আত্মার অঙ্গীকারে অভিমোহ পর্ব ৩

আত্মার অঙ্গীকারে অভিমোহ পর্ব ৩
অরাত্রিকা রহমান

আমেরিকা ~
সকাল আটটা বেজে দশ। আমেরিকার ব্যস্ততম শহরে অবস্থিত ‘Rayan Industries’-এর প্রধান কার্যালয়ে তখন যেন একটু অন্য রকম ব্যস্ততা।‘Rayan Industries’-এর হেড অফিসের কাঁচের দরজার ওপাশে একে একে কর্মীরা ঢুকছে। অন্য দিনের চেয়ে আজ একটু বেশি উত্তেজনা—একটি অভ্যন্তরীণ সূত্রে ছড়িয়ে পড়েছে খবর: রায়ান নিজে আসছেন আজ।
”নওরীন, রিসেপশন ডেস্কে বসে মনোযোগ দিয়ে সাজগোজ করছে। হঠাৎ দরজার ওপাশে কালো মার্সিডিস থামে। দরজা খুলে নামলেন রায়ান। কালো রঙের স্যুট, কালো টাই, চোখেমুখে একরকম আত্মবিশ্বাস আর একরাশ চিন্তার ছাপ।
এক ঝলকেই অফিস জুড়ে নীরবতা।
নওরীন, রিসেপশন ডেস্কের এক্সিকিউটিভ, আস্তে বলে উঠল,

— “উনি এসেছেন… আজ অনেকদিন পর!
তানভীর, ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের জুনিয়র এনালিস্ট, চশমার ফাঁক দিয়ে দেখে বলল,
— “মানে রায়ান স্যার? লাস্টবার তো সোজা সিঙ্গাপুর থেকে ভিডিও কলে মিটিং করছিলেন। আজ যে কিছু একটা হবে, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।”
গার্ডরা তাড়াহুড়ো করে দরজা খুলে দিতেই ভেতরে প্রবেশ করে রায়ান। মুখে একরকম অন্যমনস্ক দৃঢ়তা। কেউ কিছু বলতে সাহস করল না।সবাই শুধু তাকে উদ্দেশ্য করে- “Good morning,sir.” বলছিল।
রায়ান কাউকে থামিয়ে কথা না বলে সোজা চলে গেলেন এক্সিকিউটিভ বোর্ডরুমে। সেখানে আগে থেকেই বসে আছেন অন্যান্য সিইও, ডিরেক্টরস, আর চিফ স্ট্র্যাটেজি অফিসার।
রুমে ঢুকেই রায়ান বললেন—

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

> “We’ve expanded in Dubai, Singapore, Berlin. But there’s one place we’ve overlooked for too long — my own home.”
রায়ান চেয়ার টেনে বসে বললেন,
— “আজকের আলোচ্য বিষয়: বাংলাদেশে আমাদের নতুন শাখা। আমি মনে করি, সময় এসেছে আমাদের শিকড়ে ফিরে যাওয়ার। ওখানকার ম্যানুফ্যাকচারিং পটেনশিয়াল, স্কিলড লেবার এবং লোকাল মার্কেট সব মিলিয়ে এটা পারফেক্ট সময়।”
ডিরেক্টর জনসন একটু চিন্তিত মুখে বললেন,
— “Do you think the infrastructure and regulations will support our standards, Mr. Rayan?”
রায়ান এক পলক তাকিয়ে বললেন,

— “That’s what we’re going to build. Not just a branch — a model. Something sustainable, ethical, and scalable. I’ll personally oversee the first six months. I want this to be our benchmark unit in South Asia.”
ঘরের পরিবেশ তখন উত্তেজনায় গরম। কেউ কেউ চোখাচোখি করল, কেউ মাথা ঝাঁকালো সম্মতিসূচকভাবে।
রায়ান প্রজেক্টর চালু করে একখানা ম্যাপ দেখালেন—বাংলাদেশ। ঢাকার উত্তরা, নারায়ণগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন, এবং চট্টগ্রাম বন্দরের তিনটি অঞ্চল ঘিরে মার্ক করা হয়েছে।
রায়ান মিটিং এ উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলল –

