আপনাতেই আমি পর্ব ১০
ইশিকা ইসলাম ইশা
গ্রামের রাস্তা পেরিয়ে কিছুটা দূরে মেলা বসেছে।সাইকেলে মজনু কে ধরে বসে আছে রিদি।এতোটা পথ হেঁটে গিয়ে আবার ফিরে আসায় অনেক সময় যাবে।তাই মজনু কার কাছে থেকে যেন সাইকেল নিয়ে এসেছে।রিদি তো প্রথমে অবাক হয়েছে।তার অনেক দিনের ইচ্ছা যেন আজ পূরন হয়েছে সাইকেল চড়ে ঘূরার।
রিদিদের বাড়ি বড় রাস্তার কাছে।আর সেই রাস্তা ধরেই যেতে হয় মেলায়।রিদি যেতে যেতে বিশাল বাড়িটায় চোখ বুলাল।
মেলায় ঘুরছে রিদি।এটা ওটা দেখছে আর মজনু কে দেখাচ্ছে। মজনু অবাক হয় মাঝে মাঝে রিদিকে দেখে।মেয়েটা কি সুন্দর প্রানোচ্ছল।অথচ প্রথমে তাকে বেশ শান্ত শিষ্ট ভেবেছিল। তবে মজনুর ভালো লাগলো।গর্ব হল নিজের প্রতি। মজনু খেয়াল করল রিদি চুরির দোকানের সামনে কাচের চুরি দেখছে। মজনু এগিয়ে গেল।মেয়েদের সাইড কেটে রিদির পেছনে দাড়ায় গা ঘেঁষে।রিদি কারো স্পর্শে শিহরিত হল।চিনে সে এই স্পর্শ তাই আবারো চুরি দেখায় মন দিল। কিন্তু চুরি কি কালার নিবে বুঝতে পারছে না। তখনি পেছন থেকে একটা লম্বা হাত এগিয়ে আসল।নীল রঙের চুরি নিয়ে হাতে পড়িয়ে দিল।রিদি পিছন ফিরে হাসল। তাদের দিকে কিছু মেয়ে তাকিয়ে আছে যা দেখে রিদি লজ্জা পেল। দ্রুত সেখান থেকে সরে এসে অন্যপাশে গেল।মজনু হাসল বৌয়ের এমন লজ্জা পাওয়া দেখে।দোকানদারকে টাকা দিয়ে এগিয়ে আসল বৌয়ের কাছে।হুট করেই রিদি চেঁচিয়ে উঠলো,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
রাদিফ ভাই……….
রাদিফ হচকচালো।রিদির ডাকে পেছনে ফিরে আশেপাশে তাকিয়ে রিদি কে দেখতে পেল না।পাবে কিভাবে সে তো বোরকা হিজাব নিকাবে ঢাকা।
রিদি এগিয়ে গেল তার দিকে।রাদিফ একটা মেয়েকে তার দিকে এগিয়ে আসতে দেখে ভূ কুঁচকে তাকাল।
রিদি নিকাব টা তুলতেই রাদিফ দেখল রিদিকে।রাদিফ জানে রিদি বোরকা পরে কিন্তু এভাবে নিকাব সহ পড়তে দেখে নি।
রিদি…….অবাক হয়ে
রিদি হ্যাসোজ্জল মুখটা দেখে বুকের মাঝে চিনচিন করে উঠলো রাদিফের।এই হ্যাসোজ্জল মুখটা তো সেই ছোট বেলায় দেখা যেত। আবারো সেই একই ভঙ্গিমা দেখে রাদিফের মনে হল রিদি ভালো আছে।তাহলে কি মায়ের কথা ঠিক।রিদি কি স্বামী নামক মানুষটাকে ভালোবাসে।রাদিফ কি দেরি করে ফেলল!!
ভাইয়য়য়াআআ…….
রাদিফ মলিন হাসলো,
কেমন আছিস??
আলহামদুলিল্লাহ ভালো।তুমি কেমন আছো??
