আপনাতেই আমি পর্ব ৩০

আপনাতেই আমি পর্ব ৩০
ইশিকা ইসলাম ইশা

রিদির চৌধুরী বাড়িতে আসা সপ্তাহ খানেক হয়েছে।কাল ঈদ।পুরো বাড়ি জুড়ে লোকজন।রিদি এখন পুরাপুরি সুস্থ না হলেও সুস্থ।রিদ এসেছিল পরের দিন। কিন্তু আর যাই হোক তীব্র রিদিকে নিয়ে যেতে দেয় নি। এই নিয়ে তুমুল কান্ড ঘটিয়ে ফেলেছিল রিদি। কিন্তু তীব্রর জেদ আর রাগের কাছে হার মানতে হয়েছিল রিদ কে। তাছাড়া রিদি এখন এখানেই সুরক্ষিত।

রিদ না নিয়ে যাওয়াই খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে বসেছিল রিদি।তীব্র পরে এসে ভয় দেখিয়ে খাওয়িছে।সবাই অবাক হলেও বুঝল রিদির জেদ ও কম না।পুরো সপ্তাহ রিদি তীব্রর সাথে কথা বলে নি। কিন্তু তীব্র তো তীব্র সে জোর করেই কথা বলিয়েছে।রিদি তীব্রর সাথে ঘুমাতে না চাইলেও জোর করেই জরিয়ে ধরে ঘুমিয়েছে।
কাল ঈদ তাই চৌধুরী বাড়িতে অনেক মানুষ। গার্ডেনের দিকের রাস্তায় তিনটা গরু আর চারটা খাশি বাঁধা।তাদের খাবার দিচ্ছে কাজের লোক।রিদি কেলকনি থেকে দেখল তীব্র কে।লাবিব সহ কিছু মানুষের সাথে কথা বলছে। তিনটা গরুর মধ্যে একটা গরু তীব্রর অনেক দূরেই পটি করেছে।তীব্র নাক মুখ কুঁচকে ছিটকে সরে আসে।তীব্রর ছিটকে আসা দেখে মুচকি হাসে রিদি।হুট করেই মাথায বুদ্ধি আসে।তীব্র কথা বলে তার বাঁকানো বিল্ডিং এ যেতে যেতে বেলকনিতে তাকাতেই রিদি সাইডে হয়ে যায়।রিদি রুমে এসে শয়তানি হাসে।রুম থেকে বের হয়ে নিচে আসে। সবাইকে ব্যস্ত দেখে হাটতে হাঁটতে গরু গুলোর কাছে আসে।গাডরা রিদিকে দেখে দৌড়ে ছাতা নিয়ে আসে বাইরে ভীষণ রোদ।রিদি বিরক্ত হল।
আমি বলেছি ছাতা নিয়ে আসতে।এই ছাতা আপনার বসের মাথায় ধরুন।গাডটি থতমত খেয়ে চলে গেল।রিদি হাসল একমনে চেয়ে রইল গরু গুলোর দিকে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

ল্যাপটপের স্কিন এ তাকিয়ে আছে তীব্র।কোথা থেকে লাবিব ছুটে এসে।
বসসস !!ভাবি গাডদের সাথে ঝরগা করছে।
রিদি!!!(অবাক হয়ে)
জি!!জলদি চলুন।
তাড়াতাড়ি গেট খুল না হলে এই গবর তোর গায়ে ফেলবো।গাডটি গোবর রিদির হাতে দেখে মুখ ছিটকালো।তীব্র এসে দাড়াতেই ভিড় ছুটে যায়।চলে যায় যে যার কাজে। তীব্র রিদির হাতের দিকে তাকিয়ে বলল,
এসব কি করছেন আপনি??
আসুন !!আসুন!!আপনার অপেক্ষায় করছি!জলদি গেট খুলতে বলুন।না হলে একদম গোবর মাখিয়ে দিব।
রিদির হাতে গোবর দেখে বিরক্ত হয় তীব্র।
এসব কি করছেন বেগমজান!
চোখে দেখেন না এসব কি??গোবর!ওহহ আপনারা আবার ইংরেজদের বংশধর!
Its cow potty!! understand!!জলদি খুলতে বলুন আমি বাইরে যাব।
কোথায় যাবেন??