— “I want to establish a branch there. Manufacturing and R&D combined. We have the manpower, the potential, and the cultural intelligence. What we lack, we’ll build.”
বোর্ডের সদস্যরা একে একে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন—
জনসন:
— “We’re talking about a country with unstable regulations and a complicated tax structure. Are you sure?”
রায়ান (দৃঢ় কণ্ঠে):
— “Yes. Because I know the people. I grew up there. And I believe, if we invest the right way—with training, infrastructure, and a long-term vision—we won’t just make profit, we’ll make impact.”
সারা, অপারেশন ডিরেক্টর, শান্ত গলায় বললেন,

— “What about political hurdles? Labor laws?”
রায়ান:
— “We’ll work with local advisors. I’ve already spoken to a few. It won’t be easy, but it will be meaningful. Anyway I am not asking, I am stating. You just have to decide whether you want to be a part of it.”
এক মুহূর্ত নীরবতা। তারপর বোর্ডরুমে আলো নিভে গেল প্রেজেন্টেশন শেষে।
সারা, অপারেশন্স ডিরেক্টর, চুপচাপ বললেন,

— “I always believed you’d do something big back home.”
রায়ান হালকা হাসলেন।
— “It’s not just business. It’s personal.”
বোর্ড রুমের বাইরেও তখন চাপা উত্তেজনা। সবাই বুঝতে পারছে, কিছু একটা বড় ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। বোর্ড মিটিং শেষে রায়ান বের হতেই করিডোরে দাঁড়ানো কর্মীরা নিজেদের মধ্যে ফিসফিস করতে লাগল।
নওরীন নিচু স্বরে বলল,
— “উনি বাংলাদেশের কথা বললেন বুঝি?”
তানভীর:

— “হ্যাঁ। আমি স্লাইডে দেশের ম্যাপ দেখেছি। মনে হয় ওখানেই নতুন ব্রাঞ্চ হবে।”
আলিয়া, আইটি ডিপার্টমেন্ট থেকে আসা এক প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মী, হেসে বলল—
— “Finally, someone is taking us seriously. I’d apply for relocation in a heartbeat.”
বাংলাদেশের মাটিতে খুব শিগগিরই উড়তে পারে Rayan Industries-এর পতাকা।
সন্ধ্যায় নিজের রুমে বসে ছিল রায়ান। এমন সময় হঠাৎ রায়ানের ছোট বেলার বন্ধু- Best friend , মাহির ফোন করে। কল টা রিসিভ করে রায়ান_
মাহির- “কি অবস্থা দোস্ত কেমন আছিস?”
রায়ান- “ভালোই ছিলাম আর তুই ফোন দিলি। এখন কেমন থাকব দেখতে হবে।”
মাহির- “তুই কি ভালো কিছু বলতে পারিস না? এত তেড়ামি কেন করিস?
রায়ান- ” আচ্ছা, বাদ দে। এবার বল কি হয়েছে?এই সময় কল হঠাৎ?”
মাহির- “একটা good news আছে। আমার বিসিএস ক্লিয়ার হয়ে গেছে দোস্ত । আমি এখন বিসিএস ক্যাডার। ঢাকার একটা বড়ো কলেজের প্রফেসর হিসেবে চাকরি হয়েছে । কিছু দিনের মধ্যেই জয়নিং।”
রায়ান- “বাহ্! জোস তো কলেজের ব্যাকবেন্ঞ্চার এখন বিসিএস ক্যাডার। Wow. আমারটা নকল করে পরীক্ষায় পাস করা স্টুডেন্ট ছিলি তুই।”
কথাগুলো বলেই রায়ান সজোরে হেসে ওঠে। মাহির রায়ানকে তার উপর হাসতে দেখে খানিকটা বিরক্তি নিয়ে বলে-

