অপরিচিতা গল্পের লিংক || তানিশা সুলতানা

অপরিচিতা পর্ব ১
তানিশা সুলতানা

দীর্ঘ দিন ফেসবুকে প্রেমের পরে আজকে প্রথমবার দেখা পরতে যাবে রিফা।
তাই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে রান্না করতে যায়।
রান্নাঘরে সাহেলা ছিলো

রিফা: (সবজি হাতে নিয়ে) মা আজকে একটু বেরুতে হবে আমার

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

সাহেলা: ( রেগে) কোন মহাকাজে যাবেন আপনি? আজকে বাড়িতে অনেক কাজ আছে। তুই বেরুলে এসব কে করবে?

রিফা: মা কাল করবো সব

সাহেলা: কাল না আজকেই করতে হবে। কোথাও যাওয়া চলবে না তোর।

রিফা: মা খুব দরকার।

সাহেলা: চুপচাপ কাজ কর। আমাকে দরকার দেখাতে আসবি না একদম। রান্না শেষ করে রিয়ার রুম মুছে দিবি আগে। মেয়েটা আমার ধুলোবালি একদম সয্য করতে পারে না। এলার্জি আছে তার।

রিফা: মা আমি যদি কাজ শেষ করতে পারি? তাহলে যেতে দিবা?

সাহেলা: কাজ করতে করতে বিকেল হয়ে যাবে তোর।

রিফা: বিকেলেই যাবো।

সাহেলা: ভেবে দেখবো।

রিফা খুশি হয়ে কাজ করতে থাকে। তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করতেই হবে। সিফাত যে অপেক্ষায় থাকবে তার অপরিচিতার।
রান্নাবান্না শেষ করে রান্নাঘর গুছিয়ে রুমে যায় রিফা। ওড়নায় হাত মুছে ফোনটা হাতে নেয়। সিফাত বেশ অনেকগুলো কল দিয়েছে। রিফা মুচকি হেসে কল রিসিভ করে।

সিফাত: এতোক্ষন লাগে কল রিসিভ করতে?

রিফা: সরি কাজ করতেছিলাম।

সিফাত: কখন আসবে? কয়টায়? কোথায় দেখা হবে? তুমি কিন্তু শাড়ি পড়েই আসবা।

রিফা: (হাসি মুখটা কালো হয়ে যায়) আমার শাড়ি নেই।

সিফাত: আচ্ছা ঠিক আছে। আমি তোমার জন্য একটা শাড়ি নিয়ে যাবো৷ নেক্সট টাইম ওই শাড়ি পড়ে আমার সাথে দেখা করবা।
তোমাকে শাড়িতে দেখতে ইচ্ছে করছে।

রিফা: (মুচকি হাসে) আমাকে তো কখনো দেখেন নাই। যদি পছন্দ না হয়?

সিফাত: কে বলেছে দেখি নি? আমি মনে মনে প্রতিদিন তোমায় দেখি। তুমি আমার হৃদয় জুড়ে আছো অপরিচিতা। যে হৃদয়ে থাকে তার সৌন্দর্য দেখতে হয় না।

রিফা: তারপরও। যদি খুব বিশ্রী দেখতেহই আমি। আপনি যেমনটা কল্পনা করে হৃদয়ে রেখেছেন তেমনটা যদি না হই?

সিফাত: (মজা করে) তাও ঠিক। তখন কি করবো?

রিফা: (মনটা খারাপ হয়ে যায়) কি আর করবেন? আমাকে ভুলে যাবেন৷

সিফাত: ভাবছি ডিরেক্ট বিয়ে করে নিবো পছন্দ না হলে।

রিফা: যাকে পছন্দ না তাকে বিয়ে করা যায়?