চলছে।এই সময় এখানে কি করছিস?
মেলায় এসেছি।তোমাকে অসুস্থ লাগছে কেন?
একা এসেছিস??(কথাটা এড়িয়ে)
না!ওনি আছে।
রিদির” ওনি” বলায় উচ্ছাসিত মুখটা যেন ভেতরে ভেতরে ক্ষতের সৃষ্টি করছে রাদিফের।অনেক অভিযোগ করল সৃষ্টিকর্তার প্রতি তার মনে মেয়েটার জন্য ভালবাসা কেন সৃষ্টি করল যখন,তার ভাগ্যে তাকে রাখে নি।রাদিফের ভাবনার মাঝেই এসে দাড়ালো মজনু।রাদিফ কে দেখে ইশারায় সালাম দিল।
রাদিফ মজনুর দিকে তাকালো।লম্বা,চওরা বলিষ্ঠ একজন মানুষ মজনু। পাঞ্জাবি গায়ে মাথায় পাগড়ি পরা।দাড়ি মুচে ভর্তি মুখ।রাদিফ তাচ্ছিল্য হাসল। মজনু কোন দিক দিয়েই রিদির যোগ্য না।বোবা,অনাথ, অশিক্ষিত,গরিব।তবুও না চেয়েও পেয়ে গেল।অথচ সে এতো বছর অপেক্ষা করেও পেল না।
রাদিফ কে আবারো কিছু ভাবতে দেখে রিদি হাত ধরে ঝাকাল।রাদিফ তাকাল রিদির হাতের দিকে।এই হাত টা তো তার ধরার কথা ছিল।রাদিফ আর ভাবতে পারছে না।
রিদি আমার দেরি হচ্ছে।মেলার কাজ দেখতে এসেছিলাম।এখন আসি।
কথাটা বলেই হন হন করে চলে গেল রাদিফ।রাদিফের যাওয়ার দিকে হতভম্ব হয়ে তাকাল রিদি।মন খারাপ হল রিদির রাদিফের এভাবে চলে যাওয়াই।মজনু রিদির হাতের ভাজে নিজের হাত দিয়ে আকরে ধরল।রিদি মন খারাপ করে তাকাল মজনুর দিকে।এরপর তারা সাইকেল করে ফিরে আসল।
আজ রিদির পরিক্ষা রিদি রেডি হয়ে আগেই বেরিয়ে গেলো। মজনু সাইকেল করে রিদিকে নিয়ে কেন্দ্রে পৌঁছালে রিদি নিজের সিট খুঁজতে থাকল। মজনু ঢুকতে চাইলো কিন্তু ভেতরে কাউকে ঢুকতে দিল না।রিদি গিয়ে বসল নিজের সিটে।
পরিক্ষা দিয়ে বের হতেই দেখে মজনু দাঁড়িয়ে আছে।তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে রিদ।রিদ মনে করেছিল রিদির আর পড়াশোনা হবে না। কিন্তু সে পরিক্ষা দিবে শুনে ছুটে এসেছে।রিদি ভাইকে দেখে খুশি হয়।
রিদ রিদি কে দেখে বলে,
একেবারে ডাবল খুশি আজ!!
দিদি অবাক হয়ে বলে,
মানে!!!
রিদ খুশি হয়ে বলে,
রুপের মেয়ে হয়েছে রিদি!!
রিদি খুশিতে গদগদ হয়ে বলে,
কখন?কিভাবে? কোথায়?
