অনুরাগে তুই পর্ব ৪

অনুরাগে তুই পর্ব ৪
সাদিয়া শওকত বাবলি

মেয়েটা এগিয়ে গেল বিছানার পাশের ছোট টেবিলটার নিকট। জগটা হাতে তুলে বুঝল তাতে পানি নেই। এখন এই রাতে আবার পানি আনতে যেতে হবে। তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলল ত্রয়ী। শরীরে জড়ানো ওড়নাটা ঠিকঠাক করে উঠে দাঁড়াল বিছানা ছেড়ে। হাতে শূন্য জগটা নিয়ে বেরিয়ে এলো কক্ষ থেকে। পুরো বাড়ি অন্ধকারে নিমজ্জিত। চারদিকে জনমানবের সাড়াশব্দ নেই। এত রাতে কারই বা তার মতো দুঃখ বিলাসের প্রয়োজন রয়েছে যে জেগে থাকবে? তবে চারদিকের এমন শুনশান নীরবতা ভীত করল ত্রয়ীর হৃদয়। পুরো বাড়ি জুড়ে এই মুহূর্তে কেমন এক ভুতুড়ে গা ছমছমে পরিবেশ। ত্রয়ী ভাবল কাউকে ডাকবে। কিন্তু কাকে ডাকবে? এখানে তার আপন আছে কে? কেবল তো কিছুটা সময় গড়ালো সে এ বাড়িতে পা রেখেছে।

এখনো অব্দি কারো সাথে না হলো তেমনভাবে পরিচয় আর না গড়ে উঠল সখ্যতা। তার এই হুট করে আগমন কে কিভাবে নিয়েছে তাও এখনো অজানা। তাছাড়া এত রাতে কাউকে ডাকলে সে নিশ্চয়ই বিরক্ত হবে। ত্রয়ীর আর বিরক্ত করতে ইচ্ছে হলো না কাউকে। এমনিও এই বিশাল পৃথিবীতে বিশাল অংকের জনসংখ্যার মাঝে সে একা, বড্ড একা। আর তার সম্মুখের জীবনটাও তাকে একাই পাড়ি দিতে হবে। সকল ভয়কে একাই জয় করে ধেয়ে চলতে হবে। সেক্ষেত্রে এই টুকু ভয় কিছুই না। এইটুকু ভয়েই আজ যদি সে লুকিয়ে পড়ে তবে ভবিষ্যত জীবনে কি করবে? ত্রয়ী নিজেকে ধাতস্থ করল। মাথা নিচু করে থুথু ছিটানো বুকে। অতঃপর মনে মনে সৃষ্টিকর্তার নাম জপতে জপতে গেল রান্নাঘরে। এইটুকু পথ আসতেই যেন তার পানির পিপাসা বেড়ে দ্বিগুণ হলো। ত্রয়ী প্রথমে পানি খেল। এরপরে হাতের জগটা পানির কলের নিচে রেখে কল ছাড়লো। ছলছল ধ্বনি তুলে কল থেকে পানি তীব্র বেগে ঝড়ে পড়তে শুরু করল শূন্য জগের ভিতরে। মেয়েটা দৃষ্টি ঘুরিয়ে তাকাল এদিক ওদিক।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

হঠাৎ তার নজর পড়ল রান্নাঘরের পাশের জানালা থেকে বাইরের দিকে। বাইরে আলো জ্বলছে। অবশ্য রাতের আঁধারকে ঠেলে দিতে এ বাড়ির চারদিকেই বৈদ্যুতিক আলো জ্বলছে। হয়তো চোর ডাকাতদের ভয়ে। ত্রয়ী ততটা পাত্তা দিলো না সেদিকে। জগটা পানি পূর্ণ হতেই সে কলটা বন্ধ করল। চারদিকটা নীরব হয়ে উঠল আবার। তবে এই নীরবতার বুক চিরে হঠাৎ তার কর্ণে হানা দিলো পানির ছলছল ধ্বনি। ত্রয়ী কান খাঁড়া করল। মনে হলো যেন কেউ পুকুরে সাঁতারে বেড়াচ্ছে। অবাক হলো সে। এ বাড়িতে পুকুরও আছে? কই সে তো দেখেনি। অবশ্য সে এসেছেই বা কতক্ষণ যে পুরো বাড়ি দেখে নিবে। তবে পুকুর আছে জেনে খুশিই হলো ত্রয়ী। এবার অন্তত একটু শান্তিমতো গোসল করতে পারবে সে। পুকুরে কি সুন্দর হাত পা মেলে সাঁতরে গোসল করা যায়। আর ওয়াশ রুমে তো ঐ চার দেওয়ালের মধ্যে হয় ঝর্ণা ছেড়ে বৃষ্টির ন্যায় ঝিরিঝিরি পানি দ্বারা গোসল করো নয়তো বালতি-মগ দ্বারা শরীরে পানি ঢালো। ছোট বেলা থেকে পুকুরে গোসল করতে করতে এখন ওয়াশ রুমে গোসল করে আর শান্তি পায় না ত্রয়ী। শরীরে এত পানি ঢালে মনে হয় যেন পানি ঢালেইনি।