– “দুরু শালা! এখনো কলেজ জীবনে পরে আছিস কেন? বাংলাদেশ ছেড়ে গেছিস ১০ বছরের বেশি সময় হচ্ছে। অথচ অতীতেই পরে আছিস। কেন রে নিজের পিচ্চি বউকে মনে পরে নাকি?”
মাহিরের কথা শুনে রায়ানের হাস্যোজ্জ্বল মুখটা কালো হয়ে গেল। রাগ যেন মাথায় চড়ছে। রাগি গলায় চেঁচিয়ে রায়ান বলল-
“তোকে কত বার বলবো ওই মেয়ের কথা না বলতে? আমার কোনো বউ-টউ নাই বুঝতে পারিস না নাকি।
Just wait, বাংলাদেশে ফিরে তোর সাথে সব হিসাব মিটাবো।
রায়ানের মুখে মাহির বাংলাদেশের ফেরার কথা শুনে চকিতে বলল-
“ভাই তুই দেশে ফিরছিস? কবে ? কেন? কোথায়?”
মাহিরের এমন আশ্চর্য হওয়া দেখে রায়ান একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল-
“একসাথে এত প্রশ্ন?
সামান্য থেমে আবার বলল-
হ্যাঁ, আমি দেশে ফিরছি। অনেক দিনের পুরনো একটা হিসাব মিলানোর বাকি। ”
মাহির খানিকটা চমকে বলে উঠে-

“হিসেব! কিসের হিসেব? কার সাথে হিসেব? আচ্ছা তুই কি ভাবির জন্যই দেশে ফিরছিস?
মাহিরের মুখে ‘ভাবি’ শব্দটা শুনে রায়ান আরো রেগে যায়। দাঁত কটমট করতে করতে বলে-
-“ওই কুত্তা, কে তোর ভাবি? দেখছিস জীবনে আমার সাথে? খুব শখ মনে হয় ভাবি ডাকার তাই না?”
মাহির-“আজব তো তোর বউ আমার তো ভাবিই হবে না? তোদের কি ডিভোর্স হইছে? আর তোর বউকে আমি কিভাবে দেখব_তুই তো নিজেই নিজের বউরে দেখস নাই।”
রায়ান- “ডিভোর্স হয়নি তো কি হইছে। হয়নি তবে হবে। দেশে ফিরে কথা হবে তোর সাথে। রাখ এখনো ফোন ভালো লাগছে না। বাই।
কথাটা বলেই রায়ান কলটা কেটে দেয়। এক মনে কি যেন ভাবতে ভাবতে ব্যালকনির দিকে গিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে সাবলীলভাবে বলে উঠলো-

“My fucking পিচ্চি বউ, তোমার নীরব অস্তিত্ব আমাকে ভীষণ জ্বালাচ্ছে। দেশে ফিরে এই রায়ান চৌধুরী তোমার অস্তিত্বকে আগে মুছবে। ১০টা বছর তোমার জন্য নিজের পরিবারের থেকে দূরে আমি। এর শোধ তো নিতেই হবে।
Your existence is killing my happiness and peace. চোখ বন্ধ করলেই তোমার সাথে বাঁধা পরে থাকা সেই অতীতের কালো রাত আমার ঘুম হারাম করে দেয়।ঠিক যতটা সহজে আমার জীবনে প্রবেশ করেছিলে, তার থেকেও অনেক সহজে আমার জীবন থেকে বের হয়ে যাবে- I swear, my little wife.”
মুখে এক রহস্যময় হাসি নিয়ে কথাগুলো বলে রায়ান তার ম্যানেজারকে কল করে বাংলাদেশে নতুন শাখা স্থাপন করার অফিসিয়াল নোটিশ দিতে বলে।
কোম্পানির অভ্যন্তরীণ চ্যানেলে একটি ঘোষণাপত্র যায়:

> 📢 Official Announcement:
Rayan Industries is proud to announce the upcoming establishment of its South Asian Headquarters in Dhaka, Bangladesh.
A center for innovation, manufacturing, and talent development.
“From home, for the world.” – Rayan Ahmed, Founder.

