আপনাতেই আমি পর্ব ২৪

আপনাতেই আমি পর্ব ২৪
ইশিকা ইসলাম ইশা

কে আপনারা ? কেন আমাকে আটকে রেখেছেন?যেতে দিন বলছি! আপনারা জানেন না আমি কে??যেতে দিন!!
লাবিব বিরক্ত হয়ে বলল।এই মুখ টা অফ কর তো!!কাকের মতো গলা এরে ডাক্তার কে বানিয়েছে!!
প্রিয়ন্তি ক্ষেপে গেল,
ইউ ব্লাডি বিচচ…….
ঠাসসসসস,
মাইন্ড ইউর ল্যাংগুয়েজ।লাবিব কথাটা বলতেই তীব্র বলে,
আহা তুই বেচারিকে এভাবে মারতে পারিস না।ইসস সুন্দর মুখখানা কেমন হয়ে গেছে দেখ তো!একটু মায়া দয়া কর!(তীব্র)
প্রিয়ন্তি রেগে বলল,

এই কে তুই?ছাড় আমাকে!!আমি কে তুই জানিস!!
আমি কে!সে তো বলব তার জন্য ই তো আপনাকে কষ্ট করে তুলে আনা হয়েছে ম্যাডাম!তাছাড়া আপনি কে?আর কি! সেটার ইনফরমেশন আপনার বাবার কাছেও নেই যা আমার কাছে আছে।
চলুন এবার পরিচয় পর্ব শেষ করি।আমি রিদিতার বর।(তীব্র)
প্রিয়ন্তি ক্ষেপে বলল,
তোর সাহস কিভাবে হয় আমাকে তুলে আনিস! নিজের বৌ কে সামলিয়ে রাখতে পারিস না। বড়লোক দেখলেই লেলিয়ে পপপপ………..
ঠাসসসসসসসসসসসস,
ব্যাস!! কুপোকাত!!

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

প্রিয়ন্তির মাথা ভনভন করে ঘুরছে। লাবিবের থাপ্পড়ে কাজ না হলেও তীব্রর থাপ্পর এ হয়েছে। জ্বলে যাচ্ছে গাল।মনে হচ্ছে গাল ফেটে রক্ত বের হয়েছে।ব্যাস সব সাহস ফুস! প্রিয়ন্তি ভয়ার্ত দৃষ্টিতে তাকালো তীব্র উরফে মনজুর দিকে।থরথর করে কেঁপে উঠলো সর্বাঙ্গ ভয়ংকর চোখ জোড়া দেখে।
তোর হাতের জোস কি কমে যাচ্ছে?একবার মারার পরেও এতো জোর পায় কোথা থেকে?(তীব্র)
লাবিব হচকচিয়ে তাকাল তীব্রর দিকে।তীব্র বিরক্ত মুখ করে তাকাল প্রিয়ন্তির দিকে,
শুনুন ম্যাডাম। আপনাকে দেওয়ার মতো এতো সময় আমার নাই। মূল কথা হলো আমি আমার বৌয়ের চোখে পানি দেখতে পারি না!আপনার জন্য বৌ আমার পুরো ৩২ মিনিট কেঁদেছে।যার চোখে ১মিনিট পানি দেখতে পারি না।তার চোখে ৩২ মিনিট কান্না সহ্য করা কম বড় ব্যাপার!বাপরে!আমার আবার ধৈর্য অনেক বেড়েছে।না না বাড়ে নি আসলে বৌ আশেপাশে থাকলে বেড়ে যায় শুধু।বৌ আমার পাশে মানে অল ওকে।আর আপনি আমার সেই বৌয়ের নামে….(কটমট করে)

আর আপনি আমার বৌয়ের নামে যা বলেছেন তা যে সত্য না সেটা আপনিও জানেন আমিও জানি।তবে হিসেব করলে ডেবিট ক্রেডিট মিলিয়ে বৌ আমার জন্য কেঁদেছে। ভালো আমাকে বাসে আবার ঘৃনা ও আমাকে করে।যদিও এসব আপনি বুঝবেন না।বুঝার চেস্টা ও করেন না।না হলে আমি অন্যকিছু বোঝার অবস্থায় থাকবেন না। বুঝলেন ম্যাম বৌয়ের প্রতি আমি ভীষণ দূবল।তার চোখের পানি ঝরবে আর আমি কিছু করব না তা কি হয়!!!
দেখুন তো চিনতে পারেন কি না!! ভিডিও তে মেয়েটা আপনি কি না!!
প্রিয়ন্তি ভয়ার্ত দূবল চোখে তাকালো ভিডিওর দিকে, ভিডিও দেখে হাত পা ঠান্ডা হয়ে এলো।এটা তো সেদিন রাতের পার্টিতে হওয়া ভিডিও।বেশি ড্রিংকস করার ফলে সেদিন রাতে তার বয়ফ্রেন্ড আর তার মধ্যে হওয়া সম্পর্কের ভিডিও।

