অশ্রুবন্দি পর্ব ৮৩
ইসরাত জাহান ফারিয়া
বিছানার মাঝখানে বসে ব্যাকুল চিত্তে কাঁদছে দুটো ছোট্ট প্রাণ। ভয়ে তাদের চোখমুখ শুকিয়ে গেছে। হাত-পা ছুঁড়ে মাম্মা-পাপাকে কোলে নেওয়ার তাগাদা দিচ্ছে, তাদের বুকে লেপ্টে যেতে চাইছে। ভাইবোন দু’জন একে-অপরের দিকে তাকিয়ে নিজেদের অসহায় অবস্থা প্রকাশ করছে। অথচ মাম্মা-পাপা তাদের শুনছেই না, তাকাচ্ছেও না। অভিমানে বুক ফেটে যাচ্ছে ওদের। মাম্মা-পাপার দ্বন্দ্বে চার দেয়ালের কামরাটায় দমবন্ধ ঠেকছে ওদের!
ইহসান স্তব্ধ চোখে তাকিয়ে আছে সৃজার দিকে। এই মেয়ের আকস্মিক আঘাতের জন্য সে প্রস্তুত ছিল না। কিছুই তার বোধগম্য হচ্ছে না। কপালের একপাশ ফেটে যে লাল তরল গড়িয়ে পড়ছে সেটাও টের পাচ্ছে না। তার বুকের ভেতরটা কেমন যেন করছে! অবর্ণনীয় আশঙ্কায় তার চোখমুখ রক্তশূণ্য হয়ে গেছে। যে কেউ দেখলেই ব্যঙ্গ করে বলবে, ইহসান শেখ ভীতু লোক। আর ভীতু লোকেরা কাপুরুষ হয়। এই যেমন, কাপুরুষেরা নিজের সঙ্গীর বিশ্বাস অর্জন করতে পারে না। ইহসান শেখও কি পারেনি তার সৃজাকে বিশ্বাস অর্জন করতে? এতো এতো প্রতিশ্রুতি, অনুভূতি, ভালোবাসা এসব তাহলে কি ছিল? মিথ্যে? সৃজা তাকে একটুও বিশ্বাস করে না? একবার জানতেও চাইল না ওর কাছে কিছু? উপেক্ষিত ইহসান হতবুদ্ধি হয়ে তাকিয়ে থাকে উদ্ভ্রান্ত সৃজার মুখপানে, টকটকে লাল হয়ে যাওয়া নাকের দিকে। বুক চাপড়ানো কাতরতা ও উদ্বিগ্নতায় ওকে পৃথিবীর সবচেয়ে অসহায় মেয়েদের একজন বলে মনে হচ্ছে। মায়ের মৃত্যুর প্রায় দশটি বছর পরে আজই যে জানতে পেরেছে তার জন্মদাত্রীকে কৌশলে খু ন করে সবটা না-কি এতোগুলো বছর ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
তন্মধ্যে চিৎকার আর ভাঙচুরের শব্দ শুনে বাড়ির প্রায় সকলেই হতবাক। মনে আশঙ্কা, বাচ্চাদুটো পড়ে ব্যথা পায়নি তো? অজানা শঙ্কায় বুক কেঁপে উঠল তাদের। ইজহান অফিসের উদ্দেশ্যে বেরুনোর প্রস্তুতি নিচ্ছে, শব্দ শুনে তার ভ্রু কুঁচকে গেল। একপ্রকার হন্তদন্ত হয়েই ছুটে এলো সে আর ইস্মিতা। এলো ইমরান-মিতু, সালেহা বেগম, চাকর-বাকর। আজিজ শেখ বাগান পরিষ্কার করাচ্ছেন, তার কানে এসব যায়নি। তাই তিনি এলেন না। ইহসানের শয়নকক্ষের দরজা ঠেলে ঘরে ঢুকে মূর্তিবনে গেল ইজহান। মেঝের এক কোণে বসে সৃজা হাঁটুতে মুখ গুঁজে হাউমাউ করে কাঁদছে, নিজের চুল ছিঁড়ছে। তার থেকে কিছুটা দূরে মেঝেতে ভাঙা কাচের টুকরোর মাঝে হাত-পা ছেড়ে বসে আছে হতবাক ইহসান। তার পরণের শার্টের সব ক’টা বোতাম ছেঁড়া, চুল এলোমেলো।
