আপনাতেই আমি পর্ব ২৮

আপনাতেই আমি পর্ব ২৮
ইশিকা ইসলাম ইশা

প্রায় ১৭ দিন ধরে রিদির সাথে যোগাযোগ করতে চেয়েও পারছেন না আমেনা বেগম।রিদি যেন তার ধরা ছোঁয়ার বাইরে। বিশাল বড় বাড়িতে থাকে, চারিদিকে গাড এ ভর্তি।প্রথমে জেনে আকাশ থেকে পড়েছিলেন তিনি।এরপর রিদির মেডিকেল পড়া ।তাও নূরজাহান মেডিকেল কলেজ। একের পর এক ঝটকা খেয়ে স্তব্ধ হয়ে আছে আমেনা বেগম।তিনি ভাবেন ও নি এতোকিছু রিদির জন্য মজনু করবে।তবে রিদির চারদিকে যেন অদৃশ্য বেড়াজাল তৈরি করে রেখেছে কেউ।যা পার তিনি করতে পারছে না। আর মজনু হিসেবে লোকটার মাঝে কিছু তো ব্যাপার আছে!!
সে তো তার স্বার্থে বিয়ে দিয়েছিল রিদিকে।তাহলে কি তার খেলার মাঝে অন্য খেলা চলছে! যে সত্য সে গোপনে রেখেছে!সেই সত্য জানা এতো সহজ কাজ না!! তাহলে কে এই মজনু!!হাজারো ভাবনা ঘিরে ধরেছে আমেনা বেগমকে।

সকাল সকাল মাথার যন্ত্রনা নিয়ে রান্না করছে রিদি।পুচি কয়েকবার মজনু কে বলার জন্য বললেও রিদি বলে না।এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে ভেবে। মজনুর আজ কাজ থাকায় সে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়ে তাই আরোও বললো না।রিদি কলেজের জন্য রেডি হয়ে পুচির সাথে বেরিয়ে পড়ে। বিশাল বড় গেট খুলে বাইরে বের হয় রিদি, পুচি।সামনে দুটা রিকশা দাঁড়িয়ে আছে।রিদি দরকষাকষি করার মতো ভাড়া ঠিক করে উঠে বসল।পেছনের রিকসা ও চলতে শুরু করল। তীব্র কেবিনে বসে দেখল রিদির যাওয়া।পেছনের রিক্সায় থেকে ভিডিও কল করেছে তার গাড ।প্রতিদিন ই করে।আজ তীব্রর একটা অপারেশন আছে রিদিকে আসতে দেখে তীব্র গাডের ফোন কেটে অপারেশন এর জন্য রেডি হল।
পুচিকে স্কুলে নামিয়ে দিয়ে রিদি হাঁটতে লাগলো রোজকার মতন।কিছুদূর গিয়েই রিদির কলেজ।
রিদি হেটে কলেজের রাস্তায় আসতেই হুট করেই তার সামনে এসে একটা গাড়ি দাঁড়ায় ,রিদি কিছু বুঝার আগেই টান দিয়ে রিদিকে উঠিয়ে নেয়।ঘটনা এতো দ্রুত হয় রিদি কিছুই বুঝে না।কি হল!!!!

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

তীব্রর ফোন বিরতিহীন ভাবে বেজেই চলেছে।ওটি শেষ করে সবেই বের হয়েছে তীব্র।তখনি হুরমুর করে কেবিনে ঢুকে লাবিব।তীব্র লাবিব কে দেখে ভু কুঁচকে তাকায়।লাবিবের ভয়ে পা হাত ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।রিদি কে কেউ উঠিয়ে নিয়ে গেছে এটা জানলে কি হবে!!
কি হয়েছে??
আসসসলললে!!
কি এতক্ষণ ধরে একটা ওয়ার্ড উচ্চারণ করছিস??
বস রিদি ভাবীকে কে কিডন্যাপ করে নিয়ে গেছে!!
কিহহহ!!!কখন কিভাবে??
লাবিব সব বলতেই তীব্র বেরিয়ে পড়ল।যেতে যেতে বলল,রিদির লোকেশন ঢ্রাক কর।যারা পিছু করছে তাদের বল দূরত্ব রেখে ফলো করতে।

