অনুরাগে তুই পর্ব ৫৫
সাদিয়া শওকত বাবলি
শহুরে ব্যস্ততা বেড়েছে। চারদিক থেকে যানবাহনের প্যা পো ধ্বনি শোনা যাচ্ছে। শীর্ষ নিজের নাস্তা শেষ করে এসে দাঁড়াল বাবা মায়ের কক্ষের নিকটে। কক্ষের দরজাটা চাপানো। শীর্ষ হাত উঁচিয়ে দরজায় টোকা দিলো। নম্র কণ্ঠে শুধাল,
“আসবো?”
আব্দুর রহমান খান অফিসে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন। ছেলের কণ্ঠস্বর কানে পৌঁছাতেই তিনি জবাব দিলেন,
“এসো।”
শীর্ষ দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকলো। ফাহমিদা বেগম এই মুহূর্তে কক্ষে নেই। আব্দুর রহমান খান এক পলক তাকালেন ছেলের দিকে। অতঃপর মোবাইলে সময় দেখতে দেখতে বলল,
“কিছু বলবে?”
শীর্ষ বিছানায় বসলো। ছোট করে জবাব দিলো,
“হুম।”
“যা বলার তাড়াতাড়ি বলে ফেলো। আমাকে অফিসে যেতে হবে।”
শীর্ষ খুব বেশি সময় নিল না। স্বাভাবিক গলায়ই বলল,
“ত্রয়ীকে বিয়ে করতে চাই বলেছিলাম। তা আমাদের বিয়েটা কবে নিচ্ছো?”
আব্দুর রহমান খান থেমে গেলেন। ছেলের দিকে তাকিয়ে পরপর কয়েকবার পলক ঝাপটালেন তিনি। অতঃপর শুধালেন,
“ত্রয়ী রাজি?”
“হ্যা।”
“তুমি জোরজবরদস্তি করে কিংবা ভয় দেখিয়ে রাজি করাওনি তো?”
“কেন তোমার ভাইয়ের মেয়ে কি কচি খুকি, ল্যাদা, অবুঝ যে ভয় দেখাবো আর সে রাজি হয়ে যাবে?”
“আচ্ছা, তুমি তো এখন অসুস্থ। সুস্থ হও তারপর ভেবে দেখছি বিষয়টা নিয়ে।”
আব্দুর রহমান খানের কথা শেষ হতে না হতেই শীর্ষ বলল,
“বিয়ে করার মতো সুস্থ আমি।”
আব্দুর রহমান খান কেশে উঠলেন। এদিক ওদিক তাকিয়ে বললেন,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“এখন তো অফিসে যাচ্ছি। অফিস থেকে ফিরেই বিষয়টা নিয়ে তোমার মায়ের সাথে কথা বলবো।”
“আচ্ছা, তবে যা করার তাড়াতাড়ি করবে।”
শীর্ষ চলে গেল। তপ্ত নিঃশ্বাস ফেললেন আব্দুর রহমান খান। ছেলেটা তার দিন দিন বিয়ে পাগল হয়ে যাচ্ছে।
বাবার কক্ষ ছেড়ে নিজ কক্ষের দিকে যেতে যেতে শীর্ষ হাঁক ছাড়লো,
“একটা কফি দিয়ে যা তো ত্রয়ী।”
প্রায় সবাই-ই শুনলো কথাটা। ত্রয়ীও যেন এই সুযোগ পেল শীর্ষের কাছে যাওয়ার। নয়তো গতকাল থেকে শীর্ষের ধারে কাছে ঘেঁষারই সুযোগ পাচ্ছে না সে। ত্রয়ী দ্রুত পা বাড়ালো রান্নাঘরের দিকে। তবে দুই কদম এগুতেই ফাহমিদা বেগম থামিয়ে দিলেন তাকে। থমথমে কণ্ঠে বললেন,
“তোমার যেতে হবে না। নুড়ি যা তো শীর্ষকে কফি বানিয়ে দিয়ে আয়।”