সিফাত: পছন্দ অপছন্দ জানি না। তবে এই টুকু জানি আমি কল্পনায় তোমাকে যতটা সুন্দর ভেবেছি বাস্তবে তুমি তার থেকেও বেশি সুন্দর। আমি তোমাকে দেখে ভালোবাসো নি৷ যে আবার না দেখলেই ভালোবাসা কমে যাবে। আমি তোমাকে না দেখেই ভালোবেসেছি৷ কখনো তোমার কাছে পিক চাইনি৷ কারণ তোমাকে দেখাটা আমার বেশি জরুরি না। তোমার সাথে সারাজীবন কাটাতেই চাই এটাই বেশি জরুরি। তুমি শুধু আমার থাকলেই হবে।

রিফা মুচকি হাসে

রিফা: এতো বেশি কেনো ভালোবাসেন?

সিফাত: কারণ তুমি আমার তাই। বারোটা বেজে গেলো প্রায়। কখন আসবে?

রিফা: আমি বাসা থেকে বের হওয়ার সময় জানিয়ে দিবো। শুক্রবার বলে একটু বেশিই প্রবলেম হচ্ছে।

সিফাত: কি করবো বলো? শুক্রবার ছাড়া তো আমার ছুটি নেই। তুমি বললে হয়ত থেকে যেতাম তোমার সাথে দেখা করার জন্য। ছুটি নিতাম। কিন্তু তুমিই তো বললে প্রবলেম হবে না।

রিফা: সেরকম প্রবলেম না। আমি মেনেজ করে বেরুতে পারবো।

সিফাত: ঠিক আছে তাহলে রাখছি। সাবধানে আসবা।আর শুনো

রিফা: হ্যাঁ বলুন

সিফাত: ভালোবাসি।

রিফা: (মিষ্টি হেসে) আমিও ভালোবাসি।

ফোন কেটে ক্লান্ত শরীরে না খেয়েই রুম মুছতে যায় রিয়ার। রিয়া বসে বসে ফোন দেখছিলো রিফা ফ্লোর মুছছে।

রিয়া: রিফা পরে করে নিবি। এখন আয় আমার চুলে তেল দিয়ে দিবে।

রিফা অসহায় চোখে তাকায়।
রিফা: আপু আমাকে একটু বেরুতে হবে। প্লিজ রাতে দিয়ে দিবো।

রিয়া: (সন্দেহ চোখে) আজকে শুক্রবার। তো কলেজ প্রাইভেট কিছুই তো নাই। তাহলে কোথায় যাবে?
রিফা আমতা আমতা করতে থাকে।
রিয়া: কোথাও যাওয়া চলবে না। আগে আয় আমার চুলে তেল দিয়ে দিবি।

রিফা: মোছা শেষ করে দেই?

রিয়া: নাহহ আগে তেল দিবি তারপর মুছবি।

রিফা হাত মুছে রিয়াকে তেল দিতে যায়। রিয়া আরাম করে বসে রিফা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তেল দিতে থাকে। রিফার মাথা ঘুরছে না খাওয়ার কারণে। সে তারাহুরো করে তেল দিতে থাকে। এতে বিরক্ত হয় রিয়া

রিয়া: আস্তে আস্তে আরামসে দে। এভাবে ব্যাথা পাই আমি।

রিফা হতাশার নিঃশ্বাস ফেলে আস্তে আস্তে তেল দিতে থাকে আর ঘড়ির দিকে তাকাতে থাকে। এই তো দুটো বেজে গেছে। সময়ও কি শত্রুতা করছে রিফার সাথে?
তেল দেওয়ার শেষ করে ঘর মুছে বের হতে হতেচারটা বেজে যায়। এবার রিফা তারাহুরো করে রেডি হতে থাকে। সাজার সময় নেই৷ চোখে একটু কাজল আর ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক দিয়ে ওড়নাটা মাথায় চাপিয়ে বেরতে যায় তখনই সাহেলা সামনে আসে

সাহেলা: তোকে বললাম না আজকে না যেতে? কথা শুনিস না আমার। পা বড় হয়ে গেছে না কি তোর?

