আদিল মির্জা’স বিলাভড পর্ব ১৪

আদিল মির্জা’স বিলাভড পর্ব ১৪
নাবিলা ইষ্ক

আদিল মির্জার সামনে যা মন চায় তা বলা যায় না, করা যায় না। যতোই তারা পার্সোনাল বডিগার্ড হোক না কেনো! তাদের একটা গণ্ডি আছে —যা কখনো চাইলেও ভাঙা সম্ভব হয় না। মালিক আর কর্মচারীদের মধ্যে ভেদাভেদ আছে। অস্বীকার করার মতো বিষয় কি এটা? এলেন সহ বাকিরা এইধরনের চিন্তাভাবনা মাথার মধ্যে লালন করে থাকলেও, শান্ত তাদের থেকে ভিন্ন। অতিমাত্রায় ভিন্ন। এলেন দেখে-শুনে যতটুকু বুঝেছে, শান্ত এমন অনেক কাজ, এমন অনেক কথাবার্তা আদিলের সামনে বলেছে যা অন্যকেউ বললে সেই ব্যক্তির গলার রগ কে টে ফেলতো আদিল মির্জা।

এলেন খুব করে লক্ষ্য করেছে, শান্তর বেলাতে আদিল ভীষণ নমনীয়। ভীষণ! এতো বছর ধরে তারা একসাথে, এতটুকু বুঝতে না পারার কথা না। তবে বিপরীতে শান্ত একটা উজবুক। সেসবে ছেলেটার মনোযোগ কম। ও সৎ, ও সাহসী আর সবচেয়ে বড়ো কথা, ও বসের কথা, বসের বিষয়ে ভীষণ ভাবে। ব্যাপারটা রীতিমতো ব্যক্তিগত দিকেও চলে যায়। এইযে যেমন মিস রোযার ব্যাপারটার কথাই বলা যাক। একটুও হদিস পায়নি এলেন সহ বাকিরা। অথচ শান্ত আগে থেকে বুঝতে পেরেছে। খোঁজ রেখেছে। কতটা খেয়াল করলে এমন বিষয় চোখে পড়ে?

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

এইতো তারা এখন ফিরছিল মির্জা বাড়ির উদ্দেশ্যে। তাদের গাড়িটা, অন্যভাবে বলতে গেলে যেই গাড়িতে আদিল মির্জা চড়ে ওটা চওড়া, বড়ো। তিন সারি সিটের ব্যবস্থা এটায়। ড্রাইভিং সিটে স্বপণ বসেছে, পাশে ক্লান্ত। মধ্যেরটায় এলেন আর শান্ত। পেছনে আদিল একা বসে আছে দু-পা ছড়িয়ে। তাদের পেছনে আরও তিনটা গাড়ি। আদিলের চোখমুখের অবস্থা সুবিধার না। গুরুগম্ভীর বলা যেতে পারে। ওই মুখে তাকালেই তো এলেনের গলা শুকিয়ে আসে। একটা টু-শব্দ করার সাহস হয় না। অথচ পিনপতন নীরবতা ভেঙে শান্ত হঠাৎ করে শব্দ করে হেসে উঠল। তার হাসির শব্দে যেন গাড়ির ভেতরটা কেঁপে উঠেছে। হাসতে-হাসতে বেচারা শরীরটা সিটে দুর্বলভাবে এলিয়ে দিয়েছে। এলেন হাসতে পারে না। বরংচ ভয়ে ভেতরটা চুপসে এইটুকুন হয়ে গেছে। ঠিক তার মুখের মতন। কোনোরকমে আড়চোখে তাকাল। আদিল মির্জা গরম চোখে তাকিয়ে আছে। যেন এখুনি শান্তকে চিবিয়ে চিবিয়ে খাবে। শান্ত কোনোরকমে নিজের অট্টহাসি চেপে বলল –

