অনুরাগে তুই পর্ব ৯

অনুরাগে তুই পর্ব ৯
সাদিয়া শওকত বাবলি

থামল শীর্ষ। চোখ বড়ো বড়ো করে ফের বলল,
“তুই তো দেখছি সাংঘাতিক মেয়ে বালির বস্তা। বোকাসোকা হওয়ার ভান ধরে আমার মান ইজ্জত খেয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা করেছিলি।”
ত্রয়ী চমকাল, ভরকালো। বিস্ফোরিত নয়নে তাকালো শীর্ষের পানে। লোকটা কি‌ সব বলছে। ছিঃ ছিঃ, আরও নিচে মানে কি? আবার বলছে মান ইজ্জতে থাবা বসাতে চেয়েছে? লজ্জায় মাথাটা নুইয়ে ফেলল ত্রয়ী। লোকটা ভীষণ বদ নয়তো এসব কথা মুখে আনে কিভাবে? শীর্ষ এক পলক তাকালো লাজনম্র মেয়েটির পানে। অতঃপর মুখ বাঁকিয়ে হেঁটে গেল রাস্তায় পড়ে থাকা বাইকটার নিকটে‌। বাইকের সামনের দুটো লাইটই ভেঙে গেছে। আরও সামান্য কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তবে চলবে বোধ হয়। শীর্ষ বাইকটা টেনেটুনে তুলল। এরপরে তার ওপরে উঠে বসে তাকালো ত্রয়ীর দিকে। কপাল কুঁচকে বলল,

“ওখানে খাম্বার মতো দাঁড়িয়ে না থেকে বাইকে ওঠ।”
ত্রয়ী কোনো রকমে খোঁড়াতে খোঁড়াতে গেল বাইকের নিকটে। উঠে বসলো শীর্ষের পিছনে। তার কাঁধে হাত রাখবে ঠিক তখনই শোনা গেল শীর্ষের ভারী কণ্ঠস্বর। ত্রয়ীকে শাসিয়ে সে বলল,
“সাবধান! হাত দুটো সামলে রাখবি বালির বস্তা। এবারেও যদি ঐ হাত দিয়ে আমার ইজ্জতে কোনো ভাবে থাবা বসাতে চাস তুই তাহলে কিন্তু তোর ঐ হাত কেটে আমি এই রাস্তায় ফেলে রেখে যাব বলে দিলাম।”
ত্রয়ী ভীত হলো। তার আর সাহস হলো না শীর্ষের কাঁধে হাত রাখার। বলা তো যায় না আবার যদি ভয় পেয়ে কোনোভাবে জড়িয়ে ধরে শীর্ষকে। তখন তো এই বদ লোক তাকে মে’রে’ই ফেলবে। মেয়েটা ঢোক গিলে বাইকের পিছনের দিকটা আঁকড়ে ধরল। শীর্ষও আর দেরি না করে বাইক স্টার্ট করল।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

কিছুটা সময় পর শীর্ষদের বাইকটা এসে থামলো একটা হাসপাতালের সামনে। বেশ বড়োসড়ো হাসপাতালটি। সেই সাথে বেশ পারিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং মার্জিত। ত্রয়ী তাকিয়ে দেখলো হাসপাতালের সামনে বেশ কিছু মানুষ দেখা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে কারো কারো মুখে হাসি লেপ্টে রয়েছে। হয়তো তাদের কাছের মানুষ বা স্বজনরা এই হাসপাতালে আরোগ্য লাভ করেছে তাই এত খুশি তারা। তাদের পাশেই কিছু লোক আবার বিষন্ন মুখশ্রীতে দাঁড়িয়ে রয়েছে, কেউ কেউ আবার কাঁদছেও। চোখ ভর্তি তাদের কষ্ট অশ্রু। হয়তো এদের স্বজনরা এই হাসপাতালেই মৃ’ত্যু’র সাথে পাঞ্জা লড়ছে অথবা মৃ’ত্যু’কে বরণ করে নিয়েছে ইতোমধ্যে তাই তাদের এত বিষন্নতা। বুক চিরে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো ত্রয়ীর। আচ্ছা আজ যে দুর্ঘটনাটি ঘটলো সে দূর্ঘটনায় যদি সে ম’রে যেতো। তাহলে কি কেউ তার জন্য কাঁদতো? উহু, একদম কাঁদত না। তার জন্য কাঁদার মতো যে এই পৃথিবীতে কেউ নেই। বাবা, মা, ভাই, বোন, চাচা, চাচি কেউ নেই। যাও একজন দাদি ছিলেন তিনিও চলে গেলেন। এই বিশাল দুনিয়ায় ত্রয়ী একা, বড্ড একা।
বেশ কিছুটা সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও ত্রয়ীকে বাইক থেকে নামতে না দেখে ভ্রু কুঁচকাল শীর্ষ। বিরক্তি ভরা কণ্ঠে বলল,