রিফা: (মাথা নিচু করে) তুমি তো বলেছিলে কাজ শেষ করতে পারলে যেতে দিবে।

সাহেলা: মুখে মুখে তর্ক করছিস? সব কাজ শেষ করেছিস তুই? শুক্রবারে তোর কিসের কাজ?

রিফা কি উওর দেবে এবার? কি বলবে মাকে?

সাহেলা: কোথাও যাওয়া চলবে না তোর। কোথাও যেতে দিবো না তোকে৷ সেজেগুজে সং সেজে বের হচ্ছে। পা ভেঙে রেখে দিবো আমি। জামাকাপড় পাল্টে বাইরে আয়। কাজ আছে।

রিফা: (চোখে পানি টলমল করছে) মা প্লিজ যেতে দাও। আমি আর কখনো কোথাও যেতে চাইবো না। প্লিজ মা আজকের মতো যেতে দাও।

সাহেলা: না করেছি মানে না। কোথাও যাবি না তুই। বেশি কথা বললে থাপ্পড়ে গাল লাল করে দিবো বেয়াদব।

বলেই চলে যায় সাহেলা। রিফা খাটে বসে কাঁদতে থাকে। এবার কি করবে সে? কিভাবে যাবে সিফাতের সাথে দেখা করতে? তাহলে কি দেখা হবে না ওদের? কথা রাখতে পারবে না রিফা?

আবারও ফোন বেজে ওঠে। স্কিনে সিফাত নামটা জ্বল জ্বল করছে।
রিফা চোখের পানি মুছে কল রিসিভ করে।

সিফাত: কোথায় তুমি অপরিচিতা? কোথায় আসবো আমি? বেরিয়েছো তুমি? আমি কি বেরিয়ে গেছি।

রিফা: আমিও বেরুবো এখনই।

সিফাত: একটু তাড়াতাড়ি এসো। আবার তো সন্ধার আগে বাসায় ফিরতে হবে তোমার।

রিফা: হ্যাঁ আসছি।

সিফাত: কোথায় আসবো বললে না তো? আমি এমনিতেই তোমাদের এলাকার কিছুই চিনি না।

সাহেলার কন্ঠ শোনা যাচ্ছে তাই রিফা চুপ করে আছে দরজার পাশে। সাহেলা ওই পাশে গেলে সে দৌড়ে বেরিয়ে যাবে এটাই তার মতলব।
ওই পাশ থেকে সিফাত হ্যালো হ্যালো করছেই।
সাহেলা রান্না ঘরের দিকে যেতেই রিফা দৌড় দিতে যায়। আর সোফার কোণার সাথে বেঁধে তার ফোনটা গিয়ে দেয়ালে বাড়ি খায়। মুহুর্তেই ভেঙে গুড়িয়ে যায়।

রিফা ভাঙা ফোনের টুকরো হাতে নিয়ে কেঁদে ফেলে। এই ফোন আর ঠিক হবে না। আর ফোন ঠিক না হলে কি করে যোগাযোগ করবে সিফাতের সাথে? আর বাবা থেকে আর ফোন কিনেও দেবে না। এটা নানুবাড়ি থেকে দিয়েছিলো রিফাকে।

সাহেলা ফোন হাতে রিফাকে কাঁদতে দেখে এগিয়ে আসে।

সাহেলা: শয়তানের বাচ্চা ফোনটাকে খাইলি তো। কিনতে টাকা লাগে নি তাই না? আমি বাইরে যেতে দিলাম না বলে ফোন ভেঙে ফেললি? আমার রাগ ফোনোর ওপর খাটালি তাই তো?
আসুক তোর বাপ আজকে বাড়িতে। এর একটা বিহিত সেই করবে। এতোরাগ কই থাকে তোর।

রিফা: (কাঁদতে কাঁদতে) আমি ইচ্ছে করে ভাঙি নি মা। পড়ে গিয়ে ভেঙে গেছে৷

সাহেলা: মিথ্যে বলবি না একদম। তোরে আমি হারে হারে চিনি৷ তুই ইচ্ছে করে ভেঙেছিস। আমি যেতে দিলাম না সেইজন্য আমাকে তো মারতে পারলি না রাগটা ফোনের ওপর খাটালি।