রিদ হেসে বলে,
থাম থাম বলছি।সকালেই রুপের ব্যাথা শুরু হওয়াই হসপিটালে ভর্তি করেছে।১০টায় বাবু হয়েছে।
রিদি: মজনু সাহেব আপুর বাবু হয়েছে শুনেছেন আজ আমি ভীষণ খুশি।
ওরা তিনজনে হসপিটালে গিয়ে বাবুকে দেখে।তীর কাঁদছে বাবুকে কোলে নিয়ে।আমির ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।বাবা হওয়ার মতো খুশি কি আদোও কিছু আছে।রিদিকে দেখে আমেনা বেগম রেগে গেলে।যথারিতী কথা শুনাতে লাগল।রিদি মায়ের কথায় তোয়াক্কা না করে বাবুকে আদর করে বোনের সাথে কথা বলে এসেছে।মামাও রিদিকে দেখে খুশি হয়েছে।সব ঠিক ঠাক মতোই হয়েছে।বিকেলের দিকে রিদি মজনু বাসায় ফিরে আসে।
রিদির মন খারাপ দেখে মজনু খাতায় লিখল,
কেন মন খারাপ করে আছেন বেগম সাহেবা?
রিদি মজনুর দিকে তাকিয়ে বলল,
আপনাকে কেন অপমান করল?
মজনু লিখল কিছু খাতায়,
আমি কিন্তু আপমানিত হয় নি।আমার অপমানে আপনার চোখের টলমলে পানি দেখে কষ্ট পেয়েছি।আপনি কাঁদবেন না। আপনার কান্না আমার একদম ভালো লাগে না।
রিদি টলমলে চোখে বলল,
আপনি এতো ভালো হবেন কেন?
হাসল মজনু।এগিয়ে এসে ঠোট ছোয়াল কপালে।লিখল খাতায়,
আপনি এতো ভালো তাই!
রিদিও হাসল। মনে মনে ভাবল সে সুখী!! ভীষন সুখী।
স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক যেমন গভীর ভালোবাসা থাকে।তেমনি থাকে মান,অভিমান,ঝগরা, খুনসুটি,রাগ। মজনু আজ প্রায় দুদিন যাবৎ বৌয়ের রাগ ভাঙাতে চেষ্টা করছে। কিন্তু বৌ তার ভীষণ জেদি।
এমন শান্ত শিষ্ট,নম্র ভদ্র,হলেও সে জানে তার বৌ জেদিও বটে। দুদিন হল মুখ ফুলিয়ে আছে রিদি।কারন সে মজনুর এমন রুপে বিরক্ত।এতো দাড়ি,মুচে ভর্তি মুখ ।যেন মনে হয় মুখে জঙ্গল।রিদি যখন কাটতে বলে মজনু কাটতে চায় না।তার এসব বাড়াতে বেশ সময় লেগেছে। কিন্তু রিদির এক কথা মুখ ভর্তি দাঁড়ি মুচ কাটতে হবে।এসব পাগড়ি বাদ দিয়ে দরকার হলে টুপি পড়বে।নামাজ পড়লে এমন জঙ্গি রুপে নামাজ হবে না বলে যুদ্ধ করেছে একপ্রকার।মজনু যখন মানতে চায় নি তখন কথা বলা বন্ধ করে রেখেছে।আজ দুদিন সে কোন কথা বলছে না।
আজ অনেক দেরিতে ঘুম ভেঙ্গেছে রিদির।দুপুরে একটু শুয়ে ছিল কিন্তু ক্লান্ত থাকায় ঘুমিয়ে পড়েছে।আজ পুচি আসে নি তাই একা একা বিরক্ত হয়ে শুয়ে ছিল। কিন্তু শুয়েই ঘুম চলে আসে।প্রায় সন্ধ্যা রিদি চিন্তিত হয়ে উঠে দাঁড়ালো।এখনো মজনু আসেনি দেখে ভয় হল।মজনুর চিন্তায় অস্থির হল মন।ঠিক আরো ৩০ মিনিট পর দরজায় টোকা দেয় মজনু।রিদি মজনুর টোকা দেওয়া বুঝে খুলে দিতেই চমকে উঠে পিছনে সরে যায়।
কে কে আপনি??
লোকটা কোন কথা না বলে এগিয়ে আসে।
কে আপনি কি চায়??