জাহান্নামের চৌরাস্তায়!! খুলতে বলুন!আর খবরদার আমার কাছে আসলে এই গোবর গায়ে লাগিয়ে দিব।
এসব কি ধরনের বাচ্চামি!কোথায় যাবে বলো আমি নিয়ে যাব!এসব ফেলো।
একদম না।আপনাকেই তো চায় না আমার।না আপনি, না আপনার সঙ্গ।আমাকে একা যেতে দিন।
তীব্র কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল,
গেট খুলে যেতে দে।গাডটি তাকালো তীব্রর দিকে। পরক্ষনেই খুলে দেয়।রিদি খুশি হয়ে গেট দিয়ে বাইরে বের হয়।এদিক ওদিক না তাকিয়ে দৌড়াতে শুরু করে।কিছুদূর দৌড়িয়ে হাঁপিয়ে যায় রিদি।পেটে চিনচিনে ব্যথা শুরু হওয়ায় পেটে হাত দিয়ে দাড়াল।এইটুকুতেই পানির পিপাপা পেল রিদির কিন্তু আশেপাশে কাউকে দেখল না।রিদি একটু হেটে বসল একটা গাছের নিচে হেলান দিয়ে বসলো।পানির পিপাসায় গলা শুকিয়ে এল।আর এদিকে পেটের ব্যাথা আরো তীব্র হল। উঠতেও ব্যর্থ হল । মাথার ভেতর চক্কর দিয়ে উঠলো।তবে পেটের এমন চিনচিন ব্যাথার কারন বুঝল না রিদি।নিজের অসুখ সম্পর্কে ধারনা নেই তার।
হুট করেই কেউ একটা পানির বোতল সামনে ধরল রিদির।রিদি এদিক ওদিক না দেখে পানি নিয়ে ঢকঢক করে শেষ করল।

ধন্যবাদ!!
ইউ আর ওয়েল কাম!!
রিদি পাশে তাকাতেই চমকে উঠলো। তীব্র!!!
আপনি!!
অন্য কাউকে আশা করেছিলেন বুঝি!!
রিদি রেগে উঠতে গিয়েও আবারো বসে পড়ল।তীব্রর এবার রাগ হল। মিসক্যারিজ হয়েছে বেশিদিন হয়নি।এখন এমন দৌড়াদৌড়ি করলে তো পেট ব্যাথা করবেই।তাছাড়া পেটে আঘাত ও পেয়েছে।
তীব্র রাগলেও শান্ত হয়ে বসল রিদির পাশে,
হাত বাড়িয়ে রিদির দু হাত ধরে বোতলের পানি দিয়ে ধুয়ে দিল।রিদি পিছে তাকিয়ে অবাক হল। পিছে দুইজন গাড হাতে পানি,সাবান আর টাওয়াল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রিদি মনে মনে ভাবল এরা কখন এলো???
তীব্র রিদি গোবর দেওয়া হাত আগে পানি দিয়ে ধুয়ে এরপর সাবান দিল হাতে।দুহাত ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে দিল।রিদি আবাক হল গোবর দশ হাত দূরে থাকতেই যে ছিটকে সরে যায় সেই ই গোবর মাখা হাত ধরে নিজ হাতে ধোয়াচ্ছে।