কপাল ফেটে অফ হোয়াইট শার্টের উপরিভাগ রক্তে ভিজে গেছে। কেউই কিছু বুঝতে পারল না। এ ওর মুখের দিকে তাকাল। ইমরান ছুটে গেল ইহসানের কাছে, ওর দুরাবস্থা দেখে। ইজহান থমকে দাঁড়িয়ে রইল। কাকে রেখে, কাকে কী জিজ্ঞেস করবে, ধরবে, বুঝতে পারল না। তবে এটা বুঝতে পারল তার ইহসানের মাথা থেকে ঝরা এই র ক্তের জন্য সৃজা দায়ী৷ একরাশ বিস্ময় ও ঘোরের মাঝে সে কাঁদতে থাকা দুটো পুতুলকে দু’হাতে তুলে নিয়ে বুকে চেপে ধরে আদরে আদরে ভরিয়ে দিয়ে, উদ্বিগ্ন সালেহা বেগম ও পরিচারিকার কোলে দিয়ে তাদের বেরিয়ে যেতে বলল। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সালেহা বেগম থাকতে চাইলেও ইজহানের ইশারা পেয়ে তিনি নাতি-নাতনীদের নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন।
ইজহান ক্ষুদ্ধ চোখে একবার সৃজাকে দেখল, যে তখনো অন্য পৃথিবীতে! ইস্মি টেনেও ওকে নড়াতে পারছে না। ইজহান কপালে ভাঁজ ফেলে এরপর গিয়ে বসল ইহসানের কাছে। ইমরান তখন ব্যতিব্যস্ত ভঙ্গিতে একটা একটা করে কাচের টুকরো বের করছে বড়ো ভাইয়ের শরীর থেকে। ইজহান অস্থিরতা গোপন করে পকেট থেকে রুমাল বের করে ইহসানের কপালে চেপে ধরে প্রচন্ড রাগান্বিত স্বরে প্রশ্ন করল, “অনিতা মিসের মেয়ের এতো বড়ো স্পর্ধা হয় কী করে যে, তোর মাথা ফাটায়?”
ইজহান জোরাল গলায় ধমকে উঠল সৃজাকে, “এই মেয়ে, তোমার সাহস হয় কী করে ওর মাথা ফাটানোর? ঝগড়াঝাটি হয়ই, তাই বলে একেবারে মাথা ফাটিয়ে দেবে? বেয়াদব মেয়েমানুষ!”
সৃজা অগ্নিচোখে তাকাল। ওর কণ্ঠ অবরুদ্ধ হয়ে যেতে চাইছে ভেতর থেকে ঠেলে আসা কান্নায়। নিজেকে প্রাণপণে স্থির রাখল ও৷ ঠোঁট কামড়ে কান্না আটকে নীরস স্বরে চিৎকার করে বলল ও, “ঝগড়াঝাটি না, কিছু না, কিচ্ছু না…আমার আম্মু, আমার আম্মুটাকে… মেরে ফেলল? বাঁধছে না আপনাদের… ”
এলোমেলো শোনাল কথাগুলো। তাও সৃজা যা বোঝারে চাইছে তা বুঝে ইজহানের বুক ধ্বক করে উঠল। চোয়াল শক্ত হয়ে গেল। কপালের শিরা দপদপ করতে লাগল। সৃজা কীভাবে জানল এসব? ও অবিশ্বাস্য নজরে তাকাল ইহসানের দিকে। লজ্জা ও অপমানে কুণ্ঠিতবোধ করে যে নির্নিমেষ দৃষ্টিতে সৃজার মুখপানে তাকিয়ে আছে। যার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না, সৃজা তাকে অবিশ্বাস করেছে, আঘাত করেছে। ইজহানের এতো রাগ হলো, ওর দু’কাধ ধরে দাঁতে দাঁত চেপে বলল, “ও এসব কী বলছে?”
ইহসান নিশ্চুপ। উত্তর নেই। আসলেই নেই ওর কাছে কোনো উত্তর। তাকে চুপ থাকতে হবে। সে চুপ রইলও। দগ্ধ চোখে দেখতে লাগল সৃজাকে। মেয়েটা আর ভালোবাসবে না তাকে, সব শেষ! সে আলগোছে সরিয়ে দিলো ইমরানকে। ধরতে বারণ করল ওকে। ইমরান জোর করে বলল, “কাচ আরো আছে, পাগলামো করো না। আমাকে বের করতে দাও দাদাভাই।”
ইহসান গম্ভীর কণ্ঠে বলল, “যা, লাগবে না।”
“জেদ কোরো না।”
“করছি না। তুই সর।”
ইহসান জেদী কণ্ঠে বলে উঠল ইমরানকে। ইজহান ক্রুদ্ধ চোখে ইশারায় ইমরানকে সরে যেতে বললে, সে উঠে একপাশে দাঁড়াল। গজ, তুলা সব ইজহানকে দিলো। আর সে তো নাছোড়বান্দা। জবরদস্তি করে একটা একটা কাচের টুকরো বের করে তবেই ক্ষান্ত হলো। ইহসান কিছু বলল না। ওর বুক থেকে দীর্ঘশ্বাস বেরুচ্ছে অনবরত। গলা শুকিয়ে গেছে। একটু পানি খাওয়ালে ভালো হতো বোধহয়!