রিফা আর কথা বলে না। কারণ লাভ নেই। সাহেলাকে বোঝানো যাবে না। সে বুঝবে না।বাবার কাছে নালিশ করবেই সে।

রিফা ভাঙা টুকরো গুলো নিয়ে রুমে চলে যায়। তার ঘরে একটা ঘড়ি পর্যন্ত নেই। ফোনটাই ছিলো তার একমাত্র সম্বল।
রিফা কাঁদতেই থাকে।
খানিকক্ষণ পরে রিয়া আসে।

রিয়া: রিফা রান্না করবি না তুই? পড়ে পড়ে কাঁদছিস কেনো?
আমার খিধে পেয়ে পাস্তা বানিয়ে দে।

রিফা চোখের পানি মুছে উঠে বসে। বোনরা না কি বেস্টফ্রেন্ড হয়। কই রিফার বোনতো বেস্টফ্রেন্ড না। সে রিফাকে বোঝেই না।

রিফার পাঁচ বছর বয়সে তার মা মারা যায়। বছর খানিক রিফাকে বাবা আগলে রেখেছে। কিন্তু যখন বুঝতে পারলো এভাবে চলছে না। রিফাকে সামলে আবার কাজ করা দুটো হয়ে উঠছে। তখন সে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
সাহেলা ছিলো রিফার বড় খালা। রিয়াকে দশ বছরের রেখে সে মারা গেছে।
রহিম চিন্তা করে সাহেলাকে বিয়ে করলে সাহেলা রিফাকে বেশি ভালোবাসবে। খালারা তো মায়ের মতোই হয়।
কিন্তু সাহেলা উল্টো। ছোট থেকেই দেখতে পারে না রিফাকে। সমানে টর্চার করে যায়।
আর রিয়া? সে তাই

অনিচ্ছা থাকা স্বত্তেও রিফা রান্না ঘরে ঢুকে। রিয়া বসে বসে ফোন দেখতে থাকে। তার দুটো ফোন। রিফা পাস্তা রান্না করে রিয়াকে দিয়ে আবার ভাত বসায়।

সিফাত দীর্ঘ পাঁচ ঘন্টা এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করে রিফার নাম্বারের হাজার বার কল দিয়েছে। কিন্তু রিফার ফোন বন্ধ। পাঁচ ঘন্টা অপেক্ষা করে সে ক্লান্ত শরীরে বাড়ি ফিরে। অধিক আগ্রহে বসে ছিলো মমতা আর মিথিলা।
কলিং বেল বাজতেই মমতা দরজা খুলে দেয়। মিথিলা বই পড়ছে।

মমতা: কি রে কেমন দেখছি? কবে যাবো প্রস্তাব নিয়ে ওদের বাড়িতে?

সিফাত মায়ের কথার উওর দেয় না। সে চুপচাপ গিয়ে মিথিলার পাশে বসে। মমতা দরজা আটকে সিফাতের অন্য পাশে বসে।

মিথিলা: ভাইয়া চুপ করে আছো কেনো? কিছু হয়েছে?

মমতা: অপরিচিতাকে পছন্দ হয় নি? সে তোর মনের মতো না?

সিফাত: মা ও আমার মনের মতো। ওকে কখনোই আমার অপছন্দ হতেই পারে না। ও পৃথিবীর সব থেকে সুন্দরতম মানুষ।

বেশ রেগে বলে সিফাত।

মমতা: (সিফাতের মাথায় হাত বুলিয়ে) ঠিক আছে বুঝলাম আমি। কিন্তু হয়েছে কি তোর? মুখটা এমন করে রেখেছিস কেনো? শাড়ি দিয়েছিলি? আমি যে তোকে বললাম একটা আংটি কিনে নিতে। নিয়েছিলি? ওকে পড়িয়েছিস?

