অনুরাগে তুই পর্ব ৮

অনুরাগে তুই পর্ব ৮
সাদিয়া শওকত বাবলি

শীর্ষ বাঁকা হাসলো। একটু ঝুঁকে গেল সাকিবের দিকে। ছেলেটার কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল,
“তুই, তোর মামা আর তার হাত ওয়ালা মেয়র আমার বা*ল ছিঁড়তে পারবে। তাদের বলিস বা*ল কেটে ভিজিয়ে রেখেছি এসে যেন বেছে দিয়ে যায়।”
সাকিব তেতে উঠল। গলা বাড়িয়ে বলল,
“আপনি কিন্তু…”
পুরোপুরি কথাটা শেষ হওয়ার পূর্বেই গর্জে উঠল শীর্ষ। হুংকার তুলে বলল,
“আওয়াজ নিচে।”
সাকিব কেঁপে উঠল। থেমে গেল তার কণ্ঠনালী। শীর্ষ ফের বাঁকা হাসল। ঘাড় বাঁকিয়ে রবি এবং আলভির দিকে তাকিয়ে বলল,

“এই আবর্জনাটাকে চ্যাংদোলা করে ক্লাবের বাইরে ফেলে দিয়ে আয়। এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।”
রবি এবং আলভি শার্টের হাতা গোটাতে গোটাতে এগিয়ে এলো সাকিবের দিকে। ফুঁসে উঠে বলল,
“কাউকে আমাকে কোথাও ফেলতে হবে না। আমি নিজেই চলে যাচ্ছি। তবে কাজটা আপনারা ভালো করলেন না। এর প্রতিশোধ আমি নেব।”
সাকিব চলে গেল। সাথে তার দলে যারা যারা ছিল তারাও চলে গেল। শীর্ষ একে একে দৃষ্টি বুলালো বাকি থাকা আঘাতপ্রাপ্ত প্রতিটি ছেলের ওপরে। অতঃপর গম্ভীর স্বরে বলল,
“এগুলোকে হাসপাতালে নিয়ে যা।”
রবি একবার সবার দিকে তাকিয়ে বলল,
“তুই গাড়ি এনেছিস? আমি আর আলভি বাইকে এসেছি। এতগুলো ছেলেকে তো আর বাইকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।”
“গাড়ি এনেছি আমি। আমার গাড়িতে নিয়ে যা।”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

ত্রয়ী গাড়ির জানালা গলিয়ে চোখ বড়ো বড়ো করে দেখছিল চারপাশ। এত বড়ো শহর, এত মানুষ, এত যানবাহন, এত বড়ো বড়ো ভবন-ইমারত আগে কখনো দেখেনি সে। এ শহরে না এলে হয়তো দেখাও হতো না। আচ্ছা, এ শহরের মানুষগুলো এতো কোলাহলের মধ্যে বসবাস করে কিভাবে? এদের মাথা ধরে না? সে তো এই একটু সময় বসে রয়েছে এতেই চারদিকের মানুষ আর যানবাহনের প্যা পো শব্দে মনে হচ্ছে মাথার ভিতরে ব্যথা শুরু হয়ে গেছে। ত্রয়ী এদিক ওদিক দেখতে দেখতে হঠাৎ তার নজর পড়ল হাওয়াই মিঠাইয়ের দিকে। একজন তরুণ রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে রয়েছে হাওয়াই মিঠাই নিয়ে। এগুলো ত্রয়ী দেখেছিল তাদের গ্রামের মেলায়। আর মাঝে মাঝে একজন মধ্যবয়স্ক লোক স্কুলের কাছে নিয়ে আসতো।