ইমরানের সঙ্গে সঙ্গে মিতুও এসেছিল। সে এতক্ষণ দাঁড়িয়েছিল দরজায়, অভাবনীয় দৃশ্যটা সে প্রাণভরে দেখতে লাগল। নিশ্চয় মারামারি করে মাথা ফাটাফাটি অবস্থা দুটোর। মিতু বহুকষ্টে নিজের হাসি চাপল ওড়না দিয়ে, তাও শব্দ হয়ে গেল। ইমরান ওর দিকে রক্তচক্ষু মেলে তাকাল। কটমট করে বলল, “ইনসেন্সিবল মেয়ে মানুষ কোথাকার!”
“কী বললে তুমি?”
“যেটার যোগ্য তুমি।”
“আমি ইনসেন্সিবল আর তুমি খুব সেন্সিবল?”
উপহাস করে মুখ বাঁকাল মিতু। বহুকষ্টে রাগ চেপে বলল ইমরান, “মাথাটা খারাপ কোরো না। তোমাকে আমি বেশ বুঝতে পারছি, তাই বলছি ঘরে গিয়ে ফোন ঘাঁটো, বোনের সঙ্গে গীবত করো, যা খুশি তাই কোরো…এখানে অন্তত পক্ষে দাঁত বের করে হি হি করবে না। তাহলে আজ একটা থাপ্পড় খাবে আমার হাতে।”
মিতু ভস্ম করা নজরে তাকাল ওর দিকে। কতো বড়ো সাহস! অবশ্য হবেই তো। এরা তো বেঈমান পুরুষ জাতি! এতোদিন আঁচল ধরে ঘুরাঘুরি করে মজা লুটেছে, এখন মজা শেষ… বউ ভালো লাগে না। মিতু দাঁত কিড়মিড় করে ওখান থেকে চলে এলো। স্বামীর মুখ ঝামটা খেলেও ইহসান-সৃজার নাস্তানাবুদ অবস্থা দেখে ওর ভেতরটা প্রশান্তিতে ছেয়ে যাচ্ছে। তার বোনকে কী কষ্টটাই না দিয়েছিল এই ইহসান শেখ, বউকে নিয়ে কী আহ্লাদ! এখন প্রেম শেষ, কলহ শুরু! বোঝ মজা! মিতু চনমনে ভঙ্গিতে ঘরে গিয়ে লিথুকে ফোন দিয়ে ইহসান শেখের বিবাহিত জীবনের দুরাবস্থার কথা হর্ষোৎফুল্লে বিবরণ দিতে লাগল।
এদিকে হতভম্ব ইস্মি কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না।
সে সৃজাকে জোর করে টেনে ধরে মুখটা অল্প তুলে অবাক গলায় জিজ্ঞেস করল, “কী বলছ এসব তুমি? আন্টিকে মেরে ফেলল মানে? ভাইয়া আন্টিকে কেন মারতে যাবে?”
“আমি জানি না, ওকে জিজ্ঞেস করো, ওকে বলতে বলো৷ ওকে বলতে বলো, আমার আম্মুর কী দোষ ছিল যে মারতে হলো…জিজ্ঞেস করো ওকে ইস্মি ভাবি… ”
সৃজা রোষপূর্ণ কণ্ঠে বলতে লাগল। ওর শরীর কাঁপছে, গলা কাঁপছে। চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে। বিধস্ত দেখাচ্ছে ওকে। ইস্মি বিভ্রান্ত। প্রশ্নোক্ত চোখে এদিকওদিক তাকাচ্ছে। কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছে না। ইজহান চোখ লুকোচ্ছে। সে ভীতিবিহ্বল। কিন্তু বুঝতে দিতে চাইছে না। সে কিছুতেই চায় না ওসব পুরোনো ঘটনা সামনে আসুক, এসে তাদের জীবন আবার এলোমেলো করে দিক। এতো বছর পরে বহু সাধনার পরে একটুখানি ভালো আছে তারা। এখন কেন এসব জানতে হবে? আজিজ শেখ, তাদের মা, তাদের জন্ম বৃত্তান্ত জেনেও মেয়ে দুটো কখনো ঘৃণ্য নজরে দেখেনি তাদের, একটা খোঁচা পর্যন্ত দেয়নি। কী সুন্দর ভালোবেসেছে! কিন্তু এখন যদি জানে, ওসবের পাশাপাশি তার বাপ-ভাই কী পরিমাণ শয়তানি করে বসে আছে; আর তারা ভাইয়েরা সব জানে, অথচ কিচ্ছু করতে পারেনি; তাহলে? ইজহানের কপাল বেয়ে ঘামের চিকন ধারা গড়িয়ে পড়ল। ঢোক গিলে সৃজাকে বলল, “এই মেয়ে, পাগলামো কোরো না। কীসব বলছ তুমি, ও কেন মিসকে মারতে যাবে? তুমি ভুল ভাবছ! ও এমন কিছু করেনি। করতে পারেই না…”
“ভুল? ভুল! আমি ভুল ভাবছি?”