“সারাদিন কি বাইকে বসে থাকার পরিকল্পনা করেছিস? নামছিস না কেন এখনো?”
ত্রয়ীর ধ্যান ভাঙলো। তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলে আনমনেই পা রাখলো সে মাটিতে। অমনি ধপাস করে পড়লো নিচে। এমনি দুর্ঘটনর কবলে পড়ে পায়ে হাতে ব্যথা পেয়েছিল। তার উপর এতক্ষণ বাইকে পা ঝুলিয়ে বসে থাকতে থাকতে পা দুটো যেন অবশ হয়ে গেছে। এখন আবার ধপাস করে মাটিতে পড়ে বাকিটুকুও গেল। ব্যথায় ককিয়ে উঠল মেয়েটা। আর্তনাদ করে বলল,
“আমার পা!”

শীর্ষ নেমে দাঁড়াল বাইক থেকে। এই মেয়ের কর্মকান্ডে বেশ বিরক্ত সে। কিন্তু কিছু করারও নেই। ত্রয়ীকে শপিং করাতে নিয়ে না গেলে তার থাকতে হতো ঐ মিস্টার সোহাগের সাথে। ঐ সোহাগ নামক প্রাণীকে সহ্য করার থেকে এই বোকাসোকা ত্রয়ীকে সহ্য করা আবার শ্রেয়। বিরক্তিতে নাকমুখ কুঁচকাল শীর্ষ। রুক্ষ স্বরে বলল,
“তোকে আমি শুধু শুধু বালির বস্তা বলি নাকি যেখানে সেখানে ধুপ ধাপ বালির বস্তার মতো পড়িস শুধু। তাড়াতাড়ি ওঠ। হাসপাতাল থেকে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়িতে ফিরতে হবে আবার।”
ত্রয়ী নিচ থেকে ওঠার চেষ্টা করল কিন্তু পারল না। পা টায় একটু বেশিই ব্যথা হচ্ছে। একটু নাড়া লাগলেই মনে হচ্ছে যেন ব্যথায় কলিজা ছিঁড়ে যাচ্ছে। ত্রয়ীকে উঠতে না দেখে শীর্ষের বিরক্তি বাড়লো আরও। ফের রুক্ষ কণ্ঠে শুধাল,
“উঠছিস না কেন?”

ত্রয়ী ফুঁপিয়ে উঠল। নাক টেনে বলল,
“উঠতে পারছি না। পায়ে ভীষণ ব্যথা লাগছে।”
শীর্ষ তাকালো মেয়েটির মুখ পানে। সাথে সাথে থমকে গেল যেন। ত্রয়ীর কোমল দুই গাল বেয়ে অশ্রু ধারার দেখা মিলেছে, নাকটাও লাল হয়ে উঠেছে। এই রূপে যেন মেয়েটির মুখশ্রী জুড়ে আলাদাই একটি সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে। শীর্ষের হৃদস্পন্দন গাঢ় হলো। পূর্বের তুলনায় একটু নরম হলো সে। ত্রয়ীর দিকে আর একটু এগিয়ে গিয়ে বলল,
“তোকে এখন আমি কোলে তুলে নেব। হাত, পা, মাথা, দেহ সব সাবধানে রাখবি। আমার ইজ্জতে বিন্দু মাত্র দাগ লাগানোর চেষ্টা করলেও কিন্তু হাসপাতালের ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে তোকে জানে মে’রে দেব।”
কোলে তুলে নিবে? ত্রয়ী আড়ষ্ট হলো। কেমন লজ্জা লজ্জা লাগলো তার। এলোমেলো দৃষ্টি ফেলে সে বলল,
“কোলে তুলে নেওয়ার কি দরকার? তার থেকে আপনি আমার হাত ধরুন। আমি হেঁটেই যেতে পারব।”
শীর্ষ কপাল টানটান করল। থমথমে কণ্ঠে শুধাল,

“কোলে তুলে নেওয়া আর হাত ধরে নেওয়ার মধ্যে পার্থক্য কি?”
ত্রয়ী ভরকালো। বোকা বোকা কণ্ঠে প্রশ্ন করল,
“মানে?”
“মানে তোকে যদি এখন হাত ধরে নিয়ে যাই একটু পরেই দেখা যাবে পায়ে ব্যথায় আমার গায়ে ঢলে পড়েছিস। তখন কি হবে? আমার শরীরের সাথে তোর শরীরের স্পর্শ লাগবে। আবার তোকে তো বিশ্বাস নেই। হাঁটতে গিয়ে দেখা যাবে পায়ের ব্যথায় আমাকে জাপটে ধরে নিঃশ্বাস বন্ধ করে মে’রে ফেলতে চাইছিস। তার থেকে কোলে নিয়ে যাওয়া ভালো। তুই আমাকে জাপটে ধরে মে’রে ফেলতে চাইলে আমিও তোকে তৎক্ষণাৎ নিচে ফেলে দিয়ে আহত করে দেব।”