মায়ের সামনে বসে আছে রিদি।আমেনা বেগম রিদিকে ভালো করে দেখল।অনেক পরিবর্তন এসেছে রিদিতার।তা তিনি পরোখ করলেন।
তোকে বিশ্বাস করাতে এখানে আমি বসে নেয়!! শুধু তুই সাইন করবি এখানে।
রিদির কাঠ কাঠ জবাব,
করব না!!
আমেনার রাগ হল,
মায়ের থেকে দুদিনের স্বামী তোর কাছে বড় হলো।আমার কথা বিশ্বাস করছিস না।আমি বলছি তো মজনু সুবিধার না। মজনু একজন ছদ্মবেশী।তোকে ডিভোর্স দিতেই হবে সাইন কর।
রিদিও রেগে তাকালো মা আর রাদিফের দিকে,
কি চাইছেন আপনারা দুইজন??আমার থেকে কি চায়??কেন আমাকে শাস্তি মতো বাঁচতে দিচ্ছেন না আপনারা।
রাদিফ অসহায় চোখে তাকাল রিদির দিকে,
বিশ্বাস কর রিদি আমি তোর খারাপ চায় না।
রিদি তাচ্ছিল্য হাসল,

কেউ তোমরা আমার খারাপ চাও না!!তাই তো এতো বছর আমি তোমাদের সাথে ভালো ছিলাম না।
তোমরা আমাকে যতোই বোঝাও না কেন।আমি মরে গেলেও সাইন করব না।
আমেনা বেগমের ধৈর্য হারালো,উঠে এসে চুলের মুঠি ধরে বলল,
আমার সাথে একদম তর্ক করবি না!!যা বলছি তাই কর!!
রিদি ব্যাথায় ককিয়ে উঠলো।আগের মতো রিদিকে মারার দৃশ্য দেখে রাগ হল রাদিফের। কিছু বলার আগেই আমেনা বেগম বলল,
এভাবে মানবে না ও। রক্ত কথা বলে তাই না!!ঠিক বলেছিস রক্ত কথা বলে।এতো জেদ না দেখিয়ে সাইন কর।
রিদি আবারো হাসল,ব্যাথার মুখ লাল হয়ে গেলেও তাচ্ছিল্য হেসে বলল,
মেরে ফেললেও সাইন করব না।ভালোবাসি আমি মজনু কে।মরে গেলেও ডিভোর্স দিব না।
রাদিফ তাকাল রিদির দিকে।
এতো বিশ্বাস কেন করিস ঐ বিশ্বাসঘাতক কে??
রিদি চেঁচিয়ে উঠলো,

খবরদার!!বিশ্বাস ঘাতক মজনু না তোমরা!ঘৃনা করি আমি তোমাদের!আমি জানি আমার সুখ তোমাদের সহ্য হচ্ছে না।হবেই কিভাবে যেখানে মা ই কালসাপ!!
আমেনা রেগে রিদির চুলের মুঠি ধরে টেবিলে বারি মারে।রিদির কপাল চুয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ল।ঝিমঝিম করে উঠলো মাথায়।রাদিফ ছুটে এসে রিদিকে ছাড়িয়ে নেয়।রেগে বলে,
খবরদার!রিদির গায়ে হাত তুলবেন না।আমি ওকে সত্য জানাতে চাই মারতে চায় না!
আমেনা বেগম রাদিফের উপর ক্ষিপ্ত হতে চেয়েও হলেন না।মজনুর সত্যি জানতে তার রাদিফের সাহায্য লাগবে।তাই আপাতত তিনি শান্ত হল।রাদিফের প্ল্যান অনুসারে মজনুর সত্যি সে জানতে পারবে।তারপর একৈকটাকে দেখে নেবে!!
রাদিফ রিদির কাছে আসতে চাইলে রিদি চেঁচিয়ে বলে,
খবরদার আমার কাছে আসবেনা!!
রাদিফ অসহায় চোখে তাকাল রিদির দিকে,কপাল কেটে রক্ত চোয়াচ্ছে রিদির।
রিদি রক্ত পড়ছে শোন!!