কিন্তু এত রাতে পুকুরে কে গোসল করছে? বাড়ির সবাই তো এই মুহূর্তে ঘুমে। আবার কোনো ভুত-পেত নয়তো? হতেও পারে। ত্রয়ী গ্রামে থাকতে অনেকের কাছেই শুনেছে গভীর রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে নাকি ভুত-পেত হানা দেয় প্রকৃতিতে। নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। তখন নাকি তারা এর ওর বাড়ির ধারের পুকুরে, নদীতে গোসলও করে। অনেকে নাকি শুনেছে এবং দেখেছেও। ভুত-পেতের নাম মনে উঠতেই ত্রয়ীর হৃদয়ে কিঞ্চিৎ ভীতিভাব হানা দিলো। সেই সাথে হানা দিলো কৌতূহলও। ভুত দেখার কৌতূহল। সেই কবে থেকে মেয়েটার ভিতরে ভুত দেখার দারুণ শখ চেপে রেখেছে। গ্রামে থাকতে পাশের বাড়ির রিংকি আর হাফসাকে নিয়ে রাত জেগে অনেকবার চেষ্টাও করেছে ভুত দেখার কিন্তু দেখা পায়নি।

আজ বুঝি শহরে এসে তার সেই শখ পূরণ হবে। ত্রয়ী পানির জগটা রান্নাঘরে রেখেই বেরিয়ে এলো বাইরে। পা টিপে টিপে গেল পুকুরের দিকে। চারদিকে তাকিয়ে অবাক হলো সে। এ তো তাদের গ্রামের ন্যায় কর্দমাক্ত পুকুর নয়। ইট, সিমেন্ট, টাইলস দ্বারা তৈরি ঝকঝকে তকতকে পুকুর। এই পুকুরগুলো ত্রয়ী টিভিতে দেখেছে। বড়ো লোকদের বাড়িতে এগুলো থাকে। কি যেন নাম? হ্যা, হ্যা সুইমিং পুল। এ বাড়িতে সুইমিং পুলও রয়েছে? এর মানে তো রহমান খান বিশাল বড়ো লোক। তবে দয়ালুও বেশ। নয়তো তার মতো পরিবাহীন, চাল চুলোহীন, গরীব ঘরের একটি মেয়েকে কখনোই নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিতেন না। ত্রয়ী আর একটু এগিয়ে গিয়ে দাঁড়াল সুইমিং পুলের নিকটে। তাকাল পানির দিকে। দেখা পেল শীর্ষের। পুলের এদিক থেকে ওদিক সাঁতরে বেড়াচ্ছে লোকটা। ভ্রু কুঁচকে এলো মেয়েটার। এ লোক আবার এত রাতে এখানে এসে উন্মাদের ন্যায় সাঁতরে বেড়াচ্ছে কেন? নির্ঘাত একে ভুতে ধরেছে। তাদের গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার বউ হাসুকে যখন ভুতে ধরল তখন সেও তো এভাবে যখন তখন গোসল করতো। রাত নেই দিন নেই শুধু বলতো,

“শরীরের মধ্যে আগুন জ্বলে, আগুন জ্বলে।”
এরপর ছুটতো গোলস করতে। আর এমনিও এ বাড়িতে আসার পর থেকে এই শীর্ষকে সে যতবার দেখেছে আর যতবার তার ব্যবহার দেখেছে তাতে মনে হয়নি এ কোনো স্বাভাবিক মানুষ। স্বাভাবিক মানুষ হলে কি কেউ শুধু শুধু ওমন রুক্ষ ভারী স্বরে কথা বলতে পারে? কোনো কারণ ছাড়াই কারো উপরে চেতে উঠতে পারে? হতো এ লোক তাদের গ্রামের এতদিনে কালা ওঝা তার বিখ্যাত ঝারু দিয়ে ঝেঁটিয়ে এর ভুত তাড়িয়ে দিতো। যেমনটা তাড়িয়েছিল হাসুর বেলায়। হাসুকে তো কালা ওঝা ঝাড়ু দিয়ে দুটো বারি মা’রা’র সাথে সাথেই চ্যাচিয়ে বলে উঠেছিল,
“মা’র’বে’ন না আর মা’র’বে’ন না। আমারে ছাইড়া দেন। আমি কথা দিতাছি আমি এক্ষুনি চইলা যামু।”