কি অদ্ভুত যুক্তি! ত্রয়ী এই যুক্তির বিপরীতে কিছু বলার মতো আর ভাষা খুঁজে পেল না। শুধু বোকা বোকা চোখে তাকিয়ে রইল। শীর্ষ আর বাক্যব্যয় করল না। অনুমতি ব্যতীতই কোলে তুলে নিল মেয়েটিকে। অমনি যেন তার কোমড়ে পাওয়া ব্যথাটা তড়িঘড়ি করে জাগ্রত হলো। দাঁতে দাঁত পিষে সে সহ্য করল সে ব্যথা। ত্রয়ীর ছোটখাটো শরীরটা আরেকটু চেপে ধরল নিজের শরীরের সাথে। নারী দেহের স্পর্শ কিঞ্চিৎ নড়বড়ে করে তুলল শীর্ষের পুরুষালী সত্ত্বাকে। অদ্ভুত এক অনুভূতির তাড়না বইতে শুরু করল তার মন মস্তিষ্ক জুড়ে। তবে পরক্ষণেই ভ্রু কুঁচকে সে বলল,
“তোর শরীরটা এত নরম কেন বালির বস্তা?”
ত্রয়ী লজ্জা পেল। সাথে সাথে দৃষ্টি নুইয়ে ফেলল সে। লোকটার মুখে একদম কিছু আটকায় না। তবে মেয়েটার এই লজ্জা টিকলো না বেশিক্ষণ। তার লজ্জাকে পিষে দিয়ে শীর্ষ বলল,
“মনে হচ্ছে যেন কেঁচো বা জোঁক ধরেছি। কেমন ঢ্যাব ঢ্যাব করছে। ধরে শান্তি পাচ্ছি না।”
এই টুকু বলেই যদি সে থেমে যেতো তাহলে বোধ হয় ভালোই হতো। কিন্তু এরপরেই সে সকল অনুভূতির গলা টি’পে দিয়ে ফের বলল,

“কাল থেকে রোজ ব্যায়াম করবি। শরীরটা শক্ত বানাবি। এরপরেও যদি শরীর শক্ত না হয় তবে আমাকে বলবি। আমি তোকে জিমে ভর্তি করে দেব।”
প্রত্যুত্তরে চুপ রইল ত্রয়ী। গা ছাড়া ভাবে ঝুলে রইল শীর্ষের কোলে। সে কোনোভাবে ধরল না লোকটাকে। ঐ শীর্ষ দুই হাতে যতটুকু ধরে রেখেছে ততটুকুই।
শীর্ষ ত্রয়ীকে কোলে নিয়ে এলো হাসপাতালের ভিতরে। বসালো ডাক্তারের কেবিনে একটা চেয়ারে। কেবিনটা বেশ সাজানো, গুছানো এবং পরিপাটি। কেবিনে থাকা টেবিলের উপরে একটি শক্ত কার্ডবোর্ডে খোদাই করে লেখা “মোঃ রাশেদুল খান” নামটি। ত্রয়ী চোখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখতে লাগল পুরো কক্ষটা। তার চারদিকটা দেখার মধ্যেই একজন মধ্যবয়স্ক পুরুষ এসে ঢুকলো কক্ষের ভিতরে। শরীরে তার শুভ্র রঙা এক খানা এপ্রোন জড়ানো। চোখে চিকন ফ্রেমের চশমা। গলায় আবার একটা প্রেশার মাপার যন্ত্রও ঝুলানো। কি যেন নাম এটার? ত্রয়ী মস্তিষ্কে চাপ প্রয়োগ করল যন্ত্রটার নাম মনে করার জন্য। কিন্তু মনে পড়লো না কিছুতেই। মধ্যবয়স্ক ডাক্তারটি এগিয়ে এসে দাঁড়ালেন তার এবং শীর্ষের মুখোমুখি। চোখ ছোট ছোট করে শীর্ষকে শুধালেন,

“আবার কি ঘটিয়েছো? আর এই মেয়েটি কে?”
শীর্ষ নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে জবাব দিলো,
“বাইক এক্সিডেন্ট করেছি। আর মেয়েটি তোমার মামাতো ভাইয়ের মেয়ে।”
রাশেদুল খান অবাক হয়ে তাকালেন ত্রয়ীর দিকে। চোখ কিঞ্চিৎ বড়ো বড়ো করে প্রশ্ন করলেন,
“মামাতো ভাইয়ের মেয়ে! তোমার বাবার নাম কি?”
ত্রয়ী মিনমিনে কণ্ঠে জবাব দিলো,
“আব্দুর রাজ্জাক।”
রাশেদুল খানের চোখ মুখ চকচক করে উঠল। একটা চেয়ার টেনে তিনি বসলেন ত্রয়ীর মুখোমুখি। উৎফুল্ল হয়ে শুধালেন,