তীব্র ফোন সাইডে রেখে বলল,
আপনার ক্যারেক্টার খুব ভালো তা আমি জানি!!মূল কথায় আসি।আজ এবং এখন থেকে রিদিতার থেকে
দূরে থাকবি। আর কাল সকাল সকাল আপনার প্রথম কাজ,আমার বৌয়ের পা ধরে সবার সামনে মাফ চাইবেন।
যদি না করেন তাহলে ভিডিও ভাইরাল।এরপর আপনার ক্যারিয়ার, ফ্যামেলি বাকি আপনি বুঝে যান।
যাক অনেক কথা বললাম।রাত অনেক হয়েছে সোজা বাসায় ফিরে যান।আর ভুলেও আজকের ঘটনা আমার বৌয়ের কানে তুলবেন না। সবার কাছে ওর বর ভালো হলেও।কষ্ট দেওয়া লোকের কাছে কিন্তু ভয়ংকর।
এই ম্যাম কে পৌছে দিয়ে আয়!!
বলেই বেরিয়ে যায় তীব্র। প্রিয়ন্তির চোখ বেঁধে লাবিব ইশারায় গাড কে নিয়ে যেতে বলল।

পরের দিন না চাইতেও রিদি কলেজ এসেছে ,
এসেই প্রিয়ন্তি ম্যামের সবার সামনে তাকে সরি বলায় ভীষণ অবাকও হয়েছে।
এই রিদু!!ম্যাম তোকে সরি বললল?(মেঘ)
হু…(রিদি)
তুই কিছু করিস নি তো(মেঘ)
করতে তো চেয়েছিলাম! কিন্তু ব্যাপার টা বুঝলাম না (আয়ান)
ম্যামের মুখে মাস্ক ছিল দেখেছিস!!(মেঘ)
গাধী সেটা সবাই দেখেছি!(আয়ান)
তুই ভাব! প্রিয়ন্তি ম্যাম আর মাস্ক।ব্যাপারটা ভীষণ অদ্ভুত না!!এই রিদু আমার মনে হয় তীব্র স্যার কিছু বলেছে!(মেঘ)
পাগল তুই!ঐ জল্লাদের নানী পারলে আমাকে আরও শোনাবে!(রিদি)
এসব বাদ দে।আর সাবধানে থাকবি।কোন সমস্যা হলে আমাকে আগে জানাবি।এখন চল স্যারদের ক্লাস আছে (আয়ান)

আপনাতেই আমি পর্ব ২৩

তিনজনে বের হতেই,
এই রিদিতা চল সময়ের মধ্যে যেতে হবে আমাদের।(আবির)
রিদিতা আবির গিয়ে পৌছাল তীব্রর কেবিনের সামনে।নক করতে যেতেই কেউ পেছন থেকে বলে উঠলো।
তীব্র স্যার রুমে নেই। আইসিইউতে তে আছে।আপনাদের আইসিইউতে যেতে বলেছে।রিদি ভু কুঁচকে তাকাল লোকটার দিকে। কিছু না বলে আইসিইউতে পৌছাল। কিন্তু আইসিইউতে কাউকে না দেখে অবাক হল দুইজনেই।
রিদি: আবির এখানে তো কেউ নেই হঠাৎ কারেন্ট চলে যাওয়াই চমকে উঠে রিদি। চারদিকে অন্ধকার হয়ে গেছে।রিদি ভয়ে ভয়ে আবিরকে ডাকে। কিন্তু আবিরের কোন সারা না পেয়ে সামনে এগুতেই কেউ পেছন থেকে রিদির মুখ চেপে ধরে।রিদি ছুটাছুটি করতে চাইলে হঠাৎ ই মুখে কিছু মারায় ঙ্গান হারিয়ে ফেলে রিদি।

আপনাতেই আমি পর্ব ২৫