ত্রয়ী বেশ কয়েকবার কিনে খেয়েছিল হাওয়াই মিঠাই। কেমন মুখে দিলেই উবে যায়। আজও তার ভীষণ ইচ্ছা হলো হাওয়াই মিঠাই খাওয়ার। কিন্তু শীর্ষ তো তাকে গাড়ি থেকে নামতে বারণ করেছে। এখানেই বসে থাকতে বলেছে। ত্রয়ী আশেপাশে চোখ বুলালো একবার। শীর্ষ আসেনি এখনো। কখন আসবে তারও ঠিক নেই। এর মধ্যে সে দৌড়ে গিয়ে হাওয়াই মিঠাই নিয়ে আসতে পারবে। লোকটা তো কাছেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। ত্রয়ী জামাকাপড়ের ব্যাগ ঘেটে তার সেই চেইন ছিঁড়ে যাওয়া জামাটার ওড়না বের করল। ওড়নাটার এক ধারে গিট দেওয়া। ত্রয়ী সে গিট খুলতেই কিছু টাকা বেরিয়ে এলো। গ্রামে থাকতে দাদীর কাছ থেকে নিয়ে নিয়ে এই টাকাগুলো সে জমিয়েছিল। আজ যখন সকালে আব্দুর রহমান খান তাকে নিয়ে শপিং এর উদ্দেশ্যে বের হলো তখন সে এ টাকাগুলো নিজের সাথে নিয়ে এসেছিল। ভাগ্যিস টাকা গুলো এনেছিল নয়তো এখন হাওয়াই মিঠাই কিনতো কিভাবে? ত্রয়ী গাড়ি থেকে নামল। লম্বা লম্বা পা ফেলে এগিয়ে গেল হাওয়াই মিঠাইয়ের দিকে।
আলভি, রবি এবং বাকি ছেলেদের নিয়ে শীর্ষ এলো গাড়ির নিকটে। গাড়ির দরজাটা খুলতেই অবাক হলো সে। ত্রয়ী কোথায়? ব্যাগ গুলো তো এখানেই আছে। তাহলে মেয়েটা গেল কোথায়? শীর্ষের ভাবনার মধ্যেই তার কাঁধে হাত রাখলো রবি। ভ্রু কুঁচকে শুধাল,

“কি ভাবছিস?”
শীর্ষ জামা কাপড়ের ব্যাগ গুলো হাতে নিল। সেগুলো পিছনে গাড়ির ডিকিতে রাখতে রাখতে বলল,
“কিছু না। তোরা হাসপাতালে যা।”
রবি এবং আলভি বাকিদের নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দিলো। শীর্ষের মস্তিষ্ক জুড়ে নিগূঢ় চিন্তারা হানা দিল। ত্রয়ীকে তো সে এখানেই রেখে গিয়েছিল। গাড়ি থেকে নামতেও বারণ করে গিয়েছিল। তাহলে সে কোথায় গেল? এমনি মেয়েটা এখানকার কিছুই চিনে না। তার উপর বোকাসোকা, ভীত স্বভাবের। মেয়েটা কি তার আদেশকে উপেক্ষা করে একা একাই বাইরে বেরিয়েছে? নাকি কেউ ডেকে নিয়ে গেছে? যা বোকাসোকা মেয়ে তাতে কেউ ডাকলে চলে যেতেও পারে। আর যদি নিজে একা একা বের হয় তাতেও যে ব্যস্ত সড়ক। এখানে তার মতো একটা বোকা, ভীত মেয়ে নামলে দূর্ঘটনা ঘটতে বেশি সময় নিবে না। শীর্ষ হঠাৎ খেয়াল করল তার ঐ ত্রয়ীর জন্য ভয় হচ্ছে। মেয়েটার বিপদের কথা চিন্তা করে মস্তিষ্ক বিক্ষিপ্ত হয়ে উঠছে, হৃদয়ে ঝড় উঠছে। ভয়ে, চিন্তায় শীর্ষের কপালে বিন্দু বিন্দু ঘামের দেখা মিলল। হাত উঁচিয়ে গলার কাছের একটা বোতাম খুলে দিল সে। এখন এই মেয়েটাকে কোথায় খুঁজবে সে? কোথায় পাবে ত্রয়ীকে? শীর্ষ উদগ্রীব নয়নে তাকাল আশেপাশে। ঠিক তখনই হাতে দুটো হাওয়াই মিঠাই নিয়ে তার দিকে ছুটে এলো ত্রয়ী। চোখ বড়ো বড়ো করে বলল,