না!!!!!খবরদার আমাকে ছুবেন না।ঘৃনা করি আমি আপনাদের!!ছি….আপনারা এতো নিচে নামতে পারেন।আপনারা তো রাস্তার কুকুরের চেয়েও খারাপ!!
আমেনা বেগম আবারো রিদির চুলের মুঠি করে ধরলো। ঠাস ঠাস করে চড় মেরে মুখ চেপে ধরল।
খুব কথা শিখেছিস তাই না!তুই ভুলে গেছিস আমি কে!!আমেনা যা চায় তা নিয়েই ছাড়ে!!
রাদিফ আবারো রিদিকে ছাড়িয়ে নিতে চাইলে আমেনা বলে। সব সত্যি জানতে হলে আগে রিদির ডিভোর্স পেপারে সই করতে হবে।কর সাইন!!!
নাআআআআআআ!!করব না!!আমেনা বেগম শুনে রাখেন আমি সাইন করব না!!!
আমেনা রিদিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়,

রিদি তাল সামলাতে না পেরে পেছনের দেওয়ালে মাথার পিছনে লেগে যায়।দেওয়ালের পাশেই রডের মত ছুচালো কিছু হাতে ঢুকে গলগল করে রক্ত বইতে লাগলো।চারদিকে যেন অন্ধকার নেমে আসে রিদির।অসহ্য যন্ত্রনায় পুরো শরীর অবশ হয়ে এলো আমেনা আবারো এসে রিদিকে সাইন করতে বললে, রিদি আবারো মানা করে।আমেনা বেগম টেনে নিয়ে যেতেই হোচট খেয়ে পড়ে যায় রিদি।পরপর মাথায় আঘাত আর শরীরেরে অসহ্য যন্ত্রনায় ধীরে ধীরে চোখ বন্ধ হয়ে আসতে চায়। কিন্তু তার আগেই সেখানে প্রবেশ করে মজনু।রিদি মজনু কে দেখে হাত বাড়িয়ে দেয়।সর্ব শক্তি দিয়ে চোখ খুলে রাখে। কিন্তু পরক্ষনেই মজনুর ভয়ংকর রুপ দেখে রিদি চমকায়।

হাতে বন্দুক তাতে লেগে আছে রক্ত।সাদা পাঞ্জাবি রক্তে লাল হয়ে আছে।ভয়ংকর লাগছে তাকে।সামনের কয়েকজন মজনু কে আটকাতে চাইলে মজনু গুলি করে দেয়।ওদের মারামারির মাঝেই অনেক জোরে পানির ঝাপটা আসে।দুই পাশে থেকে বড় পাইপের মাধ্যমে পানি আসায় নিজের জায়গা থেকে কিছুটা সরে যায় মজনু।পানির প্রেসার নিতে কষ্ট হচ্ছে মজনুর।রিদি মজনুর কষ্ট দেখে ওঠতে চাইলে পারে না।শরীর যেন আর সায় দিচ্ছে না।রিদি তবুও চেষ্টা করে উঠার।এবারো ব্যাথ হয়। মজনু দুই হাত দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না। পানির প্রেসার তাকে বার বার পিছে সরিয়ে দিচ্ছে।রিদি চেঁচিয়ে বলারো শক্তি পাচ্ছে না।পাশের একটা মোটা রড ধরে উঠতেই আবারো বসে পড়ে। আবারো উঠার চেষ্টা করে টালমাটাল ভাবে দাড়ায়। রিদির রক্তে ভেসে যাচ্ছে পুরো জামা।খানিক দূরেরই দাঁড়িয়ে আছে আমেনা বেগম।রিদি ঘৃনার দৃষ্টিতে তাকালো তার দিকে।
দুই কদম হেটেই থেমে যায় রিদি।পানির ঝাপটা বন্ধ হয়ে এসেছে। মজনু তখনো দু হাত ক্রস করে মুখের উপর রেখেছে। হঠাৎ পিছন থেকে একটা লোক মজনু কে মাথায় বাড়ি মারার জন্য রড উঠাতেই রিদি ভয়ে চিৎকার করে উঠল,