‘বস, আম সো সরি! কিন্তু বেচারা ক দিন বোধহয় ঘর ছেড়ে বেরুবে না। ভীষণ ভয় পেয়েছে।’
বলেই আরেকচোট হাসল। এলেন ভয়ে নিজের সিটে সিঁটিয়ে গেলো। সে মোটেও মার খেতে চায় না। চোখমুখ বুজতেই তীব্র শব্দ হলো। ফাইলের বাড়ি পড়েছে শান্তর মাথায়। একটা না, দু দুটো। ব্যস, এতটুকুই। শান্তর মতো এমন দুঃসাহস অন্যকেউ দেখালে কী যে হতো! মার খেয়ে শান্ত ঠান্ডা হয়েছে ঠিক। তবে তার রঙ্গতামাশা কমেনি। ভীষণ গদগদ ভাব নিয়ে আদিলের দিকে ফিরে প্রশ্ন করল –
‘বস, আপনি ভোজপুরি গান শুনেছেন?’
আদিল চোখ গরম করে তাকাল উত্তরের বদলে। শান্তকে এতে মোটেও বিচলিত দেখাল না। বিন্দুমাত্র কমল না তার উত্তেজনা। আরও উচ্ছ্বাস নিয়ে জানাল –

‘বস, একটা ভোজপুরি গান আছে। গানটা আপনার সাথে মানাতে পারে। একটু শুনবেন?’
আদিল ‘হ্যাঁ-না’ কিছুই বলল না। পাত্তাই দিলো না। তাকাল ঊরুর ওপরে রাখা ল্যাপটপের ওপর। স্ক্রিনে ভাসছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। অপরদিকে শান্ত ব্যস্ত গলায় আদেশ করছে গান ছাড়ার। কার সাউন্ড সিস্টেম থেকে ক্লান্তকে দিয়ে গান ছাড়িয়েছে। একটা গান বাজতে শুরু করেছে। নীরবতা ভাঙা উচ্চধ্বনির গান শুনেও আদিল তাকাল না। পড়ল না চোখে পলক। শান্ত মিটিমিটি হাসছে। গানের টুন শুনেই এলেন দু-হাতে চোখমুখ চেপে নিজেকে একটুখানি করার চেষ্টায় আছে। ক্লান্ত আর স্বপণও অসহায় ভাবে মুখ চাওয়াচাওয়ি করে নিয়েছে। ওমন সময় কিছু লিরিকস বেজে উঠল –

Apne labhar ko dhoka do
Aa mujhe bhi darling mauka do
Aa apne labhar ko dhoka do
Mujhe bhi darling mauka do…..
Pyar jadi karoge khol ke
Main patungi imran ko bol ke
Pyaar pa logi raj karogi
Chand naam se hi naaz karogi…..
শান্ত উচ্চস্বরে গানটা তাল মিলিয়ে গাইছিল। এলেন দু-হাতের পেছনে নিঃশব্দে হাসছে। কাঁপছে তার কাঁধ। আদিলের হাতের আঙুলগুলো স্তব্ধ হয়েছে অনেক আগেই। সে হতভম্ব হয়ে লিরিকস গুলোই শুনছিল। এমন কথা বলে যে গান গান হতে পারে, তা সে তার ছত্রিশ বয়সের জীবনে আজই প্রথম জানল। শান্ত ভ্যাবলার মতো হেসে হেসে আবার জিজ্ঞেসও করল –
‘বস, মনে হচ্ছে না আপনি আর মিস রোযা?’
বলতেই ফের ফাইলের আঘাত পড়ে শান্তর মাথায়। শান্ত আর্তনাদ করে মাথা বাঁচাতে আরেকটু সরে বসেছে। ব্যস, এতটুকুই। এলেন সহ স্বপণ, ক্লান্ত যখন বুঝল বস রাগ হয়নি, উল্টো মজা পেয়েছে ওরা ওমনি শুরু করে দিলো ইতরামি। উচ্চ শব্দে গানের সাথে সাথে তাল মিলিয়ে খালি গলায় গাইতে শুরু করেছে।

