অনুরাগে তুই পর্ব ৬

অনুরাগে তুই পর্ব ৬
সাদিয়া শওকত বাবলি

ওপাশ থেকে কোনো মতে কলটা রিসিভ হতেই সে হড়বড়িয়ে বলল,
“ঐ তোরোয়ী না ফোরোয়ী ওর শুধু জামাকাপড় কেন ওর পা থেকে মাথা অব্দি যা যা লাগবে সব কিনে দেব আমি। তবুও তুমি এখানে এসো বাবা। আমাকে এই মিস্টার সোহাগের হাত থেকে বাঁচাও।”
রহমান খান কিছুটা অবাক হলেন। সকালে খাবার টেবিলে যখন তিনি শীর্ষকে শপিং মলে আসার কথা বলেছিলেন তখন না এক বাক্যে সে না বলে দিয়েছিল এখন আবার কি হলো যে নিজেই আসতে চাইছে। আর মিস্টার সোহাগই বা কি করল যে তার‌ থেকে বাঁচাতে বলছে। শীর্ষ তো সহজে কাউকে ভয় পাওয়ার ছেলে নয়। বরং কেউ তার পিছনে লাগলে তাকে নিঃশেষ করে তবেই দম নেয় সে। রহমান খান কপাল কুঁচকালেন। সন্দিহান কণ্ঠে প্রশ্ন করলেন,

“কি হয়েছে?”
“কিছু হয়নি। তুমি এখানে এসো।”
“কিছু না হলে আমিও আসতে পারব না। তোমাকে যে কাজটা দিয়েছি তুমি চুপচাপ সেই কাজটা করো। মিস্টার সোহাগের সাথে ডিলের ব্যাপারে কথা বলো। মনে রাখবে এই ডিলটা আমাদের জন্য কিন্তু ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।”
“কিন্তু বাবা মিস্টার সোহাগ….”
কথাটা আর সম্পূর্ণ করতে পারল না শীর্ষ। তার আগেই কল কাটলেন রহমান খান। দাঁতে দাঁত চাপল সে। মোবাইলটা কানের কাছ থেকে নামিয়ে বিরবিরিয়ে বলল,
“বা*ল, বিপদের সময় রক্তের বাপটাও বেইমানি করছে।”
ততক্ষণে মিনি স্কার্ট পরিহিত মিস্টার সোহাগ কোমড় দুলিয়ে দুলিয়ে হেঁটে এসে দাঁড়াল শীর্ষ এবং নয়নের মুখোমুখি। মেয়েলি কণ্ঠে শীর্ষকে বলল,
“হাই হ্যান্ডসাম! তুমি বুঝি মিস্টার রহমান খানের ছেলে?”
শীর্ষ জোরপূর্বক হেসে জবাব দিলো,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“কই? কিসের ছেলে? কার ছেলে? আমি কোনো মিস্টার রহমানকে চিনি না।”
শীর্ষের কথা শেষ হতে না হতেই মুখ খুলল নয়ন। চোখ বড়ো বড়ো করে বলল,
“মিথ্যা কথা কেন বলছেন? আপনিই তো রহমান স্যারের ছেলে। বাবা মায়ের পরিচয় নিয়ে এমন মিথ্যা কথা বলতে হয় না স্যার।”
মিস্টার সোহাগ যেন মজা পেল। হাত উঁচিয়ে আলতোভাবে চাপড় দিল শীর্ষের কাঁধে। একটু হেসে ন্যাকা কণ্ঠে বলল,
“ইয়্যু নটি বয়। প্রথম দেখাতেই আমার সাথে মজা শুরু করেছ? অবশ্য তোমাকে কি বলব।‌ আমি মানুষটাই এমন। প্রথম দেখাতেই সবাই আমার প্রেমে পড়ে যায়।”