“একি আপনার গাড়ি কোথায়?”
এতক্ষণে যেন প্রাণে প্রাণ ফিরে পেল শীর্ষ। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল সে। তবে পরক্ষণেই আবার চোয়াল জোড়া শক্ত হয়ে এলো তার। কপালের রগগুলো ফুলে ফেপে নীলচে বর্ণ ধারণ করল মুহূর্তেই। মস্তিষ্ক জুড়ে হানা দিলো ক্রোধেরা। এমনিই ক্লাবের ঘটনা নিয়ে মেজাজ খারাপ ছিল শীর্ষের। তার মধ্যে আবার এই মেয়ের হঠাৎ উধাও হয়ে যাওয়া। শীর্ষ তেড়ে এলো ত্রয়ীর দিকে। হঠাৎ হাত বাড়িয়ে গাল চেপে ধরল মেয়েটার। দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
“তোর সাহস হলো কি করে আমাকে চিন্তায় ফেলার? তোকে আমি গাড়ি থেকে নামতে বারণ করেছিলাম না তারপরও গাড়ি থেকে নেমেছিলি কেন?”
ত্রয়ী ভরকাল। গালের ব্যথার দিশেহারা হয়ে উঠল মেয়েটা। শীর্ষ এমনভাবে গাল দুটো চেপে ধরেছে মনে হচ্ছে যেন মাংস ভেদ করে গালের ভিতরে দাঁত ঢুকে যাবে। ফুঁপিয়ে উঠল ত্রয়ী। চোখ ফেটে গড়িয়ে নামল অশ্রুধারা। শীর্ষ তবুও ছাড়ল না তাকে। ত্রয়ী দিশেহারা হলো। কোনো রকমে কণ্ঠে ধ্বনি তুলে বলল,

“ছাড়ুন আমাকে, ভীষণ লাগছে।”
শীর্ষ কটমট করল। চিবিয়ে চিবিয়ে বলল,
“লাগার জন্যই তো ধরেছি। আমি তোকে গাড়ি থেকে নামতে বারণ করে গিয়েছিলাম না? তারপর নেমেছিলি কেন?”
“হাওয়াই মিঠাই কিনতে।”
এবার যেন শীর্ষের সব রাগ গিয়ে পড়ল ঐ হাওয়াই মিঠাইয়ের উপরে। সে ছেড়ে দিল ত্রয়ীর গাল। খপ করে ধরল হাওয়াই মিঠাই দুটো। ছুঁড়ে মারল রাস্তায় ভিতরে। কণ্ঠে ক্রোধ নিয়ে বলল,
“এই বা*ল ছালের জন্য আমার কথার অবাধ্য হয়েছিলি না? যা এখন খা হাওয়াই মিঠাই।”
ত্রয়ীর কান্না পেল ভীষণ। কত আশা নিয়ে সে হাওয়াই মিঠাই দুটো কিনেছিল। অথচ এই লোকটা এভাবে রাস্তায় ফেলে দিলো? মেয়েটা ছলছল নয়নে রাস্তায় পড়ে থাকা হাওয়াই মিঠাই দুটোর দিকে তাকিয়ে রইল। একটু আগেই একটা গাড়ি তার শক্ত চাকা দ্বারা সে দুটোকে পিষে দিয়ে গেছে। শীর্ষ অবশ্য সেদিকে পাত্তা দিল না ততটা। ক্রোধে ফোঁস ফোঁস করতে করতে সে এগিয়ে গেল বাইকের দিকে। ত্রয়ীকে খাম্বার ন্যায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মেজাজ বিগড়ালো আরও। গলা উঁচিয়ে বলল,