হাসপাতালের কার্যক্রম সক্রিয়। আরফা সকাল সকালই হাসপাতালে হানা দিয়েছে কায়সারকে দেখার জন্য। গতকাল রাতে কায়সারের চিন্তায় একটুও ঘুম হয়নি তার। লোকটার জ্ঞান ফিরলো কিনা, কেমন আছে, বড়ো কোনো সমস্যা হলো কিনা ভাবতে ভাবতে দিশেহারা হয়ে উঠেছিল সে। যাওয়ার সময় কারো নাম্বারও নিয়ে যায়নি যে কল করে কায়সারের খবর নিবে। তাই সকাল হতে আর দেরি করেনি। ছুটে এসেছে হাসপাতালে।
আরফা হাতে কিছু ফল নিয়ে ঢুকলো কায়সারের জন্য বরাদ্দকৃত কেবিনে। কেবিনে আপাতত আর কারো দেখা নেই। শুধু কায়সার একটি শুভ্র রঙা বিছানা দখল করে শুয়ে আছে। চোখ দুটো তার বন্ধ। লোকটার এক হাত এবং মাথা শুভ্র রঙা ব্যান্ডেজে আবৃত। আরফা এগিয়ে গিয়ে দাঁড়াল তার বিছানার পাশে। গলা খাঁকারি দিয়ে জানান দিল নিজের উপস্থিতি।
কায়সার চোখ মেলে তাকালো। পূর্বেই কক্ষে কারো উপস্থিত অনুভব করেছিল সে। তবে নিজের বাড়ির লোক বা দলের কেউ ভেবে চোখ খোলেনি। আরফাকে দেখে ম্লান হাসলো লোকটা। ধীর কণ্ঠে শুধাল,
“দেখতে এসেছেন আমাকে?”
“ঐ আর কি। তা কেমন আছেন এখন?”
“কোনটা বলবো শারীরিক নাকি মানসিক?”
আরফা ছোট একটি নিঃশ্বাস ফেলে জবাব দিলো,
“দুটোই।”
“যদি জিজ্ঞেস করেন শারীরিকভাবে কেমন আছি তবে আমার উত্তর বেশ ভালোই আছি। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আগের থেকে সুস্থ আমি। আর যদি জিজ্ঞেস করেন মানসিকভাবে কেমন আছি। তবে বলবো প্রায় মৃ’ত্যু’র দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছি। বেঁচে থাকার প্রবল ইচ্ছেটা আর নেই।”
কায়সারের আঁখিদ্বয়ে বিষন্নতার ছোঁয়া, কণ্ঠ নড়বড়ে। আরফার হৃদয় ভারী হলো। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সে একটু রসিকতার স্বরেই বলল,
“একবার ছ্যাঁকা খেয়েই ব্যাকা হয়ে গেছেন? একদম বাঁচার ইচ্ছাই হারিয়ে ফেলেছেন?”
কায়সার আলতো হাসলো। মলিন স্বরে বলল,
“আমি তো ছ্যাঁকা খাইনি। আমি মানুষ হারিয়েছি। যাকে নিয়ে সুন্দরভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখেছিলাম সেই মানুষটাকে হারিয়েছি।”
এই টুকু বলে থামলো সে। দীর্ঘশ্বাস ফেলে ফের বলল,
“আপনার বান্ধবীকে দেখে রাখবেন। ও আমার বড়ো শখের ছিল। এরপর থেকে হয়তো আর শখের থাকবে না তবে আফসোস হয়ে মিশে রবে আবার প্রতিটি দীর্ঘশ্বাসে।”
সময়টা দুপুর। আকাশের সূর্যটা ঘুরতে ঘুরতে মাথার উপরে চলে এসেছে। রিমাদের কলেজ শেষ হয়েছে কেবলই। ত্রয়ী আজ কলেজে আসেনি। গতকাল যা হলো। তারপর মানসিকভাবে ঠিক হতে হতেও একটু সময় লাগবে মেয়েটার। তাছাড়া শীর্ষ অসুস্থ। বাড়িতে থাকলে তার কাছাকাছিও থাকা যাবে। তবে রিমা কলেজে এসেছে। কলেজ শেষে বান্ধবী শিলাকে নিয়ে গেটের দিকে যাচ্ছিল সে। তখনই পিছন থেকে ডাক পড়লো,
“রিমা!”