শীর্ষ মেকি হাসল। কটমট করে তাকাল নয়নের দিকে। কোথায় ভাবলো মিথ্যা বলে এই অদ্ভুত প্রাণীটার হাত থেকে বেঁচে যাবে। তা এই নয়ন নামক আহাম্মকটা ধরিয়ে দিল। ইচ্ছে তো করছে এখনই চড়িয়ে এর দাঁত ফেলে দিতে। কিন্তু রেস্টুরেন্ট হওয়ায় তাও পারছে না। এর প্রতিশোধ তো সে নিবে তা আজ হোক কিংবা কাল। তাকে বিপদে ফেলা তাই না। এই নয়ন নামক জন্তুটাকে তো সে এখন পথে ঘাটে বিপদে ফেলবে। শীর্ষের তাকানো দেখেই নয়ন ঢোক গিলল। সে ইতোমধ্যে বুঝে গিয়েছে ভালো মানুষি করতে গিয়ে সে কত বড়ো ভুল করে ফেলেছে। শীর্ষ এখন আর তাকে ছাড়বে না। বেচারা দ্রুত পুরো বিষয়টা ঘুরিয়ে নিতে চাইলো। মিস্টার সোহাগের দিকে তাকিয়ে বলল,
“আরে আপনি এখনো দাঁড়িয়ে আছেন কেন? বসুন বসুন।”
মিস্টার সোহাগ বসলেন। পায়ের উপরে পা তুলে বললেন,

“তুমি নয়ন না? তোমাকে মিস্টার রহমান খানের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে দেখেছিলাম বোধ হয়।”
নয়ন মাথা মাথা নাড়িয়ে হ্যা সূচক জবাব দিলো। মিস্টার সোহাগের চোখ মুখ চকচক করে উঠল। লাজুক হেসে বলল,
“বাস্তবে তুমি আরও বেশি সুদর্শন।”
শীর্ষ বিরক্ত হলো। তবুও বসলো সে। না বসেও তো উপায় নেই। রহমান খানকে কল করল এখানে আসার জন্য সে মুখের উপর কলটা কেটে দিলো। কেন যে সে সকালে শপিং মলে যাওয়ার ক্ষেত্রে না বলেছিল কে জানে। এখানে এসে এই মিস্টার সোহাগের ন্যাকামি সহ্য করার থেকে ত্রয়ীর সাথে শপিং করা ভালো ছিল। শীর্ষ ভিতরে ভিতরে বিরক্তিতে ফেটে পড়লেও তা প্রকাশ করল না। যত যাই হোক না কেন এই ডিলটা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভদ্রতা বজায় রাখতে সে মিস্টার সোহাগের দিকে নিজের হাতটা বাড়িয়ে দিল। ওষ্ঠে কিঞ্চিৎ হাসির রেখা ফুটিয়ে তুলে বলল,

“আপনার সাথে তো পরিচয়টাই হলো না এখনো। আমি শীর্ষ, শীর্ষ রিজওয়ান।”
মিস্টার সোহাগ শীর্ষের হাতটা ধরল। করমর্দন করতে করতে বলল,
“বাবা মায়ের দেওয়া নাম সোহাগ। তবে কেউ আমাকে সোহাগী বলে ডাকলে আমার বেশি ভালো লাগে। তোমরা আমাকে সোহাগী বলে ডাকতে পারো।”
প্রত্যুত্তরে শীর্ষ নিজের ওষ্ঠে জোরপূর্বক হাসির ধারা বহাল রাখল। হাতটা ছাড়িয়ে নিতে চাইলো সোহাগের হাতের বাঁধন থেকে। কিন্তু একি! এ ন্যাকা ষষ্ঠী তো হাত ছাড়ার নামই নিচ্ছে না। উলটো শীর্ষের হাতের তালুতে মৃদু সুরসুরি দিচ্ছে। মেজাজ বিগড়ালো তার। কোন কুক্ষণে যে সে এর সাথে হাত মিলাতে গিয়েছিল কে জানে। শীর্ষ হাতে বল প্রয়োগ করল। এক প্রকার টেনে হিচড়ে নিজের হাতটা ছাড়িয়ে নিলো সোহাগের হাত থেকে। শক্ত কণ্ঠে কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেল। ডিলটা গুরুত্বপূর্ণ, এর সাথে এখন ঝামেলা না করাই শ্রেয়। শীর্ষ জোরে জোরে কয়েকটা নিঃশ্বাস নিয়ে নিজেকে ধাতস্থ করল। কণ্ঠটা স্বাভাবিক করে শুধাল,