হয়েছে! আর ছোটাছুটি খেলবেন !!পেট ব্যাথা করছে??
ব্যাথা করলেও রিদি মুখে না বলল!
তীব্র শান্ত স্বরে বলল,
কেন বাধ্য করছেন আপনার প্রতি রুঢ হতে।বলেই রিদিকে কোলে তুলে নিল।
রিদি ব্যর্থ হয়েছে পালাতে এতে মনে নিজেকে বকল খুব!!তবে পেট ব্যাথা বাড়ছে।তীব্র গাড়িতে বসিয়ে দিল।তীব্র বসতেই গাড়ি চলতে শুরু করল।রিদি ব্যাথায় সিটে হেলান দিয়ে বসলো। হঠাৎ পেটে কারো স্পর্শে শিহরিত হল।ঝট করেই চোখ খুলল। কিন্তু কিছু বলার আগেই তিব্র বলল,
একটা কথা বললে এখনি থাপরাবো!! বাচ্চামির একটা সীমা আছে!রিদি ভয়ে আর কিছু বলার সাহস পেল না। তীব্র ধীরে পেটে হালকা করে মালিস এর মতো হাত ছোয়াল।রিদির বারবার কেঁপে উঠাও টের পেল।
রিদির কিছুটা আরাম লাগছে। ততক্ষণে বাড়ি চলে এসেছে। তীব্র গাড়ি থেকে বের হয়ে রিদিকে কোলে তুলে নিল।সবাই আহাম্মক এর মতো তাকালো। আমির রিদিকে এভাবে নিয়ে যেতে দেখে বলল,
এই অবস্থায় রিদি মাকে নিয়ে তুই কোথায় গেছিল??

তোমার রিদিমার ছোটাছুটি খেলার শখ হয়েছিল তাই খেলতে নিয়ে গেছিলাম!!
আমির আহাম্মক এর মতো বলল,
রিদি মা আগে সুস্থ হয়ে যাও তারপর খেল।
রিদি লজ্জায় মাথা নিচু করে রাখলেও মনে মনে শ খানেক বকাবকি করল।তীব্র বুঝে হাসল।
রুমে এসে রিদিকে ওয়াসরুমের সামনে নামিয়ে দিলো।ফ্রেশ হতে পারবে না আমি আসবো??
রিদি কটমট করে বলল,
দরকার নেই।
রিদি ফ্রেশ হয়ে এসে বসতেই রিদিকে কোলে তুলে শুইয়ে দিল তীব্র।পেটের ওপর হট ব্যাগ রেখে বলল রেস্ট কর।একটু পরে ফ্রেশ হয়ে এসে বিছানায় রিদির পাশে বসল।হট ব্যাগ রেখে দিয়ে। খাবার খাইয়ে দিল।রিদি চুপচাপ খেয়ে নিল।হাতে ওষুধ দিতেই রিদি বলল,
কি হয়েছে আমার?পেটে এতো ব্যাথা করে কেন?
তীব্র শান্ত চোখে একবার তাকাল রিদির দিকে,চোখ ফিরিয়ে নিয়ে বলল,
কিছু হয়নি! ওষুধ আর রেস্ট আপনি ঠিক হয়ে যাবেন।
মিথ্যা কেন বলছেন?? আপনার চোখের ভাষা তো অন্য।
আপনি বুঝেন আমার চোখের ভাষা!!
রিদি কিছু বলল না।চুপচাপ ঔষুধ খেয়ে পাশ ফিরে শুয়ে পড়ল।চোখের ভাষা বুঝতে পারে রিদি। কিন্তু সেটাও তো মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।রিদির চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ল জল। ওষুধের কারনে ধীরে ধীরে ঘুমিয়ে পড়ল।

বাড়িতে লোকজন অনেক। রুপালি এদিক ওদিক দৌড়াদৌড়ি করছে।রিদি নিচে নেমে দেখে দাদি সব আত্বীয় স্বজনের সাথে কথা বলছে।রিদিকে দেখে দাদি ইশারায় এখানে আসতে বলে।রিদির অনিচ্ছা সত্ত্বেও এসে দাঁড়ায়।একজন মহিলা দাদির উদ্দেশ্য বলে,
খালা মেয়েটা কে গো??
দাদি কিছু বলার আগেই রিদি বলে,
আমি রিদিতা। রুপালি আপুর বোন।
দাদি কিছু বলল না। ছোট্ট একটা নিঃশ্বাস ফেলল।
অপর একজন মহিলা বলল,