GPA-5.00 পেয়ে তো মহাখুশি মিরায়া। তার মনে হচ্ছে সে যেন তার স্বপ্নের দিকে একধাপ এগিয়ে গেছে।
এখন প্রায় রাত ৮টা বাজে, মিরায়া তার চাচা-চাচির রুমে যায় কারণ সোরায়া তাকে রুমে যাওয়ার আগে বলে গেছে চাচা-চাচি ডেকেছে মিরায়াকে।
মিরায়া দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ডাকলো-
“চাচি!”
রোকেয়া- ” আয় মিরা, ভিতরে আয়।”
চাচির কথার মত মিরায়া রুমে প্রবেশ করে দেখলো তার চাচা ও পাশেই বসে আছেন। সামান্য ঘাবড়ে গিয়ে মিরায়া বলল-
“কি হয়েছে? তোমরা এমনভাবে বসে আছো যে।”
রোকেয়া-” মিরা মা! এইচএসসি তো কমপ্লিট এবার কি করবি কিছু ভেবেছিস?”
মিরায়া চাচির প্রশ্ন শুনে কোনো স্বাভাবিক ভাবেই উওর করে-
“চাচি আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরতে চাই। এই ৩মাস আমি অনেক পড়ে প্রস্তুতি নিয়েছি। আমার ঢাকায় যেতে হবে। তোমাদের বলতাম আমি এর আগে তোমরাই ডাকলে আমায়।”
রোকেয়া বেগম এবং শফিক রহমান দুজনে দুজনের দিকে চোখাচোখি করেন তাদের চোখে যেন এক অজানা দুশ্চিন্তা দেখা যাচ্ছে-

রোকেয়া-” মিরা ঢাকা গিয়ে তুই একা একা কিভাবে থাকবি আর তোকে একা ঢাকা পাঠিয়ে আমরা কিভাবে নিশ্চিন্তে থাকব বল মা?”
মিরায়া চাচির কথার প্রতিউত্তর করার আগে রোকেয়া বেগম এর ফোন বেজে উঠল নাম ভাসলো (আপা) অর্থাৎ রামিলা চৌধুরীর। কলটা রিসিভ করে রোকেয়া বেগম।আর কথা বলতে শুরু করেন। কথা বলার এক পর্যায়ে তিনি মিরায়ার রেজাল্ট এর আর ঢাকা গিয়ে পড়ার বিষয়টি ও বলেন।
আসলে ছেলের দায়িত্ব অস্বীকারে রামিলা চৌধুরী ভীষণ লজ্জিত ছিলেন তাই তিনি শাশুড়ি মা হিসেবে মিরায়ার খবর নিতেন। তিনি মিরায়াকে অনেক স্নেহ করেন ।
মিরায়া ও তার বর্তমান ১ম মা বলতে চাচি কে আর ২য় মা হিসেবে রামিলা চৌধুরী কে চেনে যদিও এই সম্পর্কের গভীরতা সে জানে না। মিরায়া চাচির হাত থেকে ফোন টা নিয়ে বলল-
“মামনি! কেমন আছো? আমি GPA-5.00। তুমি একটু চাচা-চাচিকে বোঝাও না আমাকে যেন ঢাকা যেতে দেয়, please .”