“বাড়িতে যাবি নাকি এখানেই দাঁড়িয়ে থাকবি? থাকলে থেকে যা। আমিও একটু তোর মতো বালির বস্তার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাই।”
ত্রয়ী আর দাঁড়িয়ে রইল না। এই লোক যা অভদ্র তাতে তাকে ফেলে রেখেও চলে যেতে পারে। মেয়েটা নাক টানতে টানতে এগিয়ে এলো বাইকের পানে। শীর্ষ একটা হেলমেট বাড়িয়ে দিলো তার দিকে। অতঃপর নিজের মাথায় আরেকটা হেলমেট পড়তে পড়তে বলল,
“এটা তোর মোটা মাথায় পড়ে নে।”
ত্রয়ী অবাক হলো। হেলমেট কেন? তারা কি বাইকে বাড়ি ফিরবে? সে তো বাইকে চড়তে অভ্যস্ত নয়। তেমন কখনো বাইকে ওঠা হয়নি। আর শীর্ষের গাড়িটখ কোথায়? আসার সময় তো তারা গাড়িতেই এসেছিল। ত্রয়ী শীর্ষের হাত থেকে হেলমেটটা নিল। মিনমিনে কণ্ঠে প্রশ্ন করল,
“বাইক কেন? আপনার গাড়ি কোথায়?”

“বেচে দিয়েছি। বেশি কথা বললে তোকেও বেচে দেব। নয়তো এই ব্যস্ত সড়কের মধ্যে ধাক্কা মে’রে ফেলে আমার বাইকের চাকা দিয়ে পিষে দিয়ে যাব‌।”
ত্রয়ী ঢোক গিলল। কণ্ঠ বাড়িয়ে আর বলল না সে বাইকে চড়তে অভ্যস্ত নয়। চুপচাপ মাথায় হেলমেটটা পড়ে নিল। শীর্ষ বাইকে উঠে বসলো। ত্রয়ীও বাইকে উঠতে যাবে ঠিক তখনই শীর্ষ বলল,
“বাইকে উঠছিস ভালো কথা। পড়ে যাওয়ার ভয়ের দোহাই দিয়ে জড়িয়ে ধরবি না। প্রয়োজনে রাস্তায় পড়ে গড়াগড়ি খাবি তবুও আমাকে জড়িয়ে ধরবি না‌। কাঁধে হালকাভাবে হাত দিয়ে বসবি।”
ত্রয়ী মুখ বাঁকালো। মনে মনে ভেংচি কেটে বলল,
“আপনার মতো অভদ্র, বেয়াদব, অসভ্য ছেলেকে জড়িয়ে ধরার ইচ্ছেও আমার নেই। নিজেকে কি ভাবেন আপনি? দেশের প্রেসিডেন্ট নাকি? যত্তসব।”

মনে মনে এতগুলো কথা বললেও মুখে কিছু বলার সাহস হলো না তার। নিঃশব্দে শুধু মাথা নেড়ে বাইকে উঠে বসলো সে। আলতোভাবে হাত রাখলো শীর্ষের কাঁধে। শীর্ষও আর দেরি করল না। বাইকে স্টার্ট দিয়ে সাই সাই করে ছুটলো সামনের দিকে। কিছুটা দূরে যেতেই পথিমধ্যে দেখা মিললো উঁচু নিচু স্থানের। বাইকটা উঁচু স্থান থেকে নিচের দিকে নামতেই ত্রয়ী ঝুঁকে গেল শীর্ষের দিকে। অন্তরাত্মা কেঁপে উঠল তার। মনে হলো যেন সে পড়ে যাচ্ছে। মেয়েটার হৃদয় ভীত হলো। প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে ভুলে গেল শীর্ষের সতর্কতা। দিশেহারা হয়ে দুই হাতে জড়িয়ে ধরল শীর্ষের কোমড়। খামচে ধরল তার তলপেটের দিকে। শীর্ষ হকচকাল। আকস্মিক নারীদেহের এমন গাঢ় স্পর্শে শিউরে উঠল তার পুরুষালী শরীর। হৃদস্পন্দন গাঢ় হলো মুহূর্তেই। অদ্ভুত এক অনুভূতির তাড়নায় অসাড় হয়ে এলো যেন তার দেহটা। দ্রুত ব্রেক কষলো সে। চলতে চলতে হঠাৎ ব্রেক কষায় বাইকটাও তার ভারসাম্য হারালো। ফলস্বরূপ রাস্তার মধ্যেই বাইকটা উল্টে গেল। ত্রয়ী এবং শীর্ষও তৎক্ষণাৎ ছিটকে পড়লো রাস্তার পাশে। শীর্ষের মাথার হেলমেট মাথায় থাকলেও ত্রয়ীর মাথারটা খুলে গেল। নিচে মাটিতে পড়েই চ্যাচিয়ে উঠল সে,