তারপর ভুতটা চলে গেল। হাসুও সুস্থ হয়ে উঠল। এই শীর্ষকেও এখন কালা ওঝাকে দেখানো উচিত। তার ঝাঁড়ুর দুই চারটা বারি খেয়ে যদি সুস্থ হয়ে ওঠে আর কি। কিন্তু এখানে আর বেশিক্ষণ ত্রয়ীর থাকা যাবে না। যদি শীর্ষের ভুতটা তার উপরে ভর করে তখন আবার আরেক ঝামেলা। ত্রয়ী একটু তাড়াহুড়ো করেই পিছন ঘুরল। চলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সম্মুখে পা বাড়াতেই অসাবধানতাবশত পা টা পিছলে গেল তার। হকচকিয়ে উঠল মেয়েটা। পানিতে পড়া থেকে নিজেকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালাল সে। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না। শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে ঝপ করে পড়লো সুইমিং পুলের পানির মধ্যে। ত্রয়ী এমনি সাঁতার জানে। তাছাড়া সুইমিং পুলেও পানি খুব বেশি হবে না। এই বাহু কিংবা গলা পর্যন্ত হবে হয়তো। কিন্তু আকস্মিক ঘটনায় মেয়েটা সে উপলব্ধি ক্ষমতা হারাল। অনেক সময়
হঠাৎ আমাদের সাথে কিছু ঘটলে ভয়ে আমাদের জানা জিনিসও ভুলে যাই। কি করব না করব বুঝে উঠতে পারি না। ত্রয়ীর ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। হঠাৎ পানিতে পড়ে এই মুহূর্তে যেন সে সব কিছু ভুলে বসেছে। দিশেহারা হয়ে উঠেছে নিজেকে বাঁচানোর তাগিদে। সাঁতার কাটতে চেয়েও কাটতে পারছে না। শুধু হাত দুটো দিয়ে পানি ঠেলে দেওয়ার ব্যর্থ প্রয়াস চালাচ্ছে।

হঠাৎ সুইমিং পুলে ঝুপ করে কিছু পড়ার শব্দ পেয়ে সেদিকে ফিরে তাকাল শীর্ষ। পনির মধ্যে মানবাকৃতির কাউকে দেখে ভ্রু কুঁচকে এলো তার। এই সময়ে এখানে আবার কে? এত রাতে এখানে তো কেউ আসে না। শীর্ষ এগিয়ে এলো ত্রয়ীর দিকে। হাত বাড়িয়ে মেয়েটার চুল ধরে টেনে তুলল পানির উপরে। নিজের জীবন বাঁচানোর তাগিদে হিতাহিত জ্ঞান হারাল ত্রয়ী। স্থান-কাল-পাত্র বিবেচনা বাদ দিয়ে দুই পা দ্বারা শক্তভাবে জড়িয়ে ধরল শীর্ষের কোমড়। জোরে নিঃশ্বাস নিতে নিতে দুই হাতে জড়িয়ে ধরল তার গলা। মুখ গুজল ঘাড়ে। এতক্ষণে যেন একটু আশার আলো খুঁজে পেল সে। স্বস্তি এলো হৃদয়ে। নয়তো সে ভেবেছিল আজ এই সর্বনাশা পানির বুকেই তার চিরবিদায় ঘটবে। তবে আকস্মিক নারীদেহের এমন গাঢ় স্পর্শে শিউরে উঠল শীর্ষের পুরুষালী দেহ। তার উপর আবার সে নারীদেহ ভেজা, শীতল। শীর্ষের দেহও ভেজা উন্মুক্ত। হৃদস্পন্দন গাঢ় হলো তার। শীতল এক রক্তস্রোত গড়িয়ে নামল শিরদাঁড়া বেয়ে। ত্রয়ী আরও গাঢ় ভাবে জড়িয়ে ধরল তাকে। গাছে ওঠার মতো করে তার পুরুষালী দেহ বেয়ে নিজেকে টেনে ওঠাতে চাইল পানির আরও ওপরে। শীর্ষের পুরুষালী সত্ত্বা জাগ্রত হলো। আনমনেই নিজের শক্তপোক্ত হাত দ্বারা সে জড়িয়ে ধরল মেয়েটার সুঢৌল, নরম কোমড় খানা। কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে বলল,
“বাবার কথা অনুযায়ী তোকে বোন বানাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন দেখছি তুই অন্য কিছু হওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিস।”