রিমা থমকে দাঁড়াল। পিছন ঘুরে তাকাতেই চোখে পড়লো সাহেদকে। লোকটা বেশ অনেকদিন পর তাকে এভাবে ডাকলো। নয়তো ইদানীং ক্লাস ব্যতীত তাদের কথাও হয় না, তেমন দেখাও হয় না। সাহেদ এগিয়ে এসে দাঁড়াল রিমার মুখোমুখি। ওষ্ঠে কিঞ্চিৎ হাসির রেখা ফুটিয়ে তুলে বলল,
“কেমন আছো?”
“জ্বি আলহামদুলিল্লাহ ভালো, আপনি?”
“আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো।”
এই টুকু বলে থামলো সাহেদ। সকালে কলেজে আসতেই গতকাল ত্রয়ীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টা কানে এসেছে তার। তারপর থেকেই চিন্তায় চিন্তায় দিশেহারা হয়ে উঠেছে সে। ত্রয়ীর সাথে তার কোনো সম্পর্ক না থাকলেও পরিচিত তো। আজকাল যুগ ভালো না। মেয়েটির সাথে যদি খারাপ কিছু হয়ে যায়? সাহেদ কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করেছে ঘটনাটি সম্পর্কে। কিন্তু কেউই তেমন ভালোভাবে কিছু বলতে পারেনি। ত্রয়ী বা আরফাকে যে জিজ্ঞেস করবে তাও তারা কেউই আজ কলেজে আসেনি। এখন রিমাই ভরসা। সাহেদ কিছুটা চিন্তিত স্বরেই ফের শুধাল,
“ত্রয়ী আজ কলেজে এলো না যে। ও কেমন আছে?”
ত্রয়ী! আবার এই মেয়েটা? বাড়িতে একে নিয়ে শীর্ষ এবং আব্দুর রহমান খানের নাটকের শেষ নেই। আর এখানে সাহেদ। কোনো নারীই তার শখের পুরুষের কণ্ঠে অন্য নারীর নাম সহ্য করতে পারে না। আর তা যদি হয় তারই অপছন্দনীয় নারীর নাম। রিমার হৃদয় হিং’সা, বি’দ্বে’ষে পরিপূর্ণ হয়ে উঠল। রুক্ষ কণ্ঠে সে বলল,
“ওর আবার কি হবে? অল’ক্ষ্মী’দের কিছু হয় না। হয় তো অ’লক্ষ্মী’দের আশেপাশে যারা থাকে তাদের সাথে।”
“মানে?”
রিমা কিছু বলবে তার পূর্বেই শিলা বেশ হা হুতাশ করে বলা শুরু করল,
“আর বলবেন না স্যার, ঐ ত্রয়ী নামক মেয়েটার বাবা তো ছোট বেলায়ই মা’রা গেছেন। তারপর পরই ওর মা ওকে ফেলে অন্যত্র বিয়ে করে চলে গেছেন। দাদীর কাছে বড়ো হয়েছে মেয়েটা, সেও মা’রা গিয়েছেন কিছুদিন পূর্বে। তারপর স্বজনরা ওর দায়িত্ব নিতে চাইলে রিমার বাবা দয়া ধরে মেয়েটাকে ওদের বাড়িতে থাকতে দিয়েছেন। কিন্তু মেয়েটা যে এত অ’প’য়া, অ’ল’ক্ষ্মী! ওদের বাড়িতে এসেছে থেকে একটার পর পর একটা অঘটন লেগেই আছে। এই গতকালই শীর্ষ ভাইয়া কোথা থেকে যেন এক্সিডেন্ট করে এসেছেন। আগেও একবার করেছেন।”
সাহেদ অবাক হলো। কি সব বলছে এই মেয়ে? এই যুগে এসেও এসব কেউ বিশ্বাস করে? সাহেদের চোখে মুখে বিরক্তিভাব ফুটে উঠল। কপাল কুঁচকে বলল,
“কি সব বলছো? তোমরা এ যুগের ছেলে-মেয়ে। পড়াশোনা করছো। তারপরেও এসব কুসংস্কার মূলক কথা বলছো?”