“আল্লাহ গো। ম’রে গেলাম গো।”
শীর্ষ মাথার হেলমেটটা খুলল। মাটি থেকে উঠতে গিয়েও আবার শুয়ে পড়ল। কোমড়ে বেশ ভালোই ব্যথা পেয়েছে। শরীরের কয়েক স্থানে কেটে ছিঁড়েও গেছে বোধ হয়। এদিকটায় মানুষজনও নেই তেমন যে কাউকে ডাকবে। মাটিতে শুয়ে থেকেই চোখ দুটো বন্ধ করল শীর্ষ। চিবিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে বলল,
“ম’রে যা তুই। বালির বস্তা একটা। নিজে তো ম’র’বে’ই সাথে আমাকেও মা’র’বে।”
প্রত্যুত্তরে ত্রয়ী চুপ রইল। এমনিও সে চুপচাপ স্বভাবের আর এখন এই সময়ে তো কথা বলতেই ইচ্ছে হচ্ছে না। ব্যথায় যেন শরীরটা অবশ হয়ে আসতে চাইছে। কোমড়ে তো ব্যথা আছেই। সাথে হাঁটুতে আর হাতের কব্জিতে ব্যথা হচ্ছে ভীষণ। ভেঙে টেঙে গেছে কিনা কে জানে। শীর্ষ কোনো মতে কোমড় চেপে উঠে দাঁড়াল। এগিয়ে এসে হাত বাড়াল ত্রয়ীর দিকে। বিরক্তি নিয়ে বলল,

“ম’রা’র মতো পড়ে না থেকে উঠে আয়।”
ত্রয়ী শীর্ষের হাতটা ধরলো। অস্তে ধীরে উঠে দাঁড়ালো। শীর্ষ পিঠ বাঁকিয়ে কোমড়টা ঠিক করার ব্যর্থ প্রয়াস চালাল। দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
“প্রথমবার বাইকে উঠেই জায়গা ছেড়ে বেজায়গায় ছুঁয়ে দিয়ে আমার এক্সিডেন্ট করিয়ে ছাড়লি। এরপর বাইকে উঠালে তো দেখা যাবে আমাকে জানে মে’রে ছাড়বি।”
ত্রয়ী আড়ষ্ট হলো। ইতস্তত করে বলল,
“আমি বেজায়গায় ছুঁইনি। ভয়ে দিশাহারা হয়ে শুধু আপনার পেটেই ছুঁয়েছি।”
শীর্ষ সোজা হয়ে দাঁড়াল। কটমট করে বলল,

অনুরাগে তুই পর্ব ৭

“পেট না ওটা তলপেট। আমার তলপেট তোর বেজায়গা মনে হয় না? কেন আরও নিচে যাওয়ার ইচ্ছে ছিলো নাকি?”
থামল শীর্ষ। চোখ বড়ো বড়ো করে ফের বলল,
“তুই তো দেখছি সাংঘাতিক মেয়ে রে বালির বস্তা। বোকাসোকা হওয়ার ভান ধরে আমার মান ইজ্জতে থাবা বসাতে চেয়েছিলি!”

অনুরাগে তুই পর্ব ৯