আমেনার মেয়ে এটা!!আল্লাহ দেখি আমেনার মতো হয়নি!এমন শ্যামলা হয়েছে কেন?কার দিকে গেছে? রুপালি তো আমেনার থেকেও বেশি সুন্দর। কিন্তু খালা শুনেছি আমেনার এক মেয়ে এক ছেলে।দুই মেয়ে!!
রিদি কিছু বলল না।এসবে অভস্ত সে।দাদি বিরক্ত হয়ে বলে।প্রথমে জমজ পরে একটা মেয়ে হয়েছে।এসব ছাড় তো।তোদের সাথে তো তেমন যোগাযোগ ছিল না তাই হয়তো জানিস না।
রুপালি দূর থেকে সব শুনে এগিয়ে এসে বলল,
আসলে আন্টি রিদি হাতে মেহেদি দিবে।আমি ওকে নিয়ে যায়।রিদির অনিচ্ছা সত্ত্বেও হাতে মেহেদি দিতে বসল।বাসায় লোকজনের ভীরে কোন সমস্যা তৈরি করতে চায় না রিদি। একপাশে রিদি বসে মেহেদী দিচ্ছে।আরো অনেকে আছে এদের মূলত চিনে না রিদি না চিনতে আগ্রহী।একজন মেয়ে রিদিকে দেখে বলে,
এটা রুপ ভাবীর বোন মনেই হয় না!!
রিদি শুনলেও তাকালো না তাদের দিকে। রুপালি হেসে বলে,
একদম ঠিক বলেছেন চৈতি আপু!আসলে মনেই হয় না রিদি আমার বোন।আমি সুন্দর আর রিদি মায়াবতী। ভীষণ মায়াবতী।

চৈতি মেয়েটা ভেংচি কাটলো।রিদি তাকালো চৈতির দিকে।দেখতে মডার্ন মেয়েটি সুন্দর, আকর্ষণীয় ও বটে।
রিদি চোখ সরিয়ে মেহেদী দেওয়া মেয়েটাকে বলল হালকা দিয়ে ছেড়ে দিন আপু!!
রুপালি রিদির কথা শুনে বলল,
একদম না।হাত ভরে মেহেদী দিয়ে দিন।ওর মেহেদি দিতে খুব ভালো লাগে।
রিদির কথা বাড়াতে ইচ্ছে করল না। চুপচাপ বসে থাকল।একটু পরেই জুসের গ্লাস হাতে রিদির সামনে দাঁড়ায় একজন মহিলা।
ম্যাডাম স্যার কইছে এই জুস খাইতে!!
রিদি বিরক্ত হয়ে চটপট বলল,
খাব না।নিয়ে যাও!
মহিলাটি কিছু বলতে চেয়েও বলল না।চলে গেল।
রুপালি রিদির কাছে এসে বলল,
তোর শরীর সুস্থ না রিদু খেয়ে নিলি না কেন??
ভালো লাগছে না আপু!!
রূপালি কিছু বলার আগেই চৈতি মেয়েটা বলল,
বোনের বড়লোক বাসায় ভালোই আপ্যায়ন করছে দেখছি।তা ভাবী ননদদের ও দেখ আমরাও তো আছি।
রুপালি হেসে বলল,