সাহেদের কথা শেষ হতে না হতেই রিমা বলল,
“কুসংস্কার না স্যার, সত্যি। আমিও প্রথমে এসব বিশ্বাস করিনি। কিন্তু এখন তো দেখছি সত্যি। তারপর ওর চরিত্রও তেমন ভালো না। শীর্ষ ভাইয়ের দিকে নজর আছে। কলেজে এসে শুনলাম গতকাল নাকি কে তুলে নিয়ে গিয়েছিল ওকে। যদিও আমি পুরোপুরি জানি না বিষয়টা। তবে মনে হচ্ছে কেউ ওকে তুলে নিয়ে যায়নি বরং ও নিজেই গিয়েছিল। নয়তো কার এত ঠ্যাকা পড়েছে যে ওর মতো একটা মেয়েকে তুলে নিয়ে যেতে যাবে?”
সাহেদের অবাকতা বাড়লো। এ কোন রিমাকে দেখছে সে? একজন মেয়ে হয়ে অন্য একটি মেয়ের চরিত্রের দিকে কি সাবলীলভাবে আঙ্গুল তুললো সে? আবার মেয়েটিকে অ’প’য়া, অ’ল’ক্ষ্মী বলেও হেয় করল। এ কেমন মেয়েকে ভালোবাসেছে সে। তবে কি সাহেদ নিজের মানুষ চিনতে ভুল করেছে? এত বড়ো ভুল হলো তার দ্বারা। রিমাকে নিয়ে বিতৃষ্ণায় ভরে গেল সাহেদের হৃদয়। বিরক্তিভরা কণ্ঠে সে বলল,
“ত্রয়ীকে কাল কে, কিভাবে তুলে নিয়ে গিয়েছিল বা ওর কার দিকে নজর আমি জানি না। তবে তোমার থেকে এটা আশা করিনি, রিমা। তুমিও একটি মেয়ে আর ত্রয়ীও একটি মেয়ে। অথচ কত সহজে তুমি ওর চরিত্রের দিকে আঙ্গুল তুলে দিলে। ওর পাঠ পিছে কত বদনাম করলে।”
থামলো সাহেদ। দম নিয়ে কিছুটা রুক্ষ কণ্ঠে ফের বলল,
“যাই হোক, আসছি আমি। আমার যা জানার অন্য কারোর কাছ থেকে জেনে নেব।”
সাহেদ পিছন ঘুরে হাঁটা ধরলো। রিমা ব্যস্ত হলো, বুঝলো সাহেদ তার কথায় রেগে গেছে। তাড়াহুড়ো করে সে পিছন থেকে ডাকলো কয়েকবার। কিন্তু সাহেদ থামলো না। পিছন ঘুরে দেখলোও না একবার। রিমা আহত হলো। চোখে মুখে তার নেমে এলো আঁধারের ছোঁয়া। এই আঁধারকে আগ্নিতে রূপ দিতে পাশ থেকে শিলা বলে উঠল,
“দেখেছিস মেয়েটা কি খারাপ। মাত্র এই কয়দিনেই সবাইকে বশ করে ফেলেছে। কেউ ওর বিপক্ষে কোনো কথা শুনতে পারে না।”
শিলার কথায় সত্যিই রিমার ভিতরকার খারাপ লাগা গুলো রূপ নিলো ক্রোধে। তার মনে হলো সব দোষ ত্রয়ীর। ঐ মেয়েটাই মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে সবাইকে নিজের পক্ষে নিয়ে রেখেছে যার কারণে তারা ভালো কিছু বললেও সবার কাছে খারাপ হয়ে দাঁড়ায়। ঐ মেয়েটার কারণেই আজ সাহেদ তাকে ভুল বুঝলো। এমনিই তো সে সাহেদের থেকে তেমন গুরুত্ব পায় না। এবার থেকে হয়তো আরও পাবে না। সাহেদের সাথে তার প্রেম হওয়ার আগেই ভেঙে গেল। আর এটা হলো ত্রয়ীর জন্য, শুধুমাত্র ওর জন্য।