আজ রোযার ছুটির দিন। ভীষণ বেলা করে ঘুম ভেঙেছে। র ক্ত লাল রঙের পর্দার উড়োউড়োড়ির ফাঁকফোকর দিয়ে একচিলতে রোদ এসে ছুঁয়েছে তার সদ্য ঘুম ভাঙা মুখজুড়ে। রোদটা তীক্ষ্ণ ভাবে চোখে লাগতেই পুরোপুরি চোখজোড়া মেলে তাকাল রোযা। সোনালী উজ্জ্বলতা সামলাতে খানিকটা সময়ের প্রয়োজন পড়ল। দেয়াল ঘড়ির কাটা ঘুরছে বারোটা উনিশে। রোযা অলস ভঙ্গিতে উঠে বসল। গতকাল রাতে দরজা লাগাতে ভুলে গিয়েছিল। চাপানো দরজা খুলে হুড়োহুড়ি লাগিয়ে প্রবেশ করলেন নিপা বেগম। তার হাতে খুন্তি। চোখমুখে আতঙ্ক! কথাও বলতে পারলেন না ভালোভাবে। হাতটা বাইরের দিকে তাঁক করে হা হা করছেন। রোযা ধড়ফড়িয়ে বিছানা থেকে নেমেই ছুটল। গায়ে তখনো হৃদির পছন্দের ডিজনি স্নো-হোয়াইটের নাইট স্যুট।

দরজাটা মেলে রাখা। দরজার সামনে হতবিহ্বল হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন আজিজুল সাহেব। পাশে উচ্ছ্বাস বদনের রাজু। ওর চোখমুখ চিকচিক করছে। বাইরে সারিবদ্ধ ভাবে নির্বিকার ভাবে দাঁড়িয়ে আছে কালো পোশাকের বডিগার্ডস। শান্ত আর এলেনের হাতে বড়ো বড়ো বক্স। রোযা আশ্চর্য হয়ে গেলো। কিছু বলার আগেই শান্ত ভীষণ বিনয়ী ভঙ্গিতে এগিয়ে এলো ভেতরে। হাতের চারকোনার রাজকীয় বক্সটা এগিয়ে ধরে বলল –
‘মিস রোযা, আপনার জন্য স্পেশাল ইনভাইটেশন কার্ডবক্স। আগামীকাল প্রিন্সেসের জন্মদিন। আপনি বিশেষ ভাবে আমন্ত্রিত। প্রিন্সেস আপনার অপেক্ষায় থাকবেন। সময়ের আগে চলে এলে কৃতজ্ঞ থাকব।’
রোযা বক্সটা নিলো। এলেন, স্বপণ সহ বাকিরা নিজেদের হাতের উপহারের বক্সগুলো সুন্দরভাবে ভেতরে রেখে পুনরায় দরজা্র সামনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। শান্ত মিষ্টি করে হেসে বলল –

‘তাহলে আসি মিস রোযা? আগামীকাল দেখা হচ্ছে।’
রোযা মাথা দোলাল। ভেতরে এসে আর বসতে বলল না। সে জানে, তারা বসবে না। সম্ভব না! শান্ত, এলেন বাকিদের নিয়ে নিঃশব্দে বেরিয়ে গেলো। রোযা দরজা লাগিয়ে ফিরতেই নিপা বেগম আঁতকে উঠে বললেন –
‘একটু বসতেও তো বললি না!’
রোযা অসহায় ভাবে মাথা দুলিয়ে বলল, ‘বসবে না, মা! এমন রুলস নেই। ওসব তুমি বুঝবে না।’