ত্রয়ী চমকে উঠল। নিজের অবস্থান উপলব্ধি করতেই লজ্জা অস্বস্তিতে মুষড়ে পড়ল তার ভিতরটা। ছিটকে শীর্ষের থেকে দূরে সরে গেল সে। পড়ল আবারও পানির মধ্যে। পূর্বের ন্যায় আবারও নামল বেঁচে থাকার যুদ্ধে। দুই হাত দ্বারা পানি সরিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করল নিজেকে। শীর্ষ কিঞ্চিৎ সময় নিয়ে ভ্রু কুঁচকে দেখলো ত্রয়ীর কার্যকলাপ। বিরক্ত হলো সে। হাত বাড়িয়ে ফের মেয়েটার চুল ধরে টেনে তুলল। সুইমিং পুলের মেঝেতে দাঁড় করিয়ে দিতে দিতে বলল,
“তোর অভিনয় হচ্ছে না। সুতরাং বাংলা ছায়াছবির নায়িকাদের মতো অভিনয় না করে সোজা হয়ে দাঁড়া।”
ত্রয়ী এবার সোজা হয়ে দাঁড়াল। ওমা তার পা তো সুইমিং পুলের মেঝে ছুঁয়েছে আর সেও পানির মধ্যে ডোবেনি। পানি কেবল তার গলা পর্যন্ত উঠেছে। অথচ এই এতটুকু পানিতে কিনা এতক্ষণ সে ম’রে যাওয়ার ভয়ও পেয়েছিল? কি বোকা ত্রয়ী! নিজের বোকামির কথা ভেবে নিজেই লজ্জা পেল মেয়েটা। এলোমেলো দৃষ্টি ফেলে বলল,
“আসলে…আসলে…”

আর কিছু বলার মতো খুঁজে পেল না সে। কি বলবে ত্রয়ী? সে এতক্ষণ যা করেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে কি যুক্তি দিবে? মেয়েটাকে চুপ হয়ে যেতে দেখে শীর্ষ নিজে থেকেই প্রশ্ন করল,
“আমাকে জড়িয়ে ধরেছিলি কেন?”
ত্রয়ী মিনমিনে কণ্ঠে জবাব দিলো,
“ভয়ে।”
“ভয়ে এভাবে সামনে যাকে পাবি তাকেই জড়িয়ে ধরবি?”
ত্রয়ী অপ্রস্তুত হলো। ইতস্তত করে বলল,
“ননন..না মানে…”
“আমি খালি গায়ে খেয়াল করেছিস?”
ত্রয়ী চোখ তুলে তাকাল শীর্ষের দিকে। এক নজর তার উন্মুক্ত দেহের দিকে তাকিয়েই চোখ নামিয়ে নিল সাথে সাথে। সত্যিই এতক্ষণ সে এই বিষয়টা খেয়ালই করেনি। হঠাৎ পানিতে পড়া এবং নিজের জীবন বাঁচানো নিয়ে সে এতটাই ব্যস্ত হয়ে উঠেছিল যে শীর্ষ উন্মুক্ত শরীরে নাকি পোশাক পরিহিত অতকিছু ভাবার সময়ই পায়নি। শীর্ষ এগিয়ে এলো মেয়েটার দিকে। একটু ঝুঁকে মৃদু কণ্ঠে বলল,

“গভীর রাত। সুইমিং পুলে ভেজা শরীরে দাঁড়িয়ে দুই নরনারী…”
থামল শীর্ষ। দম নিয়ে ফের বলল,
“আমি একজন শুদ্ধ পুরুষ। দুই দিন হয় এ বাড়িতে এসেছিস। আমার চরিত্রে একদম দাগ লাগানোর চেষ্টা করিস না। বোন হিসেবে ভাবতে চাইছি তোকে তাই ভাবতে দে। অন্য কিছু হওয়ার চেষ্টাও করিস না। নাহলে ফলাফল তোর জন্যই ভালো হবে না।”
ত্রয়ী অপ্রস্তুত হলো আরও। সাথে খারাপও লাগলো। হঠাৎ পানিতে পড়ে ভয়ে সে কি করতে কি করে ফেলল এখান লোকটার মনে তার সম্পর্কে একটা বাজে ধারণা তৈরি হলো। অথচ সে এমনটা করতে কখনোই চায়নি। ত্রয়ী আর দাঁড়াতে চাইল না শীর্ষের সম্মুখে। কেমন লজ্জা, অস্বস্তিবোধ, খারাপ লাগা জেঁকে ধরেছে তাকে। দৃষ্টি নত করল মেয়েটা। মিনমিনে স্বরে শুধু বলল,

অনুরাগে তুই পর্ব ৩

“আসছি।”
ত্রয়ী পা দুই কদম এগুলো চলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। তখনই তার পিছু ডাকল শীর্ষ।
“এ শোন।”
থমকে দাঁড়ালো মেয়েটা। পিছন ঘুরে শুধাল,
“জ্বী কিছু বলবেন?”
“জামা কাপড় পাল্টে রান্নাঘরে আসিস তো।”
“কেন?”
“আসতে বলেছি চুপচাপ আসবি। আমার প্রশ্নের পৃষ্ঠে কারো প্রশ্ন করা আমার একদম পছন্দ নয়।”

অনুরাগে তুই পর্ব ৫