রাতের আঁধার ঘনিয়েছে। চারদিকটা নিস্তব্ধ হয়ে যেতে শুরু করেছে একটু একটু করে। রাতের খাবার শেষে সব গুছিয়ে গাছিয়ে কেবলই কক্ষে প্রবেশ করলেন ফাহমিদা বেগম। আব্দুর রহমান খান বিছানায় বসে বসে এতক্ষণ অপেক্ষা করছিলেন স্ত্রীর। কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিকে আসতে দেখেই উঠে দাঁড়ালেন তিনি। স্বাভাবিক কণ্ঠে বললেন,
“তোমার সাথে আমার কিছু জরুরি কথা আছে, ফাহমিদা।”
ফাহমিদা বেগম এগিয়ে এসে দাঁড়ালেন স্বামীর মুখোমুখি। ভ্রু কুঁচকে শুধালেন,
“কি কথা?”
আব্দুর রহমান খান একটু সময় নিলেন। অতঃপর বললেন,
“শীর্ষের তো বিয়ের বয়স হয়েছে। ওর বিয়ের কথা ভাবছিলাম আমি।”
এ কথা যে ফাহমিদা বেগম ভাবেননি তেমন তো নয়। একটা মাত্র ছেলে তার। সেই ছেলের বিয়ে নিয়ে রোজই কত জল্পনা কল্পনা করেন তিনি। ফাহমিদা বেগমের চোখে মুখে খুশির ঝলক দেখা গেল। উৎফুল্ল হয়ে তিনি বললেন,
“তা বেশ তো। আমি কালই মেয়ে দেখা শুরু করবো।”
“মেয়ে আর দেখতে হবে না। মেয়ে ঠিক করাই আছে।”
ফাহমিদা বেগম অবাক হলেন। তার স্বামী ছেলের জন্য আগে থেকেই পাত্রী নির্বাচন করে রেখেছেন? কই, তাকে তো এ বিষয়ে কখনো কিছু বলেননি। ফাহমিদা বেগম কপালে ভাঁজ ফেলে বললেন,
“মেয়ে ঠিক করা? কে সে?”
অনুরাগে তুই পর্ব ৫৪
“কেন আমাদের ত্রয়ী। ওর সাথেই আমি শীর্ষের বিয়ের কথা ভাবছি।”
ত্রয়ী নামটা শুনে যেন আকাশ থেকে পড়লেন ফাহমিদা বেগম। ঐ মেয়েকে তিনি তার ছেলের বউ করবেন? এমনি মেয়েটা সুন্দরী, শিক্ষিত যাই ছিল কিন্তু গুনে অ’প’য়া, অ’ল’ক্ষ্মী। নিজের আপজনদের তো খেয়েছেই এখন এ বাড়িতে এসেও একটার পর একটা বিপদ লাগিয়েই রেখেছে। সেই মেয়েকে কিনা তিনি এখন নিজের ছেলের ঘাড়ে উঠিয়ে দিবেন? ফাহমিদা বেগমের মুখাবয়বের পরিবর্তন ঘটলো। শক্ত কণ্ঠে তিনি বললেন,
“অসম্ভব, ঐ মেয়েকে কখনো আমি আমার ছেলের বউ করবো না।”