আমার বোনের আপ্যায়ন আমাকে করতে হয় না আপু।ওর নিজের মানুষ ই আছে।
রিদি বোনের কথায় বিরক্ত হল।
নিজের মানুষ মানে!!
একি আপু নিজের মানুষ বুঝেন না।
সেসব বাদ দাও!!শুনেছি আজ নাকি তীব্র ভাইয়া বাসায় আছে?
আছে!!
চৈতি মেয়েটি সহ আরো কয়েকটা সুন্দরী মেয়ে যেন খুশি হল খুব।রিদি দেখল সেই হাসি। হঠাৎ যেন সব শান্ত হয়ে গেল।রিদি মুখ তুলে তাকাল সবার দিকে।কিছু বুঝার আগেই বিশাল দেহী কেউ চেয়ার টেনে বসল তার সামনে।মেহেদী দেওয়া মেয়েটি হা হয়ে তাকিয়ে রইল পুরুষটির দিকে।রিদি সামনে তাকিয়ে তীব্র কে দেখে নিজেও অবাক হল তীব্র কে দেখে।তীব্র তো এই বাসায় ই ছিল না।তার নিজস্ব বিল্ডিং এ ছিল।তাহলে!!
তীব্র কোন দিকে না তাকিয়ে রিদিকে বলল,

কেন এতো জালাচ্ছেন আপনি?
রিদি আশেপাশে তাকাল। রুপালি বাদে প্রায় সবাই ই ঝটকা খেয়ে তাকিয়ে আছে,
কি করেছি?
খেতে পাঠিয়েছিলাম!ফেরত দিতে নয়।
রিদি আবারো আশেপাশে তাকিয়ে দেখল।সবার দৃষ্টি তাদের দিকে।রিদি এখানে আপাতত কোন সিন চাই না।তাই ঝটপট বলল,
হাতে মেহেদি তাই পরে খাব!আপনি যান।
তীব্র হাত দেখে বলল,
অন্য হাত তো ফ্রি!!
দিবো!!এই আপু আপনি এই হাতেও দিয়ে দেন।মেয়েটি তীব্র কে দেখে ভয়ে ভয়ে রিদির পাশে বসল।রিদি বুঝল মেয়েটার ভয়।সেও এমনি ভয় পেয়েছে তীব্র কে।রিদি বিরক্ত হয়ে বলল,
এখানে থেকে যান!আপু ভয় পাচ্ছে!!আমার মেহেদি ভালো হবে না।
তীব্র চোখ তুলে মেয়েটার দিকে তাকাল। মেয়েটির ভয়ে কাচুমাচু মুখ দেখে হাসল।রিদির দিকে জুসের গ্লাস এগিয়ে দিয়ে বলল,
আগে খান!!

রিদি গ্লাস নিতে গেলে সরিয়ে নেয় তীব্র।আপনার দুহাতে মেহেদী তাই না।আমি খাইয়ে দিচ্ছি।
আমার হাত আছে।আমাকে দিন।
উহু..আপনি সময় নষ্ট করেছেন বেগমজান।রিদি তীব্রর হাতেই ঢকঢক করে পুরোটাই খেয়ে নিল।সে আপাতত সবার এমন আশ্চর্য হওয়া মুখের প্রশ্নের জবাব দিতে চায় না।সে চাই দ্রুত তীব্র চলে যাক।কিন্তু তীব্র রিদির ভাবনার উল্টাটাই করল।পাশ থেকে একটা কোন নিয়ে রিদির হাত টেনে নিজের কোলে রাখলো।রিদি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল।তীব্র হাতের মাঝে সুন্দর একটা ডিজাইন করে মাঝে লিখল “তীব্র”।তীব্র মেহেদী দেওয়া মেয়েটার দিকে তাকিয়ে বলল,

আপনাতেই আমি পর্ব ২৯

বরের নাম লেখার চেয়ে যদি বর ই মেহেদী দিয়ে দেয় তাহলে রং আরো গাঢ় হয় তাই না।মেয়েটি ঝট করে মাথা দুলালো।যেন হ্যা না বললে এখুনি গলা কেটে ফেলবে!তীব্র হাসল।এতক্ষনের কাহিনী সবাই মনোযোগ দিয়ে দেখল যেন পরিক্ষার প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে। সবাই জেলাস তো পরে হবে আগে হতভম্ব হয়ে নিক।

আপনাতেই আমি পর্ব ৩১