সিফাত দুই হাতে মুখ ঢেকে কেঁদে ফেলে। চমকে ওঠে মমতা আর মিথিলা।

মিথিলা: (সিফাতের পিঠে হাত বুলিয়ে) ভাইয়া কাঁদছো কেনো তুমি?

মমতা:(উদবিঘ্ন হয়ে) আব্বা কাঁদছিস কেনো? কি হয়েছে তোর? বল আমায়।

সিফাত: (কাঁদতে কাঁদতে) অপরিচিতা আমার ঠকিয়েছে মা। ও আমার সাথে বেইমানি করেছে। আসেই নি আমার সাথে দেখা করতে। ফোনটা বন্ধ করে রেখেছে। আমার ইমোশন নিয়ে খেলা করলো ও। আমার সাথে বেইমানি করবো। কি করে পারলো মা?
আমি ওকে পাগলের মতো ভালোবাসি। ও কেনো ঠকালে আমায়? কেনো ঠকালো?

মমতা কিভাবে ছেলেকে শান্তনা দেবে বুঝতে পারছে না। অপরিচিতা সম্পর্কে যতটুকু জেনেছে সেই মেয়ে তো এমন না। একবার কথা বলেছিলো মমতা। কি সুন্দর কন্ঠ। কেমন ভদ্র ভাবে কথা বলে। সেই মেয়ে এমনটা করবে?

মিথিলা: ভাইয়া তুই তো বলেছিলি অপরিচিতার সৎ মা। হতে পারে জানতে পেরেছে তোর সাথে দেখা করতে আসছে তাই ফোন নিয়ে বন্ধ করে রেখেছে। অপরিচিতা ঠেকানোর মতো মেয়ে না ভাইয়া।

সিফাতের কান্না থেমে যায়। মিথিলা তো ঠিকই বলেছে। এমনটা তো হতেই পারে৷

মিথিলা: ভাইয়া তুই ভেঙে পড়িস না। তোর অপরিচিতা কখনোই তোকে ঠকাতে পারে না। সে হয়ত খুব সমস্যায় আছে।

সিফাত: আমি যোগাযোগ করবো কিভাবে ওর সাথে?
ওর খবর না জানা পর্যন্ত শান্তি পাবো না আমি।

মমতা: একটু ধৈর্য ধর অপরিচিতা নিজেই কল করবে তোকে। একটু ধৈর্য রাখ।

রাতে রহিম বাড়ি ফিরতেই সাহেলা তার কাছে বলতে শুরু করে

সাহেলা: আজকে তোমার মেয়ে বাইরে যেতে চেয়েছিলো ভর সন্ধায়। আমি তাকে আটকেছি বলে নিজের ফোনটা আছাড় দিয়ে ভেঙে ফেললো। আসলে মারতে চেয়লছিলো আমায়। আমায় মারতে পারে নি তো তাই ফোন ভেঙেছে।

রহিম এমনিতেই কাজ থেকে এসেছে। তারওপর বাড়ি ফিরে একটু রেস্ট নিতে পারলো না আগেই মেজাজ খারাপ করে দিলো।

রহিম: (রেগে) আজকে ওর খাওয়া বন্ধ। ফোন তো মাগনা দেয় নি কেউ। আর ফোন কিনে দিবো না ওকে।

সাহেলা কুটিল হাসে। আড়াল থেকে এটা শুনতে পায় রিফা। সে বাবাকে দেখে খুশি হয়ে আসছিলো একটা বাটন ফোন কিনে দিতে বলবে বলে। কিন্তু বাবার মুখ থেকে যেটা শুনলো তারপর আর এগোনোর সাহস হয় না।

রাতে না খেয়েই থাকে রিফা। সারাদিনের না খাওয়া সে। কেউ তাকে খেতে ডাকলো না।
রিফা কাঁদতে থাকে। কিভাবে ফোন কিনবে সে?
কোথায় টাকা পাবে? ফোন তো তাকে কিনতেই হবে। নাহলে সিফাতের সাথে যোগাযোগ করবে কিভাবে?

অপরিচিতা পর্ব ২