সৃজা মুখ তুলল। সন্দিগ্ধ চোখে চাইল। রক্ত লাল চেহারা ওর। চোখের পাতা ভিজে। গাল বেয়ে গড়িয়ে যাওয়া অশ্রুধারা টপটপ করে পড়ছে। সৃজা লম্বা শ্বাস টেনে নিয়ে ইহসানকে একবার দেখল। কপালে চেপে রাখা রুমাল রক্তে চুপচুপ। অথচ লোকটা নিষ্পলক দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে। অন্তঃকরণে ফাটল ধরল সৃজার। সে চোখ বন্ধ করে নিলো। কীভাবে পারল আঘাত করতে? কেন করল? যন্ত্রণায় ওর ভেতরটা শেষ হয়ে যেতে লাগল। এই মুখটা, এই মুখের মানুষটার গায়ে কীভাবে আঁচড় কাটল ও? ওর হাত কাঁপেনি একবারও? সৃজা হঠাৎই ফুঁপিয়ে উঠল।
এতো ভালোবাসার পরেও ইহসান শেখ কীভাবে পারল ওর এতো বড়ো ক্ষতি করতে? কীভাবে? ওর আম্মুর অকালমৃত্যুর পেছনে এই মানুষগুলোকেই কেন জড়িয়ে থাকতে হলো? সৃজা ব্যগ্র দৃষ্টিতে আবার তাকাল ইহসানের দিকে। এই আশায় যে, ইজহান যা বলছে সব ঠিক। ইহসান কিছু করেনি। ও কাউকে মারেনি, কারো মৃত্যুর পেছনেও সে দায়ী না। বিশেষ করে অনিতা রেহমানের! সৃজা উৎকণ্ঠিত মনে বুক বেঁধে রইল, ইহসান নিজেকে নির্দোষ দাবি করবে। আত্মপক্ষ সমর্থন করবে। কিন্তু ইহসান তা করল না৷ করল না যে না-ই। অনেকটা সময় পেরুনোর পরেও না।
নিচের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বসে রইল। সৃজার হৃদযন্ত্রের কম্পনের হার বেড়ে গেল। নিজেও দৃষ্টি ফেরাল। আর তাকাবে না সে। ঐ দৃষ্টিতে দৃষ্টি মিললে সে শেষ হয়ে যাবে। সৃজা একহাতে নিজের চোখ মুছল, গালও মুছল৷ নিজেকে একটুখানি ধাতস্থ করে উঠে দাঁড়াল। ভেঙে পড়া, কাঁপতে থাকা শরীরটা টেনে নিয়ে কোনোমতে বিছানার ধারে গিয়ে ফোনটা ছুঁড়ে মারল মেঝেতে। কঠোর গলায় বলল, “তাহলে বলুন এসব মিথ্যে। বলুন আমার আম্মু দুর্ঘটনাতেই প্রাণ হারিয়েছে, দুর্ঘটনাতেই আমার এলিজের পাজরের হাড় চূর্ণবিচূর্ণ হয়েছে। আমার আব্বু… আমার আব্বুকে সর্বশান্ত করার চেষ্টা করা হয়নি, তাকে প্রহার করা হয়নি, কোনো চাপ প্রয়োগ করা হয়নি? আমাদের এতিম করে দেওয়া হয়নি? ছোটো বেলাটা কেড়ে নেওয়া হয়নি? এতোসব অন্যায়, কুকীর্তি ধামাচাপা দেওয়া হয়নি?
অশ্রুবন্দি পর্ব ৮২
এসব মিথ্যে? আমাকে বলুন, আমাদের জীবন নষ্ট করার পেছনে আপনাদের কারো কোনো হাত নেই? ভাইয়া, ওহ! আজিজ পুত্র ইজহান শেখ, আমাকে প্রমাণ দিন! আপনার ভাইকেও কিছু বলতে বলুন, সে কেন ভিডিয়োর এই লোককে নির্মমভাবে মারল, সে কি খু নি? আমার স্বামী, আমার বাচ্চাদের বাবা খু নি? তার কেন র ক্তে হাত ভেজাতে হলো? কেন সে আমাকে জেনে-বুঝে নিজের জীবনে জড়াল? ও কেন কিছু বলছে না? বলতে বলুন ওকে….”