লোকটা হাতে একটা কাগজ এগিয়ে দিল,
নেন এবার খুশি তো আপনি!হয়েছি চেঞ্জ।কেটেছি আমার শখের দাড়ি,মুচ।
রিদি হতবাক হয়ে এখনো গোল গোল চোখে দেখছে মজনু কে। মজনু মুখ ভর্তি দাড়িমুচ কেটে ছোট করেছে,দাড়ি এখনো আছে তবে তা ছোট।রিদি খেয়াল করল মজনু ফর্সা।মুখে কোন দাগের চিন্হ ও নাই।তিরতিরে লম্বা নাক।প্রায় ৬ ফুট বলিষ্ঠ শরীর তার ওপর সাদা পাঞ্জাবি পায়জামা মুখা এখন বোঝা যাচ্ছে। মজনু এতো সুন্দর আগে সেভাবে দেখে নি রিদি।হুট করেই কি সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেল।নাকি মজনুর ওপর কোন জ্বিন ভর করেছে। ছোট বেলায় দাদির মুখে শুনেছিল গ্রামে জ্বিন থাকে।রিদির কান্না পেল।দোয়া পড়তে শুরু করল।
রিদিকে বিরবির করতে দেখে এগিয়ে যেতেই হুমকি দিয়ে বলে রিদি,
খবরদার এগুবেন না।আমি জানি আপনি মজনু না।জ্বিন আপনি!!দয়া করে আমাকে স্বামীকে ছেড়ে দেন।একটায় স্বামী আমার।
রিদির কাঁদো কাঁদো মুখ দেখে হো হো করে হেসে উঠলো মজনু।শব্দ হল না। কিন্তু রিদি দেখল সেই হাসি।ভীষন সুন্দর সেই হাসি।হাসি দেখে রিদির আরো কান্না পেল।তার স্বামী কেন জ্বিনের পাল্লায় পড়ল।
মজনু ঝট করেই জরিয়ে ধরলো রিদিকে কে।হাত বুলাল মাথায় রিদি ভয় পেলেও শান্ত থাকল।এই আলিঙ্গন তার চেনা।এই আদুরে স্পর্শ তার চেনা।
রিদি মুখ তুলে তাকাল মজনুর দিকে।ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকল কিছুক্ষণ।
আপনি ভীষণ সুন্দর।
মজনু হাসল বৌয়ের থেকে এই কথাটা যেন তার সাহসটা কোথাও বাড়িয়ে দিল।রিদি মুগ্ধ হয়েই চেয়ে রইল। মজনু খানিকটা ঝুকে নাকে নাক ঘষে।রিদি তাৎক্ষণিক কেপে উঠলো।খামচে ধরলো মজনুর পাঞ্জাবি। মজনু থুতনি ধরে মুখটা উঁচু করল।চোখে চোখে কথা হলো তাদের।মজনুর এমন চাহনি ঝর তুলল ভেতরে।এমন মাদকতা মেশানো দৃষ্টিতে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকল না রিদি চোখ নামিয়ে নিল। মজনু এখনো থুতনি উচু করে ধরে আছে।পুরো মুখে চোখ বুলাল মজনু। দৃষ্টি গিয়ে থামল হালকা গোলাপি ঠোঁটের দিকে।একদম রং তুলি দিয়ে আঁকা যেন ঠোঁট।মজনুর আর অপেক্ষা করতে ধৈয্য হল না।আকরে ধরল নরম ঠোঁট জোড়া নিজের মাঝে।এতো অপেক্ষা তার শেষ হয়েছে।আজ সে অপেক্ষা করতে নারাজ।রিদি চমকালো, শিহরিত হল শরীর। রক্ত ছলাৎ করে উঠলো।রিদি আজ আর বাধা দিল না মজনু কে।সায় দিলো নিজেও।একে অপরকে ভালবাসায় সিক্ত করে তুলল! আজকের রাতটায় পবিত্র মিলনে শুরু হোক এক নতুন পথচলা।