“তা কি খাবেন বলুন।”
“উমম শুধু একটা কোল্ড কফি। আমি মানুষটাও ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল। আর পছন্দও করি সব কুল কুল।”
কথাটা নিজে বলে আবার নিজেই হাসল মিস্টার সোহাগ। শীর্ষ আর নয়ন দুজনেই নাক মুখ কুঁচকাল এক যোগে। এটাকে তারা পুরুষ বলবে নাকি মহিলা তারই কূল কিনারা করে উঠতে পারল না এখনো। তার মধ্যে আবার এর ন্যাকামি। ইচ্ছে তো করছে এক টাকে এর মাথাটা ফাটিয়ে দিতে। শীর্ষ চোখ মুখ কুঁচকে রেখেই গলা উঁচিয়ে বলল,
“ওয়ান কোল্ড কফি প্লীজ।”
অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই একজন ওয়েটার কোল্ড কফি নিয়ে এলো তাদের নিকট। নয়ন আবার একটু ভদ্রতা দেখিয়ে দাঁড়িয়ে কোল্ড কফিটা নিজের হাতে নিলো। মিস্টার সোহাগের দিকে সেটা বাড়িয়ে দিতে গিয়ে তার পকেটে থাকা কলমটা পড়ে গেল নিচে। নয়ন মিস্টার সোহাগের হাতে কোল্ড কফিটা দিয়ে নিচে ঝুঁকলো কলম তুলতে‌। হঠাৎ তার নজর পড়ল মিস্টার সোহাগের পায়ের উপর। অবাক হলো সে। এখানে তো পুরুষালী লোম থাকার কথা ছিল। এত মসৃণ হলো কিভাবে? লোমগুলো কি করেছে? নয়ন সোজা হয়ে বসল। আঙ্গুল দ্বারা চশমাটা চোখের দিকে ঠেলে দিয়ে বলল,

“আপনার পায়ের পশম গুলো কি করেছেন সোহাগ ভাইয়া?”
শীর্ষ নয়নের দিকে একটু চেপে বসল। কণ্ঠ খাদে নামিয়ে বলল,
“কেন রে ওর পায়ের পশম দিয়ে তুই কি করবি? খুঁজে পেলে কেজি দরে বাজারে বিক্রি করবি নাকি নিলামে তুলবি?”
নয়ন কোনো জবাব দিবে তার আগেই সোহাগ হাত উঁচালো। হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে ন্যাকা কণ্ঠে বলল,
“ওহ নয়ন! ডোন্ট কল মি ভাইয়া। আই অ্যাম অনলি ইয়্যুর ছাইয়া।”
শীর্ষ কপাল কুঁচকাল। পূর্বের ন্যায় কণ্ঠ নত রেখেই চিবিয়ে চিবিয়ে বলল,
“তোর ছাইয়াকে সামলা নয়ন। নয়তো ওর সাথে সাথে তোর পায়ের পশমও আমি কোদাল দ্বারা ছেঁচে নিলামে তুলব বলে দিলাম।”

