাওয়াটা ভীষণ সুন্দর তাই না?”
ত্রয়ী চোখ বন্ধ রেখেই আনমনে জবাব দিলো,
“হুম।”

অনুরাগে তুই পর্ব ৩৪

“জানিস তো! আজকের আবহাওয়াটা আমাকে একটা কাজের জোর তাগিদ দিচ্ছে।”
ত্রয়ী নিজের চোখ দুটো খুললো। মৃদু স্বরে জিজ্ঞেস করল,
“কি কাজের?”
শীর্ষ আলতো হাসলো। দুই কদম এগিয়ে ঘনিষ্ট হলো ত্রয়ীর সাথে। ফিসফিসিয়ে বলল,
“বিয়ের।”

অনুরাগে তুই পর্ব ৩৬