রোযা গিয়ে জুবুথুবু মেরে বসল সোফায়। কার্ডবক্সটা খুলল। ভীষণ চমৎকার ভাবে বানানো হয়েছে। বড়লোকদের সব বড়লোকি কারবার! তাদের পুরো পরিবারকে দাওয়াত করা হয়েছে। কার্ডের ভেতরে হৃদির ভীষণ মিষ্টি একটা ছবি কার্টুন আকারে দেয়া হয়েছে। রোযা আনমনা ছবির ওপরে হাত বোলাল। মৃদু হাসল! বাচ্চাটার আগামীকাল জন্মদিন! সিক্সথ অক্টোবর! অথচ সে এখনো সীদ্ধান্ত নিতে পারেনি কী দেবে! সবই তো আছে। রোযা নিজের ঊনত্রিশ বছরের জীবনে যা দেখেনি, তাও ওই বাচ্চা মেয়েটা ওতটুকু বয়সে দেখে নিয়েছে। ওমন একজনকে কী দেয়া যায়?
ইতোমধ্যে রাজু বক্সগুলোতে নজর বুলিয়ে চিৎকার করে উঠেছে। ওর চিৎকারে বাড়িঘর তুঙ্গে! রাজু একটা বক্স বুকে জড়িয়ে প্রায় কেঁদেই ফেলল –

‘আপু, দেখো… এটায় আমার নাম লেখা। দিস ইজ ফর মি।’
রোযা উঠে এসে দেখল, সত্যি সত্যি রাজুর নাম লেখা। শুধু রাজুর নয়। আজিজুল সাহেবের, নিপা বেগমেরও নামেও বক্স আছে। শেষের একটা বড়ো লাল রঙের বক্সে রোযার নাম লেখা। রোযা ওটা তখুনি ধরল না। বাবা-মা-ভাইয়ের আনন্দে দিশেহারা ভঙ্গিতে বক্স উন্মোচন কাণ্ডকারখানা দেখল। নিপা বেগমের জন্য জামদানি শাড়ি। সাদা রঙের, পাড় কালো। আজিজুল সাহেবের কালোসাদার মিশেলের থ্রিপিস স্যুট। একইরকম রাজুরও। রাজু ভীষণ খুশি। কাপড়চোপড় নিয়ে নিজের রুমে চলে গেলো হন্তদন্ত ভঙ্গিতে।
এতক্ষণ ধরে নিজের কাপড় কোলে নিয়ে হাসতে থাকা নিপা বেগম এবারে মেয়ের দিকে চেয়ে চমকে উঠে বললেন –
‘কীরে মা, তোরটা খুলবি না?’

রোযা অনিচ্ছুক ভাবেই বক্সটা তুলে নিলো হাতে। সোফায় বসে খুলল। একটা জর্জেটের কারচুপি করা শাড়ি, লাল রঙের। রোযা ধরেই বুঝতে পারে জর্জেটের কোয়ালিটি চমৎকার। এতো মসৃন আর নরম। ছুঁলেই মনে হচ্ছে গলে যাবে। দামী জিনিসটাই এমন। দেখলে, ছুঁলে বোঝা যায়। তবে লাল কেনো? থিম তো সাদাকালো। শুধু তারটা লাল কেনো? নাকি লালও আছে সে জানে না? রোযার অবশ্য সেদিকে মাথা ঘামানোর সময় রইল না। তাকে এখন বেরুতে হবে। হৃদির জন্য শপিং করবে। অনেক, অনেক কিছু!

রোযার নিজের গাড়ি আছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে। কাজের উছিলায় নিজের গাড়ির প্রয়োজন হয় না বলে, নিজের গাড়িটা চালানোই হয় না একরকম। ছুটির দিনগুলোতেই যতটুকু সে বেরোয় তখুনি গাড়ি বের করা হয়। যেমন আজ নিপা বেগম আর রাজুকে নিয়ে বেরিয়েছে। তার গাড়িটা লাল রঙের। বরাবরই লাল রঙের ওপর অবসেসড সে। ছোটোবেলা থেকেই। কাপড়চোপড়ের মধ্যেও লাল রঙের ছড়াছড়ি। নিপা বেগম প্রায়শই গল্প করেন, ছোটো রোযা লাল রঙের কিছু পেলেই আনন্দে কাঁদতো। এমন একটা সাদাকালো ছবিও আছে। আজিজুল সাহেব ওটা ফ্রেম করে রেখেছেন। মাঝেমধ্যে ছবিটা দেখেন আর দীর্ঘশ্বাস ফেলেন।
রাস্তায় জ্যাম পড়েছে। বিশ্রী রকমের জ্যাম। ঢাকাশহরের অলিতে-গলিতে জ্যাম। দশ মিনিটের রাস্তাটুকু পেরুতে আধঘণ্টা লেগে যায়। হৃদির জন্য শপিং করে ফিরতে ফিরতে রাতের এগারোটা। হৃদির পাশাপাশি রোযা নিপা বেগমের পছন্দের দুটো শাড়ি কিনে দিয়েছে। রাজুকে দু জোড়া জুতো কিনে দিয়েছে। আজিজুল সাহেবের জন্য একটা চমৎকার পাঞ্জাবি এনেছে।