নয়ন ঢোক গিলল। এ কাদের পাল্লায় পড়ল সে? একটার ন্যাকামিতে তো প্রাণ প্রায় ওষ্ঠাগত আর আরেকজন পারলে এখনই খু’ন করে দেয়। মিস্টার সোহাগ কোল্ড কফিতে এক চুমুক বসিয়ে ফিরে তাকাল নয়নের দিকে। ওষ্ঠে হাসি ফুটিয়ে বলল,
“কফিট একদম ঠান্ডা ঠিক তোমার মতো।”
শীর্ষের চোখ মুখ কুঁচকে এলো ফের। কিঞ্চিৎ সময় নিয়ে সে তাকিয়ে রইল মিস্টার সোহাগের দিকে। নাহ এর সাথে আর এক মুহূর্তও থাকতে পারবে না সে। তাহলে নির্ঘাত একটা কুরুক্ষেত্র বেঁধে যাবে। শীর্ষ উঠে দাঁড়াল। থমথমে কণ্ঠে বলল,
“আমি ওয়াশ রুম থেকে আসছি একটু।”

কথাটা বলে এক মুহূর্তও সময় ব্যয় করল না শীর্ষ। লম্বা লম্বা পা ফেলে এলো ওয়াশ রুমের দিকে। পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে ফের কল লাগাল রহমান খানকে। ওপাশ থেকে কলটা রিসিভ হওয়ার সাথে সাথেই সে বলল,
“তুমি এখানে আসবে নাকি আমি মিস্টার সোহাগকে খু’ন করে জেলে যাব?”
রহমান খানের বিস্মিত হলেন। অবাক কণ্ঠে বললেন,
“খু’ন করবে কেন? আশ্চর্য! কি হয়েছে? আমাকে বলো।”
শীর্ষ দাঁতে দাঁত চাপলো। চিবিয়ে চিবিয়ে বলল,
“কি হয়েছে তা তুমি এসে দেখে যাও। আমি আর এক মুহূর্তও এখানে এই সোহাগ নামক প্রাণীর সাথে থাকতে পারব না।”
“কিন্তু ডিলটা…”

“তোমার ডিলের কাঁথায় আগুন। তুমি এখানে আসলে এসো। আমি গেলাম।”
রহমান খান বুঝলেন অবস্থা গুরুতর। নিশ্চয়ই ওখানে কিছু একটা হয়েছে নয়তো তার ছেলের এতটা খ্যাপার কথা নয়। তিনি এখনো ত্রয়ীকে নিয়ে শপিং মলে পৌঁছাননি। কেবল গাড়িতে মাঝ রাস্তা পর্যন্ত এসেছিলেন।‌ তার মধ্যে আবার ছেলের কল। রহমান খান গাড়ির জানালা থেকে বাইরের দিকে দৃষ্টি বুলালেন একবার। ফোঁস করে একটা নিঃশ্বাস ফেলে বললেন,
“আসছি আমি।”
শীর্ষ স্বস্তি পেল একটু। কল কেটে কিছুটা সময় ওয়াশ রুমে কাটিয়ে ফিরে এলো নয়ন এবং সোহাগের নিকট। ব্যস্ততা দেখিয়ে বলল,
“হঠাৎ একটা কাজ পড়ে গেছে আমার। এখনই যেতে হবে।”
“কিন্তু ডিল…”

সোহাগকে কথাটা সম্পূর্ণ করতে না দিয়েই শীর্ষ বলল,
“বাবা আসছেন। ডিলের ব্যাপারে উনিই কথা বলবেন আপনার সাথে।”
সোহাগ মন খারাপ করে ফেলল। মলিন কণ্ঠে বলল,
“কিন্তু তুমি থাকলে ভালো হতো।”
শীর্ষ দাঁতে দাঁত চাপলো। বিরবিরিয়ে বলল,
“এত ভালো আবার আমার পেটে সইবে না। বদহজম হয়ে যাবে। তাই তো বাবাকে ডেকে আনছি।”
বিরবিরিয়ে বলায় কথাগুলো শুনলো না সোহাগ। ভ্রু কুঁচকে সে শুধাল,
“কিছু বললে?”
“কই না তো। যাই হোক বাবা আসছেন। বাকি কথা উনিই বলবেন আপনার সাথে।”
কথাটা বলে শীর্ষ একটু এগিয়ে গেল নয়নের দিকে। ফিসফিসিয়ে বলল,
“বাবাকে দেখে রাখিস নয়ন। এমনিই হার্টে সমস্যা তার। এটাকে দেখে না আবার হার্ট অ্যাটাক ট্যাটাক করে বসে।”