মজনু সাহেব…….(যদিও আওয়াজ মজনু পর্যন্ত যায় নি।)
মজনু কি বুঝল রিদির আওয়াজ সাথে সাথে পিছনে ঘুরে একহাতে রড ধরে নেয়‌।রিদি আতংক নিয়ে তাকাই মজনুর দিকে। মজনুকে দেখে আবারো কয়েক কদম যেতেই থমকে দাঁড়ায় রিদি,মাথার ভেতর চক্কর দিয়ে উঠে।নড়ার শক্তি সাহস কোনটাই পায় না। স্তব্ধ হয়ে সেখানেই দাড়িয়ে থাকে রিদি।রিদি কিছুটা এগিয়ে আসায় পেছনে থেকে আশ্চর্য হওয়ার মতো আওয়াজে আমেনা বেগমের একটা কথা কানে এসে বারি খায় রিদির,
“তীব্র….”
হ্যা তীব্র।পানির প্রেসারের কারনে মুখের প্লাস্টিক মাস্ক খুলে গেছে মজনুর। মজনু হাত দিয়ে ভেজা চুলে হাত চালিয়ে পেছনের দিকে ঠেলে দেয়।আমেনা বেগম, রাদিফ দুইজনেই নরচর বিহীন দাঁড়িয়ে আছে। তারা দুইজনেই শকড।তীব্রর দৃষ্টি রিদির ওপর পড়তেই তীব্র রেগে হাত মুষ্টিবদ্ধ করল,ধক করে উঠল বুকের মাঝে।রক্ত মাখা মুখের দিকে তাকিয়ে বুঝল রিদি শকড।তীব্র দু কদম এগিয়ে যেতেই রিদি ধপ করে পড়ে গেল।তীব্র দু কদম এগিয়ে থেমে গেল রিদিকে পড়তে দেখে। পরক্ষনেই একছুটে এসে রিদিকে কোলে তুলে নিল।
এই বেগম সাহেবা.. উঠুন।রক্ত!!
তীব্র ভয়ংকর দৃষ্টিতে তাকালো আমেনার দিকে।তীব্রর দৃষ্টি দেখে আমেনা নড়েচড়ে উঠল। শুকানো ঢোক গিলল,কেঁপে উঠলো বুক।

মাথায় আঘাত আর অতিরিক্ত চাপের কারণে রিদির অবস্থা খুব একটা ভালো না তীব্র।
ডঃ আশিক মাহমুদ এর কথায় তীব্র চোখ তুলে তাকালো তার দিকে।তীব্রর ভয়ংকর লাল হওয়া দৃষ্টি তাকেও আতংকিত করল।একটু থেমে ডঃ আশিক মাহমুদ আবারো বললো রিদি ওয়াজ প্রেগন্যান্ট। আর ফরচুনেটলি মিসক্যারিজ হয়েছে। শারীরিক আঘাতের কারণে।আমির এসে মিসক্যারিজ কথাটা শুনে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে গেল।ছেলের দিকে তাকিয়ে চমকে উঠলো।তীব্রর ফ্যাকাশে দৃষ্টির দিকে তাকিয়ে রইল আমির।হয়তো সে শকড!!আমির তীব্রর কাধে হাত রাখতেই তীব্র তাকালো বাবার দিকে।আজ ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে মায়া হল আমিরের।তীব্র খুব কষ্টে উচ্চারণ করল,
আ…মা..র বাচ্চা??
আমিরের চোখ ভিজে এলো।শক্ত ছেলের এমন অবস্থা দেখে তিনি কি বলবেন খুজে পেলেন না।তীব্রর চোখের পানি তার বুকে বিঁধছে।লাস্ট কবে কাঁদতে দেখেছে মনে নেই আমিরের। আমির জরিয়ে ধরলো ছেলেকে।সবেই তো তিনি ভাবছিলেন ছেলের জীবনে সব এবার ঠিক হবে।
আ মা র…বা.চ্চা…চাই! আমার বাচ্চা ফেরত চায় বাবা!মানে!বাবা তুমি বুঝতে পারছ আমার আমার বাবু ছিল তাই না।