পাখির কিচিরমিচির আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে গেল রিদির।একটু নড়তে গিয়ে বুঝল সে নড়তে পারছে না।রিদি ঘুম ঘুম ভাব নিয়েই চোখ খুললো।চোখ খুলতেই নজরে আসল কারো প্রসস্ত বুক।রিদি ভালোভাবে তাকিয়ে নিজের অবস্থান দেখে লজ্জা পেল। মজনু কে সরিয়ে উঠে পড়ে লজ্জায় মজনুর দিকে তাকানোর সাহস ও পেল না।গোসল করেও ঘরে আর আসল না।
মজনুর ঘুম ভাঙ্গে একটু দেরিতে।উঠে আশেপাশে রিদিকে খুঁজল।না পেয়ে উঠে বসল।ঘর থেকে বের হয়ে রান্নাঘরের দিকে নজর দিয়।বৌ তার রান্নাঘরে। মজনু ধীর পায়ে এগুলো সেদিকে,
আপা তুমি এতো সকাল সকাল গোসল করছ ক্যান??হুট করেই পুচি প্রশ্ন করে।
পুচি উওর না পেয়ে আবারো বলল,
আপা তোমার কি বেশিই গরম লাগছে?কৌই আজ তো ওমন গরম ও নাই।
রিদি থতমত খেয়ে তাকিয়ে আছে পুচির দিকে। বেচারি কি বলব!!
পুচি এবার চেঁচিয়ে উঠলো, আল্লাহ…..
রিদি ভয়ার্ত কন্ঠে বলল,
কি?কি?হয়েছে??
আপা আপনার গলায় এমন লাল লাল হয়ে আছে কেন?? আল্লাহ!!!
পুচির কথায় গলায় ওরনা ভালো ভাবে দিয়ে একটু কেশে বলে,
আসলে এলার্জি! এলার্জির জন্য হয়েছে!তাই তো গোসল করেছি!!
মজনু দাঁড়িয়ে সবটা শুনে ঠোঁট চেপে হাসে।পুচি মজনু কে দেখে হা হয়ে তাকাল।
আপা এই সুন্দর মানুষ কেবা??
রিদি ঘার ঘুরিয়ে মজনু কে দেখে,মজনু ঠোঁট চেপে হাসছে।রিদি লজ্জার সাথে রাগ ও হলো।
এটা হচ্ছে তোর নতুন দুলাভাই!!পুরাতন টা পছন্দ না তাই বিদায় দিয়েছি।
এসব কি কন আপা!!!
হেরে তো মজনু ভাইজানের মতোন ই লাগছে। কিন্তু দাড়ি, মুচ এমন কাইটা ছোট করছে কেন??তয়!!! এখন এক্কারে রাজপুত্তুর লাগছে আপা!!!
মজনু পুচির কথায় হাসল।রিদি সেই হাসি দেখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে চোখ নামিয়ে নিল।মনে মনে একটাই প্রার্থনা করল,
“”দুনিয়া এদিক থেকে ওদিক হয়ে যাক,
তুই শুধু বন্ধু আমার থাক””
(আমি ছন্দ মিলাতে পারি না।কেউ লজ্জা দিবেন না)
মজনু তাকিয়ে দেখল তার বেগম কে।ইসস..এক রাতেই কি তার বৌকে অধিক সুন্দর লাগছে।কাল রাতের মতো এমন একটা রাত কি কখনো এসেছে জীবনে। উহু আসেনি।কাল রাতে তো তার জানের সাথে মিশে গেছে বৌটা।তাহলে কি ডাক যায় না,”বেগমজান”
আপনাতেই আমি পর্ব ৯
আমার বেগমজান। শুধুই আমার। মজনু মনে মনে আওড়ালো।
“প্রিয়র থেকেও প্রিয় আপনি বেগমজান”
আমার জীবনের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় আপনি।আর আপনার দেওয়া ভালবাসার রাতটা সারাজীবন স্মরনীয় হয়ে থাকবে বেগমজান।আপনি শুধু আমার হয়েই থেকেন।শুধুই আমার।