নয়ন ওষ্ঠ ফাঁকা করল। বলতে চাইলো কিছু একটা। কিন্তু সে সুযোগ আর দিলো না শীর্ষ। নিজের কথা শেষ হতেই সে হন্তদন্ত হয়ে ছুটলো চলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। নয়ন অসহায় দৃষ্টিতে তাকালো তার গমনপথে। কাঁদো কাঁদো হয়ে বিরবিরিয়ে বলল,
“আমাকে দয়া করে একাকী এর সাথে রেখে যাবেন না স্যার। এর চোখের দিকে তাকালেই আমার হৃৎপিণ্ড থেকে যকৃত সব কেঁপে ওঠে।”
শীর্ষ রেস্টুরেন্টের বাইরে এসে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতেই দেখা পেল রহমান খানের। ত্রয়ীকে নিয়ে এসে তিনি দাঁড়ালেন শীর্ষের সম্মুখে। থমথমে কণ্ঠে বললেন,
“ওর যেন কোনো সমস্যা না হয়। যেমন তোমার সাথে পাঠাচ্ছি তেমনভাবে বাড়িতে পৌঁছে দিও।”
“কেন তোমার কি মনে হয়? শপিং মলে নিয়ে যাওয়ার নাম করে তোমার ভাইয়ের মেয়েকে আমি বিক্রি করে দেব নাকি খেয়ে ফেলব?”

রহমান খান কপাল কুঁচকালেন। বিরক্তি নিয়ে বললেন,
“আজেবাজে কথা রাখো। দেখে রেখো ওকে।”
“কেন তোমার ভাইয়ের মেয়ে বাচ্চা নাকি যে আমাকে দেখে রাখতে হবে?”
রহমান খান এবার বিরক্ত হলেন বেজায়। এই ছেলের সব সময় একগুঁয়ে কথাবার্তা। কখনো যদি কোনো কথার একটু ভালোভাবে উত্তর দিতো। তিনি আর কথা বাড়িয়ে সময় নষ্ট করলেন না। শুধু বললেন,
“ত্রয়ীর দিকে খেয়াল রেখো।”

এইটুকু বলে আর শীর্ষের কোনো ত্যারা মার্কা জবাবের অপেক্ষা করলেন না তিনি। পা চালিয়ে ঢুকলেন রেস্টুরেন্টে। ভিতরে ঢুকতেই বুঝতে পারলেন তার ছেলে কেন এখানে থাকতে চাইছিল না। মিস্টার সোহাগকে তিনি আগে সরাসরি দেখেননি কখনো। মোবাইলে অডিও কলে কথা হয়েছে বেশ কয়েকবার। আর দুইবার ভিডিও কনফারেন্সে দেখেছিলেন। অবশ্য তখনই তিনি বুঝেছিলেন ছেলেটি একটু মেয়েলি ধাঁচের। কিন্তু এতটা মেয়েলি ধাঁচের তা বোঝেননি। রহমান খান আর মাথা ঘামালেন না সোহাগকে নিয়ে।

অনুরাগে তুই পর্ব ৫

তার প্রয়োজন ব্যবসার। এর সাথে তো আর তিনি কোনো আত্মীয়তা করবেন না যে এর বেশভূষা, চালচলন, কথাবার্তায় তার সমস্যা হবে। তিনি এগিয়ে গিয়ে বসলেন সোহাগের মুখোমুখি। হাসিমুখেই ব্যবসার বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলতে শুরু করলেন।
রহমান খান যেতেই শীর্ষও হাঁটা ধরল সম্মুখ পানে। যেতে যেতে বলল,
“চল বালির বস্তা। তোকে আগে কয়েকটা নতুন নতুন বালির বস্তা কিনে দিয়ে বিদায় করি। তারপর আমার আরও অনেক কাজ আছে।”

অনুরাগে তুই পর্ব ৭