রামিলা-” আমি ভালো আছি মা । আচ্ছা রোকেয়া কে দাও আমি বলছি।”
মিরায়া মুখে একটু হাসি নিয়ে রোকেয়া বেগমের দিকে ফোনটা এগিয়ে দিল। রোকেয়া বেগম ফোনটি নিয়ে কানে ধরলেন।
রামিলা-“রোকেয়া এক কাজ কর মিরায়া কে আমাদের কাছে ঢাকা পাঠিয়ে দে। এখানে থাকতে ওর কোনো সমস্যা হবে না আমি কথা দিচ্ছি। মেয়েটাকে আগলে রাখার যে দায়িত্ব আমি নিতে চেয়েছিলাম তা তো পারিনি। ও না হয় এই বাড়িতে আমাদের মেয়ে হয়ে থাকবে। রুদ্র আছে তোর দুলাভাই আছে মিরায়ার কোনো সমস্যা হবে না।”
রোকেয়া- “আপা কথা তো সেটা নয়। তোমাদের উপর আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস আছে। মিরায়া ঢাকা গেলে যে সোরায়া ও এখানে থাকতে চাইবে না। দুই বোন যে এক আত্মার মতো। ও তো কলেজে ভর্তি হবে এই বছর।”
রামিলা-“তাহলে সোরায়া কেও সাথে পাঠিয়ে দে। সোরায়াকে এখানে একটা কলেজে ভর্তি করে দিবো আর মিরায়া ভার্সিটিতে পড়াশোনা চালাবে। মাঝেমধ্যে তোরা এলি বা ওরা গেল চট্টগ্রামে একই তো।”
রোকেয়া বেগম কিছু বলার আগে শফিক রহমানের দিকে তাকিয়ে তার সম্মতি চাইলেন। শফিক রহমানের চোখের ইশারায় সম্মতি দেখে রোকেয়া বেগম বললেন-

“ঠিক আছে আপা তাহলে । ওরা তোমাদের কাছেই থাকবে।”
রোকেয়া বেগমের কথা শুনে রামিলা চৌধুরী ভীষণই খুশি হলেন আর এদিকে মিরায়া তো খুশিতে গোদগোদ হয়ে চাচিকে জড়িয়ে ধরে ফোনের কাছে মুখ নিয়ে বলল-
“Thank you, মামনি। আমি থাকবো তোমার কাছে । সত্যি বলছি অনেক লক্ষী হয়ে থাকবো আমরা আর আমি বোনুকে ও দেখে রাখবো।”
মিরায়া মনের সুখে লাফিয়ে লাফিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে চলে গেল ফোনটা চাচি কে দিয়ে । রুমে ঢুকেই সোরায়াকে বিছানা থেকে উঠিয়ে ওর হাত ধরে ঘুরতে শুরু করলো আর বলতে লাগলো –
“বোনুরে, আমরা তো ঢাকা যাচ্ছি। এবার আমি ঢাকায় গিয়ে আমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবো। ঢাকা গেলে মন মতো বাইক রাইড করতে পারব। Yeeeehhh!”

আত্মার অঙ্গীকারে অভিমোহ পর্ব ২

মিরায়ার কথা গুলো কানে যেতেই সোরায়া ও খুশিতে চিৎকার করলো-
“কি! সত্যি আপু? আমরা ঢাকা যাচ্ছি? Yeeeehhh!”
সকালে তাদের রুদ্র ঢাকায় নিয়ে যেতে আসবে তাই দুজনে রাতেই নিজেদের জিনিসপত্র গুছিয়ে নেয়।
অন্যদিকে, রোকেয়া বেগম ও শফিক রহমানের মনে এক গভীর চিন্তা তারা ভাবছেন মেয়েকে ওর শ্বশুর বাড়ি পাঠাচ্ছে অথচ মেয়েটার তা জানা নেই। শশুর বাড়িতে তার স্বামীর উপস্থিতি নেই। তারা ভাবতে থাকে মিরায়াকে তার অতীত সম্পর্কে জানালে সে কি তার চাচা-চাচিকে অপরাধী ভাববে? মেয়েটাকে কি সব সত্যি জানানো উচিত? এসব ভাবতে ভাবতেই রাতের অন্ধকার কেটে গিয়ে সকাল হয়ে গেল।
পরের দিন সকালবেলায়…….

আত্মার অঙ্গীকারে অভিমোহ পর্ব ৪

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here