“তুমি আব্দুল রাজ্জাক ভাইয়ের মেয়ে? যোগাযোগ না থাকায় তোমাদের কারো সাথেই পরিচয় নেই আমাদের। রাজ্জাক ভাইয়ের মৃত্যুর কথাও শুনেছি তবে অনেক পরে।”
কথাটা বলে দীর্ঘশ্বাস ফেললেন রাশেদুল খান। ফের বললেন,
“তোমার নাম কি মা?”
“ত্রয়ী।”
“তা এই অবস্থা হলো কিভাবে? এক্সিডেন্ট কিভাবে করলে তোমরা?”
ত্রয়ী কোনো উত্তর দিবে তার আগেই মুখ খুললো শীর্ষ। আগে বাড়িয়ে বলল,
“ও আমার…”
এইটুকু বলে থেমে সে। ফের থমথমে কণ্ঠে বলল,
“বাইক উলটে গিয়েছিল।”
রাশেদুল খান বিরক্তি নিয়ে তাকালেন শীর্ষের দিকে। গম্ভীর কণ্ঠে বললেন,
“তুমি কি কখনো ভালো হবে না? একদিন আসো মা’রা’মা’রি করে, একদিন আসো এক্সিডেন্ট করে। বাইক বা গাড়ি চালানোর সময় দেখেশুনে সাবধানে চালাবে না?”
শীর্ষ তীর্যক দৃষ্টিতে তাকালো ত্রয়ীর দিকে। দাঁতে দাঁত পিষে জবাব দিলো,
“আমি দেখেশুনে সাবধানেই চালাচ্ছিলাম কিন্তু ওর হাত দুটো সাবধানে ছিল না।”
তপ্ত নিঃশ্বাস ফেললেন রাশেদুল খান। ত্রয়ীর দিকে তাকিয়ে তিনি শুধালেন,
“কোথায় কোথায় ব্যথা পেয়েছো দেখাও আমাকে।”
“হাতে আর পায়ে।”

পরপর রাশেদুল খান আবার তাকালেন শীর্ষের দিকে। থমথমে কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলেন,
“তুমি কোথায় ব্যথা পেয়েছো?”
শীর্ষ কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেল। ত্রয়ীর সামনে নিজের ব্যথার কথা স্বীকার করাটা তার আত্মগরিমায় লাগবে। তাছাড়া সে যতটুকু ব্যথা পেয়েছে তা খুব একটা গুরুতর নয়। বাসায় নিজের চিকিৎসা নিজেই নিতে পারবে। তারপর যদি প্রয়োজন হয় তখন না হয় এসে দেখিয়ে যাবে রাশেদুল খানকে। শীর্ষ কণ্ঠ স্বাভাবিক রেখেই জবাব দিলো,
“আমি কোনো ব্যথা পাইনি।”

রেস্টুরেন্টে বেশ কিছুক্ষণ কথাপকথনের পরে মিস্টার সোহাগের সাথে ডিলটা নিশ্চিত করলেন আব্দুর রহমান খান। এবার তাদের যাবার পালা। আব্দুর রহমান খান উঠে দাঁড়ালেন। নয়নের দিকে তাকিয়ে বললেন,
“মিস্টার সোহাগকে এগিয়ে দিয়ে এসো তুমি।”
নয়ন চমকালো। শেষে কিনা এই লোককে তার এগিয়ে দিয়ে আসতে হবে? আমতা আমতা শুরু করল নয়ন। এলোমেলো দৃষ্টি ফেলে বলল,
“স্যার আমি…”
এই টুকু বলতেই তাকে থামিয়ে দিলো মিস্টার সোহাগ। হাত নাড়িয়ে বলল,
“সামনেই আমার গাড়ি রাখা আছে। এই টুকু পথ না হয় আমরা একসাথে যাই। এসো কিউট বয়, আমার সাথে এসো।”

অনুরাগে তুই পর্ব ৮

মিস্টার সোহাগ হাঁটা ধরল। নয়নের কান্না পেল ভীষণ। এ কার পাল্লায় পড়লো সে? শীর্ষ তো তাও পালিয়ে বেঁচেছে। তার তো পালিয়ে বাঁচারও উপায় নেই।‌ এখন একে এগিও দিয়ে আসতে হবে। তারপর আবার এর সাথে ডিলও নিশ্চিত হয়ে গেছে।‌ এখন আবার কতদিন এই মিস্টার সোহাগ নামক প্রাণীদের তাদের সহ্য করতে হয় কে জানে।

অনুরাগে তুই পর্ব ১০