ফেরার পথে রোযার মনে হয়েছিল, তার গাড়ি কেউ ফলো করছে। এই অনুভূতিটা বাড়ি ফিরেও মস্তিষ্ক থেকে সরেনি। কেমন বারবার মন বলছিল, ওই কালো গাড়িটা একান্তভাবে তার গাড়িকেই ফলো করেছে। কিন্তু কেনো করবে? কে করবে? রোযার চোখে একটা মুখ ভেসে উঠল। একজোড়া ধূসর রঙা গাঢ় চোখ। মস্তিষ্ক একটা নামই জপল। আদিল মির্জা! কিন্তু কেনো? রোযার ভেতরটা পুনরায় অস্বস্তিতে আঁটসাঁট হয়ে এলো। পুনরাবৃত্তি হলো একেকটি ঘটনার। বিশেষ করে ওই দৃশ্য — সে হৃদির ঠোঁটে্র ডান কোণে চুমু খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই একইভাবে, একই স্থানে আদিল মির্জার চুমু খাওয়া। রোযা পাগলের মতন মাথা দোলাল। নিজেকে বোঝাল, হয়তোবা তার মনের ভুল! তেমন কিছুই নয়। তার মতো সাধারণ একজনের পেছনে এতটা গুরুত্ব কি সে দেবে? এতো সময় অপচয় কি করবে? আদোও সম্ভব? রোযা নিশ্চয়ই বেশি ভাবছে। দিনশেষে তেমন কিছুই না।

‘এমন থম মেরে আছিস কেনো? কী হলো?’
মায়ের ডাকে রোযা নড়েচড়ে উঠল। মাথা নাড়িয়ে বোঝাল কিছু না। লিভিংরুম থেকে নিজের রুমে চলে এলো। আগামীকাল সন্ধ্যা থেকে বার্থডে পার্টি। ছয়টা ত্রিশে প্রবেশের সময়। সাতটায় কেক কাটা হবে। তাকে আগেই যেতে বলা হয়েছে হৃদির জন্য। রোযা ভেবে রেখেছে সে আগেভাগে যাবে না। হৃদির জন্য ওর বাবা আছে, আছে আরও কাজের লোক। সে আগে গিয়ে ওই লোকের সামনে পড়তে চায় না। গেস্ট যে সময় যাবে তখুনি সে যাবে। বেশিক্ষণ থাকবেও না।

আদিল মির্জা’স বিলাভড পর্ব ১৩

যতো দ্রুতো চলে আসা যায় ততই মঙ্গল। রোযা নতুন কোনো ঝামেলা চায় না। আর এমন ঝামেলা নেওয়ার মতো সামর্থ্যও যে তার নেই। ভাবতে ভাবতে ফোনটা হাতে তুলে নিলো। স্ক্রিনে হোয়াটসঅ্যাপে জিহাদ মেসেজ পাঠিয়ে রেখেছে। ভাস্যমান কথাটুকু পড়েই রোযার ভেতরে ধুকপুক শুরু হলো। দ্রুতো ক্লিক করল।
‘রোযা, লেট’স গেট ম্যারিড। মা-বাবার অপেক্ষা না করি, হুম? আমরা আগামীকাল বিয়ে করে ফেলি? হোয়াট ডু ইউ সে? আই কান্ট ওয়েট এনিমোর।’

আদিল মির্জা’স বিলাভড পর্ব ১৫

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here