আমির ছেলেকে কি বলে শান্তনা দিবে জানে না!তিনি ভাষা হারিয়ে ফেলেছে।এমন শক্ত ছেলেকে কখনো ভাংতে দেখতে হবে ভাবেন নি তিনি।
লাবিব,আয়ান,মেঘ এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তীব্রর দিকে।লাবিব তীব্র কে ভয়ংকর হতে দেখেছে,শান্ত থেকে খুন করতে দেখেছে,রেগে ভাংচুর করে নিজেকে রক্তাক্ত করতে দেখেছে,ভীষন স্বার্থপর হতে দেখেছে। কিন্তু এভাবে ভেঙে পড়তে দেখে নি।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যার সময় লাগে না আজ তাকে পরিস্থিতির সাথে লড়তে দেখছে।সময় এমন এক জিনিস না দেখা অনেক কিছু দেখিয়ে যায়।বসের সাথে এতো বছর আছে কখনো কোন মেয়ের জন্য ফিলিং তো দূর রাত যার সাথে পার করেছে তাকেই সকালে চিনে না।অথচ রিদির বেলায়,রিদির বেলায় সে নিজেকেই অন্য মানুষে পরিনত করেছে।কি দরকার ছিল!!চাইলেই রিদিকে তুলে এনে জোর করেই সংসার করতে পারত। কিন্তু তীব্র ভালোবাসা চেয়েছে। নিঃস্বার্থ ভালোবাসা।তীব্রকে কখনোই রিদি ভালোবাসবে না।তাই তো মজনু রুপে সাজিয়েছিল নিজেকে।আর রিদির ভালবাসা পেয়ে আরো স্বার্থপর হয়ে কখনো সত্য বলার সাহস পায়নি তীব্র।

আয়ান ব্যাথিত হৃদয়ে তাকিয়ে আছে তীব্রর দিকে।ভালবাসা মানুষকে কি থেকে কি হতে বাধ্য করে!!!!তার হৃদয়েও তো ব্যাথা হচ্ছে। অনাকাঙ্ক্ষিত প্রিয় মানুষটার জন্য।রিদি তার না পাওয়া একজন প্রিয় মানুষ।রিদির কষ্টে তার হৃদয় ব্যাথিত হলেও সে কাউকে দেখাতে পারছে না।কি এক অসহ্য যন্ত্রনা।তীব্রর ব্যাথা সেও ফিল করতে পারছে। তার থেকেও অধিক কষ্ট তীব্র পাচ্ছে।

আপনাতেই আমি পর্ব ২৭

মেঘ তীব্রর মতো মানুষের এমন ভালবাসা দেখে শকড ই প্রায়।তীব্র চৌধুরী ও নাকি এমন ভয়ংকর ভাবে ভালোবাসতে পারে।পারবে না আবার!রিদি তো স্পেশাল।মেঘ একবার আয়ানের দিকে তাকালো। তাচ্ছিল্য হাসল মনে মনে কি নিয়তি তাই না!!যখন তাকে তার বানায়ইনি তাহলে তার প্রতি এমন কেন ফিলিং দিবে। বিচ্ছেদ কি শুধু একটা সম্পর্কের হয়। বিচ্ছেদ তো কখনো কখনোও সম্পর্কে না থেকেও হয়। সবটা ভাগ্য।তবে আগে কি হবে?? ঙ্গান ফিরে রিদি কি করবে!! মজনু হিসেবে যাকে ভালোবাসে সেই তো তীব্র।আর তীব্র কেই তো তার পছন্দ নয়।তাহলে মিলন হবে নাকি বিচ্ছেদ হবে।

আপনাতেই আমি পর্ব ২৯